বাঁচানো গেলো না পঞ্চম সিংহ শাবকটিকেও। শনিবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই সিংহ শাবকটির (Lion)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এটাওয়া সাফারি পার্কে। জুলাই মাস থেকেই শুরু হয়েছিল সোনা নামের একটি সিংহীর শাবকগুলির মৃত্যুর ঘটনা। জুলাইয়ের ৯ তারিখে প্রথম দুই শাবকের মৃত্যু (Death) হয়। তারপর ১০ এবং ১৩ জুলাই আরও দু’টি শাবকের মৃত্যু হয়। তবে অসুস্থ হলেও বেঁচে ছিল একটি সিংহ শাবক। কিন্তু তারও মৃত্যু হল শনিবার।
তবে ঠিক কি কারণে এই সিংহশাবকগুলির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখছে সাফারি কর্তৃপক্ষ। এমনকি এই বিষয়ে এটাওয়া সাফারি পার্কের ডেপুটি ডিরেক্টর জয় প্রকাশ বলেছেন, ‘‘শনিবার শাবকটির জ্বর হয়েছিল। তার পরেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।’’
যদিও এই ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে আক্রমণ করে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘‘পঞ্চম শাবকটিকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনকি বার বার সিংহশাবকের মৃত্যুর পরেও সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।’’
আমেরিকার মেজর লিগ সকারে খেলতে নেমেই ম্যাজিক দেখিয়েছেন লিওনেল মেসি৷ ইন্টার মায়ামির জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই অনবদ্য ফ্রি-কিক থেকে গোল করেছেন তিনি। মেসির গোল দেখে মুগ্ধ মার্কিন মুলুকের সেলিব্রিটিরা। আর্ন্তজাতিক এবং ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে এটি তাঁর ৮০৮ তম গোল। এই বিশেষ মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ৮০৮টি ছাগল দিয়ে লিও মেসির মুখ আঁকল একটি সংস্থা।
আর্জেন্টিনার জাদুকরকে অনেকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবল বলে মনে করেন। গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম বা সংক্ষেপে 'GOAT' (গোট) বলা হয় মেসিকে। তাই এই অভিনব উদ্যোগ। ৮০৮টি ছাগল একসঙ্গে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাতে উপর থেকে দেখলে মেসির মুখ বলে মনে হয়। এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়।
প্রথম ম্যাচের পরেই মেসিতে মন্ত্রমুগ্ধ আমেরিকা। ক্রুজ আজুলের বিরুদ্ধে ইন্টার মায়ামির হয়ে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নামেন মেসি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক থেকে ঝলসে ওঠে তাঁর পা। মেসির গোল দেখে আপ্লুত সেরেনা উইলিয়ামস, কিম কার্দাসিয়ান, সস্ত্রীক ডেভিড বেকহ্যাম সহ সেলেব্রিটিরা।
মেসি রইলেন মেসিতেই। ময়দানে যেমন মেসির পদক্ষেপ বোঝা দায়, জীবন সিদ্ধান্তেও মেসি ঠিক ততটাই 'আনপ্রেডিক্টেবল'। পিএসজির পর মেসি (Lionel Messi) কোন ক্লাবে যাবেন তা নিয়েও টানটান উত্তেজনা বজায় রেখে চলেছেন এখনও। যদিও সম্প্রতি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে মেসি বলেছেন, 'আমি ইন্টার মায়ামিতে (Inter Miami) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু বিষয়ের হিসেবে মিলছে না। তবুও আমি ঠিক করেছি আমার ফুটবল যাত্রা মায়ামিতেই জারি রাখব।'
প্যারিস সেন্ট জায়ান্ট দলের সঙ্গে যে মেসির বনিবনা হচ্ছে না, সেই খবর ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। পিএসজিতে থাকাকালীন মেসি চুক্তি ভেঙে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন। শোনা গিয়েছিল, সৌদিতে আল হিলালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন মেসি। যদিও তেমনটা হয়নি। পিএসজি দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবারও প্রত্যাবর্তন করেছিলেন মেসি। অনেকে মনে করেছিলেন, সমস্যা মিটিয়ে হয়তো পিএসজির সঙ্গে আবারও নয়া চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারেন মেসি। কিন্তু তিনি তো মেসি। আনপ্রেডিক্টেবল।
মেসি আগেই জানিয়েছিলেন তিনি আর কোনও ইউরোপীয় দলে খেলতে চাইছেন না। যদি চাইতেন তবে বার্সেলোনাতেই ফিরতেন। ফুটবল কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে মেসি আমেরিকান দলে খেলতে চেয়েছিলেন। এদিকে ক্লাবগুলি মুখিয়েছিলেন মেসিকে দলে টানার জন্য। শেষ পর্যন্ত ইন্টার মিয়ামির সহকর্তা ডেভিড বেকহ্যাম নাকি তুরুপের তাস তুলতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামির চুক্তি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি যে মেসি মায়ামিতেই যাচ্ছেন। তাই এখনও মেসি ভক্তদের কিছুটা সবুর করতে হবে। কারণ তিনি তো মেসি। পরবর্তী পদক্ষেপ বোঝা দায়।
বিদায় মেসি (Lionel Messi)। আধুনিক ফুটবলের রাজকুমারকে সরকারি ভাবে গুডবাই করে দিল তাঁর ক্লাব প্যারি সাঁজা (PSG)। শনিবার শেষ ম্যাচ খেলেই মাঠ ছেড়েছিলেন লিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এক ভিডিও পোস্টে ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, সাতবারের ব্যালন জয়ীকে ধন্যবাদ। এই কয়েক বছরে মেসি তাদের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিল। মেসির জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং লিগ ওয়ান খেতাব জয় বলেই জানিয়েছে ফরাসি এই ক্লাব।
সবাই ভেবেছিলেন নিজের সেরাটা দিয়েই প্যারিসকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু ফরাসি ক্লাবের শেষ দিনে তিনি আটকে গেলেন। তিনি লিওনেল মেসি। লিগ জেতা হয়ে গিয়েছিল। তবু শেষ ম্যাচে হেরে শেষ হল তাঁর প্যারিসের শেষ রাত। লিগের শেষ ম্যাচে ক্লেরমের কাছে তিন-দুই গোলে হেরেই লিগ জয়ের উৎসব মঞ্চে উঠতে হল এমবাপে, নেইমারদের। আর একরাশ বিষন্নতা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন লিওনেল মেসি।
এই ম্যাচ ছিল মেসির পাশাপাশি সার্জিও রামোসেরও শেষ ম্যাচ। তাই উৎসবের আবহে শুরু হয়েছিল। পরিবার নিয়ে প্যারিসকে শেষ বিদায় জানাতে মাঠে নেমেছিলেন লিও। তবে এই ম্যাচে আরও একজনও জায়গা করে নেনে তিনি সার্জিও রিকো। যিনি ফরাসি এই ক্লাবের হয়ে একটি ম্যাচও খেলেননি। কিন্তু দুর্ঘটনায় জখম রিকো এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তাই তাঁর জন্য এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সাঁজার ফুটবলাররা।
পিছিয়ে থেকে শুরু। তারপর আবার ম্যাচে ফিরে আসা। সবকিছুই হল। কিন্তু মেসি যেন আনমনা। দ্য লাস্ট ইভনিং আ প্যারিস। বর্ষা আসার আগেই মেসি চলে যাচ্ছেন। আরও যেন মন ভার কবিতার এই শহরের। কারণ সবুজ গালিচায় কে চালাবেন ওই সূক্ষ্ম কলম। যার থেকে তৈরি হবে ফুটবলের নানা ছড়া এবং ছন্দ।
এই মরশুমেই শেষ। ফরাসি ক্লাব প্যারিস সাঁ জাঁ ছাড়ছেন লিওনেল মেসি। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়ে দিলেন ক্লাবের কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ে। প্যারিস ছাড়লেও মেসি কোন ক্লাবে যাচ্ছেন, তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার পিএসজির কোচ গালতিয়ে জানিয়েছেন, "ফুটবল ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়কে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা পেয়েছি। শনিবার ঘরের মাঠে ক্লেমন্টের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলবেন।" মে মাসের শুরুতেই পিএসজি ছাড়ার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। পিএসজি-কে এই সিদ্ধান্ত জানান মেসির বাবা। সৌদি আরবের আল হিলাল ও মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামি মেসিকে নিতে আগ্রহী। তালিকায় রয়েছে মেসির প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনাও।
২০২০ সালে বার্সা ছাড়়েন লিওনেল মেসি। ২ বছরের চুক্তি ছিল তাঁর। প্রথম মরশুম ভাল কাটলেও দ্বিতীয় মরশুম থেকে সমস্যা হচ্ছিল। পিএসজি সমর্থকদের বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়। বিশ্বকাপ জয়ের পর সেই বিদ্রুপ আরও বাড়ে। এরই মধ্যে ক্লাবকে না জানিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া নিয়ে মেসিকে নির্বাসিত করে পিএসজি।
ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) ইংরেজিতে 'আনপ্রেডিক্টেবল' বললে খুব একটা ভুল হবে না। ফুটবলের ময়দানে যেমন তাঁর পদক্ষেপ বোঝা দুষ্কর, ঠিক তেমনভাবেই মেসির জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ আগে থেকে বোঝা কঠিন। কিছুদিন আগেই প্যারিস সেন্ট জার্মান ক্লাব মেসিকে দু সপ্তাহের জন্য দল থেকে স্থগিত করেছিল। মেসির অপরাধ, দলের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরব সফরে যাওয়া। এরপর জল্পনা শুরু হয়েছিল, পিএসজি (PSG) নিয়ে মেসির মনেও ক্লেদ জমেছে। চারিদিকে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, তিনি যোগ দিতে পারেন সৌদির ক্লাব 'আল হিলাল'এ। কিন্তু শনিবারই খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন হতে পারে পিএসজিতেই।
দলের সঙ্গে সমস্ত অভিমান মিটিয়ে নিতে এগিয়ে আসেন মেসি নিজেই। ক্ষমা চেয়ে বলেন, 'ভেবেছিলাম খেলার পরে ছুটি নেব। একটি ট্রিপ আগে থেকেই ঠিক হয়েছিল। আমি তা বাতিল করতে পারিনি, কারণ আমি আগেও সৌদি সফর বাতিল করেছিলাম। আমি আমার দলের সহযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চাইছি এবং দলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।'
অন্যদিকে বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসিকে হাতছাড়া করতে চাইছে না প্যারিস সেন্ট জার্মান দল। তাঁরাও চাইছে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরুক। আসন্ন ঘরের ম্যাচের জন্য নাকি শীঘ্রই ক্লাবের মাঠে অনুশীলনে ফিরবেন মেসি। পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফে গালতিয়ের একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'আমার মেসির সঙ্গে কথা হয়েছে। সে খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। আগামীকাল থেকেই অনুশীলন শুরু করবেন।'
যদিও মেসি যে পিএসজিতে থাকছেন তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। জুন মাস পর্যন্ত পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তিনি। এরপর মেসি সেখানেই থাকবেন, না কি নীল জার্সি ছেড়ে গায়ে পরবেন আল হিলালের জার্সি। তা এখনও বলা যায় না। কারণ ফুটবলের ঈশ্বরের গতিবিধি 'আনপ্রেডিক্টেবল'।
সৌদি আরব ভ্রমণে গিয়ে বিপাকে পড়লেন মেসি (Lionel Messi)। প্যারিস সেইন্ট জার্মান (PSG) ক্লাব কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড (Suspended) করল তাঁকে। খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁকে সৌদি আরব যাওয়ার অনুমতি দেননি, তা সত্বেও সেখানে গিয়েছেন তিনি। তাই জন্যই শাস্তি ভোগ করতে হল মেসিকে। আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য মেসিকে মাঠের বাইরেই থাকতে হবে। এই শাস্তির জেরে মেসি বাদ যেতে পারেন আসন্ন দুটি ম্যাচ থেকে। এমনকি এই দুই সপ্তাহে মেসি ক্লাবের মাঠে খেলতে পারবেন না, ট্রেনিং দিতেও পারবেন না।
জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানকে শাস্তির এই দুই সপ্তাহে ক্লাবের তরফ থেকে পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে না। চলতি বছরের জুন মাসে পিএসজি অর্থাৎ প্যারিস সেইন্ট জার্মানদের সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হচ্ছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ মেসির সঙ্গে আবারও নতুন করে চুক্তি করার কথা ভাবছিল, এরই মধ্যে ক্লাবের নির্দেশকে অমান্য করে সৌদি গেলেন মেসি। এই ঘটনাকে ইঙ্গিতবহ মনে করছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, মেসি বোধহ্য় নিজেই পিএসজিতে আর থাকতে চাইছেন না।
এর আগে গুঞ্জন উঠেছিল মেসি বার্সেলোনায় ফিরে যেতে পারেন। এমনকি বার্সেলোনার প্রাক্তন সতীর্থদের সঙ্গে ডিনারে গিয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়েও কম চর্চা হয়নি। সম্প্রতি মেসি সৌদি গিয়েছিলেন সেখানকার পর্যটনের হয়ে প্রচার করতে। নেটিজেনদের প্রশ্ন, 'মেসি কী শুধুই এই কারণে আরবে গেলেন?' অনেকে মনে করছেন, মেসি সৌদি আরবের ক্লাব 'আল হিলাল'-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। তাই বর্তমান ক্লাবকে অমান্য করেই তাঁর এই যাত্রা।
জঙ্গলের রাজা সিংহ (Lion)। একেবারে নিজের চালে, নিজের ঢঙে ঘুরে বেড়ায় গোটা জঙ্গলে। আর সিংহের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সাহস কোনও প্রাণী হয়তো দেখাবে না। সেখানে বন্ধুত্ব করার জন্য এগিয়ে এল ছোট্ট কচ্ছপ (Tortoise)। এমনকি রাজা মুখ ফিরিয়ে নিলেও পিছু ছাড়তে নারাজ সেই প্রজা। এরপরে যা ঘটল তা সত্যি অবিশ্বাস্য (Viral Video)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানেই ভাইরাল জগত। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক না কেন, নেটমাধ্যমের পাতায় তা আসবেই। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও নজরে আসে। যেখানে কখনেও মানুষের বিভিন্ন কীর্তির কোনও ভিডিও ধরা পড়ে, আবার বিভিন্ন পশুর সঙ্গে দুঃসাহসিকতার নজিরও দেখা যায়। তবে এসবের মধ্যেই বনের রাজা সিংহের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর শখ বোধহয় কোনও প্রাণীরই থাকে না। আর এমন দুঃসাহসই দেখিয়েছে একটি ছোট্ট কচ্ছপ।
একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই অভাবনীয় দৃশ্য পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি সিংহ জলাশয়ের পাড়ে জল খাচ্ছে। এদিকে একটি কচ্ছপ ভয় না পেয়েই সিংহের মুখের কাছে এসে তাকে ডাকতে শুরু করে। আর সিংহটিও তাকে দেখে বারবার জল খাওয়ার চেষ্টা করেও খেতে পারছিল না। কিছুক্ষণ পরে বেশ বিরক্ত হয়েই সিংহ জল থেকে মুখ তুলে নেয়। কিন্তু তাতেও পিছু ছাড়েনি কচ্ছপ। সিংহটি মুখ তুলে নিতেই সেও জল থেকে উঠে ডাঙায় তার দিকে হাঁটতে শুরু করে। আশ্চর্যের বিষয়, পশুরাজও তাঁর ছোট প্রজাকে এতটুকু ভয় দেখায়নি। উল্টে নিজেই সেখান থেকে ধীরে ধীরে চলে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অন্যতম ধনী ব্যক্তি (Bilionaries) রিজওয়ান সাজন। দানিয়ুব গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হলেন রিজওয়ান সাজন (Rizwan Sajan)। সংযুক্ত আরব (Arab) আমিরশাহিতে যত ভারতীয় থাকেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ধনী হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, বর্তমানে রিজওয়ানের সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা। আরব তথা সমগ্র পশ্চিম এশিয়ায় যথেষ্ট প্রভাবশালী তিনি। ১৯৯৩ সালে রিজওয়ানের হাত ধরেই দানিয়ুব গোষ্ঠীর পথ চলা শুরু। রিয়েল এস্টেট কোম্পানি থেকে বহুতল নির্মাণের ব্যবসা— সব ক্ষেত্রেই হাত পাকিয়েছে এই গোষ্ঠী। বিশ্বের নানা প্রান্তে দানিয়ুব গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড বিস্তৃত। তাঁদের সংস্থার অফিসও রয়েছে অন্তত ৫০টি শহরে। ২০১৯ সালের হিসাবে এই গোষ্ঠীর বার্ষিক আয় প্রায় ১৩০ কোটি ডলার। ২০১২ সালে দানিয়ুব ওয়েলফেয়ার সোসাইটি চালু করেন রিজওয়ান। এই সংস্থা তরুণ-তরুণীদের বিনামূল্যে ভাষা শিক্ষা এবং কেরিয়ার গঠনে সাহায্য করে থাকে। তবে মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবাকে হারান রিজওয়ান। ভাই বোনদের থেকে বড়ো হওয়ায় সংসার চালানোর ভারও তাঁকেই নিতে হয়েছিল।
১৯৬৩ সালে মুম্বইয়ে জন্ম রিজওয়ানের। বাবাকে হারানোর পর তাঁর ছোটবেলার দিনগুলি ছিল ভীষণ কঠিন। কখনও রাস্তায় রাস্তায় ফেরি বিক্রি করা আবার কখনও বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করে সংসার চালাতেন তিনি। আবার একটি ছোট গাড়িতে মুম্বইয়ের রাস্তায় কিছু দিন বই নিয়েও ঘুরতেন রিজওয়ান। মাঝে মাঝে বই সঙ্গে থাকত বাজি, দোলের রং সহ নানান টুকিটাকি জিনিসও। বই আর দুধ বিক্রি করতে করতে ১৮-তে পা দেন রিজওয়ান। ১৯৮১ সালে কাকার কথায় সুদূর কুয়েতে পাড়ি দেন তিনি। সেখানেই মাসিক ১৮ হাজার টাকায় শুরু হয় নতুন লড়াই। কুয়েতে ৮ বছর বেশ চলছিল তাঁর। তবে ১৯৯০ সালে সাদ্দাম হুসেন কুয়েত আক্রমণ করলে আবার বদলে যায় রিজওয়ানের জীবন। আবার ফিরে আসতে হয় মুম্বাইয়ে। তবে কাজের খোঁজে বিমানে চড়ে রওনা দেন দুবাই। সেখানেই দালাল হিসাবে প্রাথমিক ভাবে রোজগার শুরু করেন তিনি। তারপরেই আস্তে আস্তে এই সাফল্য অর্জন করেন তিনি।
রিজওয়ানের নিজস্ব অফিসে তাঁর প্রথম কর্মচারী ছিলেন এক মহিলা। ওই মহিলার নাম সমীরা সাজন, বর্তমানে তিনিই রিজওয়ানের স্ত্রী।
নয়া পালক কিং খানের (King Khan) মুকুটে। টাইম পত্রিকার (Time Magazine) বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন অভিনেতা শাহরুখ খান। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এসআরকে (Shah Rukh Khan) ভক্তদের মনে খুশির জোয়ার। শুধু তিনি শীর্ষস্থানেই নেই, ছাপিয়ে গিয়েছেন লিওনেল মেসি, ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গের মতো তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বদের।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি কে, তা জানতে এক সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় মোট ১২ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এতে। এরপর মোট ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সেরার সেরা হয়েছেন এসআরকে। অর্থাৎ মোট ৫০ হাজার মানুষের ভোট পেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়েছেন।
প্রথম স্থানে শাহরুখ থাকলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে একজন করে নেই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইরানের নারীরা ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিশ্বের সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইরানের নারীরা যেভাবে সেদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে আসছেন, তার জন্য তাঁরা দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর যেভাবে কোভিড মহামারীর সময় সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যের সেবা করে গিয়েছেন তাঁরা প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল। পঞ্চম স্থানে লিওনেল মেসি।
রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) মুকুটে নয়া পালক! এশিয়ার ধনীতমদের তালিকায় ফের সেরার সেরা হয়ে উঠলেন মুকেশ আম্বানি। এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হলেন মুকেশ আম্বানি। সম্প্রতি ফোর্বস, অ্যানুয়াল ওয়ার্ল্ড বিলিওনারিস-এর ৩৭তম লিস্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের সমস্ত ধনকুবেরদের মধ্যে নবম স্থানে মুকেশ আম্বানি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৩.৪ বিলিয়ন ডলার।
এবারে ফোর্বস বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের যে তালিকা প্রকাশ্যে এনেছে, তাতে বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। কারণ এই তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, মুকেশ আম্বানি নতুন রেকর্ড গড়েছেন। শেয়ার বাজার-কাণ্ডে জড়িয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন গৌতম আদানি। অন্যদিকে আম্বানি ছাপিয়ে গিয়েছেন মাইক্রোসফটের স্টিভ বলমার, গুগলের ল্যারি পেজ ও সার্জে ব্রিন, ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গ, ডেল টেকনোলজিসের মাইকেল ডেলকে।
ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি বার্নাড আর্নল্ট, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইলন মাস্ক ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জেফ বেজোস। গত বছর বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির ক্রমতালিকায় দশম স্থানে ছিলেন আম্বানি। তবে এবার এগিয়ে এসেছেন মুকেশ আম্বানি। অন্যদিকে আদানি চলে গিয়েছেন সাতাশ নম্বরে।
অন্যদিকে দেশের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম স্থানে আম্বানি ও দ্বিতীয় স্থানে আদানি। আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭.২ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এইচসিএল-র কর্ণধার শিব নাদার। এইচসিএল-র কর্ণধার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় ৫৫ নম্বর স্থানে রয়েছেন।
দুটি সিংহের আক্রমণ (Attack) এক যুবকের উপর। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচালেন যুবক। ঘটনাটি পাকিস্তানের (Pakistan)। একটি ভিডিও-র মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে যুবকের উপর সিংহ দু’টি হামলা করেছিল, তাঁর নাম জাহিদ খিজার। তিনি বাড়িতেই বাঘ এবং সিংহ দুটোই পোষেন। এই প্রাণীগুলির সঙ্গে খেলাধূলা করার একাধিক ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। জাহিদের দাবি, কিছুদিন আগেই সন্ধ্যায় তাঁর পোষ্যপ্রাণী দুটিকে বাড়ির একটি খোলা স্থানে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
হঠাত্ করেই প্রাণী দু’টি হিংসাত্মক হয়ে ওঠে এবং তারই উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সিংহ দু’টির থেকে কোনওরকমভবে নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন জাহিদ। কিন্তু দৌড়ে পালিয়ে যেতে গিয়েই পড়ে যান জাহিদ। তাঁর পিছু ধাওয়া করে সিংহ দু’টি। তখন জাহিদকে বাঁচাতে আরও একজন এগিয়ে আসেন। সেখান থেকে সিংহ দু’টিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।
জাহিদের শেয়ার করা ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নেটনাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। বন্যপ্রাণীদের বাড়িতে আটকে রাখার অনুমতি কী করে পেলেন জাহিদ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সবাই। জাহিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ আইনে মামলা করার জন্য সরব হয়েছেন নেটনাগরিকরা।
অবাক কাণ্ড! কুকুরদের তাড়া খেয়ে পালালো বনের রাজা! এ কি কখনও সম্ভব? তবে শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে গুজরাটের গির সোমনাথ নামক গ্রামে। আপনাার সবসময় দেখেছেন সিংহকে হরিণ, ছাগলদের শিকার করতে। কিন্তু এখানে ঘটেছে এর একদমই উল্টো। এখানে শিকার করা দূর কোনওরকমের কোনও হুঙ্কারও করল না সিংহ, বরং রাস্তা থেকেই তাকে তাড়িয়ে বিদায় করল কুকুরের একটি দল।
সম্প্রতি এই ঘটনারই একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, গুজরাটের গির সোমনাথের গ্রামের এক রাস্তায় রাতের দিকে এক সিংহ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তখনই সেই জায়গার কিছু কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে করতে তাকে তাড়া দিয়ে বিদায় করে। তারপর সিংহ সেখান থেকে সামনে থাকা গরুর দিকে ছুটে পালিয়ে যায়।
এই ভিডিওতে ইতিমধ্যেই ২০ হাজারের বেশি ভিউ এসেছে। সিংহের এই কাণ্ড দেখে রীতিমতো অবাক নেটিজেনরা। নেটিজেনদের কেউ লিখেছেন, 'একতাই শক্তি।' কেউ আবার কুকুরদের এমন সাহস দেখে তাদের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে সিংহের এরূপ দেখে মজাও করেছেন নেটিজেনরা। কেউ বলেছে, এই জায়গায় সিংহের বদলে লেপার্ড থাকলে বিষয়টা অন্যরকমের হত।
২০২২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি ক্লাব ফুটবলে নিজের ৭০০তম গোলটি করে ফেললেন রবিবার রাতে। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে মার্সেইলের বিপক্ষে পিএসজি জয় পায় ৩-০ গোলে। প্রথম গোলটি করেন ফরাসি তারকা এমবাপে। ২৯ মিনিটে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন প্রাক্তন বার্সা তারকা মেসি। দলের পক্ষে শেষ গোলটি আসে সেই এমবাপের পা থেকেই। গত ডিসেম্বরে বার্সেলোনা থেকে পিএসজি-তে আসার পর এটা তাঁর নতুন ক্লাব জার্সিতে ২৮ তম গোল। ১৩ বছর বয়সে কাতালান ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন মেসি।
সেই জার্সিতে ৭৭৮টি ম্যাচ খেলে ৬৭২টি গোল করেছিলেন এলএম-১০। ৭টি ব্যালন-ডি-ওর পাওয়ার রেকর্ডও তাঁরই দখলে। পাশাপশি বার্সেলোনার হয়ে ৩৫টি প্রতিযোগিতামূলক ট্রফি জিতেছিলেন মেসি। ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবও তাঁরই পকেটে আসছে বলেও ফুটবল বিশ্বে খবর। দেশের হয়ে ৯৮টি গোল করে রেকর্ডের সামনে দাড়িয়ে রয়েছেন লিও। ১০০টি গোল করলেই তিনি হবেন তৃতীয় আর্জেন্টাইন, যিনি ১০০টি গোলের মালিক হবেন। স্বভাবতই মেসি প্রেমীরা উচ্ছসিত এই সাফল্যে।
লিওনেল মেসি (Lionel Messi), পেলে (Pele), মারাদোনার (Diego Maradona) পর সর্বকালের শ্রেষ্ঠদের মধ্যে পড়েন। হয়তো বিতর্ক হতে পারে, হয়তো আরও অনেক নাম উঠে আসবে। কেউ বলবেন তাহলে রুড গুলিতের নাম বা জিদান বাদ কীসে? কেন আসবে না রোনাল্ডো অর্থাৎ সিআর ৭-এর নাম। আরও এই গোত্রীয় অনেক অনেক নাম আছে নিশ্চই যাঁরা বিশ্ব ফুটবলকে (Football World Cup) সমৃদ্ধ করেছেন। তর্ক থাকুক। কিন্তু একটি বিষয় জানতে হবে, এই তিন কিংবদন্তি একাই একটি দল অর্থাৎ একাই দলকে টেনে নিয়ে ফাইনালে যেতে পারেন।
পেলের খেলা আজকের অনেকেই দেখেননি হয়তো। ওই সময়ে খেলার গতি আজকের মতো দ্রুতগামী ছিল না কাজেই পেলে গোলমুখে যেতে অসংখ্য ড্রিবল ডজ করে গোল করতেন। পেলের মতো দৃষ্টিনন্দন গোল খুব কম দেখা গিয়েছে। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিন বলেছিলেন যে, পেলে কোন দিক থেকে গোল করে দেবে বোঝাই যায় না। এই পেলে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের খেলোয়াড়।
মারাদোনা এই তিন জনের মধ্যে সব থেকে প্রতিভাবান। তিনি টিপিকাল স্ট্রাইকার ছিলেন না বরং এটাকিং মিডফিল্ডার ছিলেন। অসংখ্য গোল করেছেন বহু খেলোয়াড়কে কাটিয়ে এবং করিয়েছেন। মারাদোনা একাই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন বিশ্বকাপে তা বলে ফেলা যায়।
উল্লেখিত, দুই খেলোয়াড় আজ আর নেই, কিন্তু ফুটবল আলোচনায় নিয়মিত আছেন। মেসি এঁদের তালিকার অন্যতম। অসম্ভব পায়ের কাজ। যখন যে কোনও দিক থেকে আক্রমণে যেতে পারেন। ঠিকানা লেখা পাস ইত্যাদি তো আছেই সঙ্গে এ বছর দেখা গেলো অসম্ভব মনের জোর নিয়ে তিনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করলেন। এবারে কাতার বিশ্বকাপের শুরুতেই জানিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁর দেশ তথা দলের কোচ লিও স্কালোনির ইচ্ছা তিনি পরের বিশ্বকাপটিও খেলুন।
মনে রাখতে হবে ফুটবলে ৩৫/৩৬ বছর হয়ে যাওয়া মানে এবার খেলা ছাড়ো। মেসির বয়স এখন ৩৫, ৪ বছর পর ৩৯। অসম্ভব এই খেলা ধরে রাখা। ১৯৯৪ এ মারাদোনা এক প্রকার জোর করেই বিশ্বকাপ খেলেছিলেন, কিন্তু তাতে তাঁর বদনামই হয়েছিল। মেসি বুদ্ধিমান, অনেক বেশি পেশাদার এবং নিজের বিষয়টি বোঝেন ভালো। কাজেই কোচ যাই বলুন মেসিকে আর বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যাবে না।