চলতি পথে এক ব্যাঙ্ক (Bank) কর্মীকে আটকে মারধর করে টাকা ছিনতাই (Robbery)-এর অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দেওয়ানহাট টোপামারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম দিবাকর সরকার। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা সহ তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল সমস্তটাই ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিস। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্মী দিবাকর সরকার দেওয়ানহাট স্টেট ব্যাঙ্ক শাখায় কর্মরত। ২০১৮ সাল থেকে তিনি প্রতিদিনই ব্যাঙ্কে যাওয়া আসা করেন। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন সকালেও বলরামপুর তাঁর বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কের উদ্দেশ্যে তিনি বের হন। সেই সময় টোপা মারি আমতলা এলাকায় একটি সাদা রঙের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তারপর একজন তাঁকে বাঁশ দিয়ে মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয়। এরপর তাঁর কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন সহ ব্যাগে থাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা এবং ল্যাপটপ সমস্তটা ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বুকে আঘাত করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা ও বাড়ির লোক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে। ইতিমধ্যেই পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিবার।
ভর সন্ধ্যায় এক মহিলার (Woman) গলার চেন ছিনতাই (Snatch)। অভিযোগ, চেন ছিনতাই করার সময় ছিনতাই কারীরা মহিলার শাড়ি ছিঁড়ে দেয় ও রাস্তায় ফেলে দেয়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল (Asansol) দক্ষিণ থানার অন্তর্গত আরা ডাঙ্গা এলাকায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ওই মহিলার নাম জোৎস্না ঘোষ।
গৃহবধূ জোৎস্না ঘোষ জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সন্ধ্যা বেলায় জোৎস্না এবং তাঁর স্বামী সান্ধ্যকালীন ভ্রমণ করে আসছিলেন। চলতি পথে স্বামীর থেকে একটু পিছিয়ে পরে স্ত্রী। সেই সুযোগে মোটর বাইকে থাকা তিনজন অভিযুক্ত মহিলার গলার চেন ছিনতাই করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। জোৎস্না দেবী আরও বলেন, ছিনতাইকারীর হাত তিনি ধরে ফেলেছিলেন। কিন্তু গায়ের জোরে ওরা তাঁর শাড়ি ছিঁড়ে দেয় এবং প্রায় টানতে টানতে কিছুটা দূরে নিয়ে গেলে ওই মহিলা রাস্তাতেই পরে যান। সেই সময় ছিনতাই কারীরা পালিয়ে যায়।
ব্যস্ততম এলাকায় আসে পাশে থাকা যুবক রা ছিনতাই কারীদের পিছু করলেও ধরা সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষ দর্শী এক যুবক জানান, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা তিনজন ছিল একটি মোটর বাইকে। একজনের হেলমেট ছিল আর বাকিরা মাস্ক পড়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিস।
ডিজির দেহরক্ষী ডাকাত! ঠিক এমন ঘটনা ঘটল খোদ এরাজ্যে। নিজেকে পুলিস পরিচয় দিয়ে খাস কলকাতা শহরে ডাকাতির (Robbery case) অভিযোগ উঠল! সূত্রের খবর, প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গিয়েছে অপরাধীরা। অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই তদন্তের কিনারা করল পুলিস। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানতে পেরে পুলিসের চোখ কপালে উঠেছে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন রাজ্য পুলিসের ডিজি (DG) মনোজ মালব্যর দেহরক্ষী (Manoj Malviya)।
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মহম্মদ শাহজাহান। বয়স ৩৩ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ডিজির দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন। শনিবার সকালে আলিপুর গোপালনগর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিসের ডাকাতি দমন শাখা। অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তিও রাজ্য পুলিসের এক কনস্টেবল। নাম প্রবীণ প্রসাদ। এরও বয়স ৩৩ বছর। শনিবার দু’জনকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে বিচারক ৪মে পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলে এক ব্যবসায়ীর গাড়ি আটকে নিজেদের পুলিস পরিচয় দেয় দুই অভিযুক্ত। এরপর সঙ্গে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। তাতে ১৭ লক্ষ টাকা ছিল। ঘটনার পরই ওই ব্যবসায়ী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই লুট, অপহরণ, ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে কলকাতা পুলিস।
তদন্তে নেমে প্রথমে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেখান থেকেই দুই অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর প্রথমেই বেলুড় থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রবীণ প্রসাদ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে। তাকে জেরা করতেই উঠে আসে ডিজি মনোজ মালব্যর দেহরক্ষী মহম্মদ শাহজাহানের নাম। অবশেষে শনিবার সকালে আলিপুর থেকে অভিযুক্তকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা। ডাকাতির ঘটনায় এভাবে রাজ্য পুলিশের ডিজির দেহরক্ষী গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ডিজি মনোজ মালব্য।
বেসরকারি ব্যাঙ্কের (Bank) লকার ভেঙে ডাকাতি। লক্ষাধিক টাকা ও সোনা-গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে (Robbery) যুক্ত দুষ্কৃতীর সংখ্যা ছিল ৫। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর বিহারের (Bihar) পূর্ব চম্পারণ জেলার সদরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বিহারের মোতিহারি এলাকায় এই ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, নগদ ৪০ লক্ষ টাকা গায়েব হয়েছে। এমনকি তার পাশাপাশি কয়েকটি লকার ভেঙেও গ্রাহকদের রাখা অলঙ্কার এবং মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে। খোয়া যাওয়া গয়না এবং লোপাট হওয়া অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য প্রায় কোটি টাকার বেশি আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্ব চম্পারণ জেলার পুলিস সুপার কান্তেশকুমার মিশ্র বলেন, চাকিয়া এলাকার ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে ডাকাতির সঙ্গে শহরের একটি বড় অলঙ্কারের দোকানে ডাকাতির মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে এই দু’টি ঘটনার পিছনে অন্য় কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শ্লীলতাহানি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৬ জন (Robbery)। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বারুইপুর জেলা (Baruipur Police)পুলিসের ডিএসপি (DSP) মোহিত মোল্লার নেতৃত্বাধীন বিশেষ দল। ধৃতদের থেকে ৪টি মোবাইল-সহ ৫টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়েছে। এমনকি মোবাইল-বাইক ছাড়াও ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির নানা সরঞ্জাম। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, স্কুল-কলেজের ছাত্রী ও অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করে তাদের উত্যক্ত করত এই ছিনতাইবাজের দল। আগে থেকে ওই মেয়েগুলিকে অনুসরণ করত অভিযুক্তরা। এমনকি বাইকে চেপে আচমকা তাদের পাশে এসে শিস দিয়ে অন্যমনস্ক করে দিত ধৃতরা৷
মূলত কেউ একা থাকলে তবেই ধৃতরা তাকে টার্গেট করত। সেই অন্যমনষ্কতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন বা ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। গড়িয়া, মহামায়াতলা, রাজপুর, সোনারপুর, বারুইপুর এলাকাজুড়ে অভিযুক্তরা এই কাজ চালাত। বারুইপুর জেলা পুলিসের ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, 'এলাকার বেশ কিছু চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে এই গ্যাংকে দেখতে পায় পুলিস। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভোররাতে পোলঘাট অঞ্চলের একটি কারখানার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়৷'
জানা গিয়েছে, মোট ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের থেকে ৪টি মোবাইল ও ৫টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়েছে। এমনকি তাদের থেকে মোবাইল ও বাইক ছাড়াও ডাকাতির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে। মূলত চোরাই বাইক নিয়েই অভিযুক্তরা বিভিন্ন অপারেশন করত বলে অনুমান পুলিসের৷
অ্যাপ বাইকের যাত্রী সেজে ছিনতাইয়ের ঘটনা, পুলিসি তৎপরতায় গ্রেফতার দমদমের যুবক। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর রাতে দমদম থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর খবর পান স্থানীয় এক কারখানার সামনে এক যুবক আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং ওই যুবককে উদ্ধার করে আরজি কর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। জানা গিয়েছে, আহত ওই যুবকের নাম সৌমেন ঘোষ, বয়স ২৩ বছর। তিনি পেশায় একজন অ্যাপ বাইক চালক।
পুলিসকে সৌমেন জানান, 'শুক্রবার মধ্যরাতে এক প্লাস্টিক কারখানার সামনে থেকে এক যাত্রীকে তোলেন তিনি এবং পূর্ব কমলাপুরের এক কারখানার সামনে নামান তাঁকে। টাকা নেওয়ার সময় হঠাৎই ওই যাত্রী তাঁকে ধাক্কা মারলে তিনি বাইক থেকে পড়ে যান। এরপর তাঁর বাইক ও মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যাত্রী।'
এরপরেই নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিস। পুলিস, ওই অ্যাপ নির্ভর সংস্থার মাধ্যমে বাইক বুক করা অভিযুক্তর আসল ফোন নম্বর-নাম সংগ্রহ করে। সেই সূত্র ধরে টাওয়ার লোকেশনের মাধ্যমে শেষমেষ দমদম সাপুইপাড়া থেকে অভিযুক্ত তুষার চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার থেকে উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই করা বাইক। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিস গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম। শনিবার অভিযুক্তকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে।
দুঃসাহসিক কাণ্ড! ধর্ষণ (rape) করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি শুধু নয় গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি (robbery)। ঘটনাস্থল শহর কলকাতার উপকণ্ঠ পূজালী (Pujali) পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড। রাতদুপুরে হওয়া এই ভয়াবহ ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য এলাকায়। আতঙ্কিত (panic) এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে, এই এলাকার পালপাড়ার বাসিন্দা সুকুমার পালের বাড়িতে সোমবার মধ্যরাতে চারজন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঢোকে। বাড়িতে ঢুকেই সুকুমার বাবুকে পিছন দিক থেকে ধরে, তখনই তাঁর স্ত্রী চোর বলে চিৎকার করতে থাকে। এরপর তাঁকে মুখ টিপে ধরা হয়। হুমকি দেওয়া হয় চিৎকার করলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে। এরপরই তাঁদের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে সুকুমার পালের স্ত্রীর পরণে থাকা সমস্ত সোনার এবং রুপার গহনা নিয়ে নেয়। বাড়িতে থাকা নগদ বেশ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
সুকুমার বাবুর স্ত্রীর আরও অভিযোগ, গোটা ঘটনা পুলিসকে এবং প্রতিবেশীদের কাউকে জানালে তাঁকে ধর্ষণ করে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দেয় দুষ্কৃতীরা। সুকুমারবাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখের একাংশে আঘাত করে তারা। ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। পূজালী থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
দুঃসাহসিক কাণ্ড! চলন্ত লরিতে ডাকাতির (robbery) চেষ্টা। বাধা দিতে গেলে বেধড়ক মারধর লরিচালককে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। স্থানীয়রা খবর পেতেই পাকড়াও করা হয় দুষ্কৃতীকে। এরপরই শুরু হয় দুষ্কৃতীকে ধরে গণপ্রহার। ঘটনাস্থলে খড়দহ থানার বিশাল পুলিসবাহিনী (police)।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে সোদপুর (Sodepur) পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে লরিটি বেলঘড়িয়ার (Belgharia) দিকে যাচ্ছিল বিটি রোড ধরে। লরির মধ্যে অনেক মূল্যবান জিনিস ছিল। সেই সময় দুজন দুষ্কৃতী লরির উপরে ওঠে ডাকাতির উদ্দেশ্যে। লরি চালক বুঝতে পেরে সোদপুর ধানকল মোড়ে লরি থামিয়ে বাধা দিতে যান। এরপরই এক দুষ্কৃতী লরিচালককে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। লরি চালকের চিৎকার শুনে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা সেই দুষ্কৃতীকে ধরতে গেলে একজন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। অপর দুষ্কৃতী স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর চড়াও হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় সোদপুর বিটি রোড সংলগ্ন ধানকল মোড়ে। দুজন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যায়। তাকে ব্যাপক গণপ্রহার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে আটক করে খড়দহ থানায় নিয়ে যায় পুলিস। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
কিন্তু বিটি রোডের মতো জায়গায় চলন্ত লরিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যৎ-এ আর না ঘটে সেই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ব্যবসায়ীর ৪ বছরের ছেলের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় চাঞ্চল্য। জগৎবল্লভপুরের (Jagatvallabhpur) বড়গাছিয়া সকাল বাজারের ঘটনা। তদন্তে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস (Jagatvallabhpur police station)।
অভিযোগ, শুক্রবার ভোররাতে একদল দুষ্কৃতী সুজিত কাঁড়ার নামে এক ব্যবসায়ীর (Businessman) বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢোকে। দুষ্কৃতীরা প্রথমেই ব্যবসায়ীর ছেলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। চিৎকার করলেই ছেলেকে মেরে ফেলবেন বলে ভয় দেখায়। এরপর টাকা, গয়না লুঠ করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী বলেন, দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে তাঁর। এমনকি ডাকাতি করে পালাবার সময় দড়ি দিয়ে পরিবারের লোকদের হাত-পা বেঁধে দেয়। পুলিসকে খবর না দেওয়ার জন্য শাসানিও দিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, জগৎবল্লভপুর এলাকায় সাম্প্রতিক কালে একের পর এক এইরকম মারধর করে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত সেখানকার মানুষ।
ভরসন্ধ্যায় বৃদ্ধার মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাকদহ (Chakdaha) পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এই এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা মিতা ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। ঘটনার সময় তিনি খাটে বসে মোবাইল দেখছিলেন। ছেলে শুভঙ্কর ঘোষ স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে পুজোর বাজার করতে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শুভঙ্করের ডাকনাম বাবাই-বাবাই বলে কেউ দরজায় ডাকতে থাকেন। ওই বৃদ্ধা দরজা খুলতেই মুখ চেপে ধরে এক যুবক। অন্যজন কপালে রিভলভার ঠেকিয়ে আলমারির চাবি চায়। প্রাণভয়ে মিতাদেবী তাদের হাতে চাবি তুলে দিতে বাধ্য হন।
আলমারি থেকে ওই দুই দুষ্কৃতী কমবেশি ৫-৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে ঘরের আলো নিভিয়ে চম্পট দেয়। যাওয়ার সময় মিতাদেবীকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন বলেও তিনি জানান। তারা চলে গেছে বুঝতে পেরে মিতাদেবী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় চাকদহ থানায়। ঘটনাস্থলে চাকদহ থানার পুলিস আসে এবং তদন্ত শুরু করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ছেলে শুভঙ্কর, মেয়ে শ্রীপর্ণা সাহা ও স্থানীয় কাউন্সিলর তিথি দেবনাথ-সহ অন্যান্য বহু মানুষ। স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি দাবি করেন, পুলিসি টহলদারি জোরদার করার।
পুজোর আগে বরাহনগরের (Baranagar) সোনাপট্টিতে বড়সড় ডাকাতির (Robbery) ছক বানচাল করল পুলিস। আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার (Arrest) পাঁচ দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, বরাহনগর এ কে মুখার্জি রোডের বাসিন্দা কুখ্যাত দুস্কৃতী শুভম ভট্টাচার্য ওরফে কদম ও তার চার সহযোগী মিলে ডাকাতির ছক কষেছিল।
পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোররাতে ওই দুষ্কৃতীর দল যখন বাইকে চেপে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বরাহনগর সোনাপট্টিতে জড়ো হয়েছিল, সেখান থেকে তাদের আটক করে। এরপরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, ১৪ রাউন্ড কার্তুজ, একটি চপার উদ্ধার করে তা বাজেয়াপ্ত করে। সঙ্গে যে বাইকে করে পাঁচ জনের মধ্যে দুই জন এসেছিল সেই বাইকটিও (Bike) আটক করা হয়।
এরপরেই কদম সহ পাঁচ দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম অভিজিৎ সরকার, সুদীপ্ত সাউ, রবিশঙ্কর দত্ত চৌধুরী, শুভঙ্কর মালাকার। ধৃত পাঁচ জনকে আজ, শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে। পুলিস সূত্রে খবর, আরও আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধারের জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে।
দিনের বেলায় ডানকুনিতে (Dankuni) সোনার দোকানে (Jewellery Shop) ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার একটি সোনার দোকানে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গয়না সহ নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) দেখে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের মধ্যে দু’জন ক্রেতা সেজে আগেই দোকানে উপস্থিত ছিল। পরে আরও কয়েকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকতেই তারাও ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে। এরপর দোকানের নিরাপত্তারক্ষী সহ সকলকে একটা ঘরে আটকে রেখে সব লুঠপাট করে পালিয়ে যায়।
পাঁচজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পৌনে তিনটে নাগাদ সেনকো গোল্ডের দোকানে ঢুকে পড়ে। সেসময় দোকানে ক্রেতারাও ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভিতরে নিয়ে যায়। দোকানের কর্মচারী ও ক্রেতাদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয়। ব্যাগে ভরে গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
খবর দেওয়া হয় ডানকুনি থানায় (Dankuni Police Station)। পুলিস ঘটনাস্থলে হাজির হয়। সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে। উল্লেখ্য, দুষ্কৃতীদের ধরতে নাকা চেকিং শুরু হয়েছিল চন্ডীতলা উত্তরপাড়া সহ দূর্গাপুর রোড দিল্লী রোড ও জিটি রোডে।
নিখুঁত পরিকল্পনা। ব্যবসায়ী (Businessman) ও তাঁর পরিবারের অনুপস্থিতিতে বাড়ির আলমারির তালা ভেঙে লকার থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকার সোনার গহনা (gold jewelry) এবং নগদ ৩৫ হাজার টাকা চুরির (Steal) অভিযোগ উঠেছে। এরপরই নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur Police Station)অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাটি ঘটে নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত নতুন দিয়ারা এলাকায়।
অভিযোগ, গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসা দেখভালের জন্য কলকাতায় চলে আসেন আরতি রায় ও তাঁর স্বামী সুরজিৎ রায় তাঁদের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে। সেখানে তাঁদের একটি দোকান রয়েছে। সোমবার রাত দশটা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখেন সদর দরজার তালা ভাঙ্গা। তখন তড়িঘড়ি ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আলমারির লকারে রাখা সোনার গহনা ও টাকা সব উধাও।
উল্লেখ্য, আলামারির পাশেই পড়ে ছিল ছেনি, দা। সেগুলো দিয়েই আলমারি ভাঙা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা ছিল চুরি হয়ে যাওয়া কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গহনা এবং নগদ ৩৫ হাজার টাকা। এরপর তাঁরা নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
ডাকাতি (Robbery) করতে আসা দুষ্কৃতীদের (robber) সঙ্গে পুলিসের (police) সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিসের গুলিতে মৃত (dead) ১ ডাকাত। গ্রেফতার (injured) করা হয় আরও একজনকে। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের (Asansol) ধানবাদের মট কুড়িয়া রোডে এক বেসরকারি গোল্ড লোনের অফিসে এমনই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাকাতি করতে এসে পুলিসের এনকাউন্টারেই মৃত্যু হয় এক ডাকাতের। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ধারাবাহিকভাবে চলছিল। আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসীরা। মঙ্গলবার সকালে সেইরকমই এক ডাকাত দল একটি বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি করতে আসে। ঠিক সেই সময় প্ৰস্তুত ছিল ব্যাঙ্ক মোড় থানা ওসি পি কে সিং। স্থানীয় মারফৎ খবর পেয়ে বাহিনী পায়ে হেঁটে এসেই ঘটনাস্থল ঘিরে ধরে। পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলে, শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই মৃত এক ডাকাত।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর।