
প্রয়াত হলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা (Abhijit Vinayak Banerjee's mother) নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭। শুক্রবার মাকে দেখতে হাসপাতালে যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তার পরই প্রকাশ্যে আসে নির্মলা দেবীর মৃত্যু সংবাদ। এদিন সকালে এক্স হ্যান্ডলে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই তাঁকে শহরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন নির্মলা দেবী। এর আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য গত ২৬ অক্টোবর একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। চিকিত্সার পর ২৯ অক্টোবর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু এবার তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মা-কে দেখতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। তবে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশও করেন। তাঁর অবস্থা সংকটজনক বলেই জানিয়েছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন, “নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা অধ্যাপক নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকস্তব্ধ। গতকাল তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশাল সায়েন্সেসের প্রাক্তন অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতিবিদ দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। আমি তাঁর সুপরিচিত ছিলাম। আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে। তাঁর মৃত্যু বিরাট ক্ষতি। আমি সমবেদনা জানাই অভিজিৎ, অনিরুদ্ধ-সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের।”
সিঙ্গুর মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের মূল্য চোকাতে হবে গোটা রাজ্যকে। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের মূল্য চোকাবে রাজ্য! প্রশ্ন উঠছে বিরোধী মহলে। আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে ন্যানো কারখানার ক্ষতিপূরণ মামলার রায় গিয়েছে টাটা মোটরসের পক্ষে। ট্রাইবুনালের নির্দেশ, রাজ্য ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে টাটা মোটরসকে। সঙ্গে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদও যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে সুদ-সহ প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে দিতে হবে।
এরপরই কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ জানান, 'সিঙ্গুর আন্দোলন করে লাভ হয়েছে মমতার, এখন রাজ্যবাসীর করের টাকায় কেন এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণ মমতা দিক।' সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দুষছেন। বলছেন, “রাজ্য সরকার তো দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এবার তো রাস্তার ভিক্ষার পাত্র নিয়ে বসতে হবে। রাজ্য সরকারের অবিমৃষ্যকারিতার দায় এখন পশ্চিমবঙ্গবাসীকে দিতে হবে। এত কোটি কোটি টাকা কোথায় পাবে! এ তো সাংঘাতিক অবস্থা। অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি হয়ে যাবে। নবান্ন বিক্রি হয়ে যাবে।'
ট্রাইবুনালের এই নির্দেশের পর কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বঙ্গ বিজেপি নেতা অনুপম পাত্র জানাচ্ছেন, জমি অধিগ্রহণ যেভাবে করা হয়েছিল তার বিরোধিতা করেছিল বঙ্গ বিজেপি। তবে যেহেতু জমির চরিত্র বদলে গিয়েছিল, তাই জমি মালিক ও ভাগচাষিদের যাতে স্বার্থরক্ষা হয়, সেই ব্যবস্থা করে প্রকল্প চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি।
টাটা মোটরস-এর (Tata Motors) ন্যানো মামলায় জোর ধাক্কা রাজ্যের। অবশেষে এই মামলায় জয় পেল টাটা মোটরস। টাটা মোটরস সংস্থাকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে। ৩০ অক্টোবর, মঙ্গলবার সিঙ্গুরে (Singur) ন্যানো গাড়ির কারখানা বন্ধের প্রেক্ষিতে এই রায় দিল তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে এবং মামলার প্রক্রিয়ার জন্য আরও ১ কোটি টাকা দিতে হবে। ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যই এই রায়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ায় টাটাকে সুদসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ডব্লুবিআইডিসি-কে। তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের তরফে জানা গিয়েছে, সুদ সহ ৭৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা দিতে হবে ডব্লুবিআইডিসি-কে। ২০১৬ থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মামলার খরচের জন্য আরও ১ কোটি টাকা দিতে হবে ডব্লুবিআইডিসি-কে। তিন সদস্যর বেঞ্চে এই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। অবশেষে আজ এই ঐতিহাসিক রায় দিল আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল।
কয়েকদিন আগেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা পেয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ফলক বসানো হয়েছে। এবার সেই বিতর্কিত ফলক সরিয়ে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষকে কটাক্ষের পাশাপাশি ওই বিতর্কিত ফললকে অহংকারী বলেও অভিহিতও করেন।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর একটি ফলক বসানো হয়। সেখানে উপাচার্য এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম থাকলেও ওই ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই। সেখান থেকেই শুরু বিতর্ক। এবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই ফলক বসানোর পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি তলব করেন রাজ্যপাল। সেসময় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর নির্দেশেই শান্তিনিকেতনে ধর্না কর্মসূচি চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষ্যে বিশেষ কবিতা লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম দিয়েছেন 'আমার লক্ষ্মী।' শনিবার বিকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ওই কবিতা প্রকাশ করেন তিনি।
মোট ২৪ লাইনের ওই কবিতার একাধিক বিষয় উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গ যেমন টেনেছেন তেমনই বৈষম্যের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার নিজের লেখা কবিতাতেও সেই বিষয়টি উল্লেখ করলেন।
শুধু এখন নয়, এর আগেও একাধিক বিষয়ে কবিতা লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেও কবিতাকে হাতিয়ার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ফের লক্ষ্মী পুজোর দিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কবিতা প্রকাশ তাঁর।
চার দিনের আনন্দ শেষে মায়ের এবার বিদায়বেলা। উৎসবপ্রিয় বাঙালির কাছে বিষাদের দিন, আবার একবছরের প্রতীক্ষা। ঘরে ঘরে একটাই প্রার্থনা আবার এসো মা। এদিকে মঙ্গলবার সকালেই দেশবাসীকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে শুভ বিজয়া পোস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
মায়ের এবার ঘরে ফেরার পালা, নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে দিয়ে কৈলাস পর্বতকে জানান দেওয়া। দশমী মানে চারদিনের হুল্লোড় শেষে বিষাদের সুর। ঘট নাড়িয়ে, দর্পনে নিরঞ্জন শেষে ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। এদিকে মঙ্গলের সকালে হিন্দিতে দেশবাসীকে দশমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, দেশব্যাপী আমার পরিজনদের বিজয়া দশমীর হার্দিক শুভকামনা। এই পার্বন, অসুরশক্তির বিনাশের সঙ্গেই জীবনে ভালো খবর নিয়ে আসে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও এক্স হ্যান্ডেলে বিজয়া দশমীর পোস্ট। মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় লেখেন, আবার এসো মা। সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
রাজ্যের যুবসমাজকে নিজের বই 'আলোকবর্তিকা' পড়ার জন্য পরামর্শ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার পুজো সংখ্যার উদ্বোধন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, একটা বই আছে আলোকবর্তিকা। ছোট্ট ছোট্ট কথার মাধ্যমে তা লেখা। যখনই জীবনে সঙ্কট আসবে সেটা যদি পড়ে দেখেন তার থেকেই সঙ্কটের সুরাহা পাবেন।
নজরুল মঞ্চে এদিন ছিল জাগো বাংলার পুজো সংখ্যার উদ্বোধন। প্রথমে ঠিক ছিল এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শে এবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালে পুজোর সংখ্যার উদ্বোধন করেন তিনি। এদিনই প্রকাশ করা হল মুখ্যমন্ত্রী গানের নতুন সিডি আলো দাও।
এদিনও জেলা ও শহরতলী সহ একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। সবাইকে সতর্ক হয়ে পুজো কাটাতেও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজোর মুখেই বসতে পারে বিধানসভার অধিবেশন। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়ার দিনঅর্থাৎ ১৬ অক্টোবর বসবে অধিবেশন। দুপুর ১২টা নাগাদ অধিবেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, পুজোর মুখে তড়িঘড়ি কেন এই অধিবেশন?
জানা গিয়েছে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক-মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তা কার্যকর করতে বিলে সংশোধনী আনতে হবে। বিল সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বর্ধিত বেতন পাবেন না বিধায়ক-মন্ত্রীরা। সূত্রের খবর, শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি নিজেই উথ্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আলোচনার পরই শুধুমাত্র বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল পেশের জন্যই একদিনের বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
কোন কোন বিলে সংশোধন আনা হবে ?
জানা গিয়েছে, দু'টো বিলে সংশোধন আনা হচ্ছে। একটা হল মন্ত্রীদের বেতন সংক্রান্ত বিল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২। আর বিধায়কদের বেতন সংক্রান্ত বিলটি হল দ্য বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি (মেম্বারস এমোলুমেন্টস) অ্যাক্ট, ১৯৩৭। তবে, এর আগে পুজোর মধ্যে কখনও বিধানসভায় অধিবেশন ডাকা হয়নি। সেক্ষেত্রে এবার অধিবেশন বসলে তা নজিরবিহীন হবে। দ্বিতীয়ার দিন বিল পাশ হয়ে গেলেও সেটা পুজোর আগে আইনে পরিণত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ইজরায়েলে আটকে থাকা বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যসচিবকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাঁরা ইজরায়েলে আটকে আছেন, তাঁদের নিখরচায় দেশে ও রাজ্যে ফেরাতে সরকারি সহযোগিতা করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির বঙ্গভবন ও রাজ্যের সচিবালয়ে ইজরায়েলে আটকে পড়া বাঙালিদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নয়াদিল্লির কন্ট্রোল রুম নম্বর- ০১১-২৩৭১-০৩৬২। নবান্নের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুক্রবার সকালে ইজরায়েল থেকে যারা দিল্লিতে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন বাংলার বাসিন্দা। তাঁদের রাজ্যে ফেরার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে নবান্ন। ইজরায়েল থেকে বাংলার বাসিন্দারা দিল্লি ফিরলে, তাঁদের জন্য বঙ্গভবন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
পুজোর আগে বসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন। বিধায়ক-মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির বিল পাস করানোর জন্য এই অধিবেশন ডাকা হচ্ছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তের অধিবেশন সোমবার বসার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিবেশন ডাকার জন্য পরিষদীয় মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের কাছে অধিবেশন ডাকার ফাইল পাঠাচ্ছেন পরিষদের মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিধানসভায় বিল আনতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুজোর আগেই বিধায়কদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। সেইকারণে সোমবার বসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন।
সূত্রের খবরম দুটি বিলে সংশোধনী আনা হবে একদিনের এই অধিবেশনে। একটি হল The Bengal Legislative Assembly (Members emoluments) Act 1937। এই বিলটি হল বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর জন্য। অপরটি হল West Bengal Salaries And Allowances Act 1952। এই বিলটি মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর জন্য।
পুজোতেও ঘরবন্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পেন সফর থেকে ফেরার পর পায়ে চোট থাকায় চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কালীঘাট থেকে রাজ্যের ৮০০ পুজোর উদ্বোধন করলেন। জানালেন, ২৭ অক্টোবর, দুর্গাপুজোর কার্নিভালে সশরীরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা ও জেলার প্রায় ৮০০ পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই মঞ্চেই নিজের শরীর নিয়ে আপডেট দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পায়ে সংক্রমণ রয়েছে। এমনি আমি ঠিক আছি। আইভি ইঞ্জেকশন নিচ্ছি। ভাল করে হাঁটতে পারছি না। চিকিৎসকরা আরও কিছু দিন হাঁটাচলা না করতে বলেছেন।"
শনিবার দলের মুখপাত্রের পুজোসংখ্যার উদ্বোধনে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এই অনুষ্ঠানেও থাকতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
প্রসূন গুপ্তঃ তৃণমূলের নেতারা প্রায় প্রত্যেকে এখন ব্যস্ত নিজের নিজের পুজো নিয়ে। একেবারে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার থেকেই পুজো উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন। অবিশ্যি তাঁর পায়ে আঘাত থাকার ফলে এ বছর তিনি আপাতত গৃহবন্দী, চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশে। বাড়ির থেকেই কয়েকশো পুজো ভার্চুয়ালি তিনি উদ্বোধন করবেন। শোনা যাচ্ছে আগামী দ্বাদশীর দিন তিনি হয়তো নিরঞ্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। মমতা পুজোর দিনগুলি এমনিতেও বাড়িতে থাকেন। অষ্টমীর দিন তাঁর জন্মদিন হলেও পালন করেন কোথায়?
অন্যদিকে, এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক কিন্তু দলের পুজোগুলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনিও পুজোর কদিন বাড়িতেই থাকেন এবং অবশ্যই সংগঠনের নানান কাজ দেখেন তাঁর সেনাপতি সুমিত রায়ের সহযোগিতায়। তিনি পুজো উদ্বোধন করেন না, কিন্তু হয়তো সময় পেলে কোনও পুজো দেখতে যেতেন এক সময়ে। আপাতত বঙ্গ রাজনীতির প্রধান মুখ তিনি কাজেই খবরওয়ালাদের চেষ্টা থেকেই তাঁকে নিয়ে খবর করার।
আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর তিনি সারাটা দিন কাটাবেন তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে। যদিও নিজের কেন্দ্রে তিনি প্রায়ই যান, নানান কাজ বা অনুষ্ঠান থাকেই। তবে এবারে টানা চার পাঁচ দিন কাটাবেন নিজের কেন্দ্রেই। ডায়মন্ডহারবার থেকে অনুরোধ থাকেই পুজো থেকে ইদে তাঁর উপস্থিতির। ইতিমধ্যে তাঁর ফুটবল দল প্রথম ডিভিশনে খুব ভালো ফল করেছে। এতে উৎসাহী এলাকার মানুষ। এতদিন বালি প্রতিভা থেকে টালিগঞ্জ অগ্রগামী ইত্যাদি নানান এলাকার নাম ক্লাব থাকলেও আঞ্চলিক মানুষের কোনও দিনও ক্লাব নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না কিন্তু অভিষেক সেটি হতে দেননি।
পুজোর আগে এলাকায় গিয়ে দুস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ ছাড়াও নানান সমস্যার বিষয় দেখবেন। দীর্ঘদিনের অসাম্প্রদায়িক অঞ্চল ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র। অভিষেকের বক্তব্য পরিষ্কার, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার কাজেই শারদ উৎসবে এই বার্তা নিয়েই তিনি যাচ্ছেন নিজের এলাকায় আরও একবার।
আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুতই ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে পুজোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে কি তবে হাসি ফুটবে?
স্পেন সফর সেরে ফেরার পর পায়ে আঘাতের কারণে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের বদলে তাঁর বাড়ি থেকেই সারছেন প্রশাসনিক কাজকর্ম। ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেই হয় মন্ত্রীসভার বৈঠক। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল, যার মধ্যে ৮৪০০ পুরুষ ৩৬০০ মহিলা নিয়োগ করা হবে। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে এবার প্রকাশও করা হবে বিজ্ঞপ্তি। এমনটাই সূত্রের খবর। আবার পাশাপাশি অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কথাও ঘোষণা করা হয় এদিন।
এর আগেও নবান্ন থেকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যা এখনও প্রতিশ্রুতি হয়ে রয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে ফের একবার প্রতিশ্রুতি, যা কী সত্যিই হাসি ফোটাবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে, নাকি অন্যান্য বারের মত দুস্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।
দুর্গা পুজোর (Durga Puja) আর মাত্র কয়েকটা দিন। আর দু'দিন বাদেই মহালয়া। ফলে আকাশে বাতাসে উৎসবের আমেজ। আর এর মাঝেই পুজোর উদ্বোধনের ধুম লেগে গিয়েছে। মহালয়ার আগেই রাজ্যের একাধিক জেলায় পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে যায়। এ বছরও মহালয়ার আগেই রাজ্যের কিছু পুজোর উদ্বোধন করা হবে। প্রত্যেক বছরই শহরের কিছু ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবারে তিনি উদ্বোধন করবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল। কারণ এ বছর পায়ে চোটের কারণে বাড়িতেই ঘরবন্দি তিনি। বাড়িতে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সমস্ত জল্পনার অবসান করে জানানো হয়েছে, এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পুজো উদ্বোধন করবেন কিন্তু ভার্চয়াল মাধ্যমে।
সূত্রের খবর, মহালয়ার আগে বৃহস্পতিবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর উদ্বোধন করবেন। বিকেল ৪টেয় কালীঘাটের বাড়ি থেকে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন করবেন। আপাতত শ্রীভূমি, হাতিবাগান, টালা প্রত্যয়, আহিরীটোলা সহ কলকাতার ৬টি পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা ছাড়াও ২২টি জেলায় হাজারের বেশি পুজো উদ্বোধন করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও চোটের কারণে বাড়িতে তাঁর অফিস থেকেই তিনি পুজো উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও ১০০ দিনের টাকাও আবাস যোজনায় বকেয়ার দাবিতে, দিল্লিতে কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। সোমবার ও মঙ্গলবার অর্থাৎ অক্টোবর ২ এবং ৩ তারিখ গ্রহণ করা হয়েছিল এই আন্দোলন। এই আন্দোলন সত্যাগ্রহ আন্দোলন হলেও কোনও ভাবেই তা আর সত্যাগ্রহ আন্দোলন রইল না। একদিকে সোমবার রাজঘাটে পুলিশের তাড়া খেল তৃণমূল, অন্যদিকে কৃষি ভবনে জোর করে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলো তৃণমূল সাংসদ, নেতৃত্ব সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এ ঘটনার পর এবার সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি ভবন থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন সংসদদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মুখাজিনগর থানায়। এরপরই মুহূর্তে এ ঘটনা বৃহৎ আন্দোলনের আকার নেয়। এর পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লড়াইয়ের বার্তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পোস্টে লেখেন, 'আজ গণতন্ত্রের জন্য একটি অন্ধকার, অশুভ দিন। বাংলার জনগণের প্রতি বিজেপির ঘৃণা, দরিদ্রদের অধিকারের প্রতি তাদের অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।' তিনি আরও লেখেন, 'কিন্তু আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।'