মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় ( Rewa, Madhya Pradesh ) ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা (Road Accident)। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪০ জন।আহতদের সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২০ জন প্রয়াগরাজ (ইউপি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রেওয়ায় সুহাগি পাহাড়ের কাছে বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ১৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।হায়দরাবাদের তেলঙ্গনা থেকে বাসটি যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে। বাসটিতে অন্তত ১০০ জন যাত্রী ছিলেন। সকলেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে খবর।
রেওয়ার পুলিস সুপার নবনীত ভাসিন বলেছেন, বাসের যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন উত্তর প্রদেশের শ্রমিক। তাঁরা মধ্যপ্রদেশের কাটনি থেকে বাসে উঠেছিলেন।যাত্রীদের অধিকাংশই শ্রমিক। দীপাবলী উপলক্ষে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক পথচারী পুলিসকে দুর্ঘটনার খবর দেন বলে জানা গিয়েছে।
মুম্বইয় শহরতলির পালঘরে পথদুর্ঘটনা। মৃত্যু বিশিষ্ট উদ্যোগপতি সাইরাস মিস্ত্রির। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পালঘরের এসপি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইরাসের গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারতেই সেটা উলটে যায়। তাতেই এই দুর্ঘটনা। তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি দু'জন গুরুতর জখম অবস্থায় গুজরাতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক তদন্তে, বিষয়টা দুর্ঘটনাই মনে করছে পুলিস। আহমেদাবাদ থেকে সড়ক পথে মুম্বই আসার পথে রবিবার সাড়ে ৩টা নাগাদ ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। তিনি রিয়াল এস্টেট গোষ্ঠী শাপুরজি, পালোনজি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। রতন টাটা টাটা সন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর নেওয়ার পরেই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে অন্য একজন চেয়ারম্যান করেছিল টাটা সন্স।
ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে (Samsherganj) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। বাবা মায়ের সঙ্গে মামার বাড়ি থেকে বাইকে করে নিজ বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু (Death) হল সাত বছরের এক শিশুর (Child)। জখম হয়েছেন ওই শিশুর বাবা এবং মা। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার মহব্বতপুর এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম সাগর শেখ(৭)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছে বাবা ও মাকে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ মামার বাড়ি সামশেরগঞ্জের মালঞ্চ থেকে বাইকে চেপে বাবা মায়ের সঙ্গে চশকাপুরে ফিরছিল ওই শিশু। সেসময় পল্টন ব্রিজের নীচ দিয়ে আসার সময় একটি ট্রাক্টরকে ওভারটেক করতে গিয়ে ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে ছিটকে পড়ে সাত বছরের ওই শিশু। তখনই ট্রাক্টরটি কার্যত তাকে পিষে দেয়। প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর জখম হন ওই শিশুর বাবা মা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
এদিকে, অবৈধভাবে ট্রাক্টর চলাচলের ফলেই যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটছে বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ট্রাক্টর চলাচল নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ট্রাক্টর নিয়ে পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু (death) হল ২ জনের, আরও দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আহতদের দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রবিবার ভোর রাতে দুর্গাপুরের বুদবুদ বাইপাশে জাতীয় সড়কের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, কাজ সেরে কলকাতা (Kolkata) থেকে গাড়ি করে পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলোন সতেন্দ্রর যাদব, দীনেশ যাদব, সন্তোষ রাম। অন্যদিকে ইন্দ্রজিত চৌরাসিয়া অফিসের কাজ সেড়ে দুর্গাপুর পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। আচমকাই বুদবুদ বাইপাশের কাছে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর ২৮ এর সতেন্দ্রর যাদব ও বছর ৩৮ এর দীনেশ যাদবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্তোষ রাম আর ইন্দ্রজিত চৌরাসিয়াকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। দুইজনের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই জানিয়ে হাসপাতাল।
রবিবার ভোর রাতের মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কের আসানসোলগামী লেনে যানজট তৈরি হয়। পড়ে বুদবুদ থানার পুলিস পৌঁছে যানজট মুক্ত করে জাতীয় সড়ক। পুলিসই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এই চারজনকে।