কাশ্মীরের সোনমার্গ এলাকায় থাজিওয়াস হিমবাহে আরোহণের সময় বিপদের মুখে পড়েছিলেন দুই পর্বতারোহী। রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে তাঁদের উদ্ধার করে শ্রীনগরে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় শ্রীনগর বায়ুসেনার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, দুই পর্বতারোহীর নাম হল জিশান মুস্তাক এবং ফয়জল ওয়ানি।
শ্রীনগরের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ফয়জল এবং জিশান যে বরফে আটকে গিয়েছিলেন। তাঁদের হেলিকপ্টার থেকে প্রথমে লক্ষ করা হয়। এরপর তাঁদের উদ্ধারের জন্য সেখানে হেলিকপ্টার নামানোর চেষ্টা করা হলেও সব চেষ্টা বিফল হয়। মুখপাত্র জানান, হেলিকপ্টার নামানোর জন্য কোনও ফাঁকা জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পর শ্রীনগর বায়ুসেনাকে খবর দেওয়া হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তাঁদের উদ্ধার করে। ভারতীয় বায়ুসেনা এএলএইচ এমকে ৩ হেলিকপ্টার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’জনকে উদ্ধার করে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন দুই পর্বতারোহীর মধ্যে এক জনের হাড় ভেঙেছে, দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকার কারণে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও তিনি চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় দুই পর্বতারোহীকেই শ্রীনগর বায়ুসেনার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।
ফের জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) গুলির (Shot) লড়াই। সেনার এনকাউন্টারে নিহত (Death) পাঁচ জঙ্গি (Terrorist)। শুক্রবার ভোর রাতে কুপওয়াড়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই সময় নিরপত্তাবাহিনী এবং পুলিসের যৌথ গোলাগুলিতে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর জোন পুলিস। এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান।
পুলিস সূত্রে খবর, উত্তর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জুমাগুন্ড এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় সেনা এবং পুলিসের যৌথ দল। সেই সময়ই শুরু হয় গুলির লড়াই।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, কুপওয়াড়ার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোখা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চলতি মাসের ১৩ জুন, কুপওয়াড়া জেলার ডোবানর মাচাল এলাকায় সেনাবাহিনী এবং কুপওয়াড়া পুলিসের যৌথ অভিযানে অন্তত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।
ফের কেঁপে উঠল (Earthquake) জম্মু ও কাশ্মীর। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট নাগাদ শুরু হয় প্রথম কম্পন। তারপর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চারবার কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। মঙ্গলবার মাঝরাতে ২ টো ২০ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। বুধবার সকালে ৭ টা ৫৬ মিনিট নাগাদ আবার কম্পন শুরু হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৫। এমনকি এর উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। তার আধ ঘণ্টা পরেই সকাল ৮টা ২৯ মিনিট নাগাদ আবার চতুর্থ ভূমিকম্প অনুভূত হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরপর অনুভূত হওয়া এই ভূকম্পন স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে মানুষের মনে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, চতুর্থবার অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎসস্থল কিশতওয়ারের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের জেরে ফাটল দেখা দিয়েছে বহু ঘরবাড়িতে। এমনকি এই ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত না হলেও আহত হয়েছেন চার জন।
কাশ্মীর (Kashmir) উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য় পেল নিরপত্তা বাহিনী। যৌথবাহিনীর গুলি বর্ষণে নিহত দুই জঙ্গি। মঙ্গলবার কূপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির (shot) লড়াইয়ে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, দোবানর এলাকার যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল।
কাশ্মীর উপত্য়কায় এর আগে বহুবার সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে জঙ্গিরা। তবে জঙ্গিদের হামলা চালানোর আগে থেকে সতর্ক সেনা সহ প্রশাসন। গত মাসে শ্রীনগরে জি২০ বৈঠকের আগে ধারাবাহিক ভাবে উপত্যকায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। লস্কর-ই-তইবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো পরিচিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি, ‘পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট’ ‘কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্স’ নামে ‘অপরিচিত’ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দলও হামলার কৃতিত্ব দাবি করে।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়ায় দেখা মিলল একটি বিমানের (Plane) আকারের বেলুন। শনিবার সকালে দেখতে পান স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, সাদা এবং কালো রঙের ওই বেলুনে পাকিস্তান বিমান সংস্থার ‘পিআইএ’-র (PIA) নাম লেখা। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হীরানগরে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে বেলুনটি উদ্ধার করে। কোথা থেকে বিমানটি এল তা খতিয়ে দেখছে তারা। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান, পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে উড়ে এসে পড়েছে বেলুনটি।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ‘রহস্যময়’ বেলুন উড়ে এসে পড়েছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শিমলায় আপেলের একটি বাগান থেকেও এরকমই বিমানের আকৃতির সাদা-কালো বেলুন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তাতে ঠিক একই রকমভাবে পাকিস্তান বিমান সংস্থার নাম লেখা ছিল। এছাড়াও গত বছর অক্টোবর মাসে ‘আই লাভ পাকিস্তান’ লেখা একটি হলুদ রঙের বেলুন কাঠুয়া থেকেই উদ্ধার করেছিল পুলিস। সেখানে অবশ্য় ইংরাজি এবং উর্দু দু’ভাষাতেই লেখা ছিল।
সাতসকালে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা (Bus Accident)। মঙ্গলবার সকালে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কাটরায় যাওয়ার পথে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি বাস। জানা গিয়েছে, বাসটি জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। পুলিস সূত্রে খবর, মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন সেই বাসটিতে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০ জনের ও আহত হয়েছেন প্রায় ৫৫ জন। আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জম্মু এসএসপি চন্দন কোহলি জানিয়েছেন, কাটরা থেকে ১৫ কিমি দূরে ঝাজ্বর কোটলি এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই বাসটি মূলত অমৃতসর থেকে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী যাচ্ছিল। সেসময়েই ঝাজ্বর কোটলি ব্রিজের উপর থেকে খাদে পড়ে যায় বাসটি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাসটিতে যাত্রীসংখ্যা বেশি ছিল। আর যে ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা।
জম্মু এসএসপি বলেছেন, 'এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন, আহত হয়েছেন ৫৫ জন। ঘটনাস্থলে এসডিআরআফ-এর টিম পৌঁছে গিয়েছিল। উদ্বারকার্য এখনও চলছে।' আরও জানা গিয়েছে, গুরুতর আহতদের জম্মুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ও বাকিদের স্থানীয় হেলথ কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্মেন্ট মনোজ সিনহা।
ফের ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir)। রবিবার ছুটির দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি (Delhi) ও আশেপাশের এলাকাগুলি। রিখটার স্কেলে জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৯। এখনও অবধি কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি বা নিহতের খোঁজ মেলেনি।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকাল ১১টা ২৩ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী ছিল সেই কম্পন। সূত্রের খবর, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কিছু অংশও কেঁপেছে। চণ্ডীগড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেবল দেশ নয়, আফগানিস্তানের ফৈজাবাদে রবিবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটর স্কেলে ৫.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের ফৈজাবাদ থেকে ৭৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২২০ কিলোমিটার গভীরে।
ফের কাশ্মীরে (Kashmir) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। এবার দুর্ঘটনাস্থল কিশ্তওয়াড়। সেখানকার গভীর খাদে পড়ে যায় একটি গাড়ি। এই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে অন্তত ছ’জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও চার জন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কিশ্তওয়াড়ের দাংদুরু বাঁধ এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে ছিলেন দাংদুরু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কর্মী। বাঁধ প্রকল্প এলাকার কাছেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি পড়ে যায় গভীর খাদে। দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে কিশ্তওয়াড় পুলিস জানিয়েছে, একটি যাত্রীবোঝাই গাড়ি খাদে পড়ে গিয়েছে। ওই কর্মীদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, কিশ্তওয়াড় এলাকা দুর্ঘটনাপ্রবণ। এর আগেও এই এলাকায় একাধিকবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি খাদে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
'দ্য কেরালা স্টোরি'-এর (The Kerala Story) পর এবারে ফের খবরের শিরোনামে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' (The Kashmir Files)। 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে মন্তব্য করার জের! এবারে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী আইনি নোটিস পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করে 'দ্য কেরালা স্টোরি' বাংলায় নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয়, তিনি ফের কাশ্মীর ফাইলস ছবি নিয়েও কিছু মন্তব্য করেছেন। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর দাবি, তিনি কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে কিছু মিথ্যা ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তাই ছবির প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল ও পল্লবী যোশীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন।
সোমবার দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দ্য কাশ্মীর ফাইলসের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছেন, 'এই ছবি সমাজের এক অংশকে অসম্মান করেছে। আর কেরালা স্টোরি কী? একটি বিকৃত কাহিনী।' এরপরেই এই মন্তব্যের কারণেই বিবেক অগ্নিহোত্রী আইনি পদক্ষেপ নিলেন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠালেন। শুধু তাই নয়, নোটিসে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে নিঃস্বার্থভাবে ক্ষমা চাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে ও ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাঁরা আইনি বন্দোবস্ত নেবেন বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।
আবারও দুর্ঘটনার মুখে জওয়ানদের গাড়ি। খাদে পড়ে গেল জওয়ানদের একটি অ্যাম্বুলেন্স (Army ambulance)। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে (Rajouri)। এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জওয়ানের (Jawans)। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন আরও ৩ জওয়ান। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই সেনা-অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায় বলে সেনা সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে খবর, নিহত দুই জওয়ান হলেন সুধীর কুমার ও পরমবীর শর্মা। হাবিলদার পদে কর্মরত সুধীর কুমার বিহারের বাসিন্দা এবং পরমবীর শর্মা রাজৌরির বাসিন্দা। গুরুতর জখম ৩ জওয়ান স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই সেনা-অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে সেনা অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছিলেন ৫-৬ জওয়ান। রাজৌরি জেলার কেরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। তারপর খবর পেয়ে পুলিস ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যায় এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্স ও আহত জওয়ানদের উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারর পর মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম এক জওয়ানের। বাকি ২ জন এখনও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে উত্তর সিকিমে একইভাবে রাস্তায় পিছলে গিয়ে খাদে পড়ে গিয়েছিল সেনা-জওয়ানদের একটি গাড়ি। সেই দুর্ঘটনায় ১৬ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৪ জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন।
'গর ফিরদৌস বার-রুয়ে জমিন অস্ত, হামিন আস্ত, হামিন আস্ত, হামিন আস্ত।' কাশ্মীরের সৌন্দর্য নিয়ে এই কথাগুলি লিখেছিলেন, আমির খুসরু। এর বাংলা তর্জমা, 'স্বর্গ বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে তা এখানেই, এখানেই, এখানেই।' এবার সেই ভূস্বর্গেই পা পড়ল রাজার অর্থাৎ কিং খানের (Shahrukh Khan)। আসন্ন সিনেমা 'ডানকি'র শ্যুটিংয়ের জন্য কাশ্মীরে (kashmir) গিয়েছেন তিনি। হোটেলে ঢোকার মুখে নিজেকে যথেষ্ট লুকোনোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শাহরুখ যেখানে ভক্তদের চোখও সেখানে।
ডানকির গোটা টিম-সহ কাশ্মীরের শোনমার্গে একটি হোটেলে উঠেছেন তিনি। হোটেলের উপরের তলা থেকে শাহরুখের হোটেলে ঢোকার মুহূর্ত বন্দী করেছেন তাঁরই এক ভক্ত। শাহরুখের সামনে পিছনে নিরাপত্তারক্ষীদের নিরাপত্তা বলয়। শাহরুখের পাশে দেখা গিয়েছে তাঁর ম্যানেজার পূজাকে। তাঁর সঙ্গেই কোনও একটি বিষয় নিয়ে বেশ হাসাহাসি করতে করতেই হোটেলে প্রবেশ করেছেন শাহরুখ খান। কাশ্মীরে গিয়েই ডানকির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, কিং খান। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন শাহরুখ ভক্ত।
Shah Rukh Khan spotted entering the hotel in Sonamarg 👑 pic.twitter.com/CL7CBwsv9d
— Aryan (@tumhidekhonaa) April 24, 2023
ডানকি সিনেমা পরিচালনা করছেন, পরিচালক রাজকুমার হিরানি। শাহরুখের পাশাপাশি সিনেমায় দেখা যাবে তাপসী পান্নুকে। এর আগে ডানকি প্রসঙ্গে শাহরুখ বলেছিলেন, 'সিনেমাটি পরিচালনা করছেন আমাদের দেশের অন্যতম উজ্জ্বল পরিচালক রাজু হিরানি। অসাধারণ লেখক অভিজিৎ যোশী এই গল্প লিখেছেন। এই তাঁদের গল্প যারা বাড়ি ফিরতে চায়।'
জাতীয় পুরস্কার (National Award) পেয়েও পেটের টানে চালাতে হচ্ছে অটো। অটোর এক আরোহীই তাঁকে চিনতে পেরে সেই কাহিনি লিখেছেন টুইটারে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরে (Kashmir)। জানা গিয়েছে, ওই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর (Artist) নাম সৈয়দ আইজাজ শাহ। পেপার ম্যাশ বা কাগজের মণ্ড থেকে শিল্পদ্রব্য তৈরির করার জাদুকর তিনি। ভারতের কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকও তো পুরস্কার দিয়েছে সৈয়দ আইজাজকে। বহু দেশে গিয়েছেন কাজ শেখাতে। এমনকি তাঁর নাম বেরিয়েছে দেশ-বিদেশের নানা সংবাদমাধ্যমে। তবে সময়ের যাঁতাকলে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল ওই শিল্পীর পরিচয়। তবে আইজাজ শাহের অটোর এক আরোহীই তাঁর পরিচয় আবার তুলে ধরলেন নেট দুনিয়ায়।
জানা গিয়েছে, ওই আরোহীর নাম আচাকজাই। তিনিই টুইটারে পরপর টুইট আর ছবি শেয়ার করে লিখেছেন শিল্পী সৈয়দ আইজাজ শাহের কথা। টুইটারে তিনি বলছেন, ‘‘আজকের যানজটের একমাত্র ভাল (আসলে দুঃখের) দিক হল, আমি একটা অটো নিলাম আর চালক সৈয়দ আইজাজকে চিনতে পারলাম। বহু পুরস্কার এবং প্রশংসাজয়ী শিল্পী। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও তাঁর কাজ সমাদৃত এবং পুরস্কৃত হয়েছে।’’
তিনি আরও লিখেছেন, 'কাশ্মীরে হস্তশিল্প থেকে আয় হয় সামান্যই। আইজাজ তা থেকে পরিবারকে টানতে পারেন না। পুরস্কার আর স্বীকৃতির চেয়ে টুক-টুক চালানোই এখন তাঁর কাছে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।' আচাকজাই লিখেছেন, 'আইজাজ চমৎকার মানুষ! এখনও উনি সকাল আর সন্ধেয় সময় বার করে ওঁর হাতের কাজ নিয়ে বসেন। দিনে অটো চালান। সন্ধেয় ডুবে যান রঙের জগতে। অসমাপ্ত ম্যুরাল আর অবশিষ্ট স্বপ্নের জগতে।'
তবে এখন কাশ্মীরের পেপার-ম্যাশ শিল্পের অবস্থা সামগ্রিক ভাবেই খারাপ। অনেক শিল্পীই কাজ ছেড়ে কেউ অটো চালাচ্ছেন, কেউ আবার সেলসের কাজ করছেন। আইজাজ নিজেও এই বিষয়ে বলছেন, 'আর পাঁচ-দশ বছরের বেশি আয়ু নেই এই শিল্পের। অনটনে সবাই একে একে কাজ ছাড়ছে। তকদীর বনি, বনকর বিগড়ি, দুনিয়া নে হমে বরবাদ কিয়া।'
২০১৯-র পুলওয়ামা হামলা নিয়ে তাঁর মন্তব্যে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। লোকসভা ভোটের আগে সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধী অস্ত্রে শান দিচ্ছে কংগ্রেস। এবার সেই প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে সিবিআই নোটিস। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য রিলায়েন্স বিমা মামলা নিয়ে তাঁকে আগামী ২৮ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সেই মর্মেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এক সংবাদ সংস্থাকে সত্যপাল জানিয়েছেন, সিবিআই তাঁকে এজেন্সির আকবর রোডের অতিথিশালায় আসতে বলেছে। তদন্তকারী সংস্থা কিছু বিষয়ে তাঁর খোলসা বক্তব্য চায়। যদিও এই সিবিআই তলবকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে একটি ট্যুইটও করেছেন জাতীয় কংগ্রেস।
জোরালো বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে উঠল আন্তর্জাতিক সীমান্ত। জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ঘটনাটি ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় সানিয়ালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাশ্মীর পুলিস এবং সেনাবাহিনী।
পুলিস সূত্রে খবর, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের ডিজি মুকেশ সিংহ। স্থানীয়দের দাবি, ড্রোনে করে সীমান্তের ওপার থেকে আইইডি পাচার করা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিস্ফোরক নীচে পড়ে গিয়ে ফেটে গিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সানিয়াল গ্রামের এক বাসিন্দা রামলাল কালিয়া বলেন, 'রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিকট একটা শব্দ পেয়ে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে আসেন বাইরে। জোরালো বিস্ফোরণের আওয়াজ বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে আওয়াজ এলো তা বোঝা যাচ্ছিল না। বিস্ফোরণ হয়েছে অনুমান করা হচ্ছিল। একটি চাষের জমিতে বিস্ফোরণ হওয়ায় বিশাল বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।'
কাঠুয়ার এসএসপি শিবদীপ সিংহ জামওয়াল জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায়। বম্ব স্কোয়াডকেও ডাকা হয়। তারা এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই বিস্ফোরণ, তা নিয়ে তল্লাশি চলছে।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) অর্থনীতিতে তুমুল পরিবর্তন আনাতে চলেছে চন্দ্রভাগা নদীর উপর নির্মিত চেনাব ব্রিজ (Bridge), ঘোষণা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnav)। রবিবার রেলমন্ত্রী বলেন, কেবল পর্যটকদের জন্য়ই এই সেতু নয়, এর মাধ্য়মে জম্মু-কাশ্মীরের আপেল,শুকনো ফল (Dry Fruits), জাফরন ছাড়াও নির্মাণ শিল্পের জন্য় দরকারি সামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় পণ্য় কাশ্মীরে পৌঁছে দিতে নতুন রেললাইন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এছাড়াও তিনি জানান, কাশ্মীরে পণ্য ওঠানামার জন্য নতুন চারটি গতিশক্তি টার্মিনাল নির্মাণ ছাড়াও বদগামে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস রক্ষণাবেক্ষণের ডিপো তৈরির কথা। রেলকর্মীদের দাবি, ওই সেতু তৈরি হওয়ায় সংলগ্ন এলাকার ৭৩টি পাহাড়ি গ্রামের ১.৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জানা গিয়েছে তাপমাত্রা, ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি বিস্ময়সেতুটি প্রায় ২৬৬ কিলোমিটার গতিবেগের বায়ুপ্রবাহ সহ্য় করতে পারে।
উল্লেখ্য়,ভৌগলিকভাবে অত্য়ন্ত প্রতিকূল পিরপঞ্জাল পর্বতশ্রেণীর মধ্য়ে ইউএসবিআরএল প্রকল্পের আওতায় জম্মুর রিয়াসি জেলার কৌরি ও বাক্কালের মধ্য়ে তৈরি হয়েছে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর সেতু। যেহেতু ওই সেতুর দু’পাশে গিরিখাত রয়েছে, ফলে সেখানে পৌঁছতে সময় লেগেছে প্রায় ছ’বছর। খাড়া পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে ২৬ কিলোমিটার রাস্তা। আর সড়কপথে যাতায়াতের জন্য ৪০০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খনন করেছে। সাধারণভাবে সেতুর উপর দিয়ে সর্বাধিক ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে।