কেন্দ্রের বিরোধী জোট মঞ্চ ইন্ডিয়া-র বৈঠকে গৃহীত হল মোট তিনটি রেজলিউশন। ওই তিন রেজলিউশনকে মাথায় রেখে এখন থেকেই লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি।
শুক্রবারের বিরোধী জোটের বৈঠকে যে তিনটি রেজলিউশন গৃহীত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে জোটে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আসন বণ্টন, নির্বাচনী প্রচার এবং নির্বাচনী স্লোগান। পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে স্লোগানও প্রকাশ করা হয়। লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের স্লোগান হতে হতে চলেছে জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া। যদিও এই স্লোগান প্রতিটি স্থানীয় ভাষাতেই অনুবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি শুক্রবারের বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হল বিরোধী জোটের তরফে। মোট ১৩ জন সদস্য রয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, কেসি বেনুগোপাল, সঞ্জয় রাউত সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
দেশের যাতে ভাল হয়, সেই চেষ্টাই করা হবে। মুম্বইয়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে এমনই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পটনা ও বেঙ্গালুরুর পর শুক্রবার মুম্বইয়ে বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠক। একটি পাঁচতারা হোটেলে যোগ দিয়েছেন ২৮টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর ছেলে, নীতিশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতাদের।
বিরোধী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীতিশ কুমার অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি ও রাজ্যে আসন বণ্টন নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি সূত্রের খবর, বিরোধী জোট প্রসঙ্গে সব জোট ই চান দ্রুত বিরোধী জোটের কর্মসূচি নেওয়া হোক।
সবভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর (Samantha Ruth Prabhu) অসুস্থতার কথা এই মুহূর্তে সকলেই জানেন। শ্যুটিং শিডিউলের মাঝেই একদিন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সামান্থা। চিকিৎসা করলে বুঝতে পারেন, তিনি মায়োসাইটিস (Myositis) রোগে আক্রান্ত। সাময়িক চিকিৎসা করিয়ে অভিনেত্রী শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরেছিলেন আবারও। তবে সহকর্মীদের সঙ্গে অসুস্থতার কথা ভাগ করে নেওয়া সহজ ছিল না, সেসময় মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তাঁর সেই কঠিন সময়ের কথা ভাগ করে নিয়েছেন সামান্থার সহ অভিনেতা ও ভালো বন্ধু বিজয় দেবেরকোন্ডা (Vijay Deverakonda)।
সম্প্রতি এক মিউজিক কনসার্টে বিজয় বলেছেন, 'আমার থেকেও বেশি আমি সামান্থার মুখে হাসি দেখতে চাই। সে সিনেমার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছে। আমরা ২০২২ এলের এপ্রিল মাসে সিনেমার শ্যুটিং শুরু করি, আমাদের মুখে হাসি নিয়ে। প্রায় ৬০ শতাংশ শ্যুটিংয়ের কাজ শেষ করে ফেলেছিলাম। কেবল ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শ্যুটিংয়ের কাজ বাকি ছিল। জুলাইতে স্যামের (বিজয় ভালোবেসে সামান্থাকে ডাকেন) শারীরিক অবনতি হতে থাকে। সে তখন আমাদের জানায়।'
অভিনেতা সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, সামান্থা যখন নিজের অসুস্থতার কথা তাঁকে জানায় প্রথমটায় বিশেষ গুরুত্ব দেননি অভিনেতা। বরং 'তুমি তো এখনও সুন্দর দেখতে' এই বলেই হালকাভাবে নিয়েছিলেন বিষয়টি। বিজয় বলেন, 'একটা সময়ের পর সামান্থা আমাদের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন, দেখা করা বন্ধ করে দেন। ও ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ও অনেকগুলো লড়াই লড়েছে। একটা সময় ও প্রকাশ্যে নিজের অসুস্থতার কথা ভাগ করে নিয়েছিল, এটুকু বোঝাতে যে এখনও আশা আছে।'
অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে (Akshay Kumar) একসময় অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে তিনি ভারতের নাগরিক (Citizenship) নয় বলে। অবশেষে সেই সব কিছুর জবাব দিলেন অক্ষয়। ভারতের ৭৭-তম স্বাধীনতা দিবসে, অভিনেতা নিজের ভারতীয় হওয়ার প্রমাণ দিলেন সামাজিক মাধ্যমে। ১৫ অগাস্ট অক্ষয় সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি দিয়েছেন। সেই ছবিতে অক্ষয় কুমারের হাতে দেখা গিয়েছে, ভারত সরকারের লোগো দেওয়া একটি ফাইল। তার মধ্যে একগুচ্ছ কাগজ।
ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে অভিনেতা ক্যাপশনে লিখেছেন, 'মন এবং নাগরিকত্ব দুটোই ভারতীয়। শুভ স্বাধীনতা দিবস। জয় হিন্দ।' এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় ভারতের নাগরিকত্ব সম্পর্কে বলেছেন, 'ভারত আমার কাছে সবকিছু। এই যা কিছু অর্জন করেছি, এখন থেকেই করেছি। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনি করি এই দেশ থেকে পাওনা ফিরিয়ে দিতে পেরে। যখন মানুষ তোমার সম্পর্কে কিছু না জেনে কথা বলে, তখন খারাপ লাগে।'
কিন্তু জানেন কী কেন অক্ষয়ের কাছে ভারতের নাগরিকত্ব ছিল না এতদিন? এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় বলেছিলেন, 'কেরিয়ারের শুরুর দিকে আমার সিনেমা সাফল্য পাচ্ছিল না। তখন কানাডায় থাকা আমার এক বন্ধু কাজের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমি সেখানে গিয়ে নাগরিকত্বর জন্য আবেদন করি পেয়েও যায়। এদিকে আমার দুটো সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল ভারতে। সাফল্যও পেয়েছিল। এরপর সেখান থেকে আমি আবারও ভারতে ফিরে আসি।'
ছেলে ছাত্র রাজনীতি করতেন বলে শুনেছিলেন। সেই কারণেই কি ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এখন এই প্রশ্নই তোলপাড় করছে যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত মনোতোষ ঘোষের মায়ের মনে। কারণ স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পিছনে তাঁদের ছেলের কোনও হাত থাকতে পারে না বলে দৃঢ় বিশ্বাস তাঁদের।
মনোতোষের বাড়ি হুগলির আরামবাগে। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার পরেই কার্যত হতবাক তাঁর বাবা-মা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনোতোষ। তাঁর বাবা শান্তিনাথ এবং মা টগর ঘোষ একটি ‘ফাস্ট ফুড’-এর দোকান চালান। মনোতোষের বাবার কথায়, তাঁদের ছেলে বলেছিল পুলিশ আমাকে ডাকতে পারে। চিন্তা না। করতে। অন্যদিকে, মনোতোষের মা টগরের দাবি, ছেলে ছাত্ররাজনীতি করেন বলেই হয়তো তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে যাদবপুরের বয়েস হোস্টেলে মৃত্যু হল এক তরতাজা ছাত্রের। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এমনকি শুরু হয়েছে প্রতিবাদ মিছিলও। এমতাবস্থায় বালুরঘাট (Balurghat) গার্লস কলেজে (Girls Hostel) কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলছে হোস্টেলের আবাসিকরা। অভিযোগ, মহিলা হোস্টেলের দরজা জানালা ভেঙে (Bad Condition) রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। খবরের কাগজ, বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে জানালাগুলি। বারবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি। যার ফলে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হোস্টেলের আবাসিকরা। এমনকি এই গাফিলতির জন্যে যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে নানান দুর্ঘটনা।
হোস্টেলের ছাত্রীদের অভিযোগ, হোস্টেলে আসার পর থেকেই দরজা জানালা ভাঙা, জলের আ্যকোয়ার্গাড ভাঙা অবস্থাতেই দেখেছে তাঁরা। যার ফলে পানীয় জল থেকে শুরু করে রান্নার যাবতীয় সামগ্রী কিনতে হচ্ছে হোস্টেলের ছাত্রীদেরই। এমনকি ভাঙা জানালা গুলির বাইরে ঝোপঝাড়, নোংরা থাকা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তা পরিস্কার করার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপরন্তু কলেজের অধ্যাপককে এই সমস্যার কথা বললে তিনি ছাত্রীদেরই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কথা বলেন, এমনটাই অভিযোগ। তাঁদের দাবি, অতিশীঘ্রই কলেজের তরফ থেকে হোস্টেলে জানালা, দরজা বসানো হোক। পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ঝোপঝাড়, নোংরা সবকিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হোক।
এই বিষয়ে বালুরঘাট কলেজের গার্লস হোস্টেলের সুপারিনটেনডেণ্ট জানান, হোস্টেলের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। খুব তাড়াতাড়িই এই সমস্যাগুলির সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তীব্র দাবদাহের পর বর্ষার আগমনে দেশবাসী স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু বর্ষা আসতেই শুরু হয়েছে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। আর যেই রোগ সারা দেশজুড়ে বেশি দেখা যাচ্ছে তা হল কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis)। এটি চোখের রোগ, যা বিশেষত ভাইরাসের সংক্রমণেই হয়ে থাকে। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই কম বেশি এখন এই সংক্রমণ হচ্ছে। ফলে এবারে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ঘরোয়া কিছু উপায়েও (Home Remedy) কমানো যেতে পারে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যা।
লবণ জল: এক লিটার জলে এক চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে এরপর সেই জল ঠান্ডা করে ব্যবহার করতে পারেন। এই জলে এক কাপড় ডুবিয়ে তারপর সেই কাপড় দিয়ে চোখের পাশে মুছে ফেলতে হবে। এতে চোখের পাতায় লেগে থাকা নোংরা পরিস্কার হবে।
গ্রিন টি ব্যাগ: চোখের জ্বালা ও চোখ ফোলা কমাতে গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত। টি ব্যাগকে ঠান্ডা করে এটি চোখের উপর রাখলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।
মধু: চোখের বিভিন্ন ইনফেকশন রুখতে মধু খুবই উপকারী। এক কাপ জলে দু'ফোটা মধু মিশিয়ে তা ভালো করে গরম করতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ ঠান্ডা করে চোখে এক-দু ফোটা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই সব ঘরোয়া উপায় মেনে চলার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী-পশ্চিমবঙ্গ সরকার): সিএন পোর্টাল থেকে বললো যে রবিবার বন্ধুত্বের দিবস বা ফ্রেন্ডশিপ ডে। আমাদের যুগে এতশত বুঝতাম না যে এটারও আবার একটা দিন হতে পারে। একটা কথাই বাস্তব, ছোটবেলা থেকে পড়াশুনা-খেলাধুলা সবেতেই বন্ধুত্ব থাকতো যা কিনা আজকেও আছে। আমি হয়তো আজ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হতে পারি, হয়তো সরকারি সিকিউরিটি নিয়ে অফিস যেতে হতে পারে, কিন্তু এখনও অফিসে যাওয়ার পথে কাউকে দেখলে থেমে যাই বা হাত নাড়িয়ে ডেকেনি।
এ অভ্যাস আমার আর পাঁচ জনের মতো। মানে বন্ধুত্বের কথা বলি। মনে পড়ে যাচ্ছে স্কুল জীবনের কথা। ক্লাস করার থেকে টিফিনে দুস্টুমিই বেশি মনে পড়ে। খেলাটা আমার নেশা ছিল স্কুলে তো ফুটবল খেলতামই। কিন্তু ছুটির পর পাড়ার মাঠে খেলাটাই বেশি পছন্দের ছিল। লাল হলুদ জার্সির আকর্ষণ তো ছিলই। লাইন দিয়ে বিস্তর খেলা দেখেছি। দলবল নিয়েই যত কাণ্ড আমার ছিল। এমন কোনও দিন থাকতো না যেদিনটা বন্ধুহীন হয়ে থাকতাম।একটু বড় হওয়ার পর তো আমাদের পুজোর মধ্যে চলে এলাম। তখন পড়ার বাইরে খেলা আড্ডা এবং পুজোতে কাজ করাটাই ছিল আসল। অষ্টমীতে দল বেঁধে সবার বাড়িতে খিচুড়ি বিতরণ এবং কালী পুজোতে তো দায়িত্ব আরও বেড়ে যেত। আমাদের নৈহাটিতে কালী পুজো বিখ্যাত। ফলে অন্য ক্লাবের পুজোর সঙ্গে টক্কর তো থাকতো।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বন্ধুদের সঙ্গে একটু ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে গন্ধ দূর করার একটা আর্ট ছিল। ধরা পরে মার খাবার কথাও ভুলিনি। ইস এতো বছর বাদে ওই দিনের কথা লিখতে বসে কত কথা মনে পরে চোখে জল এসে যাচ্ছে। আমার মনে হয়ে ছোটবেলার বন্ধুই সেরা বন্ধু। যদিও কলেজে ঢুকে নিজেকে অনেকটাই স্বাধীন মনে হয়েছিল। এরপর তো কলেজের আড্ডা, রাজনীতি, অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা ইত্যাদির সঙ্গে ভীষণ ভাবে যেটা ভালো লাগলো তা হচ্ছে নাটক। আজকেও শত কাজের মধ্যে নাটকটা সুযোগ পেলে করি। এখানকার বন্ধুরা আবার একটু গম্ভীর মেজাজের। আমার গিন্নি দারুন সংগীত শিল্পী, কাজেই ওর সঙ্গে আগে অনেকটা সময় কাটতো সংস্কৃতি মানসে। ও তো আমার প্রিয় বন্ধুই বটে, এ ছাড়া আমার সন্তানরাও আমার বন্ধু।
রাজনীতি করি, যাদের সঙ্গে করি তাঁরা আমার বন্ধু। এখন তো ওদের সঙ্গেই কাজ। এ ছাড়া দপ্তরে তো কাজের ফাঁকে যোগাযোগ রাখি বন্ধুদের সাথে। মনে হয়ে ভগবানকে বলি, আমি যেন সকলের পার্থ হয়েই থাকতে পারি এবং আপনারা আমার বুদ্ধিদাতা কৃষ্ণ। (অনুলিখন- প্রসূন গুপ্ত)
প্রসূন গুপ্ত: পরপর অনেকগুলি ঘটনা কিন্তু ফের কেন্দ্রীয় রাজনীতিকে জনতার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রথমত কেন্দ্রীয় এনডিএ জোট বনাম ইন্ডিয়া জোটের কে কোথায় অবস্থান করছে তা কখনও পরিষ্কার কখনও ধোঁয়াশা করে তুলেছে। সম্প্রতি এক সভায় একই মঞ্চে উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বর্ষীয়ান গান্ধীবাদী নেতা শারদ পাওয়ার। লোকমান্য তিলকের নামাঙ্কিত পুরস্কারে নাকি এবারে নাম ছিল শারদ পাওয়ারের। এদিকে বিরোধী জোটের অন্যতম কারিগর এই পাওয়ারই। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর দল এনসিপিতে ভাঙ্গন দেখা গিয়েছে। যেমন শিবসেনা ভেঙে দুটি দল হয়েছে এবং বিদ্রোহী শিন্ডে দল ভেঙে শিবসেনা (শিন্ডে) তৈরি করে বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে, নিজে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার তৈরি করেছে। এরপর ফের রাজনীতির ট্যুইস্ট ভাঙলো পাওয়ারের দলটিও। শারদের ভাইপো অজিত পাওয়ার দল ভাঙিয়ে, তাঁর দল নিয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এই ডিগবাজিতে আতংকিত একদিকে পাওয়ার অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডেও। নিজেদের অবস্থান এবং শক্তি নিয়ে চিন্তায় দুটি দল। এরই মধ্যে মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে থেকে এবং তাঁর হাত থেকে পুরস্কার নিয়ে বিরোধী জোটের ব্যাডবুকে চলে গিয়েছেন।
অন্যদিকে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারে চলে যাওয়া সাংসদ পদ ফিরে পেতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। ভোটের প্রচার করতে গিয়ে রাহুল নাকি "সব মোদী একই রকম" গোত্রীয় ভাষণ দিয়েছিলেন। এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে কোনও এক মোদী গুজরাটের একটি আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। বিচারপতি আদেশ দেন যে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হবে এবং দুই বছর অবধি জেল হতে পারে। ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাহুলের পক্ষ থেকে সুপ্রিম করতে যায় কংগ্রেস। শুক্রবার গুজরাটের আদেশকে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই উলহাস শুরু হয় কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুলকে অভিনন্দিত করেন আবার খুশির বার্তা জানান পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলে।
অন্যদিকে দিল্লির প্রশাসন নিয়ে কেজরিওয়ালকে সমর্থন জানায় কংগ্রেস আবার মোদীর জোটে নতুন মুখ হিসাবে আসতে চাইছে অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নাইডু। কাজেই বোঝাই দায়, কে কোথায়!
সর্বভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু (Samantha Ruth Prabhu)। হাতের কাজ সেরে বর্তমানে তিনি অভিনয় জগৎ থেকে বিরতি নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন গোয়ায়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। বেশ কয়েকমাস আগেই অভিনেত্রী 'মায়োসাইটিস' রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তখন হাতে অনেক কাজ থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা সেরেই ফিরেছিলেন কাজে। তবে এখন তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন নিজের স্বাস্থ্যে। এরই মাঝে সামান্থাকে নিয়ে এক গুজব ছড়ায়। শোনা যায়, অভিনেত্রী নিজের চিকিৎসার জন্য হাত পেতেছেন। ২৫ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য নিয়েছেন নাকি। এবার এমন রটনার জবাব দিলেন খোদ সামান্থা।
সামান্থা নিজের সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে নিজের লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, 'মায়োসাইটিসের চিকিৎসা করতে ২৫ লক্ষ টাকা? কেউ আপনাকে ঠকিয়েছে। আমি গর্বিত কারণ এই সংখ্যার মাত্র একটি ভগ্নাংশ আমি খরচ করছি। আর আমার মনে হয় না আমি আমার কর্মজীবনের পারিশ্রমিক মার্বেলে পেয়েছি। তো আমি আমার যত্ন নিজেই নিতে পারি।'
এখানেই শেষ না করে সামান্থা আরও লিখেছেন, 'মায়োসাইটিস এমন এক অবস্থা যা হাজারও মানুষের হয়। এর চিকিৎসার বিষয়ে সমস্ত তথ্য নিয়ে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।'
সৌমেন সুর: মানুষ যাবে কোথায়! কাকে বিশ্বাস করবে! বিশ্বাস তো কখনো কাউকে করতেই হবে, নইলে বেঁচে থাকার মানে কি! সমাজ বদলায়। বদলায় মানুষ। পরিবর্তন হয় সমাজ-মানসিকতার। আজ একদিকে কিছু মানুষের বিপুল ঐশ্বর্য বিলাস, অন্যদিকে অসংখ্য মানুষের দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও শোষণের জ্বালা। একদিকে সভ্যতার উজ্জ্বল চিত্র, অন্যদিকে দূর বিস্তৃত জমাট অন্ধকার। আজও মানুষের প্রতিকার হীন বিচারের বাণী, নীরবে নিভৃতে কাঁদে। আজ ধর্মে ধর্মে বিভেদের প্রাচীর। সম্প্রদায়িকতার বিষ নিঃশ্বাসে, জাত-পাতের বজ্জাতি, যুদ্ধের মহড়া, অশুভ বুদ্ধিরই আজ আধিক্য। এইরকম ডামাডোলে সমাজের কোনায় কোনায় ছেয়ে গেছে দুর্নীতি।
দুর্নীতির সমাজ বললে অত্যুক্তি হয় না। আর বলব নাই বা কেন! শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি, প্রাণীতে দুর্নীতি, কয়লায় দুর্নীতি, রেশনের দুর্নীতি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দুর্নীতি, আর কত বলব! এরপর ভেজাল আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বললে তো সামান্য এইটুকু অংশে ফুরোবে না। এরকম অন্ধকার সময় সমাজে আগে ছিল না। কম্বলের লোম বাছলে যেমন
কম্বলের অস্তিত্ব থাকে না, তেমনই সমস্ত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীদের মহলকে যদি ধরা হয় তাহলে মানুষের অস্তিত্ব থাকবে কিনা সন্দেহ। তবুও বলব মানুষ আজ জীবনে বিশ্বাস হারায়নি, এখনও বিশ্বাস করে হিংসায় উন্মক্ত পৃথিবীর বুকে প্রেমের দেবতার অভিষেক হবে। মনুষ্যত্বের মহিমাকে হারালে তার যে আর কিছুই থাকেনা। তাই এখন মানুষকে প্রকৃত সৎ হতে হবে, দেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে। আপামর মানুষ তাকিয়ে থাকে প্রতিনিধিত্বকারী মানুষের দিকে, তাই যতদিন না পর্যন্ত নির্লোভ ও সৎ মানসিকতায় কেউ না ফিরছেন, ততদিন দুর্নীতি সমাজ থেকে মুছবে না। মনে রাখা উচিত, দেশবাসী নির্বাচিত করে আপনাদের পাঠিয়েছেন, তাই মানুষের প্রতি একটু দয়াশীল হোন নইলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে।
বলিউড জগতে শোকের ছায়া। বুধবার জনপ্রিয় শিল্প নির্দেশক নিতিন দেশাইয়ের (Nitin Desai) মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরই ষ্টুডিও থেকে। করজাটের এনডি ষ্টুডিওর কর্মচারীরা প্রথমে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন, তারপরেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিসের এসপি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরা স্টুডিওতে পৌঁছে নিতীনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
যে স্টুডিওতে শিল্প নির্দেশকের দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই স্টুডিও তাঁর নিজের। বলিউডের যোধা আকবর সিনেমার শ্যুটিং, জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো বিগ বসের বেশ কয়েকটি সিজনের শ্যুটিংও সেখানে হয়েছে। তবে কোভিড পরবর্তী সময় থেকেই নাকি কমতে শুরু করেছিল স্টুডিওর চাহিদা। এদিকে বেশ কিছু ঋণ নিয়ে ফেলেছেন নিতিন।
তাঁর এক সহকারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'নিতিন দেশাইয়ের কিছু আর্থিক সমস্যা ছিল। আমার কাছে সে সাহায্যের জন্য এসেছিলেন। তাঁর ব্যাঙ্ক লোনের দরকার ছিল, অন্য লোন চোকাতে। অন্যদিকে স্টুডিওর ব্যবসাও ভালো যাচ্ছিল না। কোভিডের পর থেকে বেশিরভাগ শ্যুটিংই মুম্বইয়ের দিকের স্টুডিওতেই হচ্ছে।'
নিতিন দেশাই, 'দেবদাস', 'লাগান', 'হাম দিল দে চুকে সনম', 'যোধা আকবর', হালফিলের 'বাজিরাও মাস্তানি'-র মতো সিনেমায় শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও বেশ কিছু সিনেমা ও ধারাবাহিকে সফলভাবে প্রযোজনা করেছেন। কিন্তু অর্থকষ্টে তিনি শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নিলেন।
নতুন করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। এখনও ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি স্যালাইনের মাধ্যমে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বুকের সিটি স্ক্যান করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের তরফে একটি মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, বর্তমানে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসনালীর নিম্নাংশের সংক্রমণ এবং টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিওরের উপসর্গ রয়েছে।
ওই বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, সংক্রমণ কাটাতে স্যালাইনের মাধ্যমে কড়া ডোজের অ্য়ান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে প্রভাবিত হচ্ছে কিডনি। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
শনিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও রবিবার গিয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসু সহ অনেকেই।
ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার ভর্তি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। রবিবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (Former Chief Minister) অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়েছে। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন তিনি। তবে পুরোপুরি সংকট কাটেনি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রবিবার সকালে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে হাসপাতাল জানিয়েছে, এখন ইনভ্যাসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বুদ্ধবাবুকে। ফুসফুসে মেকানিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে তরল খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফুসফুসে কতটা সংক্রমণ রয়েছে, তা জানতে সিটি স্ক্যান করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। কিডনির সমস্যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক বদল করা হয়েছে। নিউমোনিয়ার সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি জ্বর ও ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। অনেকটা বেড়ে গিয়েছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা। ফলে সংক্রমণ কমাতে গিয়ে কিডনির সমস্যা যাতে তৈরি না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
রবিবার সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে যান সিপিএম নেতা রবীন দেব, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও।
বর্ষা আসতেই কনজাঙ্কটিভাইটিসের (Conjunctivitis) প্রকোপ শুরু হয়েছে দেশেজুড়ে। চোখের (Eye) খুব সাধারণ একটি অসুখ হল কনজাঙ্কটিভাইটিস। ইংরাজিতে এর অপর নাম 'পিঙ্ক আই ডিসিস' (Pink Eye)৷ এতে চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়। ক্রমাগত জল পড়া, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, জ্বালা করা ইত্যাদি এই রোগের উপসর্গ। আমরা বাঙালিরা একে অবশ্য 'জয়বাংলা' নামেই চিনি। আপনারা প্রত্য়েকেই দেখেছেন, কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে তাঁরা সাধারণত কালো রংয়ের চশমা পড়ে থাকেন। কিন্তু জানেন কি এই চশমা কেন পরা হয়? আর চশমা পরলেই কি আটকে যায় সংক্রমণ?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কালো চশমা পরার অন্যতম কারণই হল কনজাঙ্কটিভাইটিসের সময় চোখকে সূর্যের আলো, ধুলো-বালি থেকে দূরে রাখা। কারণ কনজাঙ্কটিভাইটিসের রোগীর চোখে সরাসির সূর্যের আলো গেলে তা চোখের আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে। ফলে এর জন্যই কালো চশমা পরা হয়। তবে শুধুমাত্র চশমা পরে কিন্তু সংক্রমণ আটকানো যায় না। ফলে সংক্রমণ আটকানোর জন্য নয়, কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগীদের চোখে সূর্যালোক, ধুলো-বালি গিয়ে যাতে আর কোনও সমস্যা তৈরি না করে, তার জন্যই এই চশমা পরা।