
বিপুল পরিমাণে গাঁজা পাচারের (Weed Recovery) অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে STF। সোমবার ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে (Purulia Police) পেশ করানো হয়েছে। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের STF ঝালদা গোলা রোডে অভিযান চালিয়ে দুটি গাড়ি আটক করে। সেই আটক গাড়ি থেকে প্রায় ৩৩৫ কেজি বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযাগে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার সম্বলপুর থেকে ঝালদা হয়ে আসানসোলে যাচ্ছিল গাঁজা ভর্তি দু'টি গাড়ি। সেই খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের STF ঝালদা গোলা রোডে নাকা চেকিং করে। এরপরেই সন্দেহজনক একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি চার চাকা আটক করে। এই প্রচুর মাত্রা গাঁজা উদ্ধারের ফলে এসটিএফ অভিযান সফল।
পুলিস জানিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে ৭৭ প্যাকেট ভর্তি প্রায় ৩৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার চার জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে, ধানবাদ পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে। সোমবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়। একইসঙ্গে এদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য এই পাচার চক্রের যোগ পেতে জেরা করতে চায় পুলিস।
সিটি অফ জয়ে 'উড়ছে' বান্ডিল বান্ডিল নোট! পরপর তিন দিন, শহর কলকাতায় উদ্ধার টাকার পাহাড় (Cash Recover)। বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাটের পর এবার বড়বাজার (Burra Bazar Incident)। কলকাতা পুলিসের STF-র অভিযানে বড়বাজারের বাবুলাল লেন থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার। কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্স উদ্ধার করে এই টাকা। শুক্রবার দুপুর বেলা এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে ধৃত দু'জনের নাম রাম অবতার গানেরিওয়াল এবং সরোবর শর্মা।
জানা গিয়েছে, বড় বাজারে টেক্সটাইল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু বছরের পুরনো সংস্থা শ্রী নিবাস টেক্সটাইল থেকে উদ্ধার টাকা। এসটিএফ-র অভিযানের সময় দু'জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন, অনুপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্ণধার। জানা গিয়েছে, গেঞ্জির ব্যবসা এই শ্রী নিবাস টেক্সটাইলের, কর্ণধারের নাম মুন্না বাবু।
শহরে টাকা উদ্ধারের ঘটনার সূত্রপাত গত বছর জুলাইয়ে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। গার্ডেনরিচে অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১০ কোটি টাকার বেশি। এই দুই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
পাশাপাশি বালিগঞ্জের এক সংস্থা থেকে এক কোটির বেশি এবং গড়িয়াহাটের এক গাড়ি থেকে এক কোটি টাকা সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার করে হাওড়া পুলিস। হাওড়া শহরের দুই জায়গা থেকে গত বছর উদ্ধার হয়েছে নগদ।
বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট, ফের দক্ষিণ কলকাতায় নগদ উদ্ধার (cash Seize)। এবার গড়িয়াহাট রোডে (Gariahat) একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার এক কোটি টাকা (One Crore Rupees)! এই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট, গুণ্ডা দমন শাখা এবং এসটিএফ-র অভিযানে এই নগদ উদ্ধার হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান। আটকদের গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত একজনের নাম দুলাল মণ্ডল, তাঁর বাড়ি বেলগাছিয়া রোডে। অপরজনের নাম মুকেশ সারস্বত তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। মুকেশের থেকে কলকাতার যমুনালাল বাজাজ স্ট্রিটের একটি ঠিকানা মিলেছে। এত টাকা কী কারণে গাড়িতে রাখা ছিল, সেই সংক্রান্ত বৈধ নথি দেখাতে ব্যর্থ এই দু'জন। তাই গড়িয়াহাট থানায় তাঁদের গ্রেফতার করে সিআরপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
বুধবার বালিগঞ্জের এক রিয়াল এস্টেট সংস্থায় অভিযান চালিয়ে এক কোটির বেশি নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। কয়লা-কাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরে অর্থ উদ্ধার। সেই নগদ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খাস কলকাতায় এক গাড়িতে কোটি টাকা উদ্ধারে চাঞ্চল্য।
আন্তঃরাজ্য (Inter State) ড্রাগ মার্কেটের (Drug Market) ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন এসটিএফ আধিকারিকরা। পাচারকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট (Yaba Tablet) (সাইকোট্রপিক পদার্থ) উদ্ধার হয়। ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই মাদক তা খতিয়ে দেখছেন এসটিএফ-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কোচিহার থেকে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন এসটিএফ-র (STF) আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয় ড্রাগ মার্কেটের ৪ ব্যক্তিকে। ধৃতদের থেকে প্রায় ১০ হাজার নিষিদ্ধ ট্যাবলেট (সাইকোট্রপিক পদার্থ)-সহ একটি ওয়াগন ও একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত চার ব্যক্তির নাম-জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান, মুকসেদুল ইসলাম, মুন্নু লামা (মহিলা)। ধৃত ওই চার ব্যক্তির মধ্যে ৩ জন অসমের বাসিন্দা। তার মধ্যে আব্দুল মান্নান অভ্যাসগতভাবে এই অবৈধ ব্যবসায় বহুদিন ধরে লিপ্ত। তবে ইতিমধ্যেই কোচবিহার কোতোয়ালি পিএস-এ একটি নির্দিষ্ট মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি কীভাবে এদের কাছে এত পরিমাণ মাদক এলো তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ-র আধিকারিকরা।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খাণ্ডোয়া থেকে ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশির সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। সূত্রের খবর, আব্দুল রাকিব কুরেশি ২০০৯ সালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর জেল খেটে ২০১৯ সালে জেল থেকে মুক্তি পান আব্দুল। তারপরেই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাদ্দামের সঙ্গে পরিচয় হয় আব্দুল রাকিবের। এই দুই সন্দেহভাজনের পরিকল্পনা ছিল বাংলা-সহ ভিন রাজ্য এবং মধ্যপ্রদেশে তাঁদের জঙ্গি সংগঠনকে (Terrorist Organisation) আরও মজবুত করা।
তাঁদের নজরে ছিল উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ডে সংগঠন মজবুত করা। জানা গিয়েছে, সাদ্দাম- আব্দুলের দায়িত্ব ছিল যুব সমাজকে আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিত করা। এবং তহবিল সংগ্রহের বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল রাকিব কুরেশি। এই মুহূর্তে সাদ্দাম এবং আব্দুল রাকিবকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করছে এসটিএফ।
সম্প্রতি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তাদের জেরা করে আব্দুল রাকিবের খোঁজ পায় এসটিএফ। তাকে খাণ্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। রিমান্ডে আনা হয়েছে কলকাতায়।
আইএস জঙ্গি (IS Terrorist) কাণ্ডে ফের কলকাতা পুলিসের এসটিএফ-এর (Kolkata Police STF) জলে আরও এক সন্দেহভাজন গ্রেফতার। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। সোমবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খান্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। ধৃতর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, একটি পেনড্রাইভ এবং অন্যান্য অপরাধমূলক প্রবন্ধ। সম্প্রতি হাওড়া থেকে ধৃত দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জেরা করেই আব্দুলের খোঁজ পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে সৈয়দ এবং সাদ্দাম নামে দুই আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। সোমবার ফের এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ।
পুলিস সূত্রে খবর, সৈয়দ এবং সাদ্দামের সঙ্গে এই আব্দুল রাকিব কুরেশির একটা প্রত্য়ক্ষ যোগাযোগ ছিল। এমনকি তদন্তে সৈয়দ এবং সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ধৃতর খোঁজে ভিনরাজ্য়ে গিয়েছিল এসটিএফ। যার ফলে মধ্যপ্রদেশ থেকে ধৃতকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
এমনকি তদন্তে পুলিস আধিকারিকরা জানতে পারেন, এই সৈয়দ এবং সাদ্দামের কাজ ছিল মডিউল তৈরি করা। তারা বেশকিছু ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করেছিল এবং যথারীতিভাবে তাতে লোকজন নিয়োগ করত। এমনকি পুলিসের সন্দেহ এড়াতে কাজের নাম করে তাদের বাইরে পাঠানো হত, যাতে তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকরা বুঝতে না পারে যে বাইরে পাঠনোর নাম করে তাদের আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার আব্দুল রাকিব কুরেশিকে কোর্টে পেশ করা হবে। এমনকি পরে এই সৈয়দ এবং সাদ্দামের সঙ্গে এই আব্দুল রাকিব কুরেশীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কী ধরনের নাশকতার ছক কষছিলেন এই তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি, সেটা জানতেই মুখোমুখি জেরা করবে এসটিএফ।
জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে হাওড়া থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। ধৃতদের একজন মহম্মদ সাদ্দাম টিকিয়াপাড়ার আফতাবুদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা। অন্যজন সৈয়দ আহমেদ শিবপুর গোলাম হোসেন লেনের বাসিন্দা। ধৃতদের একজন এম টেক-এর পড়ুয়া। দু জায়গা থেকে ল্যাপটপ মোবাইল ও বেশকিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ধৃতদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। ১৯ তারিখ পর্যন্ত দুজনকেই পুলিস হেফাতে পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জঙ্গি কার্যকলাপ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চায় এসটিএফ। পাশাপাশি দুটো মোবাইল, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত হয়েছে ধৃতদের থেকে। এঁরা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে ধৃতদের মোবাইল-ল্যাপটপে জিহাদি কনটেন্ট পাওয়া গিয়েছে, এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর। যদিও এক ধৃতের পরিবার জানায়, 'ভাইয়ের উপর থাকা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো। ও এই মুহূর্তে চাকরির জন্য মরিয়া ছিল। বি টেক পাস করে এম টেক পড়ছে ভাই। ও কোথায় আছে, কী করছে সব আমাকে বলতো।'
শহর কলকাতা যখন ইংরাজি নতুন বর্ষকে (New Year 2023) স্বাগত জানাতে গা সেঁকছে, তখন খাস কলকাতায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (Explosive Recover)। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিসের টাস্ক ফোর্সের (Kolkata Police STF) হাতে মঙ্গলবার গ্রেফতার ২। জানা গিয়েছে, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (Leather Complex) থানার সোনারপুর-বামনঘাটা হাইওয়ের ধারে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, যার পরিমাণ প্রায় ৪০ কেজি। এই বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার শেখ ফিরোজ এবং শেখ রমজান নামে দুই ব্যক্তি। ধৃতরা বীরভূমের (Birbhum) বাসিন্দা। মোটর সাইকেল চড়ে এই দুই ব্যক্তি বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ তাদের গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে ধৃতরা দুবরাজপুরের কুখ্যাত বিস্ফোরক কারবারি। তাদের থেকে কমলা রঙের বিস্ফোরক, যা সম্ভবত আর্সেনিক সালফাইড, বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে।
বাড়ি থেকে শাড়ি বিক্রির নামে বেড়িয়ে অস্ত্র ব্যবসার দায়ে গ্রেফতার তপন সাহা নামে এক ব্যক্তি। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর আগেও মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল তপন সাহা ওরফে তপু। তাঁর বাড়ি হাবরা পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনসা বাড়ি নতুনগ্রাম এলাকায়। এসটিএফ-র হাতে গ্রেফতার হয়েছে তপন, সেটা সংবাদমাধ্যমের থেকে জানতে পারে পরিবার।
রাজ্য এসটিএফ-র হাতে আবারও অস্ত্র-সহ গ্রেফতার অস্ত্র কারবারি। এসটিএফ সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে হাবড়ার মানসবাড়ির বাসিন্দা তপন সাহাকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে দুটি সেভেন এমএম পিস্তল এবং দুটি আধুনিক ওয়ান শাটার বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি বহু দিন ধরে অস্ত্র পাচারের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এই ঘটনায় দমদম জিআরপিতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
যদিও ধৃতর স্ত্রী জানান, তপন সাহা অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি জানতেন না। ফেরি করে শাড়ি বিক্রি করতেন স্বামী। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান অভিযুক্তর স্ত্রী। পাড়ার লোক এভাবে অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, এই খবর চাউর হতেই চাপা আতঙ্ক এলাকায়।
আল-কায়দা জঙ্গি (Al Qaeda) সন্দেহে রাজ্যে ফের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ (STF)। মথুরাপুরের রানাঘাটা (Mathurapur) থেকে গ্রেফতার করা হয় ধ্রুবচাঁদ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মণিরুদ্দিন খানকে (২০)। বারাসাত ধ্রুবচাঁদ কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সে। গ্রেফতারের (arrest) ঘটনায় হতবাক মনিরুদ্দিনের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে, সে আল কায়দার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আন্তর্জাতিক এই জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগের পাশাপাশি সে ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে দিত। এই কাজে সে দক্ষ হয়ে উঠেছিল। ইতিমধ্যে তার ফোন ফরেন্সিকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশ হল মণিরুদ্দিনের, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। হাওড়া স্টেশন থেকে এর আগে বেশ কয়েকজন আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। কয়েক মাস আগেই জঙ্গিগোষ্ঠীর এক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মনিরুদ্দিনের খোঁজ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। মনিরুদ্দিনের সঙ্গে তার অন্য বন্ধু-বান্ধবের কোন যোগাযোগ আছে কিনা বা তারাও কোনওরকম জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কিনা সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
শহর কলকাতায় (Kolkata) শুক্রবার সকাল থেকেই ইডির তল্লাসি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ফের শহরে অস্ত্র উদ্ধার। ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র (firearms), ১০০ রাউন্ড গুলি (bullet)-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করেছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৬ হাজার নগদ টাকাও। ধৃতকে শুক্রবারই আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম জয় চৌধুরী। শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। পাশাপাশি জানা যায়, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ৩টি সেমি অটোমেটিক পিস্তল ও একটি দেশি পিস্তল। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত সেই বিষয়ে তদন্তে শুরু করেছে এসটিএফ।
দিন কয়েক আগে শাসনের তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছিল এই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সই। সেই অস্ত্রভাণ্ডারে ছিল পিস্তল, লং রাইফেল গোলাবারুদ। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই জেলায় জেলায় এভাবে মজুত হচ্ছে অস্ত্র।
পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (ISI) ভারতীয় সেনার গোপন নথি পাচারের অভিযোগ। রাজ্য পুলিসের এসটিএফ-র (STF)) হাতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন ব্যক্তি। কালিম্পংয়ের (Kalimpong) মুরগীহট্ট থেকে পীর মহম্মদ ওরফে সমীর দা-কে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। তাঁর মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনার গোপন নথি পাক গুপ্তচরদের পাচার করতো পীর মহম্মদ। ২০২০ সালে নেপালে গিয়েছিল সে। তখন আইএসআইয়ের একজন তাঁকে টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনার গোপন নথি পাচারের প্রস্তাব দেয়।
ধৃতের মোবাইল ঘেঁটে জানা গিয়েছে, হোয়াটস অ্যাপ কলের মাধ্যমে অভিযুক্ত পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। এমনকি, কালিম্পং এবং উত্তরবঙ্গের সেনাঘাঁটি, সেনা সক্রিয়তা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সে পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ধৃতের ইলেকট্রনিক সামগ্রির দোকান আছে। বিশেষ সূত্র মারফৎ খাওবর পেয়েই পুজোর দিন সাতেক আগে এই গ্রেফতারি। তার গতিবিধি নজরে রেখে এবং সায়েন্টিফিক সূত্র জুড়ে পীর মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনটাই রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর।
তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে,গোপন নথি পাচারের বিনিময়ে ২ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও টাকাই সে পায়নি। এমনটাই গোয়েন্দাদের জানিয়েছে অভিযুক্ত।
বড়সড় সাফল্য পেল পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের এসটিএফ (STF)। জঙ্গি যোগের অভিযোগে মুম্বইয়ের নির্মল নগর থেকে গ্রেফতার ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) দুই বাসিন্দা। ধৃতরা, সাদ্দাম হোসেন খান এবং সমীর হোসেন। পুলিস সূত্রে খবর, দু'জনকেই বানিজ্য নগর থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিসের এসটিএফ এবং মুম্বই পুলিস। এই দু'জনের সঙ্গে জিহাদি জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। ঘটনায় মুম্বই পুলিসের সহযোগিতায় রাজ্য পুলিসের এসটিএফ গ্রেফতার করেছে তাদের।
আজ সকালে ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার চাঁদনগর-দেউলপোতার বছর ৩০-এর সামির হোসেন শেখকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে ধৃত বছর ৩৪ এর সাদ্দাম হোসেন খান আব্দুলপুরের বাসিন্দা। নিষিদ্ধ জেহাদি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং অত্যন্ত উগ্রবাদী গোপন কার্যকলাপের অভিযোগে ধৃতদের বিরুদ্ধে। উভয়কেই তদন্তের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জাল নোট উদ্ধারে একনম্বর রাজ্য বাংলা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) সাম্প্রতিক তথ্যে এই দাবি করা হয়েছে। গত বছর প্রায় জাল নোট উদ্ধারের ৮২টি ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, কলকাতার উপকণ্ঠে সম্প্রতি জাল নোটের (Fake Currency) কারখানা হদিশ পেয়েছে এসটিএফ। এসটিএফ-র (STF) সক্রিয়তায় বুধবার টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার হয়েছিল দুই। তাঁদের জেরা করে ইকো পার্ক থানার (Eco Park) হাতিয়ারায় উদ্ধার হয় জাল নোটের কারখানা। সেই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে জাল নোট ছাপানোর একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, হাতিয়ারা পূর্বপাড়ার সাহি মসজিদ এলাকার এক বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার টাকার জাল নোট-সহ ল্যাপটপ, কাঠের ফ্রেম, রঙ, ডাইস, ছুরি, সেলোটেপ, কাঁচি ইত্যাদি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
জাল নোট ছাপাতে যা যা দরকার, সবই মিলেছে পূর্বপাড়ার ওই বাড়িতে। এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর ছিল। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসটিএফ। আটক করা হয় নারকেলডাঙার বাসিন্দা চাঙ্গেজ আলম এবং আসগর আলিকে। তল্লাশিতে তাঁদের থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একশো টাকার নোট ৭০০টি এবং একটি ৫০০ টাকার জাল নোট ছিল তাঁদের কাছে।
এরপরেই হেফাজতে নিয়ে ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতার উপকণ্ঠে হাতিয়ারায় এই জাল নোটের কারখানার হদিশ মিলেছে বলে খবর। এই গ্রেফতারির এক সপ্তাহের মাথায় প্রকাশিত এনসিআরবি রিপোর্টে আরও চাঞ্চল্য।
কলকাতার উপকণ্ঠে জাল নোটের (Fake Currency) কারখানা। এসটিএফ-র (STF) সক্রিয়তায় বুধবার টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার দুই। তাঁদের জেরা করে ইকো পার্ক থানার (Eco Park) হাতিয়ারায় উদ্ধার জাল নোটের কারখানা। সেই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে জাল নোট ছাপানোর একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, হাতিয়ারা পূর্বপাড়ার সাহি মসজিদ এলাকার এক বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার টাকার জাল নোট-সহ ল্যাপটপ, কাঠের ফ্রেম, রঙ, ডাইস, ছুরি, সেলোটেপ, কাঁচি ইত্যাদি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
জাল নোট ছাপাতে যা যা দরকার, সবই মিলেছে পূর্বপাড়ার ওই বাড়িতে। এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসটিএফ। আটক করা হয় নারকেলডাঙার বাসিন্দা চাঙ্গেজ আলম এবং আসগর আলিকে। তল্লাশিতে তাঁদের থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একশো টাকার নোট ৭০০টি এবং একটি ৫০০ টাকার জাল নোট ছিল তাঁদের কাছে।
এরপরেই হেফাজতে নিয়ে ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতার উপকণ্ঠে হাতিয়ারায় এই জাল নোটের কারখানার হদিশ মিলেছে বলে খবর।