ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ মামলায় দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ওই দুটি মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরী হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দু'জন, বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা। দুইজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনকি সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল ওই দুই ধৃত।
পূর্ব মেদিনীপুরের নারুয়াবিল্লা গ্রামে রাজকুমার মান্নার বাড়িতে গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়। রাজ্য পুলিস প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণে নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। পরবর্তীকালে, কলকাতা হাইকোর্টে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি প্রয়োগ করার এবং মামলাটি NIA-তে স্থানান্তর করার জন্য একটি প্রার্থনা সহ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে NIA মামলাটি গ্রহণ করে।
বিস্ফোরনকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন এনআইএ এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের ভূমিকা উন্মোচন করেছেন। যার মধ্যে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত, নরুয়াবিলা গ্রামের মনোব্রত জানা এবং নিনরুয়া আনালবেরিয়ার বলাই চরণ মাইতি। এই দুই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অপরিশোধিত বোমা তৈরির ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল এবং এর জন্য সমর্থন বাড়িয়েছিল। এনআইএ আধিকারিকরা তা তদন্তে খুঁজে পেয়েছিল, যার ফলে আজকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
আবগারি নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগেও অবশ্য এইরকম আরেকটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত এদিন বলেছে, এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভফর্নর এবং রাষ্ট্রপতির। এই অবস্থায় আদালত এব্যাপারে আদেশ দিতে পারে না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
তবে আদালত এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। তারা বলেছে, কখনও কখনও ব্যক্তি স্বার্থের থেকে জাতীয় স্বার্থ বড়। তবে এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেজরিওয়ালকে। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদনটি দাখিল করেছিলেন সমাজকর্মী ও হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা। তিনি আবেদনটি প্রত্যাহার করে বিষয়টি লেফটেন্যান্ট গভর্নররের সামনে বিষয়টি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি হাইকোর্ট এর আগে কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করতে একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুরজিৎ সিং যাদব নামে এক ব্যক্তি। এই সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি উঁচু পদে রয়েছেন। তিনি যদি হেফাজতে থাকেন, তাহলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তির পক্ষে অফিস চালিয়ে যাওয়া ভাল নয়। এব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি লালু যাদব এবং হেমন্ত সোরেনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হেফাজতে থাকায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও কাগজ নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করানোও যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল ইডি গ্রেফতার করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সম্প্রতি, আদালত তাঁকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইডির অভিযোগ, দিল্লি আবগারি নীতিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল।
কলকাতার ওয়াটগঞ্জে প্লাস্টিকের ব্যাগে মহিলার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতার ভাসুরকে গ্রেফতার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৪৫ নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। তবে মৃতার স্বামীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এদিন ধৃত নীলাঞ্জন সরখেলকে আলিপুর পুলিস আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে বিয়ে হয় দুর্গার সঙ্গে ধনী সরখেলের। তাঁদের ১৬ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। দুর্গার স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে রিহ্যাবে থাকেন। গত রবিবার সকালবেলা ফিরে এসে বউকে মারধর করে। দুর্গার দেহ কাটাকাটি এবং প্লাস্টিকে ভরে ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল তাঁর ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেল ও ননদের। আপাতত ননদকে ওয়ার্ডগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল দুর্গা সরখেল। বিভিন্ন খবরের কাগজ এবং সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর দেখে দুর্গার সরখেলের বাপের বাড়ির লোকজনেরা যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট পোর্ট থানায়।
পুলিসের অনুমান, একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। মহিলার বিরুদ্ধে পারিবারিক এবং আর্থিক কিছু বিষয়ে প্রায়শই বিরোধ ছিল। দুর্গার পেটে পাওয়া গিয়েছে অ্যালকোহলের নমুনা। প্রশ্ন উঠছে অ্যালকোহল দিয়ে বেহুশ করে খুনের পরিকল্পনা করেছিল স্বামী? বৃহস্পতিবার দুর্গার মৃতদেহ শনাক্ত করেন বাপের বাড়ির সদস্যরা।
ইতিমধ্যেই শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করেছে ইডি। অন্যদিকে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় হাত গুটিয়ে বসে নেই সিবিআই। একদিকে যখন আর্থিক দুর্নীতি, মাদক যোগ, জমি কেলেঙ্কারি, কিংবা মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাহজাহানের ঠিক তখনই ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় সিবিআইয়ের সক্রিয়তা ঘুম, উড়েছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার। সিবিআই সূত্রের খবর, ইডির ওপরে হামলার ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সিবিআই এর পক্ষ থেকে ফের সমন করা হলো একাধিক ব্যক্তিকে। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক নতুন নাম খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। এবার সেই সমস্ত ব্যক্তিকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সাবাই আধিকারিকেরা। ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সমন করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্র মারফত খবর।
ওদিকে গ্রেফতারির পর ইডির কাছে নত স্বীকার করল শেখ শাহজাহান। সূত্রের খবর, গত পাঁচই জানুয়ারিতে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। ইডিকে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ করেই ইডির তল্লাশিতে ভয় পেয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারের ভয় পেয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। সেক্ষেত্রে তিনি তার অনুগামীদের ফোন করে তাদের সাহায্য নেন।
ইতিমধ্যে জমি দখল মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত তার ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্স। ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন কম করে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করেছে শেখ শাহজাহান। শুধুমাত্র জমি দখল নয় একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শাহজাহান। মাত্র কয়েক বছরে বিপুল পরিমান সম্পত্তির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। সূত্রের খবর, ইডির জেরায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিষয় স্বীকারোক্তি করলেও সম্পত্তির উৎস কোথায় জানতে চাইলে মুখে কুলুপ শেখ শাহজাহানের।
খড়দহ, টিটাগড় ও সোদপুরে একের পর এক ঘটে যাওয়া দুঃসাহসিক চুরির কিনারা করল পুলিস। গ্রেফতার করা হল তিন দুস্কৃতীকে। পুলিসের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে খড়দহ রহড়া থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা, টিটাগর ও সোদপুর ঘোলা এলাকায় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে অথবা বাড়িতে ঢুকে ওষুধ জাতীয় কিছু স্প্রে করে মানুষকে অচৈতন্য করে চুরির ঘটনা ঘটছিল। আর সেই চুরির ঘটনার তদন্তে নামে রহড়া থানার পুলিস ও ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আশরাফুল নামে এক অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিস।
অভিযুক্ত আশরাফুলকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, পার্ক সার্কাসের রিয়ান ও রিজা নাম দুই দুষ্কৃতী আশরাফুলকে বাইকে করে খড়দহ রহড়া থানার অন্তর্গত এলাকায় ছেড়ে দিয়ে যেত। এরপর রাতের অন্ধকারে আশরাফুল বিভিন্ন বাড়ির ছাদে উঠে কোথায় কী আছে তা দেখে আসত। তার ঠিক পরের পরের দিন চুরির অপারেশন চালাত। চুরির শেষে স্থানীয় একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকত আশরাফুল। সেই জায়গা থেকে রিয়ান ও রিজা বাইক নিয়ে এসে আশরাফুলকে নিয়ে চলে যেত পার্ক সার্কাসে।
সূত্রের খবর, চুরি যাওয়া সোনার গহনা রিয়ান ও রিজা নামে ওই দুই দুষ্কৃতী রুবি আনন্দপুর এলাকায় মোহিত কুমার নামে এক সোনার দোকানের ব্যবসায়ীকে বিক্রি করত। তারপর সোনার দোকানের মালিককে জেরা করে ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিয়ান ও রিজা নামের দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিস। চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি স্কুটিও উদ্ধার করে পুলিস।
গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল বিপর্যয়কাণ্ডে এবার ধৃত বেড়ে তিন। সোমবার গ্রেফতার করা হল রাজমিস্ত্রি কিংবা শ্রমিক ঠিকাদারকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ রিপন। মূলত রাজমিস্ত্রি এবং লেবার কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। অভিযোগ, গার্ডেনরিচ আবাসন তৈরীর জন্য় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। আর সেই সমস্ত নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করেছিলেন অভিযুক্ত শেখ রিপন।
এর আগে গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে বিপর্যয়ের ঘটনায় ওই বহুতলের প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিস। এরপর যে জমির উপর ওই বহুতলটি তৈরি হচ্ছিল, সেটির মালিক মহম্মজ সরফরাজ ওরফে পাপ্পুকেও গ্রেফতার করা হয়।
সপ্তাহখানেক আগেই কলকাতার গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ে বহুতল। আর তাতে প্রাণ হারায় ১২ জন। ঘর-বাড়ি হারিয়ে সর্বহারা হয়েছেন অনেকে। আর তারপর থেকেই উঠে আসছে শহরে একাধিক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। এরপর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা।
প্রকাশ্য রাস্তায় খুনের ঘটনায় দিনের পর দিন বাড়াচ্ছে মানুষের আতঙ্ক। এবার ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল খাস শহর কলকাতার বুকে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। খুন করা হয় বছর ২৬-এর যুবক, ফুটপাতে বসবাসকারী সঞ্জয় মল্লিককে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সুমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভিযোগ, আমচকা একটি ভারী পাথর দিয়ে সঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে সুমিত। গুরুতর জখম হন সঞ্জয়। ঘুমের মধ্যে লাঘাতার মাথায় আঘাত হওয়ায় তা ভয়ানক রূপ নেয়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা আসেন, সঙ্গে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসরাও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য ফুটপাত বাসিন্দারাও।
যদিও পুলিস সূত্রে খবর, রাতেই পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সুমিতকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুমিত অ্যাপ ক্যাবে করে সেখানে আসে। এসে আঘাত হানে সঞ্জয়ের ওপর। কেন এই খুন? নেপথ্য কাহিনী কী? বের হবে তদন্তে। তবে, কলকাতার মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো ব্যস্ততম জায়গায় প্রকাশ্যে এমন খুন, কলকাতাবাসীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
লোকসভা ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর এলাকায় পুলিসের জালে ধরা পড়ে ওই নেতা। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাইকের টুল বক্স থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম রিপন শেখ। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে কান্দি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে বড়ঞা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হলদিয়া ফরাক্কা রাজ্যসড়কের উপর নাকা চেকিং চালায় বড়ঞা থানার পুলিস। সেই সময় সন্দেহজনক একটি বাইক আটক করে তল্লাশি চালিয়ে টুল বক্স থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে আটক করে বড়ঞা থানার হেফাজতে রাখেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিন ধৃতকে কান্দি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিস।
বেপোরোয়া গতির প্রতিবাদ করায় মারধর নিউটাউন থানার পুলিসকে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার চার। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হরিয়ানা ও দিল্লির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ন'টা নাগাদ দুটি গাড়ি বেপোরোয়া ভাবে যাচ্ছিল। সেই সময় নিউটাউন ওয়াচ টাওয়ার ব্রিজের নিচে এক পথ চলতি ব্যক্তি প্রতিবাদ করেন। তারপরই গাড়ি থেকে নেমে সেই ব্যক্তিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিউটাউন থানার পুলিস। পুলিসকে দেখেও শান্ত হয়নি অভিযুক্তরা। ব্যাট, উইকেট দিয়ে মারধর শুরু করে পুলিসকেও। এরপরে গাড়িতে থাকা সাত আট জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। শুক্রবার সকালে থেকে কলকাতায় চলছে ইডির ম্য়ারাথন তল্লাশি। লেকটাউন সহ ৫ জায়গায় চলছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন চেতলায় বিশ্বরূপ বসু নামক এক ব্য়বসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরিবহন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার 'মিডলম্য়ান' অর্থাৎ প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ এই বিশ্বরূপ বসু।
ইডি সূত্রে খবর, এদিন চেতলার ১৭৮ নম্বর পিয়ারী মোহন রায় রোডের বাড়িতে ছিলেন না বিশ্বরুপ বসু। সেখানে তাঁর দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্য়মে জানা যায়, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বিশ্বরূপ বসু। অন্যদিকে চেতলা লকগেটের কাছে বিশ্বরূপ বসুর আরেকটি ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে। যদিও সেই ফ্ল্যাটটি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। সেখানেও তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে পাওয়া গিয়েছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর প্রসন্ন কুমার-এর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা।
এরপর প্রসন্ন কুমার রায়ের সূত্র ধরে এস কে ঝুনঝুনওয়ালা ওরফে সত্যেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার সন্ধান পান ইডি আধিকারিকেরা। এদিন সকালে ইডি আধিকারিকেরা তাঁর লেকটাউন বিরাটি অঞ্চলের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে তাঁকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে নিয়ে তাঁর ভাই বীরেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিরাটি ৪ নম্বর মহাজাতি অঞ্চলের গৌরীপুর রোডের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। সকাল ন'টা থেকে সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা।
চোলাই মদ সহ গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৬০ লিটার চোলাই মদ। আবগারি দফতর এবং সুতি থানার পুলিসের যৌথ অভিযানে বানচাল হয়েছে পাচারের ছক। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে সুতি থানার সরলা কিশোরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন মিলন মাঝি এবং সত্যবান সরকার। তাদের বাড়ি সরলা কিশোরপুর এবং বসন্তপুর। আজ, বুধবার চোলাই মদকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিস। চোলাই মদ কারবারের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে চোলাই মদ উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ মানুষ।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড়সড় সাফল্য় পেল নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিস। গভীর রাতে টহলদারির সময় আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও পুলিস দেখামাত্র পালিয়ে যায় দু'জন। তল্লাশি চালিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশি পিস্তল রামদা, হাসুয়া, কুড়ুল সহ নগদ ১৫ হাজার ৩০০ টাকা। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা হলেন সফিকুল গাজি (৩৫), সঞ্জীব চক্রবর্তী (৩১) এবং প্রদীপ বিশ্বাস (৩০)।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল ওই দুষ্কৃতীদের দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিস। এরপর নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কোদালিয়া এলাকা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাকি দুইজন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারির পর দুষ্কৃতীরা জানান, বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে বাগানের গাছ কাটা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ কাজ করত তারা। আর এই সুযোগেই কোন বাড়িতে কোথায় কী আছে লক্ষ করত। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় চুরি ছিনতাই এর মত একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান পুলিস। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিসের সফলতায় আনন্দিত এলাকাবাসীও।
পাচারের আগেই নিষিদ্ধ ফেনসিডাইল বোতল সহ গ্রেফতার এক ব্য়াক্তি। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ১৮৬ টি ফেনসিডাইল বোতল। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শফিকুল শেখ। বাড়ি মুর্শিদাবাদের রাণীনগর থানার উত্তর চর মাঝার দেয়ার এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পাঠিয়ে, পাঁচ দিনের দিনের জন্য় পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হবে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে রাণীনগর থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে এক ব্য়াক্তিকে আটক করে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা একধিক ফেনসিডাইল বোতল। তারপরেই ওই ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তবে এতগুলো নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ কোথায় পাচারের জন্য় নিয়ে যাচ্ছিল ওই ব্য়াক্তি এবং কোথা থেকেই নিয়ে এসেছিল ? তা জানতে ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে রাণীনগর থানার পুলিস।
ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার আরও ৩। গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ছাড়াও মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা। ইডির উপরে হামলার ঘটনায় এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেইমত নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হয় শেখ আলমগীর। গত বৃহস্পতিবার তাকে তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যায় আলমগীর।
তারপর ফের শনিবার তাকে তলব করে সিবিআই। আর তার সঙ্গেই তলব করা হয় সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাফুজার মোল্লা ও অপর তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে। টানা ৯ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। আর তারপরই গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর। ইডির ওপর হামলার ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শেখ আলমগীর। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শেখ আলমগীরকে গ্রেফতার করে সিবিআই।পাশাপাশি গ্রেফতার অপর ২ তৃণমূল নেতা মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা।
আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার সন্দেশখালি গিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে তলবের নোটিস দিয়ে এসেছেন। শাহজাহানের ভাই আলমগীরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তের জন্য শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু শাহজাহানের অনুগামীদের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। মারধর করার অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে শাহজাহান নিখোঁজ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুলিস গ্রেফতার করে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১৪ মার্চ শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবার সিবিআইয়ের জালে তার ভাই আলমগীরও।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।