পুকুর থেকে উদ্ধার নিখোঁজ (Missing) এক খুদে পড়ুয়ার (Student) নিথর দেহ। শনিবার দুর্গাপুরের (Durgapur) অন্ডালের শঙ্করপুর মাঝি পাড়া সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই পড়ুয়ার নাম পীযুশ রাউত, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পুকুর থেকে ওই পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে, আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার স্কুলের উদ্দেশ্য়ে বেরিয়েছিল পীযুশ। তারপর থেকে আর ঘরে ফেরেনি। রহস্যজনকভাবে গোটা একদিন ধরে নিখোঁজ ছিল পীযুশ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঘরের ছেলেকে ফিরে না পেয়ে অন্ডাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার।
অবশেষে শনিবার সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় পীযুশের মৃতদেহ। রহস্যজনক এই মৃত্যুর পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিস। তবে কোথায় গিয়েছিলো পীযুষ? আর কেনই বা পুকুরে গেল ছোট্ট পীযুষ? এইসব প্রশ্নগুলির এখন উত্তর খুঁজছে দুর্গাপুরের অন্ডাল থানার পুলিস।
সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ গৃহবধূর (Housewife) গলা কাটা মৃতদেহ। খুনের অভিযোগে আটক স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। পরে তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয় মৃতার শ্বশুর-শাশুড়িকে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত বধূর নাম মোনালিসা ঘটক। অভিযোগ, পণের দাবিতে খুন করা হয়েছে গৃহবধূকে। শনিবার, নিখোঁজ ওই গৃহবধূর দেহ বাঁকুড়ার ঢেকিয়া গ্রামের এক প্রতিবেশির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে পুলিস। এদিন দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পাঠায় পুলিস। পাশাপাশি ধৃত শ্বশুর সুজিত ঘটক ও শাশুড়ি ইতু ঘটককে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
বৃহস্পতিবার থেকে আচমকাই শালতোড়া থানার অন্তর্গত ঢেকিয়া গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মোনালিসা ঘটক নামের ওই গৃহবধূ। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটক ও মোনালিসার বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে শালতোড়া থানায় তার স্ত্রীর নিখোঁজ অভিযোগ জানান। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পরেই কাজু ঘটকের বাবা সুজিত ঘটক ও মা ইতু ঘটকও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিসকে জানায় সে। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই মোনালিসার শ্বশুর শাশুড়ির খোঁজ শুরু করে পুলিস।
মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এবং বিশেষ সূত্রের খবর পেয়ে পুলিস জানতে পারে মৃতার শ্বশুর শাশুড়ি বিষ্ণুপুর থানার হিংজুড়ি গ্রামে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। সেখানে হানা দিয়ে নিখোঁজ বধুর শ্বশুর শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। এরপরই পুলিস ঢেকিয়া গ্রামে হানা দিয়ে মৃতার এক প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ছয় আগে শালতোড়ার বিষজোড় গ্রামের এক যুবককে ভালোবেসে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী ঢেকিয়া গ্রামের কাজু ঘটকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে তাঁকে বিয়ে করে ঢেকিয়া গ্রামে কাজু ঘটকের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। এই গোটা ঘটনার খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সন্দেহজনকভাবে এক গৃহবধূর (House Wife) নিখোঁজের (Missing) ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া থানার ঢেকিয়া গ্রামে। গৃহবধূ নিখোঁজের পর থেকেই পলাতক শ্বশুর শাশুড়িও। ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধূর পরিবারের লোকজন শালতোড় থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস (Police)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিতলপুর গ্রামের মোনালিসাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের বিষজোড়া গ্রামের এক যুবক। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে সম্প্রতি, মোনালিসা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পার্শ্ববর্তী গ্রামের টোটো চালক কাজু ঘটকের সঙ্গে। মে মাসে কাজু ঘটককে বিয়েও করেন মোনালিসা। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূ ঢেকিয়া গ্রামে কাজু ঘটকের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন।
গৃহবধূর বাড়ির লোকজনের দাবি, কাজু ঘটকের বাবা-মা পণের দাবীতে মাঝেমধ্যেই মোনালিসার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। বৃহস্পতিবার কাজু ঘটক টোটো মেরামতির জন্য শালতোড়ায় যান। সেই সময়ই কাজুর বাবা ফোনে কাজুকে জানায় তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। তড়িঘড়ি কাজু নিজের বাড়িতে ফিরে এলে দেখেন শুধু তাঁর স্ত্রী নয় বাবা-মাও পালিয়ে গিয়েছেন। এরপরেই কাজু তাঁদের খবর দেয়। তাঁদের আরও দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির ভিতরে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। আশঙ্কা মোনালিসাকে খুন করে অথবা জোর করে অন্য কোথাও সরিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে কাজুর বাবা ও মা।
সোমবার থেকে নিখোঁজ (missing) বছর দুয়ের এক শিশু কন্যা (Girl)। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও মেলেনি নিখোঁজ শিশুর খোঁজ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রীতে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। অভিযোগ করার পরে ওই এলাকায় পৌছয় পুলিস। পাশাপাশি নিয়ে আসা হয় সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিদের। বাড়ির পাশের পুকুরগুলিতে ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই শিশুটির কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই শিশু কন্যাটির নাম আরমিনা খাতুন। আরমিনা খাতুনের মা সারবানু মণ্ডল ও বাবা আইফুল মণ্ডল। শিশুটির মা জানান, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি মায়ের বাড়িতে চলে যান। তারপর থেকে মায়ের বাড়িতেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকেন তিনি। বাবা না থাকায় সকলের আদুরে ছিল আরমিনা। বাড়ির সামনেই রোজ খেলাধুলা করত। তবে সোমবার বিকেলেও খেলাধুলা করছিল সে। কিন্তু সন্ধ্যের দিক করে তাকে আর দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তারপর থেকেই চলছে খোঁজাখুঁজি। তিনি দাবি করেন, বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিস তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে। এলাকার পুকুর গুলোতেও ডুবুরি নামানো হয়েছে।
চলতি মাসের পয়লা তারিখ থেকেই নিখোঁজ (Missing) দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (Student)। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) খেজুরি থানার চৌদ্দচুলী গ্রামে। এই ঘটনায় একটি মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছে খেজুরি থানায়। তবে ১৭ দিন হতে চললো এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিস (Police), এমনটাই অভিযোগ নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবারের।
নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই ছাত্রীর নাম মহুয়া বর। মহুয়া হলুদবাড়ি হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। মহুয়া পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে হাস্যকৌতুক ভিডিও বানাতো। চলতি মাসের প্রথম তারিখেই দিদির বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় মহুয়া। তারপর থেকেই তার কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। এমনকি মহুয়ার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। তাই কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না মহুয়ার সঙ্গে।
তবে পরিবারে দাবি, নিখোঁজ হওয়ার দিনই থানায় গিয়ে ডায়েরিও করা হয়েছে। তবে পুলিস মহুয়াকে খুঁজে বের করতে সেরকম কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বারবার থানায় ছুটে গেলেও ভোটের অজুহাত দিয়ে এই নিখোঁজের ব্যাপারটাকে এড়িয়ে গিয়েছেন পুলিস, এমনটাই দাবি পরিবারের।
মণি ভট্টাচার্য: ভোটের কাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও ১৬ ঘন্টা ধরে নিখোঁজ ভাঙড়ের পোলিং অফিসার। সূত্রের খবর, ভাঙড়ের দ্বিতীয় পোলিং অফিসার সঞ্জয় সর্দার শনিবার গভীর রাতে ভোটের সামগ্রী সমস্ত কিছু ও ডিসিআরসি জমা দিয়ে এখনও অবধি বাড়ি ফেরেননি। তাঁর হঠাৎ এই নিখোঁজ হওয়াতে স্বাভবিকভাবেই চিন্তিত তাঁর পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে জীবনতলা থানায় সঞ্জয়ের নিখোঁজ সমন্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস জানিয়েছে, সঞ্জয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
সূত্রের খবর, প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক সঞ্জয় সর্দার, ভাঙড়ের ১০৭ বনম্বর বুথ দক্ষিণ গাজীপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে ভোটের কাজে যান। এরপর ভোট শেষে ভাঙড়ের কাঠালিয়া হাইস্কুলে ডিসিআরসিতে ভোট সামগ্রী জমা দিয়ে শনিবার রাত ২ টো ১৫এর সময় সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর ১৮ ঘন্টা হয়ে গেলেও সঞ্জয় নামের ওই দ্বিতীয় পোলিং অফিসার বাড়ি ফেরেননি বলে দাবি তাঁর পরিবারের।
সঞ্জয় সর্দারের স্ত্রী টুম্পা সর্দার সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে শেষবার ফোন যোগাযোগ করা হয়েছিল তখন সে সবে ভোট শেষ করেছেন। এরপর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায় নি। তিনি জানিয়েছেন তারপর থেকে ফোন বন্ধই ছিল। এ ঘটনায় রীতিমত ভেঙে পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমরা আজ সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল গুলিতে ঘুরেছি। কিন্তু কোনও খোঁজ পাই নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র থেকে খুব দেরি হলেও সঞ্জয়ের বাড়ি অর্থাৎ ক্যানিংয়ে পৌঁছাতে দেড় থেকে ২ ঘন্টার বেশি লাগার কথা নয়। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার টিপুসুলতান হালদার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'আমাদের ভোট কেন্দ্রে তেমন কিছু হয় নি। যখন আমরা ভোট সামগ্রী জমা দিয়ে ফিরছি তখন দেখেছিলাম ওনার ফোন বন্ধ। এরপর থেকে ১৭ -১৮ ঘন্টা কেটে গেলেও তার খোঁজ মেলেনি।'
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহার ব্লকের একটি স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন করণদিঘির রহতপুর হাইস্কুলের শিক্ষক রাজকুমার রায়। ভোট চলাকালীনই তিনি বুথ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরদিন সকালে রায়গঞ্জ থানার বামুনগাঁ এলাকায় রেললাইনের ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্কুল শিক্ষক প্রিসাইডিং অফিসারের ভোট চলাকালীন এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্যের কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার। এবার ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে কিছু জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসারদের মারধর করা হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নি। কিন্তু ভাঙড়ের এই পোলিং অফিসার নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
দুই দিন নিখোঁজ (missing) থাকার পর জঙ্গল থেকে উদ্ধার (rescue) এক নাবালকের জুলন্ত দেহ (Death)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা থানার ডিয়ার ফরেস্ট এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম আকাশ রায় (১৭)। পুলিস ওই মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পরশু অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই যুবক। পরিবার সূত্রে খবর, আকাশের বাড়ির তরফ থেকে আকাশের খোঁজ চালাচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর এদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে ডিয়ার ফরেস্টের জঙ্গলে ওই নাবালকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া দেওয়া হয় পুলিসকে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফরাক্কা থানার পুলিস।
যদিও মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আকাশকে কেউ খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর মুখ খুলতে চায়নি ফারাক্কা থানার পুলিস। তবে এটা কি খুন! না কি আকাশের এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দামোদরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল তিন ছাত্র (student)। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া থানার দামোদর নদে নিখোঁজ (missing) হওয়া তিন ছাত্রের নাম, সৌম্যজিত সাহা, শুভজিত নস্কর, ও ভিকি শীল। টানা কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি (search) চালানোর পর অবশেষে বৃহস্পতিবার দামোদর নদ থেকে তিন ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিসের নজরদারির অভাবকেই দায়ী করছে স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ স্কুল পালিয়ে আট ছাত্র দামোদর নদে স্নান করতে আসে। এরা সবাই দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার এম. এ. এম. সি টাউনশিপ ও মামরা বাজার এলাকার বাসিন্দা। সবাই দশম শ্রেণীর ছাত্র। এরপর তাদের মধ্য়ে পাঁচজন চলে যায় এবং তিনজন সেখানেই থেকে যায়।
বুধবার, সকালে নিখোঁজ হওয়া তিন ছাত্রের মধ্যে দুই জনকে উদ্ধার করল উদ্ধারকারী দল। আরো এক নিখোঁজ ছাত্রের খোঁজ চলছিল। নিখোঁজ হওয়া শুভজিত দুর্গাপুরে তার পিসির বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত। শুভজিতের বাবা ট্রেনে হকারি করে সংসার চালায়। এর মধ্যে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
তবে বড়জোড়া থানা এলাকায় বারংবার দামোদর নদের জলে এই ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকার জন্য পুলিসকেই দায়ী করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব, একই অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। যদিও নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে দুর্গাপুর শহরের প্রাক্তন কাউন্সিলার লাভলি রায় দাবি করলেও পুলিস তা মানতে নারাজ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ (Missing) বছর কুড়ির এক যুবক। ওই যুবককে ফিরে পেতে পথ অবরোধ করল তাঁর প্রতিবেশীরা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার হিলি ব্লকের মুরারিপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম শান্তনু মণ্ডল। এই ঘটনার জেরে ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বিগত ছয় দিন আগে সন্ধ্যাবেলায় পারপাড়া কুঞ্জ ডিঙ্গি এলাকার বাসিন্দা শান্তনু মণ্ডল জুতো কিনতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের লোকেরা ওই যুবককে খুঁজে পেতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, পুলিস এই ব্যাপারে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।এমনকি পুলিস কর্মীরা তদন্তের স্বার্থে পারপাড়া কুঞ্জু ডিঙ্গি এলাকায় অবধি যায়নি।
ঘটনা ঘটার ৬ দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত ওই নিখোঁজ যুবককে খুঁজে না পেয়ে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে পারপাড়া কুঞ্জু ডিঙ্গি এলাকার বাসিন্দারা। এদিন হিলি ব্লকের মুরারিপুর এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওই যুবককে খুঁজে দেওয়ার দাবি নিয়ে এদিনের এই পথ অবরোধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিস প্রশাসন পৌঁছেছে।।
নদী (River) পার হওয়ার সময় নদীতে তলিয়ে যায় এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল (Asansol) এর ঘাঘর বুড়ি মন্দির এলাকায়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘাঘর বুড়ি মন্দির এলাকার নুনিয়া নদী পার হতে গিয়ে হঠাৎই পা পিছলে পড়ে যায় বলে সূত্রের খবর। যুবকের নিখোঁজের (Missing) ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, তলিয়ে যাওয়া ওই যুবকের পিঠে একটি পিঠব্যাগও ছিল। যুবককে বারংবার ওই পথে যেতে বারণ করা হয়েছিল। তবু সে কারোর কথায় না শুনে নদী পার হতে যান। ফলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিত দমকল ও প্রশাসনকে খবর দিলে উদ্ধারকার্যের চেষ্টা শুরু হয়। তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে নিখোঁজ যুবকের পরিচয়পত্র খুঁজে বার করার।
প্রসঙ্গত, যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ আবর্জনায় ভরা। সেই আবর্জনা তোলার কাজ শুরু হয়েছে। তবে নদীর গভীরতা ও আবর্জনার স্তুপ কতক্ষণে সরানো যাবে বা আদৌ যুবকের খোঁজ মিলবে কি না তা বোঝা যাচ্ছে না।
গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ (Missing) তিন ছাত্র (Student)। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) তাহেরপুর থানার অন্তর্গত বাদকুল্লায়। পুলিস সূত্রে খবর, নিখোঁজ হওয়া ওই তিন ছাত্রের নাম অপূর্ব দাস, দেব বিশ্বাস ও সায়ন সরকার। দেব বিশ্বাস এবং অপূর্ব দাস এই দু'জনেরই বাড়ি উত্তর আশ্রমপাড়া এলাকায়। ১৪ বছর বয়সী এই দুই ছাত্রই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। অন্যদিকে, সায়ন সরকার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বোয়ালিয়া বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে খবর, ওই দুই নিখোঁজ ছাত্রের সঙ্গে সায়ন বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় বাদকুল্লা সুরভী স্থানে এক গৃহ শিক্ষকের বাড়ি পড়তে যাওয়ার নাম করে বের হয়। প্রত্যেকেই একটি করে জামা এবং প্যান্ট নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে তাঁদের পরিবারের তরফে। তবে দেব বিশ্বাস একটি চিরকুটে তাঁর মাকে লিখে গিয়েছে, দশ বছর বাদে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তবে সে ফিরবে, না বলে চলে যাওয়ার জন্য সে ভীষণ দুঃখিত। বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার আগে সকাল আটটা নাগাদ তাঁর বাবার এটিএম কার্ড থেকে ২ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। যা পরবর্তীতে জানা গিয়েছে। তবে বাকি দুই ছাত্র কোনও অর্থ বা অন্য কিছুই বাড়ি থেকে নিয়ে যায়নি বলেই জানিয়েছে পরিবার।
গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিন পরিবারের অনুমান, ওই তিন ছাত্রের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে রয়েছে কোন দুষ্টচক্র। তাঁদেরকে প্রলোভন দেখিয়েই অপহরণ করা হতে পারে বলে তাঁদের অনুমান। যদিও বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন, ব্যস্ততম শহর, এবং তাঁদের আত্মীয় স্বজন পরিবারবর্গের কাছে খোঁজ নিয়েও মেলেনি তাঁদের হদিস। শুক্রবার দেব এবং অপূর্বর পরিবার তাহেরপুর থানায় এবং সায়নের পরিবার শান্তিপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি নিয়ে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করছে পুলিস। এখন দেখার বিষয় আদৌ কি নিখোঁজ নাকি অপহরণ।
দেশ রক্ষার্থে বায়ুসেনাতে (Air Force) কাজে গিয়ে ২৮ দিন নিখোঁজ ছেলে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের সদস্যদের। চোখের জলে মায়ের কাতর আবেদন, 'আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিন।' পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) নন্দকুমার ব্লকের মাধবপুর গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ (Missing) ওই জওয়ানের নাম বুদ্ধদেব দাস।
২০১৫ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টে কাজ শুরু করে নন্দকুমার ব্লকের মাধবপুর গ্রামের বুদ্ধদেব দাস। বেশ কয়েক বছর চণ্ডীগড়ে থাকার পর গত দু'বছর হল মহারাষ্ট্রের নাসিকে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সে বদলি হয়। গত ১১ই মার্চ ছুটিতে বাড়ি আসেন। এরপর বাবা মাকে নিয়ে বৃন্দাবন তীর্থ দর্শনে যান। ছুটি কাটিয়ে বাবা-মাকে বাড়িতে রেখে গত ১ এপ্রিলে মহারাষ্ট্রের নাসিকে কাজে যোগদান করেন। তারপর গত ৪ এপ্রিল শেষ কথা হয় বাবা মায়ের সঙ্গে। এরপর থেকে আর যোগাযোগ হয়নি ছেলের সঙ্গে। বুদ্ধদেবের নিখোঁজ হওয়ার খবর বন্ধুদের থেকে পাওয়া যায়। বন্ধুরা জানান, ৪ এপ্রিল রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সে আর রুমে ফেরেনি। এই ঘটনায় নাসিক থানাতে নাসিক এয়ার ফোর্সের তরফ থেকে একটি নিখোঁজ অভিযোগও করা হয়।
বুদ্ধদেবের বাবা গৌরগোপাল দাস জানান, ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল আগামী ৪ এপ্রিল। তারপর থেকেই আর কথা হয়নি। তিনি মহারাষ্ট্রের নাসিকেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও পুলিস কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে বাবা গৌরগোপালকে। তাঁর দাবি, 'আমার ছেলে তো দেশ রক্ষা করতে গিয়েছেন, আমি দেশের সর্বোচ্চ আধিকারিকের কাছে অনুরোধ জানাবো আমার ছেলেকে যেন ফিরিয়ে দেন।'
ইতিমধ্যেই নাসিক থানার পুলিস পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত জায়গায় খোঁজখবর শুরু করেছে। তবে কবে বাড়ির ছেলে বাড়ি ফিরবে সেই আশায় কাতর চোখে দিন গুনছেন পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজ (Missing) শ্রমিক। ছয় দিন পর রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার জিৎপুর গ্রামের কাছে উদ্ধার (Rescue) ওই নিখোঁজ শ্রমিকের মৃত (Death) দেহ। জানা গিয়েছে, ওই মৃত শ্রমিকের নাম সাগর সেখ। স্থানীয় সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পরিবারের অভিযোগ, সাগরকে খুন করা হয়েছে। এই দাবিতে, পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রে সঠিক তদন্তর জন্য মৃত দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিস কুকুর আনার দাবি তোলেন। মুরারই থানার পুলিস সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়ে মৃত দেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ময়না তদন্তে পাঠায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো ওই শ্রমিক। অনেক খোঁজা খুঁজি করার পর আজ অর্থাৎ শনিবার পরিত্যক্ত জায়গায় তার পচা গলা মৃত দেহ দেখতে পায় স্থানীয় মানুষ। মুরারই থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত দেহ উদ্ধার করে। কি করে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হলো তার তদন্ত শুরু করেছে মুরারই থানার পুলিস।
কালিয়াগঞ্জ, কালিয়াচকের পর এবার মালদহের (Malda) গাজল। টানা ১১ দিন ধরে নিখোঁজ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Missing)। বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে (Student) অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। বারবার গজল থানায় অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হচ্ছে না। পরিবার সদস্যদের আশঙ্কা কালিয়াগঞ্জ বা কালিয়াচকে দুই নাবালিকার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে এই পরিস্থিতির শিকার হতে না হয় তাঁদের মেয়েকে। তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উত্তর মলদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এমনকি পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদিবাসী সংগঠনের নেতারাও।
এই বিষয়ে ওই নাবালিকা ছাত্রীর মা জানান, স্কুলে পড়ে ওই নাবালিকা। তাই স্কুলের হোস্টেলেই থাকত সে। তবে নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন আগে তনি তাঁর মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। একদিন তিনি মেয়েকে বাড়িতে রেখে হাটে গিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎ হাট থেকে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের সব দরজা খোলা অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান। তারপর ঘরের মধ্যে ঢুকে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে চারিদিকে খোঁজ খবর চালান। কিন্তু তাতেও মেয়েকে পাওয়া না গেলে, তিনি থানার দারস্থ হন। নাবালিকা ছাত্রীর মায়ের দাবি, টানা ১১ দিন ধরে নিখোঁজ মেয়ে। পুলিসে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, পুলিস এই বিষয়ে কোনওরকম সাহায্য করছে না। এমনকি স্থানীয়রা থানায় গেলে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করে পুলিস। তাঁদের আরও দাবি, যদি ২ ঘণ্টার মধ্যে ওই নাবালিকাকে পুলিস উদ্ধার করে পরিবারের হাতে ফিরিয়ে না দেয় তাহলে কালিয়াগঞ্জ, কালিয়চকের থেকেও বড় আকারের বিক্ষোভ শুরু হবে।
মালদহের একটি সরকারি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, এবার মালদহের একটি খ্যাতনামা বেসরকারি স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র (Student) নিখোঁজ (missing) হওয়ার অভিযোগ। স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইংরেজ বাজার (English Bazar Police) থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলছে পড়ুয়ার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহর এক বেসরকারি স্কুলে। নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের দাবি, ওই পড়ুয়াকে অপহরণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম সত্যজিৎ ঘোষ। মালদার ইংরেজ বাজার থানার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা। ওই ছাত্রের বাবা কার্তিক ঘোষ পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
পড়ুয়ার মা জানান, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার তাঁকে স্কুলে নামিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। এরপর থেকেই তাঁর আর কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা এলাকায় সহ আত্মীয়দের বাড়িতেও খোঁজ করে হসিদ মেলেনি ওই পড়ুয়ার। তাঁর দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরেই ছেলের ফোনে কিছু মেসেজ আসে। কিন্তু সেই মেসেজে কি লেখা ছিল তা জানেন না তিনি। তিনি আরও বলেন, এই সমস্ত ঘটনার খবর মঙ্গলবার রাতেই ইংরেজ বাজার থানায় জানানো হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।