শহর পুরুলিয়ার (Purulia) সোনার দোকানের (Gold Shop) ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় ১০ দিনের মধ্যে কিনারা করল পুলিস। গত ২৯ অগাস্ট ডাকাতির ঘটনার দিনই বেশ কিছু সূত্র পেয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিস। সেই সূত্র থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল এই ঘটনায় বিহার-ঝাড়খণ্ড যোগ। ঘটনার দিন থেকেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নাকা তল্লাশি-সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিসের টিম। একের পর এক ইনপুট সংগ্রহ করে চলছিল তদন্ত। শুক্রবার মধ্যরাতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের সুদামডি থেকে এই ঘটনার অন্যতম কিংপিন করণজিৎ সিং সিধুকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার চাষনালার কাছে পাথরডি থানা এলাকায়। শনিবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়।
এই ঘটনায় সহযোগী হিসাবে কাজ করা বিকাশ কুমারকে গত ৫ অগাস্ট দিল্লির নয়ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার বাড়ি দিল্লিতেই। সে এখন পুলিস হেফাজতে রয়েছে। ধৃত করণজিৎ ও বিকাশ কুমারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধৃত করণজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে ওই ডাকাতির ঘটনায় মোট সাতজন ছিল। তার মধ্যে সে একজন। বাকি নামগুলো আমরা পেয়ে গিয়েছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জেলা পুলিসের টিম বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে।” রানাঘাটের ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি এই ঘটনার যোগ না থাকলেও দু’টি ঘটনার মাস্টারমাইন্ড একজনই। সংশোধনাগারে বসেই এই অপরাধের ছক কষা হয়েছিল।
গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়ার নামোপাড়ার একটি নামকরা সোনার বিপণিতে ৮ কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। মোটরবাইকে আসা সাত দুষ্কৃতী প্রায় আধঘণ্টার মধ্যে অপারেশন সেরে পুরুলিয়ার সীমানা পার হয়ে ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছিল। বিহার-ঝাড়খণ্ডের এই দুষ্কৃতীদের নিখুঁত অপারেশনে ওই বিপণির সিসিটিভির ডিভিআর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ফলে এই ঘটনার কিনারা করা খুব একটা সহজ ছিল না। যদিও শহর পুরুলিয়ার বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিস। ঘটনার পরের দিনই ৩০ অগাস্টের তদন্তে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করে। এই ঘটনার তদন্তে এসেছিলেন রাজ্য পুলিসের আইজি (বাঁকুড়া রেঞ্জ) ভরতলাল মিনাও।
ফরেনসিক টিম ওই বিপণিতে এসে নমুনা সংগ্রহ করে। ওই একই দিনে রানাঘাটেও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ফলে সেদিনই পুরুলিয়া জেলা পুলিসের একটি দল রানাঘাটে টিম পাঠায়। ওই ঘটনার সঙ্গে পুরুলিয়ার ডাকাতির সরাসরি কোনও যোগ না থাকায় সেই দল আবার ফিরে আসে। একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন টিমের ইনপুট থেকে পরে পুরুলিয়া জেলা পুলিস জানতে পারে রানাঘাট ও পুরুলিয়া দুটি ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড একজনই। তার নামও পেয়ে গিয়েছে পুলিস। তদন্তের স্বার্থে গোপনীয়তা অবলম্বন করে এই ঘটনার একেবারে উৎসস্থলে পৌঁছতে চাইছে পুরুলিয়া জেলা পুলিস।
যে দুষ্কৃতী দলটি পুরুলিয়াতে অপারেশন চালায় তারা অতীতে আসানসোলে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে ফেরার সময় ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারিতে একজনকে গুলি করে খুন করে। এছাড়া ধানবাদেও এই দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে একটি গুলির লড়াই হয়। এই দলের সদস্যরা ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত গত চার-পাঁচ মাস আগে দমদমেও সোনার দোকানে ডাকাতি করে বলে অভিযোগ। এই দুষ্কৃতী দলটি একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনা করে সবসময় অপারেশন সারে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা এক একটি অপারেশনের বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকে। কেউ অপারেশন করার জন্য যানবাহন বা মোটরবাইকের খোঁজ করে। কেউ দেখে আইটি সেক্টর। এরা এমনভাবে অপরাধ সম্পন্ন করে যেকোনও প্রমাণই তারা ফেলে যায় না। পুরুলিয়ার এই সোনার দোকানে অপারেশন করার জন্য তারা শহর থেকে ৫০ কিমি দূরে ঝাড়খণ্ডের একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেই আশ্রয়স্থল থেকেই ২০-২৯ আগস্ট পর্যন্ত তারা রেইকি করে। তারপরই হয় অপারেশন।
ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া রাজ্যে। স্ত্রীর মৃতদেহর সঙ্গেই বসবাস স্বামীর। শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় স্ত্রী শিখা সেনগুপ্তের। সেই মৃত্যুর খবর কাউকে না জানিয়ে স্ত্রীর দেহ নিয়ে বসেছিলেন বছর ৭৬-এর পঙ্কজ সেনগুপ্ত। এবার ঘটনাস্থল পুরুলিয়ার (Purulia) মুনসেফ ডাঙার কাশীনাথ চক্রবর্তী লেন।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রচন্ড দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরাই খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিসকে। কাউন্সিলর ও পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে বাড়ির ভিতর ঢুকতেই গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। দেখা যায়, বাড়ির বাথরুমে পচা-গলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিখা দেবীর দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পঙ্কজ সেনগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী শিখা সেনগুপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। গত ৭ দিন ধরে শিখা দেবীকে দেখা যাচ্ছিল না। তবে নিয়মিত পঙ্কজ বাবু রোজ খাবার আনতে বাইরে যেতেন। সোমবারও তিনি ঘরের বাইরে বেরিয়ে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর খবর একেবারেই জানতে পারেননি প্রতিবেশীরা। স্থানীয়রা আরও জানান, স্ত্রীর মৃতদেহের সামনেই পঙ্কজবাবু স্বাভাবিকভাবে খাওয়া দাওয়া, থাকা সবই করছিলেন।
পঙ্কজবাবু দাবি করেছেন, রবিবার স্ত্রী বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই বিষয় তিনি কাউকে জানাননি। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া সদর থানা পুলিস।
অ্যালার্ম বেজে ওঠায় বড়সড় ব্যাঙ্ক ডাকাতি আটকানো সম্ভব হল পুরুলিয়ায়। যদিও পুলিস পৌঁছনোর আগেই চম্পট দেয় ডাকাত দলটি। তাদের খোঁজে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালানো হয়। এর ঠিক কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ার একটি সোনার দোকানে বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে বারবার ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে হুড়া এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কয়েকজন ডাকাতের একটি দল হুড়া বাজার এলাকার একটি ব্যাঙ্কে হানা দেয়। কিন্তু তারপরেই অ্য়ালার্ম বেজে ওঠায় জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই চম্পট দেয় ডাকাত দলটি।
গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের তরফে তল্লাশি চালানো হয়। তবে ডাকাত দলটি সঙ্গে করে দুটি ব্যাগ এনেছিল। ব্যাঙ্কের ভিতরেই সেগুলি ফেলে রেখে পালায় তারা। ডাকাত দলটি কোথা থেকে এসেছিল তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা।
মিডে মিলে (Midday Meal) ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়ে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই সময় জেলায় জেলায় স্কুলগুলিতে ছিল সাজো সাজো রব। বাদ যায়নি পুরুলিয়া জেলাও। কিন্তু তারপর কোথায় গেল নিয়ম বিধি? কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্য থেকে যেতেই উঠে এল অভিযোগ। পুরুলিয়ার (Purulia) শিমুলিয়া বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল রান্নার জন্য কোনও পোশাকই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি শুক্রবার ছবি সংগ্রহে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাধার মুখে পড়লেন সিএন-এর প্রতিনিধি।
স্কুলের রান্না ঘরে ঢুকতেই দেখা গেল, রাঁধুনিরা বিনা অ্যাপ্রনে, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও টুপি না পরেই রান্না করতে ব্যস্ত। যা সরকারি গাইড লাইন বিরুদ্ধ। এর জন্যই কি প্রধান শিক্ষকের এত রাখঢাক? যদিও প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করায় তিনি বাধা দিয়েছেন। আর ঘটনার দায় চাপিয়েছেন অ্যাপ্রন না পরা রাঁধুনিদের উপর।
অথচ রাঁধুনিদের বক্তব্য, তাঁদের নাকি রান্নার কোনও পোশাকই দেওয়া হয়নি স্কুল থেকে। তাহলে ঘটনার মূলে কে রয়েছেন? পুরুলিয়ার শিমুলিয়া বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫০০ গ্রাম ডাল। খাদ্য সামগ্রী কেনার জন্য বরাদ্দ বাকি টাকা যাচ্ছে কোথায়?
এ কেমন হাল স্কুলের? প্রশ্ন উঠছে, খাবারে বিষক্রিয়া হলে এতজন পড়ুয়ার দায়িত্ব নেবে তো স্কুল কর্তৃপক্ষ? উত্তর অধরাই।
পুরুলিয়া থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তি। উদ্ধার এই মূর্তি মনে করা হচ্ছে ,এটা নির্বাণ লাভের মূর্তি। পুরুলিয়া জেলার তথ্য ও সাংস্কৃতিক বিভাগের আধিকারিক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তীর দাবি, উদ্ধার এই মূর্তি ‘সারনাথ’ মূর্তি নামেও পরিচিত। উত্তরপ্রদেশের সারনাথে এমন মূর্তি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল বলেও দাবি তাঁর।
জেলার 'মুক্ত জাদুঘর’ বলে পরিচিত জৈন ক্ষেত্র পাকবিড়রা। তারই সামনের ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রাচীন এই বুদ্ধ মস্তক। ইতিমধ্যেই এই মূর্তি নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে , এই মূর্তি খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর হতে পারে। ওই গবেষণায় দাবি, বুদ্ধদেব দেহ রাখার পরেই এই মূর্তি তৈরী করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর পুঞ্চা ব্লক থেকে এই মূর্তিকে নিজেদের কাছে নিয়ে আসেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিকরা। আনুমানিক প্রায় ৬০০ বছর আগের এই মূর্তি জৈন ভূমি পুরুলিয়ায় মেলায় বিস্ময় আরও বাড়ছে বলেই দাবি সরকারি আধিকারিক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তীর।
২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগ। অভিযুক্ত একরত্তির মা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় লোকলজ্জার ভয়ে সন্তান বিক্রি করে সে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ঘটনাটি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাভুতিয়া এলাকার। অভিযুক্ত মহিলার নাম শুক্লা দাস। সম্প্রতি এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। স্থানীয়দের দাবি, সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে সে। তা জানতে পারেন তাঁর স্বামী তাপস মন্ডল। ঝুমা মাঝি নামে এক মহিলা ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁদের সন্তান কেনেন। তা জানতে পেরে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক প্রতিবেশী।
ঝুমা নিঃসন্তান ছিল। জমি বিক্রি করে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শুক্লার ১১ দিনের সন্তানকে কেনেন তিনি। সদ্যোজাতের মা শুক্লা দাস, তাপস মন্ডল, মধ্যস্থতাকারী এক আয়া শান্তি মন্ডল ও ঝুমা মাঝিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুরুলিয়ায় (Purulia) তৃণমূল (TMC) নেতা খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে বিহার (Bihar) থেকে ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করল পুলিস। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছিল। এবার আরও একজনকে গ্রেফতার করা হল। আরও ২ ভাড়াটে খুনির খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে।
বিহার থেকে যে ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম রত্নেশ কুমার পাণ্ডে। তিনি বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে খবর, আগে থেকই গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল তারা। সেইমতো বিহারের গোপালগঞ্জে পৌঁছে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশের একটি দল। শুক্রবার রত্নেশকে গ্রেফতার করা হয়।
২২ জুন রাতে তৃণমূল কার্যালয়ে খুন হন পুরুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ধনঞ্জয় চৌবে। এই ঘটনার পরেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন।
পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের একটি স্কেচ তৈরি করে শুরু হয় তদন্ত। সেই মতে বিহার থেকে গ্রেফতার হয় রত্নেশ।
ফের এক বিজেপি (BJP) কর্মীর দেহ উদ্ধার পুরুলিয়ায় (Purulia)। নিহতের নাম বঙ্কিম হাঁসদা। সোমবার মানবাজারের (Manbazar) বোরো থানা এলাকার কেন্দডি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছেন।
জানা গিয়েছে, বঙ্কিম হাঁসদা ১০২ নম্বর বুথের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রবিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। তারপর নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে কেন্দডি থেকে ঝরিয়াড়ি যাওয়ার রাস্তার তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় যোগ রয়েছে বিজেপির। দলের বান্দোয়ানের ৩ মণ্ডলের সভাপতি কৃত্তিবাস মাহাত জানিয়েছেন, বঙ্কিম হাঁসদা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করে আসছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে। অতি দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন তিনি।
গত ২৯ জুন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপি নেতা দীপক সামন্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল শাসক দল। এমনকি, বাড়িতেও সাদা থান পাঠানো হয়। ভোট প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে শাসক দলের কর্মীরা হুমকি দেয়। শাসক দলের কর্মীরাই তাঁকে খুন করেছেন বলেও অভিযোগ।
পুরুলিয়ার আদ্রায় (Purulia) তৃণমূল (TMC) নেতা খুনের ঘটনার তদন্তে সিট (SIT) গঠল করল পুলিস। ওই তদন্তের নেতৃত্ব দেবেন পুরুলিয়ার পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, সিটে পুলিস সুপারের পাশাপাশি রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার অম্নান কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিস সুপার চিন্ময় মিত্তল এবং রঘুনাথপুরের এসডিপিও অবিনাশ ভীমরা। নিহতের পরিবারের সদস্যরা রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন। শনিবার রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ধনঞ্জয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় পার্টি অফিসে ঢুকে খুন করা হয় আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুরুলিয়ার বেতো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী আরশাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামাল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে ঘটনার বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েতের (Panchayat) মধ্যেই ফের খুন রাজ্যে, ফলে রাজ্যে বলির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯। ভর সন্ধ্যায় খুন হয়ে শহর তৃণমূলের (Trinamool) সভাপতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার (Purulia) আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তিনটি গুলি লাগে ধনঞ্জয়বাবুর দেহে। একটি গুলি লাগে তাঁর এক আত্মীয়ের দেহে। ১টি গুলি লাগে তাঁর দেহরক্ষীর দেহে। তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস। ভর সন্ধ্যায় ব্যস্ত শহরে শহর তৃণমূল সভাপতিকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার পর আদ্রা শহরে ব্যাপক পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই খুনের পিছনে রয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি বাইরে থেকে অস্ত্র মজুত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওদিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের কোন্দলের জন্যই এই খুন। এলাকা দখল নিয়ে লড়াইয়ের জেরেই খুন হয়েছেন ধনঞ্জয়বাবু।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election) আগে উদ্ধার (Rescue) মাও নামাঙ্কিত পোস্টার (Poster)। জঙ্গলমহলের বিজেপি বিধায়কের নামে এই হুমকি পোস্টার। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) বলরামপুরে ডাভা গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বলরামপুর থানার পুলিস এসে পোস্টারগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
বলরামপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বানেশ্বর মাহাতোর নামে এই পোষ্টার গুলি দেখা যায়। পোস্টারে বিধায়ককে দল ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগদান করতেও বলা হয় এবং সাত দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়। নাহলে প্রাণে মারার হুমকিও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে এই পোস্টারে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বলরামপুরে একাধিক বিজেপি কর্মীর রহস্যময় মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। এবার ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতে না হতেই শুরু হয়েছে মাও নামঙ্কিত পোস্টার পড়া।
এই বিষয় বিজেপি বিধায়ক বানেশ্বর মাহাতোর বক্তব্য, এই পোস্টার মাওবাদীদের নয়। এই পোস্টারের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। তাঁকে এবং বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে এই পোস্টার ছড়িয়েছে তৃণমূল। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগে নিজেদের হাইলাইট করতে ও তৃণমূলকে বদনাম করতে তারাই নিজেরাই এই পোস্টার ছড়িয়েছে। এই পুরো ঘটনা পুলিস তদন্ত করে দেখুক। ঘটনায় যারা যুক্ত রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মাধ্যমিকে অকৃতকার্য (Failed) হওয়ার অভিমানে আত্মঘাতী (Suicide) হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Secondary students)। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার টামনা থানার অন্তর্গত (Purulia) ডুরকু গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই পরীক্ষার্থীর নাম দীপিকা মাহাতো। দীপিকা পুরুলিয়া শান্তময়ী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল।
মৃত ওই পরীক্ষার্থীর পরিবারের সূত্রে খবর, শুক্রবার দীপিকা অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারে সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি বাড়িতে জানা জানি হতেই পরিবারের সদস্যরা দীপিকা কে সামান্য বকাবাকি করে। তার পরেই কার্যত মানসিকভাবে অবসাদে ভেঙে পরে দীপিকা। এদিন বিকেলের পর থেকে দীপিকার কোনো খোঁজ না মেলায় তাঁর খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। তার পর বাড়ির একটি ঘর বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়েই পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। তড়িঘড়ি দরজা ভাঙতেই দেখা য়ায় সিলিং পাখায় ঝুলছে দীপিকার নিথর দেহ। দ্রুত তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পাঠানো হয় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পরেই ময়না তদন্ত জন্য দেহ মর্গে পাঠানো হয়।
বেআইনি টোটো (Illegal Toto) দৌরাত্ম্য কমাতে বেআইনি টোটো বিক্রেতদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলো পুরুলিয়া (Purulia) আরটিও (RTO) দফতর। শহরে যেখানে সেখানে গজিয়ে ওঠা অনুমতিহীন টোটো দোকান গুলিতে গিয়ে অভিযান চালিয়ে টোটো কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা (Prohibition) জারি করেছেন আরটিও দফতরের আধিকারিকরা।
শুক্রবার, শহরের বিটি সরকার রোড, দেশবন্ধু রোড সহ শহরের একাধিক টোটোর দোকানে গিয়ে তাঁদের টোটো বিক্রির অনুমতির কাগজপত্রের খোঁজ নেন আরটিও আধিকারিকরা। যদিও অধিকাংশ দোকান গুলির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি দোকান মালিকরা। ফলে তাঁদের কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়। অনেক দোকানের মালিকরা আরটিও দফতরের আধিকারিক পৌঁছানোর আগেই দোকান ছেড়ে পালিয়ে যান।
এদিন আরটিও দফতরের আধিকারিক বলেন, শহরে অনুমতিহীন টোটো বিক্রি হলেও সেই সব টোটোর কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। ফলে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই শহরে অবাধে চলছিল এই বেআইনি টোটোগুলি। সম্প্রতি বেআইনি টোটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই, প্রথম ধাপে বেআইনি টোটো বিক্রি রুখতে এদিনের এই অভিযান। আগামী দিনে রাস্তায় যেসব নম্বরবিহীন বেআইনি টোটো চলছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শহর জুড়ে টোটোর দৌরাত্ম্যের ঘটনা নতুন নয়। দিন যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে ততো বাড়ছে টোটোর সংখ্যা। সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত বিনা লাইসেন্স এবং বিনা নম্বরে টোটো নিয়ে রাস্তায় রাজত্ব করছে এই বেআইনি টোটো গুলি। এর ফলে শহর জমছে ব্যাপক যানজট। যখন তখন সড়কপথে ঘটছে দুর্ঘটনা। আর তাই শুক্রবার আরটিও দফতরের আধিকারিকরা বেআইনি টোটো দৌরাত্ম্য রুখতে শহরের বিভিন্ন অনুমতিহীন দোকানগুলিতে অভিয়ান চালায়।
দুই প্রতিবেশী মধ্যে বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে হামলা। ঘটনায় মৃত্যু (Death) দুই জনের। আহত (Injured) আরও দুই। এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) রঘুনাথপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথপুর থানার পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, মৃত দু-জনের নাম সুরজ বাউরি (১৬) ও প্রতীক বাউরি (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মন্টু বাউরির সঙ্গে পড়শি সুরজ বাউরির বিবাদ শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। মধ্যস্থতা করতে ছুটে আসে সুরজ-এর বাবা বাপি বাউরি ও দাদা প্রতীক বাউরি। অভিযোগ, এরপরেই মন্টু ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপরে হামলা চালায়। ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের চারজনেই গুরুতর আহত হয়। তড়িঘড়ি তাঁদের রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রথমে সুরজ বাউরিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ১৮ বছরের প্রতীক বাউরির।
উল্লেখ্য, এখনও হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে বাপি বাউরি ও মন্টু বাউরি। ঘটনার পর হাসপাতালে আসেন রঘুনাথপুর থানার পুলিস ও রঘুনাথপুর মহকুমার পুলিস আধিকারিক অবিনাশ ভীমরাও জোধাবর। তকবে কী কারণে এই বিবাদ ও হামলা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথপুর থানার পুলিস।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Fire) জেরে পুড়ে গেল একটি চারচাকা গাড়ি (Car)। বুধবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) শহরের বিটি সরকার রোডে (BT Sarkar Road)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর ৪:১৫ নাগাদ বিটি সরকার রোডের কাছে একটি বিদ্যুতিক খুঁটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুনের সেই ফুলকি নিচে দাঁড়িয়ে থাকা একটি চার চাকা গাড়ির উপর পড়ে। এরপরই ওই গাড়ি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। স্থানীয় পথ চলতি মানুষ ওই আগুন দেখতে পেয়ে খবর দেয় দমকল বাহিনীতে। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দমকল আধিকারিকরা জানান, প্রাথমিক অনুমান ওই এলাকায় একটি বিদ্যুতিক খুঁটিতে শর্ট সার্কিটের জেরে বিদ্যুৎ খুঁটিতে আগুন লেগে যায়। সেই খুঁটির নিচে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় সেই গাড়িটিও আগুনের কবলে পড়ে। যদিও সময় মত দমকল ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় স্থানীয় সদর থানার পুলিস ও দমকল এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে।