নিজের নাম বদলে দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কলকাতা বিমানবন্দর লাগোয়া অঞ্চল থেকে বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বিমানবন্দর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। নাম ইমরান।কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে দুস্কৃতিমূলক কাজ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। শেষমেশ পুলিসের জালে ধরা পড়ল ওই দুস্কৃতি। ধৃতকে বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, কখনও মজিদ আনোয়ার আবার কখনো অনু তিওয়ারি, কোনও সময় ইমরান বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে কলকাতা বিমানবন্দর লাগোয়া অঞ্চলে দুস্কৃতিমূলক কার্যকলাপ চালাতেন ধৃত ব্যক্তি। ১৭ অক্টোবর বিমানবন্দর থানা এলাকার মাইকেল নগরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধ মহিলা বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ করেন যে, সে রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এক ছিনতাইবাজ তাঁর গলায় থাকা সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেন। এরপরেই তদন্তে নেমে মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে ওই ছিনতাইবাজকে আটক করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আটক ওই ছিনতাইবাজ তাঁর কর্মকাণ্ড স্বীকার করে নেন। জানা গিয়েছে, ধৃত ইমরান উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে মধ্যমগ্রাম অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে ধৃত ছিনতাইবাজ পার্শ্ববর্তী থানা এলাকায় বহুবার এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। পুলিস ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার আবেদন করে আদালতে পেশ করে।
বর্তমান সময়ে যখন চাঁদে চন্দ্রযান পাঠাচ্ছে ভারত, মুঠোফোনে গোটা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। ঠিক এই সময়ে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বাংলার ছবি প্রকাশ্যে এলো। কুসংস্কার মানতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল ৬৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার কাশ্যপ পাড়াএলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, নতুন কাপড় আগুনে না দিয়ে পোড়াতে নেই, এমনই কুসংস্কার মানতেন বৃদ্ধা কাজল রানী দাস। নতুন কাপড় কিনে আগুনে পোড়াতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, নতুন কাপড়ে আগুন লাগাতেই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সেই আগুন চোখের নিমেষে নিজের গায়ের শাড়িতে লাগে। এরপর ছড়িয়ে পড়ে বৃদ্ধার গোটা শরীরে। তড়িঘড়ি ছেলে সুরজিৎ দাস আগুন নিভিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় কাজল রানী দাসের। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে পুলিস। তবে বর্তমান সময়ে এই ধরনের কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে এখনও বাংলার মানুষ। কবে এই কুসংস্কার এর হাত থেকে মুক্ত হবে বাংলা? এই প্রশ্নই বারবার উঠে আসছে।
স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিৎ রায়ের নীতিতে বিশাল পুলিস বাহিনী যায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম অঞ্জলি মণ্ডল (৩৭)। এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম রবিন মণ্ডল। বাড়ি বারুইপুর থানার অন্তর্গত শিখর বালি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালার মনসাতলা গ্রামে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই গৃহবধূ। তারপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোনো খবর মেলেনি তাঁর। এরপরেই বাড়ির ভিতর থেকে একটা পচাগন্ধ পায় স্থানীয়রা। এই বিষয়ে সন্দেহ হওয়া মাত্রই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিস গিয়ে ছাগলের ঘর থেকে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। ইতিমধ্য়ে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
প্রসূন গুপ্ত: পুজো, দীপাবলি আর বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হলেই ভারতের ৫ রাজ্যের বিধানসভার ভোট (Election)। ছত্রিশগড় , মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরাম। এই ৫ রাজ্যের ভোটকে অনেকেই লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল হিসাবে দেখছে। এই ৫ রাজ্যে সরাসরি ক্ষমতায় বিজেপি আছে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশে। কাজেই তাদের লক্ষ থাকবে বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তত ৪টি রাজ্য দখল করা। প্রশ্ন হচ্ছে, কাজটি কতটা সোজা বা কঠিন?
১০ বছর প্রায় নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রের ক্ষমতায়। এবারেও তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনিই আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ। একটি বিষয় কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটিকে ভাবাচ্ছে, তৃতীয়বারের জন্য পরপর প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন একমাত্র জহরলাল নেহেরু এবং তখন কংগ্রেসের বিকল্প দল বলতে কিছু ছিল না। আজকের পরিস্থিতি কিন্তু একেবারেই আলাদা। কাজেই মোদী নিজেও চাইছেন এই ৫ রাজ্যের ফল যেন ভালো হয়। ইদানিং 'ইন্ডিয়া' নামক জোট হয়েছে এবং যতটুকু খবর তারা এই রাজ্যগুলিতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেবে কাজেই হিসাব করে চলতে চাইছে বিজেপি।
নানান সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, যে প্রতিটি রাজ্যেই অনেকটাই চাপে বিজেপি। প্রথমত ছত্রিশগড়ের মানুষ বর্তমান কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের কাজে খুবই সন্তুষ্ট। ৯০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস আশা করছে ৭৫ আসন। অন্যদিকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নেই। মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস কমলনাথের নেতৃত্বে পোক্ত জায়গায় রয়েছে বলেই খবর। গতবারই কংগ্রেস এখানে জিতেছিল কিন্তু দল ভাঙিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে বিজেপি, ফলে এলাকার মানুষের একটা ক্ষোভ আছেই। এমনটিই দেখা গিয়েছিল সম্প্রতি কর্নাটকে, বিজেপি পর্যদস্তু হয়েছিল। রাজস্থানে প্রতি ৫ বছর বাদে বাদে নতুন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি ক্ষমতায় আসে। এতদিন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস কাজেই এবারে হিসাব মতো বিজেপির আসার পালা কিন্তু এখানেও সংকট। মোদীর অপছন্দের নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, তাই পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে দল তাঁকে নিয়ে ভাবছে না।
বসুন্ধরা শোনা যাচ্ছে তাঁর নিজের ঘনিষ্টদের নির্দল করে সিংহভাগ কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে। এরা ভোট কাটুয়া। ফলে ভোট ভাগাভাগি হলে আখেরে লাভ কংগ্রেসের। এছাড়া অশোক গেহেলথ যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে পেরেছেন। মিজোরাম কোনও দিনও বিজেপির জমি ছিল না এবারেও হওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে তেলেঙ্গানায় মূল লড়াই তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয়র সঙ্গে কংগ্রেসের। বিজেপি এখানে বড়োজোর কিছু আসন পেতে পারে। জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাবে বিজেপি ১৮ সাংসদদের ফের বিধানসভার প্রার্থী করছে বিভিন্ন রাজ্যে। কাজেই কঠিন সেমিফাইনালে, দেশের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি।
পুজো প্রায় এসেই গেল। টলিউড অভিনয় জগতের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। পুজোর চারটে দিন দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে তৈরি বাংলা সিনেমাগুলিও। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত 'দশম অবতার'এর ট্রেলার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। এবার মুক্তি পেল 'জঙ্গলে মিতিন মাসি'র (Jongole Mitin Mashi) ট্রেলার।
কোয়েল মল্লিককে (Koel Mallick) দেখা গিয়েছে তার চেনা মেজাজে। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'মিতিন মাসি'। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কোয়েল মল্লিক। 'জঙ্গলে মিতিন মাসি' সেই সিনেমার সিক্যুয়েল। চরিত্রের জন্য ইদানিং নিজেকে ভেঙে গড়ে নিচ্ছেন কোয়েল মল্লিক। এই সিনেমাতেও সেই জের জারি রয়েছে। অভিনেত্রী সুলভ আচরণ ছেড়ে কোয়েল হয়ে উঠেছিলেন দুঁদে গোয়েন্দা। শুধুমাত্র তাই নয়, একা হতে ধরাশায়ী করেছিলেন শত্রুদের। আবারও একই ভূমিকায় দেখা গেল মিতিন মাসিকে।
তবে এবার ইট পাথরের শহরে নয়, মিতিন মাসিকে দেখা যাবে গহীন জঙ্গলে। ঘন জঙ্গলে দুটি হাতের মৃত্যু হওয়ার পর, চোরা শিকারীদের নিজ হাতে দমন করবেন তিনি। সেই ট্রেলারই মুক্তি পেয়েছে মঙ্গলবার।
২০১৯ সালে বাংলার সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছিল অরিন্দম শীল পরিচালিত সিনেমা, 'মিতিন মাসি'। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)। গুমনামী, পাসওয়ার্ড-এর মতো হেভিওয়েট সিনেমার মধ্যে থেকেও দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছিলেন 'মিতিন মাসি' (Mitin Mashi)। সেই জের জারি রাখতে চলতি বছর দুর্গাপুজোয় আবারও ফিরতে চলেছেন 'মিতিন মাসি'। তবে এবারে আর শহরে নয়, মিতিন মাসিকে দেখা যাবে জঙ্গলে।
চোরা শিকারির রক্তচক্ষুতে যখন একের পর এক পশুর জীবন বিপন্ন, তখন তাঁদের ত্রাতা হয়ে উঠবেন মিতিন মাসি। এবারেও মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে কোয়েলকে। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের এই উপন্যাসকে সিনেমার পর্দায় জীবন্ত করে তুলতে বেশ কিছু পশুকে শ্যুটিংয়ে দেখানো হয়েছে, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়া জরুরি ছিল। তাই জন্য কোয়েলকে কী করতে হয়েছে জানেন! সামাজিক মাধ্যমের পর্দায় দেখা গিয়েছে সেই ঝলক।
অভিনেত্রী সিনেমার সবচেয়ে বড় সহ-অভিনেতার সঙ্গে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। তিনি আর কেউ নয়, হাতি। সিনেমার শ্যুটিংয়ে বহু দৃশ্যে দেখা যাবে তাকে। তবে কোয়েল কিন্তু সহজে বন্ধুত্ব করতে পারেননি। হাতিটিকে নিয়মিত আদর করতে হয়েছে কোয়েলকে। খাওয়াতে হয়েছে তার প্রিয় সবজি। এই সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজ করে বেজায় খুশি অভিনেত্রী। হাতিটিকে আদুরে ও বন্ধুত্বপূর্ণ লেগেছে অভিনেত্রীর।
মণি ভট্টাচার্য: কালের নিয়মে বয়স বাড়লে কমজুরি হয়ে যায় মানুষ। আর এটাই হয়ত সুযোগ। অপমানিত হতে হয়, লাঞ্চিত হতে হয়, কখনও কখনও খুন হতে হয় পরিচারিকা, গাড়িচালক, কিংবা কোনও প্রোমোটারের হাতে। মূলত যারা শহর কলকাতায়, কিংবা কলকাতা লাগোয়া শহরতলি এলাকা গুলিতে একাকী থাকেন। হ্যাX, পরপর দুটো খুন, একটি বাগুইহাটিতে অন্যটি দমদম নাগেরবাজারে। পৃথক দুটি ঘটনাতেই একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খুনে প্রশ্ন উঠছে শহরে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে। শহরে, কতটা নিরাপদ একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। খোঁজ নিলো সিএন-ডিজিটাল।
শনিবার দু'টি পৃথক প্রবীণদের খুনের ঘটনায় কোথাও পরিচারিকা কিংবা কোথাও গাড়ির চালকের গ্রেফতারি চিন্তা বাড়িয়েছে প্রবীণদের। সূত্রের খবর, বাগুইহাটিতে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই বৃদ্ধার এক পরিচারিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ঘুমের সমস্যা হওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে মারধর করতেন পরিচারিকা। পাশাপাশি, দমদমের নাগেরবাজারে গাড়ি চেয়ে না পাওয়ায়, একাকী এক বৃদ্ধ কল্যাণ ভট্টাচার্যকে খুন করে তাঁর গাড়িচালক। ওই বৃদ্ধর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই তদন্তে নেমে পুলিশ ওই গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে।
খোঁজ নিতেই জানা গেল, কোথাও কেউ কেউ আছেন নিশ্চিন্তে, কিংবা কোথাও আছেন আতঙ্কে। কলকাতা লাগোয়া উত্তর দমদমের এক প্রবীণ হেমন্ত সুর আতঙ্কে থাকেন, একাকী জেনে যদি কখনও কেউ তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। কিংবা যদি তিনি শারীরিক ভাবে সমস্যায় পড়েন? তাঁর একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, হেমন্ত বাবু শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'আতঙ্ক তো একটু হয়ই, মাঝে একদিন হুমকিও এসেছিল, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছি।' শহরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাল-হকিকত খোঁজ নিতেই জানা গেল রাজ্য পুলিশের তরফে প্রবীণদের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও ব্যাবস্থা এখনও নেই। সে ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে লোকাল পুলিশ ছাড়া কোনও সুরক্ষা তাঁদের দেওয়া হয় না। যদিও কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, বয়স্কদের সুরক্ষার্থে একটি বেসরকারি এনজিও দ্যা বেঙ্গলের সঙ্গে যৌথ ভাবে 'প্রণাম' নামের একটি বিভাগ চালু করেন কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা শহরে একাকী প্রবীণদের উপর বারবার আক্রমণ, খুনের ঘটনাগুলি সামনে আসতেই, এই ঘটনাগুলি পাকাপাকি ভাবে মেটাতে চালু হয় এই 'প্রণাম' বিভাগ। কলকাতা পুলিশ সূত্রেই খবর, 'প্রণাম' বিভাগের তরফে শহরের একাকী বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের তরফে তিন ধরণের সহায়তা করা হয়। আইনি সাহায্য, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাহায্য, এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাহায্য। শহরের যাঁরা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ, যাঁরা একা, তাঁরাই এই 'প্রণাম'-এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। কলকাতা পুলিশ সূত্রে আরও খবর, কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত ৭২ টি থানা এলাকায় বর্তমানে প্রায় ২৩ হাজার একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এই প্রণামের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের সুবিধা, সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।
কলকাতা পুলিশের 'প্রণাম'-এর এক সদস্য, শহর কলকাতায় একাকী বৃদ্ধ স্বপন কুমার ঘোষ শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও সমস্যা হয় না। সব সময় 'প্রণাম'-এর পুলিশের সদস্যরা পাশে থাকেন। অসুস্থ হয়ে গেলে হাসপাতালেও নিয়ে যান। সপ্তাহে একবার করে দেখা করেন, রোজ একবার খোঁজ নেন।' ওদিকে 'প্রণাম'-এর অপর এক সদস্য মিনা ঘোষ শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন,'কলকাতায় একা আছি, এটা কখনও মনেই হয় না। মাঝে মাঝে বিনোদনের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিয়ে যান তারা।'
এ বিষয়ে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গোতম মোহন চক্রবর্তী ও দ্যা বেঙ্গল এনজিওর কর্ণধার সন্দীপ ভুতোড়িয়া ২০০৯ সালে এই 'প্রণাম' প্রকল্পটি শুরু করেন। এদিন প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গোতম মোহন চক্রবর্তী সিএন-ডিজিটালকে জানান, এই 'প্রণাম' শহর কলকাতার একাকী মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি শনিবার দ্যা বেঙ্গল এনজিওর তরফে জয়েন্ট কনভেনর এশা দত্ত বলেন, 'শহরে একাকী বৃদ্ধের সহযোগিতায় সবসময় প্রণাম ভরসা হয়েই থাকবে, এছাড়া রোজ হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে ফোন পেয়ে কমপক্ষে ১৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সহযোগিতা করা হয়। যারা এখনও প্রণামের সদস্য নয়।' 'প্রণাম'- এর হেল্প লাইন নম্বর ০৩৩ ২৪১৯ ০৭৪০।'
প্রসূন গুপ্তঃ এতো ঘটা করে সিপিএমের দেশজ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'তে উপস্থিত থেকে অনেক উপদেশ দিলেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সীতারাম, তারপরেই যখন সমন্বয় কমিটি হলো তখনই সেই কমিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলো সিপিএম। এখন শুধু এই নিয়ে প্রশ্ন নয় বিতর্ক হচ্ছে বিস্তর। তাদের ইঙ্গিত কেরালায় তারা কংগ্রেসের এবং বাংলায় তৃণমূলের বিরোধী কাজেই ওই সমন্বয় কমিটিতে নাকি তাদের প্রতিনিধি থাকলে জনতার কাছে ভুল বার্তা যাবে। কিন্তু এসব তো জোট গড়ার আগেই ভাবনার মধ্যে ছিল তবে এই জোট বৈঠকে যাওয়ার দরকার কি ছিল, উঠছে এমন প্রশ্ন।
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের শক্তি বিলীন হয়ে গিয়েছে। ৩৪ বছর শাসনের পরে ১০ বছরের মাথায় বিধানসভা ভোটে তাদের অবস্থান শূন্য। লোকসভাতে এই রাজ্য থেকে বামেদের একজনও সাংসদ নেই। অন্যদিকে প্রায় একই অবস্থা অন্য প্রাক্তন বামদুর্গ ত্রিপুরাতেও। সেখানেও গত ভোটে বিরোধী হওয়ার যোগ্যতাও হারিয়েছে তারা। টিকে আছে কেরালাতে। আপাতত ওই রাজ্যের ক্ষমতায় বামেরা। বামেদের বিভিন্ন রাজ্যে প্রধান প্রতিপক্ষ একমাত্র ত্রিপুরায় বিজেপি। বাকি বাংলায় তৃণমূল এবং কেরালায় কংগ্রেস। সমস্যা তাদের এই দুই রাজ্য নিয়েই। কেরালাতে তাদের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট মোটেই মেনে নেবে না সমর্থকরা। একই কথা বাংলাতেও। মূলত সিপিএমের বিরোধিতার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের উত্থান কাজেই তৃণমূলের আদি কর্মীরা যেমন মেনে নেবে না সিপিএমের সঙ্গে জোট, তেমনই সিপিএমের টিকে থাকা ভোটাররাও মেনে নেবে না তৃণমূলের সঙ্গে জোট। এই দুই রাজ্যেই জোট করলে আখেরে ক্ষতি সিপিএমের।
অবিশ্যি ব্যঙ্গক্তি আসছে তৃণমূলের তরফ থেকে। তাদের বক্তব্য, বিজেপির সঙ্গে আসল সেটিং সিপিএমেরই। আজ বাংলায় বিজেপির ভোট শতাংশের সিংহভাগই সিপিএমের। বিজেপির এই রাজ্যে নাকি কোনও দিনও ৬-৭ % বেশি ভোট ছিল না, তাহলে ৩৭/৩৮% ভোট তাদের বাক্সে পড়ছে কি ভাবে? একই সাথে তারা বলছে এতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ প্রতি বিরোধী দলের উপর অথচ সিপিএমের উপর কোনও চাপই নেই। তাদের বিস্ফোরক বক্তব্য, চিটফান্ডের জন্ম বাম জমানাতে এবং তাদের সেলিম সহ বহু নেতাকে ওই ব্যবসায়ীদের সাথে একই মঞ্চে বা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে অথচ কি এমন ঘটনা যে, আজ অবধি সিপিএমের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাও হলো না। রহস্যের এই সমস্ত উত্তর একমাত্র সিপিএমই দিতে পারবে।
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল গণপতি (Ganapati) আরাধনা। আগামী ১০ দিন উৎসবের মরশুম। আর এই উৎসবে প্রত্যেক বারের মতো মেতে উঠেছেন, বলিউড তারকারা। অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত, অনুষ্কা শর্মা, শিল্পা শেট্টি একাত্ম হয়েছেন গণপতি আরাধনায়। অন্যদিকে রাজকুমার রাও এবং তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী পত্রলেখা থেকে শুরু করে শাহরুখ খান, সকলেই 'সুখ কর্তা, দুখ হর্তা'র আগমনবার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।
শাহরুখ খানের বাড়িতে মঙ্গলবার গণপতি এসেছেন। অভিনেতা সামাজিক মাধ্যমে তাঁর দর্শন দিয়েছেন সকলকে। একইসঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'বাড়িতে স্বাগত গণপতি বাপ্পাজি।' অভিনেতা সকলের জন্য আনন্দ, জ্ঞান, সুস্বাস্থ্য এবং অনেক মোদক চেয়েছেন আশীর্বাদে। কিং খান, ধর্ম নিরপেক্ষ। প্রত্যেক বছরই তাঁর বাড়িতে গণেশ আরাধনা হয়। এর আগে গণপতির ছবি দেয়া সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে সেসব কাদা কোনওদিনও গায়ে মাখেন না অভিনেতা।
অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার বাড়িতেও গণপতি এসেছেন। স্বামী বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর আরাধনায় মন দিয়েছেন অভিনেত্রী। চতুর্থীর দিন, ঘিয়ে জমি-লাল পাড়ের শাড়ি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। গলায় পরেছিলেন ভারী গয়না। অন্যদিকে বিরাট সেজেছিলেন সাদা পাঞ্জাবিতে। বহুদিন পরে ভারতীয় পোশাকে দেখা গেল দম্পতিকে।
অন্যদিকে অভিনেত্রী শিল্প শেট্টিও প্রত্যেক বছরের মতো গণপতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। একেবারে জাঁকজমক আয়োজন করেছেন অভিনেত্রী। স্বামী রাজ কুন্দ্রা, ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। অভিনেত্রী পুজোয় বেছে নিয়েছিলেন ইন্দো ওয়েস্টার্ন পোশাক।
অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতও সকলকে গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। গণপতি মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।
অভিনেতা রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা বাড়িতে একেবারে ছোট করে গণপতি আরাধনা করছেন। জাঁকজমক নেই তাঁদের আয়োজনে কিন্তু ভক্তি রয়েছে ষোলো আনা। সেই ছবি তাঁরা আপলোডকরেছেন স্বামাজিক মাধ্যমে।
মহা বিপাকে পড়লেন বলিউডের অভিনয় ও সঙ্গীত জগতের তারকারা। একটি বিয়েতে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন সানি লিওনি (Sunny Leone), আতিফ আসলামের (Atif Aslam) মতো ব্যক্তিত্বরা। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা কাল হল। একেবারে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডির (ED) নজরে পড়লেন তাঁরা। তারকারা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২০০ কোটি টাকা বাজেটের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দুবাইতে বিলাসবহুল আয়োজনে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ চন্দ্রকর।
এই সৌরভ চন্দ্রকর একেবারেই ভারতের সাধারণ শিল্পপতি নয়। তিনি অনলাইনে একটি বেটিং অ্যাপ চালাতেন। সেই অ্যাপের নাম 'মহাদেব বেটিং অ্যাপ'। ভোপাল-মুম্বই ও কলকাতায় তল্লাশি চালিয়ে এই বেটিং অ্যাপ থেকে আদায় করা ৪১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কিন্তু ইডি তাকে খুঁজছে তা জানতে পেরেই বিদেশে পালান সৌরভ চন্দ্রশেখর। এমনকি দুবাইতে বিয়েও সারেন সবার অলক্ষ্যে। তবে সেই বিয়েতে জাঁকজমকের কোনও কমতি ছিল না।
ভারতের এমনকি পাকিস্তানের নানা জনপ্রিয় তারকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। এই তালিকায় ছিলেন, সানি লিওনি, টাইগার শ্রফ, ভাগ্যশ্রী, কৃতি খরবান্দা, নুসরাত বারুচার মতো অভিনেতা-অভিনেত্রী। এছাড়াও কমেডি তারকাদের মধ্যে ক্রুষ্ণা অভিষেক, ভারতী সিং-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সঙ্গীত জগৎ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, আতিফ আসলাম, রাহাত ফতেহ আলি খান। জানা গিয়েছে, মোটা অংকের টাকার চুক্তির বিনিময়ে দুবাইতে গিয়েছিলেন এই তারকারা। তাই এই মুহূর্তে ইডির নজরে রয়েছেন এই তারকারা।
দেশজুড়ে বেশ কিছু সঞ্চালক ও অনুষ্ঠান বয়কট করবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। বুধবার দিল্লির কো-অর্ডিনেশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাসভবনে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন ১৪টি দলের প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকে আগামী অক্টোবরে বিরোধী জোটের প্রথম কর্মসূচিও ঠিক করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশ তাঁদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। তাই সেই সব সংবাদমাধ্যমকে বয়কট করবে এই জোটের নেতৃত্বরা। কোন কোন সঞ্চালক ও সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠান বয়কট করা হবে, সেই তালিকায় তাড়াতাড়ি জানাবে ইন্ডিয়া-জোটের সমন্বয় কমিটি।
বুধবার দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে দীর্ঘ আলোচনার পর সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধিরা সিদ্ধান্ত নেন, ভোপালে ২ অক্টোবর তাঁদের প্রথম ব়্যালি হবে। এছাড়াও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয় এই বৈঠকে। আসন সমঝোতা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে, তা যদিও জানানো হয়নি।
বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সমন্বয় বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন ছেড়ে রাখা হয়েছিল। বুধবার ইডির ম্যারাথন জেরা থেকে বেরিয়েই অভিষেক জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এইদিন ইডি তলব করেছে তাঁকে।
অভিষেক বলেন, "একদিন আগে তাঁকে তলব করতে পারত। একদিন পরে তলব করতে পারত। আজ ২টোর মধ্যে দিল্লি যেতে হত। যদি বৈঠকে যোগ দিতাম। কিন্তু সকাল সাড়ে ১১টায় ডাকা হয় আমাকে। জেরার নির্যাস শূন্য নয়, মাইনাস ২।"
এদিন অভিষেক বলেন, "আমি আজ বৈঠকে সিনিয়র নেতৃত্ব শরদ পাওয়ারজি, সঞ্জয় রাউতজি, কেসি বেনুগোপালজি, আমি সকলকে নতমস্তকে বিনম্রচিত্তে সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রণাম জানাচ্ছি।"
সৌমেন সুর: শ্রী রবিশঙ্কর বলেছেন, 'ভালোবাসাই পৃথিবীর চালক। বসুধৈব কুটুম্বকম। কৃষ্ণের ছলনায় ভুলো না। রাধার মতো চালক হও। কৃষ্ণ রাধা থেকে পালিয়ে যেতে পারতেন না। কারণ রাধার সমস্ত জগৎই ছিল কৃষ্ণময়।' কৃষ্ণ হলেন দিব্যশক্তি। আমাদের মধ্যে রয়েছে সেই কৃষ্ণ, সেই দিব্যশক্তি। তাঁকে খুঁজতে হবে, তাঁকে ধরে থাকতে হবে। তাঁর জন্য আমাদের সংকল্প করতে হবে। পৃথিবীতে সার্বিক সংকল্প হল সেবা। যদি আমাদের জীবনে কোনও ভয় থাকে, তাহলে তা এসেছে সংকল্পের অভাব থেকে।
আধ্যাত্মিকতা ও রাজনীতি, দুটোই মানুষকে নিয়ে কাজ করে। অধ্যাত্মিকতাহীন রাজনীতি মানুষকে বিকৃত করে। অসাধু তৈরী করে এবং আবওহাওয়ায় কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে রাজনীতি ও মানবতাহীন রাজনীতি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, অপরাধ প্রবণতা ও অসাধুতা সৃষ্টি করে। কথা হল, রাজনীতি ও আধ্যাত্মিকতা একসঙ্গে চলার প্রয়োজন আছে। একমাত্র আধ্যাত্মিকতাই পারে আত্মবিশ্বাস ও দায়বদ্ধতা তৈরী করতে। প্রশাসনে যারা থাকেন, তাদের জন্য মানবিকতা ও এই মূল্যবোধগুলি বিশেষ প্রয়োজন। যিনি সকলকে সমানভাবে দেখতে পারেন। অর্থাৎ একজন নেতার সমদর্শী হওয়া প্রয়োজন। সত্যাদর্শী সত্য দ্বারা চালিত হন। পারদর্শী তাঁর কাজে স্বচ্ছ হন। দূরদর্শী উদার মনের হন। প্রিয়দর্শিনীর মধ্যে প্রেম করুনার মৈত্রী থাকে। এইসব গুণগুলো প্রশাসনের জন্য জরুরি।
যদি সমাজে বিশৃঙ্খলা থাকে, আধ্যাত্মিকতার মূল্য না থাকে, তাহলে সেই সমাজকে পরিচালনা করা কঠিন। আধ্যাত্মিকতা মানুষকে সৎ ও দায়বদ্ধ করে। অপরাধ মুক্ত সমাজ তৈরির জন্য এটা প্রয়োজন। যখন ধর্মের নাম অনেক যুদ্ধ হয়, তখন আধ্যাত্মিকতা সাহস দেয়, আত্মবিশ্বাস তৈরী করে। এবং কঠিন সময়েও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে মানুষকে। আজ ধর্ম ও রাজনীতির সংস্করণ দরকার। ধর্মকে অনেক বেশি আধ্যাত্মিক হতে হবে। কলার খোলসটা হল ধর্ম, আর ভিতরের শাঁসটা হল আধ্যাত্মিকতা। স্বাধীনতা দিতে হবে, প্রত্যেকের নিজের ধর্মকে, প্রার্থনাকে। তাহলে পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান ভান্ডারকে এক করা যাবে। সমস্ত রাজনীতিবিদদের মধ্যে সহাবস্থান হয় না, তখনই আমরা পাই ছদ্মধর্মীয় নেতাদের। সবশেষে বলি, আধ্যাত্মিকতা জীবন সম্বন্ধে উদার দৃষ্টিভঙ্গি এনে দেয়। যাতে করে সকলের সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নেওয়া যায়। তথ্যঋণ- কোন বসু মিত্র।
বাংলা সিনেমা জগতে ব্যোমকেশের বাড়বাড়ন্ত। পাল্লা দিয়েছে ফেলুদা, হালফিলের শবর ও সোনাদা। গোয়েন্দাদের এই দলে একমাত্র মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বী 'মিতিন মাসি' (Mitin Mashi)। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা উপন্যাস থেকে এই চরিত্রটিকে প্রথম সিনেমার পর্দায় তুলে আনেন পরিচালক অরিন্দম শীল। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick) অভিনীত 'মিতিন মাসি'। ওই একই বছরে মুক্তি পেয়েছিল, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'গুমনামী' ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের 'পাসওয়ার্ড'। এই দুই সিনেমার মাঝেও দর্শকদের মন জিতেছিল সিনেমাটি।
স্বাভাবিকভাবে মিতিন মাসি নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছে। চলতি বছর দুর্গাপুজোয় আসতে চলেছে 'জঙ্গলে মিতিন মাসি'। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে সিনেমার টিজার। কয়েকটি ঝলকেই কোয়েলের আগাম প্রশংসা করা যায়। ২০২০ সালে সন্তানের মা হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে নিজেকে আবারও আগের ঝরঝরে চেহারায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। জঙ্গলে মিতিন মাসির অ্যাকশন দৃশ্যের ঝলক দেখে মনে হয়েছে, বয়স যেন কমে গিয়েছে কোয়েলের।
মিতিন মাসিকে এবার দেখা যাবে ঘন জঙ্গলের মাঝে রহস্য উন্মোচন করতে। শুধুমাত্র যে মানুষের জীবনে বিপর্যয় নামে তা তো নয়, বন্যা প্রাণীদের জীবনেও বিপর্যয় নামে। এবার 'মিতিন মাসি' তাঁর অদৃশ্য দশ হাতে চোরা শিকারীর নিধন করবে। দুর্গাপুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি।
কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে আসার অভিযোগ এক প্রাইমারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই স্কুলের অন্যান্য শিশু পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার বামনগাছি পল্লীমঙ্গল প্রাইমারি স্কুলের। অভিযোগ, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও শুক্রবার বিদ্যালয়ে এলেন, ও পড়ুয়াদের ক্লাস ও নিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন একজন শিক্ষক হয়েও তিনি কর্তব্যরতের মত ব্যবহার করলেন না। তাছাড়া তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন কতৃপক্ষকে! সে প্রশ্নই উঠছে।
সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী গত মাসের ২৯ তারিখে চোখের সংক্ৰমণ জনিত রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়। এরপরে পার হয়েছে ৩ দিন। একটু চোখের লাল ভাব কমতেই তাঁকে স্কুলে দেখা গেলে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ সংক্রমিত হওয়ার পরেও কেন সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ না হয়েই স্কুলে এলেন তিনি? এ বিষয়ে সিএন-ডিজিটালকে ওই শিক্ষক বলেন, 'তিনি যে স্কুলে এসেছেন সে বিষয়ে জানেন ব্লক স্কুল পরিদর্শক অমিত মন্ডল।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে ব্লক স্কুল পরিদর্শক জানেন ওই শিক্ষক কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্তান্ত, সেখানে তিনি কিভাবে ওই শিক্ষককে স্কুলে আসার অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে জানতে ওই পরিদর্শককে বারবার ফোন করা হলে, তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
সূত্রের খবর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও চাকরিজীবী অসুস্থ হলে মেডিকেল বাবদ ছুটি পায়। কিন্তু তাকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট কাগজ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর উর্ধতন কতৃপক্ষ তাকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে। এখন প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক বলেন, 'আমার চোখে লাল ভাব নেই, আমি সুস্থ তাই স্কুলে এসেছি।' কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল ঘোষের দাবি, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট নিয়েই আসতে বলা হয়েছিল।
একদিকে যখন করোনার মত সংক্রমক রোগ কাটিয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব, এরপরে আরও এক সংক্রমক রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিসে ভুগছে গোটা দেশ। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে বাঁচার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে একজন শিক্ষক হয়ে এমন বেনিয়ম তিনি কিভাবে করলেন সেই প্রশ্নই উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ওই শিক্ষকের থেকে ওই স্কুলের কোনও পড়ুয়ার সংক্ৰমন ছড়িয়ে পড়লে সেই দায় কার? যদিও এবিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন কতৃক।