২০১১-র প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং হয়েছিল মন্ত্রিসভার শপথের দিনই। সেদিন নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছাড়া কারও সেভাবে কোনও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু এতো দীর্ঘ সময় ধরে মিটিং আগে কেউ দেখেনি। পরিবর্তনের সরকারের প্রথম সেই ক্যাবিনেট বৈঠক চলেছিল ৪-৫ ঘন্টা ধরে চলেছিল। রাত ১০টার পরেও ধরা যায়নি নব্য মন্ত্রীদের। শোনা যায় সেদিন মূল বক্তা ছিলেন একমাত্র মমতা। তিনি নানা উপদেশ-পরামর্শ দিয়েছিলেন। দফতরের সচিবদের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করতে বলেছিলেন। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে বলেছিলেন। তখন তাঁর বা মন্ত্রীদের হাতে যে সমস্ত সচিব বা কর্মচারী ছিল তাঁরা প্রত্যেকেই বাম জমানার।
সেদিন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক হতে বলেননি বরং তাঁদের নিয়েই কাজ চলেছিল। এখনও প্রায় তাই। কিন্তু এবারে মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন বোধ হয় যে শুধু আমলাদের উপর ভরসা করে কাজ হয় না। পরোক্ষে ১১ বছর বাদে এবার ক্যাবিনেট বৈঠকে তার ইঙ্গিত দিলেন মমতা।
ধমক খেলেন দলের বহু পুরাতন নেতা এবং তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কাজে মোটেই খুশি নয় মুখ্যমন্ত্রী।
শোনা গিয়েছে, এবার নাকি প্রস্তাব ছিল জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ রাখার জন্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর স্নেহের বালুকে বাদ দিতে চাননি। বরং খাদ্য থেকে সরিয়ে বন দফতর দেওয়া হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়কে। শোনা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বেশি সতর্ক হতে বলেছেন সুজিত বসুকে। কারণ দমকল দফতর অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা। নতুন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে, ইন্দ্রনীল সেনের কাছ থেকে কাজের অভিজ্ঞতা নিতে বললেন। পার্থ ভৌমিককে জানিয়েছেন সেচ অত্যন্ত জরুরি পরিষেবার বিভাগ। স্নেহাশিস বর্তমানে পরিবহণের নতুন মন্ত্রী। মমতা তাঁকে বললেন, দপ্তরটি একেবারে ঘুঘুর বাসা, বুঝে কাজ করতে হবে।
তবে মূল বক্তব্য, না বুঝে কোনও কাগজে সই নয়। সচিবদের উপর পরম ভরসার মুখ্যমন্ত্রী তবে কি বিশ্বাস হারাচ্ছেন?
কী কাণ্ড! তিনিই বিহারে নীতীশ কুমার সরকারের নতুন আইনমন্ত্রী। এর তাঁর নামেই কিনা গ্রেফতারি পরোয়ানা। তাও আবার সাধারণ কোনও অভিযোগ নয়, একেবারে অপহরণের মামলা। পরোয়ানা যখন এসেছে, তখন ব্যবস্থা তো নিতেই হবে। তাই তড়িঘড়ি ওই মন্ত্রী আদালত থেকে জামিন নিলেন। সেও আবার সেই দিনই তাঁকে নিতে হল, যেদিন ছিল তাঁর শপথগ্রহণের দিন। কার্তিকেয় সিং নামের ওই মন্ত্রীকে নিয়ে এখন তোলপাড় বিহারের রাজনীতি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, এ ধরনের কোনও ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। উল্লেখ্য, কার্তিকেয় হলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দলের নেতা। মন্ত্রী নিজেও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এমন কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা তাঁরও জানা নেই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০১৪ সালের। একজন বিল্ডারকে অপহরণ করে খুনের ছক কষা হয়েছিল। আর সেই মমলাতেই অন্য ১৭ জনের সঙ্গে ওই মন্ত্রীও একজন অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ হওয়ার পর নীতীশ কুমার আরজেডির তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তেজস্বী যাদব ১৯ আগাস্ট শপথ গ্রহণ করেন। পরে ৩১ জনকে নতুনভাবে মন্ত্রিসভায় আনা হয়, যার মধ্যে সিংহভাগই আরজেডির। তাঁর দলের মাত্র ১১ জন।
গোটা দেশে আজ স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষের উদযাপন। লালকেল্লায় (Redfort) জাতীয় পতাকা (National flag) উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিলেন। পাশাপাশি আজই মঞ্চ থেকে আগামী ২৫ বছরের জন্য ৫ দফা বড় সংকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে এদিন প্রধানমন্ত্রীর পোশাক (dress) ছিল লক্ষ্য করার মতো। পোশাকেও জাতীয়তাবাদের (nationalism) ছোঁয়া রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পোশাকের বিশেষত্ব ছিল তাঁর পাগড়ি। এবারে তিরঙ্গা আঁকা পাগড়ি ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর মাথায়। সাদা রঙের পাগড়ির উপর জাতীয় পতাকার মূল তিনটি রং (colour), গেরুয়া, সাদা ও সবুজের ছোঁয়া ছিল তাঁর পাগড়িতে। প্রধানমন্ত্রীর পরনে ছিল সাদা কুর্তা ও নীল ওয়েস্টকোট। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই হল ভারতবর্ষ। তাই এবছর প্রধানমন্ত্রীর পোশাকেও দেশপ্রেম ও সম্প্রীতির প্রমাণ মিলল। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে এবার আজাদির অমৃত মহোৎসব উত্সব উদযাপন।
উল্লেখ্য, এবছর হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই নির্দেশ মেনেই বহু মানুষ নিজেদের বাড়িতে পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেই দেশবাসী নিজেদের ডিপি বা প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি রাখেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথমবার স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ ধরনের পাগড়ি পরতে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। গত বছর স্বাধীনতা দিবসে গেরুয়ার উপর উপর লালের কাজ করা একটি পাগড়ি পরেছিলেন তিনি।
মেদিনীপুর জেলে জাতীয় পতাকা (National Flag) তুলতে গিয়ে বাধার মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার (Union Minister)। এই অভিযোগ তুলে রীতিমতো বিবৃতি দিয়েছে তাঁর মন্ত্রক। সেই বিবৃতিতে বলা, 'কেন্দ্রীয় সরকারের অনুপ্রেরণায় রাজ্য এবং শিক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে নেওয়া এই কর্মসূচি। শিক্ষা মন্ত্রক থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জোড়া চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মেদিনীপুর জেল (Midnapore Jail) বা সংশোধনাগারে কোনও নির্দেশিকা না আসায় জেল সুপার এই অনুষ্ঠান করতে এবং পতাকা তুলতে বাধা দেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়া মানে জাতীয় পতাকা তথা দেশের অবমাননা করা।'
তিনি জানান, গোটা ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং রাজ্য সরকার স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়ে নির্বিকার। জানা গিয়েছে, ১৩-১৫ অগাস্ট দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আজাদি কা অম্রুত মহোৎসব পালনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এদিন মেদিনীপুর জেলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'পতাকা তোলার আগে উনি কি অনুমতি নিয়েছিলেন? সংশোধনাগার একটা সংরক্ষিত এলাকা। আমিও ওখানে ঢুকতে পারব না। আমি কি এই মুহূর্তে গিয়ে ফোর্ট উইলিয়াম বা বিএসএফ-র কোনও ক্যাম্পে গিয়ে পতাকা তুলতে পারব?'
তাঁর খোঁচা, 'জাতীয়বাদ শুধু বিজেপির পেটেন্ট নয়। এই দেশ আমার আপনার সবার।'
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Case) এবার ইডির র্যাডারে বীরভূম (Birbhum) এবং পুরুলিয়ার দুই বিধায়ক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এই সংস্থার (ED) স্ক্যানারে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার এক মন্ত্রী। তিনি এক সময় বীরভূমের পর্যবেক্ষক ছিলেন। যদিও কে সেই মন্ত্রী এবং দুই বিধায়ক, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
এদিকে, কয়লা-কাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। অপরদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের জেলার। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিচুতলার কর্মীরা হুইল চেয়ার জোগাড় করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই হুইল চেয়ার নিয়ে পার্থ ঘুরলে নিচুতলার কর্মীদের ধমক দেন জেলার। কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে। তবে অর্পিতা রানির মতো রয়েছেন জেলে, এমনটাই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন জেলের সহ-বন্দিরা। ফলে অর্পিতার বিছানা করা থেকে, জামাকাপড় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বাকিরা। কেউ বা আবার বিছানা পেতেও দিচ্ছেন।
বিধায়কদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Property Case) মামলায় ইডিকে পার্টি না করার আবেদন হাইকোর্টের কাছে রাখলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী (Three Bengal Minister)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির কাছে শুক্রবার এই আবেদন করেছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামি ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। ২০১৭-র জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। শাসক দলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি কীভাবে? এই প্রশ্ন তুলে দায়ের হয়েছিল মামলা। সম্প্রতি সেই মামলায় ইডিকে (ED) পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর এক বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
সেই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন এদিন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় গত ৮ অগস্ট তৃণমূলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় ইডিকে যুক্ত করে আদালত। ৫ বছর আগে দায়ের জোড়া এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী। সেই সময় তাঁরা তৃণমূলের ১৯ জনের নামে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬— এই ৫ বছরে কীভাবে এই ১৯ জনের সম্পত্তি এত বৃদ্ধি পেয়েছে?
সম্পত্তির খতিয়ান এর প্রমাণ হিসাবে দেখানো হয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ওই নেতাদের হলফনামা। ওই একই সময় আরও একটি মামলা করেন অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও ৩০ জনের নাম আদালতে জমা দেন। সেই পিটিশনে উল্লেখ ছিল সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য, আবু হেনার মতো হেভিওয়েটদের নামও।
যদিও বিরোধী শিবিরের উল্লিখিত ব্যক্তিরা তৃণমূলের তোলা অভিযোগ সম্প্রতি খারিজ করেছেন। সিপিএম-র তরফে কটাক্ষ, 'রায় আর পিটিশনের মধ্যে বেসিক পার্থক্য বোঝে না শাসক দল।' সেই রাজনৈতিক তরজার দিন দুয়েকের মধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইডিকে পার্টি না করার আবেদন করলেন তিন মন্ত্রী।
মন্ত্রী হয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ফিরে আলাদা রাজ্য নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। মঙ্গলবার মন্ত্রী হয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (TMC Leader)।
এদিন নিউ কোচবিহার স্টেশনে তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতাদের ভিড় হয়। সেই সম্বর্ধনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, '২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে বহুবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন। এখানে উত্তরবঙ্গে বহু কাজ হয়েছে এবং হবে। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, আগামীদিনে এই কথা কারও মুখে আসবে না। এই কথা বলে যারা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি করে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে সমাজ থেকে আলাদা করে দিতে হবে।'
তিনি জানান, রাতারাতি সব হবে না। সবার সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগে করতে হবে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এই মঞ্চ থেকে উদয়ন গুহ বলেন, 'কেউ দাদা ধরে পঞ্চায়েত টিকিট পাবে না। জোর করে কেউ পঞ্চায়েত প্রধান হবে না।'
এই মঞ্চ থেকে এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।' বুথে কর্মীদের এক হওয়ার বার্তা দেন তিনি। পাশপাশি তিনি বলেন, 'বর্তমান রাজ্যে ইডি-সিবিআই বলে একটা প্যানিক চলছে। তাই যারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, তাদের ইডি সিবিআই মামলায় এক থেকে দেড় বছর জেল খাটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।'
তবে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুকুমার রায়ও। কী বললেন তিনি?