বৌদি সহ দুই ভাইপোকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গুমলা জেলার লুংটু গ্রামের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, দাদার মৃত্যুর পর ১১ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন দাদার স্ত্রী অর্থাৎ বৌদি পুনম কান্ডুলনা। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, ওই টাকার ভাগ দেওয়ার জন্যই বৌদিকে চাপ দেওয়া শুরু করেন দেওর এনোসের। আর তাই নিয়ে পরিবারে নিত্য দিন অশান্তি লেগেই থাকত বলেই পুলিশের দাবি। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিন ধরেই পুনম এবং তাঁর সন্তানদের দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা পঞ্চায়েতে খবর দেয়। পঞ্চায়েত থেকে ডেকে পাঠানো হয় দেওর এনোসকে। এমনকি পঞ্চায়েতের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিসকেও।
পুলিস সূত্রে খবর, এনোসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। এই ঘটনায় পুলিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দিন রাতে পুনম এবং এনোসের মধ্যে বচসাও হয়। বচসার জেরে এনোস কুড়ুল দিয়ে পুনমের মাথায় জোরে আঘাত করতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মায়ের খুন হওয়ার ঘটনাটি দেখে ফেলে পুনমের দুই ছেলে। তাই প্রমাণ লোপাট করতে দুই শিশুকেও পিটিয়ে খুন করেন এনোস। এনোস পুলিসকে জানিয়েছেন, খুনের পর বাড়ির পিছনে গর্ত খুঁড়ে তিনটি দেহ পুঁতে দেন তিনি। তবে এনোসের সহযোগিতায় বাড়ির পিছন থেকে ওই তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়, দাবি পুলিসের।
এক ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে তাঁরই পুরনো বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদে। ঘটনার তদন্তে সুদামহিদ (Sudamdih police) থানার পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা বৃদ্ধা ধানবাদের সুদামদিহ এলাকার বাসিন্দা। তিনি চোখে দেখতে পান না।
নির্যাতিতার ছেলের অভিযোগ, অভিযুক্তর বাড়িতে এক সময় ভাড়া থাকতেন তাঁরা। কয়েক মাস আগেই সেই বাড়ি ছেড়ে সুদামদিহ এলাকায় চলে এসেছেন। সোমবার সুদামহিদ এলাকায় নিজের বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা। সেই সময়ই বাড়িতে ঢুকে পড়েন ৫৫ বছরের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। বাড়িতে ঢুকে ওই মহিলাকে নির্যাতন করেন, এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনার পরেই বুধবার থানায় ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার আত্মীয়রা।
সুদামদিহ থানার অফিসার-ইন-চার্জ প্রদীপ রানা জানান, অভিযোগ করার পর থেকেই ফেরার ওই ব্যক্তি। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাত শিশুকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চতরা জেলায়। শিশু বিক্রির খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস (Police)। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় জড়িত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম আশা দেবী। তিনি এক শিশুপুত্রের জন্ম দেন। প্রসবের পরেই তিনি পুত্র সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেন ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।
পুলিস জানায়, উদ্ধার করা হয়েছে শিশুকে। প্রথমেই অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকেই ডিম্পল দেবী নামে অন্য এক মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাকি ১১ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
সাব-ডিভিশনাল পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বোকারো থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিহারের হাজারিবাগের এক যুগলের সঙ্গে শিশুটি কেনার জন্য সাড়ে চার লক্ষ টাকায় চুক্তি হয়েছিল। ১ লক্ষ টাকা শিশুটির মাকে দেওয়া হয়েছিল এবং বাকি টাকা ভাগ হয়েছিল অন্য অভিযুক্তর মধ্যে।
বাড়ির উপর আছড়ে (Plane Crash) পড়ল একটি গ্লাইডার বিমান, এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমধ্যমে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদে। যদিও ঘটনায় বিমানের পাইলট ও এক সওয়ারি গুরুতর জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ধানবাদের (Dhanwad) বারওয়াডা বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল বিমানটি। ওই বিমানে পাইলট ছাড়াও কুশ সিংহ নামে বছর চোদ্দর এক কিশোর ছিল। পুলিস সূত্রে খবর, ধানবাদে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল কুশ। বারওয়াডা বিমানবন্দর থেকে ওই ছোট বিমানে চেপেছিল সে। তারপরই এমন ঘটনা।
धनबाद -ग्लाइडर क्रैस का लाइव वीडियो आया सामने...उड़ान भरने के बाद ही क्रैश हो गया था ग्लाइडर...#Dhanbad #Jharkhand pic.twitter.com/WzO0sJKuaE
— FirstJharkhand (@firstjharkhand) March 24, 2023
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বিমানটি ওড়ার পরই বিমানের প্রপেলার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এই অবস্থাতে পাইলট বিমানটিকে সুরক্ষিতভাবে অবতরণের চেষ্টা চালান। কিন্তু তিনি অসফল হন। ফলে বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর ৫০০ মিটারের মধ্যেই বিরসা মুন্ডা পার্কের কাছে নীলেরশ কুমার নামের এক ব্যক্তির বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। তবে নীলেশের পরিবারের কেউই আহত হননি। বিমানটি গোত্তা মেরে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ার ফলেই পাইলট এবং সওয়ারি গুরুতর আহত হন।
চার মাসের এক শিশুকে পায়ের তলায় পিষে মারার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল পুলিসের (Police) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গিরিডি জেলায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিস। তবে ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)।
জানা গিয়েছে, গিরিডি জেলার কোসোগন্ডদিঘি গ্রামে শিশুটির ঠাকুরদা ভূষণ পাণ্ডের নামে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হওয়ায় তাঁকে ধরতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল পুলিস। পুলিসকে দেখে ভূষণের পরিবারের সদস্যরা তাড়াতাড়ি পালাতে গিয়ে চার মাসের নাতিকে বাড়িতেই ফেলে যান।
শিশুটির মার অভিযোগ, পুলিস বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালায়। তখনই একটি ঘরের মেঝেতে শোয়ানো ছিল তাঁর চার মাসের সন্তান। বাড়িতে ফিরে শিশুটির নিথর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তকে ধরতে না পেরে শিশুটিকেই পায়ের তলায় পিষে মেরেছে পুলিস। এলাকাবাসীদের দাবি, ভূষণকে ধরতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিসবাহিনী। সেই সময় শিশুটিকে বাড়ির মেঝেতে শোয়ানো ছিল। তখনই পুলিসবাহিনীর পায়ে তলায় চাপা পড়ে যায় শিশুটি। পুলিসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।
গিরিডি জেলার পুলিস সুপার সঞ্জয় রানা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যা গুপ্ত বলেন, “এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যদি কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”
হোলির দিন (Holi Utsav) মদ্যপান করে থানার ভিতরে গান চালিয়ে নাচতে আরম্ভ করে দেন পাঁচজন পুলিসকর্মী। সেই নাচের ভিডিও (Viral Video) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বড়সড় শাস্তির মুখে ওই পাঁচ পুলিসকর্মী। বুধবার ঝাড়খণ্ডের মহাগামা থানার এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল। তাঁদের এই ফুর্তির কথা কেউ হয়তো জানতো না, যদি না নাচের ভিডিও ভাইরাল হতো। জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ জন পুলিসকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন (Jharkhand Government)। পাঁচজনের মধ্যে ৩ জন কনস্টেবল, ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর ছিলেন।
ন্যক্কারজনক কাজের জন্য ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডির কড়া সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল করেছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার।
এ যেন কোনও সিনেমার সিন। একটি যুবক অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নিজের খেয়ালে। আচমকা একটি স্কুটি করে ছিনতাইবাজরা (Robber) এসে তাঁর রাস্তা আটকাল। এরপর যুবককে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। প্রথমেই ব্যাগ থেকে মোবাইলটি বার করে নিতে যাবে, তখনই বছর ২২-এর ওই যুবক বাধা দেয়। তারপর শুরু হয় অ্যাকশন সিন। ছিনতাইবাজরা ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে না পেরে যুবককে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকেন এলোপাথারি। আর তাতে গুরুতর আহত হন যুবক। এই ঘটনাটি বাস্তবে ঘটেছে গুরুগ্রামের (Gurugram) সেক্টর নয় চক এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল। আহত অবস্থায় যুবককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাণ সংশয়-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যুবককে বাঁচাতে চিকিৎসকরা কিডনি বাদ দেন। প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন। এরপর পথচারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারেন, ওই যুবকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোয়। ছেলের এমন দুর্ঘটনার কথা শুনে গুরুগ্রামে ছুটে আসেন বাবা। তাঁকে চিকিৎসকরা জানান, আয়ুষের জীবন বাঁচাতে হলে তাঁর বাম দিকের কিডনি বাদ দিতে হবে। সূত্রের খবর, যকৃতেও ভয়ঙ্কর আঘাত পেয়েছেন যুবক। উল্লেখ্য, কাজের সূত্রে কয়েক মাস আগে গুরুগ্রামে এসেছিলেন যুবক। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে এক নাবালক।
ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) তোপচাঁচি চকের গোমো রোডে। বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য এসএনএমসিএইচে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তির বাইকের টুল বক্স থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটে। ওই ব্যক্তি তাঁর বাইকের টুল বক্সে বোমা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বাইকটি বাজারের মধ্যে রেখে বাজারে সবজির দোকান থেকে সবজি কিনছিলেন, তখনই বোমা বিস্ফোরিত হয়। বোমা বিস্ফোরণের কারণে বাইকে করে আসা ওই ব্যক্তিও গুরুতরভাবে আহত হন। এছাড়া এক মহিলা সহ তিন সবজি বিক্রেতাও আহত হয়েছেন। আহত চারজনকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সকলের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে, তবে একজন মহিলার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনার জেরে পুরো এলাকা সিল করে দিয়েছে পুলিস। পুলিস ঘটনাটির তদন্ত করছে। বোমা বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বাইক সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে যার বাইকে বোমাটি রাখা হয়েছিল তার অবস্থার একটু উন্নতি হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিস। এই ঘটনার তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে তার ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
বাগনানে (Bagnan) ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী (Jharkhand Actress Murder) হত্যাকাণ্ডে ধৃত স্বামী প্রকাশ কুমারকে জেরা করে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিস। শুক্রবারও ফরেনসিক দল (Forensic Team) ঘটনাস্থলে গিয়েছে, ছিলেন এসডিপিও এবং বাগনান থানার ওসি। ঘটনাস্থল সংলগ্ন জঙ্গল ঘুরে দেখা হয়েছে, সাহায্য নেওয়া হয় মেটাল ডিটেক্টরের। বৃহস্পতিবার প্রকাশ পুলিসি জেরায় জানিয়েছেন, ছবি প্রযোজনার স্বার্থে বাজারে প্রচুর টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল। সেই টাকা কীভাবে শোধ দেবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল। এই নিয়েও স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি হতো প্রকাশের।
তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, রিয়া কুমারীর নামে মোটা টাকার জীবন বীমা রয়েছে। যার নমিনি স্বামী প্রকাশ কুমার। সেই টাকা দিয়ে বাজারে দেন শোধ করার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে খুন করার পরিকল্পনা কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি ধৃতের ১২ দিনের পুলিস হেফাজতে পেয়েছে বাগনান থানার পুলিস।
অপরদিকে পুলিসি জেরায় নিজে খুনের কথা অস্বীকার করলেও, স্ত্রী রিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে অশান্তি হচ্ছিল বলে পুলিসি জেরায় স্বীকার করেছে প্রকাশ।
পুলিসকে সে জানিয়েছে, তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীয়ের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ হওয়াটা মেনে নিতে পারতো না রিয়া। পাশাপাশি রিয়ার বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে তিনি আপত্তি করায় অশান্তি শুরু হয়। এমনকি, রিয়ার জেদের কাছে মাথা নত করে অক্টোবরে লোন করে গাড়িটা কিনেছিলেন প্রকাশ। জেরায় পুলিসকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত।
ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতা (Jharkhand to Kolkata) আসার পথে বাগনানে এক পরিবারকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা। বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীদের গুলি (Firing), মৃত এক মহিলা। যে গাড়িতে এই হামলা, সেই গাড়িতে চালকের আসনে ছিল মৃতার স্বামী প্রকাশ কুমার এবং এই দম্পতির সফরসঙ্গী ছিল তাঁদের শিশুকন্যাও। পুলিস সূত্রে খবর, আক্রান্ত পরিবার ঝাড়খণ্ড থেকে সড়কপথে কলকাতার দিকে আসার সময় বাগনান থানা (Bagnan Howrah) এলাকার মহিষারেখা সেতুর কাছে গাড়ি থামান প্রকাশ। তিনি শৌচকর্মের জন্য নামলে তিন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এই অবস্থায় প্রকাশের স্ত্রী অর্থাৎ মৃতা মহিলা স্বামীকে বাঁচাতে এলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালায়।
এরপর প্রকাশ আহত স্ত্রী এবং শিশুকন্যাকে নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে আসেন। কুলগাছিয়া পিরতলা এলাকায় তিনি রাস্তার ধারে কিছু লোক দেখতে পেয়ে সাহায্যের আবেদন করেন। তাঁরাই প্রকাশ ও তাঁর শিশুকন্যার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। খবর যায় রাজাপুর থানায়। গুলিবিদ্ধ ওই মহিলাকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাজাপুর থানার পুলিসও হাসপাতালে এসে তদন্তভার নেয়। প্রকাশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সরেজমিন তদন্ত করতে। পুলিসের বক্তব্য, নির্জন এলাকায় এমন ঘটনা কী করে ঘটলো? পাশাপাশি এই ঘটনায় জাতীয় সড়কে পুলিস পেট্রলিংয়ের বিষয়টা প্রশ্নের মুখে পড়ল। তাহলে কি পুলিস পেট্রলিং যথাযথভাবে হয়নি। যার খেসারত দিতে হল ভিন রাজ্যের এই পরিবারকে।
এদিকে এই ঘটনার পর যাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য যান প্রকাশ, তাঁদের মধ্যে একজন জানান, আমার দোকানের সামনে একটা গাড়ি এসে দাঁড়ালে আমি ভাবি কোনও গ্রাহক এসেছে। কিন্তু গাড়ির চালক এসে বলে একটু সাহায্য চাই, হাসপাতালে যেতে হবে। আমি দেখি মাথার ডানদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেয়েটা গাড়ির মধ্যে পড়ে রয়েছে। দেখে মৃতই মনে হয়েছে।। সেই অবস্থা দেখে বলি হাসপাতালে যাওয়া যাবে না, এটা খুনের ঘটনা, পুলিস ডাকতে হবে। স্থানীয়রা পুলিসকে খবর দিলে রাজাপুর থানা এসে মৃতদেহ নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসডিপিও জানান, যেভাবে তদন্ত হওয়া দরকার, সেভাবে তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। তবে তবে এই ঘটনায় মৃতার স্বামীকে সন্দেহের উর্দ্ধে রাখছে না পুলিস। স্বামীর বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় এও সন্দেহ, এমনটাই জানা যাচ্ছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সূত্রে।
পাশাপাশি বুধবার ফরেন্সিক টিম গিয়ে গাড়ির বিভিন্ন অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে, গাড়িটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, মৃতা তরুণী ঝাড়খণ্ডের পরিচিত ইউ টিউবার। তাঁর স্বামী প্রকাশ কুমার ঝাড়খণ্ডের ইউটিউব চ্যানেলের পরিচালক।
ফের নৃশংস ছবি! শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের (Shraddha Walkar Murder) ছায়া এবার ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)। ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে বোরিও থানার এলাকায় স্ত্রীর দেহ ১২ টুকরো করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে।
পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সাঁওতালী মমিন টোলা এলাকার একটি পুরনো বাড়ি থেকে মহিলার খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম দিলদার আনসারি। দিলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন রুবিকা পাহাদিন। বেশ কয়েক দিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এরপর তাঁর পরিবারের তরফ থেকে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে শনিবার মহিলার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
সাহেবগঞ্জের এসপি বলেছেন, "সাহেবগঞ্জে আদিম আদিবাসী সম্প্রদায়ের ২২ বছর বয়সী এক মহিলার দেহের ১২টি অংশ পাওয়া গিয়েছে। শরীরের কিছু অংশ এখনও নিখোঁজ এবং সেগুলোর সন্ধান চলছে। তাঁর স্বামী দিলদার আনসারিকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মহিলার দেহ কাটতে কোনও বৈদ্যুতিক করাত বা ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।বিষয়টি নিয়ে অধিকতর পর্যায়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেব বলেছেন, "দিলদার আনসারি সম্প্রতি এই নিরীহ আদিবাসী মেয়েটিকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছিলেন। হেমন্ত সরকারের আমলে মেয়েদের প্রতি অত্যাচার বেড়েছে। সংখ্যালঘু সমাজের কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত মেয়েদের টার্গেট করছে। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সরকার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নিলে আমরা রাজপথে নেমে সরকারকে যোগ্য জবাব দেব।"
জেলা প্রশাসকের নির্দেশ সত্ত্বেও চলছে রাতের অন্ধকারে এবং দিবালোকের আলোতেও অবৈধভাবে বালি বোঝাইয়ের কাজ চলছে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চিরকুণ্ডা (Chirkunda) থানার অন্তর্গত পাঞ্চেৎ ফাঁড়ির অধীনে তিনটি বালি ঘাট থেকে ক্রমাগত প্রায় বালি তোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যেখানে জেলা প্রশাসকের স্পষ্ট নির্দেশ, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ করা যাবে না। সেখানে কী ভাবে চলছে এই বালি উত্তোলন আর বোঝাইয়ের কাজ? বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পাঞ্চেতের তিন পঞ্চায়েতের প্রধানরা এবং গ্রামীণরা পাঞ্চেত ফাঁড়ির ওসির বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিন পঞ্চায়েত প্রধান হলেন, পাতলাবাড়ি পঞ্চায়েত প্রধান নিভা দেবী, বান্দা পূর্ব পঞ্চায়েত প্রধান শচীন মণ্ডল, বান্দা পশ্চিম প্রধান ভৈরব মণ্ডল।
বান্দা পূর্ব পঞ্চায়েত প্রধান শচীন মণ্ডল পাঞ্চেত ফাঁড়ির ওসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, 'পঞ্চায়েতে তিনটি বালি ঘাট রয়েছে, যেখান থেকে ক্রমাগত শত শত ট্রাক্টর বালি তোলা হয়। ওসি প্রতিটি ট্রাক্টর থেকে ৫০০ টাকা আদায় করেন। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'যেসব ট্রাক্টর মালিকরা ৫০০ টাকা কাটমানি দিতে চান না, তাঁদের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নেয় পুলিস।' আরও দুই পঞ্চায়েত প্রধানের গলায়ও একই সুর।
এই বালি ঘাটে স্নান করতে যাওয়া মহিলা এবং ওয়ার্ড মেম্বার জানান, 'ঘাট থেকে ক্রমাগত বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। তার মধ্যেই ওই ঘাটে স্নান করতে হয়। প্রতিবাদ করলে বালি মাফিয়ারা বলে, সবটাই ওসিকে টাকা দিয়ে হচ্ছে। ফলে তাদের কেউ ক্ষতি করতে পারবেনা। থানায় একাধিকবার জানান হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি সিএন-এর প্রতিনিধি ওসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি। যদিও ফোন ধরে তো, সিএন শুনেই কেটে দেন ফোন।
এই পুরো ঘটনার বিষয়ে নিসার এসডিপিও পিতাম্বর সিং খেরওয়ার বলেছেন যে, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৃশংসতার চরম পর্যায়! শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডের (Murder) পর একের পর এক খুনের পর খণ্ডিত দেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসছে। বিহারে (Bihar) ভরাবাজারে তরুণীর দেহ খণ্ড খণ্ড করে খুনের মতো পাশবিক ঘটনাও সামনে এসেছে সম্প্রতি। তার মধ্যেই ফের খুন। জানা গিয়েছে জমি বিবাদের জেরে তুতো ভাইকে গলা কেটে খুন করেছে এক যুবক। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্ত ও তাঁর বন্ধুরা। সেই কাটা মুন্ডুর সঙ্গে সেলফিও তোলে। কতটা বিকৃত মস্তিষ্কের হলে এমন কাজ করা সম্ভব! ইতিমধ্যে ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত-সহ, তাঁর স্ত্রী এবং ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম কানু মুন্ডা। নিহতের বাবা দেসাই মুন্ডা জানান, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তিনি চাষের কাজে ক্ষেতে ছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন কানু। ঘরে এসে দেখেন ছেলে নেই। ছেলেকে অপরহরণ করে নিয়ে গিয়েছে ভাইপো সাগর মুন্ডা ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে কানুকে হত্যা করেছে সাগর।
কানুর খোঁজে সাবডিভিশনাল পুলিস অফিসার অমিত কুমারের নেতৃত্বে একটি দল তদন্তে নামে। দ্রুত গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। ধৃতকে জেরা করে কুমাং গোপলা জঙ্গলে দেহের খোঁজ মেলে। যদিও মুন্ডুটি ছিল ১৫ কিলোমিটার দূরে দুলওয়া টাংরি এলাকায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃতের মোবাইল-সহ ৬টি ফোন, ২টি ধারালো রক্তমাখা অস্ত্র, একটি কুঠার ও একটি এসইউভি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, তদন্তে জানা গিয়েছে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঝাড়খণ্ড (Jharkhand Link) যোগে শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার (Kolkata Raid) একাধিক জায়গায় ইডি তল্লাশি। শহর কলকাতার নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো, সল্টলেক এবং যোধপুর পার্ক-সহ একাধিক জায়গায় সকাল থেকেই তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED)। ভারতীয় সেনার জমি দখল এবং অবৈধ কয়লা খনি (Coal Block) বন্টন-কাণ্ডে সে রাজ্যের একাধিক ব্যবসায়ীর জড়িত থাকার সূত্র পেয়েছে ইডি। ইডির সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী। হেমন্ত সোরেনের রাজ্যে অবৈধভাবে সেনা জমি দখলের অভিযোগ ইডির কাছে করা হয়েছিল। পাশাপাশি কোল ব্লক বন্টন-কাণ্ডের তদন্ত ইতিমধ্যেই করছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। এই দুই কাণ্ডে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ এবং নয়ছয়ের অভিযোগও ওঠে। এই জোড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তৎপরতা।
এদিন সল্টলেকে ব্যবসায়ী অমিত আগারওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এই অমিত আগরওয়াল হেমন্ত সোরেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে বেআইনি কোল ব্লক বন্টন-কাণ্ডে সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। পঙ্কজ মিশ্র নামে এক বিধায়ককে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে বেআইনি কোল-ব্লকে নাকি টাকা খাটাতেন অমিত আগরওয়াল।
সেই সূত্র সংক্রান্ত নথি খুঁজতেই ইডির এই তল্লাশি। সকাল প্রায় পৌনে ৭টা থেকে চলছে এই তল্লাশি অভিযান। অমিতের গাড়ি খুলেও তল্লাশি চালায় ইডি। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গড়িয়াহাট রোডের যোধপুর পার্ক এলাকার একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি করেন ইডি আধিকারিকরা। সঞ্জয় ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে হয়েছে এই অভিযান। যদিও সেই ফ্ল্যাট বন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর সিল করে দেওয়া হয় ফ্ল্যাটটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষ তিনি এই মুহূর্তে দেশের বাইরে, তবে ঠিক কীসের ব্যবসা করেন সঞ্জয়বাবু, তা স্পষ্টভাবে জানে না কেউ।
এমনকি নোনাপুকুরের এক বেসরকারি সংস্থায় হানা দেয় ইডি। ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল দু'জন সাক্ষী। এই সংস্থার ডিরেক্টর বিষ্ণু আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ। এই ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডে থাকেন, কিন্তু সেনা জমি দখল মামলার তদন্তে এই সংস্থা থেকে কোনও নথি পাওয়া যায় কিনা, খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।
অবৈধ খনির মামলায় (Illegal mining case) ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) তলব করেছে ইডি (ED) । বৃহস্পতিবার সকাল ১১.৩০ টায় রাঁচি অফিসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজির হওয়ার কথা বলা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
ইডি, পুলিস মহাপরিচালককে চিঠি লিখে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছে। তবে, হেমন্ত সোরেন বৃহস্পতিবার ইডি-র সামনে হাজির হবেন কিনা বা তিনি আরও সময় নেবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
একই মামলায় সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগী পঙ্কজ মিশ্রকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। জুলাই মাসে, ইডি রাজ্য জুড়ে অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল। এই সময়ে, ইডি পঙ্কজ মিশ্র এবং তাঁর সহযোগী দাহু যাদবের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১১.৮৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। এর পর গ্রেফতার করা হয় পঙ্কজ মিশ্রকে।