দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একই মুদির দোকানে চুরির (Theft) ঘটনায় অতিষ্ঠ ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহাকুমা নকশালবাড়ি ব্লকের বাগডোগরা থানা সংলগ্ন হাটে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের চুরি হয়েছে ওই মুদির দোকানে। অভিযোগ, বারংবার পুলিস (Police) প্রশাসনকে জানালেও এখনও পর্যন্ত চোর ধরার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাতের অন্ধকারে এভাবে চুরির ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাগডোগরা হার্ট চত্বরে।
বুধবার, রাতে ফের চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চুরি যাওয়া ওই দোকানের মালিক। চুরি হওয়া মুদিখানা দোকানের মালিক সন্তোষ রায় জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে একাধিক বার তাঁর দোকানে চুরি হয়েছে। দোকানে থাকা দামি জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোর। পুলিস প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনও সুরাহা পাওয়া যায় নি। অবিলম্বে চোর ধরার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হোক পুলিস প্রশাসনকে আবেদন দোকানদারের।
তবে পুলিস প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই দিনের পর দিন চুরি হচ্ছে বলে এমন অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে চুরি হওয়া দোকানদার বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও সেই চোরকে এখনও পর্যন্ত ধরা সম্ভব হয়নি।
পুলিসি হেফাজতে থাকা পলাতক অভিযুক্ত পুনরায় গ্রেফতার (arrest)। বুধবার প্রধাননগর এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার অধীন শিলিগুড়ি টাউন আউট পোস্টের পুলিস। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সঞ্জয় সিং।
সম্প্রতি শিলিগুড়ির বিধানমার্কেট এলাকায় একটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে অভিযুক্ত সঞ্জয় সিং-কে চলতি মাসের ২৫ তারিখ রাতে গ্রেফতার করা হয়। ২৬ তারিখ তাকে আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে বিচারক ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিসি রিমান্ডে থাকাকালীন ধৃতকে ২৭ তারিখ শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরার সময় আউট পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় আচমকাই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে বুধবার রাতে সূত্র মারফত পুলিস জানতে পারে পলাতক অভিযুক্ত প্রধাননগর লাগোয়া মহানন্দা নদী সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। এরপরই অভিযানে নামে পুলিস। তবে পুলিস দেখতেই অভিযুক্ত ফের একবার পালানোর ছক কষে। কোনকিছু না ভেবে ঝাঁপ দেয় মহানন্দা নদীর জলে।
তবে শেষ রক্ষা হল না। হাতের নাগালে পলাতক অভিযুক্তকে পেয়ে পুলিস কর্মীরাও তাকে পাকড়াও করতে ঝাঁপ দেন মহানন্দার জলে। অবশেষে মহানন্দা নদীর জল থেকেই গ্রেফতার করা হয় পলাতক অভিযুক্তকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পলাতক অভিযুক্ত ফের একবার গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তিতে পুলিস মহল। অন্যদিকে, চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
সাপের বিষের পর এবার পাচারকারীদের (Sumgglers) নজরে সাপের তেল (Snske oil)। এই ঘটনায় বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) জংশন সংলগ্ন এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে বন দফতরের (Forest Dipertment) র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স, দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফের ১ নম্বর শাখা। ধৃতদের গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে স্পেকট্যাকল কোবরার তেল। এমনকি ধৃতদের কাছ থেকে আরও উদ্ধার করা হয়েছে হরিণের চামড়া এবং শিং।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই পাচারকারীর নাম সিকান্দার কুমার এবং সঞ্জু বৈধ। তারা দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে সিকান্দার উত্তরপ্রদেশের খলিলাবাদ এলাকা এবং সঞ্জু বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা বলেই খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স এর রেঞ্জ অফিসার দীপক রসাইলি বলেন, 'ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।'
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বন দফতরের নজর ছিল। শেষ অবধি সোমবার গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে বন্যপ্রাণের দেহাংশ সহ সাপের তেল পাচারের ছক ছিল ধৃতদের। তবে সেই সবকিছুই তাদের হেফাজতে নিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সাপের তেলের ওজন আনুমানিক ৩৫০ মিলিলিটার। এছাড়াও ছিল ৪ টুকরো হরিণের চামড়া এবং তিন টুকরো হরিণের শিং উদ্ধার হয়েছে।
মনোনয়ন পর্বে আহত চোপড়ার সিপিআইএম কর্মীর মৃত্যু (Death) হল বুধবার। শিলিগুড়ির (Siliguri) একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। নাম মনসুর আলম।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৫ জুন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চোপড়া। ওই দিন মাথায় গুলি লাগে ২৩ বছর বয়সী মনসুরের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেদিন বোমাবাজি ও গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলেই ছিলেন মনসুর। মাথায় গুলি লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় মনসুরের।
ঘটনার দিনই বাম-কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণভাবেই মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিল তাদের প্রার্থী ও কর্মীরা। কিন্তু আচমকা মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালায় শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল শাসক দল।
বিভিন্ন যুবতীদের ছবি দেখিয়ে গ্রাহকদের থেকে টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার দুই ব্যক্তি। সোমবার ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটনের পানিটাঙ্কি টাউন থানা। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্তের নাম প্রশান্ত সাহা এবং বাপী সূত্রধর। দু'জনেই শহর শিলিগুড়ির ভক্তিনগরের বাসিন্দা বলেই খবর। ওই দুই অভিযুক্তকে বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ৩ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত এই দুই প্রতারক পেশায় টোটো চালক। পুলিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখনও অবধি ৩ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এক প্রতারিতের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিস। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, ধৃত দুই যুবক বিবেকানন্দ রোডে টোটো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। সেখানেই গ্রাহকদের চিহ্নিত করে যুবতীদের ছবি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। তদন্তে নেমে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
সূত্রের খবর, ওই দুই অভিযুক্ত টোটো চালিয়ে বিভিন্ন এলাকার যুবকদের কিছু যুবতীদের ছবি দেখাত এবং ওই যুবকদের যৌন প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওই এলাকার বহু যুবক এই ঘটনায় প্রতারিত হন। এরপর এক প্রতারিতের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে গোটা ঘটনা জানতে পারে পুলিস। এই ঘটনায় ওই দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিস। এছাড়া এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে
দুর্ঘটনার (Accident) কবলে পড়ল আম বোঝাইকারী ছয় চাকার গাড়ি। ঘটনায় আহত হয়েছেন গাড়ির চালক এবং সহকারি চালক। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহাকুমার বিধান নগর ডাঙ্গাপাড়ার সামনে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। জানা গিয়েছে, মালদহ থেকে জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে আম নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার ফলে ছয় চাকা গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে মুছড়ে যায়। গাড়ির ভিতরে আটকে পড়েছিল আহত ড্রাইভার এবং সহকারি চালক। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ছুটে এসে চালক এবং সহকারী চালককে উদ্ধার করে বিধান নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধনীন রয়েছেন তাঁরা। তবে গাড়ির ভেতরে বেশ কয়েক কুইন্টাল আম ছিল। যেগুলি মালদহ থেকে জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর থানার পুলিস।
ডাম্পারের (Dumper) ধাক্কায় জখম এক ছাত্রী (Student)। ঘটনার জেরে পথ অবরোধের পাশাপাশি মাঝ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখান স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) আমবাড়ি চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তায়। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে এনজেপি থানার পুলিস। এদিকে, ঘটনার পরই ওই ডাম্পার চালকের খোঁজ শুরু করেছে এনজেপি থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুরো ঘটনার তদন্ত।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রী রিয়া রায় প্রাইভেট টিউশন থেকে আমবাড়ি চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় একটি ডাম্পার আচমকাই ওই ছাত্রীকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কিশোরীকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে, ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় ওই ডাম্পার চালক। ঘটনার প্রতিবাদে আমবাড়ি চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। একইসঙ্গে ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী ডাম্পারগুলি আটকে দেন তাঁরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাম্পারের দৌরাত্ম্য ক্রমেই বাড়ছে। দ্রুত পুলিস প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক যুবকের ওপর হামলা (Attack)। ঘটনায় গুরুতর জখম (Injury) হন ওই যুবক। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) লাগোয়া আশিঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায়। এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই যুবক আশিঘর ফাঁড়িতে আত্মসমর্পণ করে বলে খবর।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিন সকালে আশিঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায় স্বপন বর্মন নামে ওই যুবকের ওপর আচমকাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত নিরঞ্জন। ঘটনার জেরে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত ওই যুবককে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃত স্বপন আশিঘর মোড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল এক মহিলার সঙ্গে। তারপর ফের একই ঘটনার সম্মুখীন হতে হল। কি কারণে বারংবার হামলা চালনো হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ভক্তিনগর থানার অধীন আশিঘর ফাঁড়ির পুলিস।
চিতাবাঘের (Cheetah Skin) চামড়া সহ এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বৈকুন্ঠপুর বনদফতরের আধিকারিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে শালুগাড়া রেঞ্জের শিলিগুড়ির (Siliguri) ওলদাবাড়িতে। বন দফতর (Forest Division) সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা ওই চিতাবাঘের চামড়ার দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২ ফুট, প্রস্থ আনুমানিক ১ ফুট। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের শালুগাড়া রেঞ্জ। বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ বেলাল আলি। সে চালসার বাসিন্দা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই গাড়িটি ওদলাবাড়ি হয়ে মালবাজারের পথে রওনা হয়েছিল। তার আগেই বন দফতরের কর্মীদের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত যুবক। বন দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় ওদলাবাড়িতে। অভিযান চালিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি আটক করে শালুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। তারপরে গাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় একটি পূর্ণাঙ্গ চিতাবাঘের চামড়া। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে চিতাবাঘের চামড়াটি কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল? এমনকি এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
এক-দু মাস না। দীর্ঘ সময় যাবৎ বেহাল অবস্থায় রয়েছে রেলওয়ে আণ্ডারপাস (Railway Underpass)। যত্রতত্র খানাখন্দে পরিপূর্ণ। বৃষ্টি হলেই জমে থাকে জল। আর এই পরিস্থিতি শিলিগুড়ির (Siliguri) জাবরাভিটা এলাকা সংলগ্ন রেলওয়ে আণ্ডারপাসের। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্য পথচারী থেকে শুরু করে গাড়ি চালকদের। বারবার এই আণ্ডারপাস সংস্কারের দাবি উঠেছে। তবেও পূরণ করা হয়নি সেই দাবি। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কবে সংস্কার হবে আণ্ডারপাস? প্রশ্ন আমজনতার।
সূত্রের খবর, আণ্ডারপাস সংস্কারের জন্য বিক্ষোভ দেখালে সাধারণ মানুষ, কিছুটা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি৷ ফলত আণ্ডারপাসের জরাজীর্ণ দশা দ্রুত প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে। তবে এবার ফের সংস্কারের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ। এবিষয়ে এসজেডিএ অর্থাৎ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে সাফাই সংস্কারের কাজের জন্য ডিপিআর তৈরি হয়েছে। এখন শুধুমাত্র অনুমোদনের অপেক্ষা।
ডিপিআর তৈরি হলেও বর্ষার আগেই এই আণ্ডারপাস হবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তাই রয়েছেন আমজনতা।
ফের মহিষ পাচার (Buffalo Smuggling) রুখল পুলিস। সে সঙ্গেই দুটি কন্টেনার সহ চারজনকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিস। শনিবার বিধাননগর থানার অন্তর্গত শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের ঘটনা। ঘটনাস্থলে বিধাননগর থানার পুলিস (Police)। শনিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত চারজনের নাম দিলিপ কর্মকার (২৪), মহম্মদ সুকুরুউদ্দিন (১৯), রাসিদ (৩০), মহম্মদ ফরমান আলি (২২)। চারজনই উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলার বাসিন্দা।
বিধাননগর থানার ওসি অনুপ বৈদ্য জানিয়েছেন, শনিবার ভোরবেলা গোপন সূত্রের খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিস। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টে অভিযান চালায় বিধাননগর থানার পুলিস। এরপরেই সেখানে তিনটি কন্টেনার আটক করে পুলিস। সেই কন্টেনার গুলিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি কন্টেনার থেকে ৩৫টি মহিষ ও অন্য একটি কন্টেনার থেকে ২৫টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৮৭ টি মহিষ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর অনুমান, মহিষগুলো ডালখোলা থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
মা চিতাবাঘ সহ দুই (Leopard) শাবকের মৃতদেহ (Death Body) উদ্ধার। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার খড়িবাড়ি ব্লকের থানজোড়া চা বাগানের তিন নম্বর সেকশনের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘোষপুকুর বন দফতরের কর্মীরা (Forest Division) তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মা চিতাবাঘ ও দুই শাবকের দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। এমনকি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও একটি চিতাবাঘের শাবককে উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে অসুস্থ চিতাবাঘ শাবকের চিকিৎসা চলছে বেঙ্গল সাফারিতে। পাশাপাশি মৃত মা চিতাবাঘ ও দুটি শাবকের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, সর্বপ্রথম চা বাগানের চা শ্রমিকেরা মৃত চিতাবাঘগুলিকে দেখতে পান। এরপরই দ্রুত খবর দেওয়া হয় বাগানের ম্যানেজার সহ ঘোষপুকুর বন দফতরে। তবে কী কারণে বাঘগুলির মৃত্যু ঘটলো তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আইপিএল জ্বর তুঙ্গে। আইপিএল উত্তেজনা চরমে উঠতেই চাঙ্গা বেটিং বাজারও। ফের অবৈধভাবে অনলাইন অ্যাপে আইপিএল বেটিংয়ের অভিযোগ। বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করল শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার পুলিস (POlice)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাগরাকোট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম নাফিস আলম এবং মোহম্মদ সরফরাজ। ধৃত ওই দুই যুবকের কাছ থেকে দুটি মোবাইল এবং কয়েক হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে শিলিগুড়ি থানার পুলিস। এই ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রেখেছে পুলিস।
পুলিস সূ্ত্রে খবর, আইপিএল-র মরসুম শুরু হতে না হতেই বেটিং চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অতীতে অফলাইনে বেটিং চক্র চললেও বর্তমানে পুলিসের নজর এড়াতে অনলাইন মাধ্যমকেই বেছে নিয়েছে চক্রের সদস্যরা। তাই বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে অনায়াসে চলছে আইপিএল বেটিং।
গাড়ির (Car) এসি (Ac) মেশিনের গ্যাস রিফিলিং (Refilling) চলাকালীন বিপত্তি। আচমকাই বিস্ফোরণ হয় গাড়িতে। ঘটনায় জখম হন গ্যারাজের তিন কর্মী সহ একজন সেনাকর্মী। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জাবী পাড়া এলাকার একটি গ্যারাজে সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে এসি মেশিনের গ্যাস রিফিলিং-র কাজ চলছিল। সেই সময় আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা।
ঘটনার খবর পেতেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোন স্থানীয় কাউন্সিলর মানিক দে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। তার বক্তব্য, ওই গ্যারাজ মালিককে একাধিকবার ওই এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু গ্যারাজ মালিক একাধিক অজুহাতে সেখানেই থেকে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এবার পুরনিগম তরফে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, এদিনের ঘটনায় ক্ষিপ্ত আমজনতা। তাঁরা জানিয়েছেন ওই গ্যারাজ মালিককে অনেকবার এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কোনও কর্ণপাত না করেই একাধিক অজুহাত দেখিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ চালিয়ে গেছেন। স্থানীয়রা চাইছেন ওই গ্যারাজটি এলাকার বাইরে করা হোক। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দাদার সঙ্গে বচসার জেরে আত্মঘাতী (Suicide) নাবালক ভাই। মহানন্দা নদী থেকে ওই নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়। তবে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সোমাবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এমনকি ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম রূপম রায় (১৭)। এই বছরেই রুপম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে রূপম দেরি করে বাড়িতে ঢোকার জন্যে তাঁর দাদা খুব বকাবকি করেন। কথা কাটাকাটির মাঝেই রূপম বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এরপরেই বন্ধুদের ফোন করে সে জানায়, মাকে দেখে রাখিস আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি। এই কথা শুনে তার বন্ধুরা বাড়িতে খবর দেয় এবং তারা সবাই খোঁজাখুঁজিও শুরু করে। পরিবারের দাবি, রাতে খোঁজাখুঁজির সময় মহানন্দা নদীর সামনে আসতেই রূপমের মোবাইল ও পায়ের জুতো পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই সঙ্গে সঙ্গে মহানন্দা নদীর জলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া না গেলে খবর দেওয়া হয় বিধাননগর থানার পুলিসকে।
সূত্রের খবর, পুলিস ও পরিবারের লোকেরা নদীতে যৌথভাবে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তবে রাত হওয়ার ফলে রূপমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সোমবার সকালে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রূপময়ের দেহ নদী থেকে উদ্ধার করা যায়।