আবারও অবৈধভাবে কয়লা মজুদ রাখার অভিযোগ। সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে বীরভূমের লোকপুর থানার পুলিস বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েত এলাকার ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী সগড়ভাঙ্গা জঙ্গলে বস্তা ভর্তি প্রায় ১১ টন মজুদ করা অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে। পাশাপাশি পাঁচ কয়লা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ, সোমবার আজ ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে লোকপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তদের নাম, বিজ্ঞান গোপ, গণেশ বাগদী, বিকাশ বাউরি, চন্ডী বাউরি ও রাজু ঘোষ। রাজু ভেলাডিহি গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে কয়লা পাচার। এই কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নাম। যদিও গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন তিহার জেলে। কিন্তু তাতেও যে কয়লা পাচারে লাগাম পরানো যায়নি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।
ইডির তলবে সাড়া দিলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব। গরু পাচার মামলায় আজ, বুধবার দেবকে তলব করেছিল ইডি। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য হাজিরা দিলেন দেব। দিল্লির ইডি দফতর অর্থাৎ প্রবর্তন ভবনে সকাল ১১টায় প্রবেশ করেন তিনি।
এর আগে যতবার তাঁকে তলব করা হয়েছে তিনি তদন্তে সহযোগীতা করেছেন। দেব নিজেও জানিয়েছেন, তাঁকে যতবার ডাকা হবে ততবারই তিনি হাজির হবেন। এর আগে ২০২২-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, গরুপাচার মামলায় দেবকে নিজাম প্যালেসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কয়েক মাসের ব্যবধানে ২২ জুন এই মামলাতেই দেবকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর প্রায় দেড় বছর পর ফের দেবকে তলব করল তারা।
দেব আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তাঁর কোনও ভয় নেই। তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যতবার তাঁকে ডাকবে ততবার তিনি যাবেন।
গরু পাচারে বাধা দিতে গিয়ে পাচারকারীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে বিএসএফ। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত এক পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ বাঁশঘাটা সীমান্তের কাছে। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত ব্য়ক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
সূত্রের খবর, সোমবার ভোরে বনগাঁ বাঁশঘাটা সীমান্তের কাছে গরু পাচার করছিল পাচারকারীদের একটি দল। বিএসএফ-এর দায়িত্বরত জওয়ানদের চোখে পড়তেই তাদের থামতে বলে। অভিযোগ, পাচারকারীরা না থেমে উল্টে বিএসএফদের উপর হামলা চালাতে শুরু করে। সেই সময় নিজেদের আত্মরক্ষা করতে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। পাচারকারীরা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর সেই গুলিতে আহত হয় একজন।
এরপর তাকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিএসএফের পক্ষ থেকে বনগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস বাকি পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তবুও এখনও বীরভূমে গরু পাচার চক্র সক্রিয়। যদিও পাচারের আগেই ২০১ টি গরু বাজেয়াপ্ত করল বীরভূম নলহাটি থানার পুলিস। এখনও পর্যন্ত কোনও গরু পাচারকারীকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। রবিবার রাতে বীরভূমের নলহাটি থানার শালবুনী গ্রামের রাস্তা থেকে গরু গুলিকে আটক করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ঝাড়খন্ড থেকে ২০১ টি গরু এরাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময় পুলিস গরুগুলি আটক করে। আটক করা গরুগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুধু নলহাটি নয়। রামপুরহাটে প্রায় একশো ও মারগ্রাম কুড়িটি গরু আটক করা হয়েছে। নলহাটি, রামপুরহাট ও মোড়গ্রাম মিলিয়ে মোট চারশোর বেশি গরু আটক করেছে পুলিস। যদিও এই গরুগুলি শুধুমাত্র পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হত না। এই গরুগুলোকে ব্যবসার জন্য এক হাট থেকে আর এক হাটে নিয়ে বিক্রি করা হত বলে জানায় এই সব গরুর মালিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ধার দেনা করে এই গরুর ব্যবসা করে দুটো আয় হয়।কিন্তু বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিস এই গরুগুলো আটক করল তা জানে না এই সব ব্যবসায়ীরা। যদিও নলহাটি থানার পুলিস গরু পাচার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে দাবি।
ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের মামলা। তবে কি নতুন বছরেও জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে! জানা গিয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন। ফলে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবেন তাঁরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে প্রশ্ন তুললেন গরু পাচার কাণ্ডের অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। তিনি বলেন, "গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক জামিন পেয়েছে, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারও জামিন পেয়েছে। আমি গোটা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই, তারপরও আমাকে কেন আটকে রাখা হচ্ছে জেলে?"
অন্যদিকে অনুব্রতর জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করলেন ইডি, সিবিআইয়ের আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তাঁর হিসেবরক্ষক মনীশ কোঠারির দেওয়া বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে আদালতে। অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন, অভিযোগ রাজুর।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবো আমরা।' জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। এক সপ্তাহের মধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর দেওয়া সমস্ত চার্জশিট আদালতে জমা করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
নিয়ম নির্দেশিকাকে থোড়াই কেয়ার,নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নদীখাতে ট্রাক নামিয়ে বালি-পাথর তোলা হচ্ছে প্রতিদিন।একেবারে অভিনব কায়দায় চলেছে লুঠ! নদী থেকে পাথর তুলে টিউবে করে ভাসিয়ে মজুত করা হচ্ছে। তারপর লরিতে তুলেই পাচার। বানারহাটের ধূপগুড়ির নেপালি বস্তিতে আংরাভাসা নদী, রাঙাতি নদী, গিলান্ডি নদী থেকে এভাবেই চলেছে বালি পাথর চুরি। যা ফলে বর্ষায় দেখা দিচ্ছে নদী ভাঙন। কয়েক বছরে বসত বাড়ি, বিঘা পর বিঘা জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পরিবেশ প্রেমীরা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং একাধিকবার প্রশাসনিক সভা থেকে অবৈধ বালি পাথর পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে। কিন্তু তারপরও অবাধে চলেছে লুঠ। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে আমল দেওয়া হচ্ছেনা ? কি করছে প্রশাসন ? কেন ঠেকানো যাচ্ছেনা অবৈধ কারবার ? বিরোধীদের অভিযোগ, তৃনমূল ও পুলিস প্রশাসনের মদতেই চলছে গোটা কর্মকাণ্ড। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকশিবির।
তবে পুলিস সূত্রে খবর, আটক করা হয়েছে লরিটিকে। বালি-পাথর লুঠ রুখতে অভিযানও চালানো হচ্ছে নিয়মিত। প্রশ্ন উঠছে, নিয়মিত অভিযান চালানোর পরও কিভাবে নজর এড়িয়ে যাচ্ছে বিষয়গুলি?
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের জামিন পেলেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, এবারও পুজো কাটবে জেলেই। গরু পাচার কাণ্ডে বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। উল্লেখ্য, 'প্রভাবশালী তত্ত্বে'ই অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই (CBI)। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পর।
গত বছরের অগাস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তিহাড় জেলে আপাতত বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর করা মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী এস ভি রাজু অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, "অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে বেরোলে যা ইচ্ছে তাই করবে, ক্ষতি হবে তদন্তে। বিচারপতিদেরও হুমকি দিচ্ছে।"
শুনানি শেষে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদী সিবিআইকে কাউন্টার হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে। ফলে এবারও অনুব্রতর পুজোও কাটবে তিহাড় জেলেই।
মাটি কাটার সরকারি অনুমতি ছিল। আর সেই অনুমতি দেখিয়েই রীতিমত পে লোডার লাগিয়ে দারকেশ্বর নদের পাড় ও পাড় সংলগ্ন নদী বক্ষ থেকে দেদার তোলা হচ্ছে বালি। এমনই অভিযোগ জানিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। স্থানীয়দের আশঙ্কা এভাবে নদীর পাড় থেকে বালি সরিয়ে ফেলা হলে আগামী বর্ষাতেই বন্যায় ভেসে যাবে গ্রামগুলি। ঘটনাটি বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের ঘোড়াঘাট এলাকায়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে ভূমি দফতর ও প্রশাসনের ভূমিকা।
বর্ষার কারণে নদী বক্ষ থেকে আপাতত বালি উত্তোলন বন্ধ রেখেছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি কোতুলপুর আরামবাগ রাজ্য সড়কের ধারে টোল ট্যাক্স আদায়ের জন্য পূর্ত দফতরের তরফে একটি ভবন নির্মাণের বরাত পায় একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থা। সেই ভবনের জন্য প্রয়োজন হয় নীচু জমি ভরাটের। আর সেই ভরাটের কাজ করার জন্য স্থানীয় ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে মাটি কাটার অনুমতি নেয় বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাটি। অভিযোগ, সেই অনুমতিপত্রকে কাজে লাগিয়েই বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থাটি দারকেশ্বর নদের পাড় ও পাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে দেদার বালি উত্তোলন করে তা চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছে অন্যত্র। এভাবে যন্ত্রের সাহায্যে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর বালি তুলে ফেলায় দারকেশ্বর নদের পাড়ে থাকা প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বাঁধ লোপাট হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মথুরাটপল, গৌড়, রানাহাট সহ নদ তীরবর্তী গ্রামগুলির মানুষ।
স্থানীয়দের দাবি, নদের পাড় ও পাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ ও অবৈজ্ঞানিক ভাবে যেভাবে বালি উত্তোলন করে পাচার করা হচ্ছে তাতে আগামী বর্ষায় দারকেশ্বরের বন্যায় গ্রামগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়তে পারে। ভূমি সংস্কার দফতরের নাকের ডগায় কীভাবে দিনের পর দিন এমন অবৈধ কাজ চলছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। কোতুলপুর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, মাটি তোলার অনুমতি নেওয়া থাকলেও নদী বক্ষ থেকে বালি তোলার কোনো অনুমতি ওই ঠিকা সংস্থাকে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
দিল্লি হাইকোর্টে ফের পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের শুনানি। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গতবছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয়। তার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও জেলবন্দি অনুব্রত। এখন তাঁর ঠিকানা তিহাড় জেল। কিন্তু বুধবারও তাঁর জামিনের শুনানি পিছিয়ে গেলে অনুমান করা হচ্ছে, এই পুজোও তাঁকে কাটাতে হবে জেলেই। পরবর্তী শুনানি ১৯ অক্টোবর।
আদালত সূত্রে খবর, অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অন্য মামলায় ব্য়স্ত রয়েছেন। মামলায় আরও খানিকটা সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। তাঁদের আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। এর পরই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলায় কেষ্টপর্ব আপাতত অতীত। কিন্তু তাঁর দেখানো পথ, পদ্ধতি অতীত হয়নি। আসানসোল থেকে গরু পাচার মামলা দিল্লিতে সরতেই নতুন পন্থায় রমরমা গরু পাচারে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় গরু পাচারের নতুন রুট বা সেফ করিডর হয়ে উঠছে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তের আসানসোল জাতীয় সড়ক।
বৃহস্পতিবার রাতে অন্ধকারে পাচার করতে গিয়ে ৩৮ টি গরু বোঝাই বড় লরি ধরা পড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। জামুরিয়ার স্থানীয় মানুষজন ধরে ফেলেন সেই লরি। আসানসোলের নিঘার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গরু বোঝাই লরি আটক করে জামুরিয়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয় আন্তঃরাজ্য সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
সীমান্তে রাজ্য পুলিস সহ সিভিক মোতায়েন থাকার পরও, নাকা চেকিং চলার পরও কীভাবে গরু পাচার চলছে সেই সব থেকে বড় প্রশ্ন। গত জুন মাসেই আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল নিজে ভগত সিং মোড়ে গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান ধরেন। পর্যাপ্ত কাগজপত্র দেখতে না পারায় পুলিসের হাতে গরুগুলি তুলে দেন।
রহস্যের এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, রাত বাড়লেই রাস্তার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকারেই চলে পাচার থেকে তোলা আদায়। কোনও ঘটনা প্রকাশ্যে এলেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
মানুষ বিপদে পড়লে বা অনৈতিক কিছু দেখলে পুলিসের কাছে যায়। সেখানে পুলিস নিজেই যদি অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে মানুষ যাবে কোথায়? আন্তঃরাজ্য সীমান্তে পুলিসের কর্মকাণ্ডের খবর কিছুই কি জানে না পুলিসের উপরমহল? নাকি পকেট ভরলেই সব ঠাণ্ডা?
পুজোর মুখে কয়লা পাচারকাণ্ডে সক্রিয় ইডি (ED)। কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার ইডির দিল্লির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাকে। এর আগেও একাধিকবার লালাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার ফের ডেকে পাঠানো হল তাঁকে। বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে পাচারকাণ্ডের অন্যতম চক্রীকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তারপর থেকে বেশ কয়েকবার তলব করা হয় অনুপ মাঝিকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান অনুপ মাঝি। তার জেরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় লুকআউট নোটিসও। তার মাঝেই সুপ্রিম কোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পান লালা। যদিও তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই ২০২১-এ তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন লালা। গত মে মাসেই কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন বিকাশ মিশ্র। তাকে নিজেদের হেফাজতে পেয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা। সেই সময় নিজামে হাজিরা দেন কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাও। বিকাশ ও লালাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রতর অন্যতম আদেশ রক্ষাকারী তৃণমূল যুব নেতাকে তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চেই দিল্লিতে ডাক পড়েছিল তাঁর। এবার তৃণমূল যুবনেতা কৃপাময় ঘোষকে, গরুপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে যখন দিল্লি নিয়ে যাচ্ছিল ইডি তখনই পথে শক্তিগড়ে দাঁড়িয়েছিল গাড়ি। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে সবুজ পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তিকে নিয়ে ঘনিয়েছিল রহস্য। তিনিই বাংলা ছাড়ার দিন অনুব্রতর সঙ্গে শক্তিগড়ে বেশ কিছুক্ষণ ‘গল্প’ করেন, কচুরিও খান।
আসানসোল থেকে যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ে একটি হোটেলে দাঁড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সেখানেই প্রাতঃরাশ খেতে শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই কেষ্ট মণ্ডলের খাবার টেবিলে দেখা যায় সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তিকে। টিভিতে সেই ছবি দেখাতেই তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় নানা মহলে। কে তিনি, কীভাবে তিনি অনুব্রতর কাছে গেলেন তা নিয়ে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। পরবর্তীতে জানা যায় এই ব্যক্তিই বীরভূমের তৃণমূল যুবনেতা কৃপাময় ঘোষ। কিন্তু, কে এই কৃপাময়?
সূত্রের খবর, ‘কেষ্টদার’ যে কোনও দরকারে, যে কোনও কাজে সর্বদাই হাজির থাকতেন ‘ভাই’ কৃপাময়। কেষ্টর ছায়াসঙ্গী হিসাবেও পরিচয় রয়েছে তাঁর। তবে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারির পর যে শুধু শক্তিগড়েই তাঁকে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এমনটা নয়। এর আগে দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রতকে তোলার সময় দেখা মিলেছিল কৃপাময়ের।
১৫ টি সোনার (Gold) বাট সহ এক পাচারকারীকে (Smuggling) গ্রেফতার (Arrest) করলো বিএসএফ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। রবিবার বিএসএফ (BSF) আধিকারিকেরা সোনারবাট সহ ধৃত ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর কাস্টমসের হাতে তুলে দেন।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই পাচারকারীর নাম জোহিরুল শেখ। শনিবার রাতে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত বিএসএফ-র নজর এড়াতে মোটর বাইকে করে সোনার বাটগুলি পাচার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফ-র। তারপরেই তাঁরা ওই মোটর বাইকটিকে আটকে তল্লাশি চালায়। উদ্ধার করা হয় ১৫ টি সোনার বাট। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১৫ টি সোনার বাটের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। যা ওই ব্যক্তি রঘুনাথগঞ্জের সাইদাপুর এলাকায় হাতবদলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে।
গরুপাচার চক্র (Cattle trafficking) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই আবহে গরুপাচার করতে গিয়ে খড়দহ থানার পুলিসের (Khardah police station) জালে ধরা পড়ল দুই পাচারকারী। আটক করা হয় ম্যাটাডোর ভ্যানটি। সেই ভ্যানে ছিল ভিন রাজ্যের পাঁচটি মূল্যবান গরু।
জানা গিয়েছে, সোদপুর আর এন এভিনিউ রোড ধরে একটি ম্যাটাডোর ভ্যান খড়দহ থেকে সোদপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় টহলরত খড়দহ থানার পুলিস ভ্যানে থাকা আধিকারিকের সন্দেহ হওয়ায় সে ম্যাটাডোর ভ্যানকে ধাওয়া করে। সোদপুর গোশালার সামনে ম্যাটাডোর ভ্যানটিকে ধরে ফেলে খরদহ থানার পুলিস। তল্লাশি চালানোর পর ম্যাটাডোর ভ্যানের ভিতরে ভিন রাজ্যের গরুগুলিকে দেখে পুলিসের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, গাড়ির চালক ও খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে গরুগুলোকে তারা পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। গরুগুলিকে হরিয়ানা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ফের লরি ভর্তি মহিষ পাচারের (Buffalo Smuggling) চেষ্টা। তবে পাচারের আগেই পুলিসি (Police) তৎপরতায় মহিষ ভর্তি দুটি লরিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়া (Phansidewa) বিধাননগর থানার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মুরালীগঞ্জে। এই ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে দুই জন অভিযুক্তকে। এমনকি ওই দুটি লরির ভিতর থেকে মোট ৯১টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মহিষগুলিকে খোয়ারে পাঠানো হয়েছে। এমনকি ওই দুই ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠনো হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম জাকির হোসেন (৪৮), বাবুল আহমেদ (৫৬)।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং করে বিধাননগর থানার পুলিস। সেই সময়ই দুটি ১৪ চাকা লরিকে সন্দেহের জেরে আটক করে পুলিস। তারপরেই লরির ভিতরে তল্লাশি করার পরেই ওই মহিষগুলিকে উদ্ধার করা হয়। তারপরেই গাড়ি চালককে এই মহিষ বোঝাই করার জন্য বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে চালক মহিষ গুলির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে না। ঠিক তারপরেই পুলিস ওই দুটি লরিকে আটক করে এবং ২ টি লরির চালককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিসের দাবি, মহিষগুলি বিহারের পূর্ণিয়া জেলা থেকে অসমের উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। প্রায় প্রতিনিয়ত কলকাতা শিলিগুড়িগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে রাতের অন্ধকারে মহিষ পাচারকারীরা পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝেমধ্যেই নাকা চেকিং এর সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস সেই গাড়িগুলিকে আটক করছে। এমনকি এই পাচার কাজের পিছনে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসি দেওয়ার বিধান নগর থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেই শিলিগুড়ি গামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর থেকে একটি মহিষ বোঝাই করা লরি আটক করে পুলিস। বুধবার ওই লরিটি থেকে ৪১টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপর ফের শুক্রবার এই ঘটনা।