আবারও ভূমিকম্পে (Earthquake) কাঁপল রাজস্থান (Rajasthan), মণিপুর (Manipur)। শুক্রবার ভোররাতে রাজস্থানের জয়পুরে পরপর তিনটি ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে ৩০ মিনিটের মধ্যে তিনটি কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৩.৪ মাত্রার সর্বশেষ ভূমিকম্পটি হয় ভোররাত ৪.২৫ মিনিটে, ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিমি গভীরে।
এর আগে ভোর ৪.২২-এ ৩.১ মাত্রার ভূমিকম্পটি হয় ৫ কিমি গভীরে। ভোর রাত ৪.০৯ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি হয় ১০ কিমি গভীরে। ভোররাতে শহরের বিভিন্ন অংশে কম্পন অনুভূত হওয়ায় আতঙ্কিত মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কারও প্রাণহানি কিবা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে,৫টা ১ মিনিটে কেঁপে ওঠে দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের রাজ্য মণিপুর। উখুরুলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পন কেন্দ্র। কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৫। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একাধিক ভিডিও ও ছবি।
এক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের (Rajastha) মেহরানগড়ে (Mehrangarh)। এক ব্যক্তিকে সাপ (Snake) কামড়ানোর পর ফের তাঁকে খেতে হল একই প্রজাতির সাপের কামড়। প্রথমবার কামড় খেয়ে বেঁচে গেলেও দ্বিতীয়বার রক্ষা পেলেন না তিনি। দ্বিতীয়বার সাপের কামড়ে প্রাণ হারান সেই ব্যক্তি। এমনটা হয়তো এর আগে দেখা যায়নি। ফলে এটি একেবারেই অবাক করা ঘটনা।
সূত্রের খবর, রাজস্থানের ৪৪ বছর বয়সী জাসাব খানকে ২০ জুন একটি সাপ কামড়েছিল। তারপর তাঁকে দ্রুত পোখরানের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনকই ছিল। কিন্তু চার দিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন ও বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রথমবার সাপ কামড়ানোর ৫ দিনের মধ্যে একই প্রজাতির সাপ সেই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার কামড়ায়। প্রথমবার সাপটি জাসাবের বাঁ পায়ে কামড়েছিল ও দ্বিতীয়বার ডান পায়ে। জানা গিয়েছে, যে প্রজাতির সাপ তাঁকে কামড়েছিল, সেটি সেখানে 'বান্দি' নামে পরিচিত।
জাসাবের মৃত্যু নিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রথমবার সাপের কামড়ে বেঁচে গেলেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি। ফলে দ্বিতীয়বার ফের সাপ কামড়াতেই তখন তাঁর শরীর সাপের বিষ আর সহ্য করতে পারেনি। যার ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভানিয়ানা পুলিস।
হাসপাতালে (Hospital) গেলে অনেক সময় অ্য়াম্বুলেন্স, স্ট্রেচার কিংবা হুইলচেয়ারের (wheel chair) অভাব এমন অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। তেমনি একটি ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছে। স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ার না পেয়ে বাধ্য় হয়ে ছেলেকে স্কুটারে চাপিয়ে চার তলায় উঠে গেলেন একজন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) কোটার একটি হাসপাতালে।
ওই ছেলেটির বাবা জানিয়েছেন, ছেলের পা ভেঙে যাওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে গিয়ে তিনি স্ট্রেচারের খোঁজ করেন। কিন্তু কোনও স্ট্রেচার পাননি তিনি। ছেলেকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে দ্রুত তাঁকে চিকিৎসকের কাছে কীভাবে নিয়ে যাবে তা ভেবেই দিশাহারা হয়ে যান।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, স্ট্রেচার না পেয়ে হুইলচেয়ারের খোঁজ করেন। কিন্তু একটিও হুইলচেয়ার পাননি। হাসপাতালে চার তলায় চিকিৎসা বিভাগ। ফলে আরও সমস্যায় পড়েন ওই ব্যক্তি। কোনওরকম উপায় না পেয়ে একটি স্কুটারের ব্যবস্থা করেন তিনি। আর সেই স্কুটারে ছেলেকে চাপিয়ে লিফ্টে করে চার তলায় পৌঁছন। ছেলের পায়ে প্লাস্টার করিয়ে আবার একই ভাবে হাসপাতালে নীচে নেমে আসেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পুলিসকে এ বিষয়ে হাসপাতালের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেছেন, যদিও হাসপাতালের স্ট্রেচার এবং হুইলচেয়ারের অভাবের কথা স্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।
গণবিবাহের (Mass Marriage) মাধ্যমে একই আসরে গাঁটছড়া বেঁধেছেন চার হাজার তরুণ-তরুণী। হিন্দু, মুলসিম উভয়কে নিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলল এই বিবাহ পর্ব। এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) বারান জেলায়। গণবিবাহের এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং রাজ্যের আর এক মন্ত্রী প্রমোদ জৈন ভায়া। নবদম্পতিদের আশীর্বাদও করেন তাঁরা। এমনকি গণবিবাহের আসরে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আধিকারিকেরাও। তাঁরা বিয়ের আসরেই নবদম্পতিদের বিয়ের শংসাপত্র দেন। এমনকি রাজস্থান সরকারের তরফ থেকে নব দম্পতিদের অনেক গয়না, বাসনপত্র এবং অন্যান্য উপহারও দেওয়া হয়।
গত ২৬ মে এই গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। এই গণবিবাহের আয়োজন করেছিল শ্রী মহাবীর গোশালা কল্যাণ সংস্থান নামের এক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। তারা মূলত সমাজের গরীব মানুষের কল্যাণার্থে কাজ করে থাকে। তাদের আয়োজিত গণবিবাহে বিয়ে করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন ৪২৮৬ জন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যুগল ছিলেন। নির্দিষ্ট দিনে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কনে (Bride) পালিয়েছে, তবুও তাঁর জন্যই টানা ১৩ দিন অপেক্ষা করলেন এক হবু বর (Groom)। ঘটনাটি রাজস্থানের (Rajasthan) সায়না গ্রামের। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ৩ তারিখ ধুমধাম করে বিয়ে করতে গিয়েছেন এক যুবক। বিয়ের বিভিন্ন রীতি-নীতিও হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ মণ্ডপ থেকে উধাও কনে। অভিযোগ ওঠে, সেই কনে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন। কিন্তু অবাক করা ঘটনা। বর কিন্তু মণ্ডপ ছেড়ে কোথাও যাননি। সেখানেই টানা ১৩ দিন থেকে যান তিনি। মনস্থির করেই নিয়েছিলেন, বিয়ে করতে হলে সেই তরুণীকেই করবেন তিনি। আর এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইহই পড়ে যায় নেটদুনিয়ায়।
চারিদিকে পাত্র-পাত্রীপক্ষের আত্মীয়-স্বজন। সাজানো রয়েছে বিয়ের মণ্ডপ। উপস্থিত বর-কনে দুজনেই। বিয়ে শুরুও হয়ে গিয়েছে। মালাবদল থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিয়মও পালন করা হয়েছে। কিন্তু সাতপাকে বাঁধার পড়ার আগে হঠাৎ কনে মনীষা বলেন, তাঁর শরীর খারাপ করছে। পেট ব্যথা করছে তাঁর। এই বলে মণ্ডপ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান। অনেকক্ষণ হয়ে যায়, কিন্তু দেখা নেই তাঁর। এরপর তাঁকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায়, তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে। আর এই খবর পৌঁছে যায় বরের কানেও।
এখানেই শেষ নয়, কনে পালানোর কথা শুনে বর কিন্তু চলে যাননি, বরং তিনি সেই মণ্ডপেই থেকে যান ও মনীষা ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকেন। এমনকী তিনি তাঁর মাথার পাগড়িও খোলেননি। এরপর পুলিস মনীষাকে খুঁজতে শুরু করলে অবশেষে ১৩ দিন পর হদিশ পায় তাঁর। এরপর সেই তরুণীর বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেন তাঁকে। মনীষা ফিরে আসতে সেই মণ্ডপেই ফের বিয়ের আসর বসে। অবশেষে তাঁর সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সেই যুবক।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৫৯ রানে অল আউট রাজস্থান রয়্যালস। বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে কার্যত প্লে-অফের দৌড় থেকে বিদায় রাজস্থানের। লজ্জাজনক এই হারের কারণ রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডার। এই জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলো বেঙ্গালুরু। ১১২ রানে রাজস্থান রয়্যালসকে হারালো বেঙ্গালুরু।
রবিবারের দুপুরের ম্যাচে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু অর্থাৎ বিরাট বাহিনী। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে বেঙ্গালুরু। কোহলির ব্যাটে রান না এলেও ম্যাচের হাল ধরে ম্যাক্সওয়েল ও ডিউ প্লেসিস। দু'জনের ব্যাটেই অর্ধশতরান আসে। ডিউ প্লেসিস করে ৪৪ বলে ৫৫ রান। পাশাপাশি ম্যাক্সওয়েল করে ৩৩ বলে ৫৪ রান। এই দুই উইকেট পড়ে গেলে একটু চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু। ওদিকে পরপর আরও উইকেট পরে বেঙ্গালুরুর, শেষে অনুজ রাউতের ঝোড়ো ইনিংস অর্থাৎ ১১ বলে ২৯ রানের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে বেঙ্গালুরু।
১৭২ রানের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের গোটা টপ অর্ডার, গোটা মিডিকেল অর্ডার ধসে পড়ে। রান আসে কেবল সিমরন হেটমায়ারের ব্যাটে। হেটমায়ার ১৯ বলে ৩৫ রান করে। এ ছাড়া গোটা দলে দুই অংকের স্কোর কেবল করে জো রুট। রুট করে ১০ রান। এ ছাড়া গোটা দলের কেউ দুই অংকের স্কোর করতে পারে নি। রাজস্থান ১০ ওভার ৩ বল খেলে মোট ৫৯ রান করে। আইপিলের ইতিহাসে রাজস্থানের সর্বনিম্ন স্কোর এটা।
ওদিকে বল হাতে তেমন সফল না রাজস্থানের বোলাররা। দুটি করে উইকেট পেয়েছে জাম্পা ও আসিফ। একটি উইকেট পেয়েছে সন্দীপ শর্মা। ওদিকে বেঙ্গালুরুর ৩ টি উইকেট নেয় পার্নেল, ২ টি করে উইকেট নেয় ব্রেসওয়েল ও শর্মা। একটি করে উইকেট নেয় সিরাজ ও ম্যাক্সওয়েল।
ফের ভেঙে পড়লো ভারতীয় যুদ্ধবিমান (Jet Crash)। বিমানটির নাম মিগ-২১ (MIG-21)। বিমানের আঘাতে তিনজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু (Death) হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা। তবে বিমান চালক কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান। রাজস্থানের (Rajasthan) হনুমানগড় জেলায় ভেঙে পড়ে বিমানটি। সুরাতগড় থেকে ওই যুদ্ধ বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। জানা গিয়েছে, ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে খবর। আকাশে যুদ্ধ বিমানের মহড়া চলাকালীনই ভেঙে পড়ে বিমানটি।
IAF fighter aircraft crashes in Rajasthan: 2 women dead, 1 man injured
— ANI Digital (@ani_digital) May 8, 2023
Read @ANI Story | https://t.co/gpMSoWj7SR#IAF #Migcrash #Rajasthan pic.twitter.com/fjsmF6Q0yZ
ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী সূত্রে খবর, বিমানটি হঠাৎ কী করে ভাঙল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি দুর্ঘটনার কারণ জানার জন্য একটি তদন্ত দলও গঠন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। আগেও দুটি যুদ্ধ বিমান সুখোই-৩০ এবং মিরাজ ২০০০ মাঝ আকাশে মহড়া চলাকালীনই ভেঙে পড়েছিল।
মাত্র ১৯ বছর বয়সেই মিস ইন্ডিয়ার (Miss India) তকমা পেলেন রাজস্থানের নন্দিনী গুপ্তা (Nandini Gupta)। ইন্ডিয়াস মোস্ট প্রেস্টিজিয়াস বিউটি পেজেন্টর ৫৯ তম এডিশনে মিস ইন্ডিয়ার মুকুটটি উঠল রাজস্থানের কোটার কন্যা নন্দিনীর মাথায়। এবারে তাঁকে মিস ওয়ার্ল্ড-এর (Miss World) মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাবে। মণিপুর ইম্ফলের কুমাল লাম্পাকের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০২৩ সালের জমকালো অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। অন্যদিকে বিউটি পেজেন্টের ফার্স্ট রানার আপ হয়েছেন দিল্লির পূজা ও সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন মণিপুরের থাওনাজেম স্ট্রেলা।
নন্দিনীর এই জয়লাভের কিছু সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে মিস ইন্ডিয়ার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয়েছে। এত ছোট বয়সেই নন্দিনীর এই সাফল্যের কথা জানিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'নন্দিনী গুপ্তার সহনশীলতা, সৌন্দর্যতা সবার মন জয় করেছে। আমরা খুব গর্বিত, আপনাকে মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে দেখার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আপনি এমনই থাকবেন।'
রাজস্থানের নন্দিনী আদতে বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্রী। তবে তাঁর মডেল হওয়ার স্বপ্ন ছিল শৈশব থেকেই। ফলে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর মডেলিং কেরিয়ারকেও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে তাঁর সমস্ত পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে। এবারে তাঁকে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও। মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জেতার পর মিস ওয়ার্ল্ড-এরও মুকুট তাঁর মাথায় উঠবে কিনা, তা নিয়ে অপেক্ষায় তাঁর অনুরাগী সহ পুরো ভারতবাসী।
শুভশ্রী মুহুরী: সোনার কেল্লার রহস্যভেদ করতে রাজস্থান গিয়েছিলেন ফেলুদা। এবার সেখানেই পা রেখেছেন আরেক গোয়েন্দা, একেন্দ্র সেন (Ekendra Sen)। গত বেশ কিছু বছরে বাংলা ছবির জগতে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন গোয়েন্দা একেন বাবু। ওটিটি পেরিয়ে বড় পর্দায় এসভিএফের প্রযোজনায় ২০২২-এ মুক্তি পেয়েছিল 'দা একেন'। প্রথম পর্বের সফল যাত্রার পর এসেছে নতুন সিনেমা, 'দা একেন - রুদ্ধশ্বাস রাজস্থান'। ১৪ এপ্রিল শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। নববর্ষেই বাঙালি সব ভালবাসা ঢেলে দিয়েছে সিনেমায়। প্রায় হাউজফুল এবং হাউজফুল বোর্ড শহরের প্রতি মাল্টিপ্লেক্স-সিনেমা হলে।
লকডাউনের পরে সিনেমাহলে মুখ থুবড়ে পড়েছে একাধিক বাংলা সিনেমা। সেভাবে বক্স অফিস সংগ্রহে হাঁটতে পারেনি টলিউডের একাধিক ছবি। ফেসবুকজুড়ে ট্রেন্ডিং হয়েছিল, 'বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়াও'। এবার বোধ হয় সুদিন ফিরল বাংলা সিনেমার। গত বছর বাম্পার হিট দিয়েছে প্রজাপতি ছবিও। আগামী দিনে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চেঙ্গিজ ছবি ঘিরেও উন্মাদনা তুঙ্গে। পাশাপাশি রয়েছে আসছে পুজোয় দেব অভিনীত বাঘা-যতীন এবং রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত নটি-বিনোদিনী। সেই ছবিগুলো বক্স অফিস সংগ্রহ আশাব্যাঞ্জক হয় কিনা, সেই দিকে তাকিয়ে সিনে সমালোচকরা।
এদিকে, একেন বাবুর চরিত্রাভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে দর্শকদের ধন্যবাদ জানান। সিনেমাহল থেকে বেরিয়ে দর্শকদের চেহারা থেকেই স্পষ্ট, তাঁরাও সিনেমা দেখে সন্তুষ্ট। এই ছবিতে একেন বাবুকে দেখা যাবে তাঁর চেনা মেজাজেই। রাজস্থানের সরকারি সম্পত্তি লুটে নিচ্ছে কেউ বা কারা। সেই রহস্যের সমাধান হবে এবার। অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে সিনেমায় দেখা যাবে সুহত্র মুখোপাধ্যায়, সোমক ঘোষ, রজতাভ দত্ত, সন্দীপ্তা সেন ও অন্যান্যদের। একেন বাবুর সঙ্গে দর্শক রাজস্থান সফরে যেতে চাইছেন কিনা তা বোঝা যাবে হাউজফুল রিপোর্টে।
এই নববর্ষে বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে একেনবাবুর কীর্তি 'দ্য একেন রুদ্ধশ্বাস রাজস্থান' (The Eken Ruddhoswas Rajasthan)। সাহিত্যের পাতা থেকে উঠে এসে সেলুলয়েডের পর্দায় অন্যতম জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র একেনবাবু। এ যাবৎকাল মুক্তি পাওয়া একেনবাবুর গল্পে বেশ কমিক রিলিফ পেয়েছেন বাংলার দর্শক। সদা হাস্যময় গোল-গাল চরিত্রের একেনবাবু থুড়ি অনিবার্ণ চক্রবর্তী (Anirban Chakraborty) দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট চরিত্র লালমোহন গাঙ্গুলি কিংবা রুদ্ধশ্বাস রাজস্থানের একেনবাবু অর্থাৎ অনির্বাণ চক্রবর্তীকে ফোনে ধরলেন সিএন ডিজিটালের প্রতিনিধি মুন্নি চৌধুরী। জানুন একান্ত সাক্ষাৎকারে কী বললেন একেন্দ্র সেন।
প্রশ্নঃ রহস্য-কমেডিতে ভরপুর একেনবাবু। নববর্ষে বাঙালির জন্য কী বিশেষ উপহার রাখছে 'দ্য একেন রুদ্ধশ্বাস রাজস্থান?'
উত্তর: একেন বাবুর ৬টা সিজন ওয়েব সিরিজে হয়েছে। আর একটা ছবি গত বছর পয়লা বৈশাখে বড় পর্দায় রিলিজ হয়েছে। সেটা সাফল্য পেয়েছিল। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এ বছর নববর্ষে আরেকটা ছবি রিলিজ হবে। শুরু হয় গল্প বাছা। নতুন বছরের উপহার বলতে, আগের বছর এই সময় একেন বাবুকে দেখতে পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। রহস্য, হাসি, মজা সবটা মিলিয়ে নতুন ভাবে একেন বাবুই নতুন বছরে উপহার দর্শকদের জন্য।
প্রশ্নঃ শহরের রাজপথে গোল-গাল হাসিমুখ মানুষটার পোস্টারে ছয়লাপ। কেমন অনুভূতি হয় এমন ভালোবাসা পেয়ে?
উত্তর: [একটু আমতা আমতা করে] প্রথম যখন বেরিয়েছিল আমার পোস্টার। সালটা ২০১৮। সে সময় খুবই আনন্দ পেয়েছিলাম। কারণ প্রথমবার যে জিনিসটা হয় সেটা অনেকটা স্পেশাল হয়। এখন খানিকটা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি দেখতে দেখতে। তবুও ভালোই লাগে এখনো, সে কথা অস্বীকার করার জায়গা তো নেই।
প্রশ্নঃ আটবার একেনবাবুর চরিত্রে। একাধিকবার জটায়ুর চরিত্রে। গোয়েন্দার চরিত্রেই কি বেশি ফোকাস করতে চান?
উত্তর: এরকম কোনও পরিকল্পনা নেই। এর আগেও আমি একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছি। ভবিষ্যতেও চেষ্টা করব বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। একেন বাবু জনপ্রিয়তা পেয়েছে, কারণ অল্প সময়ের মধ্যে একাধিকবার এই চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। ফেলুদার সঙ্গী হিসেবে জটায়ুর চরিত্রে করেছি। যদিও আমি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতেই বেশি উপভোগ করি।
প্রশ্নঃ জটায়ু-র চরিত্র মানে বাঙালির কাছে সন্তোষ দত্ত। সেখানে দাঁড়িয়ে এরকম আইকনিক একটা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নিজেকে সন্তোষ দত্তের প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে দেখেছেন? নাকি নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বি?
উত্তর: [প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই] না, না। প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবার কোনও কারণই নেই। সেই দুঃসাহসও আমার ধারণা কোন অভিনেতার নেই। এক একটা চরিত্রের জন্য এক একজন মনে গেঁথে থাকেন। আর জটায়ু মানে সন্তোষ দত্ত এটা সারাজীবন মানুষের মনে থেকে যাবে। আমি এবং আরো অনেকেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সকলে যে যাঁর মত চেষ্টা করেছেন। সন্তোষ দত্ত জটায়ু হিসেবে এমন ভাবে সকলের মস্তিষ্কে ও মননে রয়েছেন, আমার মনে হয় না সেই জায়গায় পৌঁছানো কারোর পক্ষে সম্ভব। সুতরাং এটা আমার সৌভাগ্য যে ওই চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ আমি পেয়েছি।
প্রশ্নঃ শৈল শহরের পর একেবারে মরুভূমি। এরপর কী একেনবাবুর ডেস্টিনেশন সমুদ্র?
উত্তর: [কিছুটা উচ্ছ্বাসের সুরে] এখনও কিছু ঠিক হয়নি। সেটা পুরোটাই নির্ভর করছে দর্শকদের সাড়ার উপর। কতটা ভালোবাসা দিচ্ছেন তার উপর। সেক্ষেত্রে আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে।
প্রশ্নঃ এ বছর বাংলা সিনেমার বক্স অফিস ততটা সাড়া ফেলতে পারেনি। ট্রেলারেই যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছেন, তাতে কী মনে হচ্ছে এটাই এবছরের প্রথম সুপারহিট সিনেমা হতে চলেছে?
উত্তর: এটা আমি একদমই বলতে পারবো না। তবে যবে থেকে ট্রেলার বেরিয়েছে, তখন থেকে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখতে পেয়েছি। দর্শকরা যেভাবে ফিডব্যাক দিয়েছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে দর্শকরা আগ্রহী ছবিটা দেখবে বলে। তারপর কী হবে সেটা রিলিজ হওয়ার পরেই বোঝা যাবে। আমি একেবারেই আগে থেকে তা প্রেডিক্ট করতে পারিনা।
প্রশ্নঃ সৌমক, সুহত্র। আপনাদের এই ত্রয়ী জুটির একসঙ্গে কাটানো কোনও সেরা মুহূর্ত?
উত্তর: সেরা মুহূর্ত সেভাবে বলা মুশকিল। আমাদের তিনজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। কারণ আমরা তিনজনই একসঙ্গে তিনবার এই চরিত্রে অভিনয় করলাম। আমাদের মধ্যে ভালো বন্ডিং হওয়ার কারণে কাজটা করা খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। আর আমাদের যে ভালো বন্ডিংটা দর্শকরা হয়তো পর্দায় বুঝতে পারেন।
প্রশ্নঃ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন ওয়েব সিরিজে, বড় পর্দায়। প্রত্যেকবারই নিশ্চয় কোনও না কোনও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। এবারের 'দ্য একেন' করতে গিয়ে বিশেষ কী অভিজ্ঞতা হল?'
উত্তর: আমি এর আগে জয়সলমিরে কোনওদিন যাইনি। এখানেই ছবিটা মূলত শুট হয়েছে। সোনার কেল্লা দেখা, এছাড়াও আরো অনেক জায়গা রয়েছে সেগুলো দেখা আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। দর্শকরাও অনেক অদেখার জায়গা ছবিতে দেখতে পাবেন।
প্রশ্নঃ বাঙালি গোয়েন্দা মানে, একটা গম্ভীর, হিরো-হিরো চরিত্রকে আমরা কল্পনা করে থাকি। কিন্তু একেনবাবু তো সম্পূর্ণ উল্টো। হাসি,মজা, সিরিয়াস সবটাই রয়েছে। এটাই কি তাহলে একেনবাবুর ইউএসপি?
উত্তর: একেবারেই তাই। আমারও তাই মনে হয়। অন্যান্য গোয়েন্দা চরিত্রের পাশাপাশি দর্শকরা একেন বাবুকে সে কারণেই হয়তো এতটা পছন্দ করেছেন। এর আগে এরকম গোয়েন্দা চরিত্র দেখা যায়নি। যাঁকে দেখলে মনে হয় না গোয়েন্দা। পাশের বাড়ির কেউ একজন মনে হয়। কিন্তু ভিতরে ভিতরে সে খুবই বুদ্ধিমান এবং স্মার্ট। হাসতে হাসতে খেলতে খেলতে রহস্যের সমাধান করে ফেলেন একেন বাবু। তাই হয়তো এতটা জনপ্রিয়।
প্রশ্ন: একেন বাবু সিরিয়াস সময়েও হাসাচ্ছেন। সর্বদা কিছু না কিছু মজার বিষয় ঘটিয়ে চলেছেন। অনির্বাণ চক্রবর্তীও কি বাস্তবে এমন হাসি-খুশি থাকতে ভালোবাসেন? আর হাসাতে ভালবাসেন?
উত্তর: আমি একেবারেই হাসিখুশি থাকতে ভালোবাসি। আমার চারপাশটা যদি চিন্তা মুক্ত হয় আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু বাস্তব জীবনে আমি একেবারেই একেন বাবুর মতো নই।
প্রশ্নঃ পরপর দু'বছর নববর্ষে একেনবাবু। মানুষের এত ভালোবাসা, এত পাশে থাকার বার্তা পেয়ে কী মনে হচ্ছে? পরের নববর্ষেও আরেকবার দর্শকদের জন্য একেনবাবুকে নিয়ে আসবেন?
উত্তর: [অট্টহাসি হেসে] এটা সিদ্ধান্ত তো আমি নিতে পারি না। প্রযোজনা সংস্থা ঠিক করে। তবে এটা ঠিক, পরপর দু'বছর নববর্ষে একেন বাবু এসেছে। এবছর দর্শক কতটা পছন্দ করেন, তার ওপর খানিকটা নির্ভর করবে পরের ছবি কবে আবার হবে! ট্রেলারের প্রসঙ্গ তুলতেই, বেশ খুশি খুশি গলায় বললেন, ' হ্যাঁ, ট্রেলার দেখে অনেক সাড়া পেয়েছি। অগ্রিম বুকিংও অনেক জায়গায় হয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু হল তো একেবারে হাউসফুল। এবারও আশা রাখছি দর্শক ভালোবাসা দেবেন। '
প্রশ্নঃ একেবারে শেষ প্রশ্ন, নিশ্চই আপনার কাছে সর্বভারতীয় স্তরের একাধিক অফার রয়েছে। সেরকম কোনও অফার এলে টলি জগত ছেড়ে কী সেখানে পাড়ি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?
উত্তর: না না। আমার কোনও কিছু নিয়েই খুব একটা পরিকল্পনা নেই। আমি এখানে যে কাজ করছি তা নিয়েও যে খুব পরিকল্পনা করি তা নয়। হিন্দিতে কিছু কাজ শেষ করেছি। সময়ের অভাবে কিছু করতে পারিনি। আগের থেকে অন্য কোথাও হয়তো কাজের কথা স্থির হয়েছিল সে কারণে কিছু কাজ করতে পারিনি। তবে অফার এলে অবশ্যই করবো। কিন্তু নিজের কাছে নিজে এমন কোন 'দিব্যি' দিয়ে রাখিনি যে করতেই হবে।
আইপিএলের (IPL) চতুর্থ খেলায় রাজস্থানের রয়্যালসের (RR) কাছে ৭২ রানে হার সানরাইজ হায়দ্রাবাদের (SH)। ২০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে জলদি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ। পরে ম্যাচের হাল আর ধরতে পারেনি কেউই। ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে হায়দ্রাবাদ ১৩১ রান তোলে। ফলে মরশুমের প্রথম খেলায় বড় মাত্রায় জয় পেয়ে এগিয়ে গেল রাজস্থান।
টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে রাজস্থান। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ১০৮ রান তোলেন। রাজস্থানের টপ অর্ডারের তিনজন অর্ধশত রান করেন, যশস্বী জয়সওয়াল, বাটলার ও স্যামসন। জয়সওয়াল ৩৭ বলে করেন ৫৪ রান। বাটলার ২২ বলে করেন ৫৪ রান। স্যামসন ৩২ বলে ৫৫ রান করেন। শেষে হেটমায়ারের ঝোড়ো ইনিংসে দলের রান হয় ২০৩, ৫ উইকেটে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বোল্টের প্রথম ওভারে ২ টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। হায়দ্রাবাদের পক্ষে উল্লেখ্য ময়াঙ্ক আগরওয়াল ২৭ রান করেন এবং আব্দুল সামাদ ৩২ রান করেন।
প্রথমে বলের সিদ্ধান্ত নিয়ে, হায়দ্রাবাদের পক্ষে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ফারুকী। ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন টি নটরাজন। পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে রাজস্থান বল করতে নেমে ২১ রানে ২ উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং ১৭ রান দিয়ে চাহল তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান হোল্ডার ও অশ্বিন।
কথায় বলে পুরুষদের দাড়ি গোঁফ থাকা পুরুষত্বের লক্ষণ। যদিও বাঙালি পুরুষদের দাড়ির চেয়ে গোঁফ রাখারই প্রচলন বেশি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেও আলাদা আলাদা রকমের মানুষ পাওয়া যায় যাঁরা অদ্ভুত দর্শন দাড়ি-গোঁফ (Beard) রাখেন। দেশের এক এক অঞ্চলে এক এক ধরনের দাড়ি গোঁফের প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়। রাজস্থানের মানুষদের যেমন দেখা যায় লম্বা লম্বা গোঁফের পাশাপাশি কানচাপা দাড়ি রাখতে, তেমনি আবার অনেক ভারতীয় মানুষকেই দেখা যায় চাপ দাড়ি রাখতে। তবে নিজের উচ্চতার চেয়ে দাড়ির উচ্চতা (World’s Longest Beard) বেশি এমন মানুষ কী দেখেছেন? বাস্তবে এমন কেশরাশির জন্য বিশ্বের দরবারে নজির গড়লেন ভারতীয় শিখ সারওয়ান সিং। যদিও বর্তমানে তিনি কানাডার (Canada) বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্বের সব থেকে লম্বা দাড়ি থাকার কৃতিত্ব তাঁরই ছিল। নিজেই নিজের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আবারও জায়গা করে নিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সারওয়ানের দাড়ি লম্বায় ২.৫৪ মিটার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে আট ফুট। শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যা করে যত্ন করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৭ বছর বয়স থেকে দাড়ি রাখা শুরু করেছেন। এরপর থেকে কোনওদিন দাড়ি কাটেননি। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল সবরকমভাবে যত্ন নেন দাড়ির।
তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জানিয়েছেন, দাড়ি ঈশ্বরের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। তাই সেটার উপর কোনওরকম কারুকার্য তাঁর পছন্দ নয়। যে জিনিস যেমন দিয়েছেন ঈশ্বর তেমনই রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথম বিশ্বের সব থেকে লম্বা দাড়ি থাকার নজির গড়েন সারওয়ান। সেই সময় তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় আট ফুট। সারওয়ানের আগে এই নজির ছিল সুইডেনের বাসিন্দা বার্গার পেলসের। ২০১০ সালে সারওয়ানের দাড়ি লম্বায় আরও বেড়ে আট ফুটের বেশি হয়েছিল।
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের(Rape)অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান খয়ালী সহারনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মানসরোবর এলাকার এক হোটেলে। বৃহস্পতিবার জয়পুরের(Jaipur)মানসরোবর থানায় খয়ালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে কৌতুকশিল্পীকে গ্রেফতার করে মানসরোবর থানার পুলিস(Police)। মানসরোবর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সন্দীপ যাদব বলেছেন, 'মহিলার দায়ের করা অভিযোগের পর কৌতুক অভিনেতার বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৭৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কৌতুক শিল্পী আম আদমি পার্টির(AAP) কর্মী ছিলেন। এমনকি তিনি ‘ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ সিজন ২’ ও কপিল শর্মার শোয়েও অতিথি হয়ে এসেছিলেন। চলতি মাসের সোমবার চাকরি পাইয়ে দেবে বলে নির্যাতিতা তরুণীকে মানসরোবর এলাকার এক হোটেলে নিয়ে যান খয়ালী। সেখানেই এমন ঘৃণ্য কাজ করেন তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, শ্রীগঙ্গানগরের বাসিন্দা ওই মহিলা। মহিলাটি একটি ফার্মে মার্কেটিং এগজিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতেন। তিনি অন্য এক মহিলার কাছে প্রায় এক মাস আগে একটি নতুন কাজের জন্য সাহায্য চায়। পরে সেই অন্য মহিলায় তাঁকে কমেডিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।
তদন্তে পুলিস জেনেছে, খয়ালী হোটেলে দু’টি ঘর বুক করেছিলেন। একটি নিজের জন্য এবং অন্যটি দুই মহিলার জন্য। এরপর তরুণীর অভিযোগ, কমেডিয়ান নিজে মদ্যপান করেন এবং ওই দুই মহিলাকেও মদ্যপান করতে বাধ্য করেন। তারপরই অন্য মহিলাটি ঘর থেকে চলে গেলে সুযোগ বুঝে তরুণীকে ধর্ষণ করেন খয়ালী।
এই ঘটনায় পুলিস আম আদমি পার্টির মুখপাত্র যোগেন্দ্র গুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে এই বিষয়ে যোগেন্দ্র গুপ্ত বলেন, 'আপ-এর লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। খয়ালী তাঁদের মধ্যে একজন। সে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কী করছে তার দায় পার্টি কেন নেবে?'
এক যুবকের মোবাইল(Mobile Theft) কেড়ে নিয়ে তাঁকেই চোর বলে মারধর দুই ছিনতাইবাজের। আশেপাশের লোকজনকে আক্রান্ত যুবক বলার চেষ্টাও করলেও সুবিধা হয়নি। গণপ্রহারও খেতে হয়েছে আক্রান্ত যুবককে। পরে ওই যুবকের ক্রমাগত প্রতিবাদ এবং এক পরিচিতর কথা শুনে দুই ছিনতাইবাজকে চেপে ধরে জনতা। উলটে ওই দুই ছিনতাইনাজ বলে, 'আক্রান্ত যুবক চোর নয়। তারাই বরং মোবাইল চুরি করে পালাচ্ছিল।' একথা স্বীকার করতেই আরও বেশি করে লাথি, ঘুষি, জুতোপেটা খেতে হয়েছে দুই ছিনতাইবাজকে। রাজস্থানের(Rajasthan) জয়পুরের এই ঘটনার পরেই পুলিসের(Police) হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্ত দুজনকে।
জানা গিয়েছে, রাস্তায় ফোনে কথা বলতে বলতে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক যুবক। রাস্তায় ভিড় বাড়তেই আচমকা যুবকের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে পালায় ছিনতাইবাজরা। যুবকও ছিনতাইবাজদের পিছনে ছুটে এক জনকে ধরে ফেলেন। একজনকে ধরে ফেলায় ছিনতাইবাজরা যুবককে উদ্দেশ্য করেই ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার শুরু করে দেয়।
যুবককে জাপটে ধরেও ফেললেন তাঁরা। এই শুনে উত্তেজিত জনতাও যুবককেই চোর ভেবে মারধর করতে শুরু করেন। এই পরিস্থিতি চলাকালীন ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভিড় দেখে থেমে যায় যুবকের এক পরিচিত। তখন ওই ব্যক্তি উত্তপ্ত জনতাকে বলেন, 'ওই যুবক চোর নয়।' তখন যুবক চিৎকার করে বলেন, 'আপনারা ভুল ভাবছেন, এই দু’জনই আমার মোবাইল চুরি করে পালাচ্ছিল। ধরতেই আমাকে পাল্টা চোর বলে মারতে শুরু করে।'
রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে চিতাবাঘের (Leopard Attack) হামলায় মৃত্যু দেড় বছরের এক শিশুর। বাড়ির সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় খুদের পরিবার সেই বন্যপ্রাণকে তাড়া করে। শিশুকে (Child Death) ফেলে পালালেও হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সেই খুদের।
জয়পুরের জামওয়া রামগড় এলাকার এই ঘটনায় এখনও আতঙ্ক। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে খেলছিল শিশুটি। সন্ধ্যার অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অতর্কিতে ওই বাড়ির সামনে হানা দেয় চিতাবাঘ।
শিশুর উপর হামলে পড়ে, তাকে কামড়ে, টেনে-হিঁচড়ে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটি কেঁদে ওঠে। তার কান্না শুনে ছুটে আসেন অন্যরা। বাঘটিকে তাড়া করলে শিকার ছেড়ে জঙ্গলের পালায় সে। শিশু তখনও জীবিত থাকলেও, গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শিশুর। বন দফতর সূত্রে খবর, চিতাবাঘটি ক্ষুধার্ত ছিল। সেই কারণেই জঙ্গল ছেড়ে খাবার খুঁজতে খুঁজতে সে লোকালয়ে ঢোকে। সন্ধ্যায় শিশুটিকে একা পেয়ে আক্রমণ করে। জানা গিয়েছে, রামগড় লাগোয়া জঙ্গল থেকেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘ।