সারা বিশ্বে অনেক কুকুরপ্রেমী (Dogs) রয়েছেন। গৃহপালিত পশুদের মধ্যে কুকুর অনেকেই পছন্দ করেন। তবে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে কুকুরদের প্রতি মানুষের ভালোবাসার। কুকুর বিশ্বস্ত। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পশুরা কাছের মানুষদের বিপদ দেখলেই সাহায্য করতে ছোটে। ঠিক তেমন ঘটনাই ঘটল আবারও। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দুই শিশু বাড়ির সামনে ছোট্ট বাগানে বল নিয়ে খেলছে। এমন সময় তাদের বল পড়ে যায় পাশের জলের ফোয়ারায়।
দুই শিশুরই বয়স কম। এক শিশু এই ঘটনার পর দৌঁড়ে যায় বাড়ির লোক ডাকতে। আরেকটি শিশু জলের ফোয়ারার দিকে ঝুঁকে সেই বল তোলার চেষ্টা করে। আরেকটু হলেই হয়তো শিশুটি ওই জলে পড়ে যেতে পারত। কিন্তু সেই মুহূর্তেই তাকে বাঁচিয়ে নেয় বাড়ির পোষ্য কুকুরটি। সে দৌঁড়ে গিয়ে বাচ্চাটির জামা টেনে সরিয়ে নিয়ে আসে পিছনের দিকে।
যে বলটি ফোয়ারায় পরে গিয়েছে, সেটিকে জল থেকে বের করার উপায়ও বের করে কুকুরটি। পাশে রাখা ফোয়ারা পরিষ্কার করার একটি জাল লাগানো হাতল নিয়ে আসে। তারপর সেটি দিয়েই জলে পড়ে যাওয়া বলটিকে উদ্ধার করে কুকুরটি। এই ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।
ভাঙড়ের ঘটনা (Bhangar incident) নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে একযোগে নালিশ করতে চলেছে কংগ্রেস (Congress) ও সিপিএম (CPIM)। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কমিশন। সেই বৈঠকেই নালিশ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মনোনয়নের ঘটনায় যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে ভোটের দিনের চেহারা মারাত্মক হতে পারে। ভাঙড়ের ঘটনাকে উদাহরণ টেনে পঞ্চায়েতে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে অনড় কংগ্রেস ও বিজেপি।
এই ঘটনার পর বিরোধীদের প্রশ্ন কোথায় গেল ১৪৪ ধারা? কোথায় গেল পুলিসের রুট মার্চ? গত শুক্রবার থেকে তপ্ত ছিল ভাঙড়ের দু'নম্বর ব্লক। ওই দিন এক সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ কেন আইএসএফ মনোনয়ন জমা দেবে, তা নিয়ে বচসা শুরু হয়েছিল। সেই জল গড়াল বোমাবাজিতে। সোমবারই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম দাবি করেছিলেন, নিয়ম মেনেই মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। কোনও অশান্তি তাঁরা ভাঙড়ে হতে দেবেন না।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাঙড় সব উল্টো প্রমাণ করল। তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে জখম হলেন কমবেশি সাত থেকে আট জন। হরির লুঠের মতো বোমা পড়ল। প্রায় সাত রাউন্ড গুলি চলেছে বলেও খবর। যেখানে রক্ত ঝড়েছে পুলিসের গা থেকেও।
অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। সম্প্রতি গায়িকা হলদিয়ায় গিয়েছিলেন অনুষ্ঠান করতে। প্রথমে সব ঠিকই ছিল। গান গাইতে শুরু করলেন ইমন। দর্শকেরা বারবার তাঁকে অনুরোধ করছিলেন, 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' সিরিজের 'পাখিদের স্মৃতি' গানটি গাইতে। তাঁদের অনুরোধ রেখে ইমন যেই না গানটি গাইতে শুরু করেছেন, তখনই বিপত্তি। হঠাৎ করেই অডিটোরিয়ামের সমস্ত এল নিভে যায়। ইমন সামান্য বিপাকে পড়লেও দর্শকদের বুদ্ধিতে দারুণ মুহূর্ত তৈরি হল।
অডিটোরিয়ামে উপস্থিত দর্শকেরা নিজেদের ফোনের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দিলেন।জোনাকির মতো আলোয় সেজে উঠেছিল অডিটোরিয়াম। জেনারেটারে আগে থেকেই মিউজিক নেওয়া ছিল। তাই ইমন গান ধরলেন, 'বৃষ্টির স্মৃতি যুদ্ধ বিরতি ভিজে ওঠে অবরোধে, রাস্তার স্মৃতি সারমেয় ভীতি জেগে থাকে অপরাধে।'
সম্প্রতি ইমন নিজের সামাজিক মাধ্যমে সেই ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'পাখিদের স্মৃতি গানের মাঝেই হঠাৎ বাইরে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় আর তার সাথে অফ হয়ে যায় কারেন্ট। গোটা অডিটরিয়াম যখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন, সেই সময় দর্শকরা যখন মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বেলে তার শিল্পী কে আলো দেয়, এর চেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না একজন শিল্পীর কাছে।'
দিন কয়েক আগে পুনেতে কনসার্ট ছিল এ আর রহমানের (A.R Rahman)। যথারীতি স্টেজে উঠে গান গাইতে শুরু করেছেন গায়ক। রহমান এবং সহশিল্পীদের কণ্ঠে উঠে আসছে একের পর এক জনপ্রিয় গান। কনসার্টে (Pune Concert) উপস্থিত হাজারেরও বেশি দর্শক সেই গানের আবেশে বিভোর। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে শেষ গানটি ধরেছেন রহমান এমন সময় মঞ্চে ওঠেন পুনে পুলিসের এক অফিসার। একেবারে আঙুল উঁচিয়ে 'সিংঘম' স্টাইলে নির্দেশ দেন গান বন্ধ করতে। এই ঘটনা ইন্টারনেটে জেনে গিয়েছে সবাই। সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনরা নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন, কিন্তু অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান কী বলছেন? সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া লিখলেন তিনি।
রহমান নিজের সামাজিক মাধ্যমে পুনের কনসার্টের ঝলক একটি ভিডিওর মাধ্যমে আপলোড করেছেন। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ সবটুকুর ঝলক ছিল ওই ভিডিওতে। যে ঘটনা নিয়ে এত আলোচনা, ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া সেই অংশটুকুও রয়েছে ভিডিওতে। ক্যাপশনে গায়ক লিখেছেন, 'পুনে ধন্যবাদ এরকম মনে রাখার মতো একটা বিকেল দেওয়ার জন্য। দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। কিন্তু আমরা কী মঞ্চে রকস্টার মুহূর্তের সাক্ষী থাকলাম? আমার তো তেমনই মনে হয়।'
প্রসঙ্গত 'রকস্টার' বলিউডের একটি সিনেমা। ২০১১ সালে রণবীর কাপুর অভিনীত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। সেই ছবির চিত্রনাট্য তৈরী হয়েছিল এক বিদ্রোহী গায়ককে ঘিরে। যার গানই বিপ্লব। সিনেমায় একাধিকবার দেখা গিয়েছে, ওই চরিত্রের কণ্ঠরোধ করতে উদ্যত হয়ে উঠেছিল পুলিস। ঘটনাচক্রে সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন খোদ এ আর রহমান। সেদিনের পুনের ঘটনার সঙ্গে গায়ক মিল খুঁজে পেয়েছেন এই সিনেমার।
Did we all just have the “Rockstar” moment on stage yesterday? I think we did!
— A.R.Rahman (@arrahman) May 1, 2023
We were overwhelmed by the love of the audience and kept wanting to give more..
Pune, thank you once again for such a memorable evening. Here’s a little snippet of our roller coaster ride ;) pic.twitter.com/qzC1TervKs
সেদিন পুনের কনসার্টে রহমানের গান গাওয়ার সময়সীমা ছিল রাত ১০টা পর্যন্ত। কিন্তু গান গাইতে গাইতে সময় পেরিয়ে যায়। তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিস কনসার্ট থামাতে বলেন। বেশি কথা না বলে, রহমান দর্শকদের এবং পুনে পুলিসকে ধন্যবাদ জানিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যান।
মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) সামশেরগঞ্জের তালতলার কাঠমেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident)। সোমবার, ভোর রাতে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকার ফার্নিচার সহ কাঠের যাবতীয় আসবাবপত্র। পুড়ে ছাই তিনটে গোডাউনে থাকা খাট সহ আরো বিভিন্ন সামগ্রী।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোর রাতে হঠাৎ মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের তালতলা কাঠমেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আগুন লাগার কারণ না জানলেও আকস্মিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং দমকলের একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হলেও কার্যত আগুনের দাবানল ক্রমশ বাড়তেই থাকে। তারপরেই ছুটে আসে দমকলের আরেকটি ইঞ্জিন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে ভয়াবহ আগুন। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্যাবসায়ীরা। মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র।
কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পুলিসের ৪ এএসআই সাসপেন্ড। মৃতার দেহ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল। পুলিসের ভূমিকায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড়। ঘটনার ৩ দিন পর পদক্ষেপ জেলা পুলিসের। সূত্রের খবর, কালিয়াগঞ্জ নাবালিকা নিগ্রহের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি দল। এই ঘটনায় গত সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার লাগাতার উত্তপ্ত হয়েছে কালিয়াগঞ্জ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। সাত দিনের জন্য ওই এলাকাতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
সূত্রের খবর নাবালিকার নিগ্রহ ও খুনের ঘটনার পর, নাবালিকার মৃতদেহকে আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয়রা। নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিসকে, বিক্ষোভ অবরোধের মুখে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করা সহজ কাজ ছিল না মোটেও। এরপর কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করে, ওই নাবালিকার মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছবি ভাইরাল হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। এ ঘটনার তিনদিন পর আজ অর্থাৎ সোমবার এ ঘটনায় জড়িত চার পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করলে উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিস।
দুষ্কৃতীমূলক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কল্যাণী (Kalyani Incident) মুরাতিপুর এলাকায় রাজকুমার মণ্ডল নামে বছর ২৬-এর এক দুষ্কৃতীকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। শুক্রবার ওই আসামীকে (Inmate escape) কল্যাণী মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে কোর্ট চত্বরে পুলিসের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় সেই আসামী। আর এতেই চাঞ্চল্য কল্যাণী মহকুমা আদালত চত্বরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কল্যাণী থানার একাধিক পুলিস ভ্যান ওই আসামিকে খুঁজতে বেরোয়। ওই আসামীকে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিস প্রশাসনকে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ওই আসামীকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিস সূত্রে খবর, কল্যাণী দু'নম্বর বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়া এক ডাকাত দলের মধ্যে থেকে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও বাকিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া ওই আসামীকে শুক্রবার কল্যাণী মহকুমা আদালতে তুলতে গেলে বিপত্তি। পুলিসি হেফাজত থেকে ওই আসামি চম্পট দিয়েছে।
এক ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াকে একাধিকবার যৌন নিগ্রহে (Sexual Offence) কাঠগড়ায় এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, নিগৃহীতা এবং অভিযুক্ত দু'জনেই পড়শি। নদীয়ার (Nadia Incident) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষ্ণগঞ্জের আদিত্যপুর এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিস। থানার বড়কর্তা নিজে এই তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসোর (POCSO) সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি হবে। এই আশ্বাস দিয়েছেন থানার বড়কর্তা।
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে নির্যাতিতার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত ছিল অভিযুক্তর। নির্যাতিতার বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। পারিবারিক দৈন্যতার সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিভিন্ন অছিলায় একাধিকবার স্থানীয় একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে। এমনকি, এই নিগ্রহ সম্বন্ধে কাউকে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় ছাত্রীর পরিবারকে। এমনটাই স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, সোমবার একইভাবে ছাত্রীকে এলাকার এক বাগানে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করে অভিযুক্ত। এই সময় ঘটনাটি দেখে ফেলেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত এলাকায় দাপুটে এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় প্রাথমিকভাবে কেউ মুখ খোলেনি। কিন্তু মঙ্গলবার সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার।
যদিও এই ঘটনা চাউর হতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। অভিযোগ, পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকার রফা করে মামলা তুলে নিতে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন অভিযুক্তর স্ত্রী। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে অভিযুক্তর কড়া শাস্তির দাবিতে সরব নির্যাতিতার পরিবার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। উপযুক্ত শাস্তি পাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি, এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান কৃষ্ণগঞ্জ থানার বড়কর্তা।
স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড (Acid) ছুড়ে মারার অবিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) অদূর সিয়নে। ৫৬ বছরের ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করেছে পুলিস। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ৬৯ বছরের এক ব্যক্তি। স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহের জেরেই অ্যাসিড ছুড়েছেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, তবে ওই মহিলার আঘাত গুরুতর নয়। এখনও চিকিত্সাধীন অবস্থায় রয়েছেন ওই মহিলা।
পুলিস জানিয়েছে, প্রতীক্ষানগরে থাকেন ওই প্রবীণ দম্পতি। সোমবার তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। প্রবীণ অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। সেই নিয়েই সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ বচসা শুরু হয়। প্রবীণ রেগে গিয়ে এক বোতল অ্যাসিড স্ত্রীর মুখের দিকে ছুড়ে দেন।
গ্রামের লোকজনকে মারধর (Beaten) করে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছিল বাগদা (North 24 Parganas) থানার সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনগর এলাকায়।অভিযুক্তদের মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷জানা গিয়েছে, ধৃত ওই চারজনের নাম গিতু রায়, ঝর্ণা রায়, তপতী রায় ও বন্দনা বিশ্বাস৷
জানা গিয়েছে, বাগদার কনিয়াড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দ পাপিয়া রায়ের সঙ্গে কয়েক বছর আগে পাশের বেলেটারা গ্রামের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়৷যদিও বিয়ের আগে থেকেই হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা অনুপম বাগচীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাপিয়ার। এমনকি ওই মহিলার পরিবারের লোকজন তাঁর অমতেই বিয়ে দিয়েছিল৷ বিয়ের পর পাপিয়া প্রেমিক অনুপমের সঙ্গে পালিয়েও যায় একবার৷ তখন পুলিসই তাঁকে উদ্ধার করে নিয় আসে৷ তবে মাস দুয়েক আগে পাপিয়া ফের অনুপমের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করে৷ এমনকি দুজনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেছিল। বিবাহিত স্বামীকে ছেড়ে ওই মহিলা প্রেমিকের বাড়িতে এসে প্রায় দুমাস ধরে ঘর-সংসার করছিল। সেই কথা জানতে পেরেই মহিলার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন গাড়ি করে এসে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যায়। এমনকি স্থানীয়রা বাধা দিলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়।
অভিযোগ, ৯ই এপ্রিল তেঘরিয়া ও বেলেডাঙ্গা গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে গাড়িতে করে প্রেমিক অনুপমের বাড়িতে চড়াও হয়। স্নান করা অবস্থায় ওই মহিলাকে টেনে হিচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় হরিনগর গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ জানান। এর পরেই তেঘরিয়া ও বেলেডাঙ্গার লোকজন হরিনগর গ্রামের লোকজনের উপর হামলা চালায় ও তাঁদের ব্যাপক মারধর করে। অভিযোগ, এই ঘটনায় ৭ জন মহিলা জখম হয়৷ যার ফলে হরিনগর বাওড়ের ধার পল্লী যুব সংঘের সম্পাদক বিপ্রজিত দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তবে অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিসের ভূমিকা ছিল নিষ্ক্রিয়, এমনই অভিযোগ উঠছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনায় হরিনগর গ্রামের লোকজন দল বেঁধে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দারস্থ হন৷ এই বিষয়ে বিশ্বজিৎবাবু কথা বলেন পুলিসের সঙ্গে৷ এরপরই কিছুটা নড়েচড়ে ওঠে বাগদা থানার পুলিস৷ পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চার জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷
সম্পর্কে থেকে বেড়িয়ে আসার কথা স্পষ্ট জানাতেই প্রেমিকের হাতে খুন (Kill) হয় প্রেমিকা। অভিযোগ, একাধিকবার ছুরি মারা হয় প্রেমিকাকে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির (Delhi) বদরপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, চার বছর ধরে ওই তরুণী এবং অভিযুক্ত তরুণের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ওই কিশোরী সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রেমিককে। এমনকি তরুণকে বিয়ে করতেও পারবে না বলে জানান তরুণী। এই কথা শোনার পর ওই তরুণ ক্ষিপ্ত হয়ে যান।
রবিবার, দুপুরে বদরপুর এলাকার মোলারবন্দে বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল ওই তরুণী। সেখান থেকেই ওই তরুণীর পিছু নেয় অভিযুক্ত। তরুণীকে বন্ধুর বাড়ির বাইরে আসতে বলে অভিযুক্ত। অভিযোগ তরুণীকে বাড়ির বাইরে ডেকে এনে একের পর এক ছুরির আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। তরুণীর ঘাড়ে এবং মাথায় ছুরি আঘাত মারার ফলে গুরুতর আহত হয়েছে। তাঁকে দিল্লি এইমসে ভর্তি করানো হয়।
তদন্তে নেমে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। পুলিস অভিযুক্তর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
নিজের বাড়িতে গলা কেটে খুন (Death) বৃদ্ধ দম্পতিকে। সোনা-গয়না-সহ আরো ৪ লক্ষ টাকা চুরি (Theft)। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। রাজধানীর পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম রাধেশ্যাম বর্মা বয়স ৭২ বছর এবং তাঁর স্ত্রী বীণা বয়স ৬৮ বছর।
সোমবার সকালে উত্তর-পূর্ব দিল্লির গোকালপুরী এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ওই বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ। পুলিস সূত্রে খবর, ৩৮ বছর ধরে বহুতলের বাড়ির নীচের তলায় থাকতেন ওই দম্পতি। ওই বাড়ির দোতলায় থাকেন তাঁদের ছেলে রবি রতন এবং তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের ছ’বছরের সন্তান। কারোলবাগে দিল্লি গভর্নমেন্ট স্কুলের সহ-প্রিন্সিপাল ছিলেন রাধেশ্যাম। দিল্লি পুলিসের ডিসিপি জয় তির্কে জানান,ওই বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিসের একটি দল। পুলিস আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, ঘর পুরো লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ি থেকে সোনাগয়না এবং নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা চুরি গিয়েছে। রতন পুলিসকে জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাবা, মাকে শেষবারের মতো দেখেছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছেন পুলিস। এই খুনের ঘটনায় পুলিসের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ডাকাতেরা দম্পতির বাড়িতে ডাকাতি করতে এসে খুন করেছেন।
তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে ৩ জন যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁ থানার রামকৃষ্ণপল্লীর ঘটনা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার (Bangaon Police) পুলিস। অভিযুক্তদের সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা। তিনি রবিবার রাত আটটা নাগাদ বনগাঁ শহর থেকে স্কুটি করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়ই এমন ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে বেশ কয়েক দিন ধরেই ফলো করছিল এক যুবক। তাঁর রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছে তাও ওই যুবক খুব উত্তপ্ত করত তাঁকে। তবে রবিবার রাত আটটা নাগাদ তিন অভিযুক্ত মুখে গামছা বেঁধে এসে তরুণীর পথ আটকায়। তারপরই অভিযুক্তরা তরুণীর গাঁয়ে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান ওই তরুণী৷ তারপরই তিনি বনগাঁ থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
এমনকি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন করেছেন ওই তরুণী।
ফের পথকুকুরের (Stray Dog) আক্রমণের (Attack) ঘটনা। মৃত্যু (Death) হল পাঁচ বছরের শিশুর (Child)। জানা গিয়েছে, ভোরবেলা প্রাতঃকৃত্য সারতে রাস্তায় বেড়িয়েছিল শিশুটি। সেসময় শিশুকে ঘিরে ধরে একদল পথকুকুর। এর ফলে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। শরীরের মিলেছে আঘাতের চিহ্নও। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) কোরিয়া জেলার বৈকুণ্ঠপুরে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম সুকান্তি। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ সে প্রাতঃকৃত্যের জন্য মার্গদর্শন স্কুল রোডের রাস্তায় বেড়িয়েছিল। তখনই শিশুটির উপর হামলা হয়। কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে মৃত্যু হয় শিশুটির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কুকুরের কামড়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
উল্লেখ্য, পথকুকুরের আক্রমণে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। একের পর এক শিশুর মৃত্যু কুকুরের আক্রমণে, তা সত্যি আতঙ্কের বিষয়।
হোম ওয়ার্ক না করার অপরাধে শিক্ষকের মারে শ্রবণশক্তি হারাল এক কিশোর। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের থানে (Thane Incident) জেলার এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। তবে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। জানা গিয়েছে, গত ৩১ মার্চ এক গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যায় বছর ১২-র ওই পড়ুয়া। হোমওয়ার্ক (Home Work Issue) করে না নিয়ে যাওয়ায় শিক্ষক তাকে মারধর করেন। ব্যথা লাগে এক কানে। পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরার পর থেকেই সেই কানে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। কিছুই শুনতে পাচ্ছিল না সেই পড়ুয়া। ঘটনার কথা সে তার বাবা-মাকে জানায়। সেই কিশোরকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে, শুরু হয় চিকিৎসা।
ইতিমধ্যে গোটা ঘটনা জেনে পড়ুয়ার মা-বাবা মুম্বই শহরতলির এক থানায় গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত শিক্ষক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পড়ুয়া কানে শুনতে না পেলেও তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভাল।