কয়লা-কাণ্ডে ইডি জিজ্ঞসাবাদের মুখোমুখি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রায় ৫ ঘন্টা পার, সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এ অবস্থায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ বড় কিছু ঘটতে পারে, আপনারা দেখতে থাকুন। এই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এদিন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি (Sukanta Majumder) বলেন, 'দিদি ঘুরে আসার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গিয়েছেন। দিদির প্রিয় কেষ্ট জেলে আছেন। যদি বোঝাপড়া থাকতো এঁরা জেলে যেতেন না। আগামি দিনে কেউ কেউ যেতে পারেন। আজকেও বড় কিছু ঘটতে পারে। আপনারা লক্ষ্য রাখুন।'
সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যের পরেই তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানান, 'সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে দুটো কথা স্পষ্ট হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিং করেন না। কারও সঙ্গে আপস করে না। আর দ্বিতীয় ইডি, সিবিআই এখন আর নিরপেক্ষ নয়। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলে। সেটাই আজ উনি ভুল করে হলেও ঠিক বলে ফেলেছেন।' কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর আবার খোঁচা, 'দিদি-মোদীর সেটিং আছে, ভাইপোর ভয়ের কোনও কারণ নেই।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'বড় কিছু হওয়ার গল্প কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যখন চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্ত করছে, তখন কুণাল ঘোষ বলেছিলেন চিটফান্ডে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যিনি সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ছিলেন, তিনি এখনও জেলের বাইরে। তাই বড় কিছু ঘটেনি। কিন্তু ঘটতে পারতো।'
প্রসূন গুপ্ত: ২৯ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, কী সুন্দর বক্তব্য রেখেছে অভিষেক। আবার হয়তো ওকে নোটিস পাঠাবে কোনও গোয়েন্দা সংস্থা। একই সুর দলনেত্রীর ভাষণের আগে শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। তাঁর আশঙ্কা ছিল, ২১ জুলাইয়ের পরদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই জনসভার ৪-৫ দিনের মধ্যে হয়তো তৃণমূলের ফের কাউকে ডাকতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই জানা গেল শুক্রবারে ইডি, কয়লা কাণ্ডে ডেকে পাঠিয়েছে অভিষেককেই। যদিও ২৮ অগাস্ট তাঁর কাছে নোটিস গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অভিষেককে এর আগে যতবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডেকেছে, ততবার তিনি কিন্তু পরম দর্পে দেখা করতে গিয়েছেন। যদিও সাক্ষ্য দিতে ডাকা তবু কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবে সাড়া দেওয়ায় আগ্রহ দেখায় কে? তৃণমূল সূত্রের খবর, এই বিষয়ে অভিষেক অকুতোভয়, কারণ কী? এই নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বিস্তর। বিশেষজ্ঞদের ভাবনায় যা উঠে আসছে, তা খানিকটা এরকম।
১) অভিষেক এই বিষয়ে কিছু জানেন না। ফলে তাঁর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন মঞ্চেও তা জানিয়েছেন। অথচ সিবিআই বা ইডি ডাকলে যে কোনও রাজ্য বা পশ্চিমবঙ্গে অনেকে হাজিরা এড়ায়। সম্প্রতি এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে অনুব্রত বা পার্থর বেলাতে। শেষ পর্যন্ত দু'জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
২) অভিষেক তৃণমূলের সংগঠন আরও জোরদার করার দায়িত্বে। তিনি জানেন যদি নানা বাহানায় তিনি নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তবে দলের মধ্যে বিশেষ করে তৃণমূলস্তরে ভুল বার্তা যাবে।
৩) সারা দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি নানা দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। বিরোধীরা মনে করছে ২০২৪-এর আগে মোদী সরকার এভাবে চাপে রাখতে চাইছে বিরোধীদের। কিন্তু এটাও সত্যি যে, আজ প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ছন্নছাড়া অবস্থা। বিভিন্ন রাজ্যে অবিজেপি সরকার ভেঙে যাচ্ছে, সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। তবে কি বিরোধী বলে আর কিছুই থাকবে না? এই প্রশ্ন এখন জাতীয় রাজনীতির অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে।
৪) আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন বিশেষজ্ঞদের মত, বর্তমান বিশ্বে একনায়কতন্ত্রের রাজনীতি চলে না। কারণ গণতন্ত্রের হত্যা মানেই রাষ্ট্রপুঞ্জের চাপ আসবে। বিদেশি বাণিজ্য এবং বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কাজেই সমস্ত দলের উপর চাপ সৃষ্টি করাটা বিজেপির মতো শক্তিশালী দলের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে মমতা বা অভিষেকের উপর অহেতুক চাপ যে অমিত শাহরা করছেন না তা বলাই বাহুল্য। অভিষেক এটা জানে ফলে অকুতভয় হয়ে সহযোগিতা করছেন এজেন্সিগুলিকে।
রাজ্য নিরাপত্তা কমিশন (State Security Commission) গঠনের ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবিকেই শেষ পর্যন্ত মান্যতা দিলেন নবান্ন। রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনের পুনর্গঠন করলেন রাজ্যপাল। ওই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। আর মুখ্যমন্ত্রীর পরই কমিশনের দ্বিতীয় সদস্য হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নিরাপত্তা কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিসের ডিজি, রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী, রাজ্য মহিলা কমিশনের সভানেত্রী লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়, এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মৃণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরাতত্ত্ববীদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি।
২০১৪ টেট (TET) মামলার তদন্তে আদালতে ধমক খেল সিবিআই (CBI)। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ যে ১০ জন চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের জেরা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ আদালতের। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এঁদের কারও মেধাতালিকায় নাম ছিল না। এমনটাই আদালতে সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাই এই ১০ জনকে জেরা করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্যানেল সংক্রন্ত যে নথি জমা দিয়েছে, তা কার্যকরী নয়। শুনানিতে জানিয়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশে বলেন, ১৭ অগাস্ট বোর্ড প্যানেল সক্রান্ত নথি জমা দিয়েছে। কিন্তু যে দশ জনের বিরুদ্ধে প্যানেলে নাম না থাকা সত্বেও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ, তা বোর্ডের আজকের জমা দেওয়া নথি থেকে স্পষ্ট নয়। মোট নম্বর-সহ তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত ব্রেকআপ-সহ কে কত নম্বর পেয়েছে, তা জানতে চায়। তাই এবার মামলারকারীর আইনজীবী ও বোর্ডের আইনজীবীরা এক সঙ্গে পর্ষদের অফিসে বসবেন। প্যানেলে ওই দশ অভিযুক্তর ব্রেকআপ-সহ নম্বর খতিয়ে দেখে যাচাই করবে। দেখা হবে সত্যিই পাস না করে তারা চাকরি পেয়েছে কিনা।'
বিচারপতি জানান, ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডের অফিসে উভয়পক্ষকে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ঠিক কী হয়েছে এদিনের শুনানিতে --
#২০১৪ টেটের ভিত্তিতে যে দুটি নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল তার মেধাতালিকা আদালতে পেশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
#২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিকের মেধাতালিকা পেশ
#চার ব্যাগ নথি পেশ পর্ষদের
#দু'টি ব্যাগ ২০১৬-র এবং দুটি ব্যাগ ২০২০-র
# নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা পেশ করা হয়নি। তাই এই মুহূর্তে এই তালিকার এই মামলায় কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই: বিচারপতি
# সব নথি পর্ষদে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি।
# যদিও আদালতের নির্দেশ ছাড়া আজকে পেশ করা নথি নষ্ট করা যাবে না: হাইকোর্ট
# এই মামলার সঙ্গে যুক্ত কোন নথিই নষ্ট করা যাবে না: হাইকোর্ট
#গত ১৭ অগাস্ট মেধাতালিকা পেশের জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
# আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের যে ১০ ঘনিষ্ঠ পাশ না করে চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের নথি যাচাই হবে
# মামলাকারী এবং পর্ষদের আইনজীবীরা পর্ষদের অফিসে বসে এঁদের নথি যাচাই করবেন
# ১৬-ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে
# নথি যাচাই করে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা বানাবেন মামলাকরির আইনজীবীরা। নথি সই করবেন পর্ষদের সচিব
# পরবর্তী শুনানি ২১ শে সেপ্টেম্বর।
এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ১০ জনের মধ্যে ৮ জন সিবিআইয়ের কাছে গিয়েছেন ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। ২ জন আসেনি। এদিন আদালতকে এমনটাই জানায় সিবিআই
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ফের খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন। ১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ অর্পিতাকে। যদিও এদিন অর্পিতার তরফে জামিনের আবেদন করা হয়নি। বুধবার দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পরে ঘণ্টাখানেক স্থগিত রাখা হয়েছিল রায়দান বেলা ৪টের কিছু পর আদালতে জানায়, খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন (Bail Plea)। আগামি ১৪ দিন অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন পার্থ-অর্পিতা।
এদিকে, এসএসসি নিয়োগ জামিনের আবেদন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। যেকোনও শর্তে জামিন চেয়ে আবেদন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবীর। প্রয়োজন বাড়িতেই নজরবন্দি বা গৃহবন্দি থাকতে চান তিনি। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে এই আশঙ্কা করে জামিন চাইলেন তিনি। তবে বুধবার জামিনের আবেদন করেনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
এদিন জামিনের শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, ইডি বলছে বেশ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি জীবনবিমায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নমিনি হিসাবে আছে। এতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোন ভূমিকা নেই। অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার মক্কেলের নাম ব্যবহার করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে।
আইনজীবীর দাবি,পার্থ চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ। অর্থোপ্যাডিকেল ও নেফ্রোলজিকাল সমস্যা রয়েছে। এভাবে থাকলে পার্থবাবুর মৃত্যু হতে পারে। জেলে শৌচাগারের সমস্যা রয়েছে। তাঁর মাটিতে বসে কাজে বারণ রয়েছে। কিন্তু জেলে মাটিতে শুতে হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডায়লিসিসের প্রয়োজন রয়েছে।
এই আবেদনের বিরোধিতা করেছেন ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, ১০০০ কোটি দিয়ে সিম্বায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি বিক্রি হয়েছে। এই কোম্পানি থেকে ২.৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে পার্থ ও অর্পিতার নামে। পাশাপাশি সোনারপুর-রাজপুর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন কোম্পানিতে সেই অর্থ ঢুকেছে। এই সংস্থার শেয়ার হোল্ডার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কালো টাকা সাদা করতে এই কোম্পানি তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে আরও তথ্য পাওয়া যাবে অভিযুক্তদের থেকে। আমরা দু'জনকেই জেল হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই ।
তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলে আসা এসএমএস প্রমাণ করছে জীবনবিমাগুলোর প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাকা। দু'জনের সোনারপুর এলাকায় প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। গোটা এই বিষয়ের মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে আমরা জেল হেফাজত রাখতে চাই।
এই দীর্ঘ শুনানির পরেও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর করা আবেদনের বিরুদ্ধেই রায় দেয় আদালত।
এসএসসি নিয়োগ (SSC Scam) দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। যেকোনও শর্তে জামিন (Bail Plea) চেয়ে আবেদন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবীর। প্রয়োজন বাড়িতেই নজরবন্দি বা গৃহবন্দি থাকতে চান তিনি। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে এই আশঙ্কা করে জামিন চাইলেন তিনি। তবে বুধবার জামিনের আবেদন করেনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
এদিন জামিনের শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, ইডি বলছে বেশ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি জীবনবিমায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নমিনি হিসাবে আছে। এতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোন ভূমিকা নেই। অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার মক্কেলের নাম ব্যবহার করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে।
আইনজীবীর দাবি,পার্থ চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ। অর্থোপ্যাডিকেল ও নেফ্রোলজিকাল সমস্যা রয়েছে। এভাবে থাকলে পার্থবাবুর মৃত্যু হতে পারে। জেলে শৌচাগারের সমস্যা রয়েছে। তাঁর মাটিতে বসে কাজে বারণ রয়েছে। কিন্তু জেলে মাটিতে শুতে হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডায়লিসিসের প্রয়োজন রয়েছে।
এই আবেদনের বিরোধিতা করেছেন ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, ১০০০ কোটি দিয়ে সিম্বায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি বিক্রি হয়েছে। এই কোম্পানি থেকে ২.৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে পার্থ ও অর্পিতার নামে। পাশাপাশি সোনারপুর-রাজপুর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন কোম্পানিতে সেই অর্থ ঢুকেছে। এই সংস্থার শেয়ার হোল্ডার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কালো টাকা সাদা করতে এই কোম্পানি তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে আরও তথ্য পাওয়া যাবে অভিযুক্তদের থেকে। আমরা দু'জনকেই জেল হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই ।
তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলে আসা এসএমএস প্রমাণ করছে জীবনবিমাগুলোর প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাকা। দু'জনের সোনারপুর এলাকায় প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। গোটা এই বিষয়ের মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে আমরা জেল হেফাজত রাখতে চাই।
যত দিন যাচ্ছে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (abhijit ganguly) ও আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের (arunavo ghosh) পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সপ্তমে চড়ছে। সম্প্রতি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বার কাউন্সিলের (bar council) পক্ষ থেকে। তার জেরে ফের বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,' আড়াই বছরে ৯৫ টি রায় দিয়েছি। অনেকের ঘরে অর্ডার পড়ে থাকে।' তিনি আরও বলেন কোন মামলা (case) আগে শুনবেন অথবা কোন মামলা পরে শুনবেন সেই বাছাইয়ের এক্তিয়ার তাঁর আছে।
কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে তাঁর মাতামাতি এই রকম অভিযোগের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন , 'আমি দুর্নীতি পেলে সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করি'।
এ পি ডব্লিউ ডি বিল্ডিং হস্তান্তরের দিন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথোপকথন এজলাসে বসে তিনি নিজেই জানালেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)বলেছিলেন ' আপনি অনেক কিছু করেছেন, আপনি আপনার মতো চালিয়ে যান'
সম্প্রতি একটি উড়ো ব্যানার নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল হাইকোর্ট (highcourt) পাড়ায়। সেই দিনই এজলাসে অরুণাভ ঘোষের সমালোচনায় সরব হন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন 'আমায় বলা হচ্ছে আমি আইন জানি না। ১৭ (সি) ও ১৬৫ আইনের ধারা দুটি আমি বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি। কেউ সেই বিচারে আঙুল তুলতে পারেননি।'
অরুণাভ ঘোষ সম্পর্কে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেন, ' আমার সঙ্গে অরুণাভ ঘোষের শত্রুতা নেই । এজলাসে মতানৈক্য মিটিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু অরুণাভ ঘোষ বাইরে আমার সম্পর্কে বলে বেড়াচ্ছেন।' যত দিন যাচ্ছে উভয়ের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।রাজ্যের বিরুদ্ধে ওঠা অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগের বিচার করছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বিচার পদ্ধতি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন অরুণাভ ঘোষ। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ভার্সেস আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ দ্বন্দ্ব ভবিষ্যতে কী রঙ নেয় সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
শুক্রবার ইডির (ED Summon) কলকাতা দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে পাঠানো হয়েছে। নেপথ্যে কয়লা পাচার মামলা। আর কেন্দ্রীয় সংস্থার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো (Opposition)। বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরা কটাক্ষের সুরে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীই তো বলে দিয়েছেন কে কে চোর। এবার দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কবে ইডি নোটিস আসে। আশা করব যাদের ডাকা হচ্ছে, তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, 'এগুলো কোনও খবর নয়। পিসি-ভাইপো সব জানেন। বিশেষ করে ভাইপো এই পাচার নিয়ে সবচেয়ে বেশি জানেন। জ্যোতিষী না হলে কী করে পিসি সব জানলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক থেকেই উনি সব জেনে গিয়েছেন।'
কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, এর আগেও ডেকেছে। এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু দেখছি না। মুখ্যমন্ত্রী হয়তো বা নিজের সূত্র থেকে বিষয়টা আন্দাজ করেই একটা আভাস দিতে পেরেছিলেন।
এদিকে, ফের আগামী শুক্রবার কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছে ইডি। যদিও ২৮ তারিখ রবিবার তাঁকে নোটিস মেইল করা হয়েছে। এমনটাই সূত্র মারফৎ খবর। এবার তাঁকে যেতে হবে ইডির কলকাতা দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বিশেষ আধিকারিকরা আসছেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তিনি অবশ্যই আইনি পরামর্শ নিয়েই ইডি সমনে সাড়া দেবেন। পর্যবেক্ষকদের কাছে রহস্যময় বিষয় এই যে সোমবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ২১ জুলাইয়ের মেগা সমাবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কে বলতে পারে আজকের সমাবেশের পর (পড়ুন ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান) ৪-৫ দিনের মধ্যে আবার কারও ডাক আসতে পারে। এই আশঙ্কাই খানিকটা আক্রমণের সুরে করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
প্রসূন গুপ্ত: ফের আগামী শুক্রবার কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছে ইডি। যদিও ২৮ তারিখ রবিবার তাঁকে নোটিস মেইল করা হয়েছে। এমনটাই সূত্র মারফৎ খবর। এবার তাঁকে যেতে হবে ইডির কলকাতা দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বিশেষ আধিকারিকরা আসছেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তিনি অবশ্যই আইনি পরামর্শ নিয়েই ইডি সমনে সাড়া দেবেন। পর্যবেক্ষকদের কাছে রহস্যময় বিষয় এই যে সোমবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ২১ জুলাইয়ের মেগা সমাবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কে বলতে পারে আজকের সমাবেশের পর (পড়ুন ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান) ৪-৫ দিনের মধ্যে আবার কারও ডাক আসতে পারে। এই আশঙ্কাই খানিকটা আক্রমণের সুরে করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সেই সম্ভাবনাকে উসকে দিয়ে চিঠি একদিন আগে এলেও, মেয়ো রোডের সমাবেশের ঠিক ৪ দিনের মাথায় খোদ অভিষেকেরই ডাক পড়লো ইডি দফতরে। এদিকে, সোমবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। সাধারণত ২৮ অগাস্ট প্রতিষ্ঠা দিবস, কলকাতার মেয়ো রোডেই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রাথমিক বক্তব্য ছাত্র সভাপতি বা দু-একজন বক্তা বক্তব্য রাখার পর প্রধান বক্তা হিসাবে মঞ্চে আসেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। এবার দলের নাম্বার টু অর্থাৎ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন অন্যতম বক্তা। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে অভিষেক এখন তৃণমূলের কোনও প্রধান অনুষ্ঠানে প্রথমসারির বক্তা।
কারণ অবশ্য অনেক। এই মুহূর্তে সারা বাংলা-সহ যেখানে তৃণমূলের অবস্থান আছে সেখানেই অভিষেক, কারণ সংগঠনকে মজবুত করা দরকার। শোনা যায়, দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা অন্তত তেমনটাই জানেন। দলের সংগঠন দেখবেন তিনিই এবং শেষ কথাও তিনি বলবেন| সোমবারের সমাবেশে তৃণমূলের আদি নেতারা মোটামুটি সকলেই ছিলেন এবং যাঁরা ভাষণের মাঝে নেত্রীর নাম উল্লেখ করেন। গতকাল কিন্তু মানুষ দেখলো বা শুনলো অন্য কথা। ববি হাকিমের মতো প্রবীণ নেতার মুখেও তৃণমূলের আগামী নেতা হিসেবে অভিষেকের নাম। মমতা ঘনিষ্ঠ অন্য নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও বক্তব্য শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদের সঙ্গে জুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।
এখন প্রশ্ন, কেন অভিষেকের নাম রাজ্যের একাধিকক মন্ত্রীর মুখে। রাজনৈতিক মহলে শোনা গিয়েছে, ইডি বা সিবিআই তদন্তে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে কম্পন শুরু হয়েছে। তখন একমাত্র অভিষেক নিয়মিত যাচ্ছেন ইডির ডাকে সাড়া দিতে। বেশ কয়েক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে দাপটে কেন্দ্রকে সমালোচনার সুরে বিঁধছেন তিনি। বারবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে। সোমবারও তাঁর অন্যথা হয়নি।
সোমবার মেয়ো রোডে (Mayo Road) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে কড়া বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। এদিন এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের উদ্দেশে বিদেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভায় মমতা এবং অভিষেকের আক্রমণের মূল নিশানায় ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। সেই আক্রমণের পাল্টা এসেছে গেরুয়া শিবির (BJP) থেকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, 'আমাকে, অভিষেককে চোর বলছে। সবাই চোর আর ওরা সাধু এটা হতে পারে না।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন কে কী করেছেন। উনি পশ্চিমবঙ্গের মাটি এবং মানুষ ছেনেন,স এভাবেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চেনেন। মা যেমন ছেলের দোষ ত্রুটি জানেন, সেভাবেই প্রত্যেককেই উনি মাতৃস্নেহে লালিত পালিত করেছেন।'
এদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেই মামলা প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য জানান, যিনি মামলা করেছেন, তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন। এখানে সব ব্যাপারে মামলা চলছে। আমাদের বিরুদ্ধে এবং আমার বিরুদ্ধেও মামলা চলছে। আমাদের জিজ্ঞাসা করলে কোর্টে উত্তর দেব।
পাশাপাশি এদিন অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই বিজেপি নেতা বলেন, 'কয়লা চুরি-গোরু চুরিতে যে অভিযুক্ত বিএসএফ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিস ব্যবস্থা নেবে। তারপর বিএসএফ-র কেউ প্রতিবাদ মিছিল করেছে? না আমাদের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীরা রাস্তায় নেমেছেন? দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স। তৃণমূলের অসুবিধা কোথায়? ওদের কাছে যদি খবর থাকে প্রমাণ দিক কারা চোর।'
এমনকি, জয় শাহ প্রসঙ্গে কড়া অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, 'কে জয় শাহ? বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, না পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক। আর যে তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের নিচে নেতাজির ছবি রাখে সে এই সমালোচনা করছে!'
ঠিক কী কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য--
সোশাল মিডিয়ায় আকর্ষণীয় প্রোফাইল। নির্দিষ্ট একটি সংগঠনের হয়ে কখনও দুবাইয়ে কখনও বা তিনি ইজরায়েলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজেকে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি হিসেবেও তুলে ধরেছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেই মিডলম্যান মধ্যমনি পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন রায়কে ৭ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মিলছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের একাধিক সম্পত্তির হদিস।
নিউটাউনের রবিরশ্মি ভিলার ১২ নম্বরে মাঝে মাঝেই আসতেন প্রসন্ন রায়। তবে এখানকার মানুষরা তাকে চিনতেন রাকেশ নামে। প্রশ্ন একটাই এই রাকেশ আর প্রসন্ন দুজনেই কি এক ব্যক্তি? তাই যদি হয়, তাহলে এই ভিলার মালিকানা কি ছিল প্রসন্ন রায়ের নামে? নাকি এখানেও রয়েছে অন্য সমীকরণ? উত্তরের খোঁজে সিবিআই। পার্থ ঘনিষ্ঠের কুবের সম্পত্তি চমকিয়েছে বাংলাকে। গাদিয়াড়ার পর এবার বাগনান। টাইলস কারখানার হদিস প্রসন্ন রায়ের। সূত্র বলছে ২০১৫ সালে ৩০ বিঘা জমির ওপর এই টাইলস কারখানাটি প্রসন্ন রায় কিনেছিলেন ১২ কোটি টাকায়। কেনার পরে কোম্পানিটির নাম দেয় সালেসার টাইলস প্রাইভেট লিমিটেড। নিউটাউন প্রাইড হোটেলে রয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন কুমার রায়ের সালেসার টাইলস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস।
প্রাইড প্লাজার প্রসন্ন রায়ের অফিসে পৌঁছেছিল আমাদের প্রতিনিধি। চোখ ধাঁধানো ইন্টেরিয়ার ডেকরেশন। এই অফিস থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হোটেলের ৫ তলায় রয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর পন্টিয়াক মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস। সেখান থেকে একাধিক ব্যবসা চালাতেন প্রসন্নবাবু। এছাডা়রাও এই হোটেলে রয়েছে একাধিক অফিস, যেখানে প্রসন্নবাবু নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এই হোটেলের ৪ তলায় ৪১৫ নম্বরে রয়েছে সালসার টাইলস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস।
১৮০/১ বাঙুর এ্যাভেনিউ। এই ঠিকানাটিকে দেখানো হয়েছে দৃষ্টিকোন ইনফাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস হিসেবে, যার ডিরেক্টর ছিলেন প্রসন্ন রায়। প্রাথমিক খোঁজের পর দেখা গেল এই ঠিকানায় বসবাস করেন মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। এই মহেন্দ্রবাবুর কাছ থেকে রাজারহাট নিউটাউনে প্রায় ২০০ কাঠার বেশি জমি কেনেন প্রসন্ন। এবং এরপর দৃষ্টিকোন ইনফাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে রিয়েল এস্টেটের একটি ব্যবসা খোলেন। যার অফিসের ঠিকানা দেখানো হয়েছে মহেন্দ্র আগরওয়ালের ঠিকানাতে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহেন্দ্রবাবুকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে। মহেন্দ্রবাবুর থেকে জমি কিনে তারই ঠিকানাটিকে কেন প্রসন্ন কুমার রায় নিজের ব্যবসার ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করছিলেন? উঠছে প্রশ্ন।
আমরা কথা বলেছিলাম মহেন্দ্রবাবুর সঙ্গে। তিনি জানান এক দালাল মারফত আলাপ হয় প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে। এরপর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের পর তার ঠিকানাটিকে প্রসন্ন বাবু নিজের অফিসের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এখানেই শেষ নয়। মহেন্দ্রবাবুর আরও অভিযোগ তার ২০৬ লেকটাউনের ঠিকানাটিতেও তার অনুমতি ছাড়া প্রসন্ন রায় একটি অফিস খুলেছেন। যদিও সেই অফিসটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, খোঁজ মিলেছে মধ্য হাটগাছায় প্রসন্ন রায়ের দুটি ভেরির। ১৬ বিঘা জমির ওপর এই ভেরি দুটির দেখাশোনা করতেন কনক মণ্ডল। আমাদের ক্যামেরার সামনে কণকবাবু জানান তিনি বলাকা আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় প্রসন্নর। কণকবাবু আরও জানান, এই দুটি ভেরি প্রসন্ন দান হিসেবে পেয়েছেন। কীসের দান? প্রসন্ন বাবুকে এই দুটি ভেরি দান করেছিলেন কে? খোঁজ চলছে।
বলাকা আবাসনের বাসিন্দা হিসেবে দুর্গাপুজোয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেন প্রসন্ন বাবু। তিনি সিবিআই হেফাজতে। তবে পুজোয় তার কোনও প্রভাব পড়বে না। জানালেন পুজো কমিটির সভাপতি। ট্রাভেলিংয়ের ব্যবসা ছিল। বন্ধু হিসেবেই দেখত এলাকার মানুষ। তার এত ব্যবসার কথা বিন্দুবিসর্গ জানতেন না তারা। আপাতত সিবিআই হেফাজতে প্রসন্ন রায়। তার কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। কী হতে চলেছে তদন্তের ভবিষ্যত্ উত্তর দেবে সময়।
মেঠো ভাষণ আর আনুষ্ঠানিক বক্তৃতায় অনেক ফারাক। মাঠে ময়দানের ভাষণ সাধারণত একটা হৈহৈ বা হওয়া গরম করা কথাই পেশ করেন রাজনীতিবিদরা। বাম জমানায় প্রমোদ দাশগুপ্ত এ বিষয়ে এক্সপার্ট ছিলেন কিন্তু হওয়া গরম ভাষণ কোনও দিনও জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধদেববাবুরা দিতে পারতেন না। কংগ্রেসি সংস্কৃতির ভাষণও সে প্রকার। তাঁরা কখনও নরেন্দ্র মোদীর মতো মেঠো বক্তৃতা দিতে পারেন না, যা ইন্দিরা পারতেন। মেঠো ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা উত্তর যুগে অন্যতম সেরা। তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে হিন্দি ইংরেজি ইত্যাদি মিলিয়ে মিশিয়ে ভাষণ দিয়ে থাকেন চিরকাল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই ভিন্ন চরিত্রের। তাঁর উঠে আসা মাত্র কয়েক বছর কিন্তু নিজেকে গড়েপিঠে তৈরি করেছন। এবং কখনও নরম, কখনও গরম ভাষণ দিলেও তার মধ্যে যুক্তি সর্বদা এমন ভাবেই খাড়া করেন যে মানুষ, যারা শ্রোতা তারা ভাবেন, তাই তো এমনটাই ঘটেছে।
ব্যতিক্রম ছিল না সোমবারও। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান একদিন উদযাপন করে টিএমসিপি। এই অনুষ্ঠানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন অরূপ বিশ্বাস এবং ববি হাকিম। এরপরেই অভিষেক তাঁর ভাষণে প্রথমে ছাত্রদের উৎসাহিত করেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'ঘরে ঘরে গিয়ে গরিব ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য।' এরপর তিনি আস্তে আস্তে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ ছিল অমিত শাহ ও তাঁর পরিবারকে আক্রমণ। তিনি সোজাসুজি বললেন, 'কয়লা গরু পাচারের দায়ে কার? কেন্দ্রীয় পুলিস কী করছে এবং তাদের মন্ত্রী অমিত শাহ দায় এড়াতে পারেন কি?' অর্থাৎ প্রকারান্তে অনুব্রত থেকে অন্যান্য নেতাদের আগে কয়লা-গোরু পাচার-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় পুলিস জবাব দিক।
এরপরই রবিবারের হাই ভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বিরাট-হার্দিক-রোহিদের জয়ের প্রসঙ্গ টানেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানা করেন বিসিসিআই সচিব তথা অমিত শাহের পুত্র জয় শাহকে। একটি ছবি এবং ভিডিও সোশাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারত জেতার পর গ্যালারিতে বসা জয় শাহকে কোনও এক ক্রীড়া অনুরাগী একটি জাতীয় পতাকা হাতে দিতে চাইছে, সেই তেরঙ্গা নিতে অস্বীকার করছেন অমিত পুত্র।
এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, 'এটা দেশ-বিরোধী কাজ অতএব জয়কে অবিলম্বে ক্রিকেট বোর্ড থেকে বহিষ্কৃত করা হোক।' পাশাপাশি দেশের নানা প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'সংবাদ মাধ্যম সত্যিটা তুলে ধরুন।' অবশ্য তিনি দলনেত্রীর মতো মিডিয়াকে আক্রমণ করেননি।'
ঠিক কী কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে একাধিক মামলা বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা। ২০১১-র পর থেকে বিপুল সম্পত্তিবৃদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সাধারণ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন বারবার। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি মাধ্যম (পাবলিক ডমেন) যে নথি রয়েছে, সেই নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে
২০১১-র পর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার বিপুল সম্পত্তি বেড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিবৃদ্ধির উৎস কী? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আদালতে দরবার করলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উত্থান অনেকের অনুপ্রেরণা। কিন্তু বিশেষ করে ২০১৩-র পর থেকে তাঁর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধির রকেট গতি দেখা গিয়েছে। আর সেই বছরেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, চিটফান্ডের সব টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুকোনো রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় জানা গিয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ নিজেকে সমাজসেবী বলে দাবি করেন।
আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, 'আমার মামলায় দুটি আবেদন করা হয়েছে। প্রথমে যারা সমাজকর্মী বলে দাবি করেন তাঁদের এহেন সম্পত্তিবৃদ্ধি কারণ কী? আয়কর দফতর বিষয়টার তদন্ত করুক, আর দুই ইডি-কে দিয়ে এই বিপুল তহবিলের উৎস সন্ধান করা হোক।' টালির চালায় যারা থাকে, তাঁদের কাছে এত সম্পত্তি আসল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েই মামলা। আগামি ৬ তারিখ পরবর্তী শুনানি। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান তরুণজ্যোতিবাবু।
ঠিক কী বলেছেন এই আইনজীবী?
যদিও এই মামলা প্রসঙ্গে এদিন মেয়ো রোডের সভায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। তিনি বলেন, 'আমার সম্পত্তি নিয়ে মামলা এখানে কেন আন্তর্জাতিক কোর্টে হওয়া উচিৎ। এখানে তো বিজেপি যা শিখিয়ে দেবে তাই বলবে।'
শুনুন সেই বক্তব্য:
ফের শোকের ছায়া বাংলা সিনে দুনিয়ায়। প্রয়াত বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) 'জন অরণ্য' (Jana Aranya) ছবির বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় (Pradip Mukherjee)। পরিবার সূত্রে খবর, গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি ছিলেন তিনি। সেপ্টিসেমিয়ার (রক্তে বিষক্রিয়া) সমস্যা ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, ফুসফুসে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া-সহ বেশকিছু শারীরিক সমস্যাও ধরা পড়েছিল অভিনেতার।
প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল, জানান তিনি। অভিনেতার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানান।
পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর ছবি ‘দত্তা’র শ্যুটিং করছিলেন অভিনেতা। দু’দিন শ্যুটিংও করেন। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে নাগেরবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর সেখান থেকে দমদম ক্যান্টননেন্ট মিউনসিপ্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই সোমবার সকাল ৮.১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৭৬ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'জন অরণ্য' ছবির হাত ধরে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। এরপর একের পর এক সিনেমাতে কাজ করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘দূরত্ব’, ‘অশ্লীলতার দায়ে’, ‘হীরের আংটি’, ‘শাখা প্রশাখা’, ‘দহন’, ‘উৎসব’-এর মতো ছবি। কলকাতার চোরবাগান এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন তিনি। নিয়মিত তপন থিয়েটারে একের পর এক নাটক করতেন। আইনে স্নাতক হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে সপ্তাহান্তে নাটকের রিহার্সাল করতেন নিয়ম করে।
রাজ্যের মন্ত্রী (Bengal Minister) শ্রীকান্ত মাহাতোর করা মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গেলেন তৃণমূল যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তত্পর হয়েছে দল। শোকজ করা হয়েছে পার্টির এই একনিষ্ঠ কর্মী তথা শালবনীর বিধায়ককে। যদিও ভাইরাল সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটালে। তবে এই প্রসঙ্গে শাসক দলকে তোপ দেগেছে বিরোধী শিবিরও।
কিন্তু প্রতিক্রিয়া জানালেন না তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিক্রিয়ায় শুধু বলেছেন, 'দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনওরকম মন্তব্য করব না।'
ঠিক কী বললেন অভিনেত্রী?
এদিকে, সবজায়গায় সব কথা বলতে নেই। এই সহজ কথাটা বুঝতে পারেননি বলেই শোকজ করা হল পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক (TMC MLA) শ্রীকান্ত মাহাতোকে। অভিযোগ একটাই দলবিরোধী মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার দলের কর্মীদের নিয়ে শালবনিতে এক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন শ্রীকান্ত মাহাতো। সেই বৈঠকেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রীকে। তিনি বলেছেন, 'সায়নী, সায়ন্তিকা, নুসরত (Nusrat), মিমি, যারা পার্টিকে লুটেপুটে খাচ্ছে, তাঁরাই পার্টির সম্পদ। এভাবে আর পার্টি করা যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), সুব্রত বক্সি এঁদের কাছে বলতে গিয়েছিলাম। এঁরা বুঝতে চায়নি। খারাপ লোককে তাঁরা ভালো লোক বলছে।' রাজ্যের মন্ত্রীর এই বিস্ফোরক ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে অন্তর্জালে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল। মন্ত্রী মশাই কী বলেছেন সেই ভিডিওতে?
মোদ্দাকথাটা হল দলে নবাগত নেতা-কর্মীরা অনেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রশাসনের ঘাটে ডিঙি ভিরিয়েছেন। আর এদের যাবতীয় দুষ্কর্মকে সমর্থন করছেন দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল নাগরিক সমিতির নামে নয়া মঞ্চ তৈরির বার্তা দিলেন মন্ত্রী মশাই।