কলকাতার উপকণ্ঠে জাল নোটের (Fake Currency) কারখানা। এসটিএফ-র (STF) সক্রিয়তায় বুধবার টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার দুই। তাঁদের জেরা করে ইকো পার্ক থানার (Eco Park) হাতিয়ারায় উদ্ধার জাল নোটের কারখানা। সেই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে জাল নোট ছাপানোর একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, হাতিয়ারা পূর্বপাড়ার সাহি মসজিদ এলাকার এক বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার টাকার জাল নোট-সহ ল্যাপটপ, কাঠের ফ্রেম, রঙ, ডাইস, ছুরি, সেলোটেপ, কাঁচি ইত্যাদি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
জাল নোট ছাপাতে যা যা দরকার, সবই মিলেছে পূর্বপাড়ার ওই বাড়িতে। এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসটিএফ। আটক করা হয় নারকেলডাঙার বাসিন্দা চাঙ্গেজ আলম এবং আসগর আলিকে। তল্লাশিতে তাঁদের থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একশো টাকার নোট ৭০০টি এবং একটি ৫০০ টাকার জাল নোট ছিল তাঁদের কাছে।
এরপরেই হেফাজতে নিয়ে ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতার উপকণ্ঠে হাতিয়ারায় এই জাল নোটের কারখানার হদিশ মিলেছে বলে খবর।
রীতিমতো পোস্ট অফিসের (Post Office) মাধ্যমে ক্যুরিয়ারে মাদক পাচার! এই ঘটনায় ট্যাংরা সাব-পোস্ট অফিসের সামনে থেকে চলতি সপ্তাহেই ধৃত দুই। মহম্মদ জুনেইদ এবং ফৈয়াজ আলম নামে এই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। তাঁদের কাছে থাকা নিষিদ্ধ মাদকও (Drug) বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করেছে একটি গাড়িও। জানা গিয়েছে, সেই হন্ডা গাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে মাদক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, সাধারণ পার্সেল যেভাবে আসে একটি কন্টেনারে সেভাবেই গোয়া থেকে ক্যুরিয়ার করা হয়েছিল সেই বিশেষ পার্সেল। কিন্তু এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্যাংরা সাব পোস্ট অফিসে উদ্ধার করে সেই পার্সেল। পাশাপাশি সেই পার্সেল নিতে আসা জুনেইদ এবং ফৈয়াজকে আটক করে তাঁরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হয়ে পরে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এদিকে, বৃহস্পতিবার তিলজলা থানার পিকনিক গার্ডেন এলাকা থেকে কৌস্তভ বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাঁর থেকেই অনেক পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে এসটিএফ।
কীভাবে রীতিমতো পার্সেল পাঠিয়ে এই মাদক পাচার, তা জানতে চায় এসটিএফ। পাশাপাশি আদৌ কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।