মর্মান্তিক ঘটনা! পরীক্ষায় নকল করার অপবাদ। এরপর মা-বাবাকে স্কুলে ডেকে অপমান স্কুলশিক্ষিকার (teacher)। যা কিছুতেই সহ্য করতে পারছিল না অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরী। অবশেষে মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত। সুইসাইড নোট (Suicide note) লিখে আত্মঘাতী ওই ছাত্রী। সুইসাইড নোটে লেখা, "স্কুলের নকল করার মিথ্যা অভিযোগ কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলাম না। একটা মেয়ের কথায় আমার জীবনে কলঙ্ক লেগে গেল। আমার কথার কোনও দামই থাকল না।" মূলত, সুইসাইড নোটে সে তার এক বান্ধবীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) দেবনগর এলাকার। পরিবারের অভিযোগ, কোনও প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁদের মেয়ের উপর এই অপবাদ দেওয়া হল? এই ঘটনা যাতে ফের না হয় সেজন্য দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
অন্যদিকে, সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুকে (death) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা থানার দয়ানগর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা বেলা থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে একটি ভাঙা কুঁড়ে ঘরে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তার দুই হাতই বিকলাঙ্গ। ফলে সে কোনওরকমভাবে একা একা গলায় দড়ি দিতে পারবে না ইচ্ছা হলেও। তবে ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা আছে সেই তদন্তে পুলিস। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং পরিস্থিতির সামাল দেয়।
বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extramarital affairs) জেরে স্ত্রীকেই খুনের (murder) অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের ঘোড়ামারা মাঠপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ডোমকল থানার পুলিস (police)। পথের কাটা সরাতেই কি স্ত্রীকে খুন? ঘটনার তদন্তে পুলিস।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূ বছর ২৮-এ রেখা বিবি ডোমকলের মোহনপুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর ১০ বছর আগে ডোমকলেরই ঘোড়ামারা মাঠপাড়ার বানাত মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহ হয়। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও পরে সংসারে ভাঙন ধরে। দম্পতির এক কন্যাসন্তানও আছে। বিয়ের বছরখানেক পর থেকেই বৌদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বানাত মণ্ডলের। কিন্তু এই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ান তাঁর স্ত্রী রেখা বিবি। বহুদিন ঝামেলা-অশান্তির পর রবিবার হঠাৎ গভীর রাতে নিজের ঘরেই রেখা বিবিকে গলাই ফাঁস এবং মারধর করে খুন করে স্বামী এমনটাই অভিযোগ।
সোমবার সকালে মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন তাঁদের বাড়িতে। সেখানে মৃতদেহ দেখেই পরিবারের সদস্যরা খবর দেয় পুলিসে। তবে পুলিস আসবার আগেই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত বানাত মণ্ডল। ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ডোমকল থানার পুলিস। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। দোষীর সঠিক শাস্তির দাবি জানিয়ে পরিবার।
জায়গা আছে, আছে পড়ুয়ারাও। তবুও স্কুল (school) তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। কারণ, নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক (teacher)। তাই স্কুল ভবন বর্তমানে আগাছায় পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর এই ছবি দেখা গেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের বেওয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরাক্কা উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
জানা যায়, স্থানীয়দের সুবিধার্থে ফরাক্কার বেওয়া ১ নং পঞ্চায়েতের উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মানের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু এই স্কুল নির্মানের কাজ শুরু হওয়ার পর অবসরপ্রাপ্ত দুইজন শিক্ষককে গেস্ট শিক্ষক হিসেবে পঞ্চম ও ষষ্ট শ্রেণির পড়াশোনাও শুরু করা হয়। কিন্তু তাঁদের ৬৫ বছর বয়স হয়ে যাওয়ায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওই দুইজন গেষ্ট শিক্ষককে স্কুল থেকে অবসর নিতে হয়। বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠান। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় ফরাক্কা উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরিরে কাজও। এখন সেই স্কুলটিতেই জন্মেছে আগাছা।
স্থানীয়দের দাবি, শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলটি যেন আবার নতুন করে চালু করা হয়। স্কুল চালু হলে স্থানীয় পড়ুয়ারা ভালেভাবে এই স্কুলে পঠনপাঠন করতে পারবে। যেহেতু ওই এলাকায় কোনও উচ্চ বিদ্যালয় নেই। ফলে বাধ্য হয়ে অন্য স্কুলে যেতে হয়। তাই এই এলাকায় একটি স্কুলের খুবই প্রয়োজন। কিন্তু কবে তাঁদের স্বপ্নপূরণ হবে, তা জানেন না কেউই।
মূলত কৃষিপ্রধান রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। কিন্তু এবছর চাষে একাধিক বাধা বিপত্তি এসেছে। প্রধানত, মৌসুমী বায়ুর খামখেয়ালিপনায় এবছর অনেক জেলাই বর্ষার (rain) মুখ দেখেনি। যার মধ্যে রয়েছে বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বাঁকুড়া। এই সমস্ত জেলায় বৃষ্টিপাত অনেক অংশে কমে গিয়েছে। যার ফলে মাঠের অবস্থা আগে যা ছিল সেই রকমই রয়ে গিয়েছে। নেই সোনালী রঙের ধানের (paddy) বাহার। নেই মেঠো ইঁদুরদের দাপাদাপি। যে উদ্দেশ্য নিয়ে চাষিরা (Farmers) এ বছর ধান চাষ করবেন বলে ঠিক করেছিল এমনকি মাঠের মধ্যে জৈব সারও দিয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে মাঠের সার মাঠেই রয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে উর্বরতা শক্তি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা।
তবে এবছর চাষিরা ধান চাষের মায়া কাটিয়ে আলু (potato) চাষ আরম্ভ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের চাষিরা। আলু চাষের প্রতি তাঁদের ঝোঁক বেড়েছিল। কিন্তু সমস্যা একটাই, জৈব সার সেরকম পাওয়া না গেলেও রাসায়নিক সার দিয়েই সাধারণত আলু চাষ করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে আলুর বীজের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। তার চেয়েও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার। যা মাঠের মধ্যে প্রয়োগ করলেই আলু চাষের ফলন বৃদ্ধি পায়। সেই সার যে দামে চাষিরা কেনেন এবছর তার থেকেও বেশি দামে কিনতে হয়েছে। অনেক সময় নকল রাসায়নিক সার সরবরাহ করছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। সেই সার কিনে ঠকতে হচ্ছে চাষিদের।
চাষিরা জানান, শুধু তাই নয় ফলন যে পরিমাণ হওয়ার কথা তাও কমে যাচ্ছে। ফলে লাভ অন্য বছর যে পরিমাণে থাকে তা এবছর অনেকটাই কমে যাবে। তবুও আশায় রয়েছেন তাঁরা। যদি আলুর দাম সামান্য বৃদ্ধি পায় তাহলে মহাজনকে বিক্রি করার পর তাঁদেরও পড়তা হবে। সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন চাষীরা। তবে কোনও কোনও জায়গায় জলের সমস্যা থাকায় সেখানে আলু চাষে বিঘ্ন ঘটবে সেই আশঙ্কাও রয়েছে। সব মিলিয়ে এখন সময়ের অপেক্ষায় চাষিরা।
৩০ বছরের সংসার। তবুও ঠাঁই মিলছে না স্বামীর বাড়িতে। অবশেষে সাহায্যের আর্জি গৃহবধূর। ঘটনাটি ডোমকল (Domkal) পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হারুর পাড়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, হারুপাড়া গ্রামের প্রায় ৩০ বছর আগে বিয়ে (marriage) হয় নুরুল ইসলামের সঙ্গে জলঙ্গি থানার টিকোর বাড়িয়া গ্রামের মনোয়ারা বিবির। দীর্ঘ সংসার জীবনে ছেলে ও মেয়ে হয়। কিন্তু গত ৫ মাস ধরে তাঁদের সংসার জীবনে অশান্তি বাঁধে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নুরুল ইসলাম প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে রেখে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে অত্যাচার (torture) করেন। অত্যাচারিত গৃহবধূ গ্রামবাসীর কাছে আবেদন করেন যাতে তাঁর স্বামীর সংসারে ঠাঁই পাওয়া যায়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর নুরাবুল হক থানায় ফোন করেন। খবরে পেয়ে পুলিস এসে তদন্ত করে। গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে সকলের সামনে তালা ভেঙে গৃহবধূকে স্বামীর বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। এতদিনের সমস্যার সুরাহা ও পুলিস প্রশাসনের তত্পরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।
শিশু (child) নিয়ে পালাবার সময়ই বাধা। পাল্টা গ্রামবাসীদের উপরই সরাসরি হামলা চালাল শেয়াল (fox)। প্রতিবছরই ১০ থেকে ১৫ জন করে মানুষ এই শেয়ালের আক্রমণে আহত (injured) হচ্ছেন। বারবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে কিন্তু কিছুই সুরাহা মিলছে না, অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বুধবার শেয়ালের আক্রমণে আহত হন ৪ জন মহিলা, দুই শিশু সহ একই গ্রামের ১০ জন বাসিন্দা। বুধবার সকালে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার উমরাপুর পঞ্চায়েতের বাউড়িপুনির উল্লাপাড়া গ্রামে। তড়িঘড়ি আক্রান্তদের সামশেরগঞ্জের অনুপনগর ব্লক হাসপাতালে (hospital) নিয়ে আসা হয়। যদিও অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় একজনকে জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। পুরো ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসীরা।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে হঠাত্ই গ্রামের মধ্যে ঢুকে একটি শিশুকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল একটি শেয়াল। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে সেই শেয়ালকে তাড়া করতেই পাল্টা গ্রামবাসীদের উপর আক্রমণ। শেয়ালের কামড়ে জখম হন ৪ জন মহিলা, দুই শিশু সহ প্রায় ১০ জন গ্রামবাসী। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অনেকেরই রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উল্লাপাড়া গ্রামটি মাঠ সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় যখন তখন এমন ঘটনা ঘটছে। আর বারবার ঘটে চলেছে এই ঘটনা। প্রতিবছরই এই আতঙ্কেই দিন কাটাছেন তাঁরা। অবিলম্বে শেয়ালের হাত থেকে রক্ষা করতে বন দফতর ও প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানান গ্রামবাসীরা।
মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) আবু তাহের খানের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক শিশুর (Child Death)। বুধবারের এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদের নওদায়। রাস্তা অবরোধ করে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। জেলার (Murshidabad) এক পুলিসকর্তা দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, এই ঘটনায় আমরা আইনি পথে তদন্ত শুরু করেছি। ঘাতক গাড়িকে বাজেয়াপ্ত করে অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করেছি।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া শিশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি, বুধবার জানান সেই পুলিসকর্তা। ঘটনার পর অবশ্য তৃণমূল সাংসদের যুক্তি, 'হঠাৎ বাচ্চাটি কোথা থেকে চলে এসে গাড়িতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওই শিশুকে এনে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করি, অবস্থা আশঙ্কাজনক।' যদিও চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই সেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নওদা পিপড়েখালি এলাকায় এক জনবহুল বাজারে ৬-৭ বছর বয়সি ওই শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়তে দেখে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাড়ি গঙ্গাধারী গ্রামে। শিশুর পরিবারের এক সদস্য জানান, ব্যাঙ্কের কাজে শিশুর মা বাচ্চাটিকে নিয়ে এসেছিল। তারপরেই এই ঘটনা আমরা সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি।
মালদহের পর এবার মুর্শিদাবাদ। এবার ক্লাস (class) শুরুর ঠিক আগেই ভেঙে পড়ল আস্ত সিলিং ফ্যান (Ceiling fan)। আহত (injured) দুই ছাত্র। ঘটনাটি হরিহরপাড়া (Hariharpara) গোবরগাড়া হাই মাদ্রাসা স্কুলের। আহত দুই ছাত্রের নাম সামিউল সেখ ও তোহমিদ বাসির। তারা দু'জনেই নবম শ্রেণীর ছাত্র। শুক্রবার এই ঘটনায় আতঙ্কের ছবি স্কুল (school) চত্বর জুড়ে।
ছাত্ররা জানায়, এদিন ১১ টার সময় স্কুলে ঢুকে ক্লাসরুমে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিল ছাত্ররা। সেই সময় হঠাৎই সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে যায়। সিলিং ফ্যানের পাখায় একজনের মাথা ফেটে যায়, অপর এক ছাত্রের হাতে গুরুতর আঘাত। তাদের দুজনকেই শিক্ষকরা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তারা।
আহত ছাত্র তোহমিদ বাসির জানায়, স্কুলের শিক্ষকদের বারবার বলার পরও ফ্যানটি ঠিক করায়নি। বহু পুরনো ফ্যান, সেই কারণেই ভেঙে পড়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মালদহের স্কুলে বাথরুমের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় মালদহের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। গুরুতর জখম হয় এক ছাত্র। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম জিসান সেখ। সে মালদহের বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। ঘটনার দিন দুপুরে টিফিনে সে বাথরুমে যায়। সেই সময় বাথরুমের জীর্ণ দেওয়াল হঠাৎই ভেঙে পড়ে।
অন্য ছাত্ররাই তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। হাসপাতাল একজনকে মৃত ঘোষণা করে, অন্যজনের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনা চাউর হতেই উন্মত্ত জনতা স্কুলে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় স্কুলের সম্পত্তি। বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিদ্যুৎ বিলের (Electricity bill) সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করার মেসেজ মোবাইলে পাঠিয়ে এক শিক্ষিকার (teacher) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় লক্ষ টাকার প্রতারণা। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফারাক্কার। টাকা প্রতারণার (fraud) পর ফারাক্কা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা।
জানা যায়, শিক্ষিকার নাম নবনীতা সরকার। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে। কর্মসূত্রে তিনি মুর্শিদাবাদের সুতির সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি বর্তমানে ফারাক্কা ব্যারেজের প্রজেক্ট আবাসনে থাকেন। তিনি জানান, রবিবার রাতে তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা, তাঁর বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিল-এর সমস্যা হওয়ায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। তারপর রাতের বেলায় হোয়াট্অ্যাপে মেসেজ আসা নম্বরে সোমবার সকালে ফোন করেন।
তারপর প্রতারক তাঁকে নিজের মোবাইলে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে। অ্যাপ ডাউনলোড করার পর তাঁকে দশ টাকা পেমেন্ট করতে বলা হয়। অভিযোগ, তাঁর মোবাইল থেকে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দশ টাকা পেমেন্ট করার পরপরই অ্যাকাউন্ট থেকে তিন ধাপে ৯৯৫১০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। যখন দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে তারপরে তিনি তাঁর ফোন ডিসকানেক্ট করে দেন। ডিসকানেক্ট করার পর অ্যাকাউন্ট থেকে আর কোনওরকম ট্রানজেকশন করতে পারিনি প্রতারক।
শিক্ষিকা আরও জানান, এই ধরনের প্রতারণার সঙ্গে যারা জড়িত, তাঁরা যেন শাস্তি পায় এবং সাধারণ মানুষকে এই প্রতারণা সম্পর্কে যেন সরকারিভাবে সচেতন করা হয়। যেন আর কেউ এই প্রতারণা ফাঁদে পা না দেয়। সোমবার বিকেলেই শিক্ষিকা কর্মসূত্র থেকে বাড়ি এসে ফারাক্কা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ফারাক্কা থানা নড়েচড়ে বসে। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
ফের জল (water) না পাওয়ার অভিযোগ। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সাত বছর ধরে তাঁর পুরসভার কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না। এখন এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ওই অঞ্চলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এলাকার লোকেরা সেখানে বাড়ি ঘর ছেড়ে, অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে। যাদের ক্ষমতা নেই তাঁরা বাধ্য হয়ে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কষ্ট করে বসবাস করছেন। সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় এখন বেলডাঙাবাসী (Beldanga)।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বিশেষত জল নিকাশী ব্যবস্থা ও মাত্র ১৫০ মিটার রাস্তার অভাবেই এই পরিস্থিতি। প্রায় ১৫০ জন লোকের বসবাস এই এলাকায়। পানীয় জলের দিক থেকে দেখতে গেলে ১৩ এবং ১৪ নং ওয়ার্ডের জলে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি থাকায় পানের অযোগ্য। ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ভোট মিটে গেলে আর কোনও কাজ হয়নি। আরও অভিযোগ, এই এলাকাতে বেলডাঙা পুরসভা পক্ষ থেকে অনেকেরই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িতে নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু বাড়ি তৈরির পর তাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বদলে পুরসভার উদ্যেগে নির্মিত বাড়ি লেখা রয়েছে। এলাকার উন্নতির জন্য বেলডাঙা পুরসভাকে বারংবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এমনকি পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমের কাছেও এই বিষয়ে নিয়ে চিঠি করেছেন স্থানীয়রা। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। হচ্ছে, হবে এই বলেই দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে কাজের কাজ ক্ছুই হচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীদের।
চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের মৃত্যুর (death) প্ৰতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে শনিবার লালগোলা থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে নামে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)। আর সেই কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলা। এদিন থানা ঘেরাও নিয়ে বচসা বাঁধে পুলিস (police) ও ডিওয়াইএফআই-এর কর্মীসমর্থদের মধ্যে।
সূত্রের খবর, আব্দুর রহমান নামের লালগোলার সারপাখিয়া যুবক প্রাইমারি চাকরির জন্য প্রায় ৭ সাত লক্ষ টাকা দেন। অভিযুক্ত হলেন দিবাকর কোনায় নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও আব্দুর রহমানের চাকরি না হওয়ায় দিবাকর কোনায়-র কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হয় আব্দুর রহমানকে। প্রতারিত হয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন আব্দুর রহমান। গত সেপ্টেম্বর মাসে সুইসাইড নোটে তাঁর অভিযোগ লিখে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন আব্দুর। ঘটনায় লালগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃত চাকরিপ্রার্থীর পরিবার। সেই ঘটনায় সোমবার রাতে অভিযুক্ত দিবাকর কোনায়কে বীরভূম থেকে গ্রেফতার করে লালগোলা থানার পুলিস।
তবে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সেই দাবি রেখেই এদিনের এই ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দেয় বাম সংগঠন ডিওয়াইএফআই। কিন্তু সেখানে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা।
স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের (Adultery Relation) সন্দেহে পড়শি যুবককে বাড়িতে ডেকে খুন স্বামীর। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) শক্তিপাড়ার এই ঘটনায় অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবি করেছে নিহত ফিরদৌসের স্ত্রী। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত আতাউর, ফিরদৌসকে বাড়িতে ডেকে এনে হাসুয়া দিয়ে গলার নলি কেটে খুন (Murder) করে। আতাউরের স্ত্রী রুকশনা বিবির সঙ্গে ফিরদৌসের সম্পর্ক আছে। সে কথা জানতে পেরেই নাকি এই নৃশংস হত্যা করেছে অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, শক্তিপুরের জিনারাপাড়ার বাসিন্দা ফিরদৌস শেখ খুন হয়েছেন তাঁর পড়শির বাড়িতে। এরপর অভিযুক্ত শক্তিপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ফিরদৌসের সঙ্গে আতাউরের স্ত্রীর আড়াই বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। পুলিসকে এমনটাই জানিয়েছে অভিযুক্ত। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং আতাউর, তাঁর স্ত্রীকে নিষেধ করলেও কেউই কান দেননি। আতাউর পুলিসের কাছে দাবি করেছে, বুধবার সকালে ফিরদৌসকে বাড়িতে ডেকে আনে। ফিরদৌস বাড়িতে পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের বচসা। সেই ফাঁকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের স্ত্রীর সামনেই ফিরদৌসের গলার নলি কেটে দেয় আতাউর।
মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পাশাপাশি, অভিযুক্তর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ফের গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক (panic)। গঙ্গার জলস্তর কিছুটা কমতেই ফের একবার ভয়াবহ ভাঙনের মুখে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার মহেশটোলা এবং প্রতাপগঞ্জ এলাকা। শনিবার সকালে ওই এলাকায় একটি বাড়ি ও দুটি দোকান গঙ্গা নদীর ভাঙনের করাল গ্রাসে তলিয়ে যায়। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাজ্য সড়কের ধারে অবস্থিত একটি ইলেকট্রিক পোল ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার রাতে প্রতাপগঞ্জ এলাকায় কাঁকুরিয়া–ধুলিয়ান রাজ্য সড়কের উপরেও ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা আগামী দু থেকে একদিনের মধ্যেই এই রাস্তাটিও গ্রাস করবে গঙ্গা।
আর এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিরোধীরাও। মিলন ঘোষ উত্তর মুর্শিদাবাদ বিজেপি সহ-সভাপতি বলেন, পুর-প্রধান থেকে শাসক দলের বিভিন্ন নেতাদের উপর মানুষ ক্ষিপ্ত। কারণ, শাসক দল থেকে প্রশাসনিক স্তরে সকলেই স্থানীয় মানুষদের এই গঙ্গার গ্রাস থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। এছাড়াও, এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। সমস্যা দেখা দিলে শুধু বালি, বাঁশ দিয়ে মেরামত করে কোনওরকমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা আর কতদিন। যেখানে কেন্দ্র ৫৩ কোটি টাকা এবছর দিয়েছে, সেখানে কেন সমস্যার সমাধান মিলছে না। তাহলে সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে? প্রশ্ন করেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে সমস্যায় আছেন মুর্শিদাবাদবাসী।
কালীপুজোর (kali pujo) আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার অভিযানে নেমেছে পুলিস প্রশাসন। বাদ পড়েনি শহর কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি করা। আর এই তল্লাশি করেই সোমবার ফের উদ্ধার ১১৫ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি (fireworks)। উদ্ধার করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস (police), ঘটনায় গ্রেফতার এক। সল্টলেকের (salt lake) ইসি মার্কেট থেকে গ্রেফতার (arrest) করা হয় ধৃতকে।
জানা যায়, রবিবার রাতে ইসি মার্কেটের সামনে একটি গাড়ি থেকে মাল নামাচ্ছিল বেশ কয়েকজন। সেই সময়ই টহলরত পুলিসের সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারা যায়, ওই বাক্সগুলিতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি রয়েছে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে নিমতার বাসিন্দা শুভাশিস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। সোমবার তাঁকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়।
এদিকে, মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad) একই ঘটনা। কালীপুজোর আগেই একাধিক আতসবাজি-সহ এক ব্যক্তিকে আটক করে রেজিনগর থানার পুলিস। জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি দোকানে অভিযান চালায় রেজিনগর থানার পুলিস। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় এই আতসবাজি। সেখানে মজুত থাকা পাঁচ হাজার চকলেট বোম, তিন হাজার কালিপটকা ও আরও সাড়ে তিন হাজার অন্য আতসবাজি উদ্ধার করেছে পুলিস।
চিকিৎসার গাফিলতির (Medical Negligence) অভিযোগে ধুন্ধুমার-কাণ্ড বহরমপুর (Behrampur) সিএমওএইচ(CMOH) অফিসের সামনে। সিএমওএইচ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনরা। বিধায়ক ও সভাধিপতির সামনে সিএমওএইচ সন্দীপ সান্যালকে মারধর (Beaten) করে বলেও অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস (রাজু) বহরমপুর সিএমওএইচ অফিসে আসেন চিকিৎসার অভিযোগ নিয়ে। তাঁদের সঙ্গে আসেন এলাকায় কয়েকশো মানুষ।
অভিযোগ, বহরমপুর থানার বুটারডাঙা এলাকার বাসিন্দা গোলবাহার শেখ পেটে ব্যাথা নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশন করা হয়। কিছুদিন পরে তাঁর পেটে ইনফেকশন ছড়ালে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ফের তাঁর অপারেশন হয়।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রায় ৩ লক্ষ টাকার বিল ধরিয়ে দেয়। যা তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এসব অভিযোগ পেয়ে রোগীকে সঙ্গে করে কয়েকশো লোক নিয়ে বহরমপুর সিএমওএইচ অফিসে আসেন হরিহরপাড়া বিধায়ক নিয়ামত শেখ, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস। তাঁরা এসে সিএমওএইচ সন্দীপ সান্যালের সঙ্গে কথা বলেন।
সন্দীপ সান্যাল রোগীকে দেখতে নিচে নামলে বিধায়ক এবং সভাধিপতির সামনেই সিএমওইচকে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী। বেশ কয়েকজনকে আটক করে বহরমপুর থানার পুলিস।