
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ইডির হানা শহরে। ইডি আধিকারিকরা অভিযান চালান কাশিপুর থানা এলাকার কাশিনাথ দত্ত রোডে প্রাক্তন শিক্ষকের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের প্রাক্তন শিক্ষক শুভ্রাংশ মৈত্রের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান সকাল নয়টা নাগাদ।
মূলত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাক্তন এই শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি আধিকারিকরা। তবে বছর খানেক আগেই প্রায়ত হয়েছেন শুভ্রাংশ মৈত্র। কাশিপুরের বাড়িতে শুভ্রাংশ বাবুর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভ্রাংশ বাবু কোনওভাবে যুক্ত কিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি বিভিন্ন নথিও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতী। সোমবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে কল্যাণী থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে দেশি রিভলবার, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার, ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যদিও ধৃত ওই তিনজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে কল্যাণী থানার পুলিস। এরপর ওই তিন অভিযুক্তকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আটক করে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএসপি জাবেদ হোসেন জানান, ধৃতদের বাড়ি রানাঘাট এলাকায়। ওই তিন অভিযুক্তের কথাবার্তা শুনে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিসের জেরায় তাদের কাছ থেকে দেশি রিভলবার, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পুজোর আগে থেকে লাগাতার অস্ত্র উদ্ধার হয়ে চলেছে বিধানচন্দ্র রায়ে শহর কল্যাণী থেকে। তবু এখনও পর্যন্ত অপরাধমূলক কাজ খামতি নেই কল্যাণী নগরে।
চাল পড়া খাওয়ানোর ভয় দেখিয়ে শিশু হত্যার কিনারা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হাবড়ার বয়রাগাছি এলাকায়। অভিযোগ, শিশুটিকে তার বৌদি দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। তার জেরে মৃত্যু হয় ওই শিশুটির।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশু মেয়েটির নাম সুমি সিং (৩)। জন্মের পরেই তার মায়ের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে সে তার পিসি ও পিসেমশাইয়ের বাড়িতে থাকত। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে বাড়িতে চা বিস্কুট খাইয়ে তার পিসির ছেলে রঞ্জিত সর্দার ও পরিবারের সদস্যরা মাঠে কাজে চলে যান। সেই সময় বাড়িতে শুধু রঞ্জিত সর্দারের স্ত্রী সাথী সর্দার ছিল। এরপর সে মাঠে গিয়ে সবাইকে জানায় সুমি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপর এলাকারবাসীরা সুমিকে দ্রুত হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর শুক্রবার বিকেলে শিশুটির সঙ্গে থাকা তার বৌদি সাথী সর্দারকে পরিবারের সদস্যরা সন্দেহবশত কারণে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন এলাকার এক ব্যক্তি কুসংস্কারের খাতিরে কিছু চাল পড়া নিয়ে এসে বলে যে ওই শিশুটির ক্ষতি যে করেছে সে এই চাল খেলে রক্ত বমি উঠে মারা যাবে। তখন সাথী সেই চাল খেতে অস্বীকার করে এবং জানায় সে নিজে হাতে শিশুটিকে দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছেন। কারণ জানতে চাইলে সে জানান, শ্বশুরবাড়িতে তার থেকে বেশি ভালোবাসা ননদ (মানে ওই বছর তিনের শিশুটিকে) দেওয়া হচ্ছে। তাই সে এমন কাজ করেছেন।
এরপর অভিযুক্ত সাথী সর্দারের কুকীর্তির কথা জানতে পেরে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামী সহ এলাকার বাসিন্দারা কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। ডিজি রেঙ্ক-এর অফিসারদের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের নিচু তলার অফিসারদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে সমস্যার কথা জানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এই প্রতারণা চক্রের তদন্তে নেমে এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম, রাহিস। তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ, শনিবার তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের নজরে আসে রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্যের নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁর নিচু তলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে। যারা এই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করছেন তাঁদেরকে মেসেঞ্জারে এসএমএস করা হচ্ছে যে, তিনি একটি মিটিংয়ে রয়েছেন ফোন করতে পারছেন না। সমস্যার মধ্যে পড়েছেন, তাঁর টাকার প্রয়োজন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। এই বিষয়টি নজরে আসতেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস ২৮ অগাস্ট একটি সুয়ো মোটো কেস করেন। তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই চক্রটি রাজস্থান থেকে চালানো হচ্ছে। এরপরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের একটি টিম রাজস্থান গিয়ে অভিযুক্ত যুবক রাহিসকে গ্রেফতার করে। তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পারে শুধু এই রাজ্যে নয়, বিভিন্ন রাজ্যের ডিজি র্যাঙ্কের অফিসারদের ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে নিচু তলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হত। যারা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতো তাদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেওয়া হত। এইভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এই যুবক প্রতারণা করেছে। পুলিস মনে করছে এই চক্রের সঙ্গে একটি বড় গ্যাং রয়েছে। সেই বিষয়ে জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিধান নগর মহাকুমা আদালতে তুলে আজ তাকে পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিস।
আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ১৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। মূল অভিযুক্তের পাশাপাশি আরও ৪ জনকে গ্রেফতার এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিস। মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। চার ধৃতদের নাম আলি আকবর মণ্ডল, কাজি আনোয়ার হোসেন, শামসুদ্দিন মণ্ডল ও গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। প্রত্যেকেরই বাড়ি আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাডাঙা এলাকায়। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠায় আমডাঙা থানার পুলিস।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ নভেম্বর। এদিন সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে অভিযুক্তরা। বোমার আঘাতে রূপচাঁদের ডান হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওইদিন রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আনোয়ার হোসেন নামে একজন। তার বেশ কয়েকদিন পর গ্রেফতার করা হয় আরেক অভিযুক্তকে। তবে অধরা ছিল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন।
অবশেষে গ্রেফতার করা হল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ ৪ জনকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলি আকবর মণ্ডলই নাকি বোমা ছুঁড়েছিল রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
শাহ সফরের পরের দিনই সক্রিয় সিবিআই। সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সল্টলেক, মুর্শিদাবাদ, কলকাতার কিছু জায়গায় তৃণমূল কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সকাল থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওদিকে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ঘনিষ্ঠ জাফিকুল জড়িয়ে আছেন কি না তার তদন্তেই এদিন সকালে ডোমকলে আসেন তারা। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার ধর্মতলার সভা থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ দুর্নীতি নিয়ে মমতা ও তৃণমূলকে টার্গেট করেন। তারপর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে বহু যায়গায় সিবিআই হানা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডোমকলের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে। বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের গ্ৰেফতারের পর এবার ফের সিবিআই হানা বড়ঞায়, বড়ঞা থানার কুলি মোড়ের বাসিন্দা ঝান্টু সেখ পেশায় ব্যবসায়ী তার বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয়। জানা গেছে এই ঝানটু শেখের বেশ কিছু বেসরকারি কলেজ ও বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা ঝান্টু শেখের বাড়িতে পৌঁছেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ওদিকে পাটুলি, সল্টলেকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের। পাটুলিতে নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ওদিকে বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র পরিষদ সদস্য ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই হানা। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই এর এই অভিযান বলে সূত্র মারফত খবর।
নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির পাশাপাশি এবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের নীচে রয়েছে ১৪ টি পুরসভা। এই পুরসভাগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। যেগুলো খতিয়ে দেখেই এক এক করে এই পুরসভা গুলোর প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল তদন্তকারী সংস্থা । আর তারপর থেকেই তদন্তকারী সংস্থা দফায় দফায় একাধিক পুরসভাতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই বাজেয়াপ্ত নথি থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক অক্ষর মিলেছে। যার রহস্যভেদের পর পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা নথিতে থাকা সি এইচ, এসবি, এম এম, এ সহ একাধিক সাংকেতিক শব্দের রহস্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এরপরই ইডির নজরে রাজ্যের এক প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীর নাম। যাঁর হাতে রয়েছে রাজ্যের একাধিক দফতর।
এর আগে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতার নাম সামনে এসেছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও কি উঠে আসতে পারে প্রভাবশালীদের নাম ? এই সাংকেতিক অক্ষরের আড়ালে কোন সংকেত লুকিয়ে রয়েছে, তার রহস্যভেদের চেষ্টা করছেন ইডির আধিকারিকরা।
অবশেষে জল্পনার অবসান। টলি পাড়ার ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সোমবারই গাঁটছড়া বাঁধলেন পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। গুঞ্জনই অবশেষে হল সত্যি। সমস্ত জল্পনায় এত দিনে সিলমোহর পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি শেয়ার করলেন পরমব্রত। ক্যাপশনে ভালোবাসার বার্তা স্পষ্ট। অভিনেতা লেখেন, “তাহলে চলো শুরু হোক, তুমি আর আমি… সন্ধ্যা যখন আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে।”
২০২১ সালে সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে পিয়া চক্রবর্তীর। ফলে বিচ্ছেদের দু'বছরের মধ্যেই ফের গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালে ঘরোয়া আয়োজনেই বিয়ের পর্ব সারলেন পরমব্রত-পিয়া।মূলত দুই পরিবার এবং একান্ত ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতেই সই-সাবুদের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাঁদের।
পিয়া-পরমব্রতের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই গুঞ্জন রটেছিল। এমনকি অনুপমের সঙ্গে পিয়ার বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে পরমব্রতকেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে পরমব্রত বিরক্তি প্রকাশও করেছিলেন। আবার এইসব গুঞ্জনকে নিছক গুজব বলেও উড়িয়ে দিতেন তিনি। কিন্তু যা রটে, তার কিছুটা তো বটেই। পরম-পিয়ার প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় যে কানাঘুষো চলছিল তা অবশেষে সত্যিই হল। পিয়ার সঙ্গে দু'বছরের বন্ধুত্বকে বিয়ের স্বীকৃতিই দিলেন অভিনেতা।
অবশেষে জল্পনার অবসান। গুঞ্জনই অবশেষে হল সত্যি। আজ অর্থাৎ সোমবারই বিয়ে করতে চলেছেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)। অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর( Piya Chakraborty) সঙ্গেই ঘর বাঁধতে চলেছেন পরমব্রত। পিয়ার সঙ্গে যে পরমব্রতের সম্পর্ক বন্ধুত্ব ছাড়িয়ে এগিয়ে গিয়েছিল, তা টলিপাড়ায় শোনাই যাচ্ছিল। তাঁরা যে বিয়ের পিঁড়িতেও বসতে চলেছেন এই খবরও বেশ কয়েক মাস ধরেই টলিপাড়ার আনাচে-কানাচে ঘোরফেরা করছিল। অবশেষে জানা গিয়েছে, ২৭ নভেম্বর গোধূলি লগ্নে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন পিয়া-পরমব্রত।
২০২১ সালে সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে পিয়া চক্রবর্তীর। ফলে বিচ্ছেদের দু'বছরের মধ্যেই ফের গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। জানা যাচ্ছে, সোমবার বিকালে ঘরোয়া আয়োজনেই বিয়ের পর্ব সারবেন পরমব্রত-পিয়া। ইন্ডাস্ট্রি থেকে সেভাবে আমন্ত্রিত নন কেউই, মূলত পরিবার এবং একান্ত ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতেই বিয়ে হবে তাঁদের।
পিয়া-পরমব্রতের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই গুঞ্জন রটেছিল। এমনকি অনুপমের সঙ্গে পিয়ার বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে পরমব্রতকেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে পরমব্রত বিরক্তি প্রকাশও করেছিলেন। আবার এইসব গুঞ্জনকে নিছক গুজব বলেও উড়িয়ে দিতেন তিনি। কিন্তু যা রটে, তার কিছুটা তো বটেই। পরম-পিয়ার প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় যে কানাঘুষো চলছিল তা অবশেষে সত্যিই হল। পিয়ার সঙ্গে দু'বছরের বন্ধুত্বকে বিয়ের স্বীকৃতিই দিতে চলেছেন অভিনেতা। ফলে তাঁদের বিয়ের ছবি দেখার অপেক্ষায় অনুরাগীরা।
৩০৭ গ্রাম হেরোইন সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ফরাক্কা থানার পুলিস। শুক্রবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার আকুরা ব্রিজের কাছ থেকে ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুভাষ মন্ডল (৪০) ও সঞ্জিৎ মন্ডল (৩৫)। দুজনের বাড়ি মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানার চড়সুজা পুর। শনিবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে দশ দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতের আবেদন চেয়ে জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর ফরাক্কার আকুরা ব্রিজের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। দুজনের ব্যাগ তল্লাশি করে ৩০৭ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে দুই জন অভিযুক্তকে হেরোইন সহ গ্রেফতার করে ফরাক্কা থানার পুলিস। পুলিসের অনুমান, মুর্শিদাবাদ থেকে মাদকগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়।
তবে কোথা থেকে, কী উদ্দেশ্যে ওই দুই ব্যক্তি ফরাক্কায় হেরোইন নিয়ে এসেছিল তার তদন্ত করে দেখছে ফরাক্কা থানার পুলিস।
ফের বলিপাড়ায় বাজতে চলেছে বিয়ের সানাই। মণিপুরী গার্লফ্রেন্ড লিন লাইশরামের (Lin Laishram) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুডা (Randeep Hooda)। ২৫ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার ইনস্টাগ্রামে সেই খবর সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা। চলতি মাসেই বসবে তাঁদের বিবাহ বাসর। মণিপুরের ইম্ফলে আগামী ২৯ নভেম্বর বিয়ে করবেন তাঁরা। তারপর মুম্বইতে রিসেপশনের আয়োজন করা হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, বলিউড অভিনেতা রণদীপ বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। কিন্তু কবে, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। এবারে সমস্ত জল্পনার অবসান করে অবশেষে শনিবার, রণদীপ হুডা তাঁর ইনস্টাগ্রামে বান্ধবী লিন লাইশরামের সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিনক্ষণ দিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, 'আমাদের কাছে উত্তেজনাপূর্ণ খবর রয়েছে।'
অভিনেতা পোস্টটিতে লিখেছেন, 'মহাভারতে অর্জুন যেখানে মণিপুরের যোদ্ধা এবং রাজকুমারী চিত্রাঙ্গদাকে বিয়ে করেছিল সেখানেই আমরা আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের আশীর্বাদ নিয়ে বিয়ে করছি। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আগামী ২৯ নভেম্বর আমাদের বিয়ে। মণিপুরের ইম্ফলে এই অনুষ্ঠান হবে। তারপর মুম্বইতে রিসেপশন। আমাদের এই নতুন সফরে আপনাদের আশীর্বাদ চাই।' তাঁরা দুজনেই এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, 'আপনাদের জন্য আমাদের কাছে দারুণ সুখবর আছে।'
মিড ডে মিলে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ। রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রিপোর্ট যৌথ রিভিউ কমিটির। সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রাজ্যকে বিঁধতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হাতিয়ার সেই রিপোর্ট। সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ১৬ কোটির মিড ডে মিলে দুর্নীতি হয়েছে। ১০০ কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগ। জেলা থেকে আসা রিপোর্টের সঙ্গে কেন্দ্রের রিপোর্টও মিলছে না বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, অতিরিক্ত পড়ুয়া দেখানো হচ্ছে রাজ্যের তরফে। পড়ুয়া উপস্থিতির হারও বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে।
কখনও সাপ, কখনও বাঙ কিংবা টিকটিকি। প্রতন্ত গ্রামে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের বাচ্চাগুলো যখন দুপুরের খাবারটা মুখে তুলতে বসে, তখন তাতে দেখতে পায় ঝলসে যাওয়া টিকটিকি, সাপ-ব্যাঙদের। অনেকে খেয়েও ফেলে, অসুস্থও হয়। মিড ডে মিলে এভাবে সরীসৃপদের ঝলসানো দেহ পাওয়া গত কয়েক মাসে কার্যত নিত্য নৈমিত্তিক খবর হয়ে উঠেছে বাংলায়। সে খবর বারবার প্রকাশিত হয়েছে। কাঠগড়ায় উঠেছে প্রশাসন। খতিয়ে দেখার আশ্বাস মিলেছে, তবুও রোজনামচায় পরিবর্তন আসেনি। মিড মিল ইস্যুতে রাজ্যকে বারবার বিঁধেছেন বিরোধীরা।
এবার কেন্দ্রের তরফ যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতন। শিক্ষা, রেশন, চাকরি, মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোতে যে দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে, সে অধ্যায়ে নবতম সংযোজন মিড ডে মিল। বাচ্চাদের খাবারেও দুর্নীতি! রিপোর্ট কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকে জমা পড়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে। যত সংখ্যক উপস্থিতির হার দেখানো হয়েছে, তার থেকে কম রয়েছে উপস্থিতি। কর্মদিবসের হারেরও গড়মিল। সেখানেও বেশি করে দেখানোর কথা রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ১৬ কোটি মিড ডে অতিরিক্ত ‘এস্টিমেশনে’ চলে গিয়েছে। এই মিড ডে মিলের দাম ১০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইতিমধ্যেই CAG কে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সিবিআই-কেও মিড ডে মিল দুর্নীতিতে তদন্তের সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।
বাবাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছেলের। অভিযোগ, খুন করে নিজেই ফোন করে সে কথা জানায় তার শ্বশুর বাড়িতে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ছেলে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার দেনো গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম বাসুদেব পাত্র। অভিযুক্ত ছেলের নাম বিশ্বজিৎ পাত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটির উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল পুলিস মর্গে পাঠায়। তারপর এদিন অভিযুক্তকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসুদেব পাত্র মাধবডিহি থানার দেনো গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ও তার ছেলে দুজনেই গোয়ালার কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাসুদেব পাত্র ও তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ পাত্র বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গোয়াল ঘরে কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকাই বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ছেলে বিশ্বজিৎ। তার কিছুক্ষণ পরেই সমস্ত ঘটনার কথা নিজেই ফোন করে শ্বশুর বাড়িতে জানায় বিশ্বজিৎ। তারপর অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ এর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করা হয় বাসুদেব বাবুর ভাইকে। ঘটনার কথা জানতে পেরে বাসুদেব বাবুর ভাই ও প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন গোয়াল ঘরের পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাসুদেব বাবু। এরপর খবর দেওয়া হয় মাধবডিহি থানার পুলিসকে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ কয়েকদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। যার ফলেই সে তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়েছে বলে অনুমান। তবে আদৌ কি মানসিক ভারসাম্যহীন কারণ নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে এর পিছনে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ির অর্ড চা বাগানে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম নিতেন ওরাঁও ও সুমেশ সাউরিয়া। ধৃত দুজনই হল নকশালবাড়ি বেলগাছি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলার পর, ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিযেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবতীকে ফোন করে চা বাগানের নির্জন এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ওই দুই যুবক। তারপর যুবতীকে ধরে বেঁধে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই যুবক বলে অভিযোগ। এরপর সুযোগ বুঝে ওই যুবতী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বাড়িতে। সমস্ত ঘটনা জানাতেই বুধবার রাতেই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা নকশালবাড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সেদিন রাতেই নকশালবাড়ি থানার পুলিস অভিযুক্ত ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
শিক্ষা ও রেশন দুর্নীতির পর এবার অভিযোগ উঠেছে শস্যবিমা দুর্নীতির। গ্রামের প্রকৃত কৃষকদের জমির পরিমাণ কমিয়ে ভুয়ো কৃষক হিসেবে শস্যবিমা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের হাউসিবাদ গ্রামের এমন ঘটনা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে কৃষি দফতর। অভিযোগ, একটি গ্রামের ২২ জন ভুয়ো কৃষক হিসাবে মোটা অঙ্কের বিমার টাকা পেয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকবছর থেকেই এ রাজ্যের কৃষকরা খারিফ (বর্ষাকালীন ফসল) ও রবি (শীতকালীন ফসল) মরসুমে নিজেদের শস্যবিমা করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই দুটি মরসুমে পৃথকভাবে নিজেদের চাষযোগ্য জমির বিবরণ সহ শস্যবিমা করার জন্য ব্লক স্তরের কৃষি দফতরে আবেদন জানান কৃষকরা। সেই আবেদনের তথ্য যাচাই করে কৃষি দফতর তা পাঠিয়ে দেয় বিমা সংস্থার কাছে। আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারনে ফসলহানী হলে সরাসরি বিমা সংস্থা কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিমার টাকা জমা করে।
চলতি বছরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাঁকুড়ার ছাতনায় খারিফ মরসুমে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কারণ বৃষ্টির অভাবে বহু জমিতে ধান রোপণ করতে পারেননি ওই ব্লকের কৃষকরা। সেই কারণে সম্প্রতি বিমা সংস্থার তরফে ছাতনা ব্লকের কৃষকদের শস্যবিমার টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। আর তাতেই উঠে এসেছে বড়সড় বেনিয়মের অভিযোগ। ছাতনা ব্লকের হাউসিবাদ গ্রামের কৃষকদের একাংশের দাবি, গ্রামের প্রকৃত কৃষকরা যে পরিমাণ জমির তথ্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন তা ইচ্ছাকৃত ভাবে কমিয়ে দিয়েছে কৃষিদফতর। অভিযোগ, গ্রামের যে সমস্ত কৃষকদের নিজস্ব জমি নেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে মোটা মোটা অঙ্কের বিমার টাকা ঢুকেছে।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে স্থানীয় বিডিও, জেলা শাসক এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করেছে কৃষি দফতর।