যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার আইএসফের (ISF) বুথ সভাপতি (Booth President)। সোমবার নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে, কাশিপুর থানার পুলিস ওই অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করে। পুলিস (Police) জানিয়েছে, স্থানীয় এক বধূর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাঁকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ ওই নেতার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নেতা পেশায় টোটোচালক, বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তিনি মাঝেমধ্যেই টোটো করে ভাঙড় এলাকার এক বধূকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতেন।
পুলিস জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে সন্ধ্যায় জামাকাপড় কেনার কথা বলে ওই বধূকে বাইকে করে রাজারহাট নিয়ে যান ওই নেতা। অভিযোগ, জামাকাপড় কিনতে যাওয়ার বদলে জামালপাড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে বধূকে ৩-৪ দিন ধরে আটকে রেখে লাগাতার যৌন নিগ্রহ করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, ভিডিয়ো করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন অভিযুক্ত। একই সঙ্গে ওই বধূর গয়নাগাটিও বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, 'নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, অভিযুক্তকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিস।'
ভারতীয় বায়ু সেনার (Indian Air Force) পোশাকে সুখোই-৩০ যুদ্ধ বিমান ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু (President Murmu)। শনিবার অসমের তেজপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই বিমান ওড়ালেন তিনি। সংবিধান মেনে দেশের তিন বাহিনীর কমান্ডার দেশের রাষ্ট্রপতি। সেই সূত্র ধরেই এদিন তেজপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দেশের সংবিধান প্রধান। সেখানেই সুখোই-৩০ (Sukhoi 30) এমকেআই-র প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ান তিনি। সহকারী পাইলটের আসনে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান চালক। তেজপুর ঘাঁটির পরিদর্শক খাতায় রাষ্ট্রপতি লেখেন, 'এমন উড়ানের ব্যবস্থা করার জন্য আমি তেজপুরের বিমান ঘাঁটির সমস্ত সেনাদের অভিনন্দন জানাই।'
President Droupadi Murmu took a historic sortie in a Sukhoi 30 MKI fighter aircraft at the Tezpur Air Force Station in Assam. President Murmu is the third President and second woman President to undertake such a sortie. pic.twitter.com/DozRAWm3Yp
— President of India (@rashtrapatibhvn) April 8, 2023
সুখোই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি টুইটারে লেখেন, 'ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিশালী সুখোই-৩০-এমকেআই যুদ্ধবিমানে ওঠা আমার কাছে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এটা গর্বের বিষয় যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষমতা আজ জল, স্থল এবং অন্তরীক্ষে সুদৃঢ় ভাবে প্রসারিত।' প্রসঙ্গত, ভারতের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসাবে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানে সওয়ার হলেন দ্রৌপদী। ২০০৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল মহারাষ্ট্রের পুণে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এই রুশ যুদ্ধবিমান উড়িয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) 'চোর-ডাকাত' মন্তব্যের প্রতিবাদে (Protest) আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, গোটা দিন পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করবে ডিএ (Da) আন্দোলনকারী অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীরা। সমস্ত সরকারি দফতরে এই কর্মসূচি চলবে বলে খবর। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সূত্রে খবর, কিছু জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে, সরকারি সমস্ত ক্ষেত্রে এই পেন ডাউন কর্মসূচি জারি থাকবে। যেমন, বহু স্কুলে এখন পরীক্ষা চলছে, ফলে শিক্ষা ক্ষেত্র ওই তালিকা থেকে বাদ থাকতে পারে।
শুধু রাজ্য জুড়ে নয়, মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে এবার আন্দোলনকারীরা দিল্লি যাচ্ছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, ডিএ আন্দোলনকারীদের একটি দল দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। সূত্রের খবর, চলতি মাস অর্থাৎ এপ্রিলের ৮ এবং ৯ তারিখ তাঁরা দিল্লিতে পৌঁছবেন। ১১ এবং ১২ তারিখ দিল্লির যন্তর মন্তরে তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ডিএ আন্দোলনকারী তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে কিংকর অধিকারী এদিন বলেন, 'আমরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করব বলে আবেদন করেছি। এছাড়া দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের দেখা করার ইচ্ছা আছে।' সূত্রের খবর, ডিএ আন্দোলনকারী আবেদন পেয়ে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি দু'জনেই সাড়া দিয়েছেন। এখনও অবধি রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি দফতর থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দু'জনেই ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ডিএ আন্দোলনকারীদের তরফে আরো খবর যে, কমবেশি ৬০০ জন কর্মচারী দিল্লিতে পৌঁছবেন। যন্ত্রর-মন্তরে দু'দিন আন্দোলন চলবে। তাঁদের একটি প্রতিবাদ মঞ্চ শহীদ মিনারেও থাকবে। এক আন্দোলনকারী বলেন, 'দিল্লি থেকে ফিরে এসে, তাঁদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আরও পরবর্তীকালে এই আন্দোলন জোরদার হবে।
প্রসূন গুপ্ত: শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রথম কলকাতায় এলেন সোমবার। তাঁকে সংবর্ধনা জানানোর বিপুল আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর তিন কর্তা। পুলিসের বড় কর্তাদের উপস্থিতি নজর টেনেছে। এরপর হেলিকপ্টারে রাষ্ট্রপতি চলে আসেন কলকাতার রেসকোর্সে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতিকে বাংলার বিশেষ শাল পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরে ফুল তুলে দেন তাঁর হাতে রাজ্যপাল। এরপর রাষ্ট্রপতি চলে যান নেতাজি ভবনে। সেখানেও তাঁর সঙ্গী ছিলেন রাজ্যপাল।
এবার আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা। গত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে যেভাবে নেতাজি ইনডোরে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেভাবেই দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধিত করা হয়। প্রথমেই জঙ্গল মহলের বিশেষ নৃত্য পরিবেশিত হয় এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ওই নাচে অংশ নেন। প্রারম্ভিক ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতিকে। তিনি বলেন, 'এক জন মহিলা হিসাবে নয়, মানুষ হিসাবে রাষ্ট্রপতিজিকে অভ্যর্থনা জানাই।' ভাষণ শেষে তিনি জয় হিন্দের সঙ্গে জয় রাষ্ট্রপতি, জয় উড়িষ্যা জানান। এরপর সাহিত্যচর্চা করা রাজ্যপাল নানা উদাহরণ দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে শুভেছা জানান।
এখানেও মঞ্চে দেখা যায় কলকাতার মেয়রকে। সবশেষে বক্তব্য রাখতে আসেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে কৃতজ্ঞাতা জানান পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। তিনি বলেন, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নৃত্য দেখে আপ্লুত। মনে হচ্ছে তাঁর উড়িষ্যার গ্রামে রয়েছেন।' তিনি যে খুশি মুখ্যমন্ত্রীর উপর তা জানাতে বিলম্ব করেননি রাষ্ট্রপতি। তবে এই খুশির দিনে বিরোধী দল বিজেপির কাউকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তারা নাকি এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। বাংলার প্রধান উৎসবের দুর্গা প্রতিমা উপহার পান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি (President) হবার পর প্রথম বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ (West bengal) সফরে এলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আজ অর্থাৎ সোমবার বেলা ১২টা মধ্যেই কলকাতায় নামে রাষ্ট্রপতির বিমান। সূত্রের খবর, কিছুক্ষন আগেই অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০ টা ০৫ মিনিটে দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তাঁর বিমান। বিমানবন্দরে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর তিনি যান নেতাজি ভবন। রাষ্ট্রপতির আগমনের জন্য নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শহরের একাধিক রাস্তা।
প্রথম বঙ্গ সফরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার এবং মঙ্গলবার দুই দিনের রাজ্য সফরে। ঘুরে দেখবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এবং শান্তিনিকেতন। পাশাপাশি সংবর্ধনা দেবে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর আজ তাঁর নৈশ যাপন রাজভবনে। সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধনা দেবে রাজ্য সরকার।
চিনের (China) ইতিহাসে নয়া রেকর্ড গড়লেন শি জিনপিং (Xi Jinping)। টানা তৃতীয়বার চিনের প্রেসিডেন্ট (China President) পদে নির্বাচিত শি জিনপিং। তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে তিনি ছুঁলেন চিনের কমিউনিস্ট পার্টির স্রষ্টা মাও জে দং(Mao Zedong)-এর কীর্তি। গত অক্টোবরেই চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শি। সেই সময়ই চিনের সর্বশক্তিমান নেতা হিসাবে নিজের প্রতিপত্তি প্রমাণ করেছিলেন। এবার তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসাবেও নির্বাচিত হলেন তিনি। আর এই খবর শুক্রবার একদলীয় চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়েছে।
পাশাপাশি চিনা রাজনীতিতে সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ দুটি পদে তিনি আরও পাঁচ বছর থাকছেন। ৬৯ বয়সী নেতার বিরুদ্ধে শূন্য কোভিড নীতি, দীর্ঘ লকডাউন এবং করোনায় মৃতের সংখ্যা লুকানোর অভিযোগে বিদ্রোহ হয়েছিল। লকডাউন শিথিল করার পর দেখা গিয়েছিল চিনে মৃত্যমিছিল ঘটেছে। তারপরও ফের শি জিনপিংকেই সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হল চিনে।
শুক্রবারই তাঁকে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান হিসাবেও সর্বসম্মত ভোটে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়। মনে করা হচ্ছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিমান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য়ই পরিকল্পিতভাবে জিনপিংকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। শপথ গ্রহণের পর জিনপিং চিনের সর্বোচ্চ সময়ের জন্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবেন।
মারণ রোগ ক্যান্সারকে (Cancer Survivor) হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Joe Biden)। তারপরেই ঘোষণা ক্যান্সারমুক্ত ইউএস প্রেসিডেন্ট (US President)। শুক্রবার একথা জানান বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক কেভিন ও কোনর। তিনি জানান, বুকের ভিতর একটি মাংসপিন্ডের বায়োপসি রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্কটরোগে আক্রান্ত। তারপরই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, অশীতিপর প্রেসিডেন্টের বুক থেকে চামড়ার একাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তুলে ফেলা হয়েছে। এখনও চিকিৎসকদের একটি দল তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখেন। বাইডেনের চিকিৎসক এ-ও জানান, অন্য প্রাণঘাতী ক্যানসারের মতো প্রেসিডেন্টের শরীরে থাকা ক্যান্সারের কোষ ততটা ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছিল, বাইডেনের বয়স।
প্রয়াত পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি (Former President) পারভেজ মোশারফ (Pervez Musharraf)। দীর্ঘ অসুস্থতার পর রবিবার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। পাকিস্তানের এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর।
উল্লেখ্য, পারভেজ ১৯৪৩ সালে ১১ই অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে। যদিও তারপর তাঁর গোটা পরিবার চলে যায় পাকিস্তানে। সেখানে করাচির সেন্ট প্যাট্রিক্স স্কুল থেকে তিনি পড়াশোনা করেন। লাহোরের ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফোর-স্টার জেনারেল মোশাররফ ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারের ক্ষমতা হাতে নেন। ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০০২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার আগে ২০০১-এর জুন মাসে পাকিস্তানের দশম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন মোশারফ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) আসন্ন গ্রীষ্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) আমেরিকা (America) সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এমনটাই খবর এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে। সেই সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অফিস সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রত্যাশিত আমেরিকা সফর নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উভয় দেশের আমলারা দুই বিশ্ব নেতার সাক্ষাতের জন্য সুবিধাজনক তারিখ স্থির করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য হোয়াইট হাউসের আমন্ত্রণটি এমন সময় এসেছে যখন ভারতের সভাপতিত্বে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন। সেই সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন অন্যতম। এই আবহে বাইডেনের তরফে মোদীকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ জানানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, দুই পক্ষের আধিকারিকরা জুন এবং জুলাইয়ের উপযুক্ত তারিখগুলি খুঁজছেন যখন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ এবং সেনেট উভয় অধিবেশনে থাকবে না। ২০২২ সালের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রপতি বাইডেনের সঙ্গে শেষ দেখা করেছিলেন। বৈঠকে, দুই নেতা ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অবস্থা পর্যালোচনা করেছিলেন এবং আঞ্চলিক-সার্বিক উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরে আমেরিকা সফরে গেলে সেটি হবে বাইডেনের শাসনকালে তাঁর দ্বিতীয় আমেরিকা সফর। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন মোদী।
দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Murmu) উদ্দেশে মন্ত্রী অখিল গিরির করা মন্তব্য মামলায় বাদ দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata) নাম। সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের মন্ত্রী অখিলের (Akhil Giri) বিরুদ্ধে করা জনস্বার্থ মামলায় পার্টি করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু আইনজীবীর তরফে আবেদন করা হয়, তাঁর নাম বাদ দিতে। সেই সওয়াল শুনেই নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও যোগ নেই, তাই এই নির্দেশ বলে সূত্রের খবর।
পাশাপাশি রাজ্যকে জমা দিতে হবে হলফনামা, এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এদিকে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশে মন্ত্রী অখিলের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। অখিলকে আক্রমণ করে সরব হয়েছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছিলেন অখিল গিরি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এখনও জিইয়ে সেই বিতর্ক।
ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা। দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু ৪০ জনের। গুরুতর জখম ৮৫ জন। সোমবার মধ্য সেনেগালের (Senegal) কাফরাইন শহরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু হওয়ায় সোমবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি স্যাল (Senegal President Macky Sall)। দুর্ঘটনাার খবর পাওয়ার পরই সেনেগালের প্রেসিডেন্ট টুইট করে শোকপ্রকাশ করেন। তিনি লিখেছেন, “ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সেনেগাল সরকার।
প্রাথমিক তদন্তের পুলিসের অনুমান, টায়ার ফেটে যাওয়ায় একটি বাস হঠাৎ করেই রাস্তার আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। তখনই উলটো দিক থেকে আসা অন্য বাসটি সজোরে এসে এই বাসটিকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসগুলিকে পরে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট স্যাল জানিয়েছেন, জাতীয় শোক শেষ হয়ে গেলেই পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে বেশ কিছু গুরুত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। কারণ কয়েক বছর ধরে সেনেগালে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেক্ষেত্রে সেনেগালে ট্রাফিক আইনকে আরও কড়াকড়ি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী মার্চ মাসে ভারত সফরে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট (French President) ইমানুয়েল মাকরঁ (Emmanuel Macron)। জানা গিয়েছে, আরও ২৬টি রাফাল বিমান কেনার ব্যাপারেই এই সফর। ভারত-ফ্রান্স, দু’দেশের মধ্যে চুক্তি হবে এই সফরে। বিশ্বের প্রথম সারির যুদ্ধবিমান হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের তৈরি এই রাফাল। এই বিমানের বিষেশত্ব এটি যেকোনও বিমানঘাঁটি কিংবা সমুদ্রের ওপর ভেসে থাকা বিমানবাহী জাহাজের রানওয়ে থেকে উড়ে শত্রুর ঘাঁটিতে হামলা করতে পারবে।
মাকরেঁর কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বন গত বৃহস্পতিবার দিল্লি সফরে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, ওইদিন তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্টের সফরের মঞ্চও প্রস্তুত করে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক দুই বৈঠকে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন ইমালুয়েন বন। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মাকরেঁর। মোদী সেই সাক্ষাতকারের কথা তুলে ধরে সরকারিভাবে মাকরঁকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ করেন।
প্রথম দফায় ৩৬ টি রাফাল কেনাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মনমোহন সরকারের আমলে দাসোর সঙ্গে যে ছুক্তি হয়েছিল, অনীল আম্বানীর বিমান যন্ত্রাংশ সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তাতে বদল করেছে মোদী সরকার। আগের চুক্তিতে ঠিক হওয়া দরের তুলনায় অনেক বেশি দামে রাফাল বিমান কিনছে তারা।
অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি ছিল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উন্নততর যন্ত্রাংশ, অস্ত্র-সরঞ্জাম ইত্যাদি কেনার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন চুক্তিতে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই যার বিশদ বিবরণ দেওয়া সরকারের পক্ষে অসম্ভব। এই দুর্নীতির অভিযোগকে ২০১৯-এর লোকসভার ভোট-প্রচারে অন্যতম অস্ত্র করেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। বিরোধীদের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরে সেই রাফালকে আবারও নিজেদের অন্যতম সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছে মোদী সরকার।
মোদী সরকারের (Modi Government) অন্দরে প্রশংসিত মমতা সরকারের 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প (Duare Sarkar)। কেন্দ্রের তরফে প্লাটিনাম পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে এই সামাজিক প্রকল্পকে। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে (Rashtrapati Bhawan) মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ডিজিটাল ইন্ডিয়া পুরস্কার ২০২২-র মঞ্চ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ট্যুইটার পেজে এই সাফল্য তুলে ধরেছে। রাজ্যের শাসক দল লিখেছে, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যতিক্রমী নেতৃত্বে বাংলা আবার দিশা দেখিয়েছে। পশ্চিম বাংলার সরকারের সামাজিক প্রকল্প দুয়ারে সরকার ডিজিটাল পুরস্কার ২০২২-র মঞ্চে পুরস্কৃত হয়েছে। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।'
কান্ড ঘটিয়েছেন ফিফা সভাপতি। নতুন বছরেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ফিফা সভাপতির। ফুটবল সম্রাট পেলের শেষকৃত্যে গিয়ে অদ্ভুত কান্ড করেছেন ইনফ্যান্টিনো। পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কফিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে। নিউ ইয়র্ক কসমসে কেরিয়ারের শেষ দুই বছর খেলার আগে সান্তোসেই খেলেছেন পেলে। মৃত্যুর আগে পেলেও ব্যক্ত করে গিয়েছেন নিজের ইচ্ছার কথা। দেহ যেন নিয়ে যাওয়া হয় ভিলা বেলমিরোতে। সেই কথা মাথায় রেখেই স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয় কফিন।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বহু ভিআইপি ছুটে এসেছেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। এখানেই এসেছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। কফিনের ঢাকনা খুলে রাখা হয়েছিল। খোলা কফিনের সামনে মোবাইল ফোন বার করে সেলফি তোলেন ইনফ্যান্টিনো। পরে পেলের স্ত্রী মার্সিয়া ও পুত্র এডিনহো কে সমবেদনা জানান তিনি। কিন্তু ততক্ষণে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এটাই শেষ নয়। তাঁর আচরণ নিয়ে আগেও সমালোচনা হয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের পুরস্কার মঞ্চে ইনফ্যান্টিনোর আচরণ মোটেও সমর্থনযোগ্য ছিল না। বছর শেষ হয়ে নতুন বছর শুরু হয়ে গেল। কিন্তু ইনফ্যান্টিনো বদলালেন না।
২০২২-কে পিছনে ফেলে ২০২৩-কে (New Year 2023) সাদরে বরণ করেছে ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। এবার বছরের প্রথম দিনে দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি (President Murmu Tweet) দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)-সহ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাষ্ট্রপতি ট্যুইট বার্তায় লেখেন, 'প্রত্যেককে শুভ নববর্ষ। দেশবাসী এবং প্রবাসী ভারতীয়দের নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা। এই নতুন বছর প্রত্যেকের জীবনে নতুন অনুপ্রেরণা, লক্ষ্য এবং সাফল্য নিয়ে আসুক। দেশের উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করি।'
Happy New Year to all! Greetings and best wishes to all fellow citizens and Indians living abroad. May the Year 2023 bring new inspirations, goals and achievements in our lives. Let us resolve to rededicate ourselves to the unity, integrity and inclusive development of the nation
— President of India (@rashtrapatibhvn) January 1, 2023
প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'নতুন ২০২৩ ভালো কাটুক। গোটা বছর আশা, সুখ এবং সাফল্যের মধ্যে দিয়ে যাক। প্রত্যকের সুস্বাস্থ্য কামনা করি।' পিছিয়ে নেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। নিজের ট্যুইটার প্রোফাইলে ভারত জোড়ো যাত্রার একটি ভিডিও পোস্ট করে রাহুল গান্ধী হিন্দিতে লেখেন, 'আশা করছি ২০২৩-এ ভারতের সব শহর, গলি এবং গ্রামে খুলবে ভালবাসার দোকান। প্রত্যেককে নববর্ষের শুভেচ্ছা।'
Have a great 2023! May it be filled with hope, happiness and lots of success. May everyone be blessed with wonderful health.
— Narendra Modi (@narendramodi) January 1, 2023