যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং রুখতে উপাচার্যকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনে গিয়েছিলেন যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যপালের তৈরি করা অ্য়ান্টি ব়্যাগিং কমিটির প্রধান শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। সেখানে ব়্যাগিং রোধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। এছাড়াও একাধিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগেও রাজভবনে কোর্টের বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। যদিও নিজের বাসভবনে ওই বৈঠক ডাকায় শুরু হয়েছিল বিতর্ক। রাজ্যপাল নিজের বাসভবনে ওই ধরনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকতে পারেন কিনা সেনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। ওই বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
যাদবপুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জলঘোলা চলছে। ছাত্র মৃত্যুর পর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে। সিসিটিভি বসানো সহ বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক দাবি ওঠে।
রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) উপস্থিতিতে এনসিসি প্রতিনিধিরা প্যারেড করে ওই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। যদিও রাজভবনে ওই অনুষ্ঠানে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গ দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিল সেখানে। বসে আঁকো সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর শুভেচ্ছাবার্তা পড়ে শোনান রাজ্যপাল।
রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন না করার জন্য রাজ্যপালকে সোমবারই চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও রাজ্যপালের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হচ্ছে। ফলে এই ঘটনাকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এবিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, সব রাজ্য তৈরি হওয়ার পিছনে একটা নির্দিষ্ট দিন রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বিষয়টিকে ঘেঁটে দিতে চাইছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
রাজীব সিনহাকে (Rajiv Sinha) রাজভবনে (Raj Bhavan) তলব রাজ্যপাল (Governer) বোসের। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার তাঁকে ফোন করে রাজভবনে দেখা করার কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও তিনি আজ যেতে পারবেন না বলেই জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় আজ যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভাঙড়ে মনোনয়ন পর্বের অশান্তির শুরু থেকে মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। মনোনয়ন পর্ব মিটলে শুক্রবার ভাঙড় পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল বোস। পরিবেশ নিয়ে কথা বললেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। রাজ্যপাল বোসকে পেয়ে সমস্ত অভিযোগ জানান আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
সূত্রের খবর, ভাঙড়ে এখনও দু'জন তৃণমূল কর্মী ও একজন আইএসএস কর্মী মৃত। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যপাল বোস। সূত্রের খবর, সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ ও মনোনয়ন পর্বে অশান্তির বিবরণ জানতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল বোস।
এছাড়া সূত্রের খবর, রাজভবনে আজ অর্থাৎ শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন এবং মনোনয়ন পর্বে অশান্তি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তাকে জানান। এছাড়া মনোনয়ন পর্বে হিংসার বলি কতজন সে সম্পর্কেও সমস্ত তথ্য দেন সুকান্ত মজুমদার।
মনোনয়ন (Nomination) জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় অশান্তি শুরু হয়েছে। সেকারণে রাজভবনে (RajBhavan) গিয়ে অভিযোগ করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং অগ্নিমিত্রা পল।
শনিবার সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি করেন। পাশাপাশি চুক্তির ভিত্তিতে যে সব কর্মীরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কাজ করছেন তাঁদেরকেও নির্বাচনের কাজে ব্যবহার না করার দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
পাশাপাশি সমস্ত বুথে সিসিটিভি লাগানোর দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হলেও কোনও কেন্দ্রে পুলিশকে দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে মনোনয়ন জমার প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। ডোমকল, বারাবনি, কোতুলপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা।
প্রসূন গুপ্তঃ নাহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্পের বিবরণ নয়। প্রতিবেদনটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপালের। যিনি অবশ্যই ধানকর নন, সিভি আনন্দ বোস। বেশ কয়েক বছর ধরে অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাতের খবর ছাপা হয়েছে। এ রাজ্যে তো ধানকর এবং রাজ্য সরকারের অম্ল সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ধানকরের মতো নিয়মিত বাকবিতন্ডা এর আগে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে ছিল কি? একসময় প্রায় প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে ধানকর সাহেব প্রেস ডাকতেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেন। নিয়মিত বিজেপি নেতাদের রাজভবনে যাওয়াটা একটা রুটিনে পরিণত হয়েছিল।
তৃণমূল মুখপাত্ররা, রাজভবনকে বিজেপির অফিস বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। অবশেষে ধানকর দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এরপরেই এ রাজ্যে আসেন উচ্চ শিক্ষিত প্রাক্তন আইসিএস সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সঙ্গে কথা না বলে রাজ্যপাল ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অমিত শাহকে ফোনে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন এমনটি হচ্ছে। শাহ জানিয়েছিলেন যে, যিনি খুব কাজের মানুষ, দিদির নিশ্চই পছন্দ হবে।
তারপর কিন্তু সময় কাটছিল দিব্বি। বোস প্রেস করা পছন্দ করতেন না বরং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রেখেই চলেছিলেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বোস যেতেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেন ভাষণে। কিন্তু ইদানিং সুর যেন একটু বেতাল হচ্ছিলো। বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্যপাল সরকারের কাজের বিরোধিতা করেছেন। প্রথমে নবান্নের পাঠানো সচিবকে তিনি বাতিল করেছিলেন। পরে শিক্ষা দফতরের বিষয়ে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন যা কিনা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বোসের আপত্তি ছিল। সম্প্রতি তিনি তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী (তিনি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও বটে) অস্থায়ী উপাচার্য ঠিক করেছিলেন যা ফের সংঘাতের স্থান নিয়েছিল ব্রাত্যর সঙ্গে। কিন্তু এবারে শেষ কাজটি প্রথমে অরাজি হয়েও মমতার পছন্দেই সিলমোহর দিলেন।
রাজ্য নির্বাচন প্রধান সৌরভ দাস অবসর নেন গত ২৮ মে। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করেন। আপত্তি জানান বোস। তিনি আরও নাম চেয়ে পাঠান। এরপর নতুন নাম যায় অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার অফিসার অজিতরঞ্জন বর্মনের। কিন্তু আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম পছন্দের রাজীবকেই দায়িত্ব নিতে জানান। বুধবার থেকে নির্বাচন প্রধান হলেন রাজীব সিনহা। মেঘ ও রৌদ্রের মধ্যেই চলেছে নবান্ন ও রাজভবনের সম্পর্ক।
সাপ্তাহিক কাজের হিসাব না পাওয়ায় কড়া পদক্ষেপ রাজভবনের (Raj Bhavan)। রাজ্য ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Cv Anand Bose)।
মঙ্গলবার রাজভবনের চিঠি যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠানের আচার্য হিসাবে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সাপ্তাহিক কাজের একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আরও সহজ করা এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থেই এই রিপোর্ট তলব। কিন্তু তেমন কোনও হিসাব রাজ্যপালকে পাঠাননি উপাচার্য। কেন আচার্যের নির্দেশ মানা হল না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেই কারণ জানাতে বলেছে রাজভবন।
রাজভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ মোট ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা রাজ্যপালের এই শো-কজ চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে তাঁদের রিপোর্ট না পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এই চিঠি পেতে পারে।
শরাফ হাউসে (Saraf House) আগুন লেগেছিল বুধবার। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। এবার ওই হাউসের সার্ভার রুম থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার এক বৃদ্ধের দেহ। শরাফ হাউসের আগুন লাগার ঘটনায়, রাজভবন (Raj Bhavan) থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল (Governer) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলও। সেই বিল্ডিংয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর সেই শরাফ হাউসের সার্ভার রুম থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধের মৃতদেহ। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শ্যাম সুন্দর সাহা নামে বছর ৬৫-এর এক ব্যক্তি। বহু খোঁজের পরেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই শ্যাম সুন্দরের দেহ উদ্ধার হল। সার্ভার রুমে পড়ে ছিল তাঁর ঝলসানো দেহ।
পুলিস সূত্রে খবর, দেহ এতটাই ঝলসে গিয়েছিল যে প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা সম্ভব হচ্ছিল না। শেষে তাঁর কাছ থেকে পাওয়া একটি আধপোড়া আইডেন্টি কার্ড থেকে নাম পরিচয় জানা যায়। শ্যাম সুন্দর উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২-৩ বছর আগে কাজ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু কর্মজীবনে ভাল কাজের জন্য অল্প মাইনে দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বেয়ারার কাজ করতেন ওই শরাফ হাউসে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে আচমকাই শরাফ হাউসে উপরের তলার ক্যান্টিনে আগুন লাগে। সেই আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে। জানা গিয়েছে, আগুন থেকে চারটি এসি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ফলে সেই আগুন আরও ভয়াবহ আকার নেয়। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাজপথে ধরণার পর এবার রাজভবনে (Raj Bhavan) অভিযান। দীর্ঘ ৭৬৮ দিন অবস্থান বিক্ষোভের (Demonstration) পর এবার রাজভবনে ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মহা ঐক্য মঞ্চের তরফ থেকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। অভিযোগ ভোটের আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি বলে দাবি চাকরী প্রার্থীদের। সূত্রের খবর, ১১ টি চাকরিপ্রার্থীর মঞ্চের দুজন করে চাকরি প্রার্থী যাবেন রাজভবনে, যদিও এখনও অবধি তাঁদের কাছে অনুমতি নেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার।।
সূত্রের খবর, বঞ্চিত ১১ টি মঞ্চের চাকরি প্রার্থী ও কর্মরত এনএসকিউএফ শিক্ষকদের সমস্যার সমাধানে হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁরা রাজভবনে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন, তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্যের অভিভাবক রাজ্যপাল মহাশয়কে উদ্যোগ নিতে হবে এবং রাজভবন দ্বারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এ আলোচনায় বসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে।
পুলিসকে তোপ দেগে এবার রাজ্যপালের (Governor) দ্বারস্থ কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee) সদস্যরা। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে তাঁরা রাজভবনে পৌঁছেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবার জন্য। রামনবমীকে ঘিরে রাজ্যের অশান্তি এবং হিংসার ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে পাঁচজনের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করে কেন্দ্র।
সেই অনুযায়ী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা শনিবার এবং রবিবার, যথাক্রমে হুগলির রিষড়া ও হাওড়ার শিবপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তথ্য জোগাড় করার জন্য। কিন্তু কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, পুলিস তাঁদের সংশ্লিষ্ট কোনও জায়গাতেই যেতে দেয়নি। শনিবার রিষড়া যাওয়ার পথে কোন্নগরে তাঁদেরকে আটকায় পুলিস। স্পষ্ট জানায়, ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্য তাঁদেরকে ওই এলাকায় যেতে দেওয়া হবে না।
পাশাপাশি রবিবার দিন তাঁরা হাওড়ার শিবপুরের ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ১৪৪ ধারার দোহাই দিয়ে তাঁদেরকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আটকায় পুলিস। তারপরেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা পুলিসের বিরুদ্ধে তোপ দাগে এবং জানান রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে পুলিস সাহায্য করেছে। পুলিসের সহযোগিতাতেই রাজ্যে হিংসা ছড়িয়েছে। এরপর রবিবার সেখান থেকে এসএসকেএমে যায় রিষড়ার ঘটনায় আহত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে। সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে তাঁরা এ ঘটনার সমস্ত তথ্য জানাতে রাজভবনে পৌঁছেছে।
শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে কেলেঙ্কারিতে ভরা রাজ্য সরকার। এবার কি সেই কেলেঙ্কারিও রুখতে চান রাজ্যপাল (Governer)! শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) উপাচার্যদের (Vice Chancellor) বৃহস্পতিবার একটি কড়া নির্দেশিকা পাঠালেন। যা শুধু অভিনব নয়, নজিরবিহীনও। যে নির্দেশিকার পর রাজনৈতিক টানাপোড়েন রাজ্যজুড়ে। এই নির্দেশিকা নিয়ে সরব হয়েছে শাসক দলও।
সূত্রের খবর, নির্দেশিকায় মূলত তিনটি কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি কোনও আর্থিক লেনদেন করে তার আগে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। নইলে তা করা যাবে না। দ্বিতীয়ত বলা, প্রতি সপ্তাহের শেষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ই-মেল করে রাজ্যপালকে জানাতে হবে কী কাজ হল। পাশাপাশি জগদীপ ধনকর রাজ্যপাল জমানায় উচ্চশিক্ষা দফতর নিয়ম করেছিল, তাঁদের মাধ্যমে আচার্য-উপাচার্যদের রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অর্থাত্ সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে না। শুক্রবারের নির্দেশিকায় রাজ্যপাল বলেছেন, উপাচার্যরা সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন, তাদের যোগাযোগের জন্য কোনও মাধ্যম লাগবে না। ঠিক একইভাবে রাজ্যপালও আচার্য হিসাবে উপাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন। এছাড়া ওই নির্দেশিকায় লেখা আছে, রাজভবনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিষয় দেখভাল করবেন ও সহযোগিতা করবেন আইএএস দেবাশীষ ঘোষ।
এ নির্দেশিকার পর শিক্ষা মহলের মতে, রাজ্যপাল এদিনের নির্দেশিকায় আগের সেই নিয়মটাই তুলে দিলেন। এতে ফাইল আটকে থাকবে না। দ্রুত কাজ হবে বলে মত রাজ ভবনের। রাজ্যপালের এই নির্দেশিকা নিয়ে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আমরা দ্বৈরথ চাই না, এই চিঠির বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে, তবে ওনাকে বলব এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিতে, এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।' এছাড়া তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে রাজভবন এই চিঠি দিয়েছে।' এ প্রসঙ্গে পাল্টা বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, 'রাজ্যপালের এক্তিয়ার আছে, শিক্ষাক্ষেত্র থেকে তো লুটেপুটে খেয়েছে, এবার রাজ্যপাল ও বুঝে যাবে ওরা কীভাবে লুটপাট চালিয়েছে।'