চার মাসের এক শিশুকে পায়ের তলায় পিষে মারার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল পুলিসের (Police) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গিরিডি জেলায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিস। তবে ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)।
জানা গিয়েছে, গিরিডি জেলার কোসোগন্ডদিঘি গ্রামে শিশুটির ঠাকুরদা ভূষণ পাণ্ডের নামে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হওয়ায় তাঁকে ধরতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল পুলিস। পুলিসকে দেখে ভূষণের পরিবারের সদস্যরা তাড়াতাড়ি পালাতে গিয়ে চার মাসের নাতিকে বাড়িতেই ফেলে যান।
শিশুটির মার অভিযোগ, পুলিস বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালায়। তখনই একটি ঘরের মেঝেতে শোয়ানো ছিল তাঁর চার মাসের সন্তান। বাড়িতে ফিরে শিশুটির নিথর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তকে ধরতে না পেরে শিশুটিকেই পায়ের তলায় পিষে মেরেছে পুলিস। এলাকাবাসীদের দাবি, ভূষণকে ধরতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিসবাহিনী। সেই সময় শিশুটিকে বাড়ির মেঝেতে শোয়ানো ছিল। তখনই পুলিসবাহিনীর পায়ে তলায় চাপা পড়ে যায় শিশুটি। পুলিসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।
গিরিডি জেলার পুলিস সুপার সঞ্জয় রানা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যা গুপ্ত বলেন, “এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যদি কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”