
প্রতিবেশীর হাতে খুনের অভিযোগ একই পরিবারে দুই জনের। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই দু'জনের। অভিযোগ ঘটনায় আহত আরও এক মহিলা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস নামের ওই প্রতিবেশী। রবিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার নতুনচটি এলাকায়। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আহত ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, বাঁকুড়া নতুনচটি এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মথুর মোহন দত্তের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাসের। রবিবার সন্ধ্যায় সেই ঝামেলা বিশাল আকার নেয়। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন পিন্টু রুইদাস নামে ওই প্রতিবেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের পরিবারের সদস্য়ের উপর। এরপর খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মথুর বাবু ও তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে।
এরপর বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হল মথুর মোহন দত্ত ও তাঁর ছেলে শ্রীধর দত্তের। গুরুতর জখম অবস্থায় এখনও চিকিৎসাধীন মৃত মথুর বাবুর স্ত্রী। জমি সংক্রান্ত বিবাদ নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস।
ফের বোমা বিস্ফোরণ। দেগঙ্গার পর এবার কদম্বগাছিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম কারিবুল ইসলাম।
আহত যুবক জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কারিবুল ইসলাম তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটা বিকট শব্দতে কেঁপে ওঠেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। তারপরেই জানা যায় যে ওই কাঠের নিচে বোমা ছিল। আর সেই বোমা ফেটে জখম হয়েছেন কারিবুল ইসলাম। তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। এরপর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দেগঙ্গায় বলকে বোমা ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয় এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। আর সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রাজ্যে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্য়ে।
এক সপ্তাহে দু'বার। ফরাক্কার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় আহত এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। আর সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রবিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কিশোরের নাম আরমান গাজী (১২)। এদিন সকালে তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আরমান। সেই সময় তার নজরে আসে একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলে বোমা হাতে নিয়ে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। আর সেই বোমা ফেটেই জখম হয় কিশোর। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন আহত অবস্থায় আরমান মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাদুড়িয়া ব্লকের রুদ্রপুর হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের বাগান থেকে আরও তিনটে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে শিশুর আহত হওয়ার ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
লিভ ইন পার্টনারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও হাতের শিরা কেটে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে৷ শুক্রবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়া এলাকায়৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বাবু নামের ওই পুরুষ সঙ্গী৷ ইতিমধ্যে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস৷
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়া এলাকায় মিতা গায়েন ও বাবু নামের অভিযুক্ত ওই পুরুষ সঙ্গী স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকত৷ অভিযুক্ত পুরুষ সঙ্গীর এলাকায় একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে৷ সেই কারণে প্রায়শই মিতা গায়েনের সঙ্গে ঝামেলা অশান্তি হত৷ গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার সন্ধ্যায় চরম অশান্তি শুরু হয় ওই দুই লিভ ইন পার্টনারের মধ্যে৷ সেই সময় ঝামেলা চলাকালীন মিতা গায়েনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরের আঘাত করে তাঁর পুরুষ সঙ্গী৷ তখন তিনি তাঁর পুরুষ সঙ্গীর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় একজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন৷ তারপর তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসকে৷ প্রথমে আহত ওই মহিলা সঙ্গীকে সোনারপুর গ্রামীন হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি৷ তবে কি কারণে লিভ ইন পার্টনারকে খুন করতে চেয়েছিলন অভিযুক্ত পুরুষ সঙ্গী তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস৷
পরিকল্পনা ছিল পাকা বাড়ি তৈরী করার। কিন্তু তার আগেই ধসে পড়ল মাটির দোতলা বাড়ি। আর সেই মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনায় আহত আরও দুইজন মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে খন্ডঘোষের পূর্বচক গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম জুলেখা বেগমকে (৩০)। বর্তমানে আহত ওই দুজন মহিলা বর্ধমান হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের দুজনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষের পূর্বাচক গ্রামের শেখ হাবিবুর ইসলামের দোতলা বাড়ির নীচের তলার ঘরের মেঝে পাকা করার কাজ চলছিল। সেই জন্য বাড়ির চারদিকে মাটি খোঁড়া হয়েছিল। তাই ঘরের দোতলা থেকে আসবাবপত্র নামাতে গিয়েছিলেন ওই বাড়ির চারজন মহিলা। সেই সময় হঠাৎ দেওয়াল থেকে ঝুরঝুর করে মাটি পড়তে দেখে তাঁরা তড়িঘড়ি সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। আর তখনই সিঁড়ি সমেত মাটির বাড়ির একাংশ চাপা পড়ে যান তিন মহিলা।একজন কোনওরকমে পালিয়ে যেতে পারলেও বাকি তিনজন পালাতে না পেরে আটকে পড়ে।
এরপর খবর পেয়ে পুলিস ও স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি ওই তিনজন মহিলাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর হাসপাতালের চিকিৎসক ওই তিনজন মহিলার মধ্যে একজনকে মৃত বলে জানায়। এই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
রাস্তায় পড়ে ছিল বোমা। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে শঙ্করপুর হাউসনগরে। তড়িঘড়ি ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফরাক্কা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ওই তিন শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল। আর সেই সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন পুকুর থেকে পাওয়া একটি বোমাকে তারা বল ভেবে খেলতে থাকে। তারপর হঠাৎ সেই বোমা হাত থেকে পড়ে গিয়ে ফেটে যায়।এরফলে জখম হয় তিন শিশু। বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এসে দেখেন ওই তিন শিশু বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে কে বা কারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় বোমা রেখে গিয়েছিল। আর ঠিক কোন উদ্দেশ্যেই বা রেখে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
গরুর হাটে যাওয়ার পথে মারধর করে টাকা ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীর দল। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ গোঘাটের বেলডিহা গ্রামে। অভিযোগ, পথ আটকে মুখে কাপড় বেঁধে জোর করে পকেট থেকে টাকা বের করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনায় আহত দুই ব্যক্তির নাম শেখ আসগর আলি ও শেখ মফিজুল আলি। এদের মধ্যে আসগর আলিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিন সকালে আসগর ও মফিজুল নামে ওই দুজন গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের পথ আটকে বাইক থামানো হয়। এরপর তাঁদের জোর করে বাইক থেকে নামিয়ে যা আছে তা দিয়ে দিতে বলা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বেড়ধক মারধর করার অভিযোগ উঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির কাছে তিন লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ছিল। তা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় দুষ্কৃতীদের বাঁধা দেয় দুজনে। তখনই তাঁদের বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, সব টাকা পয়াসা লুঠ করে রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আহতের পরিবার থেকে গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোঘাট থানার পুলিস।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লাক্সারি বাস ধাক্কা মারে ২৩৫ নং রুটের একটি বাসে। ধাক্কার জেরে বাসটি ডিভাইডারে উঠে যায়। সোমবার সকাল ৯.১০ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার ঠাকুরপুকুর ৩এ বাস স্ট্যান্ডের নিকট। ঘটনায় প্রায় ২১ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিসের তৎপরতায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা গিয়েছে, ২৩৫ নং বাসটি একটি প্রাইভেট গাড়ির উপর উঠে যায়। বাস দুটি ও চার চাকা গাড়িটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এছাড়াও সাতসকালের এই দুর্ঘটনায় রাস্তার ধারে ফল নিয়ে বসা এক ব্যবসায়ীও গুরুতর আহত হয়েছেন। ব্যবসায়ীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই বেহালার চৌরাস্তায় ঘটেছিল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এরপর আবার ঠাকুরপুকুরে। স্থানীয়দের দাবি, ট্রাফিক পুলিসদের আরও কড়া হতে হবে। প্রশাসনকে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
পারিবারিক বিবাদের জেরে মৃত্য়ু হল এক ব্য়ক্তির। আহত ওই পরিবারের আরও একজন সদস্য়। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের সজনেতলা গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়াক্তির নাম লবকুমার নস্কর (৪০)। আহত সুবীর নস্কর। বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি জায়গা নিয়ে বিবাদ ছিল ওই পরিবারের মধ্য়ে। এরপর এদিন সকালে কাকা ভাইপোর মধ্যে জমি নিয়ে ব্য়াপক বচসা শুরু হয়। তারপর সেই ঝামেলা অশান্তি হাতাহাতিতে পরিণত হয়। সূত্রের খবর, বচসার সময় ভাইপো ধারালো করাত চালান। যারফলে গুরু্তর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাকা। তারপর তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্য়ক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাসন্তী থানার পুলিস।
বাংলা ধারাবাহিক জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা হানি বাফনা (Honey Bafna)। বর্তমানে অভিনয় করছেন 'শ্যামা' (Shyama) ধারাবাহিকে। ইতিমধ্যেই দর্শকেরা তাঁকে আপন করে নিয়েছেন। অভিনেতার জীবনে এখন বিপর্যয়। শোনা যাচ্ছে, গুরুতর অসুস্থ তিনি। ধারাবাহিকের সেটেই নাকি চোট পেয়েছেন হাতে। আঘাত এতটাই গুরুত্ত যে দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে বলেছেন চিকিৎসক। এই মুহূর্তে হানির ভক্তরা তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কী হয়েছে অভিনেতার? জানা গিয়েছে, হাতে কাঁচ ঢুকে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। একমাত্র অস্ত্রোপচারেই সেই ক্ষত নিরাময় হওয়া সম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অভিনেতাকে আর ধারাবাহিকে দেখা যাবে না? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই। তবে যদি হানি সত্যিই ধারাবাহিক থেকে বিরতি নেন, তাহলে টিআরপিতে প্রভাব পড়তে পারে।
শ্যামা ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় টুম্পা ঘোষের বিপরীতে দেখা যাচ্ছে হানি বাফনাকে। ১১ সেপ্টেম্বর থেকেই সম্প্রচারিত হচ্ছে ধারাবাহিকটি। হানি ও টুম্পার পাশাপাশি বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, ভরত কল, অনুরাধা রায়ের মতো অভিনেতাদের দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকে। এই মুহূর্তে দর্শক একেবারেই হানিকে চোখের আড়াল হতে দিতে চাইছেন না।
বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সিলিং ফ্যান খুলে বিপত্তি। হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর কালিতলা বাজার এলাকার গোপেন্দ্র স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। জানা গিয়েছে, স্কুলে ক্লাস চালকালীন একটি সিলিং ফ্যান (Ceiling Fan) হঠাৎ-ই খুলে পড়ে। ঘটনায় আহত হয় প্রথম শ্রেণীর ২ পড়ুয়া। একজনের মাথায় গুরুতর চোট লাগে, আর অপরজনের চোখে এবং মাথায় আঘাত লাগে। দু'জনকেই স্থানীয় জগৎবল্লভপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিটি স্ক্যানের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলের বাকি পড়ুয়াদের মধ্যে।
আহত পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা বলেন, স্কুলের পরিচর্যা সঠিকভাবে হচ্ছে না। সেকারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর স্কুলের শিক্ষকেরা ঘটনাটি কাউকে না জানানোর কথা বলেন। এমনকি চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দিয়ে দেবেনও বলেন। কিন্তু ভবিষ্যতে আরও বড় কোনও দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। সেকারণে এখনই স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হতে হবে বলে মনে করছেন আহত পড়ুয়ার অভিভাবকেরা।
স্কুলেও নিরাপদ নয় শিশুরা? স্কুলের ঠিকমতো পরিচর্যার অভাবে জখম হচ্ছে পড়ুয়া? যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে বেঞ্চ থেকে পড়ে চোট পেয়েছে। ফ্যান খুলে গিয়ে আহত হওয়ার অভিযোগ মিথ্যে।
একদিকে যখন বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। ঠিক তখনই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলছে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে।
বজ্রপাতে জখম একই স্কুলের (Student) সাতজন পড়ুয়া। আহত এক মহিলা রাঁধুনিও। ঘটনার পর আহতদের নিয়ে আসা হয়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এই ঘটনার জেরে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহার জামগড়া প্রাথমিক স্কুলে। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুটে আসে লাউদোহা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিন দুপুর একটা পনেরো নাগাদ টানা বৃষ্টির মধ্য়েও চলছিল লাউদোহা জামগড়া প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস। তখন আচমকাই বিদ্যুতের গতিতে ছুটে আসা আলোর ঝটকায় প্রথমে দুই পড়ুয়া আহত হয়। আর সেই সময় স্কুলের রান্নাঘরে রান্না করছিল রাঁধুনি। তার হাতেও গিয়ে লাগে ঝটকা। কারোর হাতে কারো পায়ে আবার কেউ বা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। সাত পড়ুয়া আর এক মহিলা রাঁধুনিকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ লাউদোহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
আপাতত আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও বজ্রপাতে আতঙ্কের ছাপটা স্পষ্ট সবার চোখে মুখে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো সাত স্কুল পড়ুয়া সহ আট জন।
ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে ভুটভুটি চালককে খুনের চেষ্টা (Attack) করার অভিযোগ উঠল কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট (Alipurduar) থানার অন্তর্গত নয়মাইলের হলং এলাকায়। এই ঘটনায় ওই ভুটভুটি চালক গুরুতরভাবে জখম হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত (Injured) অবস্থায় ওই চালককে উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং সেখান থেকে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
আহতর পরিবার সূত্রে খবর, আহত ওই ভুটভুটি চালকের নাম জব্বার মিঞা। তিনি মাদারিহাট নয়মাইলের বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, নয়মাইল থেকে হলং যাওয়ার পথে কিছু দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করে। তারপরেই গুরুতর ভাবে আহত হয়ে পড়েন তিনি। আর এই ঘটনার পরেই স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কে বা কারা এই আক্রমণ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
সকালে পুজোর ফুল কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ (Shootout) হল এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াপাড়া (Noyapara) থানার অন্তর্গত ২১ নম্বর রেলগেটের সামনে। গুরুতর আহত (Injured) অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুরেরে বিএন হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুরের বিএন হাসপাতালে থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাডা় ও বাসুদেবপুর থানার পুলিস (Police) বাহিনী। ঘটনাস্থলে থাকা বাকি দোকানদের কাছ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানায়, ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তির নাম রবিন দাস। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ২১ নম্বর রেলগেটের সামেনে ফুল কিনতে যায়। ঠিক তখনই দুইজন দুষ্কৃতী বাজারে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে দুই রাউণ্ড গুলি করে। প্রথম গুলিটি না লাগলেও দ্বিতীয় নম্বর গুলিটি রবিন দাসের পিঠে লাগে। তারপরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুই দুষ্কৃতী। পুলিসের দাবি, ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ঘটনার সময়কার ফুটেজ গুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি ওই ফুটেজে দুই অভিযুক্তকেও দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই দুই অভিযুক্তর খোঁজে তাল্লাশিও করা হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটিতে ধাক্কা (Accident) মেরে উল্টে গেল পিকআপ ভ্যান। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) চাঁচলের ভাগভাদো এলাকায় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসে। ঘটনার জেরে মৃত্যু (Death) হয়েছে স্কুটির চালক তথা এক দমকল কর্মীর। এই ঘটনায় ওই পিকআপ ভ্যানের মধ্যে থাকা ৭ জন শ্রমিক গুরুতর আহত (Injured) হয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃত ওই ব্যক্তিকে ও আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতরা বর্তমানে সামসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং মৃতের দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই স্কুটির চালক তাথা দমকল কর্মীর নাম মৈনাক ঘোষ(৫৭)। তিনি চাঁচল দমকল কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, মঙ্গলবার স্কুটিতে করে চাঁচলের দিকে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। হরিশ্চন্দ্রপুরের তালসুর থেকে মাখনা শ্রমিকদের নিয়ে শ্রীপুরের দিকে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পিকআপ ভ্যানটি দ্রুত গতিতে থাকার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাগভাদো এলাকায় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসে এসে একটি স্কুটিতে ধাক্কা মারে। তারপরেই স্কুটিটি দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যায় এবং পিকআপ ভ্যানটিও উল্টে যায়। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই তাঁরা তড়িঘড়ি এসে আহতদের উদ্ধার করে। তবে ওই ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্কুটির চালক, এমনটাই দাবি তাঁদের।