বিমানবন্দরের মতোই ঝাঁ চকচকে হবে পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের রেল স্টেশনগুলি। সব মিলিয়ে আপাতত দেশের মোট ২৮টি রেল স্টেশনকে এমন অত্যাধুনিক ভাবে সাজিয়ে ফেলা হবে। ইতিমধ্যেই এই কাজে হাত দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই অমৃতভারত স্টেশন প্রকল্পে বাংলার জন্য বরাদ্দ- করা হয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা। তবে, বাংলা ছাড়াও বিহার ও ঝাড়খন্ডের একাধিক স্টেশনকে এমন উন্নত মানের গড়ে তোলা হবে।
এই তালিকায় রয়েছে শিয়ালদহ এবং এই ডিভিশনের অন্তর্গত চাঁদপাড়া, শান্তিপুর, বেথুয়াডহরি, বহরমপুর, ব্যারাকপুর ও কৃষ্ণনগর স্টেশন। ওদিকে হাওড়া ডিভিশনের শেওড়াফুলি, তারকেশ্বর, বর্ধমান, রামপুরহাট, বোলপুর, অম্বিকা, কালনা, নবদ্বীপ, কাটোয়া এবং আজিমগঞ্জ স্টেশনকেও সাজানো হবে। এছাড়াও আসানসোল, মালদহ ডিভিশন মিলিয়ে আরও ১২টি স্টেশনকে বাছাই করা হয়েছে।
২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushmann Khurrana) অভিনীত সিনেমা ড্রিম গার্ল। ছাপোষা মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে করমবীর। তাঁর বেকারত্বে বিরক্ত বাবা। অবশেষে একটি কল সেন্টারে কাজ পায় করমবীর। মহিলাকণ্ঠে কথা বলতে শুরু করেন পুরুষদের সঙ্গে। নাম হয় 'পূজা'। শুধুমাত্র পুরুষদের বিনোদন করে মোবাইলের বিল বাড়ানো কাজ ছিল তাঁর। যদিও হয়েছিল উল্টো। সেই সব পুরুষেরা পূজার প্রেমে পড়েন, এমনকি তাঁকে বিয়ে করতে উঠে পড়ে লাগেন। এই দলে ছিলেন, খোদ করমবীরের বাবা।
বেশ অন্যরকম গল্পে দর্শকদের টানটান বিনোদন দিয়েছিল সিনেমাটি। বক্স অফিসে এত সাফল্য পেয়েছিল সিনেমাটি, যে এর সিক্যুয়েল আসতে চলেছে এবার। ইতিমধ্যেই ড্রিম গার্ল ২ সিনেমার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে আয়ুষ্মানের চরিত্র পূজার ঝলক। তবে ঝলকে কি আর মন ভরে! এবার দর্শকদের জন্য আসতে চলেছে এই সিনেমার ট্রেলার। ১ আগস্ট সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাবে এই ট্রেলার।
আয়ুষ্মানের বিপরীতে এই সিনেমায় দেখা যাবে অনন্যা পাণ্ডেকে। সিনেমার প্রযোজক একতা কাপুর এবং শোভা কাপুর। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রাজ শান্ডিল্য। ট্রেলার মুক্তি পেলে যে দর্শকদের অপেক্ষা আরও বাড়বে তা হলফ করে বলা যায়।
পাওয়ার ব্লকের দরুন বর্ধমান মেইন এবং বর্ধমান কর্ড শাখায় রবিবার একাধিক লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেলওয়ে। ফলে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। হাওড়া বর্ধমান ছাড়াও কাটোয়া-আজিমগঞ্জ, খানা-গুমানি এবং ব্যান্ডেল নৈহাটি শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, হাওড়া থেকে ৩৬৮২৫, ৩৬৮২৭, ৩৬০৩৩, ৩৭৯১৫, ৩৭৮২৭, ৩৭২৩৭, ৩৭২৩৫, ৩৭২৩৭, ৩৭৮১৯ এবং ৩৭৬১৫ নম্বর আপ লোকাল বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বর্ধমান থেকে বাতিল করা হয়েছে ৩৬৮৪০, ৩৬৮৪২, ০৩৫১৭, ৩৭৮৩২, ৩৬৮৪৪ নম্বর ডাউন লোকাল।
বর্ধমান-হাওয়ার মতো ব্যস্ততম একটি শাখায় একাধিকবার পাওয়ার ব্লকের জন্য সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, বেশিরভাগ সরকারি অফিস ছুটি থাকলেও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেককেই রবিবার অফিস যেতে হয়। সেকারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
অন্যদিকে শ্রাবণ মাসের সোমবার থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা তারকেশ্বরে যাচ্ছেন। ফলে কামারকুন্ডু স্টেশন থেকে তারকেশ্বর যাওয়ার ট্রেন ধরছেন তাঁরা। কিন্তু কর্ড লাইন লোকাল বন্ধ থাকায় তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন।
ফের ব্যাহত হতে চলেছে রেল পরিষেবা (Rail Service), এবার এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য। ব্যান্ডেল-শক্তিগড় শাখায় রোড ওভারব্রিজের কাজের জন্য ২০ জুলাই থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়ার ব্লক নেবে রেল কর্তৃপক্ষ।
এই সময় ধরে কিছু বর্ধমান, ব্যান্ডেল লোকাল বাতিল থাকবে। বাতিল থাকবে হাওড়া-আজিমগঞ্জ কবিগুরু এক্সপ্রেস। মোকামা এক্সপ্রেস কর্ড লাইনে চলবে। গৌড় এক্সপ্রেস নৈহাটি-ব্যান্ডেল-কাটোয়া হয়ে চলবে। বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভন্ন স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হবে কাজের জন্য।
যাত্রীদের অভিযোগ, হঠাৎ ট্রেন বাতিল, শেষ মুহূর্তে অন্য লাইন দিয়ে ট্রেন ঘুরিয়ে দেওয়ায় চরম হয়রান হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী। ট্রেনগুলি এতটাই বিলম্বে চলছে যে গভীর রাতে হাওড়া আসছে অনেক ট্রেন। মাঝপথে ফাঁকা মাঠেই নিরপত্তাহীনতার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ট্রেন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে যাত্রীদের দাবি প্রকৃত বিষয়টি জানিয়ে আগে থেকে সচেতন করা হোক যাত্রীদের।
সপ্তাহের শেষে যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হতে পারে শিয়ালদহ শাখার যাত্রীরা। সূত্রের খবর, শিয়ালদহ শাখায় একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল। ফলে সপ্তাহের শেষে দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন যাত্রীরা। সূত্রের খবর, দমদম স্টেশনে মেন আপ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। সে জন্যই বাতিল থাকবে বেশ কিছু ট্রেন।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাজ চলবে। তাই শনি ও রবিবার বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবার শিয়ালদহ থেকে তিনটি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে। বনগাঁ থেকে বাতিল থাকছে একটি ট্রেন। অন্যদিকে, ডানকুনি থেকেও লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। আবার কিছু ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খবর।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রবিবার শিয়ালদহ থেকে ১২টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, বাতিলের তালিকায় রয়েছে বনগাঁ, দত্তপুকুর, হাবড়া, হাসনাবাদ থেকে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস। বর্ষীয়ান রেলকর্মী (Railway worker) গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ। ঘটনাটি কল্যাণী সীমান্ত (kalyani simanta) এলাকার। বছর ৬০-এর গোপালচন্দ্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাসে লিপ্ত ছিলেন পায়রাডাঙার বাসিন্দা বছর ২৬-এর সুস্মিতা সেনর সঙ্গে। বছর তিনেক আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুস্মিতা সেনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন গোপালচান্দ্র বিশ্বাস। কিন্তু সুস্মিতা বিয়ের কথা বললেই অত্যাচার (torture) করা হতো সুস্মিতাকে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
সম্প্রতি বিয়ের কথা বলায়, জুলাই মাসের ২ তারিখ সুস্মিতাকে মারধর করে। জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে সুস্মিতার পায়রাডাঙার বাড়িতে ছেড়ে আসে গোপাল। বৃহস্পতিবার সকালে সুস্মিতা গোপালের কল্যাণীর বাড়িতে আসেন তাঁর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিতে। কিন্তু তা তাকে দেওয়া হয়নি কিছুই, উল্টে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই সুস্মিতা দ্বারস্থ হন কল্যাণী থানায়। খবর পেয়ে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক এরকম অভিযোগ রয়েছে গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ১৯৯১ সালে কল্যাণীরই ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে গোপাল বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিবাহের পূর্বে দুজনের সহবাসের দরুন গর্ভবতী হয়ে পড়েন সুজাতাদেবী। সুজাতাদেবীকে বারবার গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয় গোপাল। সুজাতাদেবী রাজি না হওয়ায় ৭ মাসের গর্ভবতী সুজাতার পেটে লাথি মারেন গোপাল। বিশেষভাবে সক্ষম এক সন্তানের জন্ম দেন সুজাতাদেবী। তারপর বেশ কয়েকবার সেই সন্তানকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন গোপাল।এমনই অভিযোগ সুজাতার। শেষে এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গোপালকে ছেড়ে চলে আসেন সুজাতা তাঁর বাড়িতে। বিস্তারিত এসব তথ্য উল্লেখ করে কল্যাণী থানার দ্বারস্থও হন সুজাতাও। পরে কল্যাণী আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন সুজাতা, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
এদিকে স্থানীয় দের দাবি, এর আগেও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটেছিল। পাশাপাশি মেয়ে বিক্রির সঙ্গেও জড়িত এই বছর ৬০-এর রেলকর্মী গোপালচন্দ্র বিশ্বাস বলে অভিযোগ রয়েছে।
গোপাল বাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জানিয়েছেন, " তাঁর উপর বহুবার জীবননাশক ব্যবহার করেছিলেন গোপাল বিশ্বাস। তিনি গর্ভবতী অবস্থায় যখন ছিলেন তখন তাঁকে উদরে লাথি মারেন, যার জন্য তাঁদের সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম হয়।এর আগেও এক স্থানীয় মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিলেন।" তার পাশাপাশি একজন মেয়েকে বিক্রির অভিযোগ করেছেন সুজাতা। তিনি দাবি জানিয়েছেন, গোপালের যাতে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয়।
গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিবেশী শম্পা দেবী জানিয়েছেন, " গোপাল বাবু অনেকদিন ধরে এখানে এই মেয়েটিকে এনে রেখেছেন। মেয়েটিকে কখনো কখনো শাখা , সিঁদুর পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। গোপাল বিশ্বাসের আগের পক্ষের স্ত্রীর কথাও শোনা যায় শম্পা দেবীর মুখে"।
ওড়িশার বালেশ্বরে (Balasore) করমণ্ডল (Coromondel) দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে? রেল বোর্ডের (Rail Board) কাছে পেশ করা কমিশনার অফ রেলওয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই দুর্ঘটনার জন্য কার্যত দায়ী সিগন্যালিং মেইনটেন্যান্স স্টাফ ও স্টেশন অপারেশন স্টাফ। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনার আগেও বাহানাগা স্টেশনে সিগন্যালিংয়ের কাজ হচ্ছিল। আর তার জেরেই মেন লাইনে করমণ্ডলকে না পাঠিয়ে, হাওড়া থেকে চেন্নাই যাওয়া এই এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে পাঠানো হয়েছিল লুপ লাইনে। গত দোসরা জুন এই ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল।
এই ঘটনার শুরু থেকেই সিগন্যালিং ব্যবস্থাকেই দায়ী করে আসছিলেন রেলের কর্তারা। বারে বারে তাঁদের দাবিতে এই তথ্যই উঠে এসেছিল। এমনকী রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে, সিগন্যালিং ব্যবস্থাকেই প্রাথমিক ভাবে দায়ী বলে জানিয়েছিলেন। যদিও রেলের এই রিপোর্ট আপাতত প্রকাশ করা হবে না। কারণ, এই ঘটনার পৃথক ভাবে তদন্ত করছে সিবিআই। তাদের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হবে।
এদিকে করমণ্ডল দুর্ঘটনার প্রায় মাস খানের পরেও চলছে দেহ শনাক্ত করার কাজ। দিল্লির এইমস সূত্রে খবর, গত কয়েকদিনের ডিএনএ পরীক্ষা করে আরও ২৯ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
সেলফি (Selfie) তুলতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ে যে, সামনে থেকে যে ট্রেন আসছে, সেটাই দেখতে পায়নি দু'ভাই। ফলে এই পরিস্থিতিতে রেলে কাটা পড়ল তারা। জানা গিয়েছে, রেলব্রিজে উঠে সেলফি তুলছিল দুজনে। আর পাশ থেকেই দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস। আর এরপরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যার ঘটনাটি উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারের।
জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম সিদ্ধার্থ সাইনি (১৯) ও শিবম সাইনি (১৬)। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারের দোসনি রেলসেতুতে উঠে সেলফি তুলছিল দুজনে। আর সেসময় সেখানে দিয়ে ছুটে চলে যায় দিল্লি-দেরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেস। কিন্তু তারা সেলফি তুলতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিল যে, তারা ট্রেনের আওয়াজই শুনতেই পারেনি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে দুই ভাইয়ের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেল। এরপর ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মৃতদের দেহ। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্যই তাঁরা হরিদ্বারে এসেছিলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে এসেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। একই পরিবারের দুই ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাইনি পরিবারে।
জখম অবস্থায় রেললাইনের (Railway line) উপর পড়ে রয়েছেন এক ব্য়ক্তি। আরপিএফ (RPF) ও পুলিসের সহায়তায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার (Bagdogra) রেললাইনে। জানা গিয়েছে, জখম ব্য়ক্তির নাম পুতুল মণ্ডল, বাগডোগরার প্রমোদ নগরের বাসিন্দা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে আর পি এফ-এর নজরে আসে জখম অবস্থায় এক ব্যক্তি রেললাইনে পড়ে রয়েছেন। খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা থানার পুলিসকে। এরপর আরপিএফ ও পুলিসের সহায়তায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রেললাইনে পড়ে থাকার জেরে আটকে পড়েছিল একটি ট্রেন। জখম ব্যক্তিকে রেল লাইনের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর ফের স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। তবে ওই ব্যক্তি এত রাতে কী করে ট্রেন লাইনে এলো, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
দক্ষিণ-পূর্ব (South Eastern Railway) রেলে যেন ফাঁড়া চলছে। করমণ্ডল (Coromondel Express) দুর্ঘটনার পর এদিকে-ওদিক অনেক ট্রেনই বেলাইন হয়েছে, বা কামরা থেকে ধোঁয়া বেরিয়েছে। এবার বেলাইন হয়ে গেল মেদিনীপুর-হাওড়া (Medinipur Howrah Local) লোকাল। শনিবার রাতের এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। গিরি ময়দান ও খড়গপুর স্টেশনের মাঝে কাটিং খোলি এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়। ঘটনার সময় ট্রেনটি মেদিনীপুর থেকে হাওড়া আসছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে বেলাইন হয় লোকাল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত নটার কিছু পরে তাঁরা একটা আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে দেখেন বেলাইন হয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর থেকে হাওড়া যাওয়ার পথে লোকাল ট্রেন। ভেঙে গিয়েছে পাশের বিদ্যুতের খুঁটি। আতঙ্কে যাত্রীরা ট্রেন থেকে লাফাতে শুরু করেন। তাতেই অনেকে চোট পান বলে দাবি স্থানীয়দের।
এদিকে ট্রেন বেলাইন হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন খড়গপুরের যাত্রীরা। অভিযোগ, দুর্ঘটনা সম্পর্কে খুব বেশি খবর দেয়নি রেল। করমণ্ডলের দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছিল, ওই একই শাখায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ২৮৮ জনের। তাঁর ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি রেল কতৃপক্ষ। তাঁর মধ্যে ফের এমন দুর্ঘটনায় রেল কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। শনিবার রাতে কেন এমন দুর্ঘটনা হল তা খতিয়ে দেখছে রেল আধিকারিকরা।
ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরে (Balasore) রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) ক্ষতিগ্রস্তদের বুধবার ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার থেকেই তার প্রস্ততি শুরু করেছিল নবান্ন। ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
জানা গিয়েছে, জেলাশাসকদের পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে তা নবান্নে পাঠাবেন মুখ্যসচিব। ওই তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বুধবার। অনুষ্ঠানটি হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেবেন তিনি।
ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা রবিবারই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠান তিনি।
এদিকে বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনার জেরে উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় থেকে তিনি পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন। এখনও পর্যন্ত এরাজ্যের অনেক বাসিন্দা ওড়িশার হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার ফের ওড়িশা যান মুখ্যমন্ত্রী।
অবশেষে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Train Accident) ৫১ ঘণ্টা পরে বালাসোরের (Balasore) রেলপথে ফের চালু হল ট্রেন। দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টার টানা চেষ্টায় মিলল সাফল্য। ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাহানাগা। রবিবার রাতে শুরু হল ট্রেন পরিষেবা। পরপর দু’টি মালগাড়ি এবং আপ লাইনে একটি ট্রেন চালানো হয়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করলেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। ট্রেন চালুর পর আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তিনি। মৃত ও আহতদের নিয়ে কথা বলার সময় কার্যত কেঁদে ফেললেন রেলমন্ত্রী। হাত জোড় করে ভগবানকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। বিপর্যয়ের পর থেকে দুর্ঘটনাস্থলেই রয়েছেন তিনি।
প্রত্যেকের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। তারমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে স্বাভাবিক হল রেল পরিষেবা। দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রেন পরিষেবা ফের স্বাভাবিক ছন্দে আনার নিরলস চেষ্টা করে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রবিবার রাতে ওই রেলপথ দিয়ে ডাউন লাইনে প্রথম ট্রেনের ট্রায়াল রান শুরু করে রেল। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। এর পর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২টা ৫ মিনিটে। আজ, সোমবার সকালেও বালাসোরের সেই রুট দিয়েই এগোল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
ট্রেন চালুর পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার সকাল থেকে তিনি রয়েছেন দুর্ঘটনাস্থলেই। রেলমন্ত্রী বলেন, 'দুটি ট্র্যাক পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ৫১ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ট্র্যাক লাইনটি এখন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত।'
অশ্বিনী বৈষ্ণব কর্মরত কর্মকর্তা এবং শত শত কর্মীদের উপস্থিতিতে বালেশ্বর রেললাইনে ট্রেন চলাচলের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। পুনরুদ্ধার করা ট্র্যাক ধরে ট্রেনটি চলার সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদের ও তাঁকে হাত জোড় করে প্রার্থনা করতেও দেখা গিয়েছে। টুইটারে রেলমন্ত্রী বলেন, 'ডাউন-লাইন পুনরুদ্ধার সম্পন্ন হয়েছে। সেকশনে প্রথম ট্রেন চলাচল।'
মণি ভট্টাচার্য: ভাগের মা কি গঙ্গা পায়! প্রাচীন এই প্রবাদ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভীষণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromondeal Express) ক্ষেত্রে মৃত যাত্রীদের নিয়ে এই প্রবাদ যে ভীষণ সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বলাই যায়। ওড়িশা সরকার (Odisha Goverment) ও রেল (Railway) তরফে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, এখনও অবধি করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭৫। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০০ জন। ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রকের তরফে মৃতদের উদ্দেশে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা ও সামান্য আহতদের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আপাত পক্ষে এ প্রসঙ্গে উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন, উঠছে গাফিলতির অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে ক্ষতিপূরণের (Compensation) এই টাকা কতজন পাবেন? এই টাকা কি সব মৃতের পরিবার পাবেন?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই ক্ষতিপূরণের টাকা কিন্তু সব মৃতের পরিবার পাচ্ছেন না। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক উচ্চ আধিকারিকের মতে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সামনের কামরা গুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অর্থাৎ অসংক্ষরিত কামরা গুলি ও সংরক্ষিত বিভাগের স্লিপার ক্লাসের কামরা গুলি। রেলের ওই আধিকারিকের মতে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অসংরক্ষিত কামরা গুলির যাত্রীদের মৃত্যুই বেশি হয়েছে।' রেল সূত্রেই খবর, এখনও ১৬০ জনের মৃতদেহ সনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে খড়্গপুর ডিভিশনের এক উচ্চ বিভাগের আধিকারিক জানাচ্ছেন, 'যাঁরা রিজার্ভড অর্থাৎ সংরক্ষিত বিভাগের যাত্রী, তাঁদেরকে সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব। রেল তরফে তাঁদের আর্থিক সাহায্য সহজেই মিলবে।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যারা অসংক্ষরিত বিভাগের যাত্রী তাঁরা কি রেলের আর্থিক সাহায্য পাবেন? এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি কেউই। এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান অসংক্ষরক্ষিতদের ক্ষেত্রে কি হবে জানা নেই, তবে যা হবে তা রেলের পলিসি মেনেই হবে।' যদিও প্রাথমিক ভাবে এই দুর্ঘটনায় আহতদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি খড়্গপুর ডিভিশনের অতিরিক্ত কমার্শিয়াল ম্যানেজার আশুতোষ সিং।
অসংক্ষরক্ষিত কামরার মৃত যাত্রীরা রেলের ক্ষতিপূরণ পাবে কিনা সেটা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কেউই। কিন্তু এ ঘটনার পর রেলের ভূমিকা ও কেন্দ্র সকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে যেখানে গোটা দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, ডিজিটালাইজেশনের প্রচার হচ্ছে জোর কদমে। তবে কেন দূরপাল্লার ট্রেন গুলিতে অসংক্ষরক্ষিত টিকিট কাটার ক্ষেত্রে পরিচয় পত্রের ব্যবহার থাকবে না? যেমন সংরক্ষিত টিকিটের যাত্রীদের তথ্য রাখছে রেল, তেমন কেন অসংক্ষরিত টিকিটের যাত্রীদের কোনও তথ্য রাখছে না রেল? স্বাভাবিক ভাবেই রেলের এই গাফিলতির দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromondeal Express) গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। এই তথ্য জানতে পেরেছেন রেলের আধিকারিকরা (Rail)। এবং মাত্র ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে গতিবেগ ০-তে নেমে আসে। রেল আধিকারিকদের ধারণা, ওই ২৩ সেকেন্ডেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধের সময় ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের পিছনের কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এবং কামরা গুলি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনে এসে পড়ে। সেসময় ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার বেগে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সজোড়ে ধাক্কা মারে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কামরাগুলিতে। এবং বড়সড় বিপদের মুখোমুখি হয় চেন্নাইগামী ট্রেনটি।
এই ঘটনার জেরে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী, গতবছর রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব কবচ প্রযুক্তি চালুর বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন।
ওড়িশায় মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা (Rail Accident)। এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৮৮ জন। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধি দল। বালাসোরে (Balasore) যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরই মধ্যে শনিবার নবজোয়ার কর্মসূচি স্থগিত রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বালাসোরে মৃত্যুমিছিল লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই জনসংযোগ যাত্রা স্থগিত রাখলেন তৃণমূল সাংসদ।
গত কয়েকমাস ধরেই উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জনসংযোগ যাত্রা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে ওড়িশার মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার পর মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেন অভিষেক। শনিবার হাওড়ার বাগনানে পদযাত্রা করেন অভিষেক। সেখানে কালীবাড়িতে পুজোও দেন। এরপর দুপুরে ও রাতে অধিবেশন কর্মসূচি ছিল। তা বাতিল করা হয়। রবিবার ডোমজুড়েও কর্মসূচি আছে তাঁর। সেই সূচিতেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।