চার দিনের আনন্দ শেষে মায়ের এবার বিদায়বেলা। উৎসবপ্রিয় বাঙালির কাছে বিষাদের দিন, আবার একবছরের প্রতীক্ষা। ঘরে ঘরে একটাই প্রার্থনা আবার এসো মা। এদিকে মঙ্গলবার সকালেই দেশবাসীকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে শুভ বিজয়া পোস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
মায়ের এবার ঘরে ফেরার পালা, নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে দিয়ে কৈলাস পর্বতকে জানান দেওয়া। দশমী মানে চারদিনের হুল্লোড় শেষে বিষাদের সুর। ঘট নাড়িয়ে, দর্পনে নিরঞ্জন শেষে ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। এদিকে মঙ্গলের সকালে হিন্দিতে দেশবাসীকে দশমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, দেশব্যাপী আমার পরিজনদের বিজয়া দশমীর হার্দিক শুভকামনা। এই পার্বন, অসুরশক্তির বিনাশের সঙ্গেই জীবনে ভালো খবর নিয়ে আসে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও এক্স হ্যান্ডেলে বিজয়া দশমীর পোস্ট। মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় লেখেন, আবার এসো মা। সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কথামত মঙ্গলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানাবেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ধরনা নিয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল।
একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ক্রমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘বকেয়া’ আদায়ের দাবি নিয়ে সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ রাজভবনে অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০ জন প্রতিনিধির একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিগুলি বঞ্চিতরাই লিখেছিলেন বলে দাবি। মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় রাজভবনে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বেরিয়ে এসে জানায়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে কালীঘাটেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী ১২ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের অফিসেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের মধ্যে অনেকেই জেনে গিয়েছেন সেই খবর। বাকিদেরও জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রের খবর।
স্পেন সফরে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যের। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পৌঁছোন তিনি। এসএসকেএমে তাঁর চিকিৎসা হয়।
চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দেন। বাড়ি থেকেই প্রশাসনের কাজ সামলাচ্ছেন তিনি। সেই কারণেই মন্ত্রীসভার বৈঠকও কালীঘাটে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
দিল্লিতে তৃণমূলকে হেনস্থার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক সাংসদ। তাঁরা দেখা করতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে। অভিযোগ ,শাকদলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেননি মন্ত্রী। ঘটনার দিন চারেক পর কলকাতা আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ কলকাতায় আসার কথা নিরঞ্জন জ্যোতির। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন সেক্টর ফাইভে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি। কথা বলবেন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও। বালুরঘাট থেকে সুকান্তও পাড়ি দিয়েছেন কলকাতার পথে।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার চাপেই কি টনক নড়ল বিজেপির? বৃহস্পতিবারের ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন , ‘‘যতক্ষণ না রাজ্যপালের সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারব, ততক্ষণ আমি এই ধর্নামঞ্চ ছাড়ব না।’।
দিল্লিতে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন, বৃহস্পতিবারের ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির কথা। ঠিক ছিল, মিছিল করে এসে কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাজ্যপালের দেখা করে তাঁকেই স্মারকলিপি দেবে তৃণমূল।
পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার রাজ্যে জুড়ে তল্লাশি অভিযানে ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে, কামারহাটি, টিটাগড়, বরানগর, সল্টলেক-সহ ১২টি জায়গায় তল্লাশি চাল্লাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের পাশাপাশি টিটাগড় পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের জন্য ইডির এই তল্লাশি অভিযান।
এছাড়া, কামারহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল সাহার বাড়িতেও পৌঁছেছেন ইডির চারজনের প্রতিনিধি দল। বরাহনগর পৌরসভার পৌর প্রধান অপর্না মৌলিকের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের লেকটাউনের বাড়িতে ইডির অভিযান জারি রয়েছে। অন্যদিকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়ের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের থেকে পাওয়া নথি অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
শনিবার সন্ধ্যায় বিদেশ সফর সেরে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সফরের সময় বাঁ পায়ে পুরোনো চোটের জায়গায় আবারও আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ১০ দিন বিশ্রামের পরামর্শ দিলেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রবিবার প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে তাঁর একাধিক পরীক্ষা হয়েছে বলে এসএসকেএম সূত্রে খবর। এমআরআই ও রক্ত পরীক্ষা সহ (MRI) একাধিক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা হয়েছে এদিন। প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা, আপাতত ১০ দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। পরে অস্ত্রোপচার নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, এ বছরের মাঝামাঝি সময় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কপ্টারের এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সময়ে পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে গেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে চান। বেশ কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে হয়েছিল তাঁকে। বাড়িতে নিয়মিত চলছিল ফিজিওথেরাপি। খানিকটা সুস্থ হয়েই কাজে নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু পুরোনো চোট তা৬র পিছু ছাড়েনি।
বিদেশের মাটি থেকে লগ্নি টানতে স্পেন সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধেয় কলকাতায় ফেরেন তিনি। আর মঙ্গলবারই বিদেশ সফরে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও রাজভবনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও ঘোষণা এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। তবে যা জানা গিয়েছে ১২ দিনের সফরে তিনি আমেরিকা রওনা হবেন মঙ্গলবার। মার্কিন মুলুকের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। আর তাতেই যোগ দিতে আমেরিকা পাড়ি দিচ্ছেন রাজ্যপাল।
১২ সেপ্টেম্বর বিদেশে যান মমতা। দুবাই হয়ে স্পেনে পৌঁছন। ফেরার পথে আবার দুবাইতে দু’টি দিন কাটান। দুই দেশেই শিল্পপতিদের সঙ্গে এবং অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সেরে শনিবার কলকাতায় ফেরেন মমতা। এর পরে রাজ্যপাল বোস রবিবার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মমতাকে। বোস বা মমতা চিঠির বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজভবন বোসের বিদেশ সফর নিয়ে কোনও কিছু ঘোষণা না করলেও একটি বিষয় জানা গিয়েছে যে সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি আমেরিকায় একটি সাহিত্য সম্মেলনেও অংশ নিতে পারেন বোস। আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। আমেরিকার একাধিক শহরে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। সে সব মিটিয়ে ৭ অক্টোবর কলকাতায় ফেরার কথা বোসের।
তবে বিদেশ সফরের আগেও নবান্নের সঙ্গে সংঘাতের আবহ রয়েই গেল। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেননি বলেই অভিযোগ নবান্নের। তা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। রবিবার ছুটির দিনেও তিনি রাজ্যের সব উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন। সেখানে সকলকে উপস্থিত থাকতে আগেই নির্দেশ পাঠিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, সম্প্রতি ধূপগুড়ি উপবনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায় এখনও বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেননি। তা নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। নির্মলচন্দ্রকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ ছিল, রাজ্যকে এড়িয়ে একক ভাবে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর আয়োজন করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু পরিষদীয় দফতর সায় না দেওয়ায় সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি রাজভবনের তরফে। হাতে আর সময় নেই। তবে কি রাজ্যপালের বিদেশ সফরের পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধায়ক হতে পারবেন ধূপগুড়ির নির্মলচন্দ্র!
আচমকা রেশন দোকানে এসে হানা দিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। শনিবার উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযানে খাদ্যমন্ত্রী বারাসতের বিভিন্ন রেশন দোকানে গিয়ে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁদের সমস্ত সমস্যা সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন তিনি। একই সঙ্গে রেশন ডিলাররা সঠিক পরিমাণে রেশন সামগ্রী দিচ্ছে কিনা তা নিয়েও খোঁজখবর নেন গ্রাহকদের থেকে। উপভোক্তদের তরফে বেশ কতগুলো অভিযোগও খাদ্যমন্ত্রীর কাছে আসে। সেগুলো নিয়ে তিনি খতিয়ে দেখেন।
বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে এক রেশন দোকানে একজন উপভোক্তা অভিযোগ করেন যে দুয়ারের রেশনের তালিকা নির্দিষ্ট জায়গায় টাঙানো থাকে না। তাতে সমস্যায় পড়েন উপভোক্তারা। খাদ্যমন্ত্রী এই কথা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গেই দোকানদারকে নির্দেশ দিয়ে দেন, যেন সমস্ত দোকানের দুয়ারে রেশনের তালিকা সঠিক জায়গাতেও টাঙানো থাকে।
বারাসত নতুন পুকুরের অন্য একটি রেশন দোকানে অভিযোগ যে, রেশন দেওয়ার সময় অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে রেশন দোকানদার। খাদ্যমন্ত্রী রেশন দোকানদারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে তদন্ত করে সাংবাদিকদের জানান আসলে নন পিডি আইটেম। কিছু সামগ্রী আছে রেশন দোকানে বিক্রি করা যায়। সেই জিনিসের জন্যই উনি টাকা নিয়েছিলেন। তাই উপভোক্তাদের সঙ্গে দোকানদারের যাতে কোনও বিবাদ না হয় সেজন্য নন পিডি আইটেমের আলাদা তালিকা তৈরি করে দোকানে লাগানোর নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
অবশেষে প্রায় দু'দিন পর কানাডার উদ্দেশে রওনা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit) শেষ হয়েছে রবিবার। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু দেশে ফিরতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Canada prime Minister) জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সূত্রের খবর, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই আটকে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল। কিন্তু এবারে খবরে এসেছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে আটকে থাকলেও তিনি অবশেষে কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকেই এই খবর দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরের দিকে জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি হয়েছে। তার পরই ঠিক ছিল যে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাবেন। কিন্তু যাওয়ার আগেই বিমানে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়। ফলে তাঁরা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে ভারতেই আটকে ছিলেন। কানাডার সশস্ত্র বাহিনী বিমানের সমস্যা মেটানোর কাজ করিছল। এছাড়াও খবরে এসেছিল, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য বিমান পাঠানো হবে। সেই বিমান রওনাও দিয়ে দেয়। কিন্তু এর পরই কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রেস সেক্রেটারি মহম্মগ হুসেন জানান, বিমানে যা ত্রুটি ছিল তা ঠিক করা হয়েছে। ফলে যে বিমান কানাডা থেকে রওনা দিয়েছিল, পরে সেটি লন্ডন থেকে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর আগের বিমানে করেই ভারত ছেড়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল।
তবে কি হতে চলেছে মন্ত্রিসভার রদবদল। পর্যটন দফতর হাতছাড়া হতে চলেছে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের। আগেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল, এমনটা হতে পারে। বাস্তবেও তাইই হল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বাবুল। জানান, তিনি পর্যটন দফতরে থাকবেন না। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তাতে আপত্তি জানাননি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, শূকরের সঙ্গে লড়তে যেও না। যুদ্ধে জিতলেও গায়ে পাঁক মাখতে হবে। দ্বিতীয়ত নির্বোধের সঙ্গে তর্ক করো না। সম্প্রতি নবান্নে বাবুল ও ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রকাশ্যেই ঝামেলায় জড়াতে দেখা যায় দুই মন্ত্রীকে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পর্যটনে ইন্দ্রনীলের নজরদারিতে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল বাবুলের।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নবান্নে বাবুল প্রায় সর্বসমক্ষে ইন্দ্রনীলকে বলেন, কেন তিনি সরকারি কাজ আটকে দিচ্ছেন। ইন্দ্রনীল তাঁকে বলেন, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে। সূত্রের খবর, এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দফতর ছাড়ার কথা বলেন বাবুল সুপ্রিয়। মুখ্যমন্ত্রী না করেননি তাঁকে।
রেলের একাধিক প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে। প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য জমি পাচ্ছে না রেল। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর দাবি, জমি জটের কারণে এখনও পর্যন্ত ৬১ টি প্রকল্পের কাজে সমস্যা হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে রেলের যে প্রজেক্ট রয়েছে তার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার ৯১৫ কোটি। চলতি অর্থবর্ষে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
রেলমন্ত্রী জানাচ্ছেন, রেলের বেশিরভাগ প্রজেক্টের কাজই থমকে রয়েছে । জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে । রেলের তরফে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হলেও সফল হননি তাঁরা । তাই, জমি সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর কাজে রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
কাকদ্বীপ-বুদাখালি নিউ লাইন, বনগাঁ-পোড়ামহেশতলা নিউ লাইন, কৃষ্ণনগর-চাপড়া নিউ লাইন, রানাঘাট-দত্তফুলিয়া নিউ লাইন, বীরা-চাকলা নিউ লাইন, ডায়মন্ড হারবার-কুলপি নিউ লাইন, তারকেশ্বর-ফুরফুরা শরিফ নিউ লাইন, মুকুটমণিপুর-ঝিলিমিলি নিউ লাইন, তারকেশ্বর-মগরা নিউ লাইন, হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ নিউ লাইন ইত্যাদি রেলের প্রকল্প থমকে গিয়েছে।
নেই রাজ্যে বেতন বাড়ল বিধায়কের। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক স্তরে সবারই ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বেতন বাড়াবেন না বলেই জানান।
সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করা হল। প্রতি স্তরেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের বিধায়কদের বেতন দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। তাই আমাদের সরকার বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মূলত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক— এই তিন স্তরে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিধায়কদের বেতন ছিল প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা। তা বেড়ে হল ৫০ হাজার টাকা। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা এত দিন মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা করে পেতেন। এখন থেকে তাঁরা পাবেন ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়া, রাজ্যে যে পূর্ণমন্ত্রীরা আছেন, তাঁদের বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা। তাঁরা বেতন বাবদ এ বার থেকে ৫১ হাজার টাকা পাবেন।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান ও নেত্রী সনিয়া গান্ধী। বিশেষ অধিবেশনে ৯টি বিষয় আলোচনার জন্য দাবি করলেন কংগ্রেস নেত্রী। এদিকে জি-২০ সম্মেলনের আগে ইউরোপ উড়ে গেলেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের অন্তর্গত আইনজীবী, ছাত্রছাত্রী ও প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাহুল।
এদিকে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সনিয়া গান্ধী তাঁর চিঠিতে লিখেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সহমত না হয় এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এর অ্যাজেন্ডা কী, কেউ জানে না। জানানো হয়েছে এই পাঁচদিন সরকারের কাজ আছে। সনিয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে সহমত হয়েই যাতে এই বিশেষ অধিবেশনে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পরে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত' নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নতুন করে জল্পনা বাড়াল আরও একটি সরকারি নথি। ইন্দোনেশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারই সরকারি নোট টুইটারে শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। যেখানে ইংরেজিতে লেখা, প্রধানমন্ত্রীর পদে লেখা প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত। সেখানেই প্রশ্নই উঠছে, দেশের নাম কী সত্যিই বদল হতে চলেছে?
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০তম আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮ তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে বুধবার ইন্দোনেশিয়া রওনা হবেন। ৭ সেপ্টেম্বর সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের কারণে মোদীর এই সফর খুবই সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে বলে খবর। 'প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত'-এর নোট প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি -২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। সেই উপলক্ষে নিমন্ত্রিতদের কাছে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হচ্ছে। সেটা ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতির অন্দরমহল। কারণ ওই চিঠিতে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার পরিবর্তে লেখা রয়েছে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত। সেকারণেই জল্পনা উঠেছে, তাহলে কি ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তন করে শুধুই ভারত রাখা হবে? এবং নাম পরিবর্তনের জন্যই বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার? এদিকে, 'প্রাইম মিনিস্টার অফ ইন্ডিয়া' নোট প্রকাশ্যে আসতেই সেই জল্পনা আরও বাড়ল।
নাম পরিবর্তন করা হল নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির (Nehru Memorial Museum and Library)। এর নামকরণ (Nehru Museum Renamed) করে নয়া নাম হল 'প্রাইম মিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি' (Prime Ministers' Museum and Library)। রাজধানীর বুকে তিন মূর্তি মার্গে অবস্থিত NMML-এর নাম পাল্টে রাখা হল PMML। আর এবারে এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এই বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে ফেলার পরিকল্পনা অনেকদিন আগে থেকেই শুরু করেছিল মোদী সরকার। আর এবারে এতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছেন। ফলে এবার থেকে দিল্লিতে গিয়ে আর নেহরু মিউজিয়াম বললে হবে না, বলতে হবে প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়ামে যাব। প্রসঙ্গত, এই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে 'নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি'র নাম হবে 'প্রাইম মিনিস্টারস মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি'।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে কংগ্রেস। স্বাধীনতার ইতিহাসে এভাবে নেহরুকে মুছে ফেলা যায় না। তাঁর অবদান যুব সমাজের কাছে সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমনই দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা।