শুক্রবার বিশ্বকাপে জমজমাট ম্যাচ। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে- ৬২ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া। শাহিন আফ্রিদির পাঁচ উইকেটের পর একাই ৪ উইকেট নিলেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। ৩৬৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ৩০৫ রানে অলআউট হয়ে গেল পাকিস্তান।
এদিন টস জিতলেও ম্যাচের রাশ পাকিস্তানের হাতে ছিল না। টসে জিতে প্রথমেই ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাবর আজম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চালকের আসনে ছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম উইকেটে ২৫৯ রানের পার্টনারশিপ করেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সেখানেই খেলা ঘুরে যায়। শাহিন আফ্রিদির দাপুটে বোলিংয়ে আর কোনও ব্যাটসম্যান বড় রান করতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু একাধিক ক্যাচ মিস করে পাকিস্তান। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।
শুরুটা পাকিস্তানও ভাল করে। দুই পাক ওপেনার আবদুল্লা শফিক ও ইমাম উল হক ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ করেন। ৬৪ রান করেন শফিক ও ইমামের ব্যাটে আসে ৭০ রান। কিন্তু অধিনায়ক বাবর আজমকে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা। রিজওয়ানকে ৪৬ রানে ফেরান তিনিই। এরপরই ভেঙে যায় পাক ব্যাটিং লাইন আপ। শাকিল ও ইফতিকার আহমেদ লড়াই করলেও তা কাজে লাগেনি। ৪৫.৩ ওভারে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। জাম্পা ৪ উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন অধিনায়ক কামিন্স ও মার্ক স্টয়নিস। ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও হারতে হয় বাবর ব্রিগেডকে।
মদন মিত্র (বিধায়ক): পাকিস্তান নিয়ে পরে বলছি, কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেই কেন? বিশ্বকাপ শুরু ১৯৭৫-এ। তখন আমরা চুটিয়ে ছাত্র রাজনীতি করছি। বিশ্বকাপ ব্যাপারটা কি বুঝতামই না। তখন টেস্ট খেলার যুগ । কলকাতায় সে বছরের গোড়ায় পাতৌদির নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে হারিয়ে দেওয়া হলো। আমরা আনন্দে বিশ্বনাথের সেঞ্চুরি দেখলাম মাঠে। জুনেই শুরু হলো বিলেতে বিশ্বকাপ। কি ভয়ঙ্কর দল ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমি সোবার্স, কানহাইয়ের খেলা দেখেছি। দেখেছি হল গ্রিফিথের বুক কাঁপানো ফাস্ট বোলিং।
যদিও প্রথম বিশ্বকাপে এঁরা কেউই ছিলেন না। লয়েড, রিচার্ডস, রবার্টস ইত্যাদি কি সাংঘাতিক দল। চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। তারপরের বারেও ওই ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়ন। আজকের ভারতের এই বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেই ভাবতেই পারছি না।
শনিবারের খেলা নাকি ডার্বি। এই তার নমুনা? ইমরান খানের দলটাকে মনে পড়ছে? কি দুর্দান্ত দল ছিল সেবারে। ১৯৮৩ তে, যেবারে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন হলো সেবারেও কিন্তু পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠেছিল। ১৯৮৭-তে মনে করা হয়েছিল ফাইনাল হবে ভারত পাক দলের মধ্যে কিন্তু সেবারেও সেমিফাইনালে নিজের দেশে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেলো কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হলো ১৯৯২-তে। ওই সময়ে পাকিস্তানকে সমস্ত ক্রিকেট বিশ্ব ভয় পেত। ইমরান, আকিব জাভেদ, ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রম, কি সংহতি, এ ছাড়া বিশ্বসেরা স্পিনাররা তো ছিলই। ব্যাটিংয়েও মিয়াদাঁদ থেকে অন্তত ৬/৭ জন সেঞ্চুরিয়ান। ভাবা যায়?
আমি জানি না এবারের দল কি রকম। ওদের কাউকে তো আইপিএলে দেখাই যায় না। নিষেধাজ্ঞা আছে। কেন, কি কারণে মা গঙ্গাই জানেন। এবারের দলটি খারাপ ভালো কিছুই বলছি না কিন্তু বলবো যে ভাবে আত্মসমর্পণ করলো শনিবার তাতে মনে হয়েছে দেশটাই ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছে। সত্যিই তো কি ভাবে বেঁচে আছে ওদেশের মানুষ। প্যারাসাইট হয়ে গিয়েছে। এই টিম ইন্ডিয়ার কাছে হার তো সিম্বলিক। এখনও বলতে রাজি ইন্ডিয়া, ওহ লাভলী।
৮-০! মহালয়ার দিন পাকিস্তান বধ। বিশ্বমঞ্চে রেকর্ড অব্যাহত। একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর স্বপ্ন অধরাই রইল পাকিস্তানের। শনিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম খড়কুটোর মতো বাবর আজমের দলকে উড়িয়ে দিল ভারত। ১৯.৩ ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ভারতের। ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ৩০.৩ ওভারেই জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় ভারত। ১১৭ বল বাকি থাকতেই অনায়াসে জয় তুলে নেয় ভারত। একইসঙ্গে রানরেট বাড়িয়ে নিলেন রোহিতরা। মহালয়ার দিন জয়ের হ্যাটট্রিক ভারতের। গ্যালারিতে বসে ঐতিহাসিক জয় দেখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রেগন্যান্সি গুজবের মধ্যেই স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্কা শর্মা। দুর্দান্ত অধিনায়কত্বের পর ব্যাট হাতেও দুরন্ত রোহিত শর্মা। আগের দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে সর্বাধিক ছয়ের রেকর্ড করেন হিটম্যান। এদিনও নির্বিকার মুখে একের পর এক ছক্কা হাঁকালেন। একদিনের ক্রিকেটে ৩০০ ছয়ের গণ্ডি পেরিয়ে গেলেন। আফগানিস্তান ম্যাচের পর এদিন ব্যাক টু ব্যাক শতরানের হাতছানি ছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে ম্যাঞ্চেস্টারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪০ করেছিলেন রোহিত। শনি সন্ধেয়ও সেদিকেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু একশো হাতছাড়া হল। ৬৩ বলে ৮৬ রানে আউট হন রোহিত। বিধ্বংসী ইনিংসে রয়েছে ৬টি ছয়, ৬টি চার। বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে বিশেষজ্ঞরা বিরাট কোহলি, শুভমন গিলকে রেখেছিলেন।
ফর্মের ধারেকাছে না থাকা রোহিতকে কেউ ধর্তব্যের মধ্যেই ধরেনি। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচে অনবদ্য ব্যাটিংয়ে একনম্বরের দৌড়ে শীর্ষস্থানে ভারতের নেতা।
১৯২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন রোহিত, শুভমন। ডেঙ্গি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই ম্যাচের গুরুত্ব বুঝে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয় গিলকে। পরপর ড্রাইভে তিনটে চার মেরে ইনিংসের সূচনা দারুণ করেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। চারটে চার মেরে ১১ বলে ১৬ রান করে আউট হন শুভমন। ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। তবে উইকেটের অন্য প্রান্তে স্বমহিমায় ছিলেন রোহিত। চার, ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন। রান পাননি বিরাট কোহলি। ১৮ বলে ১৬ রানে ফেরেন। তবে এদিন রান পান শ্রেয়স আইয়ার। অর্ধশতরান করেন। ৬২ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত শ্রেয়স। শেষ বলে চার মেরে দলকে জয়সূচক রানে পৌঁছে দেন। ১৯ রানে অপরাজিত কেএল রাহুল।
পাকিস্তানের অপরিকল্পিত ব্যাটিং? না স্নায়ুর চাপ? মাত্র ৩৬ রানে ৮ উইকেট হারানোর কারণ কী? আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক ক্রিকেটপ্রেমীর গর্জন। গেরুয়া শহরে নীল ঝড়। তাতেই কি পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে ধস নামল? একটা সময় ২ উইকেটে ১৫৫ রান ছিল সবুজ আর্মির। ক্রিজে ছিলেন বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান। মনে হয়েছিল ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেখান থেকে ১৯১ রানে অলআউট। ৩৬ রানে পড়ল ৮ উইকেট।
বাকিরা এলেন আর গেলেন। প্রথম চারজনকে বাদ দিলে, হাসান আলি ছাড়া কেউই দু'অক্ষরের রানে পৌঁছতে পারেনি। সৌজন্যে যশপ্রীত বুমরা এবং কুলদীপ যাদব। বড় রানের জন্য রিজওয়ানের দিকেই তাকিয়ে ছিল পাকিস্তান। ৪৯ রানে পাক উইকেটকিপার ব্যাটারকে বোল্ড করেন বুমরা। ৭টি চারের সাহায্যে ৬৯ বলে অর্ধশতরানের এক রান দূরে থামলেন। তবে প্রশংসা প্রাপ্য মহম্মদ সিরাজেরও। শুরুটা ভাল না হলেও প্রথমে আবদুল্লাহ শফিক এবং পরে বাবর আজমকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। পাকিস্তানের নেতা আউট হওয়ার পরই ব্যাটিংয়ে ধস নামে। অর্থাৎ এই একটা উইকেটই বদলে দিল গোটা চিত্র। পাকিস্তান যে এখনও বাবর এবং রিজওয়ানের ওপর নির্ভরশীল, সেটা আরও একবার প্রমাণিত। পাক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান অধিনায়কের। ৭টি চারের সাহায্যে ৫৮ বলে ৫০ রান করেন আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে একনম্বর ব্যাটার। তবে বিশ্বমঞ্চে পাক ব্যাটারদের পারফরম্যান্স খুবই হতাশজনক। দিশাহীন ব্যাটিং। বাজে শট সিলেকশন। অন্যদিকে বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব রোহিতের। ডিআরএস নেওয়ার সঠিক সিদ্ধান্ত। সবমিলিয়ে সেভেন স্টার পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের। যদিও শুরুটা আশানুরূপ হয়নি ভারতের। প্রথম উইকেটে ৪১ রান যোগ করেন আবদুল্লাহ শফিক (২০) এবং ইমাম উল হক (৩৬)। ৭৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন বাবর, রিজওয়ান। ৩০ ওভার পর্যন্ত সঠিক দিশাতেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। দুই তারকা ব্যাটার আউট হতেই লাইনচ্যুত। শার্দূল ঠাকুর ছাড়া সবাই দুটো করে উইকেট নেয়।
ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো নাকানিচুবানি খেলো পাকিস্তান। খেলতে পারলো না পুরো ৫০ ওভার। ম্যারম্যারে আর নতজানু ব্যাটিংয়ে ৪২.৪ ওভারে তারা অলআউট হয়েছে মাত্র ১৯১ রানে। জিততে ভারতকে করতে হবে ১৯২ রান।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট জুটিতে ভালোই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। ৪১ রানে প্রথম, ৯৩ রানে তৃতীয় ও ১৫৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে ১৯১ রানে যেতে অলআউট হয়ে যায় মেন ইন গ্রিনরা। ব্যাট হাতে বাবর সর্বোচ্চ ৫০, রিজওয়ান ৪৯ ও ইমাম-উল-হক ৩৬, আব্দুল্লাহ শফিক ২০ ও হাসান আলী ১২ রান করেন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
বল হাতে ভারতের চার বোলার দুটি করে উইকেট নেন। তারা হলেন- জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা।
পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ও বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডকে ৮১ রানে হারাল পাকিস্তান। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সহজেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলেন বাবর আজমরা। বাস দে লেদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেও হার বাঁচাতে পারেনি ডাচ শিবির।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ড। টপ অর্ডার ব্যর্থ হয় পাকিস্তানের। কিন্তু খেলা ধরে নেন মহম্মদ রিজওয়ান ও সওয়াদ সাকিল। দুজনেই ৬৮ রান করেন। শেষ দিকে বড় পার্টনারশিপ করেন মহম্মদ নওয়াদ ও সাদাব খান। ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। একাই চার উইকেট নেন ডাচ বোলার বাস দে লেদে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং ৫২ রান করেন। ৬৭ রান আসে বাস দে লেদের ব্যাটে। তবে পাক বোলারদের দাপটে ৪১ ওভারে ২০৫ রানেই শেষ হয় নেদারল্যান্ডের ইনিংস। ৩ উইকেট নেন হ্যারিস রাউফ। ২ উইকেট হাসান আলির।
গত শুক্রবারই পাকিস্তানে (Pakistan) পর পর দুটো আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ (Explosion) হয়। আর এই জোড়া ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৫ জনের। এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা বা কে রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু তারই মাঝে পাকিস্তানের মন্ত্রী সরফরজ বুগতি দাবি করেছেন, এই বিস্ফোরণের পিছনে হাত রয়েছে ভারতের। ভারতের গুপ্তচর সংস্থা 'র'-এর এজেন্টরাই এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আর এই অভিযোগকে ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
শুক্রবার বালুচিস্তানে (Balochistan) ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান ৫০ জনের বেশি। বালুচিস্তানের এক মসজিদের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এর ১-২ঘণ্টা পরই খাইবার পাখতুনখোয়ায় ফের একই ধরনের বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়। ফলে জোড়া বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫-এ।
আর এই দুই ঘটনার পরই পাকিস্তানের মন্ত্রী শনিবার বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় দাঁড়িয়ে বলেন, 'প্রশাসন, সেনা এবং অন্য সব প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের চক্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে। ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং) এই আত্মঘাতী হামলায় জড়িত রয়েছে।' তবে ভারত সম্পর্কে এমন মন্তব্যের জেরে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে আরও টানাপোড়েনের সৃষ্টি হতে পারে।
বিশ্ব হকিতে ইতিহাস গড়ে এশিয়ান গেমসের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। শনিবার চিনের মাটিতে পাকিস্তানকে পুরুষদের হকিতে ১০-২ গোলে হারাল ভারত। প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময়ে হকি খেলছে ভারত পাকিস্তান। এই জয় ভারতীয় হকির কাছে এক নতুন ইতিহাস।
ভারত-পাক হকি মানেই টানটান উত্তেজনা। কিন্তু এশিয়ান গেমসের মঞ্চে এদিন পাক দলকে দাঁড়াতেই দিলেন না হরমনপ্রীত, মনদীপ, বরুণ কুমাররা। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক সহ ৫ গোল ভারত অধিনায়ক মনপ্রীন সিংয়ের।
মনদীপের গোলে ম্যাচ শুরু করেছিল ভারত। আর শেষ করল বরুন কুমারের গোলে। ৪ কোয়ার্টারে পাক দলকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলেন গ্রেড ফুলটনের ছেলেরা। এশিয়ান গেমস হকিতে ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের কাছে ৭ গোলে হেরেছিল ভারত। ভারতের মাটিতে সেটাই ছিল দুদেশের হকির সবচেয়ে বড় রেজাল্ট। সেই ফলকেও এদিন ছাপিয়ে গেলেন গুর্জন্ত, নীলকান্তরা। ৪ ম্যাচে ৪৬ গোল ভারতের।
বিশ্বকাপের আগে ভারতে আসা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। আইসিসি-কে চিঠি লিখেই সমাধান হয়। হায়দরাবাদে ইতিমধ্যে একটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন পাকিস্তান। এখনও ভারতে আসতে পারেননি পাকিস্তানের সাংবাদিক, সমর্থকদের একাংশ। শনিবার এই নিয়ে ফের আইসিসি-কে চিঠি লিখল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
৫ অক্টোবর থেকে বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাবে। ৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের। সমর্থক ও সাংবাদিকদের ভিসা পাস করানোর আবেদন করে আইসিসিকে এবার আবেদন করল পিসিবি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে প্রায় ৫০ জন সাংবাদিকের বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভারতে আসার কথা।
বিসিসিআই সূত্রে খবর, বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের নাম জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই আবেদন বিদেশমন্ত্রক মঞ্জুর করলেই তাঁদের অ্যাক্রিডিয়েশন পাশ করাবে বিসিসিআই। আইসিসি-কে চিঠি লিখে পিসিবি জানিয়েছে, ভিসা না পাওয়ায় সমর্থক ও সাংবাদিকরা হতাশ। আইসিসি যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে।
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমেই আটকে গেল পাকিস্তান। এদিকে বড় জয় বাংলাদেশের।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪৫ রান তোলে পাকিস্তান। দুই ওপেনার ব্যর্থ হলেও ৮০ রান করেন বাবর আজম। সেঞ্চুরি করেন মহম্মদ রিজওয়ান। সাউদ শাকিলের ব্যাটে আসে ৭৫ রানের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিউয়ি ওপেনার রচিন রবীন্দ্র করেন ৯৭ রান। উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, মার্ক চ্যাপম্যানরা সহজেই ওই রান তাড়া করে ফেলেন। ৩৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।
এই দিন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারাল বাংলাদেশও। প্রথমে ব্যাট করে ২৬৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের তানজিদ হাসান ৮৪ রান করেন। লিটন দাস ও অধিনায়ক মেহদি হাসান মিরাজ ৬১ ও ৬৭ রান করেন। ৩৫ রান করেন মুসফিকার রহিম। ৪২ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
দুশমন মুলক। বিশ্বকাপের আগে ভারতকে এবার এই ভাষাতে সমালোচনা করলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান জাকা আফরফ। বৃহস্পতিবারই অনেক টালবাহানার পর বেতন বৃদ্ধি হয়েছে পাক ক্রিকেটারদের।
তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে ভারতকে দুশমন মুলক বলে উল্লেখ করেন জাকা। সোশাল মিডিয়ার তাঁর এই মন্তব্য এখন ভাইরাল। এদিকে, সাত বছর পর শুক্রবার ভারতের মাটিতে প্রথম ক্রিকেট খেলতে নামল পাকিস্তান। হায়দরাবাদে বিশ্বকাপের ওয়াম-আপ ম্যাচে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করছেন বাবর আজমরা।
তার আগে পিসিবি প্রধানের এই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এশিয়া কাপের সময় থেকেই ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব পাক ক্রিকেট বোর্ডের। এবার তার বহিঃপ্রকাশ জাকার কণ্ঠে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ভাইরাল হওয়ার পর ভারত তো বটে এমনকী পাক ক্রিকেট প্রেমীরা পিসিবি প্রধানের কড়া সমালোচনা করেছেন। ভারতকে দুশমন মুলক বলে উল্লেখ করায় সোশ্যাল মিডিয়াতেই জাকাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। বোর্ডের এক কর্তার জানিয়েছেন, পিসিবির প্রধানের এই মন্তব্যকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখবে বিসিসিআই।
পর পর দু'বার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান (Pakistan)। শুক্রবার বালুচিস্তানে (Balochistan) ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারালেন ৫২ জন। এদিন সকালে বালুচিস্তানের এক মসজিদের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক। এই ঘটনার পরই ফের এক বিস্ফোরণ হয় খাইবার পাখতুনখোয়ায়। যেই ঘটনায় ফের প্রাণ হারান ৩ জন। জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে বালুচিস্তানের মাস্তুং জেলার আল-ফালাহ মসজিদের কাছে। শুক্রবার সকালে ইদের মিছিল উপলক্ষে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আচমকা আত্মঘাতী জঙ্গি ভিড়ের দিকে এগিয়ে এসে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এর পরই ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মৃতদেহ।
এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার পরই খাইবার পাখতুনখোয়ায় ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। হাঙ্গু জেলার এক মসজিদের মধ্যে এই বিস্ফোরণ হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর। পুলিস আরও জানিয়েছে, প্রার্থনা করার সময়ে এই বিস্ফোরণ হয় ও সেই সময় মসজিদে মোট ৩০-৪০ জন ছিলেন। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ৩ জন ও গুরুতর আহত হন ৬ জন।
জল্পনার অবসান। সাত বছর পর ভারতের মাটিতে ক্রিকেট খেলতে এল পাকিস্তান। বুধবার দুবাই হয়ে হায়দরাবাদে এসে হাজির হলেন বাবর আজমরা। এই শহরেই তাঁরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন। ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। ৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান।
ভারতে আসার আগে পাক অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়েছেন, এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সের উপর তাঁদের বিচার করলে ভুল করা হবে। তিনি স্বীকার করেছেন, এশিয়া কাপে তাঁদের দলে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়েছে। যার খেসারতও দিতে হয়েছে। তবে, বিশ্বকাপে অন্য পাকিস্তানকে পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন পাক অধিনায়ক।
সাত বছর আগে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে গিয়েছেন মহম্মদ নওয়াজ এবং সলমান আলি। চোটের কারণে সেবার ভারতে আসতে পারেননি বাবর। ফলে এই প্রথম ভারতের ক্রিকেট খেলতে এলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
যাবতীয় নাটকের পর অবশেষে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার বাবরদের ভিসা পাওয়া কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিল পিসিবি। বেশ কিছুদিন ধরেই ভিসা নিয়ে সমস্যায় ভুগছিল পাকিস্তান। ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে দুবাইয়ে দুদিনের প্রস্তুতি শিবির করার কথা ছিল পাকিস্তানের।
কিন্তু এই সমস্যা না মেটায় তাঁরা দুবাই যেতে পারেনি। বুধবার লাহোর থেকে দুবাই হয়ে হায়দরাবাদের আসবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন তাঁরা।
সোমবারই আইসিসি-র কাছে ভিসা নিয়ে অভিযোগ করে পিসিবি। এরপরই ভিসা সমস্যা মেটে বলে খবর। সোমবার শেষ মুহূর্তে ভিসার অনুমতি পান বাবর আজমরা।
এখনও মেটেনি ভিসা সমস্যা। ভারতে এসে খেলার ছাড়পত্র পায়নি পাকিস্তান দল। বাকি সব দেশ ছাড়পত্র পেলেও, পাকিস্তান পায়নি। তাই বেশ সংকটে বাবর আজমরা।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ ২৯ সেপ্টেম্বর। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদে নামবেন বাবররা। ভারতে এসে হায়দরাবাদেই ওঠার কথা পাকিস্তানের। কিন্তু একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইট সূত্রে খবর, ভিসা ক্লিয়ার হয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
বাবরদের পরিকল্পনা ছিল, ভারতে আসার আগে দুবাই যাওয়ার। দুদিন কাটিয়ে ওখান থেকেই হায়দরাবাদে আসতেন। কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় দুবাইয়ের পরিকল্পনাও আপাতত হচ্ছে না বাবর আজমদের। তবে পিসিবি আশাবাসী, ঠিক সময়েই প্রস্তুতি ম্যাচের আগে ভারতে আসার ছাড়পত্র পাবেন বাবররা।
আশঙ্কাই সত্যি হল। এশিয়া কাপে ডান কাঁধে চোট বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিল পাক পেসার নাসিম শাহকে। শুক্রবার বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তান দল ঘোষণা করতে বসে নির্বাচক কমিটির প্রধান ইনজামাম উল হক জানিয়েছেন, শাহিনশা আফ্রিদি নন, বিশ্বকাপে বাবরের ডেপুটি শাদাব খান।
ফলে, আপাতত ডামাডোল কাটিয়েই ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আসছে পাকিস্তান। ১৪ অক্টবর আমেদাবাদে তাঁদের প্রতিপক্ষ ভারত। মূলত চার পেসার নিয়ে ভারতে আসছেন বাবর। আহত নাসিম শাহের বদলি হিসেবে পাক দলে ফিরেছেন হাসান আলি।
দলে রইলেন কারা!
বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), ব্যাটিং বিভাগে ফখর জমন, ইমাম উল হক,আবদুল্লা শফিক, আঘা সলমন, ইফতিখর আহমেদ, উইকেট সামলাবেন মহম্মদ রিজওয়ান।
স্পিন বিভাগ সামলাবেন সাউদ শাকিল, মহম্মদ নওয়াজ, উসামা মির,পেসার রয়েছেন হ্যারিস রউফ, হাসান আলি, শাহিন আফ্রিদি এবং মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। রিজার্ভ দলে থাকবেন মহম্মদ হ্যারিস, আবরার আহমেদ এবং জমন খানকে