ফের বনগাঁ-শিয়ালদহ (Bangaon-Sealdah) শাখায় চলন্ত ট্রেনে (train) রেল যাত্রীকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা। সাত সকালের এমন ঘটনায় গুরুতর জখম (seriously injured) এক যুবক। জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বনগাঁ থেকে শিয়ালদহগামী একটি ডাউন ট্রেন সংহতি স্টেশন ছাড়ে। এরপর হাবড়ার কাছাকাছি ৩০ নম্বর রেলগেট লাগোয়া এলাকায় ট্রেন আসতেই আচমকা চলন্ত ট্রেনে রেললাইন থেকে ছুটে আসে পাথর। পাথরের আঘাতে গুরুতর জখম হন ট্রেনের গেটের পাশে দাড়িয়ে থাকা এক যাত্রী।
জানা যায়, ওই আহত যাত্রী চাঁদপাড়ার বাসিন্দা, বছর ২৮ এর পীযুষ সাহা। এরপরে ট্রেন হাবড়া প্লাটফর্মে এলে ট্রেনে থাকা অন্যান্য রেল যাত্রীদের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাথরের আঘাতে যুবকের নাকের মধ্যে গভীর ক্ষত এবং অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। আর এইজন্যই হাবরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য যুবককে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে রেফার করা হয়। জিআরপি সূত্রে জানা যায়, আহত যুবকের বাড়ি গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া বাজার এলাকায়। এদিন ঠাকুরনগর থেকে তিনি বনগাঁ-শিয়ালদহগামী ট্রেনে করে কলকাতার দিকে ব্যক্তিগত কাজে যাচ্ছিলেন, তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
তবে কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তদন্তে নেমেছে জিআরপি এবং আরপিএফ। অন্যদিকে ফের একবার বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় রেল যাত্রীদের উপর পাথরের হামলার ঘটনায় রেল যাত্রীদের নিরপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার পরে নিত্যযাত্রীরা জানান, ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে। পাশাপাশি যাত্রী পরিষেবা সু-নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রেল আধিকারিক এবং রেল প্রশাসনকে আরও সজাগ দৃষ্টি রাখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Accident)। যাত্রীবাহী বাস (Bus) ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু (Death) হয় এক মাসের শিশুর (Child)। গুরুতর আহত হয়েছেন ৮ জন। খড়িবাড়ি কলাবাড়ির ৩২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, খড়িবাড়ি থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। উল্টো দিকে থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে মুখোমুখি সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার জেরে বাসটির সামনের অংশ একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চালক ও একটি একমাসের শিশুসহ আহতদের উদ্ধার করে খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। ৮জন আহতের মধ্যে চালকসহ মোট তিনজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুজন আহত খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মৃত্যু হয় এক মাসের শিশুটির। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিসবাহিনী।
উল্লেখ্য, একইদিনে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক বাগনান আমতা মোড়ে স্করপিও গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ১০ চাকা লরির। ঘটনায় আহত হন ৫ জন। যাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে এলাকার মানুষ ও বাগনান থানার পুলিস স্করপিওতে থাকা ৫ জনকে উদ্ধার করেন। আহতদের প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে আশঙ্কাজনক ২ জনকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়গপুরমুখী লেন দিয়ে একটি স্করপিও গাড়ি যাওয়ার সময় বাগনান আমতা ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড়ে একটি বাইক হঠাৎ রাস্তার উপর চলে আসে। তাকে বাঁচাতেই স্করপিও গাড়িটি ডানদিকে টার্ন নেয়। সেই সময় পিছনে আসা একটি ডাম্পার গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। তার পিছনে আরেকটি প্রাইভেট গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে স্করপিও গাড়িটি কলকাতা মুখী লেনে চলে এলে কলকাতা মুখী লেনে আসা একটি ১০ চাকার লরির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে।
জমিতে জল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদ। আর যার জেরে বোমা (bomb) নিয়ে চলল হামলা। ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) একই পরিবারের মোট ৫ জন সদস্য। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ (Mursidabad) জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্লভপুর গ্রামে ঘটে। আহত অবস্থায় ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital)। তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা ও একজন শিশু রয়েছে।
জানা গিয়েছে, জমিতে সেচের জল দেওয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত পারিবারিক বিবাদ তৈরি হয়। হাবিব সেখের পরিবারের সঙ্গে সরফরাজ সেখের পরিবারের সদস্যদের শুরু হয় প্রথমে কথা কাটাকাটি ও এরপর বিবাদ। ঘটনার জেরে হাবিব সেখের পরিবারের ওপর বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে, সারফারাজ সেখ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাবিব সেখের বাড়িতে ঢুকে বোমা হামলা চালিয়েছে। ঘটনার জেরে এক শিশু ও দুই মহিলা সহ মোট পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিব সেখ, দুলাভ সেখ, শাহানা বিবি, আসরাফা বিবি ও এক শিশু আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সকলকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিস। তবে সঠিক কী কারণে এই বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিস জানিয়েছে।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Accident) গুরুতর আহত (injured) হলেন দুই বিএসএফ জওয়ান (BSF jawan)। ঘটনাটি মাথাভাঙা (Mathavanga) ১ নং ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চানন মোড় সংলগ্ন এলাকার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোচবিহারের (Cooch Behar) দিক থেকে মাথাভাঙার দিকে আসা একটি ট্রাক এবং মাথাভাঙার দিক থেকে কোচবিহারের দিকে যাওয়া একটি বিএসএফ জওয়ানের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে বিএসএফ জওয়ানদের গাড়ির সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। পাশাপাশি ঘটনাস্থলেই আহত হন দুই বিএসএফ জওয়ান। পথদুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে আহত দুই বিএসএফ জওয়ানকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের শুট আউট (shootout) ক্যানিংয়ে। আবারও এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে (canning)। শনিবার রাতে ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পেটুয়ার মোড়ের কাছে জসিমুদ্দিন মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের (murder) চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় গুরুতর জখম (injured) হন ওই কর্মী, স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ক্যানিং এলাকায় থেকে চারজনকে আটক করে ক্যানিং থানার পুলিস।
পুলিস (police) ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে বাজার থেকে নিজের মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন জসিমুদ্দিন। রাস্তার মাঝে পেটুয়া মোড়ের কাছে তাঁর পথ আটকায় সাইফুল ঘরামী ও তাঁর অনুগামীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাইফুল এলাকায় দুষ্কৃতী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে জসিমুদ্দিন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খতিব সর্দারের অনুগামী। এরপর আচমকাই তাঁকে রাস্তায় দাড় করিয়ে দুষ্কৃতীরা এক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে। গুলির শব্দে আশেপাশের মানুষজন বেড়িয়ে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ঠিক এক মাস আগেও সকাল বেলায় ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গুলি করে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল এক তৃণমূল নেতা সহ তিনজনকে। বার বার ক্যানিং থানা এলাকায় এই শুট আউটের ঘটনা ঘটায় যথেষ্ট আতঙ্কে স্থানীয় মানুষজন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।