ফের বড় সাফল্য পেল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস (Jammu Kashmir Police)। শনিবার পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের (Pakistani Terrorist)একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে। কাঠুয়া জেলার বিল্লাওয়ার এলাকা থেকে তিনটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং স্টিকি বোমা (sticky bombs) উদ্ধার করেছে কাশ্মীরি পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ২ অক্টোবর কাঠুয়া থেকে গ্রেফতার করা জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম) সন্ত্রাসীর প্রকাশের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশি চলাকালীন উদ্ধার হয় বিস্ফোরক, স্টিকি বোমা। জানা গিয়েছে, পুলিস উচ্চ বিস্ফোরক, তিনটি স্টিকি বোমা, তিনটি ডেটোনেটর উদ্ধার করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাঠুয়ার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিস (এসএসপি) আরসি কোতওয়াল বলেছেন, "কাঠুয়ার মালাড বিল্লাওয়ারের বাসিন্দা প্রাক্তন সন্ত্রাসী জাকির হুসেন ভাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন জানা যায়, তিনটি স্টিকি বোমা, তিনটি ডেটোনেটর, একটি রিমোট কন্ট্রোল এবং বিস্ফোরকের জন্য ব্যবহৃত উপাদান যা একটি ব্যাগে ভরে বিল্লাওয়ারের মালাড এলাকায় একটি গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।"
কাঠুয়ার এসএসপি আরও বলেছেন যে, পুলিস একটি বড় দুর্ঘটনা এড়াতে পেরেছে। এই জাতীয় সামগ্রী উদ্ধার না করলে ঘটতে পারৎ যে কোনও বড় বিপদ। কারণ উৎসবের মরসুম চলছে। বিস্ফোরকটি যে কোনও জায়গায় ব্যবহার করত।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস জাকিরকে ২ অক্টোবর বিল্লাওয়ার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবং পুলিস তার কাছ থেকে একটি স্টিকি বোমা এবং ২০,০০০ টাকা উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্য তদন্ত সংস্থা (এসআইএ) বলেছিল যে, পাকিস্তানি মাস্টারমাইন্ড অর্থাৎ পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এবং নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র করছে। সেই মতো তল্লাশির সময় অপরাধমূলক সামগ্রী, মোবাইল ফোন এবং তদন্তে থাকা অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনায় নয়। বারামুলায় আয়োজিত এক জনসভায় স্পষ্ট জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, 'উপত্যকার ঘাঁটি থেকে সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটন করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গা বানাতে চাই।' কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিচ্ছেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষের সুরে শাহ বলেন, 'যারা ৭০ বছর ধরে রাজত্ব করেছে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে বলে। আমরা কেন পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলব? আমরা কথা বলব না। আমরা বারামুলাবাসীর সঙ্গে কথা বলব। আমরা কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে কথা বলব।'
জনসভা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেস এবং সে রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা-মুফতিদেরও নিশানা করে। তাঁর দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে কাশ্মীরে উন্নয়ন হয়নি। তার জন্য দায়ী আবদুল্লা-মুফতি এবং নেহরু-গান্ধীরা। শাহের কথায়, 'চারটে মে়ডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছিলেন মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লা। ২০১৪ সালের পর থেকে আমরা ন’টা মেডিক্যাল কলেজ করেছি। এক লক্ষ বাড়ি বানিয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের সব গ্রামে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করেছি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সম্ভবত বছর ঘুরলেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। তাই সেই ভোটে পালে হাওয়া পেতে এখন থেকেই জমি তৈরি রাখছেন অমিত শাহ।
উপত্যকায় (Kashmir) কাজ করতে গিয়ে জঙ্গিদের নিশানায় পড়েছেন বাংলার শ্রমিক। ঘটনার দু’সপ্তাহের মধ্যে হামলাকারী দুই জেহাদিকে নিকেশ করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) রাজধানী শ্রীনগরের উপকণ্ঠে নওগাম এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ভূস্বর্গের নওগাঁয় সেনা এবং কাশ্মীর পুলিসের যৌথ অভিযানে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি (Terrorist)।
এই দুই জঙ্গি চলতি মাসের শুরুতে পুলওয়ামায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের উপর হামলা চালিয়েছে। কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, নওগাঁ এলাকায় লুকিয়ে থাকা ওই জঙ্গিরা আচমকাই টহলদারি বাহিনীর উপর হামলা করে। আর সেই সময় ওই এলাকায় সেনা এবং পুলিস যৌথ অভিযান চালায়। তারপরই সেনা ও জঙ্গির গুলির লড়াই শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর খতম হয়েছে দু’জন। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। তথ্য অনুযায়ী, একটি একে রাইফেল, দু’টি পিস্তল, কিছু গুলি-বোমা উদ্ধার করা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের নাম আইয়াজ রসুল নজর এবং আরেকজন শাহিদ আহমেদ ওরফে আবু হামজা। দুই জেহাদিই আনসার গাজওয়াত উল হিন্দ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এটি আল কায়দারই একটি শাখা সংগঠন।
কাশ্মীর পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুই জঙ্গি একাধিক হামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে গত ২ সেপ্টেম্বরে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের উপর হামলাও রয়েছে। মূলত সেই জঙ্গি হামলায় আহত শ্রমিকের নাম মনিরুল ইসলাম। উনি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের দীঘলগাঁওয়ের বাসিন্দা। উপত্যকায় কাজ করতে গিয়ে জেহাদিদের গুলির শিকার হন তিনি।
ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্প্রতি একটি ভিডিও (Video) শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) উরিতে (Uri) নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে।
সেনা কর্মকর্তাদের মতে, বৃহস্পতিবার উরি সেক্টরের কমলকোট এলাকায় মাদিয়ান নানক পোস্টের কাছে তিনজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর ইলেকট্রনিক নজরদারি গ্যাজেট দ্বারা তাদের সনাক্ত করা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন ভারতীয় সেনারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভারতীয় সেনা সদস্যরা হামলা চালানোর আগেই সতর্ক হয়ে যান। এরফলে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন। তাতে নিহত হয় জঙ্গিরা।
শ্রীনগর-ভিত্তিক পিআরও, প্রতিরক্ষা, কর্নেল এমরন মুসাভি বলেছেন, সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশের জন্য ঘন গাছপালা, ঝরা পাতা এবং বৃষ্টিপাত এবং নিম্ন মেঘের আবরণ ব্যবহার করার আশা করছিল। কিন্তু তা কোনটাই সফল হয়নি।
উল্লেখ্য, গুলির লড়াইয়ে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। এছাড়া দুটি একে রাইফেল, একটি চাইনিজ এম-১৬ রাইফেল সহ অন্যান্য যুদ্ধের মতো স্টোর উদ্ধার করা হয়েছে।
জোড়া ভূমিকম্পে (earthquake) বৃহস্পতিবার কেঁপে উঠেছিল ভূস্বর্গ। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের শুক্রবার সকাল সাড়ে ৩টের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ৩.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে এখনও অবধি কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির (no damage) খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার অব সিসমোলজির রিপোর্ট অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জম্মু কাটরা এলাকার ৬২ কিলোমিটার পূর্ব- উত্তর পূর্বে। ভূপৃষ্ট থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল ছিল।
অন্যদিকে, একই দিনে মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরের কাছে ৩.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এই খবর জানায়। মহারাষ্ট্রেও ভূমিকম্পের কারণে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
জোড়া ভূমিকম্পে (earthquake) কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। বুধবার গভীর রাতে ৪.১ ও ৩.২ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে ভূস্বর্গে। তবে এখনও অবধি কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির (no damage) খবর পাওয়া যায়নি।
ন্যাশনাল সেন্টার অব সিসমোলজির রিপোর্ট অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জম্মু কাটরা এলাকার ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। ভূপৃষ্ট থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল ছিল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ছয়টি ভূমিকম্পে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেঁপে উঠলেও সেখানে কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির হয়নি বলেই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরা, ডোডা, উধমপুর এবং কিশতওয়ার জেলায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বারবার ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়া জেলার হীরানগর এলাকায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (BJP Leader) এক নেতার মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। গাছ থেকে ঝুলন্ত (hanging) অবস্থায় পাওয়া যায় সোম রাজের (Som Raj) দেহ। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই নেতা। তাঁর পরিবার ও বিজেপির অন্য নেতাদের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে।
এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, হীরানগর শহরের এক গ্রামবাসী সকালে বিজেপি নেতার দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীরে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান। ইতিমধ্যে পুলিস মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
সোম রাজের পরিবারের অভিযোগ, তিনি আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে সোম রাজের বাড়িতে পৌঁছে বহু বিজেপি নেতা তাঁর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।
২০২২-এর শুরুতে দেশব্যাপী চর্চার বিষয় হয়েছিল 'দা কাশ্মীর ফাইলস' ছবি (The Kashmir Files)। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়িত হওয়ার কাহিনী এই গল্পের চিত্রনাট্য। এই ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রি (Vivek Agnihotri) সাম্প্রতিক নানা ইস্যুতে মন্তব্য করেন। বলিউডি (Bollywood) স্বজনপোষণ নিয়ে যখন ইন্ডাস্ট্রি উত্তাল হয়ে বাজার গরম হয়েছে, তখনই সক্রিয় হয়েছেন বিবেক। সম্প্রতি দা কাশ্মীর ফাইলসের পরিচালক একটি দীর্ঘ লেখা টুইট করেছেন। সেই ট্যুইটে বলিউডের অন্ধকার দিক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। প্রদীপের নিচে যে অন্ধকার। সেটাই তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে।
তাঁর মতে, 'বলিউড শুধু প্রতিভা প্রকাশের জায়গা নয়, প্রতিভা বিসর্জনেরও জায়গা। উচ্চাশা নিয়ে প্রতিদিন তরুণ মুখ ভিড় করে টিনসেল টাউনে বলিউডে। কিন্তু তারপরই প্রত্যাশার চাপে খড়কুটোর মতো ভেসে যায় তাঁরা।'
হাতে সামান্য অর্থ এলেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তরুণ প্রতিভারা। সেই নেশায় বুঁদ হয়ে প্রতিভার জলাঞ্জলি দেন তাঁরা। যত বেশি মাদক, তত বেশি অর্থ। আর মাদক আর অর্থের এই সামঞ্জস্য বজায়ে দুষ্টচক্রে জড়িয়ে পড়েন অনেকে। লক্ষ্য থেকে সরে যান তাঁরা।
এভাবেই বলিউডে কীভাবে তরুণ প্রতিভাকে হারিয়ে যেতে দেখেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রি। সেই গল্পই তাঁর লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি মাদকের সঙ্গে বলিউড যোগসূত্র নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অনেকে। সেই তালিকায় একদম প্রথম দিকে নাম কঙ্গনা রানাউতের। সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যুর পর বলিউডের সঙ্গে মাদক যোগ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বলিউডের একাধিক হেভিওয়েটের নাম। সম্প্রতি মাদক-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে পরে ক্লিনচিট পান শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গ আবার উসকে দিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রি।
বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের! বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) হৃদেশ কুমার (Hirdesh Kumar) ঘোষণা করেছেন, কর্মচারী, ছাত্র, শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা যে কেউ, যাঁরা সাধারণভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাস করছেন, কিন্তু স্থানীয় নন (Non-locals), তাঁরা ভোটার তালিকায় (voting list) নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে সরব হয়েছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি।
তিনি আরও বলেছেন, বহিরাগতদের ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের কোথাও নিজ আবাসন থাকার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও, যাঁরা বিভিন্ন সীমান্তে, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং রয়েছেন, তাঁরাও ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করতে পারেন। তিনি আরও জানান, এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথমবার নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এই বছর সম্ভবত নির্বাচন হচ্ছে না কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে।
বছরের শেষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Vote) ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। নির্বাচন প্রচার কমিটির সভাপতি পদ ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)। মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইস্তফা দিলেন আজাদ। আর আজাদের এই পদক্ষেপের পরেই ইস্তফার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী হিসেবে উপত্যকায় পরিচিত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস চলছে উপত্যকায়। আর জম্মু-কাশ্মীরের একদা শাসক দল কংগ্রেস সেখানে নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশে সাত বছর প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা মীর জুলাইয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী। আর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবিকে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।
এদিকে, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য গুলাম নবি আজাদ। বহুবার সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের আবেদন করেছেন আজাদ। সেই আবেদন পত্রে সই ছিল বাকি বিক্ষুব্ধ নেতাদের। একটা সময় গুঞ্জন রটেছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গুলাম নবি আজাদকে প্রার্থী করতে পারে এনডিএ শিবির।
কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থীপদ এবং জয়লাভ।
কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ানের (Shopian) একটি আপেল বাগানে অতর্কিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা (Terrorist Attack)। এই হামলায় নিহত (Death) হয়েছেন একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং আহত আরও এক। দু'জনেই কাশ্মীরি পণ্ডিত বলে জানিয়েছে পুলিস। সন্ত্রাসী হামলায় মৃত ব্যক্তির নাম সুনীল কুমার। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর ভাই পিন্টু কুমার।
জানা গিয়েছে, শোপিয়ানের ছোটিপোরা এলাকার একটি আপেল বাগানে জঙ্গিরা নিরীহ নাগরিকের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিবিদ্ধদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মীর পুলিস টুইট করে জানিয়েছে, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। কারা এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখছে যৌথ বাহিনী।
উল্লেখ্য, সোমবার স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে শ্রীনগরে কাশ্মীর পুলিসের কন্ট্রোল রুম লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। গ্রেনেডের আঘাতে আহত হন এক পুলিসকর্মী। একজন সাধারণ নাগরিকও ঘটনায় আহত হয়েছেন। আপাতত দু'জনেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এলাকায় চলছে তল্লাসি।
জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ভারতীয় সেনা জওয়ানদের একটি বাস। মঙ্গলবার ওই যাত্রীবাহী বাসে ৩৭ জন আইটিবিপি জওয়ান ও দুই পুলিসকর্মী ছিলেন। চন্দনওয়াড়ি থেকে পহেলগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিল সেনা বোঝাই বাসটি। রাস্তা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে নদীর ধারে গড়িয়ে পড়ে বাসটি। দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ছয়, জখম বহু বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের ফ্রিসলানে ব্রেক ফেল হয় বাসের। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে রওনা দেয় ১৯টি অ্যাম্বুল্যান্স। সূত্রের খবর, জওয়ানরা অমরনাথ যাত্রায় কর্তব্যরত ছিলেন। সেই ডিউটি সেরে চন্দনওয়ারি থেকে পহেলগাঁওয়ে ফিরছিল বাসটি। সে সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্রিসলানে রাস্তার ধারে নদীতে গিয়ে পড়ে বাসটি। মৃত জওয়ানদের দেহ পহেলগাঁও সিভিল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় সামান্য আহত তিনজনের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ের মহকুমা হাসপাতালে। বাকি জখমদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কাশ্মীর জোন পুলিসের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে চন্দনওয়ারির কাছে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। ছয় আইটিবিপি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) চন্দ্রভাগা নদীর (Chenab River) উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু (world's highest railway bridge)। এই সেতুর সোনালি জয়েন্ট (golden joint) উদ্বোধন করা হয়েছে শনিবার। ইস্পাতের তৈরি এই রেলসেতুটি তৈরি করছেন ভারতের প্রকৌশলীরা। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার উঁচু এই রেলসেতু। ভারতীয় রেলের এক কর্মকর্তা জানান, ৩৫৯ মিটার বা ১ হাজার ১৭৭ ফুট উঁচু এবং এক হাজার ৩১৫ কিমি লম্বা এই রেলসেতু দিয়ে জম্মু থেকে বারমুল্লা যেতে সময় লাগবে সাড়ে ছয় ঘণ্টা।
জানা গিয়েছে, ২৪ হাজার টন বা তারও বেশি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতু তৈরি করতে। ১,৩১৫ কিমি দীর্ঘ এই সেতু এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সবরকম প্রতিকূল আবহাওয়াতে টিকে থাকতে পারে। হিমাঙ্কের নীচে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা ঘণ্টায় ২৬০ কিমি বেগে ঝড় হলেও, সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।
২০০২ সালে এই রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেতুর উচ্চতম স্থানে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০০৮ সালে আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।
আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়েই কাশ্মীরে রেল চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ওই সেতু তৈরি হলে যে কোনও আবহাওয়াতেই বাইরের রাজ্যগুলির সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ চালু থাকবে।
ভূতত্ত্ব, কঠোর ভূখণ্ড এবং প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের। Afcons-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিরিধর রাজাগোপালান বলেন, "আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, গোল্ডেন জয়েন্টের কাজ শেষ হওয়ার পরে সেতুটি প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পূর্ণ হবে।"
ফের রক্তাক্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) সেক্টর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পরগল এলাকার সেনা ঘাঁটিতে একটি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় (terrorist attack) শহিদ হয়েছেন তিন সেনা জওয়ান (Army)। আহত আরও তিন। নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে খতম হয়েছে তিন জঙ্গি।
জানা গিয়েছে, ওই সেনা বেসের অপারেটিং ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এবং সেনা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল দুই জঙ্গি। সেনা জওয়ানরা দেখতে পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে গুলি করে খতম করেন তাদের। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খবর, এখনও আশপাশে জঙ্গিদের তল্লাশি চলছে। জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেনারা।
জম্মু জোনের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার মুকেশ সিং বলেছেন, হামলায় কয়েকজন সেনা কর্মীও আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা আধিকারিকরা এলাকাটি ঘেরাও করে রেখেছেন এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত টিম পাঠানো হয়েছে। ওই তিন জঙ্গি সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা চালাতে এসেছিল। কিন্তু সেনার সতর্ক প্রহরায় তা সফল হতে পারেনি। নয়তো বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। এই জঙ্গিরা আত্মঘাতী (ফিদায়েঁ) বাহিনীর বলেই অনুমান।