নৃশংসতার সীমা পার! ১৮ দিনের নবজাতক শিশুকন্যার মৃতদেহ (deadbody) উদ্ধার হল ঘরের উঠোন থেকে। কাঠগড়ায় নিজেরই মা-বাবা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্তানকে পুঁতে রাখার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়ি (Siliguri) মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মতিধর চা বাগানের ফর্সা লাইন এলাকায়। কীভাবে সম্ভব এমন কাজ? সেই প্রশ্নই এখন গ্রামবাসীদের মনে।
মঙ্গলবার আশা কর্মীরা নির্মল টোপ্পর বাড়িতে তাঁর ১৮ দিনের শিশুকন্যার ভ্যাকসিন (vaccine) দেওয়ার জন্য উপস্থিত হন। সেই সময় মা চাঁদনী টোপ্পকে মেয়ে কোথায় আছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, অসুস্থ হয়ে মেয়ে মারা গিয়েছে। সেই কারণেই তাকে বাড়ির উঠোনে পুঁতে রাখা হয়েছে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে আশা কর্মীরা নিজেরাই উঠানে পুঁতে রাখা সদ্যজাত ১৮ দিনের শিশুকন্যাটিকে মাটি খুঁড়ে বের করেন। এরপর তাকে সেখান থেকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে কর্মরত চিকিত্সক বিশ্বজিৎ দত্ত শিশুকন্যাটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর দেওয়া হয় বিধান নগর থানা পুলিসকে। পুলিস খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং শিশুকন্যার দেহটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। অপরদিকে মৃত শিশুকন্যার মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। শিশুকন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিসকে জানানো হয়, শিশুটি অসুস্থ থাকার কারণে মারা গিয়েছে। এরপরই শিশুটির বাবা উঠোনের মধ্যে পুঁতে দিয়ে মেয়ের সৎকার্য সম্পূর্ণ করেন। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শিশুকন্যাটিকে খুন করা হয়েছে না তার অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে এটি ময়না তদন্ত করে জানা সম্ভব হবে, জানিয়েছে পুলিস। তবে সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসি দেওয়ার বিধান নগর থানার পুলিস।
বাড়িওয়ালা দম্পতির ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা! ঘটনায় মৃত্যু (death) মালকিনের, অন্যদিকে গুরুতর জখম (injured) হন তাঁর স্বামী মহম্মদ শাহজাদ। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির (Siliguri) একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে ঘটনার তদন্তে এলাকায় পৌঁছয় প্রধাননগর থানার পুলিসবাহিনী (police) সহ খোদ পুলিস কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী। শুরু হয়েছে মূল অভিযুক্তের খোঁজ। শনিবার রাতে ঘটনাটি শিলিগুড়ি পুর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের। নৃশংস এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
প্রাথমিকভাবে সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাড়টিয়া বিকাশ পাঞ্জিয়ার হামলা চালানোর পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় রাতেই। অভিযোগ, শনিবার রাতে ভাড়াটিয়া ওই ব্যক্তি আচমকাই বাড়িওয়ালা দম্পতি মহম্মদ শাহজাদ এবং গঙ্গা ছেত্রীর ওপর হামলা করেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে৷ ঘটনায় দু'জনেই গুরুতর জখম হন। জখম অবস্থায় ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গঙ্গা দেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মহম্মদ শাহজাদকে সেখান থেকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরেই ছিলেন তিনি। শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। জখম দু'জনকেই উদ্ধার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও একজন চিকিৎসাধীন। তবে সঠিক কারণে এইধরণের ঘটনা তা বোধগমাই হচ্ছে না কারও। সঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। রহস্য ভেদে তদন্তে পুলিস।
চাকরি (job) দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার (fraud) অভিযোগে এক যুবককে আটক করে এলাকার মানুষ। এরপর তাঁকে পুলিসের (police) হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি শিলিগুড়ি (Siliguri) মহাকুমা ফাঁসিদেওয়া ব্লকের রাবভিটা এলাকার। জানা যায়, গত তিন বছর আগে এই এলাকার মোরশেদ আলী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেন অভিযুক্ত। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় পিডব্লিউডি-তে চাকরি দেওয়া হবে। রীতিমতো পিডব্লিউডি-র সরকারি সিল লাগানো একটি ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয় সেই যুবকে। এরপরেই মোরশেদ আলী বুঝে যান সেই নিয়োগ পত্রটি ভুয়ো। তিনি তত্ক্ষণাত্ তাঁর টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন।
অভিযোগ, টাকা ফেরত দেওয়ার কথা শুনে বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত। অবশেষে মঙ্গলবার জামিল আক্তার নামে ওই অভিযুক্তকে দেখতে পেয়ে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ফাঁসিদেওয়া থানায়। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে সমস্ত বিষয়টি জানার পর জামিল আক্তারকে আটক করে এবং থানায় নিয়ে যায়। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস।
যদিও অভিযুক্ত জামিল আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং তিনি জানান, সনৎ শিকদার নামক কলকাতার এক যুবকের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। সেই যুবকের কথা অনুসারেই চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজেও জানেন না এই সমস্ত বিষয়টি ভুয়ো।
সরকারি অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ি (Siliguri) এসে হঠাৎ নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ বলেই খবর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata) শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদীকে দায়িত্ব দেন। জানা গিয়েছে, চিকিৎসক পিডি ভুটিয়া তাঁর চিকিৎসা করেন। জানা গিয়েছে, রক্তে সুগারের তারতম্যের জন্যই হয়তো অসুস্থ হতে পারেন তিনি। তবে চিকিৎসক এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি। তাঁর আগামি কর্মসূচির ভবিষ্যৎ কি এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন শিলিগুড়ির দাগাপুরের অনুষ্ঠানে মূল মঞ্চেই নাকি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে পাশের গ্রিনরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। ডেকে পাঠানো হয়েছিল চিকিৎসককে পিডি ভুটিয়াকে।
চিকিৎসক পিডি ভুটিয়া বলেন, 'আমি পরীক্ষা করে যা বুঝেছি সুগার কমেনি। উনি ভালো আছেন। অনেকক্ষণ ধরে রোদে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য পরিশ্রম হওয়ায় সামান্য অসুস্থ বোধ করতে পারেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকায় একটা প্রোটোকল আছে, আমি সেই প্রোটোকল মেনে হেলথ চেকআপ করে গেলাম। ইসিজি রিপোর্ট ঠিক আছে।' মন্ত্রী মশাই সুগার, প্রেশারের ওষুধ নিয়মিত খান। আমি শুধু বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছি, জানান চিকিৎসক ভুটিয়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যোগ দিয়েছেন। এখন উনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন এবং ডালখোলার অনুষ্ঠানে হয়তো মন্ত্রীজি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে থাকবেন। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত।
সাংসদ বিস্তা বলেন, 'নীতিন গড়করিজি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। জেড প্লাস নিরাপত্তা পান, উনার সুগার আছে। তাই খাওয়ার আগে উনার সুগার চেক করে নিতে হয়। সুগার এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, বাকি প্যারামিটার ঠিক আছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দিল্লির একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।' জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রক্তচাপ, ইসিজি সংক্রান্ত সব রিপোর্ট স্বাভাবিক।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বোমা। কিন্তু এবার শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার খোদ মেয়র গৌতম দেবের বাড়ির ওয়ার্ড থেকেই হদিশ মিলল আগ্নেয়াস্ত্রের (firearm)। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যেও। প্রশ্ন উঠছে স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি থানার পুলিস (police)।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে নালা সাফাইয়ের কাজ করছিলেন পুরকর্মীরা। এমন সময় কলেজ সংলগ্ন এলাকার একটি নালা থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার হয়। ঘটনায় তড়িঘড়ি স্থানীয় কাউন্সিলর সহ পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করে। পাশাপাশি তদন্তেও নেমেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রটি বহু পুরনো, মরচে ধরেছে। তবে কোথা থেকে আসল, কে বা কারা রেখেছে বা ফেলেছে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি থানা এলাকায় সম্প্রতি একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কখনও হোটেলে ঢুকে মালিককে মারধর, কখনও ছুরি চালানোর ঘটনা। এবার আগ্নেয়স্ত্র উদ্ধার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। কোথা থেকে এল সেই আগ্নেয়াস্ত্র তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গি (dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। সঙ্গেই বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও। এবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) ডেঙ্গির বলি আরও এক। মৃত্যু (death) বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক ব্যক্তির (৪৬)। তিনি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের (Gautam Dev) প্রতিবেশী। বিশ্বজিৎবাবু শিলিগুড়ি পুর এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে (fever) আক্রান্ত ছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। পরবর্তীতে ৫ তারিখ একটি বেসরকারি সংস্থায় রক্ত পরীক্ষা করান। সেই পরীক্ষার রিপোর্টে তাঁর ডেঙ্গি আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর শুরুতে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। তবে রবিবার বিকেলে আচমকা অসুস্থতা বাড়তেই তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়। কিন্তু সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎবাবু একটি সোনার অলংকারের দোকানে কাজ করতেন। এদিন তাঁর বাড়িতে যান শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। ঘটনা প্রসঙ্গে শোকজ্ঞাপন করে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র।
এদিকে, ডেঙ্গি রোধে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি প্রতিকারে নজরদারি দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে নজরদারি দল গঠন করার কথাও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ফিভার ক্লিনিক চালু রাখার নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। একই সঙ্গে হাসপাতালেও বেড তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গি রোধে সবরকম পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: স্কুলজীবন থেকেই বামপন্থার দিকে আকর্ষণ, পরে ছাত্র রাজনীতি শেষে পার্টি সদস্য হওয়া। এবং অনেক দায়িত্ব পার করে বামফ্রন্টের মন্ত্রী হয়েছিলেন আজকের মিডিয়ার প্রবল চর্চিত চরিত্র অশোক ভট্টাচার্য। অশোকবাবু বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষিপ্তভাবে উগড়ে দিলেন সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে বিজেপির নেতাদের আগমনের কাহিনী। কাহিনীই বটে, অশোকবাবুর স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন এক বছর পূর্ণ হল। দীর্ঘদিনের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন বলতে বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মনেপ্রাণে এক বামপন্থী মহিলাকে বিয়ে।
কোনও সন্তানাদি নেই। অবসরের সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী-ই। কর্তা-গিন্নির পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ছিল প্রবল। সেই স্ত্রী যখন হঠাৎ চলে গেলেন একেবারেই একা বাম আমলের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। যতই রাজনীতি করুন না কেন, মনের দিক থেকে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। এই প্রতিবেদককে সেসব কথা অকপট ভাবে জানিয়েছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
এরপর একুশের ভোটে পরাজয় তাঁরই একদা ছায়াসঙ্গী শংকর ঘোষের কাছে। তারপর আর ভোটের রাজনীতি করতে চাননি তিনি। কিন্তু দলের নির্দেশে ফের শিলিগুড়ি পুরসভায় দাঁড়ান এবং ফের পরাজিত হন অশোক ভট্টাচার্য। এখন অশোকবাবুর সময়ে কাটে কিছুটা পার্টি অফিসে, কিছুটা বাড়িতে বই পড়ে। সেই প্রসঙ্গে অশোকবাবু জানালেন, কোনও সাচ্চা কমিউনিস্ট কোনও দিন পার্টি ছেড়ে দক্ষিণপন্থী দলের সঙ্গে সখ্যতা করে? প্রশ্ন করা হল কি এমন ঘটলো যে, মিডিয়া আপনাকে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে একটা গল্প তৈরি করছে?
তিনি বলেন, 'বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্ত আমার বাড়ির সামনে একজনের বাড়িতে এসেছিল। ওখান থেকেই আমাকে ফোন করে বলে হামলোগ দিওয়ালি কে লিয়ে বাধাই দেনা চাহাতা হুঁ। সৌহার্দ্যর খাতিরে তিনি, তাঁদের বাড়ি আসতে বলেন।' এরপর নাকি প্রায় ৮-১০ জন কর্মী নিয়ে এবং সঙ্গে একডজন সংবাদ মাধ্যম নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন রাজু এবং শঙ্কর ঘোষ। মিনিট দশেক ছিলেন তাঁরা, এর মধ্যে ৩০ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ করেন রাজু। ব্যস ওটুকু, এরপর অশোকবাবু তাঁদের চা খাওয়ান। রাজু বিস্ত, অশোকবাবুর প্রয়াত স্ত্রীয়ের বিষয়ে নানা কথা বলেন এবং তাঁরা চলে যান। এর বেশি কিছু হয়নি, বাকি শুধু মিডিয়া এবং কুণাল ঘোষের তৈরি করা গল্প।
ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের (fire) ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল শিলিগুড়ির (Siliguri) হকার্স কর্নার। বলা যেতে পারে দীপাবলির (Diwali) আগে বড়সড় অঘটনের হাত থেকে কোনওরকমে রক্ষা পেল শহর শিলিগুড়ি।
জানা গিয়েছে, একটি প্লাস্টিকের (Plastic) সামগ্রীর দোকান থেকে আগুন লাগে। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ঝাপিয়ে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। কিছু সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে খবর, রবিবার সকালে প্রথমে কালো ধোয়া দেখতে পান ব্যবসায়ীরা। এরপরই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিসও। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোকানের ভেতরে থাকা বেশকিছু সামগ্রী সহ দোকানের অধিকাংশ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব। তিনি সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
মালবাজারের ডামডিম এলাকায় শুক্রবার দুর্ঘটনার কবলে আইজি উত্তরবঙ্গ দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং। বেপরোয়া গতিতে আসা এক ডাম্পারকে এই আইপিএসের গাড়ি কাটাতে গিয়েই পথ দুর্ঘটনা। জখম এই পুলিসকর্তাকে প্রথমে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরে মাটিগাড়ার এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, খালি ডাম্পারটি আটক করা হয়েছে, তবে চালক পলাতক।
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা। গাড়ির ড্রাইভার-সহ আইজি (উত্তরবঙ্গ)-কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরে আইজি দেবেন্দ্র প্রকাশ সিংহকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে।
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আইপিএস-র চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জানান, দুর্ঘটনায় আঘাত গুরুতর নয়। সিট বেল্ট পরে থাকায় বড়সড় আঘাত লাগেনি। আমরা সিটি স্ক্যান করেও কিছু পায়নি। একজনের হাতে চোট আছে, তাও সামান্য। ওষুধ এবং বিশ্রামে, সেই চোট সেরে যাবে।
ফাঁসিদেওয়ায় (Phansidewa) মাটিগাড়ার একটি বাড়িতে মাদক (drugs) চোরাচালান চক্রের পর্দাফাস। ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার (Brown sugar) সহ গ্রেফতার (arrest) করা হয় ৬ জনকে। জানা যায়, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) ও মাটিগাড়া থানার পুলিসের যৌথ অভিযানেই মূলত মিলেছে এই বড়সড় সাফল্য। পুলিস (police) সূত্রে খবর, মাটিগাড়া থানার অধীন সাধন মোড়ে অবস্থিত একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এই মাদক ব্যবসা (drug dealing)।
এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, এসওজি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের পরিচয় পুষ্পা মণ্ডল, রাজু সরকার, দীপঙ্কর মণ্ডল, বিনোদ প্রসাদ, আরতি দেবী এবং ভারত মণ্ডল। অভিযুক্তদের মধ্যে পুষ্পার স্বামী রাজু সরকার ও দীপঙ্কর মণ্ডলের ছেলে এই চক্রে রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারত মণ্ডল ও আরতি দেবী যথাক্রমে কালিয়াচক ও বাতাসির বাসিন্দা। ভরত আর আরতি আজ কালিয়াচক থেকে ব্রাউন সুগার নিয়ে মাটিগাড়ার মেইন রোডে পুস্পার বাড়িতে পৌঁছেছিল।
এসওজির মতে, পুষ্পা শিলিগুড়িতে মাদক ব্যবসার একটি বড় নেটওয়ার্ক চালাত। যা এসওজি দল দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার ৬ আসামীকে মাটিগাড়া থানায় হস্তান্তর করেছে এসওজি। মাটিগাড়া থানার পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা দায়ের করেছে। আগামীকাল তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।
ক্রমশই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (dengue)। দুই বঙ্গেই এই ডেঙ্গিতে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত। এরই মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক মহিলার মৃত্যু (death)। মৃত মহিলার নাম রীনা রায় বর্মন (২৫)। বাড়ি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে, মাত্র পাঁচ মাস আগেই তাঁর বিয়ে হয়। দিনকয়েক আগে গৃহবধূ রাজগঞ্জে বাপের বাড়ি যান। সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসক দেখানো হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে ডেঙ্গি-সহ বেশি কিছু পরীক্ষা করা হয় রীনা দেবীর। ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই গত বৃহস্পতিবার তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাত ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু (death) হয়।
যদিও হাসপাতাল কতৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য দিতে চায়নি। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার অন্যান্য অসুখ অর্থাৎ কোমর্বিডিটি ছিল। পাশাপাশি, ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ ছিল। প্রসঙ্গত, গত একমাসের মধ্যে এই নিয়ে ডেঙ্গিতে দুজনের মৃত্যু হল জলপাইগুড়ি জেলায়। গত ২৭ শে আগস্ট নাগরাকাটা ব্লকের লুকসান চা বাগানে চার বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছিল।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এদিন চারজনের বিশেষজ্ঞ দলটি জলপাইগুড়ি আসেন। দলে রয়েছেন ডাঃ দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ সন্দীপ সাহা,ডাঃ মধুমিতা নন্দী, ডাঃ শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য। তাঁরা প্রথমে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি এবং হাসপাতালের চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এরপর জলপাইগুড়ির ডিআরএস ভবনে ডেঙ্গি নিয়ে একটি বৈঠকে যোগ দেন।
সেই বৈঠকে জনস্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গে ওএসডি সুশান্ত রায়, জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদারের পাশাপাশি, জেলার বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকের পর ওএসডি সুশান্ত রায়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার এবং বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সময় প্রতিবছরই ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব হয়। তবে জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেই দাবি তাঁদের।
একই সঙ্গে এবার শিলিগুড়িতেও ডেঙ্গির বলি এক। চলতি বছরে এই প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জিত রায় (৪৮)। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সঞ্জিত রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় কিছুটা হলেও আতঙ্ক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শহরজুড়ে।
নামেই রাস্তা। তবে পুকুর বলে চালিয়ে দেওয়া যায় দিব্য। জমা জলে রীতিমত সাঁতার কাটা চলে। যেখানে জল নেই সেখানে কাদাভরা। বছরের অন্য সময়টা যেমন তেমন, বর্ষাকাল রীতিমত অসহনীয় হয়ে উঠছে শিলিগুড়ির (Siliguri) ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধান নগরের এক কিলোমিটার রাজ্য সড়ক। এই সড়কের ভরসায় লেখা-পড়া থেকে কাজকর্ম চালান আশেপাশের প্রায় দশ-বারোটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এই এলাকাতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ইঁটভাটা এবং চা ফ্যাকটরি (Tea Garden)। মাল বোঝাই ভারিভারি গাড়ি দিবারাত্র যাচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে ফলে রাস্তা আরও ভাঙছে দ্রুতগতিতে।
সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে। নিত্য লেগে আছে দুর্ঘটনা। অসুস্থ মানুষদের নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স এড়িয়ে চলে গোটা রাস্তা। শ্বাস ওঠা রোগীকে নিয়ে মুরলিগঞ্জ হয়ে ঘুরে যেতে হয়। সমস্যাটা নতুন নয়। প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়া হয়েছে বহুবার। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্যাটা স্বীকার করে আশ্বাস দিয়েছেন অতি দ্রুত সমস্যার সমাধানের। এর আগেও আশ্বাস মিলেছে ঝুড়ি ঝুড়ি। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
ফি বছর বর্ষা এলেই নিয়ম করে আশ্বাস দেওয়া হয়। এবার আশ্বাসে বিশ্বাস রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ রাজ্যের আনাচে কানাচে শুধুই উন্নয়নের বিজ্ঞাপন। কীসের উন্নয়ন? উন্নয়নটা আসলে হচ্ছে কাদের? উঠে আসছে হাজার প্রশ্ন। ফাঁসিদেওয়ার এই রাজ্য সড়ক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঠিক কী বললেন তিনি? চলুন শুনে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞাপন বলছে রাজ্যের মোড়ে মোড়ে উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিজ্ঞাপন বলছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু আসল চেহারাটা পরিষ্কার হয়ে যায় এ ধরণের ঘটনায়। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পরিষেবার বিভিন্ন ইস্যুতে ইতিমধ্যেই তিতিবিরক্ত হচ্ছেন রাজ্যবাসী। এবার মিটবে কি ফাঁসিদেওয়ার এই সড়ক সমস্যা? আপাতত আশ্বাসেই বিশ্বাস রাখছেন এলাকাবাসী।
সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরলেন ৮ জন। শিলিগুড়ির (Siliguri) রেস্ট্রিকটেড এরিয়া, কমলা ফলসে (Kamala falls) পিকনিক করতে গিয়ে বিপত্তি। ঘটনাটি শিলিগুড়ি সেবকের কালিখোলার অন্তর্ভুক্ত কমলা ফলসে। আচমকা জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই আটকে পড়লেন শিলিগুড়ির মিলনপল্লী এলাকার ৮ বাসিন্দা। রাতভর সেখানেই আটকে থাকেন তাঁরা। খবর পেতেই ভোর ৪ টে নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সেবক ফাঁড়ির পুলিস (police) সকলকে উদ্ধার করে, নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
জানা যায়, এই কমলা ফলসে আমজনতার প্রবেশে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যদিও সব নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে গতকাল পাঁচ যুবক এবং তিন যুবতী পৌঁছে যান কমলা ফলসে। শুরু থেকে সবই ঠিকঠাক ছিল। তবে বেলার দিকে আচমকাই জল বাড়তে থাকায় সেখানেই আটকে পড়েন সকলে। সন্ধ্যা নাগাদ খবর যায় সেবক ফাঁড়িতে৷ খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফ এবং দমকলেও। তবে দূর্গম পথ হওয়ায় এনডিআরএফ এবং দমকলের কর্মীরা মাঝপথেই থমকে যান। পরবর্তীতে কয়েকজন স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধার কাজের জন্য রওনা হয় সেবক ফাঁড়ির পুলিস। দীর্ঘ পথ হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর নাগাদ তাঁদের সকলকে উদ্ধার করে পুলিস।
তবে এই ঘটনায় স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কীভাবে ওই যুবক-যুবতীরা সেখানে পৌঁছলেন? সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিস।
স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিন রাতে শহর শিলিগুড়িতে (Siliguri) চলল গুলি। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জমি ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ সাহা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে, গুলি কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (police)। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি (cctv) ক্যামেরার ফুটেজ। ঘটনায় উত্তেজনা শিলিগুড়ির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত নগর এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুকান্ত নগর এলাকার বাসিন্দা বিদ্যুৎ সাহা। তিনি সোমবার রাতে তাঁর বাড়ি লাগোয়া অফিস ঘরে বসেছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, দুই দুষ্কৃতী সেই সময় বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিদ্যুৎ সাহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং মুহুর্তের মধ্যেই চম্পট দেয় ঘটনাস্থল থেকে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে৷
আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ সাহাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। জমি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে এই গুলি কাণ্ডের নেপথ্যে কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। গতকাল ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ সাহার বাড়ি পৌঁছন ডিসিপি হেডকোয়াটার জয় টুডু সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জখমের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। অন্যদিকে, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিটেকটিভ ডিপার্মেন্টের কর্মীরা।
বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গ্রেফতারি (arrest) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতার দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur), বীরভূম (Birbhum) জেলার একাধিক জায়গায় শুক্রবারই বের হয় তৃণমূলের মিছিল। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর কলকাতায়ও (Kolkata) মিছিল বের করে তৃণমূলের ছাত্র-যুব শাখা। "তদন্তের নামে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ চলছে না, চলবে না"- স্লোগানে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলটি রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি (Rabindrabharati University) থেকে চিড়িয়ামোড় (chiriamore) পর্যন্ত যায়। মিছিলে পা মেলায় বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
পাশাপাশি ইডি, সিবিআই (CBI) পক্ষপাতদুষ্ট। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ পূরণে ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার শহর শিলিগুড়ির রাজপথে নামল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বরা। শিলিগুড়ি (Siliguri) কলেজের গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিলে অংশ নেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি, চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরাও। তাঁদের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দুর্নীতিগ্রস্থ সকলকে গ্রেফতার করতে হবে।
একই সঙ্গে "ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না" পাশাপাশি একাধিক প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল সমর্থিত মহিলারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের খালিনা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি ঘোষণার পর অভিনব প্রতিবাদে অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই বোলপুরে অনুব্রত-র বাড়িতে যে নোটিস দেয় তাতে তাঁকে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত সাব্যস্ত করা হয়েছে। পরে বিকেলের দিকে তাঁকে গ্রেফতার বলে ঘোষণা করা হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বুধবার মাঝরাতে বোলপুরে পৌঁছয় সিবিআই টিম। বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা এবং আটক করে আসানসোলে নিয়ে যায়।