কথায় আছে প্রেম মানে না বাধা। ভালোবাসার সামনে লিঙ্গ ভেদাভেদের কোনো বালাই নেই। তাই এবার ভালোবাসা প্রমাণ করতে বিয়ে করলেন সমকামী দুই মহিলা। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যি। বুধবার মালদহের ইংরেজ বাজার শহরের মেডিক্য়াল কলেজ সংলগ্ন হ্যান্টা কালীবাড়ি মন্দিরে দুই মহিলা একে অপরকে মালা পরিয়ে সিঁদুর দান করে বিয়ে সারেন।
জানা গিয়েছে, গত দু'বছর ধরে বন্ধুর সম্পর্ক ছিল পপি মণ্ডল ও প্রতিমা বিশ্বাসের। দুই পক্ষের বাড়িতে জানিয়েও সবাই মানতে নারাজ এই সমলিঙ্গ সম্পর্ক। এমনকি বিয়ে না করে বন্ধু হিসেবে দু'জন দু'জনার পাশে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই সম্পর্ক একেবারে মানতে চায় না দুই পরিবার। তাই পপি ও প্রতিমা তাঁদের বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা দুটি টিকিয়ে রাখার জন্য় পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। দুজনেই এখন সাবালিকা মহিলা। তাই তাঁদের দাবি, যদি পরিবার থেকে মেনে না নেয় তাহলে দুজনে রোজগার করে দুজনের দায়িত্ব নেবে।
কুয়াশার দাপট বাড়তেই মালদহে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচারকারীরা। রবিবার বামনগোলার পাকুয়ার গাঙ্গুরিয়া গ্রামে দুই বাংলাদেশীকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন মহম্মদ আব্বাস আলি এবং মহম্মদ সাহেব। সোমবার ওই ধৃত দুই বাংলাদেশিকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বাংলাদেশের দুয়ারপুর ও কমলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তারা বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধৃতেরা গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাই এদিন গ্রামবাসীরা সন্দেহজনকভাবে তাদের দেখতে পেয়ে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। তারপর পুলিস তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্য়ুর অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়স্বজন। জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম অনিমা কুমার।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার অনিমা কুমার মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হন। এরপর তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। প্রথমে অস্ত্রোপচার করার পর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার হওয়ার পরই রোগীকে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর হঠাৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় ওই রোগী মারা গিয়েছে। মৃত্য়ুর খবর শুনেই চিকিৎসায় গাফিলতিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বড়দিনের সন্ধ্যায় মালদহের চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ছড়িয়েছিল তীব্র আতঙ্ক। ডাকাতির পর গুলি ছুঁড়ে এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর এলাকায় পুলিস পৌঁছলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার এই ঘটনায় বড় সাফল্য পেল জেলা পুলিস। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে অন্যতম একজনকে গ্রেফতার করল মালদহ জেলা পুলিস।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার জেলা পুলিসের বিশেষ অভিযানে ঝাড়খণ্ড পুলসের সহযোগিতায় সাহেবগঞ্জ জেলার জিরুয়াবাড়ি থানা এলাকা থেকে এই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম দীপক কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জেরায় ধৃত যুবক চাঁচলের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দুষ্কৃতীমূলক কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতো এই যুবক। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বাঞ্চলের কুখ্যাত ডাকাত লালু সাহানী গ্যাং-এর অন্যতম সদস্য হলো এই দীপক দাস। ২২ বছর বয়সী এই যুবক সম্প্রতি বিভিন্ন দুষ্কৃতীমূলক কর্মে লিপ্ত ছিল।
সাত সকালে রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল মা ও সন্তানের মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল সংলগ্ন কৃষ্ণপল্লী এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়ছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিসে গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। যদিও মৃত দুইজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে রেল লাইনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা রেল লাইনের ধারে মা ও শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। স্থানীয়দের অনুমান মহিলাটি তাঁর সন্তানকে নিয়েই আত্মহত্য়া করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে আর কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
ফের রাজ্য়ে শুটআউট। গত সপ্তাহে মালদহে এক ব্য়বসায়ীকে লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। তারপর আবার বাড়ির পাশে ভুট্টা ক্ষেতে গুলিবিদ্ধ হল এক যুবক। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার শাহবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনটোলা এলাকায়। ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বর্তমানে গুলিবিদ্ধ ওই যুবক মালদা মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিস সূত্রে খবর, আক্রান্ত ওই যুবকের নাম জাবেদ শেখ (২৭)। পেশায় একজন ফেরিওয়াল এবং কর্মসূত্রে বিহারে ফেরি করে। গত এক মাস আগে সে বাড়িতে আসে। প্রতিদিনের মতো গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ির পাশে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ভুট্টার ক্ষেতে কয়েকজনকে দেখা মাত্রই জাবেদ শেখ চিৎকার করলেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি গিয়ে লাগে জাবেদ শেখের কোমরে। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হয়ে পড়ে ওই যুবক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিস গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অন্য়দিকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিস। তবে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বেপরোয়া গতির বলি এবারে চার বছরের এক শিশু কন্যা। মঙ্গলবার বাড়ির সামনেই রাস্তার উপর দাঁড়িয়েছিল ফুটফুটে মেয়েটি। আচমকা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে ছুটে আসা ১৬ চাকার লরিটি পিষে দিয়ে গেল শিশুটিকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারাডাঙি গ্রামে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম মরিয়ম নেশা (৪)। সাতসকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস ছুটে আসলে পুলিসকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিত্যদিন ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে আসা লরিগুলি বেপরোয়া ভাবে রাজ্যসড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। গতির উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকেই না চালকদের। আর তাদের এই বেপোরায় মনোভাবের জন্যই প্রাণ চলে গেল ছোট মরিয়মের।
বড়দিনে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি। পুরুলিয়া, নদিয়ার পর এবার মালদহের সোনার দোকানে হানা দিল দুষ্কৃতীরা। চাঁচলের ব্যস্ততম নেতাজি মোড়ে স্বর্ণ বিপনীতে দুঃসাহসিক এই ডাকাতির ঘটনায় উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা পেয়েছেন এক ব্যবসায়ী। ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ অন্যান্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, স্বর্ণ বিপনীতে থাকা দুই জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে চাঁচল থানায়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ডাকাতির সঙ্গে যোগ থাকতে পারে বিহার ও উত্তর দিনাজপুর এলাকার দুষ্কৃতীদের। পাশপাশি, ডাকাতি করে পালানোর সময় ডাকাত দল চাঁচল মহকুমা পুলিস আধিকারিকের দফতর ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে পালিয়েছে। এছাড়াও চাঁচল শহরের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি। কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো। এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি কন্ট্রোল করা হয় চাঁচল থানা থেকে।
এছাড়াও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দিন সাতেক আগে চাঁচলের স্বরুপগঞ্জ মায়া পুর বিহার সীমান্ত এলাকায় নয়জনের ডাকাত দলকে পুলিস গ্রেফতার করে। যদিও সেই ডাকাত দলের সঙ্গে কি এই ডাকাতির কোন যোগ থাকতে পারে? যাদেরকে ডাকাতের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তারা আদৌ কি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত? থাকছে একাধিক প্রশ্ন।
ভরদুপুরে শুট আউট। জাতীয় সড়কে বাইক আরোহীকে লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। ঘটনার পর গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে মালদহের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ব্যক্তি। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার সুস্তানি মোড় এলাকার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম। বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকায়। পেশায় তিনি প্লাস্টিক ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীর ভাই জানিয়েছেন, এদিন সকালে বাড়ি থেকে মালদহের দিকে আসছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বাইক থেকে রাস্তার পড়ে যান ওই ব্যবসায়ী। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও গোটা বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি। তবে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
সি এন এর খবরের জেরে অবশেষে ঘরে ফিরল মালদহের নিখোঁজ স্কুল ছাত্র। মালদহ ইংরেজবাজারের পুরাটুলী থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিল ওই ছাত্র। জানা গিয়েছে নিখোঁজ ওই ছাত্রের নাম শিব শংকর সিংহ। গত বৃহস্পতিবার থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। অপহরণে সন্দেহে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
রহস্য়জনকভাবে একসঙ্গে তিন ছাত্রী নিখোঁজের পর স্কুল ছাত্র নিখোঁজ হওয়ায় পর নড়েচড়ে বসে পুলিস প্রশাসন। এরপর সি এন-এর খবরের জেরে এবং পুলিসের সহযোগীতায় অবশেষে বাড়ি ফেরে ওই নিখোঁজ ছাত্র। ছেলে বাড়ি আসায় খুশিতে আত্মহারা পরিবার।সংবাদমাধ্য়মে নিখোঁজ থাকা ওই ছাত্র জানায়, দিল্লিতে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল সে। তবে বাড়িতে না জানিয়ে বেড়াতে যাওয়াটা যে ভুল তা সে বুঝতে পেরেছে।
প্রসঙ্গত, মালদহের ইংরেজবাজারের পুরাটুলী থেকে নিখোঁজ হয় ওই স্কুল ছাত্র। তার ছয় দিন আগে রহস্য়জনকভাবে মালদহের কোতোয়ালি থেকে নিখোঁজ হয় তিন ছাত্রী। নিখোঁজ তিন ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানোও হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ওই তিন ছাত্রীর। এই নিখোঁজ হওয়ার পিছনে কোনো বড় পাচার চক্র জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র দু'কিলোমিটার দূরে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ। সীমান্ত লাগোয়া মালদহের ইংলিশ বাজার থানার খিড়কি নলপুকুর এলাকার আমবাগান থেকে ওই ব্যক্তির বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হল। সোমবার সাতসকালের এ ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইংলিশ বাজার থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাইরে কোথাও খুন করে ওই এলাকায় দেহ ফেলে রাখা হয়েছে লোপাটের উদ্দেশ্যে। বস্তাবন্দি দেহ দেখে অনুমান, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। সীমান্তে ২৪ ঘণ্টায় চলে নজরদারি। কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও বারবার এ ধরনের ঘটনা কী করে ঘটছে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আবারও বেপরোয়া গতির বলি দুই বাইক আরোহী। বাইকের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত দুই এবং গুরুতর আহত দুই। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ১১ টা নাগাদ মালদহের ভালুকাগামী রাজ্য সড়কের উপরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস গিয়ে বাইক দুটিকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে যায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই দুই যুবকের নাম মজো আলী (২৫), বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা নয়াটোলা গ্রামে ও আদম আলী (২০), বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামে। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বাগমারা গ্রামের আরও দুই যুবক বাপ্পি আলী (১৭) ও জিসান আলী (১৫)। বর্তমানে দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসলামপুর গ্রামে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে পীরের মেলা। বাগমারা গ্রামের ওই তিন যুবক একটি বাইকে চেপে ওই মেলা দেখতে যাচ্ছিলেন। অন্য়দিকে মেলা দেখে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন মজো আলী। সেই সময় বনসরিয়া ও বড়াডাঙি গ্রাম দুটির মাঝে রাজ্য সড়কের উপরে বাইক দুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায় দুই বাইকে থাকা মোট চারজন। ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় একটি বাইক।
এরপর তাঁদেরকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চারজনকেই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তারপর চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মজো আলীর ও মালদহ নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় আদম আলীর।
মালদহ কোতোয়ালির পর এবার ইংরেজবাজারের পুরাটুলী থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ এক স্কুল ছাত্র। মাত্র ছয় দিন আগেই একইসঙ্গে অদ্ভুদভাবে তিন ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছিল। তারপর আবারও এক ছাত্র নিখোঁজ হল। ইতিমধ্য়ে ওই নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই ছাত্রের নাম শিব শংকর সিংহ। গত তিনদিন ধরে সে নিখোঁজ। এই ছাত্রকে কেউ অপহরণ করল নাকি এর পিছনে অন্য কিছু রয়েছে তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। তাই নিখোঁজ ওই যুবকের অসহায় পরিবার পুলিসে দ্বারস্থ হয়েছেন।
এভাবে ছেলে-মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বেশ আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসীরা। এর সঙ্গে কোনো পাচার চক্র জড়িত রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
রেললাইন থেকে উদ্ধার এক যুবকের মুন্ডুহীন দেহ। খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কাজীরুল ইসলাম (২৫)। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারি গ্ৰামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিস গিয়ে ওই খন্ড বিখন্ড দেহটি উদ্ধার করে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কনকনিয়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে মৃত ওই যুবকের ঝামেলা ছিল। অভিযোগ, স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগেই ওই যুবক জেলও খাটে। সেই বিবাদের জেরে খুনের অনুমান করছে ওই যুবকের পরিবার। কারণ শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে রেল লাইনে ওই যুবকের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। যা নিয়ে উঠেছে আরো জোড়ালো খুনের জল্পনা।
নিহতের পরিবারের লোকের দাবি, শনিবার রাতে কাজীরুল টেটিয়া গ্রামে জলসা দেখতে গিয়েছিল। সেই গ্রামে রয়েছে তাঁর স্ত্রী জাসমিনারা খাতুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি। জলসা থেকে তাঁকে জাসমিনারার মামা এবং মেসো তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সকলে মিলে তাঁকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেয়। কাজীরুলের পরিবারের অভিযোগ, কাজীরুলের স্ত্রীর অন্যত্র সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়েই বিবাদ হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে। এর আগেও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কাজীরুলকে মারধর করেছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ। যারফলে এক মাস জেলও খাটতে হয়েছিল কাজীরুলকে। খুন না আত্মহত্য়া তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
একই গ্রাম থেকে একসঙ্গে নিখোঁজ তিনজন ছাত্রী। নিখোঁজের পর ছয় দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি তাদের খোঁজ। যারফলে আতঙ্কে রয়েছে পরিবার সহ গোটা গ্রাম। ঘটনাটি মালদহ ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালী অঞ্চলের পাহাড়পুর গ্রামের।
জানা গিয়েছে, পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা সীতেশ পাহাড়ি, তপন পাহাড়ি ও মিতুল পাহাড়ি। এই তিনজনের মেয়েই নিখোঁজ বর্তমানে। তাদের মধ্য়ে একজন কলেজের এবং দুইজন স্কুল ছাত্রী। স্কুল-কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল তারা। তারপর থেকেই অদ্ভুদভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই তিনজনেই। নিখোঁজ ওই তিন ছাত্রীর মধ্যে একজন নাবালিকাও রয়েছে।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের খোঁজ না পাওয়ায় মঙ্গলবার ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করে ওই তিন ছাত্রীর পরিবারের লোক। ছয় দিন কেটে গেলেও এখনও মেলেনি তাদের খোঁজ। পরিবারের অভিযোগ, পুলিসের কাছে বারংবার দ্বারস্থ হলেও পুলিস এই ঘটনা নিয়ে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই থানার পর রথবাড়ি ফাঁড়িতেও গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। তবুও পুলিস তাদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ। অসহায় অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ওই নিখোঁজ তিন ছাত্রীর পরিবার।