ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এই সুপারিশকে এক্স হ্যান্ডেলে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য।
উল্লেখ্য, ৩০ শে মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সরাসরি রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অভিযোগ তিনি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং সেই অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের।
এই ঘটনার পর টুইটে পাল্টা খোঁচা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। টুইট করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’
— Bratya Basu (@basu_bratya) April 4, 2024
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ১৪ ঘণ্টার তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪১ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর ফোন। বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।
যদিও মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে দাবি, তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র উদ্ধার হওয়া টাকা, মোবাইল ফোনের সমস্ত রকম ডিটেলস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডির তরফে। সেকারণেই বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার একজন প্রতিনিধিকে সমস্ত নথি-সহ পাঠানো হয় সিজিও-তে। তবে মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, যদি তাঁকে সশরীরে ডাকা হয় ইডির তরফে তাহলে তিনি অবশ্যই হাজিরা দেবেন। আপাতত নিজের বোলপুরের বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বলাগড়ের বহিঃস্কৃত এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এই সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তারপরের খবর তো সবারই জানা। এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেই নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যেভাবে একের পর এক নেতা- কর্মীর নাম দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে তাতে আখেরে যে শাসকদলের মুখ পুড়ছে তা বলাই বাহুল্য।
দেশের নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার হলেন জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু। নতুন নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে তাঁর বাসভবনে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও। বৈঠকে নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুর নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে কার্যত একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, নাম আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমাকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য ডাকা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের মুখে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনারের পদে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। তাঁর ইস্তফা নিয়ে সরগরম হয় জাতীয় রাজনীতি। অরুণ গোয়েলের ইস্তফায় সাধারণ নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশন কি কিছুটা ধাক্কা খেল? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। এই আবহেই বৃহস্পতিবার দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার পেল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের জন্য সাময়িক বন্ধ ভিআইপি রোডে চলা অরেঞ্জ লাইনের মেট্রোর কাজ। মেট্রো সূত্রে খবর, দিল্লি সফরে যাওয়ার জন্য ভিআইপি রোড ব্যবহার করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেট্রো কাজ বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করা হয় বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের পক্ষ থেকে। সেই কারণের সোমবার বেলা ১২ টা থেকে বন্ধ থাকছে মেট্রোর কাজ।
প্রসঙ্গত, বর্ধমান সফর থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ড্যাশবোর্ডের ধাক্কার মাথায় সামান্য চোটও পান তিনি। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার নিরাপত্তার কোনও খামতি রাখতে নারাজ প্রশাসন। পুলিস সূত্রে খবর, সেই কারণেই মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রো কর্তৃপক্ষ অরেঞ্জ লাইনের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নির্মাণ বন্ধের কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলেই জানান মেট্রো আধিকারিকেরা।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরে মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্য প্রশাসনকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, এই লাইনের কাজ বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। হাজার হাজার নয়, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ গাড়ি এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এর পরেই বিরোধী দলনেতা বিধাননগর পুলিসের উদ্দেশ্যে ২টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। লেখেন, নির্মাণ কাজ যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে ট্রাফিক বিভাগ জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য আগে কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কি চিন্তার বিষয় নয়?
মেট্রো রেলওয়ের নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার কথা বলে আপনারা মুখ্যমন্ত্রীকে কী বার্তা দিতে চাইলেন? হীরক রানি যেখানেই যাবেন সেখানে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে?
আর এখানেই ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মেট্রোর মত এতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা যায়। যেখানে দেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে, সেখানে বিধাননগর পুলিসের এই নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। তা বলাই বাহুল্য।
জমি দুর্নীতি মামলায় বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন চম্পাই সোরেন। শুক্রবার দুপুর ১২ টা নাগাদ রাঁচির রাজভবনে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে শপথবাক্য পাঠ করান।
৬৭ বছর বয়সে চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ বৃহস্পতিবার চম্পাইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর শপথ নেওয়া হয়নি। তারপরই মুখ্য়মন্ত্রীর পদ গড়া নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। এরপর রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা চম্পাই সোরেন, জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের অনুগত হিসাবে বিবেচিত হন। নয়া মুখ্য়মন্ত্রীর আসন পান তিনি। জেএমএম আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর, চম্পাই সোরেন বলেন, আমি আমার বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করতাম। এখন ভাগ্য আমাকে একটি ভিন্ন ভূমিকা পালন করার সুযোগ দিয়েছে।
হেমন্তের জায়গায় চম্পাইকে বেছে নেন জেএনএম। বুধাবার রাতে হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর চম্পাই রাজভবনে গিয়ে নতুন সরকার নিয়োগ দাবি জানিয়ে এসেছেন। রাজভবনের সামনে প্রচুর পরিমাণে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
৫ বছরের মেয়াদে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। রবিবার বিকেল ৫টায় হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এবার তাঁর সঙ্গে শপথ নিলেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রীও। ২ জনেই বিজেপির বিধায়ক। সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিনহা এবার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেপি নাড্ডা।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা ইন্ডিয়া ব্লকে। নীতীশ কুমারের শিবির ত্যাগে শুধু ইন্ডিয়া ব্লক নয়, বিহারে মহাজোট ভেঙে দিয়েছে। রবিবার সকালে পটনায় রাজভবনে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন জেডিইউ সুপ্রিমো। নীতীশ কুমারের এই শিবির ত্যাগে কংগ্রেসও কার্যত দিশেহারা।
এদিন কংগ্রেসের নেতারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তারা নীতীশ কুমারকে গিরগিটির সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, জনগণ তাঁকে কখনই ক্ষমা করবে না। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নীতীশ কুমারকে বিশ্বাসঘাতকদের বিশেষজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বিশেষজ্ঞ এবং যারা তাদের নাচিয়েছে, তাদেরকে জনগণ ক্ষমা করবে না। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রকী ও বিজেপি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে বয় পাচ্ছেন। সেখান থেকে দৃষ্টি সরাতে এই রাজনৈতিক নাটক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সর্বসাকুল্যে এই নিয়ে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ েনবেন নীতীশ কুমার। প্রতিবারই কোনও না কোনও কৌশলে পাল্টি খেয়ে নিজের মুখ্যমন্ত্রীর পদটি ঠিক বাঁচিয়ে গিয়েছেন নীতীশ। কখনও বিজেপির হাত ধরে তো কখনও আরজেডির হাত ধরে। দাবার চালের মতো চাল চেলেই নিজে গদি রক্ষা করেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো।
২০০০ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন নীতীশ কুমার। কখনও বিজেপির সমর্থনে তো কখনও আরজেডির সমর্থনে। ২০১০ সাল পর্যন্ত বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকেছেন নীতীশ কুমার। ২০১৫ সালে ২ বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন আরজেডির সমর্থনে। ২০১৭ এবং ২০২০ তে আবার বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। ২০২২ সালে আবার আরজেডির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ। তারপরে আবার ২০২৪ সালে বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। যদিও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন বিজেপির সঙ্গে নীতীশের এই জোট স্থায়ী হবে না। ২০২৪-র লোকসভা ভোট আসতে আসতে তিনি আবার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডিতে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একটা সময়ে জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে মনোমালিন্যার জেরে তিনি জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
বিহারে রাজনৈতিক সংকট ফের তুঙ্গে। আবারও পাল্টি খেয়েছেন নীতীশ কুমার। ইন্ডিয়া ছেড়ে নীতীশ যোগ দিচ্ছেন বিজেপি শাসিত এনডিএ-তে। আজ, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টের সময় ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তবে এবার আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে নয়। ফের বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে রাজভবন থেকে বেরোলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমার।
সকাল ১০টা থেকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নেবেন। তার আগে বিকেল ৩টে নাগাদ পাটনায় পৌঁছবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শনিবার থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ কুমার, এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাতেই সিলমোহর পড়ল। গতকাল নিজের মন্ত্রিসভা থেকে আরজেডির সব মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে বিধানসভা ভেঙে দেন নীতীশ কুমার। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই ফের সরকার গড়তে চলেছেন তিনি।
রাম মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাতে পুজোর ডালা নিয়ে ধীরে ধীরে গর্ভগৃহের দিকে এগিয়ে যান। এরপর পুজোয় বসলেন প্রধানমন্ত্রী। রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হওয়া আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা।
রুপোর মুকুট হাতে রামমন্দিরে এলেন প্রধানমন্ত্রী। গর্ভগৃহে উপস্থিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্য়পাল আনন্দীবেন পটেল, আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত ও রাম মন্দিরের প্রধান পুজারী।
প্রসূন গুপ্তঃ কেউই আশা করেনি বোধকরি যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ বা ছত্রিশগড়ে অজানা অখ্যাত এমন তিন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে। প্রথমত, এঁরা অখ্যাত তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। মুম্বই বা ব্যাঙ্গালুরু শহরে এ রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কজন নেতার নাম জানে? ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কজন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নাম শুনেছে? কিন্তু মহুয়া মৈত্রর নাম আজ সকলের মুখোমুখি। সদ্য জেতা তিন রাজ্যে মহুয়ার মতো খ্যাতনামা কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি। অথচ এক ডজন সাংসদকে পার্লামেন্ট থেকে ইস্তফা দিয়ে এই তিন রাজ্যের বিধানসভার প্রার্থী করা হয়েছিল, ভাবা যাচ্ছিলো এদেরই মধ্যে থেকে মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। কিন্তু গোটা বিষয়টি পাল্টে গেলো স্রেফ মোদী, অমিত শাহের হস্তক্ষেপে বলেই সংবাদ।
দ্বিতীয়ত, এমন তিনজন মুখ্যমন্ত্রী হলেন যাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতা কিছুই নেই। ছত্রিশগড়ের নয়া মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী প্রতিনিধি বিষ্ণু সাই এক সময়ে মোদী মন্ত্রিসভায় ছিলেন, কিন্তু কর্মদক্ষতার এভাবে তাঁকে বাতিল করা হয়। সেই বিষ্ণু সাই আজ মুখ্যমন্ত্রী। কারণ আদিবাসী ভোটের দিকেই নজর আগামী লোকসভায়। মোহন যাদব, মধ্যপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর বিধানসভার অভিজ্ঞতাটাই ছিল না। কিন্তু নজরে লোকসভায় ওবিসি যাদব ভোট কাজেই তাঁকে আনা হলো। ভজনলাল শর্মা, রাজস্থানের এবারের মুখ্যমন্ত্রী। ব্রাহ্মণ পরিবার ভুক্ত। তিনিই সম্ভবত দেশের বিজেপির একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি চূড়ান্ত উচ্চবর্ণের। লক্ষ ব্রাহ্মণ ভোট।
তৃতীয়ত, বিজেপি দলটি কংগ্রেস বা মধ্যপন্থী দলগুলির মতো নয়। একেবারে সংগঠনশীল দল। রেজিমেন্টেড। কাজেই দল যা বলবে বা আরএসএস, তাই মোক্ষ হিসাবে মেনে নিতে হবে। কিন্তু টানা ১০ বছর রাজত্ব করা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। অনেক নিয়মকেই প্রয়োজনে পাল্টে ফেলা হয়েছে। শিবরাজ সিং চৌহান বা বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া শোনা যায় লালকৃষ্ণ আদবানি ঘনিষ্ঠ, তাঁদেরকেই ছেঁটে ফেলা হলো। এই দুই সদ্য প্রাক্তনীর মানসিক অবস্থা যে ভালো নয় তা হাবেভাবে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন। রেজিমেন্টেড পার্টিতেও সংকট আসে, উদাহরণ রাশিয়া থেকে জার্মানি হয়ে বিশ্বযুদ্ধের ইতালি। কাজেই লোকসভা অবধি কি কি ঘটনা গোচরে ঘটে তাই দেখার।
শেষ হল শিবরাজের 'রাজ'। মধ্যপ্রদেশে নয়া মুখ্যমন্ত্রী হলেন মোহন যাদব। বিজেপি শাসিত রাজ্যে নতুন মুখেই ভরসা রাখল গেরুয়া শিবির। বিদায়ী রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি। এবার উজ্জিয়নী দক্ষিণ আসন থেকে জয়লাভ করেছেন তিনি। ফলে আর চারবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ নন, উজ্জয়িনীর বিধায়ক মোহন যাদবকেই বেছে নিয়ে চমক দিল বিজেপি।
#WATCH | BJP leaders including Shivraj Singh Chauhan, congratulated party leader Mohan Yadav after he was elected as the new Chief Minister of Madhya Pradesh pic.twitter.com/vyr6GiMrIK
— ANI (@ANI) December 11, 2023
সমস্ত জল্পনার অবসান করে সোমবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নাম ঘোষণা করা হল। টানা দু'সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর সোমবার ভোপালে রাজ্য বিজেপির দফতরে দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে তিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক–হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, রাজ্যসভা সাংসদ কে লক্ষ্মণ এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর মেয়র তথা দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য আশা লারকা নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মোহন যাদবের নাম ঘোষণা করলেন। শীঘ্রই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির পাশাপাশি এবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের নীচে রয়েছে ১৪ টি পুরসভা। এই পুরসভাগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। যেগুলো খতিয়ে দেখেই এক এক করে এই পুরসভা গুলোর প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল তদন্তকারী সংস্থা । আর তারপর থেকেই তদন্তকারী সংস্থা দফায় দফায় একাধিক পুরসভাতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই বাজেয়াপ্ত নথি থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক অক্ষর মিলেছে। যার রহস্যভেদের পর পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা নথিতে থাকা সি এইচ, এসবি, এম এম, এ সহ একাধিক সাংকেতিক শব্দের রহস্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এরপরই ইডির নজরে রাজ্যের এক প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীর নাম। যাঁর হাতে রয়েছে রাজ্যের একাধিক দফতর।
এর আগে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতার নাম সামনে এসেছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও কি উঠে আসতে পারে প্রভাবশালীদের নাম ? এই সাংকেতিক অক্ষরের আড়ালে কোন সংকেত লুকিয়ে রয়েছে, তার রহস্যভেদের চেষ্টা করছেন ইডির আধিকারিকরা।
ফের জ্যোতিপ্রিয়র ঠিকানা হল প্রেসিডেন্সি জেল। গত শুনানিতে রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বর্তমান বনমন্ত্রীকে চারদিনের জেল হেফাজত দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। আজ ফের জ্যোতিপ্রিয়কে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করে ইডি। চারদিন হেফাজতের পর আজ ফের জ্যোতিপ্রিয়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের। পাশাপাশি ব্যাঙ্কশাল করে বিচারক ইডিকে অর্থাৎ ইডির তদন্তকারী অফিসারকে জেলে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মতি দেন।
সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পূর্ব তার আইনজীবী তাঁর অসুস্থতার দোহাই দিয়ে ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন মঞ্জুর করান। এরপর ভার্চুয়াল মাধ্যমে জ্যোতিপ্রিয় বিচারককে জানান, আমার শরীর খারাপ, আমার শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে আমাকে বাঁচতে দিন। সূত্রের খবর আজ শুনানিতে বিচারককে জানান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অসুস্থতার কথা। এমনকি জ্যোতিপ্রিয়র আইনজিবি জানান, জ্যোতিপ্রিয়র ৭৫% শতাংশ কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে। পাশাপাশি তার তরফে আবেদন জানানো হয় যেন জ্যোতিপ্রিয়কে আমরি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো হয়।
যদিও এই আবেদন মঞ্জুর না করে বিচারক তাকে ১৪ দিন অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলে হেফাজতের নির্দেশ দেন। সম্প্রীতি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় এরপর কিছুদিন ইডির হেফাজতে থাকলেও, গত শুনানি থেকেই তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও জেলে গিয়ে তিনি বারবার এসএসকেএমে যাওয়ার কথা বলেন এরপরে তার আবদার ছিল মোবাইল ফোনের। যদিও সেগুলো কিছুই মেলেনি। এরপর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক।
মাছ চুরি করা নিয়ে অশান্তি। আর তার জেরে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার গোতানের কামারহাটি গ্রামে।
জানা গিয়েছে ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। মন্ত্রীর বাড়ির পুকুর থেকে মাছ চুরি করার অভিযোগ ওঠে আদিবাসী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এদিকে তাঁকে পালটা মারধর করার অভিযোগও ওঠে ওই পুকুরের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে পালটা মন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়ির কাচ, বারান্দা ও দরজা ভেঙে দেয় একদল জনতা।
সোমবার ওই আদিবাসী যুবককে মারধর করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয় স্থানীয় আরামবাগ হাসপাতালে। এরপর সোমবার রাতে গ্রামে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলেও মঙ্গলবার ফের তাঁরা জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালান। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজস্থানে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। রাজস্থানের নাগৌরে দীড়ওয়ানা-কুচামান এলাকায় তিনি 'রথ যাত্রায়' বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই তার রথ আটকে গিয়েছিল কেবল টিভির বৈদ্যুতিক তারের জটলার জেরে।
জানা যায়, অমিত শাহের রথের ওপরের অংশে তারের আঘাতও লাগে। এই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পান অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের কনভয় বিদিয়াড় গ্রাম থেকে পর্বতসারের দিকে যাচ্ছিল। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিল শাহের 'রথ'। রাস্তার দু'পাশে দোকানপাট ও বাড়ি ছিল। রথের উপরের অংশ বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। সেই সময় স্পার্কিং হয়। রথটি সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পর তারটি ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এর ফলে রথের পিছনের অন্যান্য যানবাহন সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায়। এ ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে এসে পৌঁছান। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। এদিকে দুর্ঘটনার কারণে কনভয়ে থাকা লোকজনের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। নিরাপদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে হয়তো ধীরেই চলতে চায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অন্দরের ইঙ্গিত, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র জায়গা কালীঘাট। তার বাইরে এই ব্যাপারে কেউ কোনও কথা বলবে না। নভেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে রয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। ফলে রাজনৈতিক মহল এখন তাকিয়ে ওই বৈঠকের দিকে।
জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের আগেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয়র কিছু হয়ে গেলে ইডি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। তাই তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ঘটনা নাও ঘটতে পারে।
তাঁদের অনেকের মতে, পার্থর গ্রেফতারির পরিবেশ এবং পরিস্থিতি দুটোই আলাদা ছিল। সেইসঙ্গে এই গ্রেফতারির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল টাকা উদ্ধারের ঘটনা এবং বান্ধবী যোগ। তাই রাজনৈতিক মহলের মতে, জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রে হয়তো ধীরে চলো নীতিতে আস্থা রাখবে তৃণমূল।