দুর্গাপুজোয় দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি দেব (Dev)। এবার পুজোয় আসছে তার অভিনীত সিনেমা 'বাঘা যতীন' (Bagha Jatin)। ১৯ অক্টোবর বাংলার সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ছবিটি। সামাজিক মাধ্যমে সিনেমার বেশ কিছু টুকরো টুকরো ঝলক দেখেছেন দর্শকেরা। তবে সিনেমার ট্রেলার এখনও মুক্তি পায়নি। কবে আসবে সেই শুভ দিন? নেটিজেনদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অভিনেতা নিজেই একথা প্রকাশ্যে আনলেন।
ট্রেলার মুক্তি দিন ঘোষণার ক্ষেত্রেও একটি বিশেষ সারপ্রাইজ দিয়েছেন দেব। স্বমহিমায় পর্দার সামনে আসেননি তিনি। সিনেমার পর্দায় বাঘা যতীনের একটি ছদ্মবেশে সবাইকে দেখা দিয়েছেন দেব। পাঞ্জাবি সৈনিকের ছদ্মবেশে ধরা দিয়েছেন দেব। মাথায় ইয়া বড় পাগড়ি, দাঁড়ির ঢল নেমেছে বুক পর্যন্ত। তিনি আদতে বাঙালি না শিখ তা বোঝা দায়। কস্টিউমের ভারে কথা বলতে যে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল অভিনেতার তা বোঝায় গিয়েছে ছোট এই ভিডিওতে।
তবে ভক্তদের অপেক্ষা করিয়ে না রেখে বাঘাযতীন সিনেমার ট্রেলার কবে মুক্তি পাবে সেই কথাই জানিয়েছেন অভিনেতা। আগামী ৯ অক্টোবর আসতে চলেছে বাঘা যতীনের ট্রেলার। অভিনেতা দেব এবং বাঘা যতীনের পুরো দল সিনেমার ট্রেলার নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। অভিনেতা আশা রাখছেন, দর্শকদের ট্রেলার বেশ ভালো লাগবে। তার থেকেও বেশি ভালো লাগবে সিনেমাটি।
পুজো প্রায় এসেই গেল। টলিউড অভিনয় জগতের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। পুজোর চারটে দিন দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে তৈরি বাংলা সিনেমাগুলিও। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত 'দশম অবতার'এর ট্রেলার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। এবার মুক্তি পেল 'জঙ্গলে মিতিন মাসি'র (Jongole Mitin Mashi) ট্রেলার।
কোয়েল মল্লিককে (Koel Mallick) দেখা গিয়েছে তার চেনা মেজাজে। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'মিতিন মাসি'। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কোয়েল মল্লিক। 'জঙ্গলে মিতিন মাসি' সেই সিনেমার সিক্যুয়েল। চরিত্রের জন্য ইদানিং নিজেকে ভেঙে গড়ে নিচ্ছেন কোয়েল মল্লিক। এই সিনেমাতেও সেই জের জারি রয়েছে। অভিনেত্রী সুলভ আচরণ ছেড়ে কোয়েল হয়ে উঠেছিলেন দুঁদে গোয়েন্দা। শুধুমাত্র তাই নয়, একা হতে ধরাশায়ী করেছিলেন শত্রুদের। আবারও একই ভূমিকায় দেখা গেল মিতিন মাসিকে।
তবে এবার ইট পাথরের শহরে নয়, মিতিন মাসিকে দেখা যাবে গহীন জঙ্গলে। ঘন জঙ্গলে দুটি হাতের মৃত্যু হওয়ার পর, চোরা শিকারীদের নিজ হাতে দমন করবেন তিনি। সেই ট্রেলারই মুক্তি পেয়েছে মঙ্গলবার।
যে কোনও রকম দুর্ঘটনায় ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ বাড়ল। রেলবোর্ডের প্রস্তাব মেনে ১০ গুণ ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বাড়াল ভারতীয় রেলওয়ে। আহত ও মৃত্যু, দুই খাতেই ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বেড়েছে।
রেল আইনের ১২৪ ধারা অনুযায়ী, এতদিন মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হত। এখন ট্রেন দুর্ঘটনার পাশাপাশি লেভেল ক্রসিংয়ে কারও মৃত্যু হলেও ক্ষতিপূরণ ৫ লক্ষ টাকা। দুর্ঘটনায় গুরুতর দখমদের ক্ষতিপূরণ বেড়েছে হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। আগে যা ছিল ২৫ হাজার টাকা। অল্প জখম হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টাকা।
দুর্ঘটনা ছাড়াও রেলে অপ্রীতিকর মৃত্যু হলে আগে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিত। এখন দেওয়া হবে দেড় লক্ষ টাকা। গুরুতর জখমদের ক্ষতিপূরণ ৫ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
কোঙ্কণ রেল নামটা শোনা থাকলেও অনেকেই হয়তো জানেন না যে এটি কোথায় বা এটা কি ভারতীয় রেলের কিনা?
আজ আমরা জানব সেরমই কিছু অজানা তথ্য। কোঙ্কন রেল হল ভারতীয় রেলের ১৯ তম জোন । যার সদর দফতর হল মুম্বই-এর বেলাপুর। ভারতের কোঙ্কন উপকূলে তার উপকূলীয় শহর, শহর এবং গ্রামগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য একটিও রেল যোগাযোগ নেই।
এমনকি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারত শাসনকারী ব্রিটিশরাও এই পথে রেলপথ নির্মাণ করেনি। প্রথম প্রস্তাবটি ১৯২০ সালে জরিপ করা হয়েছিল। ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য সমীক্ষা করা হয়েছিল । ১৯৯৮ সালের ২৬ শে জানুয়ারি মহারাস্ট্রের রোহা থেকে কর্ণাটক রাজ্যের থকুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল শুরু হয়।
মোট ৭৫৬.২৫ কিমি এই যাত্রাপথ। মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে এর দৈর্ঘ্য ৩৬১ কিলোমিটার (২২৪ মাইল), কর্ণাটক হয়ে ২৩৯ কিলোমিটার (১৪৯ মাইল) এবং গোয়ার মধ্য দিয়ে ১৫৬.২৫ কিলোমিটার (৯৭.০৯ মাইল) । রোহা থেকে থকুর পর্যন্ত বিস্তৃত সমগ্র .৭৪১ কিলোমিটার পথটি ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিদ্যুতায়িত হয়েছে । সমগ্র রেলপথটিতে ৯১ টি টানেল ও প্রায় ১৮০০ উপর রেল ব্রিজ রয়েছে। ১৯তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যা গোয়া ও মুম্বইয়ের মধ্যে চলাচল করে এই পথ দিয়েই যাতায়াত করে।
উক্সি এবং ভোকে স্টেশনের মধ্যে অবস্থিত কোঙ্কন রেলওয়েতে অবস্থিত কার্বুদে টানেল , ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল। কার্বুদে টানেল হল কোঙ্কন রেললাইনের দীর্ঘতম টানেল। এই পথে মালবাহী ট্রাক রেলে করে পরিবহন করা হয় যা RORO( Roll On/ Roll Off) নামে পরিচিত ।
এই পরিবহন মহারাষ্ট্রের কোলাড থেকে গোয়ার ভারমা পর্যন্ত চলে। এই ট্র্যাকেই অ্যান্টি
কলিশন সিস্টেম চালু করা হয়। বর্তমানে যে সকল ট্রেন চলাচল করে এই পথে তার মধ্যে অন্যতম
ট্রেন নং ১২৪৩২/১২৪৩১ হযরত নিজামুদ্দিন – তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল – হযরত নিজামুদ্দিন রাজধন এক্সপ্রেস (ত্রি-সাপ্তাহিক) ...
ট্রেন নং ১২১৩৩/১২১৩৪ মুম্বই সিএসটি – ম্যাঙ্গালুরু জং – মুম্বাই সিএসটি এক্সপ্রেস (দৈনিক) ট্রেন নং ১২১৩৩ মুম্বই সিএসটি – ম্যাঙ্গালুরু জং এক্সপ্রেস। ...
ট্রেন নম্বর ১৬৩৩৩/১৬৩৩৪ ভেরাভাল - তিরুবনন্তপুরম - ভেরাভাল এক্সপ্রেস (সাপ্তাহিক)
বড়সড় বিপদের থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদহ শাখার লোকাল ট্রেন। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে ডাউন কল্যাণী সীমান্ত-মাঝেরহাট লোকালের একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। যদিও এই দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই রেল সূত্রে খবর।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, সকালে ৩০১২৮ নম্বরের ডাউন কল্যাণী সীমান্ত-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ঢোকার মুখেই একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরপর আতঙ্কে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। যদিও কারোর কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলে নি। এ বিষয়ে পূর্বরেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, 'একটা ছোট্ট দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারোর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।' যদিও শনিবার ব্যস্ততম সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটায় লোকাল ট্রেন চলাচল কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। এই মুহূর্তে ট্রেনটি ৫ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে।
এবারে এক রেল আধিকারিকের (Railway Official) বাড়ি ও অফিস থেকে উদ্ধার করা হল কোটি কোটি টাকা। সূত্রের খবর, দুর্নীতির অভিযোগে রেলওয়ে-তে কর্মরত এক আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, একাধিক সময়ে সেই টাকা 'ঘুষ' হিসাবে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরক্ষপুরের।
সূত্রের খবর, ধৃতের নাম কেসি জোশী। তিনি উত্তর-পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ মেটিরিয়াল ম্যানেজার ও উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে কর্মরত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, তাঁকে ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি তার গোরক্ষপুরের অফিস ও নয়ডার বাড়ি তদন্ত করে উদ্ধার করা হয় নগদ প্রায় ২.৬১ কোটি টাকা।
সিবিআই সূত্রে খবর, রেলের জন্য ট্রাকের জোগান দেন, এমন এক ব্যক্তির থেকে সাত লক্ষ টাকা ঘুষ হিসাবে চেয়েছিলেন কেসি জোশী। টাকা না দিলে লাইসেন্স বাতিল করার হুমকিও তিনি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে সিবিআই। পরে তাকে হাতে-নাতে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর তার বাড়ি ও অফিসে তদন্ত চালাতেই উদ্ধার হয় 'ঘুষের পাহাড়'। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ও ধৃতের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়েছে।
সামনেই পুজো। অনেকেই বেড়াতে যাবেন বলে পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। কিন্তু রেলের টিকিট কোথায়? কারণ, অনেক আগে থেকেই তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেলের অন্দর থেকেই অভিযোগ উঠেছে, এমারজেন্সি কোটার অপব্যবহারের। এই অভিযোগকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বলে খবর। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে এমারজেন্সি কোটার টিকিট কনফার্ম করতে হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্কের তথ্য জানতে হবে।
রেল কর্তাদের দাবি, যে কোনও উৎসবের মরশুমে রেলের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগায় কালোবাজারিরা। মোটা টাকার বিনিময়ে তারা গ্রাহকদের টিকিট রেলের ভিতর থেকেই কনফার্ম করিয়ে নেয়। এমনকী এই ক্ষেত্রে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের সই জাল করা হয় বলেও দাবি রেলের একাংশের।
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোটার মাধ্যমে যে বেআইনি কাজ হয়, তা বলাই বাহুল্য। আবার অনেক সময় বিভিন্ন মহল থেকে এমন সুপারিশ আসে, যা অস্বীকার করা যায় না। তবে প্রাচীন এই পদ্ধতি এবার বন্ধ করতে চায় রেল। আর সেই কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমারজেন্সি কোটায় টিকিট কনফার্ম করতে হলে দু তরফের সম্পর্কের কথাই সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে।
রেলের একাধিক প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে। প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য জমি পাচ্ছে না রেল। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর দাবি, জমি জটের কারণে এখনও পর্যন্ত ৬১ টি প্রকল্পের কাজে সমস্যা হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে রেলের যে প্রজেক্ট রয়েছে তার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার ৯১৫ কোটি। চলতি অর্থবর্ষে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
রেলমন্ত্রী জানাচ্ছেন, রেলের বেশিরভাগ প্রজেক্টের কাজই থমকে রয়েছে । জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে । রেলের তরফে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হলেও সফল হননি তাঁরা । তাই, জমি সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর কাজে রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
কাকদ্বীপ-বুদাখালি নিউ লাইন, বনগাঁ-পোড়ামহেশতলা নিউ লাইন, কৃষ্ণনগর-চাপড়া নিউ লাইন, রানাঘাট-দত্তফুলিয়া নিউ লাইন, বীরা-চাকলা নিউ লাইন, ডায়মন্ড হারবার-কুলপি নিউ লাইন, তারকেশ্বর-ফুরফুরা শরিফ নিউ লাইন, মুকুটমণিপুর-ঝিলিমিলি নিউ লাইন, তারকেশ্বর-মগরা নিউ লাইন, হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ নিউ লাইন ইত্যাদি রেলের প্রকল্প থমকে গিয়েছে।
অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিকে (Shilpa Shetty) মাঝেমধ্যেই নানা সিনেমায় দেখা যায়। কিন্তু সেগুলো ঠিক সিনেমার মতো সিনেমা হয়ে ওঠে না। তবে অনেক বছর পর ধামাকেদার কামব্যাক হতে চলেছে অভিনেত্রীর। শিল্পার নতুন ছবি 'সুখী'-এর ট্রেলারে তেমনই ইঙ্গিত মিলল। ভারতের অধিকাংশ মানুষের মনোভাব, বিয়ে করলেই যেকোনও মহিলার জীবন বদলে যাবে। স্বামী-সন্তান-সংসার ছাড়া তাঁর আর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না, এমনই ধারণা সকলের। এই বস্তাপচা ধারণা ভাঙতেই শিল্পার এই নতুন সিনেমা।
বুধবার মুক্তি পেয়েছে 'সুখী' সিনেমার ট্রেলার। ২ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ট্রেলার একেবারে টানটান। শুরুতেই কানে বাজে অভিনেত্রীর সংলাপ, 'আমার জীবন সকালের চা আর রাতের দুধে আটকে রয়েছে।' সিনেমায় শিল্পার চরিত্রটির নাম সুখী। স্বামী-সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। হঠাতই একদিন ছোটবেলার বন্ধুদের ফোন আসে। দিল্লিতে রিইউনিয়নের পরিকল্পনা করা হয়। সুখী যেতে চাইলে স্বামীর থেকে শুনতে হয় তিনি 'স্বার্থপর '। সুখীর প্রশ্ন, 'একঘেয়ে জীবন থেকে নিজের জন্য কি একটু সময় চেয়েছি আমি স্বার্থপর হয়ে গেছি?'
এমন আরও অনেক প্রশ্ন উঠবে সিনেমা মুক্তি পেলে। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সেখানেই মোলাকাত হবে এক অন্য শিল্পার সঙ্গে।
কঙ্গনা রানাউতকে দেখা যাবে আসন্ন ছবি চন্দ্রমুখী ২-তে। এর আগে চন্দ্রমুখীর (Chandramukhi 2) চরিত্রে কঙ্গনার ঝলক প্রকাশ্যে এসেছিল। রবিবার মুক্তি পেল সিনেমার ট্রেলার। কিন্তু সেখানে কঙ্গনাকে (Kangana Ranaut) বিশেষ দেখা গেল কোথায়? ২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের একটি ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। সেখানে সিনেমার মুখ্য অভিনেতা রাঘব লরেন্স সহ অন্যান্য অভিনেতাদের দেখা গেলেও কঙ্গনা যেন ব্রাত্যই রইলেন।
পুরো ট্রেলারে কঙ্গনার ঝলক দেখা গিয়েছে হাতে গুনে কয়েকবার। অথচ তাঁর চরিত্রকে কেন্দ্র করেই তো এই সিনেমা। এর আগে সিনেমার 'স্বাগতাঞ্জলি' গানের ক্যামেরার পিছনের দৃশ্যের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, চন্দ্রমুখী হয়ে উঠতে কতটা পরিশ্রম করেছেন কঙ্গনা। এর আগেও চন্দ্রমুখী সিনেমা হয়েছে। সেখানে অনেকটা অংশ জুড়ে ছিলেন চন্দ্রমুখীর চরিত্রাভিনেতারা। চন্দ্রমুখী ২ মুক্তি পেলে বোঝা যাবে নিজের অভিনয় দক্ষতা দেখানোর কতটা পরিসর পেলেন কঙ্গনা।
তবে কঙ্গনা এমনিই সুন্দর তাই চন্দ্রমুখীর রূপটানের পর অভিনেত্রীকে মোহময়ী লাগছে। যদিও কঙ্গনা চন্দ্রমুখীর চরিত্রে অভিনয় করবেন, একথা শোনার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অনেক নেটিজেনই বলেছিলেন, এই চরিত্রের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে নাচ। কঙ্গনা অভিনেত্রী হিসেবে পারদর্শী হলেও, নৃত্যশৈলীতে তিনি অতটা ওস্তাদ নয়। তবে আগাম বিচার না করে সিনেমা মুক্তির জন্য অপেক্ষা করাই ভালো। সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ সারা ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
বৃহস্পতিবার বেলার দিকে মুক্তি পেয়েছে, শাহরুখের বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা জওয়ানের (Jawan) ট্রেলার। ২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের এই ট্রেলার, দর্শকদের অপেক্ষা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। দক্ষিণের তারকা পরিচালক এটলি পরিচালিত এই ছবিতে দক্ষিণী ছাপ স্পষ্ট। শাহরুখের (Shahrukh Khan) মুখে চুরুট কাঁধে দাঁত লাগানো কাটারি দিয়ে অ্যাকশনের দৃশ্য দেখে কয়েক হাজার সিটি পড়ার কথা। পাঠানের পর যে শাহরুখ ভক্তরা আরও একটি অ্যাকশন সিনেমা পেতে চলেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
সিনেমায় শাহরুখের সঙ্গে তারকাদের ফৌজ দেখা যাবে। অভিনেত্রী নয়নতারাকে দেখা যাবে শাহরুখের বিপরীতে। বিজয় সেতুপতিকে দেখা যাবে ভিলেনের চরিত্রে। বিশেষ চরিত্রে অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে জোর টক্কর নিতে দেখা যাবে কিং খানকে। ট্রেলারে এই দৃশ্যের আভাস পাওয়া গিয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে প্রিয়ামণি, সান্যা মালহোত্রা ও অন্যান্য অভিনেতাদের।
জওয়ানের প্রিভিউ ভিডিওতে, শাহরুখের পুরোনো হিন্দি গানে নাচার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল। সিনেমার ট্রেলারের আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি সংলাপ। বাদশাকে তাঁর চেনা অন্দাজে বলতে শোনা গিয়েছে, 'ছেলেকে ছোঁয়ার আগে বাবার সঙ্গে কথা বল।' পুরো সিনেমাজুড়ে ধামাকা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন দর্শক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ মুক্তি পাওয়ার কথা 'জওয়ান'-এর।
প্রবল বৃষ্টির জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় রেললাইনে ধস। যার জেরে বন্ধ শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার আপ লাইনে ট্রেন চলাচল। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ১০ টার আপ ট্রেনের চালকের নজরে পড়ে, ওই শাখার সংহতি স্টেশনের কাছে ধসের বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি জানান। পূর্ব রেল কতৃপক্ষ সূত্রে খবর, ওই শাখায় আপলাইনে ধসের কারণে ট্রেন চলাচল এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার মসলন্দপুর ও হাবরা স্টেশনের মাঝে ধস নামে। ইতিমধ্যে তা সারাইয়ের কাজ করা হচ্ছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর। পাশাপাশি ওই লাইনে আপ ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেল সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই ধস সারাই সেরে ওই লাইনে ট্রেন চালানো হবে। পাশাপাশি ওই শাখায় ডাউন ট্রেন কিছুটা দেরিতে চলাচল করলেও কিছুটা স্বাভাবিক আছে। সপ্তাহের শেষে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার এই বিপত্তিতে দুর্ভোগের মুখে নিত্যযাত্রীরা।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মিজোরামের (Mizoram) নির্মীয়মান (under-construction) রেলসেতু ভেঙে (Railway bridge) বিপত্তি। এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর (Death) খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। সেই ব্রিজে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ মালদহের বহু শ্রমিক। অন্তত মালদহের (Malda) পুখুরিয়া থানার চোদুয়ার গ্রামের ২৫ জন শ্রমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী জ়োরামথাঙ্গা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে।
মিজোরাম রেলওয়ে ওভার ব্রিজ ধসের এই ঘটনায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইট করেছেন। তিনি বলেন, "মিজোরামের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় শোকাহত। এনডিআরএফ, রাজ্য প্রশাসন এবং রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে।" আর ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের তরফে।
জানা গিয়েছে, সকাল ১০ টা নাগাদ শুরু হয় সেতু তৈরির কাজ। সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। আচমকা ভেঙে পড়ে সেতু। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাতসকালে শিয়ালদহ মেইন লাইনে ট্রেন অবরোধ। আর এর ফলে বড় প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলে। সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে অবরোধ। মদনপুর স্টেশনে এই অবরোধ চলছে। ১২ কোচের ট্রেনের দাবিতে অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। দিনের ব্যস্ত সময় এই অবরোধের জেরে নিত্যযাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। আপাতত এই শাখায় আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ।
বিশেষ করে শিয়ালদহ মেন শাখায় কাকিনাড়া, নৈহাটি, শ্যাম নগর, হালিশহর সহ বিভিন্ন স্টেশনে ব্যাপক ভিড় যাত্রীদের। অবরোধের জেরে দাঁড়িয়ে লালগোলা প্যাসেঞ্জার সহ বেশ কয়েকটি দুরপাল্লার ট্রেনও। ইতিমধ্যে শান্তিপুর লোকালও বাতিল করা হয়েছে। ফলে যে ট্রেনগুলি শিয়ালদহের দিকে আসছিল কার্যত বাদুর ঝোলা হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে ট্রেনগুলিতে উঠতে বাধ্য হন নিত্যযাত্রীরা।
অবরোধকারী যাত্রীদের বক্তব্য, দিনের ব্যস্ত সময়, যখন বেশি ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা, তখন এই লাইনে দেওয়া হয় মেমু (MEMU) ট্রেন। যার গেট ছোট হওয়ায় যাত্রীদের উঠতে সমস্যা হয়। এই সমস্যার কথা জানিয়ে আগেও বহুবার রেলের কাছে তাঁরা আবেদন করেছেন। সকাল থেকে অফিস টাইম পর্যন্ত ১২ বগির ট্রেন দেওয়া হোক। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। এভাবে ছোট গেটে মেমু ট্রেনেই কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়েছে তাঁদের। আর গ্যালোপিং ট্রেনগুলকেও মদনপুরে স্টপেজ দিতে হবে। এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রেলের তরফে আশ্বাস এবং তা দ্রুত কার্যকর করা না হলে এভাবেই প্রতিবাদ জারি রাখবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অবরোধকারীরা। মদনপুরে রেল অবরোধের প্রভাব পড়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। অন্যদিকে সংক্ষিপ্ত রুটে যে সমস্ত ট্রেন চলছে কমপক্ষে সেগুলিও ত্রিশ মিনিট দেরিতে চলছে বলে খবর।
রেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। বীরভূমে মুরারই স্টেশনে আটকে একাধিক ট্রেন। রবিবার সকালে এই ঘটনার জেরে একাধিক স্টেশনে যাত্রী ভোগান্তি। বিক্ষোভের জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আড়াই ঘণ্টা কেটে গেলেও বিক্ষোভ ওঠেনি।
ট্রেনের স্টপেজ বৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে মুরারই স্টেশনে রেললাইনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। নিত্যযাত্রীদের একটি সংগঠন মুরারই নাগরিক কমিটি এই আন্দোলন সংগঠিত করেছে। এই অবরোধে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আটকে পড়ে নলহাটি স্টেশনে। মুরারই স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে সাহেবগঞ্জ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন।
এদিকে মুরারই স্টেশনে প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা এক রেলকর্মীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছেন ওই নেত্রী। রবিবার রেলকর্মীর ঘরে ঢুকে তার চেয়ার ফেলে দেন বলে অভিযোগ।