'ইডি আধিকারিকেরা আমার সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেননি। তবে পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে তাঁদের ধারণায় অনেক গন্ডগোল আছে।' ১৯ ঘন্টা তদন্ত সেরে ইডি আধিকারিকরা বেরিয়ে যাবার পর সংবাদমাধ্যমকে ঠিক এমনই জানান খাদ্যমন্ত্রী রথিন ঘোষ। তিনি নিজে একটি বই দিয়ে ইডির তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি রথীনের।
একদিনের সামান্য কম। প্রায় সাড়ে ১৯ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগরের বাড়ি থেকে বেরোয় ইডি আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বেরোনোর সময় বাড়ির সামনে ছিল তৃণমূল সমর্থকদের ভিড়, ইডির উদ্দেশে ধিক্কার স্লোগান দিতে থাকে তাঁরা। আধিকারিকদের বেরোতে অসুবিধা হচ্ছে দেখে রথীন নিজে এসে তাঁদের বাইরে বেরোতে সহযোগিতা করেন।
তবে এই তল্লাশি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে হেনস্থা করতেই বাড়িতে ইডি এসেছিল। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।
রাজ্য় জুড়ে চলছে ডেঙ্গির ভয়াবহতা। দিনের পর দিন ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক এবার কলকাতা পুরসভার। ডেঙ্গির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে সচেতনতায় নামল কলকাতা পুরসভা। শনিবার শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডে চলবে সচেতনতা প্রচার। জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর ডেঙ্গিরোধে স্বচ্ছ অভিযানে নেমেছে পুরসভার ওয়ার্ডগুলি।
দুর্গাপুর নগর নিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড। সামনে বোরো অফিস থাকার পরেও সেখানের বাসিন্দাদের কাছে অসহনীয় যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্গাপুরে এম.এ.এম.সি টাউনশিপের বিটি থ্রি সহ আশপাশ এলাকায় জমা জলে বাড়ছে ডেঙ্গি আতঙ্ক। নতুন ড্রেন হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে সেই নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টি হলে নিকাশি নালার জল বেরোনোর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় উপর উঠে আসে নোংরা জল। আর সেই জল আবাসনের সামনে এসে হাজির হয়। আর সেই নোংরা জমা জলেই বাড়ছে মশার উৎপাত।
অভিযোগ, বারংবার দুর্গাপুর নগর নিগমের বোরো অফিসে জানিয়েও কোনও ব্য়বস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এম.এ.এম.সি টাউনশিপের তিন নম্বর বোরো অফিসের স্থানীয়রা বলছেন সামনে বোরো অফিস থাকার পরেও একবারও মশার তেল স্প্রে করতে আসেনা কেউ। দিন কয়েক আগে জেলা শাসক ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে ডেঙ্গি নিধনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেই দিনের বৈঠকে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সচেতন রয়েছে পুরসভা। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক বলছেন তৎপরতার সঙ্গে জেলা প্রশাসন কাজ করবে। স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন তো বটেই ধাপে সরকারি স্কুলগুলির পাশাপাশি বেসরকারি স্কুল ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলবে ডেঙ্গি নিধনে কাজ।
শনিবার জলপাইগুড়ির করলা নদী সংলগ্ন বাবুঘাটে হয় এই ডেঙ্গু নিস্পত্তির স্বচ্ছ অভিযান। জলপাইগুড়িতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। গত জানুয়ারি মাস থেকে এখোনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০০। এছাড়াও এই বৃষ্টির মরশুমে মশাবাহিত এবং জলবাহিত নানারাকম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। যার ফলে বাবুঘাটেও চলেছে এই স্বচ্ছ অভিযান।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর বালুরঘাট পৌরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকের পর ডেঙ্গুরোধে তৎপর বালুরঘাট পৌরসভা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে মশা নিধনকারী তেল স্প্রে, এছাড়াও বাড়ি বাড়ি সার্ভের কাজ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৫৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র বালুরঘাট শহরে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ৮ জন এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ৩ জন, অর্থাৎ জেলায় এই মুহুর্তে মোট ১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বালুরঘাট পুরসভার কাউন্সিলর প্রবীর দত্ত জানান, জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে পুরসভা ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সাফাই অভিযানের পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে বাড়ি বাড়ি শুরু হয়েছে সার্ভে। কোথাও জল জমে না থাকে তা দেখা হচ্ছে।
পুরসভায় নিয়োগ দুর্নাীতির তদন্তে তথ্য নিয়ে এবার সময় বেঁধে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাজ্যের মোট ১২টি পুরসভার কাছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। এত গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার অগ্রগতি কোথায়? আদালত আরও জানতে চায় পঞ্চায়েত ভোটের পর হঠাৎ করে এই তদন্ত ঘুমিয়ে পড়ল কেন?
ওয়াকিবহল মহলের মতে, আদালতের এই গুঁতোর পরই বৃহস্পতিবার রাজ্যের ওই ১২টি পুরসভার থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই ১২টি পুরসভার মধ্যে দমদম, কামারহাটির মতো পুরসভগুলি রয়েছে। গত ৯ বছর ধরে কীভাবে নিয়োগ হয়েছে, সেই তথ্যই চাওয়া হয়েছে।
এবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় সিবিআই (CBI) হানা। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে এই হানা দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগেই এই ব্যাপারে রাজ্যের দুটি দফতরকে বিস্তারিত জানাতে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি (ED)। ওই দুটি দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আদালতের নির্দেশে এই অনিয়মের তদন্ত করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সকাল থেকে ২৫টি দলে ভাগ হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি পুরসভায় হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
মূলত গ্রেফতার প্রমোটার অয়ন শীলকে জেরা করেই রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ দু্র্নীতির খবর পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আদালতের নির্দেশ এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল। এদিন সকালে পানিহাটি, দমদম-সহ কলকাতা সংলগ্ন একাধিক পুরসভায় হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানো হয় সল্টলেক পুরসভাতেও।
সকাল ১১টা নাগাদ টিটাগড় পুরসভায় আসেন সিবিআই-এর একদল আধিকারিক। সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। কীভাবে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে, কার মাধ্যমে হয়েছে, কোথায় নিয়োগ হয়েছে, কারা এর সঙ্গে জড়িত তাই খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, রাজ্যের মোট ১৪ টি পুরসভায় বুধবার সকাল থেকেই হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। খবর আরও বেশ কয়েকটি পুরসভা হানা দিতে পারে সিবিআই। সূত্রের খবর সংশ্লিষ্ট পুরসভা গুলিতে গিয়ে ওই পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। এছাড়া শিক্ষা দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের বাড়ি, ফ্ল্যাট ও এবিএস ইনফোজনের অফিসেও হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। হানা দেওয়া হয়েছে দফতরেও।
'অনুপম দত্তের পর এবার আপনার নম্বর।' কামারহাটি পুরসভার (Kamarhati Municipality) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় এমনি হুমকির মুখে পড়তে হল তৃণমূল (TMC) মহিলা কাউন্সিলরকে। অভিযোগ, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া (Belgharia) ৪ নম্বর রেলগেটের পাশে একটি বাড়ি নির্মাণ হচ্ছিল। কাউন্সিলর গিয়ে বাধা দেওয়ায় তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ জানান, 'কামারহাটির গুড্ডু রহমনের বিরুদ্ধে।'
ওই পুরমাতা আরও অভিযোগ করেন, 'ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, ওয়ার্ডে ঢুকতে গেলে তাঁর কথা শুনতে হবে। নইলে যেভাবে পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্ত যেভাবে চলে গেলেন, এরপর তাঁর নম্বর। ওয়ার্ডে থাকতে গেলে গুড্ডু রহমানকে টাকা দিতে হবে বলেও অভিযোগ করেন।' পুরমাতা বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে কামারহাটি পুরসভার পুরপিতা গোপাল সাহা জানান, 'এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে তা সত্যি দুঃখজনক। এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন তিনি। এছাড়া অভিযোগ এলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।'
এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতা জয় সাহা। তিনি বলেন, 'রাজ্যজুড়ে খেলা শুরু হয়েছে। তবে ভয়ংকর খেলা এখনও বাকি রয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই অভিযোগ করা শুরু করেছে। অবৈধ নির্মাণ হবে, আর তৃণমূলের কাউন্সিলরের কাছে টাকা যাবে না তা কি হয়? চোর-ডাকাতের সরকার, খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে।'
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের (Education Scam) পর এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কোমর বাঁধছে ইডি। সূত্রের খবর, নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন থেকে বাজেয়াপ্ত নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার (ED) তুরুপের তাস হতে চলেছে। বাজেয়াপ্ত নথি ঘেঁটে ইডি দক্ষিণবঙ্গের ২২টি পুরসভায় নিয়োগে গরমিল পেয়েছে বলে খবর। তাই এই নিয়োগ-কাণ্ডে (Municipality Recruitment scam) তদন্তের অনুমতি চেয়ে দিল্লির সদর দফতরের দ্বারস্থ হচ্ছে ইডি। জানা গিয়েছে, মোট আড়াই হাজার কোটি টাকার পুর দুর্নীতি-কাণ্ডের প্রাথমিক খোঁজ মিলেছে।
এদিকে, প্রায় চার দিনের মাথায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করেছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। সিবিআই সূত্রে খবর, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও লক্ষ-লক্ষ টাকা তুলেছেন জীবন। আশাকর্মী নিয়োগের চাকরি বিক্রি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। শুধু প্রাথমিক শিক্ষক বা এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে নয়, তদন্তে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি স্থায়ী বা অস্থায়ী পদে নিয়োগের নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা তুলেছেন জীবনকৃষ্ণ।
পুরসভার "প্রাক্তন" ভাইস চেয়ারপার্সন এবং তাঁর স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Death) ঘটনা। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ১২নং ওয়ার্ডের পাণ্ডাপাড়া রোডের ঘটনা। শনিবার ভোরে ঘর থেকেই তাঁদের অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় "প্রাক্তন" ভাইস চেয়ারপার্সনের স্বামীর। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অপর্ণা দেবীর। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত দুজনের নাম অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য। ২০০০-২০০২ সালে জলপাইগুড়ির ভাইস চেয়ারপার্সন ছিলেন অপর্ণা ভট্টাচার্য। তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শনিবার ভোরে ঘর থেকেই তাঁদের অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়।
মৃতদের আত্মীয় সূত্রে খবর, এক মাস আগে তাঁদের মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। তারপর থেকেই একটু অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে দিন ১৫ আগে তাঁরা মেয়েকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে রাত ৩টা নাগাদ পান্ডাপাড়া রোডে নিয়ে আসে। তাঁদের অনুমান, মূলত মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে কোনও সমস্যা হয়েছিল। যার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁরা। তাই তাঁরা দুজনেই আত্মঘাতী হয়েছে, দাবি আত্মীয়দের।
তবে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কী কারণে এই মৃত্যু তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
দেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে পুরসভার আবর্জনার গাড়ি বাঁধা, খবর পেয়ে পতাকা উদ্ধার করল বারাসত থানার পুলিস। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত থানার অন্তর্গত পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটবাজার সংলগ্ন সুরেন্দ্রনাথ কলোনি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় স্থানীয় কিছু বাসিন্দা শনিবার সকালবেলায় দেখেন রাস্তার পাশে পুরসভার একটি ভ্যাটের গাড়ি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে। সেখানে এক কর্মী গাড়িতে আবর্জনা বোঝাই করছে। সেই আবর্জনা যাতে না ছড়ায় সে কারণে আবর্জনা জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখে ভ্যাটের ভ্যান চালক। সেই দৃশ্য চোখে পড়তেই বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে খবর দেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা বারাসত থানার পুলিসকে খবর দিলে পুলিস গিয়ে জাতীয় পতাকা উদ্ধার করে এবং ওই ভ্যান চালককে ধমকানিও দেন।
এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কনিকা রায় চৌধুরী বলেন, 'ভ্যাটের ভ্যান চালক নিরক্ষর। সে বুঝতে পারেননি। যিনি আবর্জনার মধ্যে দেশের জাতীয় পতাকা ফেলেছেন তিনি ঠিক করেননি।' জাতীয় পতাকার অবমাননা ঘটনায় প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার স্থানীয় একজন বলেন, 'আমি এই ওয়ার্ডে থাকি না, তবুও এখানে কাজে এসে জাতীয় পতাকার অবমামনা দেখে আমার খারাপ লেগেছে, তাই প্রশাসনকে জানতে বাধ্য হয়েছি।'
পায়রাকে(Pigeon) খাবার দিলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে ঠানে(Maharashtra Thane) পুরসভা। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঠানে নগর নিগম জুড়ে যে পোস্টার লাগিয়েছে, সেখানেই জরিমানার বিষয়টি উল্লেখ করা। শহরে বাড়তে থাকা রোগের কারণে এই নির্দেশিকা। তাই পায়রাকে খাবার দিলেই ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে পোস্টারে।
জানা গিয়েছে, শহরে হাইপার সেন্সিটিভ নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের(Lungs Diseas) রোগের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। আর তা ক্রমশ উদ্বগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। শহরে এই ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য পায়রাকেই দায়ী করছে প্রশাসন। অভিযোগ, পায়রার বিষ্ঠা এবং পাখনা থেকেই এই ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে শহরজুড়ে। তাই সচেতনতা বাড়াতে শহরজুড়ে মাইকে প্রচার-সহ দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার লাগানো চলছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, পায়রাকে অনেকেই চাল, গম জাতীয় দানাশস্য খেতে দেন। কিন্তু পায়রার বিষ্ঠায় থাকা ব্যাকটেরিয়া বাতাসের মাধ্যমে পায়রার কাছাকাছি থাকা লোকজনের শরীরে প্রবেশ করে। তখনই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই পায়রার কাছাকাছি থাকা মানুষজনেরই এই ধরনের রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে।
সোমবার সাত সকালে ভয়াবহ আগুন (Fire) লাগল পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার ক্ষীরপাই পুরসভার (Khirpai Municipality) এক বস্তিতে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে পাঁচটি বাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভোর রাতের এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দমকলকর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকল আসতে আসতে ৫টি বাড়ি একেবারে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুনে পুড়ে গিয়েছে পরিবারের প্রয়োজনীয় নথি থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। আর কিছু কিছু বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষীরপাই হালদার দিঘি এলাকার ওই বস্তির বাসিন্দারা। হালদার দিঘি বস্তিতে, বেশ কিছুদিন ধরে ১৫টির মতো পরিবার বসবাস করছিল।
হঠাৎ করে সোমবার ভোররাতে সেই বস্তিতেই কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আগুন দ্রুত ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পাশাপাশি পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভাতে পারেননি। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে ক্ষীরপাই পুরসভা।
ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality Row) নিয়ে হাইকোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যর। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান বদল। এবার রাজ্যের নিয়োগ করা কাউন্সিলরকে সরিয়ে আপাতত পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করল আদালত (Calcutta High Court)। এই মুহূর্তে ঝালদা পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আস্থা ভোটে জিতে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এসডিও-র বিজ্ঞপ্তিতেও আগামি শুনানি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ আদালতের। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করে সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদে বসায় রাজ্য। এই দুটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস শিবির। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে কোর্ট জোড়া সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছে আদালত।
আদালতের প্রশ্ন, 'বারবার হেরে যাওয়া দলের লোককে কেন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।' এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তিনি জানান, আমরা এই পর্যবেক্ষণে খুশি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হাইকোর্টের এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশে কাউন্সিলর পদে বহাল থাকলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে নিয়োগ করা ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকার অপসারিত হয়েছেন।
২০২২-র পুর ভোটের পর থেকেই খবরে শিরোনামে পুরুলিয়ার এই শহর। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এই নিয়োগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দলবিরোধী আইনে তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করে রাজ্য।
দীর্ঘ জটিলতার পর অবশেষে ঝালদায় (Jhalda Municipality) বোর্ড গঠন কংগ্রেসের (Congress), চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ৭-০ ভোটে জিতে বোর্ড গঠন করেছে হাত শিবির। কংগ্রেস এবং নির্দল কাউন্সিলররা শীলা দেবীর পক্ষেই ভোট দেন। সোমবার পৌরসভায় উপস্থিত থাকলেও আস্থা ভোটে অংশ নেয়নি তৃণমূল কাউন্সিলররা (TMC)। হাইকোর্টের নির্দেশে নির্ঘণ্ট মেনে ঝালদায় পৌরপ্রধান নির্বাচন হয় সোমবার। ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভা গত বছর থেকে খবরের শিরোনামে। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যার পর থেকে খবরের শিরোনামে পুরুলিয়ার এই শহর।
জানা গিয়েছে, যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশে এই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া, তাই মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। এদিকে, ঝালদা মহকুমার এসডিও রীতম ঝায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো।
তবে ঝালদা পৌরসভার অপসারিত পৌরপ্রধান সুরেশ আগারওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, 'প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন হয়নি। তাই প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বেড়িয়ে এসেছেন ব্যালট নিয়ে। তারা পুরো বিষয়টি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।' উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে সোমবার অর্থাৎ পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভায় পৌরপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রবিবার থেকেই এলাকায় পুলিসি নিরাপত্তা জারি ছিল। ঝালদা পৌরসভার ২০০ মিটার জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা ঝালদা শহরজুড়ে মোতায়ন ছিল পুলিস বাহিনী।
ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে (Calutta High Court) বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের (Mamata Government)। আগামি ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতরের জারি বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। পুরুলিয়ার জেলা শাসক আপাতত প্রশাসক হিসেবেই কাজ করবেন।
ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোটের পরেও রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছেন এক তৃণমূল কাউন্সিলর। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী কাউন্সিলররা। আজ দুপুর দুটোয় মামলার শুনানি হয়েছে। এদিকে, আস্থা ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী শিবির পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শিলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
রাজ্য সরকার ২ ডিসেম্বর একটি নোটিফিকেশন করে তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে সেই জায়গায় নিযুক্ত করেন। এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার বহির্ভূত, হাইকোর্টে এমনটাই অভিযোগ মামলাকারীর আইনজীবীর।
এদিন শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হলো যে রাজ্য সরকারকে তড়িঘড়ি প্রশাসক বসাতে হলো? চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য ৭ দিনের সময়সীমা ছিল।
একটি পুরসভা (Municipality) কিন্তু দু'জন পুরপ্রধান। বর্তমানে এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality)। শুক্রবারই রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতর ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC) জবা মাছুয়াকে নিয়োগ করেছে। আর শনিবার কংগ্রেস (Congress) নতুন পুর বোর্ড গড়ে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুর চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে। এখন এই জটিলতার মধ্যে কোন চেয়ারম্যান বৈধ সেদিকে তাকিয়ে ঝালদাবাসী।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের পৌর আইনের ১৯৯৩ সালের ১৭/৪ ধারা মেনে জবা মাছুয়াকে নিয়োগ করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। যতক্ষণ না নতুনভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে, ততক্ষণ ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে সামলাবেন দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার জবা মাছুয়া। পুরও নগরোন্নয়ন দফতর এই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জেলাশাসক-সহ ঝালদা পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জবা মাছুয়ার এর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, কংগ্রেসের তরফে নির্বাচিত পুর চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায় জানান, আমি ঝালদার মানুষকে স্বচ্ছ পুর পরিষেবা দেব। আমার সঙ্গে থাকার জন্য কংগ্রেসকে ধন্যবাদ।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য সম্প্রতি ঝালদা পৌরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালকে অনাস্থা প্রস্তাব এনে অপসারিত করা হয়েছে। পুরসভায় আয়োজিত আস্থা ভোটে চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট পড়ে ৫ জনের, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭ জনের। স্পষ্টতই আস্থা ভোটে জিতে বোর্ড গঠনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের ঘোষিত সেই কর্মসূচির একদিন আগে অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান নিয়োগ রাজ্যের।
গত দু-তিন দিন ধরেই আবর্জনার (Garbage) স্তূপে জ্বলছে আগুন। এর পাশেই বসতি। ঘটনায় অসুস্থ এলাকার একাধিক মানুষ, বাদ যায়নি শিশুরাও (child)। ইতিমধ্যেই তিনজন শিশু হাসপাতাস (hospital) চিকিৎসাধীন। আতঙ্কের (panic) মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বর পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের। অভিযোগ, একাধিকবার স্থানীয়দের অসুবিধার কথা জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
স্থানীয়রা জানান, দু-তিন দিন আগে থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন দেখা যায়। ধীরে ধীরে সেই আগুন বাড়তে থাকে। আগুন লাগার ফলে এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে। বেশ কয়েকজনকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে আগুনের তীব্রতা দেখা দিলে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসে তারকেশ্বর থানার পুলিস ও দমকল। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। বুধবার সকালেও ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড চিহ্নিত করে পুরসভার সমস্ত আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয়দের বলায় পুরভোটের আগে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। এর আগেও এই বিশালাকার আবর্জনার স্তূপে দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছিল। তবুও হুঁশ নেই। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কারণে পুরসভার ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডের মানুষ দুর্ভোগের শিকার। ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরিয়ে ফেলার জন্য পুরসভায় বারবার জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুরসভা, অভিযোগ স্থানীয়দের।
মঙ্গলবার আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুর চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডু। তিনিও এলাকার মানুষের অসুবিধার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। অন্যত্র জমি দেখার কাজ চলছে। জমি পাওয়া গেলেই এই জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হবে।