শেষমেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনীতম ব্যক্তিকেও (World's Richest Man) ব্ল্যাকমেল! ইলন মাস্ককে গোপন ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে টাকা চাইতেন হলিউড (Hollywood) অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড (Amber Heard)। জনি ডেপ-কাণ্ডের পর এই অভিযোগে এখন সরগম হলিউড। এর আগে শোনা গিয়েছিল একইভাবে অ্যাম্বার তাঁর প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপকে হুমকি দিতেন এবং টাকা আদায়ের চেষ্টা করতেন। সেই অভিযোগের জল গড়িয়েছে কোর্ট পর্যন্ত। আদালতের রায় গিয়েছে জনি ডেপের পক্ষে। তবে ইলন মাস্কের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি সংক্রান্ত অভিযোগে শোরগোল নেট দুনিয়ায়।
ঘটনাটি কী? সূত্রের খবর, ইলন মাস্কের (Elon mask) কোনও গোপন মুহূর্তের ভিডিও করা আছে অ্যাম্বারের। আর সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করেন ইলনকে। জানা গিয়েছে, আদালতে মামলা চলাকালীন মাস্কের কাছ থেকে মামলার খরচও চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। না হলে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করার হুমকি দেন হার্ড। আর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন বিশ্বের প্রথম ধনকুবের।
উল্লেখ্য, এর আগে অ্যাম্বার তাঁর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন অভিনেতার নেশাগ্রস্ত অবস্থার ছবি ও ভিডিও তুলতেন বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়োগুলিই মানহানির মামলা চলাকালীন আদালতে ‘প্রমাণ’ হিসাবে দেখিয়েছিলেন অ্যাম্বার। এমনকি অ্যাম্বর হার্ড জনি ডেপকে নাকি প্রাণে মারতেও চেয়েছিলেন।
নতুন রেকর্ড গড়লেন গৌতম আদানি (Goutam Adani)। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি (World's 2nd Richest Man) হিসাবে উঠে এসেছে শিল্পপতি গৌতম আদানির নাম। বিশ্বের ধনী ব্যক্তির তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন এলন মাস্ক (Elon Mask)। ফোর্বস রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্নার্ড আর্নল্টকে (Bern Arnault) পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন আদানি। বিশ্বের প্রথম ১০ ধনকুবেরের তালিকায় রয়েছেন আরও এক ভারতীয়। বর্তমান ভারতে আদানিদের মূল প্রতিপক্ষ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ৬০ বছর বয়সী গৌতম আদানির মোট সম্পদ (নিট মূল্য) ১৫৫.৫ বিলিয়ন ডলার। বার্নার্ড আর্নল্টের মোট সম্পদও ১৫৫.২ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, টেসলার প্রধান এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এলন মাস্ক, যিনি তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন, তার মোট সম্পদ রয়েছে ২৭৩.৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেফ বেজোসের মোট সম্পদ ১৪৯.৭ বিলিয়ন ডলার।
২০২২ সালে আদানি গ্রুপের সম্পত্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গৌতম আদানি এবং এলন মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় থাকা অন্যতম যাদের সম্পদ গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে অনেকটাই। এই সময়ের মধ্যে আদানির মোট সম্পদ ৪.৯ বিলিয়ন বেড়েছে। এই বছরের জানুয়ারি থেকে আদানির সম্পদ বেড়েছে ৬০.৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
উল্লেখ্য, বর্তমান ভারতে সবথেকে ধনী গৌতম আদানি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুকেশ আম্বানি। ফেব্রুয়ারি মাসেই মুকেশ আম্বানিকে টপকে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন গৌতম আদানি। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আদানির সম্পত্তি বেড়েছে সাত হাজার কোটি ডলার।
বিশ্বের তৃতীয় ধনকুবের (Third Richest Person) এখন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। বলা যেতে পারে, ফের নিজের মুকুটে নয়া পালক জুড়লেন আদানি। প্রথম এশীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তৃতীয় স্থান নিজের নামে করে নিলেন তিনি।
বর্তমানে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথমে রয়েছেন টেসলা প্রধান এলন মাস্ক। তারপরই রয়েছেন জেফ বেজোস। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স (Bloomberg Index) জানাচ্ছে, ১৩৭.৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্টকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন আদানি।
দেশে আদানি এবং আম্বানির মধ্যে সর্বদা টক্কর লেগেই থাকে। কখনও উপরে থাকতেন আম্বানি। আবার কখনও আদানি। এ বছরের শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারি মাসে আম্বানিকে পার করে যান তিনি। এপ্রিল মাসে সম্পত্তির নিরিখে হন সেন্ট বিলিয়নিওর। সবশেষে অগাস্টে আরও একবার উত্থান হয় আদানির। অগাস্টে তিনি টপকে যান বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের বিল গেটসকে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রকাশিত ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ অম্বানি ১১ নম্বরে আছেন৷ তাঁর সম্পত্তি ৯১.৯ মার্কিন ডলার (৯ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার)৷ আদানি গ্রুপের এনার্জি, বন্দর, লজিস্টিকস, খনি, গ্যাস, প্রতিরক্ষা, এরোস্পেস এবং বিমানবন্দরের ব্যবসা রয়েছে৷ রিল্যায়ান্স ইনডাস্ট্রিজ এবং টাটা গ্রুপের পর ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প সংস্থা আদানি গ্রুপ ৷
ধনকুবের (Billionaire) রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা (Rakesh Jhunjhunwala) ৬২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস (Death) ত্যাগ করলেন। রবিবার সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে তিনি প্রয়াত হন। ঝুনঝুনওয়ালা ছিলেন ভারতের নতুন বাজেট এয়ারলাইন আকাসা এয়ারের (Akasa Air) সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ভারতীয় শেয়ার বাজারের 'বিগ বুল' নামে পরিচিত রাকেশের একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিন তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
'ভারতীয় বাজারের ওয়ারেন বুফে'ও বলা হয় তাঁকে। ফোর্বসের রিপোর্ট অনুসারে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫.৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন টুইট করে বলেন, “তাঁর মৃত্যু দুঃখজনক। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। ওম শান্তি।" তিনি আরও লেখেন, “রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা ছিলেন অদম্য প্রাণোচ্ছল একজন ব্যক্তি। বুদ্ধিমান এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি আর্থিক জগতে একটি অদম্য অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি ভারতের অগ্রগতি সম্পর্কেও খুব উৎসাহী ছিলেন।”
শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের একাধিক নেতা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টুইটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, “বিনিয়োগকারী, সাহসী, ঝুঁকি গ্রহণকারী, স্টক মার্কেট সম্পর্কে গভীর দক্ষ একজন নেতা। আমাদের বেশ কিছু কথোপকথন ভালোভাবে মনে আছে। ভারতের শক্তি ও সামর্থ্যের উপর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল তাঁর। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ।"
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের ৫ জুলাই হায়দরাবাদের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রাকেশের। পরে তাঁর বড় হয়ে ওঠা মুম্বইয়ে। ১৯৮৫ সালে স্টক মার্কেটে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করেছিলেন রাকেশ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টাকার অঙ্কটা বেড়ে হয় ১১ হাজার কোটি টাকা।