শহর পুরুলিয়ার (Purulia) সোনার দোকানের (Gold Shop) ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় ১০ দিনের মধ্যে কিনারা করল পুলিস। গত ২৯ অগাস্ট ডাকাতির ঘটনার দিনই বেশ কিছু সূত্র পেয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিস। সেই সূত্র থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল এই ঘটনায় বিহার-ঝাড়খণ্ড যোগ। ঘটনার দিন থেকেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নাকা তল্লাশি-সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিসের টিম। একের পর এক ইনপুট সংগ্রহ করে চলছিল তদন্ত। শুক্রবার মধ্যরাতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের সুদামডি থেকে এই ঘটনার অন্যতম কিংপিন করণজিৎ সিং সিধুকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার চাষনালার কাছে পাথরডি থানা এলাকায়। শনিবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়।
এই ঘটনায় সহযোগী হিসাবে কাজ করা বিকাশ কুমারকে গত ৫ অগাস্ট দিল্লির নয়ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার বাড়ি দিল্লিতেই। সে এখন পুলিস হেফাজতে রয়েছে। ধৃত করণজিৎ ও বিকাশ কুমারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধৃত করণজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে ওই ডাকাতির ঘটনায় মোট সাতজন ছিল। তার মধ্যে সে একজন। বাকি নামগুলো আমরা পেয়ে গিয়েছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জেলা পুলিসের টিম বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে।” রানাঘাটের ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি এই ঘটনার যোগ না থাকলেও দু’টি ঘটনার মাস্টারমাইন্ড একজনই। সংশোধনাগারে বসেই এই অপরাধের ছক কষা হয়েছিল।
গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়ার নামোপাড়ার একটি নামকরা সোনার বিপণিতে ৮ কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। মোটরবাইকে আসা সাত দুষ্কৃতী প্রায় আধঘণ্টার মধ্যে অপারেশন সেরে পুরুলিয়ার সীমানা পার হয়ে ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছিল। বিহার-ঝাড়খণ্ডের এই দুষ্কৃতীদের নিখুঁত অপারেশনে ওই বিপণির সিসিটিভির ডিভিআর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ফলে এই ঘটনার কিনারা করা খুব একটা সহজ ছিল না। যদিও শহর পুরুলিয়ার বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিস। ঘটনার পরের দিনই ৩০ অগাস্টের তদন্তে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করে। এই ঘটনার তদন্তে এসেছিলেন রাজ্য পুলিসের আইজি (বাঁকুড়া রেঞ্জ) ভরতলাল মিনাও।
ফরেনসিক টিম ওই বিপণিতে এসে নমুনা সংগ্রহ করে। ওই একই দিনে রানাঘাটেও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ফলে সেদিনই পুরুলিয়া জেলা পুলিসের একটি দল রানাঘাটে টিম পাঠায়। ওই ঘটনার সঙ্গে পুরুলিয়ার ডাকাতির সরাসরি কোনও যোগ না থাকায় সেই দল আবার ফিরে আসে। একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন টিমের ইনপুট থেকে পরে পুরুলিয়া জেলা পুলিস জানতে পারে রানাঘাট ও পুরুলিয়া দুটি ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড একজনই। তার নামও পেয়ে গিয়েছে পুলিস। তদন্তের স্বার্থে গোপনীয়তা অবলম্বন করে এই ঘটনার একেবারে উৎসস্থলে পৌঁছতে চাইছে পুরুলিয়া জেলা পুলিস।
যে দুষ্কৃতী দলটি পুরুলিয়াতে অপারেশন চালায় তারা অতীতে আসানসোলে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে ফেরার সময় ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারিতে একজনকে গুলি করে খুন করে। এছাড়া ধানবাদেও এই দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে একটি গুলির লড়াই হয়। এই দলের সদস্যরা ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত গত চার-পাঁচ মাস আগে দমদমেও সোনার দোকানে ডাকাতি করে বলে অভিযোগ। এই দুষ্কৃতী দলটি একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনা করে সবসময় অপারেশন সারে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা এক একটি অপারেশনের বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকে। কেউ অপারেশন করার জন্য যানবাহন বা মোটরবাইকের খোঁজ করে। কেউ দেখে আইটি সেক্টর। এরা এমনভাবে অপরাধ সম্পন্ন করে যেকোনও প্রমাণই তারা ফেলে যায় না। পুরুলিয়ার এই সোনার দোকানে অপারেশন করার জন্য তারা শহর থেকে ৫০ কিমি দূরে ঝাড়খণ্ডের একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেই আশ্রয়স্থল থেকেই ২০-২৯ আগস্ট পর্যন্ত তারা রেইকি করে। তারপরই হয় অপারেশন।
দীর্ঘদিন ধরেই বারুইপুর কামালগাজি বাইপাস এলাকায় গাড়ি থামিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠছিল। সামনে এসেছিল একাধিক দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনাও। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও চলছিল। এবার ওই ঘটনার তদন্তে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বারুইপুর থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সৌরভ সামন্ত ওরফে রানা। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছিনতাই সংক্রান্ত ঘটনাগুলিতে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে বলে পুলিস আধিকারিকদের দাবি। সোমবার রাতে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস, মঙ্গলবার অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে বলে পুলিসের।
পুলিস সূত্রের খবর, অভিযুক্ত রানার থেকে তল্লাশি চালিয়ে, একটি ৭ এমএম পিস্তল, ২ রাউন্ড লাইভ কার্তুজ ও নগদ ১২ হাজার টাকা এবং একটি নাম্বারপ্লেট বিহীন প্রাইভেট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে বারুইপুর থানার পুলিস। এরপরই পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ওই অভিযুক্তকে জেরা করা শুরু করে তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিস জানিয়েছে, ওই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিস, ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্তর বয়ানের ভিত্তিতে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সুত্রে আরও জানা গিয়েছে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিস সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে নাম্বার প্লেট বিহীন একটি গাড়িকে আটকায়। গাড়ির মধ্যে ছিল সৌরভ সামন্ত। তার বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকার গোবিন্দপুর এলাকায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ টাকা, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ধৃতের নামে সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় একাধিক চুরি ছিনতাইয়ের মামলা আছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।
অ্যালার্ম বেজে ওঠায় বড়সড় ব্যাঙ্ক ডাকাতি আটকানো সম্ভব হল পুরুলিয়ায়। যদিও পুলিস পৌঁছনোর আগেই চম্পট দেয় ডাকাত দলটি। তাদের খোঁজে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালানো হয়। এর ঠিক কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ার একটি সোনার দোকানে বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে বারবার ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে হুড়া এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কয়েকজন ডাকাতের একটি দল হুড়া বাজার এলাকার একটি ব্যাঙ্কে হানা দেয়। কিন্তু তারপরেই অ্য়ালার্ম বেজে ওঠায় জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই চম্পট দেয় ডাকাত দলটি।
গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের তরফে তল্লাশি চালানো হয়। তবে ডাকাত দলটি সঙ্গে করে দুটি ব্যাগ এনেছিল। ব্যাঙ্কের ভিতরেই সেগুলি ফেলে রেখে পালায় তারা। ডাকাত দলটি কোথা থেকে এসেছিল তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা।
পুলিসের সক্রিয়তায় বানচাল হল ডাকাতির ছক। দুটি পাইপ গান, দুই রাউন্ড গুলি ও ডাকাতির একাধিক সরঞ্জাম সহ গ্রেফতার পাঁচ অভিযুক্ত। শুক্রবার অশোকনগর হরিপুর মাঠ এলাকা থেকে ওই পাঁচজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম গৌতম বল্লভ, তনময় লোধ, সবুজ নন্দী, শুভ ঘোষ, শুভঙ্কর রজাক। অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর থানা এলাকায়। শনিবার ধৃতদের সাত দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে বারাসত আদালতে পেশ করে অশোকনগর থানা।
পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে ওই পাঁচজন অভিযুক্ত ডাকাতির উদ্দেশ্যে হরিপুর মাঠ এলাকায় জড়ো হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে অশোকনগর থানার পুলিস। দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা করা ছক একেবারে ভেস্তে দেয় পুলিস। একাধিক অসামাজিক কাজের সঙ্গে ওই পাঁচ দুষ্কৃতী যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিস।
পুলিসি জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল তারা প্রত্যেকে। তবে এই ডাকাতি দলের কোনও মূল মাথা রয়েছে কিনা বা আর কারা কারা এই ডাকাতি দলের সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিসের তরফে।
রাণাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৫। তাঁদের মধ্যে ধৃত কুন্দন সিংই বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁ-কে খুন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এমনই জানাল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। গত ১ এপ্রিল শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন রাজু ঝাঁ। একটি গাড়ি থেকে তিনজন নেমে এসে রাজুর গাড়ি ঘিরে ধরে গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজু ঝাঁর। এবার সেই কুন্দনকেই ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার করে রানাঘাট পুলিস।
পুলিস ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে, সুপারি কিলার-দের সিন্ডিকেট চালাতেন কুন্দন। পুলিসের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই সিন্ডিকেটের জাল ছড়িয়ে। বর্তমানে সেই মডিউল কোথায় সক্রিয়, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। রানাঘাটের পুলিস জেলা সুপার কে কান্নন জানান, ধৃতদের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডাকাতি ছাড়াও আরও কিছু সূত্র মারফত তথ্য এসেছে। তদন্তের স্বার্থে সব প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না পুলিস।
মধ্যপ্রদেশের একটি ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিল কুন্দন। রাণাঘাটে ইতিমধ্যেই এসেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিসের একটি দল। ২০২১ সালে আসানসোলের খুনের সুপারিও নিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিসের।
এএসআই রতন রায়, রানাঘাট থানা: হ্যাঁ আমার ওজন বেশি। ১০৪ কেজি। কিন্তু আমার মনে পুলিস প্রশাসনের জন্য অগাধ সম্মান। এর জন্য আমি অনেক কিছু করতে পারি। কখনও ভাবি নি পুলিসের মুখ উজ্জ্বল করার সুযোগ পাবো।
মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ ফোন এলো, থানায় তখন ডিউটি অফিসার আমি। ফোনে বলল, 'স্যার সেনকো গোল্ডে ডাকাত পড়েছে, বাঁচান।' সঙ্গে সঙ্গে আরটি গাড়ি কোথায় খোঁজ নিলাম। দেখলাম ঘটনাস্থল থেকে আরটি গাড়ি বেশ খানিকটা দূরে। আমি তখন নিজেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ওদিকে টেবিল ছাড়লেও বিপদ আর ঘটনাস্থলে না গেলেও বিপদ। তৎক্ষণাৎ একটি গাড়ি নিয়ে সঙ্গে ৩ জন কনস্টেবল নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
পুলিস এসেছে টের পেয়ে দুষ্কৃতীরা পালানোর তোড়জোড় শুরু করে। আমি আগেই বুঝেছিলাম বুদ্ধি খাটিয়ে যেতে হবে। তাই পুলিসের পোশাক বদলে ফেলেছিলাম। ওদের বেরোতে দেখে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করি। কিন্তু মাত্র ৪ জন পুলিস নিয়ে তা সম্ভব ছিল না। আমাদের দেখেই ওরা গুলি চালাতে শুরু করে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখে আমার বাকি কনস্টেবলরা রীতিমত ভয় পেয়ে যায়। তখন আমি নিজেই দুষ্কৃতীদের তাড়া করি। তখন মাথায় ছিল না কি হবে, প্রাণ ভয়ও ছিল না। ভেবেছিলাম যা হবে দেখা যাবে। চিন্তা ছিল ওদের ধাওয়া করার সময় গুলি শেষ না হয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের পাল্টা গুলির মুখে প্রায় ৩০০ মিটার ধাওয়া করেছি ওদের। হাঁফিয়েও গিয়েছিলাম। তখন কেবল পুলিসের মান সম্মানের কথা ভেবেছি। তবে রিভলভার জং ধরা নয়। রিভলভার জং ধরা হলে গুলি চালাতে পারতাম না।
আসলে ছোটবেলা ভীষন লড়াইয়ের মধ্যেই কেটেছে। পুলিসে চাকরি করব স্বপ্ন ছিল। ১৯৯৬ সালে চাকরি পাই। ধীরে ধীরে শরীরেও স্থূলতা চলে আসে। এর জন্য অনেক টিটকিরি শুনতে হয়েছে। পুলিস মহলেই অনেকে আছে যারা টিটকিরি করেছে। আজ তারাই বাহবা দিচ্ছে। কিছুদিন আগেই এএসআই পদোন্নতি হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই রানাঘাটের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অনেক ফোন পেয়েছি, শুভেচ্ছা কুড়িয়েছি। আমাদের রানাঘাট জেলার এসপি ড: কে কান্নান সাহেব আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি পুলিসে চাকরি করি, এই আমার সৌভাগ্য। আমার আইসি সাহেবও আমাকে বাহবা দিয়েছেন। আজ মনে হচ্ছে স্থূলতা নিয়ে যারা আমাকে টিটকিরি করত তাঁদের জবাব দিয়েছি। কেবল জবাব নয়, নিজের জন্য নয়, পুলিসের জন্য আরও এমন কাজ করতে চাই।
"অনুলিখন: মণি ভট্টাচার্য"
রাজ্যের দুই প্রান্তে সেনকো সংস্থার গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আংশিক সাফল্য পেল পুলিশ। নদিয়ার রাণাঘাটের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু পুরুলিয়ার ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। তবে, পুলিশ নিশ্চিত দুটি ক্ষেত্রেই ডাকাতি করতে আসা দুষ্কৃতীরা বিহারের বাসিন্দা। কেন রানাঘাট এবং পুরুলিয়ার দোকানকেই টার্গেট করা হল, সেই রহস্য ভেদ করতে মরিয়া পুলিশস।
রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতিদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং নগদ তিন লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, বিহার থেকে একটি গ্যাং পুরো অপারেশনটি চালিয়েছে। লুটপাঠ চালানোর সময়ই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এবং তাদের ঘিরে ফেলে। সেসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাতরা। পালটা জবাব দেয় পুলিশ আধিকারিকরা
ছিনতাইয়ে (Robbery) বাধা দেওয়ায় এক ব্য়ক্তিকে বেধড়ক মারধর ও মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় পড়েন ওই ব্য়ক্তি। বুধবার, রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Maldah) রথবাড়ি এলাকায়। বর্তমানে আহত ওই ব্যক্তি মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এই ছিনতাইয়ের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, আহত ওই ব্য়ক্তির নাম কার্তিক বসাক (৪৬)। ফরাক্কার বাসিন্দা। বিগত দুইদিন ধরে ওই ব্য়ক্তির বাবা বিমল বসাক (৭৫) মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার, রাতে বাবাকে হাসপাতালে রেখে কার্তিক বসাক রথবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেইখান থেকে ফেরার সময় রথবাড়ি এলাকায় দুইজন যুবক এসে তাঁর পথ আটকায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ওই দুই যুবক মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং এরপর টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় বাধা দিতে গেলেই ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় অভিযুক্তরা, বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
টাকা ছিনিতাইয়ের সময় ওই ব্যক্তির চিৎকার শুনে আশেপাশে দোকানদার ও লোকজনেরা ছুটে আসে এবং ওই দুই যুবককে ধরে বেধড়ক মারধর দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্ত দুই যুবককে ধরে নিয়ে যায় ইংরেজ বাজার থানায়।
চলন্ত ট্রেন (Train) থেকে ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন দাদর রেলওয়ে স্টেশনে (Dadar Railway Station)। সূত্রের খবর, ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে এক যুবক, এরপর বাধা দিতেই ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় এক মহিলাকে। আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই জিআরপি-তে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এফআইআর দায়েরের আগেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এক মহিলা উদয়ন এক্সপ্রেসে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি) যাচ্ছিলেন। তিনি বসেছিলেন অসংরক্ষিত মহিলা কামরায়। এরপর সেই কামরাতেই রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ এক ব্যক্তি ওঠে। অভিযোগ, সুযোগ পেতেই সেই মহিলার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাকে বাধা দিলে হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ করেছেন মহিলা। এরপর তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। পরে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত, দাবি মহিলার। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে সোমবার সকালেই তিনি জিআরপি-তে সেই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্তে নামে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার আলাপই হল কাল। হোটেলের রুমে দেখা করতে ডেকে মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে এক যুবকের সর্বস্ব লুঠ (robbery) করলো এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের (Newtown) পাঁচতালার একটি হোটেলে। ওই যুবকের সোনার চেন, আংটি সহ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিল ওই তরুণী। এরপরই ওই যুবক তরুণীর বিরুদ্ধে ইকোপার্ক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যুবকের করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছে পুলিস (Police)।
এই ঘটনায় ওই যুবক জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর পরিচয় হয় ওই তরুণীর সঙ্গে। তারপর থেকেই দুজনে দুজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতো। তবে তখনও পর্যন্ত কেউ কাউকে স্বচক্ষে দেখেননি। তবে ওই তরুণী বারবার তাঁকে দেখা করার কথা বললে তিনি কোনোভাবেই তাতে রাজি হয় না। তরুণী চলতি মাসের ২৫ তারিখে দেখা করার জন্য পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে ডেকে পাঠায়। কিন্তু ওইদিন তিনি তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন না। পরে তিনিই নিউটাউনের একটি পাঁচতলা হোটেলে রুম বুক করে দেখা করার জন্য।
ওই যুবক আরও জানান, হোটেলের রুম বুকিং করার পরেই ওই তরুণীকে হোটেলের রুম নম্বর পাঠিয়ে দেন। এরপরেই ওই তরুণী তার এক মহিলা বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে উপস্থিত হয়। তারপরেই তিনি তরুণীর বান্ধবীকে নিয়ে বাইরের দোকানে সিগারেট কিনতে যায়। যখন ওই যুবক সিগারেট নিয়ে হোটেলে ফেরে তখন সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচয় হওয়া ওই তরুণী তাঁকে মদ্যপান করতে বলেন। পরে ওই তরুণীই জোর তাঁকে মদ্যপান করান। আর এই ঘটনার পরই বেহুশ হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় তিনি দাবি করেন, সকাল বেলা জ্ঞান ফিরতেই তিনি দেখেন তাঁর সোনার চেন, আংটি ও ৩০ হাজার টাকা উধাও, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
ফের খবরের শিরোনামে দিল্লি (Delhi)। প্রকাশ্য রাস্তায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ৭০ লক্ষ টাকা লুটপাট চালালো দুষ্কৃতীরা। গাড়ি থামিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। দিল্লির মঙ্গলপুরীতে এদিন ঘটনাটি ঘটেছে। সিসিটিভিতে (CCTV Footage) ধরা পড়েছে ঘটনার ভিডিও।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গা়ড়ি নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর কাছে ৭০ লক্ষ টাকা ছিল। আর অনুমান, সেই খবর দুষ্কৃতীদের কাছে আগে থেকেই ছিল। তাই তারা মঙ্গলপুরী থানা এলাকার পুষ্পাঞ্জলি এনক্লেভের সামনের রাস্তাতেই অপেক্ষা করছিল। ব্যবসায়ীর গাড়ি আসতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি থামায়। তারপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
এক মাসের মধ্যেই আবারও প্রকাশ্যে এল টাকা লুটের মতো ঘটনা। দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের খোঁজে একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে দাবি এক পুলিসকর্তার। রাজধানীর বুকে এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দু’বার লুটের ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায়, রাজধানীতে নিরাপত্তা বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়াল।
মালতিপুরের দুঃসাহসিক ডাকাতি (robbery) এবং সিভিক (Civic) খুনের ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) দুই অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার ধৃত দুইজনকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে চাঁচল থানার পুলিস। এই ঘটনার পরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ধৃত ওই দুই ব্যক্তিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মেডিকেল টেস্ট করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পাহাড়ায় রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়াররা। আর তারপরে প্রশ্ন উঠেছে কেন এই ধরনের একটি ভয়াবহ ডাকাতি এবং সিভিক খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পাহাড়ায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাখা হচ্ছে? কেন পুলিস কনস্টেবল নেই?
পুলিস সূ্ত্রে খবর, ডাকাতিতে বিহার ও ঝাড়খন্ড যোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় তাদের আটকানো গেল না কেন? স্বর্ণ ব্যবসায়িকাকে লক্ষ্য করে গুলি এবং বোমা বিস্ফোরণ। সেক্ষেত্রে ডাকাত দলের কাছে তো আগ্নেয়াস্ত্র বোমা ছিল। তবে নাকা চেকিংয়ের সময় সেগুলিকে ধরা হলো না কেন?
মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের স্ত্রী বলছেন, তাঁর স্বামীকে ভিলেজ পুলিস ফোন করে বলে ডাকাত ধরার কথা। এই ভিলেজ পুলিস কে? মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কে বা কারা ফোন করে কি বলেছিল? একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ডিউটি তে না থাকার পরেও তাকে কি অবস্থায় পাঠানো হয়েছিল? প্রশ্ন উঠেছে পুলিস তো জানত এরা ডাকাত। তবে এদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা রয়েছে। সেক্ষেত্রে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার যে ডিউটিতে ছিল না তাঁকে কিভাবে ডাকাত দল ধরতে পাঠালো পুলিস?
দিনের আলোয় প্রকাশ্যে ডাকাতি (Robbery)। দিল্লির (Delhi) এই ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার। বন্দুক ধরে নগদ ২ লক্ষ টাকা চুরি করে চম্পট দিল চার দুষ্কৃতি। সেই দৃশ্যই আবার ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। দেখা গিয়েছে, নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দান টানেলের ব্যস্ত রাস্তায় একের পর এক গাড়ি চলছে। কিন্তু হঠাৎ দুটি বাইক একটি সাদা ক্য়াবের সামনে দাঁড়িয়ে গাড়িতে থাকা যুবকদের উপর বন্দুক ধরে তাঁদের হাত থেকে একটি ব্যাগ কেড়ে নিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। কীভাবে দিনের আলোতেও এমন ঘটনা ঘটছে, ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
#WATCH | A delivery agent and his associate were robbed at gunpoint of Rs 1.5 to Rs 2 lakh cash by a group of unknown assailants inside the Pragati Maidan Tunnel on June 24. Police registered a case and efforts are being made to apprehend the criminals: Delhi Police
— ANI (@ANI) June 26, 2023
(CCTV… pic.twitter.com/WchQo2lXSj
সূত্রে খবর, শনিবার দিনের বেলায় একটি সাদা রংয়ের ক্যাবে করে এক সংস্থার ডেলিভারি বয় ও তাঁর সহযোগী ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেসময়েই দুটো বাইকে করে এসে চারজন দুষ্কৃতি বন্দুক দেখিয়ে তাঁদের থেকে টাকার ব্যাগটা কেড়ে নেয়। এরপরেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। তখনও রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল। কিন্তু কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।
নয়া দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিস প্রণব তয়াল জানিয়েছেন, ক্যাবে ওমিয়া এন্টারপ্রাইজের ডেলিভারি এজেন্ট পাটেল সজন কুমার ও তাঁর সহযোগী জিগর পাটেল ছিলেন। তাঁরা একজনকে টাকার ব্যাগটি দিতে গুরুগ্রাম যাচ্ছিলেন। পরে সজন কুমার তিলক মার্গ পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুষ্কৃতিদের ধরতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
এক তরুণীর গলা থেকে সোনার চেন ছিনতাইয়ের (Robbery) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) এক। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের (Newtown) আকাঙ্ক্ষা মোড় সাবওয়ের কাছে। জানা গিয়েছে ওই তরুণী নিউটাউন অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা। নিউটাউনের রাস্তার সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রদীপ কুমার নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো ইকোপার্ক থানার পুলিস। উদ্ধার হয় ছিনতাই যাওয়া সোনার চেন।
পুলিস সূত্রে খবর, নিউ টাউন আকাঙ্ক্ষা আবাসনের বাসিন্দা এক তরুণী শুক্রবার রাতে ইকোপার্ক থানায় অভিযোগ করেন, সেক্টর ফাইভ থেকে কাজ শেষ করে নিউটাউনের বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় আকাঙ্ক্ষা মোড় সাবওয়ের কাছে এক ব্যক্তি এসে গলা থেকে সোনার চেন ছিনিয়ে চম্পট দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে ইকোপার্ক থানার পুলিস। নিউ টাউন আকাঙ্ক্ষা মোড়ের কাছে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয় অভিযুক্তকে। এরপরই পুলিস দক্ষিণ ২৪ পরগনার যোধভীম এলাকা থেকে অভিযুক্ত প্রদীপ কুমারকে গ্রেফতার করে। পুলিস জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে অভিযুক্ত পাঞ্জাবের বাসিন্দা যোধভীম এলাকায় ভাড়া থাকত। বিভিন্ন অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকায় এর আগেও টেকনোসিটি থানায় গ্রেফতার হয়েছিল ধৃত প্রদীপ কুমার। ধৃতকে শনিবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়।
অভিনেত্রী শিল্প শেট্টি (Shilpa Shetty) নিজের জন্মদিন (Birthday) উদযাপন করতে উড়ে গিয়েছিলেন বিদেশে। মুম্বইয়ের জুহুতে তাঁর বিলাসবহুল বাড়ি রেখে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীদের ভরসায়। কিন্তু প্রহরীদের ডজ করে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল দুই ব্যক্তি। অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে বহুমূল্য জিনিস চুরি করে পালিয়েছিল তারা। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হলে তাঁরা এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ২৪ মে নিজের জন্মদিন উপলক্ষে বিদেশে গিয়েছিলেন শিল্পা। চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল ১৫ জুন। দুই ব্যক্তি ২৫ ফুটের দেওয়াল বেয়ে অভিনেত্রীর বাড়িতে ঢোকেন। সফলভাবে অভিনেত্রীর দামি সামগ্রী নিয়ে পালতে সক্ষম হয়। এরপর জুহু পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হলে, তাঁরা অর্জুন দেবেন্দ্র এবং রমেশ দেবেন্দ্র নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। পুলিস অভিনেত্রীর বাড়িতে চুরির বিষয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
প্রসঙ্গত ৪৮ বছরে পদাৰ্পণ করেছেন অভিনেত্রী শিল্প শেট্টি। পরিবার-সহ তাস্কানে উড়ে গিয়ে জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন অভিনেত্রী। সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে কেক হাতে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন শিল্পা। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, 'নিঃশর্ত এবং অসংখ্য ভালোবাসায় বেষ্টিত রয়েছি। জন্মদিনে এর থেকে বেশি আর কি চায়!'