Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Rajasthan

Camel: রেগে গিয়ে মালিকের মাথা কামড়ে আছাড় উটের, পাল্টা প্রহারে ঘাতক চারপেয়ের মৃত্যু

পোষ্য উট (Camel) খেপে যাওয়ায় বিপত্তি। প্রবাদ বাক্য রয়েছে উট রেগে গেলে মালিকেরও নিস্তার নেই। আর সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটল রাজস্থানের (Rajasthan) বিকানিরের পঞ্চু গ্রামে। মালিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মালিকের মাথা চিবিয়ে, তারপর মাটিতে আছাড় মারে পোষ্য উট। আর তাতে প্রাণ (Death) গেল মালিকের। কিন্তু সেখানে উপস্থিত মানুষদের হাত থেকে রেহাই পায়নি উটটি। গাছে বেঁধে লাঠিপেটা করা হল উটটিকে। মৃত্যু হয় সেই পোষ্যরও।

কী হয়েছিল? থার্মোমিটারে পারদ ঘোরাফেরা করছে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রির আশপাশে৷ প্রবল গরমের সঙ্গে গোদের উপর বিষফোঁড়া তীব্র জলকষ্ট৷ এর মধ্যেই পোষা উটের পায়ে দড়ি বেঁধে রোদে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন মালিক উজারাম৷ পাশ দিয়ে আরও অনেক উট চলে যেতে দেখে সেই উটটিও বাঁধন খুলে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু বাঁধন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছিল না। এরপর রেগে গিয়ে খুঁটি উপড়ে পালাতে চায় উটটি। মালিক এগিয়ে যেতেই আরও রেগে আগুন!

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উটটি মালিকের মাথা কামড়ে তাঁকে শূন্যে তুলে ফেলে। সেই অবস্থায় ছটফট করছিলেন মালিক। তারপরেই উটটি মালিককে আছাড় মারে মাটিতে। মালিকের মাথা ছিল উটের মুখে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উটের মালিকের।

এরপর শোরগোল পড়ে যায় ঘটনায়। আরও অনেকের উপর হামলা করতে পারে ভেবে উটকে ধরার জন্য ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। উটকে যখন বাগে আনে ততক্ষণে উট শান্ত হয়ে যায়। তবুও মরুভূমির জাহাজকে গাছে বেঁধে লাঠি দিয়ে গণপ্রহর করা হল। সেই লাঠিপেঠা সহ্য করতে না পেরে উটটি সেখানেই মারা যায়।

one year ago
Rajasthan: জয়পুরে রক্তপাত! বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বন্দুকবাজের সঙ্গে পুলিসের গুলির লড়াই, আহত ৩ দুষ্কৃতী

পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moose Wala) মূল হত্যাকারী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) সর্বদা খবরের শিরোনামে। কখনও জেলে থাকাকালীনই সলমনকে ভরা এজলাসে খুনের হুমকি দেওয়ার জন্য বা কখনও হুমকি চিঠি পাঠানোর জন্য। এবার রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বন্দুকবাজদের সঙ্গে পুলিসের বন্দুকযুদ্ধ। ঘটনাটি ঘটে সোমবার গভীর রাতে। এই বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন দুষ্কৃতী আহত হয়েছে বলে খবর।

পুলিস সূত্রে খবর, গ্যাংয়ের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে আগ্রা থেকে নিয়ে আসার সময় ঘটনাটি ঘটে। দুষ্কৃতীরা নিরাপত্তারক্ষীদের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর পুলিস পাল্টা হামলা শুরু করে। তাতেই তিনজন আহত হয়। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে ২৭ জানুয়ারি, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন মূল অপারেটরকে পঞ্জাব পুলিসের অ্যান্টি-গ্যাংস্টার টাস্ক ফোর্স গ্রেফতার করেছিল। তার কাছ থেকে একটি .৩০ ক্যালিবার, চিনের তৈরি পিস্তল এবং ছয়টি তাজা কার্তুজও উদ্ধার করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত রাজবীর সিং ওরফে রবি রাজগড় হিসাবে পরিচিত। গত ১৩-১৪ বছর ধরে লরেন্স বিষ্ণোই এবং কানাডা-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে খবর। তাদের নির্দেশেই অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল রাজবীর।

one year ago
Rajasthan: চোখের নিমেষে ভেঙে পড়ল পুরোনো বাড়ি! পরিবারের ৫ জনের প্রাণ বাঁচাল ইঁদুর

ইঁদুরের (Rat) জন্য প্রাণ রক্ষা একই পরিবারের পাঁচ জনের। শুনে ভাবতেই পারেন, ইঁদুর কীভাবে মানুষের প্রাণ বাঁচাল। এও কি সম্ভব? সাধারণত ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন সকলে। ইঁদুর ধরার জন্য নানাধরনের ফাঁদও পাতেন। কিন্তু সেই ইঁদুরের তাণ্ডবে মরতে মরতে বেঁচে যাবেন তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি রাজস্থানের (Rajasthan) ধৌলপুর জেলার সিকরৌদা গ্রামের বাসিন্দা ওমপ্রকাশ ও তাঁর পরিবার।

জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে তাঁরা থাকতেন তা বহু পুরনো। শনিবার রাতে ওমপ্রকাশ বাড়ির দোতলার একটি ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ ইঁদুরের খুটখাট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। কোথায় রয়েছে ইঁদুর খুঁজতে শুরু করেন ঘুম থেকে উঠে। তখনই আচমকা বাড়ির দেওয়াল থেকে মাটি খসে পড়ার আওয়াজ পান ওমপ্রকাশ। বুঝতে পারেন বড়সড় বিপদ ঘটতে চলেছে।

তড়িঘড়ি দৌড়ে নিচে নেমে যান। বাড়ির সকলকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। এরপর সোজা সকলকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান। বাড়ির বাইরে বেরোতেই দোতলা বাড়ির একাংশ হুড়মুড়িয়ে চোখের সামনে ভেঙে পড়ে। নিমেষের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়। ভয়ে শিউরে ওঠেন তাঁরা।

ওমপ্রকাশ বলেন, “ভাগ্যিস ইঁদুরের উৎপাতে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। না হলে চাপা পড়ে মৃত্যু হত আমাদের। ইঁদুরের জন্যই আমরা প্রাণে বাঁচলাম। এখনও বিষয়টি ভাবলে শিউরে উঠছি।” 

one year ago


Rajasthan: স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে বাস! 'পথের কাটা' শিশুকন্যাকে খুন করে গ্রেফতার মা

নির্দয় মা! অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রাজস্থানের (Rajasthan) শ্রীগঙ্গানগর জেলা। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে (Child) খুন (Murder) করে ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম সুনীতা এবং তাঁর প্রেমিক সানি। দু'জনকেই পুলিস ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করেছে।

ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। প্রাথমিক অনুমান, সুনীতা পরিকল্পনামাফিক সোমবার মধ্যরাতে তিন বছরের মেয়ে কিরণকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তারপর প্রেমিক সানির পরামর্শে মেয়ের দেহ বিছানার চাদরে জড়িয়ে শ্রীগঙ্গানগর রেল স্টেশনে যান।

শ্রীগঙ্গানগর থানার পুলিস সুপার আনন্দ শর্মা জানান, অভিযুক্তরা মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শ্রীগঙ্গানগর স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ধরেন। ট্রেন ফতুহি রেলওয়ে স্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় যখন সেতুর উপর দিয়ে পৌঁছয়, তখন নাবালিকার দেহ চলন্ত ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেন সুনীতা এবং সানি।

সূত্রের খবর, সুনীতা এবং সানি ভেবেছিলেন মেয়ের দেহ খালের মধ্যে পড়বে। কিন্তু রেললাইনের কাছে পড়ে দেহটি। মঙ্গলবার সকালে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ শনাক্ত করার পর, পুলিস সুনীতাকে খুঁজে বের করে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তিনি মেয়েকে খুন করার কথা স্বীকার করেন বলে পুলিস সূত্রে খবর। এরপরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।

উল্লেখ্য, সুনীতার মোট পাঁচ সন্তান। তার মধ্যে তিন সন্তান স্বামীর সঙ্গে থাকে। আর দুই কন্যাকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন মহিলা।

one year ago
Rajasthan: ট্রলারের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষ, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৪ জনের

ফের পথ দুর্ঘটনা (Accident)। ট্রলারের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু (Death) হয়েছে ৪ জনের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজস্থানের (Rajasthan) বান্দনওয়ারা শহরের কাছে ভিলওয়াড়া-আজমের হাইওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের নাম হাওয়া সিং, সন্দীপ সিং, শের সিং, সত্যবীর। তাঁরা মহাকাল দর্শন করে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে কোতপুতলি ফিরছিলেন। ভিলওয়াড়া থেকে জয়পুরের দিকে যাওয়ার সময়, তাঁদের দ্রুতগামী গাড়িটি জাতীয় সড়ক ৪৮-এ একটি সরকারি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের সামনে পার্ক করা একটি ট্রলারকে ধাক্কা মারে।

সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিসে খবর দেয়। চৌকির ইনচার্জ গিরিধারী সিং মেজাপ্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলি গাড়ি থেকে বের করে আনেন। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, বেশিরভাগ ট্রলারগুলি হাইওয়ের রাস্তার ধারে পার্ক করা হয়। যার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। গত মাসেও, একটি বাস একটি ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা মারে। তাতে অনেক যাত্রী আহত হয়েছিল।

one year ago


Rajasthan: বিয়েবাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম বর সহ ৬০ জন, মৃত ৪

বিয়েবাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (explosion)! পরপর পাঁচটি গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট (Gas Cylinder Blast) করে মৃত্যু (Death) হল দুই শিশু-সহ চার জনের। আগুনে আহত হয়েছেন ৬০ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, আহতদের শরীরের ৮০-৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুরের একটি বিয়েবাড়িতে।

জানা গিয়েছে, সেখানকার ভুংরা গ্রামে বিয়ে উপলক্ষে ওই বাড়িতে প্রচুর লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সকলেই বিয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে আনন্দ পরিণত হল শোকে। জোরালো একটি শব্দ। এরপর পরপর আরও কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ। আগুন ধরে যায় গোটা বিয়েবাড়িতে। ঝলসে যান বরযাত্রীদের মধ্যে ৬০। আর মৃত্যু হয় ২ শিশু সহ চারজনের। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই জোরালো ছিল যে, বাড়ির একাংশ ভেঙে যায়।

পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, কোনও কারণে গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বর নিজেই আহত হয়েছেন আগুনে পুড়ে। এছাড়া পাত্রের মা,বাবা সহ মোট ৬০ জন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। তার মধ্যে ৪২ জনকে এমজিএইচ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।

জোধপুরের পুলিস সুপার (গ্রামীণ) অনিল কয়াল জানিয়েছেন, “পাঁচটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। রান্না করার সময় একটি সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক হয়। আর সেখান থেকেই আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময় বাড়ির ভিতরে ১০০ জন অতিথি ছিলেন।”

one year ago
Rajasthan: সাব-ইনস্পেক্টর পদে চাকরি! বোনকে কাঁধে চড়িয়ে গ্রাম ঘুরলেন দুই দাদা

বোনের সাফল্য, আনন্দে আত্মহারা দুই দাদা। গ্রামের বেড়াজাল টপকে গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন রাজস্থানের (Rajasthan) বাড়মের জেলার ছোট গ্রাম সরণুর বাসিন্দা হেমলতা জাখড়। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন কৃষকের মেয়েটি। বর্তমানে তিনি সাব-ইনস্পেক্টর (Sub Inspector)। গ্রামবাসী গর্বিত হেমলতার সাফল্যে। গ্রামের অন্য মেয়েদের জন্য নজির সৃষ্টি করলেন বলে গ্রামবাসীরা জানান।

পুলিস আধিকারিক হয়ে গ্রামে পা রাখতেই ফুল ছড়িয়ে স্বাগত জানান গ্রামবাসীরা। এমনকি হেমলতার দুই দাদা বোনকে কাঁধে তুলে নিয়ে গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ান। গ্রামের মেয়েরা এখনো গ্রামের মধ্যেই আবদ্ধ। মনে বাসনা থাকলেও সেই গণ্ডি টপকানোর সাহস কেউ দেখায়নি। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে উচ্চশিক্ষার জন্য গ্রামের বাইরে পা রেখেছিলেন হেমলতা। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে তা পূরণ করে তবেই ফিরলেন গ্রামে।

এক সাক্ষাৎকারে হেমলতা বলেন, “গ্রামেরই একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। তার পর নবম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাইরের একটি স্কুলে ভর্তি হতে হয়েছিল। রোজ ১৪ কিলোমিটার হেঁটে যেতাম সেখানে।” অভাবের সংসারে কোনওভাবে চলত তাঁদের। বাবা চাষ করেন। ছোটবেলা থেকেই কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখতেন হেমলতা। তিনি বলেন, “ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল পুলিস হব। ওই উর্দিটা আমাকে আকৃষ্ট করত। আর সেই উর্দি গায়ে তোলার জন্য দিনরাত এক করে কেটেছি।”

হেমলতা আরও জানিয়েছেন,গ্রামের মধ্যে তিনিই প্রথম সাব-ইনস্পেক্টর। এর আগে  কোনও পুরুষ বা মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর হননি। পুলিসেও চাকরি পাননি। হেমলতার বাবা বলেন, “মেয়ে পুলিসের চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে শুনে গ্রামবাসীরা নিত্যদিন হাসি-ঠাট্টা করতেন। কিন্তু মেয়ের প্রতি আমার ভরসা ছিল একদিন ও পুলিস অফিসার হবে এবং পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে।”

one year ago
Ajmer: দিল্লির ঠাসা কর্মসূচির ফাঁকে আজমের শরিফে মমতা-অভিষেক, জানুন স্থান মাহাত্ম্য

প্রসূন গুপ্ত: মূলত রাজপুতানা সংস্কৃতির স্থান বলে খ্যাত আজমের। অনেকেই এই শহরটিকে আজমির বলে ভুল উচ্চারণ করে থাকলেও রাজস্থানিরা এই শহরকে আজমের বলেই জানেন। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর থেকে বাসে এক থেকে দেড় ঘন্টার পথ। একসময় ন্যারোগেজের রেলগাড়ি চলতো বর্তমানে রাস্তা চওড়া হয়েছে। আজমেরকে অনেকে তীর্থস্থান হিসাবে দেখলেও আসলে এটা একটি আদি শহর। এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচুর অফিস আছে ফলে অনেক বাঙালির বাস এখানে। তবে এটা সত্যি যে আজমেরে ইসলাম ধর্মীয়দের যে মাজার বা মসজিদ আছে তা সত্যি দর্শনীয়।

মক্কার পরে এত বড় মসজিদ আর কোথাও নেই। আগে পাকিস্তান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যখন ভারতে আসতেন, তারা অবশ্যই আজমের শরিফে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে এসে মাজারে চাদর ছড়িয়েছেন। তবে আজমের মসজিদে বা শরিফে রোজ যত মুসলমান যায় তার তিনগুন হিন্দু রোজ এই শরিফে যান। এখানে ধর্ম বড় বিষয় নয়, খালি যেই প্রবেশ করবে তার মাথা ঢেকে ঢুকতে হবে। ভিতরে প্রবেশ করলে অজস্র জলের কল আছে, সেখানে হাত পা ধুয়ে মূল মাজারে প্রবেশ করতে হবে। মজার বিষয় এই যে, এখানে একমাত্র প্রসাদ বিতরণ হয়ে থাকে। ছোট প্যাকেটে নকুলদানা ইত্যাদি খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যেতে পারে।

এছাড়া খিচুড়ি বা পোলাওয়ের মিশ্রনে (এক অদ্ভুত নিরামিষ চাল ডালের মিশ্রণ) প্রসাদ পাওয়া যায়। একেবারে বড় পুজো মণ্ডপের প্রসাদের স্বাদ সঙ্গে ঘি গরম মশলাও থাকে। একটি উঁচু উনোনে (প্রায় বারো চোদ্দ ফুট) সুবিশাল কড়াইতে এই রান্না হয়ে থাকে যা রন্ধনের সময়ে আপনি সিঁড়ি দিয়ে উঠে দর্শন করতে পারেন। কেন মসজিদে প্রসাদ এই প্রশ্নের উত্তরে এক কর্মচারীর উত্তর, মূলত হিন্দু দর্শনার্থীরা আসেন। তাঁদের প্রসাদ তো দিতে হবে।

একইসঙ্গে এই শরিফের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে হিন্দুদের একমাত্র ব্রহ্মা দেবের মন্দির পুষ্কর। এখানেও প্রচণ্ড ভিড় হয় এবং এখানেও সর্বধর্মের মানুষের প্রবেশ ঘটে। মঙ্গলবার পূর্ণিমার দিনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যকে নিয়ে এই দুই ধর্মীয় স্থানে যাচ্ছেন।

one year ago


Murder: কোটি টাকার বিমা! স্ত্রীর মৃত্যুকে 'সাজানো দুর্ঘটনা' দেখিয়ে পুলিসের জালে জয়পুরের ব্যক্তি

এ যেন পুরো সিনেমার গল্প। দুর্ঘটনায় স্ত্রী মারা গেলে প্রায় ২ কোটি টাকা পাবেন স্বামী। আর সেই টাকার লোভেই স্বামী পথ দুর্টনার গল্প সাজিয়ে হত্যা করলেন স্ত্রীকে। আর হত্যার (Murder) ছক যেভাবে কষেছেন, তা সিনেমার স্ক্রিপ্টের চেয়ে কোনও অংশে কম না। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম মহেশ চাঁদ। আপাতদৃষ্টিতে এটি পথদুর্ঘটনা (Road Accident) মনে হয়েছিল সকলের। পরে পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে পুরো ঘটনাটিই পূর্ব পরিকল্পিত।

জানা গিয়েছে, ১.৯০ কোটি টাকার বীমা পাওয়ার জন্য অভিযুক্ত স্বামী একটি এসইউভি গাড়ি ভাড়া করেছিলেন। এরপর একপ্রকার স্ত্রীকে মিথ্যে মানতের কথা বলে মন্দিরে পাঠান। মহেশের অনুরোধে তাঁর স্ত্রী শালু, খুড়তুতো ভাইয়ের বাইকে চেপে মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন। সেসময় পরিকল্পনা মতো গাড়িটি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে বাইকটিকে। অসমর্থিত একটি সূত্র এই দুর্ঘটনায় শালু ও তাঁর তুতো ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করলেও পুলিস সূত্রে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে ৫ অক্টোবরের। হত্যার আগে মহেশ চাঁদ তাঁর স্ত্রীকে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার বীমাও করিয়েছিলেন। সেই বীমার শর্ত ছিল বিমাকারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ১ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পাবেন মহেশ। পুলিসের অনুমান, এই টাকার লোভ সামলাতে পারেননি মহেশ। তাই আঁটঘাট বেঁধে স্ত্রীকে মারার পরিকল্পনা করেন। মহেশ এরপর মুকেশ সিংহ রাঠৌর নামে এক কুখ্যাত ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেন। শালুকে মারার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন মুকেশ। মহেশ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন মুকেশকে।

ডিসিপি বন্দিতা রানা জানিয়েছেন, মহেশ ও তাঁর স্ত্রী শালুর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। শালু ২০১৯ সালে মহেশের বিরুদ্ধে যৌতুক নিয়ে তাঁকে হয়রানি করার অভিযোগ জানিয়ে মামলাও করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয় মহেশকে। কিছুদিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান তিনি।

পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে, মহেশ তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন যে, একজন পণ্ডিত বলেছেন প্রত্যেকদিন ১ বার করে ১২ বার মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করলে সুখী দাম্পত্য জীবনযাপন করতে পারবেন। স্বামীর চাপে শালু তাঁর ভাই রাজুর মোটরসাইকেলে করে মন্দিরে যান। পিছনে পিছনে যায় ভাড়া করা এসইউভি গাড়িটি। তার পিছনে বাইকে করে সমস্ত বিষয়টির উপর নজর রাখছিলেন মহেশ। ভোর ৪টে ৪৫ নাগাদ শালুর বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে গাড়িটি।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শালুর। দূর থেকে দেখে মহেশ বাইক ঘুরিয়ে চলে যান। পুলিস সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষয়টি বুঝবে পারেন, এটি সাজানো ঘটনা। এই মামলায় পুলিস মহেশ, রাজু, মুকেশ সিং রাঠোর, সোনু সিং এবং রাকেশ বৈরওয়া সহ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

one year ago
Rajasthan: হিংস্র না নির্মমতা, নাবালিকাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে অপহরণ, যৌন নিগ্রহ এবং খুন

কতটা নৃশংস হলে এমনটা করা যায়? হিংস্র মানসিকতার মানুষের থেকে রেহাই পেল না ন’বছরের নাবালিকাও (Girl Murder)। প্রথমে খাবারের লোভ দেখিয়ে অপহরণ, তারপর যৌন নিগ্রহ (sexual harassment)। শেষে শ্বাসরোধ করে খুন। এখানেই থামেনি অভিযুক্ত ব্যক্তি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে থেঁতলে দিল নাবালিকার শরীর। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) শ্রী গঙ্গানগর জেলায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। মৃতার বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন এবং পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল ওই নাবালিকা। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিস। বুধবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস।

বুধবার পুলিস সুপার আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘ স্থানীয়দের অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে মঙ্গলবার ওই নাবালিকাকে এক ব্যক্তির সঙ্গে শেষ দেখা গিয়েছিল। এমনকি অনেকে দেখেছিলেন ওই মেয়েটিকে খাবার কিনে দিচ্ছিলেন দোকান থেকে। মৃতাকে লোভ দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে।’’

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে কাপড়ের টুকরো দিয়ে ওই নাবালিকার শ্বাসরোধ করা হয়। পরে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় শরীর। তবে অনুমান, খুনের আগের  যৌন নির্যাতনও করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পরই তা নিশ্চিত হয় যাবে বলে জানা যায়। নাবালিকার বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় নাবালিকার দেহ।

ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্তকে খুঁজতে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিসের তদন্তকারী দল।

one year ago


Rajasthan: গুলিতে নিহত সেনা অফিসার, পুলিস সহ ৩, নিখোঁজ অভিযুক্ত

রাজস্থানের (Rajasthan) ভরতপুর (Bharatpur) জেলায় গুলির (firing) ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিন ভাই। গুরুতর আহত আরও তিনজন। প্রথমে মদ্যপান নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে সেই ঝগড়া কার্যত ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করে। অভিযোগ, একজন অভিযুক্ত অন্যজনের বাড়িতে ঢুকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর গুলি চালায়।

নিহত গজেন্দ্র রাজস্থান আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (আরএসি)-তে কর্মরত ছিলেন। এবং নিহত আর দুই জনের মধ্যে একজন পুলিস কনস্টেবল পদে ছিলেন। ঘটনাটি কুমহের থানা এলাকায় ঘটেছে।

পুলিস সূত্রে খবর, ওই এলাকায় লখন সিং নামে পরিচিত একজন ব্যক্তি তাঁর সহযোগীর সঙ্গে বিবাদের জেরে উত্তপ্ত হয়ে বন্ধুর পরিবারের উপর গুলি চালায়। ওই পরিবারের গজেন্দ্র,সমুন্দর ও ঈশ্বর ঘটনাস্থলেই মারা যান। এবং একজন মহিলা সহ আরও তিনজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পুলিস একটি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যায়। আহতদের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে জয়পুরে রেফার করা হয়।

লখন সিং মৃত গজেন্দ্র সিং-এর ছেলে টনির সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু পানীয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর চিত্রটাই বদলে যায়।

ভরতপুরের এসএসপি অনিল মীনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "ঘটনায় নিহত এবং অভিযুক্তের বাড়ি পাশাপাশি অবস্থিত। মৃত গজেন্দ্রের ছেলে টনি এবং অভিযুক্ত লখন সিং বন্ধু ছিলেন। কিন্তু গত ২৪ নভেম্বর মদ্যপান করার সময় উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়।। পরে তা মিটেও যায়। কিন্তু চাপা রাগ রয়ে যায় লখনের। তাই সুযোগ বুঝে লখন টনির পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, এতে তিনজন নিহত হয়।"

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, লখন সিং একজন ওয়ান্টেড অপরাধী এবং তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সিং এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।

এদিকে, ঘটনাটি আতঙ্কের সৃষ্টি হওয়ায় ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

one year ago
Crime: রাজস্থানে শোরগোল! স্কুলের মধ্যেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে গুলি, অভিযুক্ত নবমের পড়ুয়া

আজকাল আগ্নেয়াস্ত্র (Gun) থাকা যেন কোনও ব্যাপারই নয়। ছোট থেকে বড় সকলের কাছেই এখন আগ্নেয়াস্ত্র। এমনকি স্কুল ছাত্রের (School Student) কাছেও। আর তার পরিণতি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা শুক্রবারে রাজস্থানের (Rajasthan) ঢোলপুরের ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে স্পষ্ট।

স্কুলের মধ্যে চলল গুলি। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত নবম শ্রেণির এক ছাত্র। এই গুলি চলার ঘটনায় আহত সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র।  জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই কিশোর সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঢোলপুর জেলার মৌরলি গ্রামের ওই সরকারি স্কুলের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক। আহত ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, স্কুলের মধ্যে বন্দুক এলো কোথা থেকে? একজন স্কুল ছাত্র বন্দুকটি পেল কীভাবে? এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

ইতিমধ্যে আহত ছাত্রের পরিবার, অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। কী নিয়ে ওই দুই ছাত্রের মধ্যে ঝামেলা তা জানার চেষ্টা করছে। ঝামেলার জেরে এত বড় দুর্ঘটনা? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

2 years ago
Rajasthan: স্ত্রী অদলবদল খেলায় রাজি না হওয়ার খেসারত! স্বামীর নির্যাতনের শিকার এক মহিলা

মর্মান্তিক ঘটনা! 'স্ত্রী অদলবদল' গেমে (wife swap game) অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় মহিলার কপালে জুটল স্বামীর অত্যাচার (assault)। শুধু তা নয়, জোর করে তাঁর সঙ্গে স্বামী ‘অস্বাভাবিক’ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) বিকানিরের এক হোটেল রুমে। তবে মামলা দায়ের ভোপালে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযোগকারীর স্বামী বিকানিরের এক পাঁচতারা হোটেলে ম্যানেজার। সেখানেই একটি রুমে আটকে রাখেন ওই মহিলাকে। এমনকি ফোনও ছিনিয়ে নেন তাঁর স্বামী। এরপর দু'দিন পর মদ্যপ অবস্থায় ওই হোটেল রুমে এসে মহিলার সঙ্গে জোর জবরদস্তি করেন অভিযুক্ত। স্ত্রী অদলবদল গেমে অংশগ্রহণ করতে জোর করতে থাকে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁর সঙ্গে বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করেন। ওই অভিযোগকারী আরও বলেন, তাঁর স্বামী বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে তো বটেই, ছেলেদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁর স্বামী উভকামী। তিনি স্বামীর আচরণে আঘাত পেলেও স্ত্রী অদলবদল খেলার অংশ হতে রাজি হননি।

পুলিসের কাছে অভিযোগ, মহিলার শাশুড়ি, স্বামী এবং ভগ্নিপতি ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন। তিনি স্বামীর কীর্তির কথা শ্বশুরবাড়িতে জানান। কিন্তু তাঁরা সেভাবে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতেন না। উল্টে তাঁকেই 'আধুনিক' হতে বলতেন। অভিযোগকারী বলেন, আহত হওয়ার পরে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। এবং কয়েক মাস ধরে শারীরিক আক্রমণ অব্যাহত ছিল। পরে তাঁর আত্মীয়রা জানতে পেরে তাঁকে বাপেরবাড়ি নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামী, শাশুড়ি এবং তাঁর ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনের ৩৭৭ , ৪৯৮-এ (বধূ নির্যাতন), ৩২৩, ৫০৬, ৩৪, ৩/৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


2 years ago


Lumpy virus: পশ্চিম ভারতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে লাম্পি স্কিন ভাইরাস, গরুর মড়কে জেরবার

উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বাড়ছে ‘লাম্পি স্কিন’ (Lumpy Skin) রোগের দাপট। গরুর মড়কে জেরবার গুজরাট (Gujarat) থেকে রাজস্থান (Rajasthan)। এই বিরল চর্মরোগে দুই রাজ্য মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে হাজারেরও বেশি গরুর। এবার মহারাষ্ট্রেও দেখা গিয়েছে এই ভাইরাসের আক্রমণ। মহারাষ্ট্রের (Maharastra) ২৫ জেলায় শনিবার পর্যন্ত ১২৬টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।

একদিকে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর (African Swine Fever) রুখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হত্যা করা হচ্ছে শূকরদের (Pig)। এর মধ্যেই একাধিক রাজ্যে গরুর মড়ক (Death of Cow) নিয়ে উদ্বেগে প্রশাসন। মহারাষ্ট্রের পশুপালন দফতর একটি বিবৃতিতে দিয়ে জানায়, গাভি, বলদ ও অন্যান্য গবাদি পশুদের মধ্যে এই সংক্রমণ বেশি ছড়াতে দেখা গিয়েছে। আতঙ্কে ভুগছেন পশুর মালিকরা। যাদের অধিকাংশই কৃষক। যদিও ভাইরাস রুখতে টিকাকারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

লম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) হল একটি সংক্রামক ভাইরাল রোগ। যা গবাদি পশুকে প্রভাবিত করে এবং জ্বর, ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগটি মশা, মাছি, উকুন, ভেপ এবং গবাদি পশুর সরাসরি সংস্পর্শে এবং দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে ছড়ায়।

প্রধান উপসর্গগুলি হল পশুদের মধ্যে জ্বর, চোখ ও নাক থেকে স্রাব, মুখ থেকে লালা পড়া, সারা শরীরে নডিউলের মতো নরম ফোসকা, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়া এবং খেতে অসুবিধা যা কখনও কখনও পশুকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

2 years ago
Rajasthan: করোনা-মাঙ্কিপক্সে রক্ষা নেই লাম্পি ভাইরাস দোসর! রাজস্থানে ৭ জেলায় আতঙ্ক

করোনাভাইরাস (Coronavirus), মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) জোড়া থাবায় দেশ জেরবার। এই আবহে এবার লাম্পি ভাইরাসকে (Lumpy virus) ঘিরে উদ্বেগ বাড়ল। তবে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে গবাদি পশুরা। লাম্পি চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি গরুর মৃত্যু ঘটছে রাজস্থানের (Rajasthan) সাতটি জেলায়। এর মধ্যে রাজস্থানের (Rajasthan) বেশ কয়েকটি জেলায় এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৩৬টি গবাদি পশু মারা গিয়েছে। ২৫টি জেলার ২,৬০০টি গ্রামে ২৫,০০০-এর বেশি গরু সংক্রমিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, সবমিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ গবাদি পশু বর্তমানে সংক্রমিত হয়েছে। ভাইরাসের বিপর্যয়কর প্রভাব শুধু প্রাণীদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না, এটি দুধ উৎপাদন ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যবসাকেও প্রভাবিত করেছে। আক্রান্ত জেলাগুলির মধ্যে আলিগড়, মুজাফফরনগর এবং সাহারানপুরে সর্বাধিক সংখ্যক সংক্রমিতের খবর পাওয়া গিয়েছে। একই সময়ে, ভাইরাসটি মথুরা, বুলন্দশহর, বাগপত, হাপুড়, মিরাট, শামলি এবং বিজনোরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

লম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) হল একটি সংক্রামক ভাইরাল রোগ। যা গবাদি পশুকে প্রভাবিত করে এবং জ্বর, ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগটি মশা, মাছি, উকুন, ভেপ এবং গবাদি পশুর সরাসরি সংস্পর্শে এবং দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে ছড়ায়।

প্রধান উপসর্গগুলি হল পশুদের মধ্যে জ্বর, চোখ ও নাক থেকে স্রাব, মুখ থেকে লালা পড়া, সারা শরীরে নডিউলের মতো নরম ফোসকা, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়া এবং খেতে অসুবিধা যা কখনও কখনও পশুকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

2 years ago