ফের ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide)। বজবজ-শিয়ালদহ (Budge Budge- Sealdah) শাখার মহেশতলা (Maheshtala) ১৪ নম্বর রেলগেট-এর কাছে আত্মঘাতী হন এক ব্যক্তি। কেন তিনি আত্মহত্যা করেন? এর পিছনে অন্য কী রহস্য, এখনও কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয়রা এই ঘটনা দেখতে পেয়ে রেল পুলিসে খবর দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর দেওয়ার পর অনেকটা সময় কেটে গেলেও রেল পুলিস আসেনি। পুলিসের আসতে সময় লাগার কারণে ওই মৃতদেহের উপর দিয়ে চলে যায় একাধিক ট্রেন। পরে রেল পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভোরের দিকে মালগাড়িতে একজন কাটা পড়েছে শুনে তিনি দেখতে আসেন। এসে দেখেন মৃতদেহটি দু'টুকরো হয়ে গিয়েছে। ধরের থেকে মাথা আলাদা। রেল পুলিসরা মৃতদেহটি একটি প্লাস্টিকের মধ্যে ভরে ট্রেনে করে নিয়ে চলে যান।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ট্রেনে ভ্রমণ কমবেশি প্রত্যেকেই প্রায় করে থাকি আমরা, কিন্তু এই ট্রেন যাত্রার সময় আমরা বেশকিছু হলুদ বোর্ডে কালো দিয়ে লেখা কিছু নির্দেশ দেখি। এখন প্রত্যেকের মনেই এরম নির্দেশর কারন সম্পর্কে কৌতূহল থাকে। যদিও নির্দেশগুলো ট্রেনের চালক ও গার্ড (ট্রেন ম্যানেজার) এর উদ্দেশে দেওয়া থাকে। এখন দেখে নিন কোন নির্দেশের অর্থ কি?
W/L এইরকম নির্দেশের অর্থ হল চালক কে লম্বা হর্ন বাজাতে বলা হয় , সামনে লেভেল ক্রসিং থাকলে বা কোনো বাঁক থাকলে যাতে আশেপাশের মানুষ শুনতে পায় তার জন্য এরম নির্দেশ দেওয়া থাকে।
C/T আবার অনেক সময় এরম নির্দেশ থাকে এর অর্থ হল সামনে গতিবেগ নিয়ন্ত্রন করতে বলা হয় চালক কে। পাশাপাশি কত গতিতে চালাতে হবে সেই গতিসীমা নির্দেশ করা থাকে। যাতে কোনোরকম দুর্ঘটনা ছাড়াই ট্রেন যেতে পারে।
T/P OR T/G এই নির্দেশের অর্থ চালক কে পূর্বের গতিসীমায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি। চালক চাইলে গতি বাড়াতে পারেন। অর্থাৎ রেলের পরিভাষায় এটাকে বলে Termination of Caution । এটি দুরকম ভাবে থাকে T/P ও T/G । মানে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ক্ষেত্রে T/P । মালগাড়ির ক্ষেত্রে T/G ।
আমরা অনেক সময় দেখি ট্রেনের শেষ বগির পেছনে একটি X মার্ক থাকে হলুদ রঙের। এটির মানে হল এই ট্রেনটির শেষ বগি এটি , এর পরে কোনো বগি নেই। আবার দেখি ছোট লাল বোর্ডে সাদা দিয়ে লেখা LV কথাটা লেখা আছে এর মানে হল একই , অর্থাৎ এটি হল Last Vehicle । কেবিনম্যান যাতে বুঝতে পারেন যে ট্রেনের শেষ কামরা সেটি।
দুর্গা পিতুরি লেনের পর মদন দত্ত লেন। পাঁচ মাস পর ফের বৌ বাজারে (Bowbazar) মেট্রোর কাজের জন্য একাধিক বাড়িতে ফাটল। শুক্রবার ভোররাতের এই ঘটনায় আতঙ্ক, হুড়োহুড়ি। হাতের সামনে যা ছিল, তা নিয়েই ভোর থেকে রাস্তায় মদন দত্ত লেনের বাসিন্দারা। অনেক বাড়িতে ফাটলের পাশাপাশি জল ঢুকতেও দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষের (KMRCL) অনুমান, দুটি টানেলের কাজ চলাকালীন সুড়ঙ্গ দিয়ে জল বেরোনোয় এই সমস্যা। এখনও পর্যন্ত কয়েকটি দোকান-সহ অন্তত দশটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ২০১৯-২০২২, তিন বছরের মধ্যে ফাটল আতঙ্ক বারবার ঘুরেফিরে এসেছে বউ বাজারের বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট (BB Ganguly Street) সংলগ্ন এই এলাকায়। আর রাজনৈতিক স্বার্থে মেট্রোর রুট বদলকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা।
শুধু ফাটল বা সুড়ঙ্গের জল ঢোকা নয় ১৮৫/১ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একাধিক প্রিন্টিং প্রেসের চাঙর ভেঙে পড়েছে। সেই দোকানগুলো পরিদর্শন করে নিরাপত্তার খাতিরে সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ঘটনার খবর পেয়ে মদন দত্ত লেনে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। প্রাথমিক ভাবে কয়েকজন স্থানীয় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? না জানা পর্যন্ত এলাকা ছাড়বেন না, এমন দাবি তুলতে থাকেন। পরে পুলিস, মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আপাতভাবে গৃহহীন মানুষগুলোকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ধারে হোটেলগুলোয় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করবেন। পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এমনটাই কেএমআরসিএল সূত্রে খবর। দু'সপ্তাহের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে বলেও জানায় তাঁরা। স্থানীয়রা আবার গোটা ঘটনার জন্য মেট্রোর কাজকেই দুষেছেন। এক স্থানীয়ের বক্তব্য, 'এদিন সকালে তাঁদের বাড়ির সিঁড়ি এবং ঘর ফাটলের কারণে আলাদা হয়ে যায়। ফলে প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়েছে।' অনেকে আবার এক কাপড়েই বেড়িয়েছেন বাড়ি থেকে।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে জানান, মেট্রো রেল লিখিত দিয়েছেন আমি এবং কলকাতা পুলিস যাঁদের নাম পাঠাবো, সেই মোতাবেক ক্ষতিপূরণ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মেট্রোর সর্বোচ্চ স্তরের আধিকারিকরা এসে একটা সিদ্ধান্ত নিক। নয়তো এই জোড়াতাপ্পি কাজে স্থানীয় লোকেদের সমস্যা হচ্ছে। যে এলাকায় মূল সমস্যা ওখানে সব বাড়ি ভেঙে মেট্রো কাজ সম্পূর্ণ করে নতুন বাড়ি করে দিক। তারপর বর্গফুট বিচারে ক্ষতিগ্রস্তদের সেই বাড়িতে পুনর্বাসন দেওয়া হোক। আমরা যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের ডেকেছি ওরা আজ নয়তো কাল এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে।'
রেললাইন (rail line) পারাপারের রাস্তায় আচমকাই বেড়া লাগানোয় প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল থেকেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা বনগাঁ-শিয়ালদহ (Bangaon-Sealdah) রেলপথের দত্তপুকুরে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকেই দত্তপুকুরে (Dattapukur) রেল অবরোধ করে বিক্ষোভে (protest) সরব হন স্থানীয়রা। এর জেরে হয়রানির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। উত্তেজনা বাড়তেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রেল পুলিস (rail police)। রেল পুলিস বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, ১০০ বছরের পুরোনো একটি গ্রাম। যেখানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা রেললাইন পারাপার করেই। নেই কোনও ব্রিজ। বারবার প্রশাসন থেকে স্থানীয় নেতৃত্বদের জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বেড়া দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই এই অবরোধ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এভাবে বেড়া দেওয়া হলে অসুবিধায় পড়তে হবে তাঁদের। এই রেললাইন দিযেই যাতায়াত তাঁদের। ওই বেড়ার কিছু অংশ খোলা রাখার দাবি করেছেন তাঁরা।
এদিকে, অবরোধের জেরে বনগাঁ-শিয়ালদহ রেলপথে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছিল।
অবশেষে কাটল জট। উঠে গেল কুড়মিদের রেল রোকো আন্দোলন। শনিবার পঞ্চমদিনে পড়েছিল তাঁদের এই আন্দোলন। তবে এবার ১০০ ঘণ্টা পর আন্দোলন প্রত্যাহার কুড়মিদের। ৩ জেলার ডিএমের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। কুড়মিদের (kurmi) রেল রোকো আন্দোলনের আজ ছিল পঞ্চম দিন। পুরুলিয়া (Purulia) কুস্তাউর রেল স্টেশনে (railway station) রেল ট্র্যাকে বসে আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার রাজ্য সরকার সিআরআই (CRI) রিপোর্ট কুড়মিদের হাতে তুলে দিলেও তাতে ভুল রয়েছে বলে দাবি কুড়মিদের। তাই এই অবরোধ চলছিল। যার প্রভাবে একের পর দাঁড়িয়ে ছিল দূরপাল্লার ট্রেন। রেল লাইনের বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছিল জাতীয় সড়কে। ওড়িশা ঢোকা এবং বেরনোর সড়কে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পণ্যবাহী ট্রাক।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার অবশেষে সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠায় রাজ্য সরকার। তবে সেই রিপোর্ট এ কী আছে, তা দেখে আলোচনা করে রেল অবরোধ প্রত্যাহর করবে কুড়মি সমাজ, এমনটাই জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। ইতিমধ্যে তার একটি প্রতিলিপি আদিবাসী কুড়মি সমাজের সদস্যদের হাতে তুলে দেয় পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। শুক্রবারের পর শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনে মধ্য দিয়ে রেললাইনে বসে চলেছে খাওয়া দাওয়া। রেলট্র্যাকেই ঘুমোচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। এক কথায় পাঁচদিনের এই রেল অবরোধের জেরে পুরুলিয়া জনজীবন বিপর্যস্ত। যদিও রেল আধিকারিক থেকে জেলা প্রশাসন ধাপে ধাপে কুড়মি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেও তাতে কাজ হয়নি। রেল অবরোধের জট কাটাতে ব্যর্থ প্রশাসন। তবে দাবি না মানা হলে আগামি দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আদিবাসি কুড়মি সমাজ। মূলত এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং ভাষাকে ষষ্ঠ তফসিলির অন্তরভুক্ত করার দাবিতেই এই রেল অবরোধ।
হাওড়া (Howrah) থেকে খড়গপুর (Kharagpur) ব্যস্ততম রেললাইন, সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় বসে একজন। বাবাকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে চিৎকার করছে মেয়ে। স্থানীয়রা ছুটি যেতেই অন্ধকার রেললাইন (railway line) বরাবর কিছুটা যেতেই উদ্ধার হল বাবার দলা পাকানো দেহ। শুক্রবার রাতে ডেবরা (Debra) বালিচকের স্টেশনে অদূরে রঘুনাথপুরে (Raghunathpur) এই মর্মান্তিক ঘটনার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বছর ৫৫ এর কমল সেন নামে এক বালিচক বাসিন্দার মৃতদেহ। তাঁর মৃতদেহের অদুরেই রক্তাক্ত অবস্থায় বাবাকে বাঁচানোর আর্তি জানাচ্ছিলেন মেয়ে দেবলীনা সেন। কলেজ ছাত্রী বছর কুড়ি ওই তরুণীর শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পুলিসের ধারণা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ওই তরুণীকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন দেবলীনার চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা। তারপর তরুণীর কথামতোই কিছুদূর গিয়ে খুঁজে পায় ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। খবর পেয়ে পৌঁছয় ডেবরা থানার পুলিস। যদিও রেল লাইনের ঘটনাটি ঘটায় রেল পুলিসের অধীনে এই তদন্ত বলে জানায় পুলিস।
এরপর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জখম ওই তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে ডেবরা হাসপাতাল এবং পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে সমস্ত ঘটনার খোঁজ শুরু করেছে রেল পুলিস ও ডেবরা থানার পুলিস। কে বা কারা আক্রমণ চালাল? নাকি স্বাভাবিক দুর্ঘটনাই এটি সেই ধন্দেই এখন রয়েছেন সকলে।
শুক্রবার চারদিনে পড়লো কুড়মি (kurmi) সমাজের রেল রোকো আন্দোলন। পুরুলিয়া (Purulia) কুস্তাউর রেল স্টেশনে (railway station) হওয়া এই রেল অবরোধ জেরে বিপাকে সাধারণ রেল যাত্রীরা। প্রায় ৭২ ঘণ্টা অতিক্রম, তবুও নিজেদের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। যতক্ষন না সিআরআই (CRI) রিপোর্ট সংশোধন করে রাজ্যে সরকার কেন্দ্র সরকারকে পাঠাচ্ছে ততক্ষণ তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।
শুক্রবার অবশেষে সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠালো রাজ্য সরকার। তবে সেই রিপোর্ট এ কী আছে, তা দেখে আলোচনা করে রেল অবরোধ প্রত্যাহর করবে কুড়মি সমাজ, এমনটাই জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ইতিমধ্যে তার একটি প্রতিলিপি আদিবাসী কুড়মি সমাজের সদস্যদের হাতে তুলে দেয় পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের দেওয়া চিঠিতে বরফ গলেনি, তাই আন্দোলন তুলতে ব্যর্থ প্রশাসন। ফলে অব্যাহত পুরুলিয়া রেল অবরোধ। বৃহস্পতিবার পর শুক্রবার সকাল থেকে আন্দোলনে মধ্য দিয়ে রেললাইনে বসে চলছে খাওয়া দাওয়া। রেলট্র্যাকেই ঘুমোচ্ছেন আন্দোলনকারীরী। এক কথায় চারদিনের এই রেল অবরোধের জেরে পুরুলিয়া জনজীবন বিপর্যস্ত। যদিও রেল আধিকারিক থেকে জেলা প্রশাসন ধাপে ধাপে কুড়মি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেও তাতে কাজ হয়নি। রেল অবরোধের জট কাটাতে ব্যর্থ প্রশাসন। এর জেরে সার দিয়ে একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে দূরপাল্লার ট্রেন। বাতিল হয়েছে কয়েকজোড়া এক্সপ্রেস এবং লোকাল ট্রেন।
অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে কুড়মি সমাজের অবরোধ আন্দোলনের জেরে জাতীয় সড়কে ট্রাকের লম্বা লাইন। ধাপে ধাপে প্রায় ওড়িশা বর্ডার জামশোলা পর্যন্ত ট্রাক দাড়িয়ে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ যাত্রীরা। রাস্তায় লাইন দিয়ে দাড়িয়ে পিয়াজের ট্রাক। যা ইতিমধ্যে নষ্ট হতে শুরু করেছে। আরও নানা ধরনের সামগ্রীর একই হাল। ঝাড়গ্রাম বাজারের কাঁচামালের অবস্থাও একই রকম। এখান থেকে ঝাড়খন্ড, ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে সব্জী পাইকারি করা হত। যা এই মুহুর্তে পুরোটাই বন্ধ। বাইরের সব্জিও ঢুকছে না ঝাড়গ্রামে। ফলে পুজোর আগে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার পেরিয়ে আজ বুধবার, ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) বেশকিছু শাখার রেল যোগাযোগ। মূলত, কুড়মি সম্প্রদায়ের রেল অবরোধের (Rail blockade) জেরেই এই সমস্যা। একদিন পরেও পুরুলিয়ার (Purulia) কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধ ও ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কুড়মি জাতিকে তপশিলি উপজাতির (ST) তালিকাভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে তালিকাভুক্ত-সহ একাধিক দাবিতেই তাঁরা রেল অবরোধ করছেন। রেল অবরোধের জন্য বাতিল হয়েছে আদ্রা-হাওড়া শাখায় বহু ট্রেন। রেলের আদ্রা ডিভিশনের ১১টি প্যাসেঞ্জার আর এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রুট বদল হয়েছে ৬টি এক্সপ্রেস ট্রেনের। এছাড়াও ৭ ট প্যাসেঞ্জার আর এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার ১৭টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ১২টি প্যাসেঞ্জার-এক্সপ্রেস ট্রেনের রুটও সংক্ষিপ্ত করা হয়। এর পাশাপাশি ১৩টি ট্রেনের রুট বদলে দেওয়া হয়। এই অবরোধে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মঙ্গলবার সকাল থেকে হয়রানির আশঙ্কায় পুরুলিয়া-আদ্রা শাখায় ৩টি লোকাল বাতিল করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুর শাখার খেমাশুলি স্টেশনে সকাল ৬টা থেকেই রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। অবরোধের জেরে টাটানগর-খড়্গপুর প্যসেনঞ্জার, চক্রধরপুর-গোমো এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-টাটানগর স্পেশাল, দুটি খড়্গপুর-ঝাড়গ্রাম স্পেশাল ট্রেন, ধানবাদ-ঝাড়গ্রাম এক্সপ্রেস, আসানসোল-রাঁচী প্যাসেনঞ্জার-এর মতো একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে।
সম্প্রতি অবরোধের ঘটনা যেন সব সময়ই ঘটে চলছে, এবার হুগলি। সোমবারের পর অফিস টাইমে ফের রেল অবরোধ খন্যান (Khanayan) স্টেশনে। গতকাল কথা দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ (Administration), সঠিকভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়েই মঙ্গলবার সকালে ট্রেন চলবে। কিন্তু তা হয়নি, তাই অফিস টাইমের ব্যস্ত সময়ে ফের রেল অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা।
সময়মতো ট্রেন না চলায় এদিনও হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন শাখার খন্যান স্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা, ফলে ব্যাহত হল ট্রেন চলাচল। এদিকে রেল কর্তৃপক্ষের মতে, হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের রসুলপুর ও শক্তিগড়ের মধ্যে তৃতীয় লাইন সংযুক্তিকরণের জন্য গত কয়েক মাস ধরেই পূর্ব রেল ধারাবাহিকভাবে ব্লক নিচ্ছে।
গত ৩ তারিখ থেকে আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ব্লকের ফলে হাওড়া-বর্ধমান মেন ও কর্ড লাইন শাখার একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এবং মেমারি ও মশাগ্রাম স্টেশনে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বিভিন্ন রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। ৪ ঘন্টা পরে স্বভাবিক হল হাওড়া-বর্ধমান লাইনে ট্রেন চলাচল।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (South Eastern Rail) ঝাড়গ্রাম-খড়গপুরের মাঝে সরডিহাতে (Sardiha Rail Roko) রেল অবরোধ গ্রামবাসীদের। তার জেরে একাধিক স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন দাড়িয়ে। সরডিহাতে স্টিল এক্সপ্রেসকে (Steel Express) দাঁড় করিয়ে চলেছে বিক্ষোভ। এলাকার মানুষের অভিযোগ, কোভিডের পর সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ আজও চালু হয়নি। এর আগে পাঁচবার এই ইস্যুতে অবরোধ হলে রেলের তরফে কোনও বিচার এখনও হয়নি, শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্টিলের স্টপেজ হয়নি।
ফলে চরম সমস্যায় এলাকাবাসী। শুধু তাই নয়, সারা দেশে সমস্ত ট্রেন চালু হলেও এই ডিভিশনে এখনও সব লোকাল চালু হয়নি। যেগুলো হয়েছে সেগুলোর ভাড়া বাড়িয়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া করা হয়েছে। এছাড়াও বয়স্কদের ভাড়ার কনসেশন উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।অসুস্থ কাউকে ট্রেনে করে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই দক্ষিণ-পূর্বের স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ,বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনগুলো চালু ও লোকাল ট্রেনের ভাড়া ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও নিয়ে রেল অবরোধ এলাকাবাসীর।
রেল ট্র্যাক মেনটেনেন্সের জন্য শিয়ালদহ-নৈহাটি লাইনে রেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের। শনিবার রাত ১০টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কাজ চলবে। অর্থাৎ ৩ তারিখ রাত-৪তারিখ সকাল পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লক থাকবে। কাকিনারা স্টেশনে ডাউন লাইনে এই ট্রাফিক ব্লক।
ফলে একজোড়া শিয়ালদহ–কল্যাণী সীমান্ত ইএমইউ লোকাল এবং একজোড়া শিয়ালদহ– নৈহাটি ইএমইউ লোকাল রবিবার বাতিল থাকবে। পাশাপাশি নৈহাটি–কল্যাণী সিমান্ত ইএমইউ লোকাল নৈহাটি থেকে ছাড়বে ভোর ৫টা বেজে ১২ মিনিটে। এই ট্রেনের সূচি ভোর ৪টে বেজে ১০ মিনিট।
পাশাপাশি ব্যারাকপুর–নৈহাটি বিভাগের মোট ১৯২টি ইএমইউ-র মধ্যে শুধুমাত্র ৪টি ইএমইউ বাতিল থাকবে৷
ভয়ানক কাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিনই স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে মরণঝাঁপ। সোমবার সাত সকালেই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন মা। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলেও। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে (Durgapur)। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত মায়ের নাম সীমা পণ্ডিত, বয়স ২৬ বছর। মৃত দুই ছেলের নাম প্রেম পণ্ডিত, বয়স ৮ বছর। অন্যজন বছর ৬ এর প্রাণিত পণ্ডিত। পানাগড়ের (Panagarh) অনুরাগপুরে থাকতেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সীমাদেবীর স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত অত্যাচার করতেন স্ত্রী এবং তাঁর দুই ছেলের উপর। রবিবার সেই অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর সেই অত্যাচারের শিকার হয়ে সোমবার সাত সকালেই পানাগর রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন মা এবং দুই ছেলে।
ঘটনার পরই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিস। পুলিস পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে। পাশাপাশি স্বামীর খোঁজে পুলিস।
জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) চন্দ্রভাগা নদীর (Chenab River) উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু (world's highest railway bridge)। এই সেতুর সোনালি জয়েন্ট (golden joint) উদ্বোধন করা হয়েছে শনিবার। ইস্পাতের তৈরি এই রেলসেতুটি তৈরি করছেন ভারতের প্রকৌশলীরা। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার উঁচু এই রেলসেতু। ভারতীয় রেলের এক কর্মকর্তা জানান, ৩৫৯ মিটার বা ১ হাজার ১৭৭ ফুট উঁচু এবং এক হাজার ৩১৫ কিমি লম্বা এই রেলসেতু দিয়ে জম্মু থেকে বারমুল্লা যেতে সময় লাগবে সাড়ে ছয় ঘণ্টা।
জানা গিয়েছে, ২৪ হাজার টন বা তারও বেশি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতু তৈরি করতে। ১,৩১৫ কিমি দীর্ঘ এই সেতু এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সবরকম প্রতিকূল আবহাওয়াতে টিকে থাকতে পারে। হিমাঙ্কের নীচে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা ঘণ্টায় ২৬০ কিমি বেগে ঝড় হলেও, সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।
২০০২ সালে এই রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেতুর উচ্চতম স্থানে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০০৮ সালে আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।
আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়েই কাশ্মীরে রেল চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ওই সেতু তৈরি হলে যে কোনও আবহাওয়াতেই বাইরের রাজ্যগুলির সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ চালু থাকবে।
ভূতত্ত্ব, কঠোর ভূখণ্ড এবং প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের। Afcons-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিরিধর রাজাগোপালান বলেন, "আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, গোল্ডেন জয়েন্টের কাজ শেষ হওয়ার পরে সেতুটি প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পূর্ণ হবে।"
পুলিসের (Police) কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হয়রানির শিকার মৃত গৃহবধূর পরিবার। শনিবার দুপুরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) হাওড়া খড়গপুর শাখার ফুলেশ্বর-চেঙ্গাইলের মাঝখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সাবিনা পারভিন নামে এক গৃহবধূর দেহ। তাঁর দেহ উদ্ধার করে তাঁর স্বামী সানি নস্কর। তড়িঘড়ি উলুবেড়িয়া হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (death) বলে ঘোষণা করেন।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সাবিনাকে ট্রেন (train) থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে তাঁর স্বামী। এই অভিযোগ প্রথমে পরিবারের সদস্যরা জানাতে যান উলুবেড়িয়া জিআরপি-তে। জিআরপি অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে তাঁরা উলবেড়িয়া থানায় যান। কিন্তু সেখানেও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। রাত বারোটা পর্যন্ত মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন থানা ও জিআরপি করতে থাকে, কিন্তু কোথাও অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে জিআরপি অভিযোগ দায়ের করে।
এই বিষয়ে জিআরপি থানার এক কর্তা বলেন, যে ট্রেন থেকে পড়েছে, সেই ট্রেন কোনও মেমো দেয়নি। তাই অভিযোগ দায়ের করা যাবে না। অন্যদিকে উলুবেড়িয়া থানার এক আধিকারিক বলেন, যেহেতু এটা রেললাইনের মধ্যে ঘটেছে তাই এর অভিযোগ সেখানে করা যাবে না। রেল ও উলুবেড়িয়া থানার পুলিসের হয়রানি শিকার হলেন মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। তবে এত কিছুর পর যে সুরাহা মিলবে সেই বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে পরিবার।