উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর কাণ্ডের ছায়া এবার গুজরাতের (Gujarat) আনন্দ জেলায়। অভিযুক্ত কংগ্রেস বিধায়কের জামাই। তাঁর এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ছয় জনের। মৃতদের মধ্যে তিন জন মহিলা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। ঘটনার পর কংগ্রেস নেতার (Congress Leader) জামাইকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। ঘাতক গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছেন তাঁরা।
চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাতের বিধানসভা ভোট। ফলে এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে গুজরাতের রাজনীতি। পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনন্দ শহরের রাজ্য সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিন কংগ্রেস বিধায়ক পুনমভাই মাধবভাই পারমারের জামাই কেতন পাধিয়ারের গাড়ি বেপরোয়া গতিতে আসছিল। তারপরই একটি অটো ও বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই বাইকে থাকা দু’জন এবং অটো রিকশয় থাকা চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন গাড়ির চালক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃতরা সকলেই সোজিত্রা ও বোরিয়াভি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্ত জামাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। কেতন পাধিয়ারের গাড়ির নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছর ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর গ্রেফতারিকে (Anubrata Arrest) স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বলেন, 'সিবিআইয়ের দেশে গরিমা আছে। তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলছিল মানুষ। তাই সিবিআই সঠিক কাজ করেছে। আইনের আওতায় এনে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাবে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata) প্রশ্রয়ে-আশ্রয়ে একজন মুদির দোকানি থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক।'
এদিন সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'বিড়াল যদি বলে মাছ খাব না, তাহলে কে বিশ্বাস করবে? কয়লা পাচার-কাণ্ডে নাম না জড়ালে কেউ নাম জানত অভিষেকের। আর ওই বৈভবের টাকায় তো শহরজোড়া হোর্ডিং।'
শুধু বিজেপি বাম-নয় সরব ছিল কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'বাংলার এই দুর্নীতি নিয়ে আমরা আগেও বলেছি। এখন যেটা দেখছেন সেটা হিমশৈলের চূড়া।' দেখুন আর কী বললো বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।
এদিকে, কোনও অনৈতিক কাজ এবং দুর্নীতিকে তৃণমূল প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দলের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার শাসক শিবিরের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya) এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। চন্দ্রিমাদেবী জানান, দলনেত্রী-সহ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর বা মানুষকে যদি কেউ ঠকায়, সেই কাজকে দল সমর্থন করে না। আগে এবং আজও তৃণমূলের এই বিষয়ে অবস্থান একই। মানুষের সমর্থনে তিন বার তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই মানুষের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও সম্পদে তৃণমূলের আর কোনও আগ্রহ নেই।
সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার পুরনো বাড়ির ছাদে হোমযজ্ঞ করে নতুন বাড়িতে (New House) 'গৃহপ্রবেশ' করার কথা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। ফলে তাঁর অনুপস্থিতে কি আদৌ হবে ওই হোমযজ্ঞ, উঠছে প্রশ্ন। অনুব্রতর বাড়ির ছাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে বিশাল প্যান্ডেল (Pandel)। কিন্তু প্যান্ডেল কেন? কোনও কি অনুষ্ঠান (Ceremony) হয়ে গিয়েছে? না, উত্তরটা দিলেন তাঁরই এক প্রতিবেশী। তিনি বললেন, ওখানেই হোম-যজ্ঞ হওয়ার কথা ছিল। পাশেই নতুন বাড়ির জন্য গৃহপ্রবেশ উপলক্ষ্যে ছাদেই হোম-যজ্ঞ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন কে জানত, তার ঠিক তিনদিন আগে এমন বিপর্যয় নেমে আসবে। ফলে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান যে আপাতত স্থগিত হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিরোধীরা এই সুযোগকে লুফে নিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একটা কেন, অনেক বাড়িরই মালিক হতে পারে। আর পাপ করে তা থেকে মুক্তির জন্যই তিনি বরাবর হোমযজ্ঞে বিশ্বাসী, কটাক্ষ জেলার বিজেপি নেতার।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার (Arrest) হওয়ার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে (Indefinite Leave) গেলেন বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী (Dr Chandranath Adhikary)।
গত মঙ্গলবার তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করার জন্য। তবে চিকিৎসা শেষে তিনি বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি নাকি সুপারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি মন্তব্য করেন, তাঁকে ১৪ দিনের জন্য সাদা কাগজে ছুটি লিখে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এসবের পরেই যখন বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হলেন, তারপর তিনি নিজের জীবনের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। তাছাড়া তিনি মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছুটি নিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে তিনি ফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে বিশদে আর কী কী বললেন, আসুন শুনে নেওয়া যাক।
আগামি ২০ অগাস্ট অর্থাৎ ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। গোরু পাচার-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার ধৃত বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী জামিনের আবেদন না করলেও, সিবিআই হেফাজত কমানোর পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি আদালতকে বলেন, 'যতটা সম্ভব কমানো হোক তাঁর মক্কেলের সিবিআই হেফাজত। আমরা সহযোগিতা করতে রাজি।' এরপরেই ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।
এই মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন আছে। এদিন এই সওয়াল সিবিআইয়ের তরফে করা হয়েছে। পাশাপাশি ধৃত অনুব্রত মণ্ডল এদিন এজলাসে বলেন, 'তাঁর ফিস্টুলার সমস্যা আছে। বুকে ব্যথা-সহ নানা শারীরিক ব্যাধি রয়েছে। তাই মহামান্য আদালত যাতে তাঁর দিকটা বিচার করেন।'
তবে এদিন বিকেলে যখন অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়, তখন এজলাসে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেন পুলিসকর্মীরা। কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের বের করে ভিতর থেকে কোর্ট গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে কোর্ট চত্বরে উপস্থিত পুলিস আধিকারিক এবং সাংবাদিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পরিবেশও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি এই শুনানি চলাকালীন।
অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিতর্কিত পোস্ট তৃণমূল নেতা কাজল শেখের (Kajal Seikh)। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই নানুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখের ফেসবুক ওয়ালে (Facebook Wall) দেখা গেল একটি বিতর্কিত পোস্ট। যেখানে তিনি লিখেছেন 'চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না।' পাশাপাশি তিনি লিখেছেন 'দুঃখের বিষয় অনেকেই এটা ভুলে যায়'।
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের এই নেতা কাজল শেখকে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গেলেও দুজন চির প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই পরিচিত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়ার পর কাজল শেখের এহেন ফেসবুক পোস্ট সেই বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
উল্লেখ্য, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উল্লসিত বিজেপি। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিজেপির কর্মী-সমর্খকরা অনুব্রতর অস্ত্রেই তাঁকে কটাক্ষ করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কোথাও চড়াম চড়াম শব্দে ঢাক বাজানো চলছে, কোথাও বিলি হচ্ছে নকুলদানা, গুড়বাতাসা। কোথাও আবার অনুব্রতকে দেখলেই আওয়াজ উঠছে গোরু চোর, গোরু চোর।
কিন্তু দলের মধ্যেই যেভাবে তির্যক মন্তব্য এল, তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারাটা আরও একবার প্রকাশ্যে এল বলেই অনেকে মনে করছেন।
শেষরক্ষা হল না। অবশেষে গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডল। নকুলদানা, গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম ঢাক- এমন সব ডায়লগে একটা সময় ভোটের বাজার গরম করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সেই সব ডায়লগ নিয়ে বাজার গরমের পাশাপাশি বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। আজ সেই নেতা সিবিআইয়ের জালে।
তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উল্লাস বিজেপির। আসানসোল কোর্ট মোড়ে অনুব্রতর গ্রেফতারিতে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা নকুল দানা বিতরণ করলেন পথচলতি মানুষ ও বাসযাত্রীদের। পাশাপাশি শাসকদলকে নিশানা করেন বিজেপি নেত্রী।
বর্ধমানের কার্জন গেটেও উল্লাস বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিজয় উল্লাসে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বর্ধমান জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সামের নেতৃত্বে কার্জন গেট চত্বরে ঢাক বাজিয়ে বিজয় উল্লাস। পথ চলতি সাধারণ মানুষকে করানো হল মিষ্টিমুখ। দেওয়া হল গুড়, বাতাসা ও নকুলদানা।
অনুব্রতর গ্রেফতারে খুশির হাওয়া বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে। সেখানে বাজল চড়াম চড়াম ঢাক। বিলি করা হল গুড় বাতাসা, নকুলদানা। বৃহঃস্পতিবার সকালেই বীরভূমের বাহুবলি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পথচলতি মানুষ থেকে স্থানীয় দোকানদারদের বিলি করা হল গুড়বাতাসা ও নকুলদানা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কেশিয়ারি মোড়ে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর রাস্তায় আসা সাধারণ মানুষজনদের নকুলদানা এবং বাতাসা খাওয়ালেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এদিন পা্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন চোর চোর বলে।
অনুব্রতর গ্রেফতারিতে উৎসবের আমেজ গেরুয়া শিবিরে। গুড় বাতাসা, নকুলদানা বিলি করে মেদিনীপুর শহরের রিং রোডে উৎসব পালন জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। কেষ্টর গ্রেফতারির খুশিতে মেদিনীপুর পৌরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যানকেও গুড় বাতাসা খাওয়ালেন বিজেপি কর্মীরা। একসময় গুড় বাতাসা আর নকুলদানার নিদান দিয়েছিলেন খোদ অনুব্রত মণ্ডল। রীতিমতো গুড় বাতাসা বিলি করে উৎসবে মাতলেন বিজেপি কর্মীরা। শুধু গুড় বাতাসাই নয় সঙ্গে রয়েছে নকুলদানাও। এদিনের এই কর্মসূচি থেকে শাসকশিবিরকে কড়া ভাষায় নিশানাও করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি (arrest) ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে সাপ বেরোবে। তদন্ত (investigation) হওয়া প্রয়োজন। এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নিজের দরকারে ব্যবহার করেছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
অন্যদিকে, যদি কেউ ভুল বা অন্যায় করে থাকে, দল তার পাশে থাকবে না। দলের তরফে এমন স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি অর্জুন সিংয়ের। পাশাপাশি তিনি বলেন , আই আইনের পথে চলবে।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় নিজের গড়েই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, শারীরিক পরীক্ষার পর আজ আসানসোল আদালতে তোলা হতে পারে তাঁকে। এদিন সকালে সিবিআইয়ের বিশাল টিম বোলপুরে গিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, দশবার তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু চিকিত্সার অজুহাতে তিনি ৯ বারই হাজিরা এড়িয়েছেন। সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে (house) প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ (interrogation) করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলা হয়। বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভুমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়িতেই ছিলেন বলে খবর। তাঁর বাড়ির চারপাশে অগণিত মানুষের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা ও অশোক সাহাকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এসএসসি(SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে রাতভর জেরা(interrogation) করা হয় এসপি সিনহাকে।গতকাল মেডিক্যাল টেস্টের(medical test) পর সিবিআই দফতরে চলে রাতভর জেরা। জেরায় নিয়োগ সুপারিশের দায় এড়িয়েছেন তিনি। কমিটির(committee) প্রধান হলেও তাঁর কাছে পূর্ণ ক্ষমতা(power) ছিল না। তাঁর সই(sign) জাল করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, জেরায় দাবি এসপি সিনহার।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন কনভেনর শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং এসএসসি-র প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে বুধবার গ্রেফতার করে সিবিআই৷ সূত্রের খবর, এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা কমিটিকে কারা নিয়ন্ত্রণ করত, বেআইনিভাবে চাকরি কাদের নির্দেশে দেওয়া হত, এসপি সিনহা এবং অশোক সাহার থেকে তা জানতে চেয়েছিলেন সিবিআই কর্তারা৷ যদিও, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই অভিযুক্ত দু'জন এড়িয়ে গিয়েছেন বলে খবর৷ এরপরেই তাঁদেরকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলার তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হলেন এই দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে এফআইআর করেছে, তাতে এসপি সিনহার নাম রয়েছে একেবারে প্রথমে। আর চার নম্বরে রয়েছে অশোক সাহার নাম। উল্লেখ্য হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও এঁদের নাম ছিল।
ফের রক্তাক্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) সেক্টর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পরগল এলাকার সেনা ঘাঁটিতে একটি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় (terrorist attack) শহিদ হয়েছেন তিন সেনা জওয়ান (Army)। আহত আরও তিন। নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে খতম হয়েছে তিন জঙ্গি।
জানা গিয়েছে, ওই সেনা বেসের অপারেটিং ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এবং সেনা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল দুই জঙ্গি। সেনা জওয়ানরা দেখতে পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে গুলি করে খতম করেন তাদের। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খবর, এখনও আশপাশে জঙ্গিদের তল্লাশি চলছে। জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেনারা।
জম্মু জোনের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার মুকেশ সিং বলেছেন, হামলায় কয়েকজন সেনা কর্মীও আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা আধিকারিকরা এলাকাটি ঘেরাও করে রেখেছেন এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত টিম পাঠানো হয়েছে। ওই তিন জঙ্গি সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা চালাতে এসেছিল। কিন্তু সেনার সতর্ক প্রহরায় তা সফল হতে পারেনি। নয়তো বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। এই জঙ্গিরা আত্মঘাতী (ফিদায়েঁ) বাহিনীর বলেই অনুমান।
অবশেষে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের বিশাল টিম বোলপুরে গিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, দশবার তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু চিকিত্সার অজুহাতে তিনি নবারই হাজিরা এড়িয়েছেন।
এবার অনুব্রতর বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI)। আজ সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে (house) প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ (interrogation) করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলা হয়।বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভুমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়িতেই ছিলেন বলে খবর।তাঁর বাড়ির চারপাশে অগণিত মানুষের ভিড়। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারির আশঙ্কা করে এবার সুপ্রিম দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে সূত্রের খবর ছিল।
সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডলের হাজিরা এড়ানোর পরেই আরও তত্পর সিবিআই(CBI)। বুধবার গভীর রাতে(night) উচ্চপদস্থ সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল বোলপুর পৌঁছয়। একাধিকবার হাজিরা এড়ানোয় পরবর্তী পদক্ষেপ (next step)ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক সারেন তাঁরা । সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি(house) যেতে পারেন। সূত্রের খবর, মোট ৫টি গাড়িতে(car) সিবিআই আধিকারিকরা বুধবার রাতে বোলপুরে এসে পৌঁছন৷ এর মধ্যে তিনটি গাড়ি কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে ও দু’টি গাড়ি আসানসোলের সিবিআই দফতর থেকে এসেছে । বোলপুরের কেন্দ্রীয় সরকারের গেস্ট হাউস(guest house) রতনকুঠিতে উঠেছেন সিবিআই কর্তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে(central force) সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গেছে প্রায় ৩০ জনের বেশি সিবিআই কর্তারা এসেছেন বোলপুরে।
গরু পাচার মামলায় নতুন করে তল্লাশির সম্ভাবনা উছঠে আসছে। যে গেস্ট হাউসে সিবিআই আধিকারিকরা আছেন সেখানে এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বোলপুর থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে বেরোবেন সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বুধবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব করা হলেও দশম বারের জন্য তিনি এই হাজিরা এড়িয়ে যান। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি পৌঁছননি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআইয়ের কাছে ১৪ দিনের সময়ও চেয়ে নেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি সূত্রের খবর, যে চিকিৎসা করাতে তিনি দক্ষিণ ভারতে যেতে পারেন।
অন্যদিকে , অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল টিম পাঠানোয় ক্ষুব্ধ অ্যা সোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস চিকিৎসক সংগঠন। সংগঠনের তরফে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মুখ্য সচিব ছাড়াও,এই চিঠিটি স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজই হয়নি। অথচ রাতারাতি কাজের ফলক বসিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এমনই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টদিঘি গ্রামে। অভিযোগ উঠেছে টাকা আত্মসাতের।
রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নম্বর রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টদিঘি সহ বিভিন্ন গ্রামের উন্নয়নের জন্য ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করার কথা ছিল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। মাটি খনন, রাস্তা এবং শ্মশান সংস্কারের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাটি খনন করা হয়নি, হয়নি শ্মশান সংস্কার কিংবা রাস্তা নির্মাণের কাজ। অথচ মঙ্গলবার রাতে আচমকা কাজ না হওয়া প্রকল্পগুলির জন্য সমাপ্তির ফলক লাগিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, একটি টোটোতে দুজন লোক এসে তিনটি কাজের ফলক লাগিয়ে দিয়ে ক্যামেরায় তার ছবিও তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু গ্রামে গিয়ে বাস্তব চিত্রটা দেখা গেল অন্যরকম। শ্মশান সংস্কার কিংবা রাস্তা নির্মান বা মাটি খনন কোনও কাজই হয়নি। অথচ কাজ সমাপ্তির ফলক বসানো হয়ে গিয়েছে। কাজ না হলেও কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই ৬ নম্বর রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাত থেকে দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। দাবি উঠেছে আগে কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে, তারপরে কাজের ফলক লাগানো হোক। কাজ সম্পূর্ণ না হলে আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুমকি দিয়েছেন ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার জানিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমুল পরিচালিত জেলার প্রতিটা পঞ্চায়েতে এমন দুর্নীতি হয়ে আসছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার জন্য আসার কারণেই দুর্নীতি ঢাকতে এমনভাবে রাতারাতি ফলক বসানোর কার করছে পঞ্চায়েতগুলি। এধরনের দুর্নীতি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না সাধারণ মানুষ। যার কারণে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
যদিও রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম সরকার জানিয়েছেন, এই পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন বিজেপির দখলে ছিল। সেসময় কোনও কাজই হয়নি। তৃণমূল পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসার পর অনেক কাজ হয়েছে। কাজ হয়েছে বলেই কিছু ফলক লাগানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তিনি৷
ক্রিকেটের (Cricket) হেলমেট ছেড়ে এবার মাথায় পাগড়ি (Pheta)। দাদার মেয়ের বিয়েতে মাথায় ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি বেঁধে সাজলেন শচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। যে দেখে উচ্ছ্বসিত অনুরাগী মহল। ভাইঝির বিয়ে (Marraige) বলে কথা।
মঙ্গলবার রাতে শচিন নিজে পাগড়ি পরার ভিডিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এই ভিডিওটির ক্যাপশনে শচিন তেন্ডুলকর বিয়ে, উৎসব, ট্র্যাডিশন এই শব্দ গুলি লিখেছেন। ভিডিওতে দেখা যায় তাঁকে পাগড়ি পরিয়ে দিচ্ছেন বিয়েবাড়িতে উপস্থিত কোনও ব্যক্তি। আর শচিনকে পাগড়ি পরতে পরতে বলেন, “আমার দাদা নীতিনের মেয়ের বিয়ে। সেই জন্যই এই ফেটা (মহারাষ্ট্রে পাগড়িকে ফেটা বলে) পরছি।”
পাজামা-পাঞ্জাবি এবং পাগড়ি বেঁধে একেবারে নয়া লুকে দেখে কোনও কোনও অনুরাগী বলে বসেন, 'বরকেও হার মানাবে তাঁর এই লুক।' এমনকি ভিডিও দেখে খুনসুটি করতে ছাড়েননি যুবরাজ সিং। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'আরে সচিন কুমার যে...'। একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভারতের সচিন স্যারের মুকুট।’ অন্য আরেকজন লিখেছেন,‘আমার প্রিয়, আমার আদর্শ, আমার অনুপ্রেরণা।’
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় এবার সিবিআই (CBI) গ্রেফতার (Arrest) করল এসএসসি-র (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha) এবং প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাঁদের প্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলার তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হলেন এই দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে এসপি সিনহা সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন। এমনকী তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই যে প্রয়োজনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, সেকথাও হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে এফআইআর করেছে, তাতে এসপি সিনহার নাম রয়েছে একেবারে প্রথমে। আর চার নম্বরে রয়েছে অশোক সাহার নাম। উল্লেখ্য হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও এঁদের নাম ছিল।