আবাসন প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সেভেন সেন্সেস ইনফাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। সেই কোম্পানি থেকেই প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে ২০১৪-১৫ সালে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল বিনিময় ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। তবে না তাঁরা পেয়েছেন ফ্ল্যাট। না ফেরত দেওয়া হয়েছে তাঁদের টাকা। তাই প্রতারিতরা আদালতে এই আবাসন প্রতারণা নিয়ে মামলা দায়ের করেন। এখান থেকেই এই মামলায় জড়িয়ে পড়েন নুসরত। তবে মামলায় আদালতে যাতে তাঁকে হাজিরা না দিতে হয় তাঁর আবেদন জানিয়েছিলেন সাংসদ। সোমবার আলিপুর জজ কোর্টে নুসরতের হাজিরা নিয়ে চলল দুই পক্ষের সওয়াল।
দুপক্ষের সওয়ালে প্রতারিতদের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, মামলায় অন্তত একবার নসরত জাহানকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হোক। নুসরত যেন অন্ততপক্ষে বন্ড জমা দেন, তারপরেই আদালতের নির্দেশে তাঁর হাজিরা দেওয়ার বিষয়টি আইনানুগ হবে। আদালতের প্রয়োজনে যেন তাঁকে পাওয়া যায়- এই আবেদন জানান প্রতারিতদের আইনজীবী।
পাল্টা সরকারি আইনজীবী জানান, নিম্ন আদালতের রায় ছিল, নুসরতকে প্রতিদিন আদালতে আসতে হবে না। শুধুমাত্র ৩১৩ সিআরপিসি, চার্জ ফ্রেম গঠনের দিন উপস্থিত থাকলেই হবে।
সোমবার আলিপুর জজ কোর্টে আবাসন প্রতারণা মামলা নিয়ে এভাবেই দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনেন বিচারক। নুসরত জাহানকে মামলায় হাজিরা দিতে হবে কিনা, এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী শুনানির দিন, অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর। সেদিনই বোঝা যাবে আবাসন প্রতারণা মামলায় আরও বিপাকে পড়লেন কিনা নুসরত জাহান।
শিক্ষিত সৎ সাংসদ চাই', মঙ্গলবার সন্ধে থেকে এই পোস্টারেই ছয়লাপ বসিরহাটের একাধিক এলাকা। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে, মোটামুটি কোমর বাঁধতে শুরু করেছে সব দলই। বুধবারই, রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এই আবহেই, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত বিরোধী পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা।
লোকসভা ভোটের আগে, বসিরহাটের মিনাখাঁ বিধানসভার অন্তর্গত হাড়োয়া ব্লকের কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় পোস্টারের কোনওটিতে লেখা, “লোকসভার প্রার্থী হিসেবে বহিরাগত কাউকে চাই না।” আবার কোনোটার বয়ান, ‘অভিনেতা, অভিনেত্রী না, সৎ শিক্ষিত মানুষ চাই’ । এর আগেও একাধিকবার তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে এই পোস্টারে রীতিমতো অস্বস্তিতে সবুজ শিবির।
বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজা শেষ, কিন্তু সামনেই দীপাবলি। ফলে উৎসবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু এর মাঝে অনেকেই পরিবারের সঙ্গে, সঙ্গিনীর সঙ্গে আবার কেউ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছেন। ফলে এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেন না টলি অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত ও অভিনেত্রী নুসরত জাহানও। ঠাকুর বিসর্জন হতেই তাঁরা উড়ে গেলেন মলদ্বীপে। তবে দেখা যায়নি তাঁদের সন্তানকে। একগুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই ধেয়ে আসে নেটিজেনদের কটাক্ষ।
পুজোর পর মলদ্বীপে পাড়ি দিতেই নুুসরত ও যশ দু'জনেই ছবি ও রিলস শেয়ার করেছেন। কিন্তু সঙ্গে দেখা যায়নি সন্তানকে। এর জন্যও নেটিজেনদের কাছে কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁদের। পুজোর আগেই ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে নুসরতের নাম। আবার প্রথম হিন্দি ছবির জন্যও ব্যস্ত ছিলেন যশ। তবে পুজো মানে সমস্ত ব্যস্ততা ভুলে যাওয়া। চুটিয়ে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া আর ঠাকুর দেখা। আর এবার সুযোগ পেয়ে দুজনে মিলে ঘুরতেও গেলেন মলদ্বীপ। কিন্তু সেখানে গিয়েও সমালোচনার শিকার হতে হল। তবে নেটিজেনদের কটাক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তাঁরা। বরং তাঁদের খোশ মেজাজেই ঘুরতে দেখা যাচ্ছে।
নুসরত জাহানকে(Nusrat Jahan) ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি তো হতে হয়েছেই। এর পরও তাঁর নাম জড়ায় ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডেও। তবে এত কিছুর মাঝেও নবী দিবসে কিছু বিশেষ মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেল সাংসদ-অভিনেত্রীকে। বৃহস্পতিবার নুসরতকে দেখা গেল এক স্কুলে। সেখানে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কিছু সময় কাটালেন। এমনকি তাঁদের বিরিয়ানিও খাওয়ালেন তিনি। এই বিশেষ দিনের ভিডিওই তাঁর ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিলেন নুসরত।
বৃহস্পতিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ উৎসব নবী দিবস৷ সেই উৎসব উপলক্ষেই নুসরত পৌঁছে গিয়েছিলেন একটি স্কুলে৷ সেখানে স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটালেন টলি তারকা। বাচ্চাদের পেট ভরে খাওয়ালেন বিরিয়ানি। খোশ মেজাজে গল্পও করলেন। তাঁদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতে, তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলতে ও অটোগ্রাফও দিতে দেখা গেল তাঁকে। বাচ্চারাও তাঁকে দেখে খুশি হয়েছিলেন, এমনকি নুসরতের গালে আদুরে চুমুও দেয় বাচ্চারা। সব মিলিয়ে এদিন নুসরতকে এক অন্য মুডেই দেখা যায়। আবার বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করেই গাড়ি থামিয়ে রাস্তার মাঝে ঠেলা গাড়ি থেকে কাঁচা আম-সহ বেশ কিছু খাবার কিনলেন তিনি।
নবী দিবসের দিনে খুদেদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো নুসরত নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, 'যখনই হোক, যেমনই হোক না কেন আমাদের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা নিঃস্বার্থ। ভালোবাসার ভাষায় কথা বলাই আমাদের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সকলকে ইদ-উল-উন নবী মুবারক যাঁরা পালন করছেন।'
সত্যিকে কখনও বিকৃত করা যায় না। কারণ তা শাশ্বত। তাই তার উপর রঙের প্রলেপ দিলেও, তা কখনও বদলে ফেলা যাবে না। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই উপলব্ধি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানের।
গত মঙ্গলবার ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। টানা জেরার পর বাইরে এসে দাবি করেছিলেন, সব প্রশ্নের তিনি উত্তর দিয়েছেন।
সম্প্রতি নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। ইডির কাছেই সরাসরি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছিল নুসরতকে। নিজের সোশাল মিডিয়ার হ্যান্ডেলে নুসরত আরও লিখেছেন, যাঁরা আসল সত্যি বুঝতে পারেন না, তাঁরা একদিন ধ্বংস হয়ে যান।
উল্লেখ্য ওই দিন সিজিও থেকে বেরিয়েই সোজা মন্দিরে গিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার যা যা বলার সবই বলেছি। যা যা দেওয়ার ছিল, দিয়ে এসেছি। এর পরও যদি ওঁদের মনে হয়, যদি আমাকে ডেকে পাঠান, আমি আবার যাব। সহযোগিতা করব।’’
ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় মঙ্গলবার ইডির (ED) দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরতকে (Nusrat Jahan)। সেই মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ইডির দফতরে হাজির নুসরত। প্রাথমিক দিকে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি ইডির নোটিশ পাননি। যদি নোটিশ পান তবে নিশ্চয়ই যাবেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকেই পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। আদৌ নুসরত ইডি দফতরে যাবেন তো? জল্পনা ছিল তুঙ্গে। তবে তিনি সকাল দশটার কিছু পরেই নিজের গাড়িতে ইডি দফতরের উদ্দেশে রওনা দেন। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় ৫০০ জন কর্মীকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় ইডি তাঁকে তলব করেছে।
সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন নুসরত। নুসরত দাবি করেছিলেন, তিনি ওই সংস্থা থেকে লোন নিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা এটাই মূলত জানতে চান, কোনও ব্যাঙ্ক থেকে না নিয়ে কেন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন নুসরত?
সূত্রের খবর, ২০১৪-১৫ সালে নুসরত যে সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, সেই ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতারিতদের অভিযোগ, নুসরত প্রতারণার টাকায় নিজে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর আলিপুর আদালতে গিয়ে মামলা ফাইল করে প্রতারিতরা।
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার প্রতারিত ব্যাঙ্ক কর্মীদের অভিযোগ সামনে আনেন। এবার সেই মামলাতেই ইডি ডাকে নুসরতকে। যদিও এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত দাবি করেছেন, তিনি ওই কোম্পানি থেকে একটা লোন নিয়েছিলেন। ১কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার লোন নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সুদ সমেত ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা কোম্পানিকে ফেরত দেন।
ইডি-র তলবে হাজিরা দিতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) আসবেন কিনা তা নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত কিছু জানাননি ওই টলি অভিনেত্রী।
অন্যদিকে সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। সেখানে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে নুসরতের। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হবে না তাঁকে।
সম্প্রতি বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণা অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। তাঁর অভিযোগ নিউটাউনে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের থেকে টাকা তুলেছেন নুসরত ও তাঁর কোম্পানি। টাকা তোলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। পাল্টা দাবি করেছিলেন, অফিস থেকে যে টাকা লোন হিসাবে নিয়েছিলেন, তা সুদ সহ ফেরত দিয়েছেন।
যদিও ৫ সেপ্টেম্বর হিঙ্গলগঙ্গের একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন নুসরত। বৈঠক শেষে ইডি-র নোটিশ দেওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সেপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ইডি-র নোটিশ এসেছে কিনা তিনি জানেন না। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে অবশ্যই হাজিরা দেবেন।
ফ্ল্যাট প্রতারণা-কাণ্ড মামলার শুনানিতে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন বসিরহাটের সাংসদ। আলিপুর পুলিস কোর্টে চলা মামলার শুনানিতে সশরীরে উপস্থিত না থেকে বারবার আইনজীবীকে পাঠান নুসরত। এরপরই আদালত জানায়, আইনজীবী নয় বরং সশরীরে আসতে হবে সাংসদ-অভিনেত্রীকে। এরপরেই জজ কোর্টের দ্বারস্থ নুসরত। যদিও আদালতকে তিনি বলেছেন, সাংসদ হিসেবে সামাজিক বেশ কিছু দায়বদ্ধতা ও পারিবারিক কারণে আসতে পারছেন না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি বছর ৪ঠা ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, নুসরত জাহান কতটা প্রভাবশালী, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে গড়িয়াহাট থানা এবং আদালতে মামলা দায়ের হয়। আদালত, পুলিসকে তদন্ত চালানোর পাশাপাশি লালবাজারকেও চিঠি পাঠায়। সেই চিঠিতে প্রশ্ন তোলা, কেন অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেনি কলকাতা পুলিস? এরপরেই লালবাজারের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে গড়িয়াহাট থানা। তদন্তে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং অভিযোগকারীদের বয়ান খতিয়ে দেখে নুসরতের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগের সত্যতা সামনে উঠে আসে। এরপরই নুসরতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। এখন প্রশ্ন, নুসরতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হলেও পুলিস কেন ব্যবস্থা নেয়নি? কেন একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? তাই এই মামলায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন মামলাকারী তথা প্রতারিতরা। এবিষয়ে কী বলছেন মামলাকারীরা।
এদিকে, প্রতারিত তথা মামলকারীদের তরফের আইনজীবী জানান, কোর্ট নথিতে নুসরত জাহান আমাদের অভিযোগ অস্বীকার করছেন। পাশাপাশি উনি যেহেতু সাংসদ, তাই আদালতে না এসে শুনানি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই আবেদন করছেন নুসরত জাহান। তিনি যা কিছু কিনেছেন বা করেছেন, সব নিজের টাকায়, এমনটাই কোর্ট নথিতে বলেছেন উনি। আবার নুসরতের আইনজীবীর দাবি, নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আমার মক্কেলের সশরীরে হাজিরার উপর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত বললে নুসরত জাহান নিশ্চয় সশরীরে এসে সহযোগিতা করবেন জানান তাঁর আইনজীবী সরিতা সিনহা।
এখন জোর চর্চা, শহরের প্রবীণ নাগরিক, যাঁরা মাথার ছাদ পেতে সারাজীবনের পুঁজি ঢেলেছিলেন অভিযুক্ত সংস্থায়, তাঁরা এখন প্রতারিত। আর টাকা ফেরত পেতে আদালতে আসছেন অহরহ। আবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়াচ্ছেন নুসরত জাহান! তাহলে কি সেই প্রভাবশালী তকমাই ঘুরেফিরে আসছে এই মামলাতেও, এই প্রশ্নই উঠছে।
'আজ ভীষন ব্যস্ত ছিলাম, নোটিশ এসেছে কিনা দেখারই সময় পাই নি।' ইডির তলব প্রসঙ্গে এমনই জানালেন নুসরত জাহান। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে ইডির তলব পেয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় নুসরত সিএন-ডিজিটালকে জানান, তিনি এখনও সমন হাতে পাননি, সমন পেলে বলতে পারবেন।
প্রতারণা-কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এমন কিছু করিনি, আর করবও না।’ দুর্নীতির সঙ্গে যোগের কোনও প্রমাণ করা যাবে না বলে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। এদিন নোটিশ নিজে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'নোটিস পেলে অবশ্যই সহযোগিতা করবেন।'
কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে নুসরতের। অভিযোগ, ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত আর সেই সংস্থাই টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে কয়েকজন অবসর প্রাপ্ত ব্যঙ্ককর্মীর সঙ্গে। ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হলেও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ, ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না টাকাও। সম্প্রতি ইডি দফতরে গিয়ে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন ওই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীরা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত না দেওয়া হলেও ওই টাকা দিয়েই কোটি টাকার ফ্ল্যাট কেনেন নুসরত।
উল্লেখ্য, অভিযোগ সামনে আসার পর প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন নুসরত। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে সেখান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। পরে সুদ সমেত সেই টাকা ফেরতও দিয়ে দিয়েছেন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে যোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে, আপনারা যা বলবেন তাই হবে।”
তাঁকে ইডি ডাকবে না। গত বুধবার ফ্ল্যাট প্রতারণার ঘটনায় প্রথমবার মুখ খুলে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে ছিলেন। এবার এই দাবি করলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। তিনি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে নিজের অবস্থানে এখনও অনড়।
এই ঘটনায় এবার নুসরত পাশে পেয়েছেন যশ দাশগুপ্তকেও। তারকা সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে অভিনেতা জানিয়েছেন, কে কী বলছেন, তাতে কিছু যায় আসে না। এই ব্যাপারে আদালত কী বলবে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের রায় শোনার পরেই এই ব্যাপারে তাঁরা নতুন করে কিছু বলবেন।
সম্প্রতি ইডির কাছে গিয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা দাবি করেছিলেন ২৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট প্রতারণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। গত সোমবার ইডির দফতরে গিয়ে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার পরের দিন নুসরতকে গ্রেফতারের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে দলের সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, এই ব্যাপারে আদালত কিছুই বলল না, তার আগেই সংবাদমাধ্যমের একাংশ থেকে সবকিছু বলে দেওয়া হল। এই ব্যাপারে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, নুসরতের লড়াই, নুসরতকেই লড়তে হবে।
অভিযুক্ত সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার দাবি করেছিলেন নুসরত জাহান। এবার, সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিং। রাকেশ জানিয়েছেন, নুসরত তাঁদের সংস্থা থেকে কোনও লোন নেয়নি। অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে নুসরত ফ্ল্যাট কিনেছেন। অভিনেত্রীর দাবি শুনে তিনি রীতিমত স্তম্ভিত।
রাকেশের আরও দাবি, নুসরত তাঁদের সংস্থায় যুক্ত হওয়ার আগেই পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়ে একটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে তাঁদের সংস্থার চুক্তিও হয়। পরে নুসরত তাঁদের সংস্থার ডিরেক্টর হন। এবং পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটি কিনে নেন।
রাকেশের দাবি, পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটির দাম ছিল ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। তাঁদের সংস্থার তরফে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়। নুসরত ওই সংস্থায় যোগ দেওয়ার পর বাকি ৫৮ লক্ষ দিয়ে নিজের নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। তারপর রাকেশের সংস্থাকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা শোধ করার জন্য অন্য একটি সংস্থা থেকে লোন নিয়ে নুসরত বাকি টাকা দিয়ে দেন।
নুসরত সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ‘‘যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাদের থেকেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার ঋণ নিয়েছিলাম। সেই টাকায় বাড়ি কিনেছি। ২০১৭ সালের ৬ মে সুদ-সহ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়েছি কোম্পানিকে। ব্যাঙ্কের নথিও আমার কাছে আছে।" দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত নন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন নুসরত। কিন্তু এই দাবি কার্যত অস্বীকার করায় এবার পাল্টা চাপে পড়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
এবার প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূলের বসিরহাটের সাংসদ এবং অভিনেত্রী নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে। সাংসদ-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডির কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সল্টলেকে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা।
তাঁর অভিযোগ, ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে লোকের থেকে টাকা তুলেছে নুসরতের সংস্থা। কিন্তু সেই ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি। এমনই কয়েকজনকে নিয়ে সোমবার ইডির দফতরে গিয়েছিলেন শঙ্কুদেব। যদিও এই ব্যাপারে আপাতত কিছু বলতে চান না বসিরহাটের সাংসদ। তিনি জানিয়েছেন, আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেই এই ব্যাপারে নিজের মতামত দেবেন।
বিজেপি নেতার অভিযোগ, গড়িয়াহাট রোডে নুসরতের একটি যৌথ সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা ২০১৪ সাল থেকে রাজারহাটে হিডকোর জমিতে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে টাকা তুলেছিল। মোট ৪২৯ জনের থেকে প্রায় ছয় লক্ষ করে টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন কামরার ফ্ল্যাট দিতে এখনও পারেনি ওই সংস্থা। নুসরত ছাড়াও ওই সংস্থার আরেক মালিক রাকেশ সিং নামের এক ব্যক্তি।
যদিও সাংসদ নুসরতকে নিয়ে ওঠা প্রতারণার অভিযোগকে আমল দিতে চাইছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে পতনের পর এখন দিল্লির নেতাদের সামনে কাজ দেখাতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। তাদের মধ্যেই একজন ভুয়ো অভিযোগ নিয়ে ইডির কাছে গিয়েছেন।
কেরিয়ার জীবনে একসঙ্গে নতুন অধ্যায়ে পা দিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta) এবং নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan)। যৌথ উদ্যোগে নিজেদের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন তাঁরা। নাম দিয়েছেন ওয়াইডি ফিল্মস (YD Films)। তবে তারপর সিনেমা মুক্তির জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করাননি দর্শকদের। রবিবারেই ঘোষণা করেছেন তাঁদের নতুন সিনেমা 'মেন্টাল'-এর। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন যশ এবং নুসরাত নিজেই।
সামাজিক মাধ্যমে দুই তারকাই এই প্রথম ঝলক আপলোড করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'স্বভাবটা জেন্টল, দিল সে সেন্টিমেন্টাল বাট ফর দ্যা ডেভিল, হি ইজ মেন্টাল।' প্রসঙ্গত সিনেমা জগতে যশ, দর্শকদের তেমন মন জিততে পারেনি। টলিউডের অন্দরে কানাঘুঁষো প্রযোজকেরা নাকি যশকে সিনেমায় নিতে চাইছেন না। সেই কারণেই তাঁদের এই প্রযোজনা সংস্থা আনার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার একসঙ্গে সিনেমার পর্দায় দেখা যাবে যশ এবং নুসরাতকে। এর আগে তাঁদের দেখা গিয়েছিল এসওএস কলকাতায়। তারপর যেন সাহার প্রযোজনায় তাঁরা একসঙ্গে আরও একটি ছবির শ্যুটিং করেছিলেন। তবে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যশের মতবিরোধ হলে সিনেমার মুক্তি আটকে যায়। দুই পক্ষ নিজেদের মতামত নিয়ে একই জমিতে না এলে সিনেমার মুক্তি অনিশ্চিত থেকে যাবে।
অভিনেত্রী নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan) টলিউডের এক বিতর্কিত অধ্যায়। অভিনয় জগতে এসে শুরুর দিকে তাঁর অভিনয়, উচ্চারণ নিয়ে নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে তাঁর কিছু সিদ্ধান্তে অভিনয় জীবন থেকে একেবারে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা শুরু হয় নেট দুনিয়ায়। ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে বিদেশে গিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন নুসরাত। তবে সেই বিয়ে টেকেনি।
নিখিলের সঙ্গে বিচ্ছেদ পর্বে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। সেই পর্ব মিটিয়ে নতুনভাবে প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও সেই প্রেম গোপন রেখেছিলেন শুরুতে। কিছু সময় পরে নুসরাত অন্তঃসত্বা হন। স্ফীতোদর লুকোতে পারেননি। এরই মধ্যে তাঁকে নানা জায়গায় অভিনেতা যশের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। ফলে তাঁরা প্রেম করছেন, এই গুঞ্জনে ছয়লাপ হয়েছিল নেট দুনিয়া।
সন্তান আসার পরে সন্তানের জন্মের সার্টিফিকেটে বাবার নামের জায়গায় দেখা যায় যশের নাম। এরপর নিজেদের সম্পর্ক সামাজিক করেন তাঁরা। এখন যশের সঙ্গেই যৌথ-যাপনে রয়েছেন অভিনেত্রী। তবে তাঁর এই জীবন সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক কেরিয়ার সব নিয়েই মাঝেমধ্যেই কটাক্ষ উড়ে যায় তাঁর দিকে। সেই ট্রোলারদের এবার জবাব দিলেন অভিনেত্রী। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি লেখেন, 'টক্সিক লোকজনের থেকে দূরে থাকলে চেহারার জেল্লা বাড়ে।'
সন্তানহারা হলেন নুসরাত (Nusrat Jahan) ও যশ (Yash Dasgupta)। নিজেদের বাড়িতে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছেন তাঁদের সন্তানের অনুপস্থিতি। শোক চেপে রাখতে পারেননি, সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিলেন নুসরাত। সম্প্রতি নুসরাত তাঁর সন্তানসম কুকুরের চলে যাওয়ার কথা লিখেছেন সামাজিক মাধ্যমে। মনের সমস্ত অনুভূতির কথা লিখেছেন। একইসঙ্গে যশও যে সন্তানের শোক সামলাতে পারেননি সেকথাও সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন নুসরাত।
অভিনেত্রী লিখেছেন, 'আমাদের বাড়িতে কেউ নিখোঁজ, আমরা দিন রাত বুঝতে পারি। আমাদের একটা অংশ তোমার সঙ্গে চলে গিয়েছে। তুমি আমাদের জীবনে অনেক আনন্দ নিয়ে এসেছিলে। এখনও ভালোবাসি, এখনও মনে করি প্রিয়। আমাদের আদরের ছেলে, মা-বাবা তোমার জন্য পরপারে সাক্ষাতের অপেক্ষা করবে। আমরা তোমাকে খুব ভালোবাসি।'
নুসরাত তাঁদের আদরের ছেলের বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। নিজের সঙ্গে, যশের সঙ্গে সন্তানের আনন্দের বেশ কিছু স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে। ছেলেকে হারিয়ে যে অভিনেত্রী সত্যিই আবেগঘন তা স্পষ্ট। নেটিজেনরা নুসরাতের কমেন্ট সেকশনে শোকপ্রকাশ করছেন।