ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার হল বিভিন্ন ধরনের শাক। দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক খেলে যে কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়, তা প্রায় অনেকেরই জানা। শাকে রয়েছে আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিন এবং লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও শাকে থাকা ফাইবার ওজন কমাতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ফলে শাক উপকারিতা তো সবারই কম-বেশি জানা। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, রাতের খাবারে শাক খেতে নেই। এমনটা কি সত্যি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, শাক রাতের খাবারে খাওয়া উচিত নয়, এ কথা একেবারেই সত্য নয়। রাতের খাবারে শাক খেতেই পারেন আপনারা। কিন্তু খুব বেশি রাতে যদি ডিনার করার কথা ভেবে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে শাক এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ শাক হজম করতে অনেকটা সময় লাগে। রাতে হজম প্রক্রিয়া এমনিই ধীরে হয়ে যায়। তাই বেশি রাতে শাক খেলে গ্যাস-অম্বল-বুকজ্বালার মতো হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার দু-তিন ঘণ্টা আগে ডিনার করেন, সেক্ষেত্রে শাক অনায়াসেই রাখতে পারেন। তখন হজমেরও কোনও সমস্যা দেখা যাবে না।
চা (Tea), বাঙালিদের কাছে কোনও সাধারণ পানীয় নয়, এটি একটি 'ইমোশন'। চা খেতে কে না ভালোবাসে? যাঁরা আসল চা-প্রেমী তাঁরা গরম-শীত, যখন-তখন খেতে পছন্দ করেন। অনেকের আবার দিনের শুরুটা হয় এক কাপ চা দিয়েই। সারাদিনে যে কত কাপ চা পান করেন, এর হিসেবে অনেকেরই থাকে না। অনেকে আবার একবার চা করে রেখে তা বার বার ফুটিয়ে পান করে থাকেন। আবার অনেকেই বেশিক্ষণ ধরে ফোটানো চা খেতে পছন্দ করেন। তবে এখানেই ভুলটা করছেন আপনারা। চা বারবার ফুটিয়ে খাওয়া উচিত কিনা সে ব্যাপারে জানেন কি? বা বেশিক্ষণ ধরে চা ফোটালে তা শরীরের কী কী ক্ষতি করতে পারে, তা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। তবে এবারে জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চা বারবার ফুটিয়ে খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এতে চায়ে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও আরও বাড়ে যখন আপনি দুধ চা বানিয়ে রাখেন। এছাড়াও চা-কে আরও বিষাক্ত করে তোলে চিনি। আবার চায়ের গুণাগুণও নষ্ট হয়ে যায়। বারবার গরম করা চা পান করলে চোখের গ্লুকোমা ও স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। আবার হজমশক্তির উপর প্রভাব ফেলে ডায়রিয়া, পেটের নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
আবার বেশিক্ষণ ধরেও চা ফোটানো উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিক্ষণ ধরে চা ফোটালে চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন ও ট্যানিন নামের দুটি উৎসেচক নষ্ট হয়ে যায়। এতে চায়ের স্বাদ তেতো হয়ে যায়। আর তা শরীরের পক্ষেও ভালো না। এই চা পান করলে খাদ্যনালীতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এক থেকে দু'মিনিটের বেশি চা ফোটানো ঠিক নয়।
পুজোর আর মাত্র ১০ দিন বাকি, অনেকেরই শপিং কমপ্লিট, আবার কারোর এখনও কিছুই হয়তো কেনা হয়নি। তবে পুজোয় জামা-কাপড় কেনা হলেও যতক্ষণ ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচ করে জুতো না কেনা হয়, ততক্ষণ যেন শপিং সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু নতুন জুতো (Shoe) মানেই তো, পায়ে ফোসকা (Shoe Bite)। ফলে পুজোর আনন্দের যেন 'পথের কাঁটা' হয়ে দাঁড়ায় এই নতুন জুতোই। কিন্তু আর চিন্তা নেই, এবারে কিছু ঘরোয়া উপায়েই মিলবে এর সুরাহা।
নতুন জুতো পরার আগেই আপনি যদি জুতোতে খানিকটা নারকেল তেল লাগিয়ে রাখেন, তাহলে জুতোর চামড়া নরম হয়ে যায়। ফলে পায়ে ফোসকা পরার আশঙ্কা কমে যায়।
এছাড়াও নতুন জুতো পরার আগের দিন সারা রাত তার ভিতরে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতেই জুতোর চামড়া নরম হয়ে যায়।
যদি ফোসকা পড়েও যায় তবে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে পায়ের ফোসকা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
পায়ের ফোসকা জায়গায় নারকেল তেলও লাগাতে পারেন। এটি জ্বালাভাব কমাতে দারুণ কার্যকর৷
এছাড়াও ফোসকা জায়গায় মধু দিতে পারেন। এতে জ্বালাভাব কমে, তাড়াতাড়ি ক্ষত সারে, দ্রুত দাগও মিলিয়ে যায়।
সুস্থ থাকতে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল (Water) পান করা উচিৎ। জল আমাদের জীবন, জল ছাড়া এক মুহূর্তও চলা অসম্ভব, তা সবারই জানা। জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি খাবার হজম করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করে জল। তবে জল খাওয়ার কী কী উপকারিতা রয়েছে, তা কমবেশি সবার জানা থাকলেও অনেকেরই মনে সন্দেহ রয়েছে যে কখন জল পান করা উচিৎ। খাওয়ার আগে না পরে, ঠিক কখন জল পান করলে তা শরীরের জন্য লাভজনক হবে।
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খাওয়ার ঠিক ৩০ মিনিট আগে বা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে জল পান করা উচিৎ। খাবার খেতে খেতে জল পান না করাই ভালো বলে পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। তাঁরা জানিয়েছেন, খেতে খেতে জল খেলে খাবার হজম হতে অনেক দেরি হয়। তাই খাওয়ার আগে এবং খেয়ে ওঠার কিছুক্ষণ পর জল খান। বিশেষত, যাঁদের ওজন বেশি তাঁদের খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগেই জল পান করা উচিৎ। আবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর জল খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সহ একাধিক পেটের অসুখ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পুজোর আর এক মাসও নেই। ফলে ত্বকের প্রতি হতে হবে বিশেষ যত্নবান। পুজোতে গ্ল্যামারাস দেখতে দরকার উজ্জ্বল, কোমল ত্বকের। কিন্তু দামী দামী ক্রিম ব্যবহার করেও পাচ্ছেন না মন মতো ত্বক। তবে এবারে নজর দিন প্রাকৃতিক সাম্গ্রীতে। জানা গিয়েছে, এমন এক ফুল রয়েছে, যা ত্বকের বলিরেখা থেকে শুরু করে ব্রণ, শুষ্কতা, কালো ছোপ খুব সহজেই দূর করতে পারে। আর সেটি হল জবা ফুল। জবা ফুল যেমন চুলের জন্য উপকারী তেমনই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কার্যকরী।
জবা ফুলে থাকে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি। যার গুণে ত্বক হয় উজ্জ্বল। জবা ফুলের নির্যাসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ত্বককে রক্ষা করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও রক্ষা করে এই ফুল। জবা ফুলে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। যার ফলে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে। এছাড়াও ত্বকের ক্ষত সাড়াতেও কার্যকরী জবা ফুল।
সুস্থ থাকতে তো আমরা সবাই চাই। কিন্তু শুধু চাইলেই তো আর হয় না, তার জন্য কয়েকটি নিয়ম মানাও জরুরি। সেই সব নিয়মের মধ্যে প্রধান হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করা। তবে এখনকার দিনের ব্যস্ত জীবনে আলাদা করে ওয়ার্ক আউটের জন্য সময় আমরা অনেকেই বের করতে পারি না। আর এই ব্যস্ততার মধ্যেই অনেক ভুল কাজ করে থাকি আমরা, যার প্রভাব আমাদের শরীরের ওপর পড়ে। সময় বাঁচাতে আমরা অনেকেই সিঁড়ির বদলে লিফট বা এসক্যালেটরই ব্যবহার করি। কিন্তু এখানেই সবথেকে বড় ভুল করছি আমরা। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিট হতে গেলে লিফট বা এসক্যালেটরের অভ্যাস ভুলে সিঁড়ি ভাঙা শুরু করা উচিত। জেনে নিন সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করলে শরীরে কী কী প্রভাব পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত সিঁড়ি ওঠার অভ্যাস থাকলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়া সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও কমে। এছাড়াও সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করার সময় সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে পায়। আবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করলে বোন ডেনসিটির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাড় শক্ত হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
জেলায় জেলায় প্রশাসনিক শীর্ষপদে বড়সড় রদবদল করল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী স্পেনের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার পরেই রদবদলের ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে যেমন একাধিক জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের পদে পরিবর্তন করা হয়েছে তেমনই একধিক দফতরের শীর্ষ পদেও বদল করা হয়েছে।
নবান্নের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে ২২ জন শীর্ষ আমলা সহ ৩১ জন পুলিশ আধিকারিকের নাম রয়েছে। কোনও কোনও আধিকারিকের যেমন পদোন্নতি হয়েছে তেমন কাউকে আবার কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়েছে। বদলির তালিকার রয়েছে, নদিয়া, দুই বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ একাধিক জেলার শীর্ষ আধিকারিকরা। আচমকা এই ব্যাপক রদবদল নিয়ে চরম আলোচনা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দায়িত্ব থেকে সরে আসছেন মৌমিতা গোদারা বসু। তাঁকে স্বাস্থ্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলাকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিশেষ সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পূর্ণেন্দুকুমার মাঝিকে। অন্যদিকে জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রীতি গয়ালকে।
জলপাইগুড়ি জেলার জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শামা পারভিনকে। এতদিন সেখানে ছিলেন মৌমিতা গোদারা বসু। হাওড়া জেলার জেলাশাসক মুক্তা আরিয়াকে হুগলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ব্রাউন ব্রেড (Brown Bread) নাকি সাদা পাউরুটি (White Bread), কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, এই প্রশ্ন প্রায় প্রত্যেকেরই মাথায় ঘোরাফেরা করে। অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে আসলে কোন পাউরুটি খেলে তা শরীরের কোনও ক্ষতি করবে না। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যে চটজলদি কিছু খাবার বানানোর জন্য পাউরুটি রান্নাঘরে না রাখলেও চলা যায় না। তবে এবারে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ব্রাউন পাউরুটি ও সাদা পাউরুটি দুই'ই তেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, কিন্তু সাদা পাউরুটির থেকে ব্রাউন পাউরুটি স্বাস্থ্যের পক্ষে তুলনামূলক স্বাস্থ্যকর। তবে বর্তমানে বাজারে সাদা পাউরুটির সঙ্গে রং মিশিয়ে ব্রাউন ব্রেড তৈরি করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ব্রাউন ও হোয়াইট ব্রেড, দুটিই হল গমের থেকে তৈরি খাবার। তবে এই দুই ধরনের পাউরুটি বানানোর কৌশল সম্পূর্ণ আলাদা। হোয়াইট ব্রেড তৈরির সময় গমকে পালিশ করা হয়। এর ফলে শস্যের ফাইবার অংশ সাদা পাউরুটিতে থাকে না। ব্রাউন ব্রেডে কিন্তু গমের সমস্ত অংশ থাকে। তাই এর রং হয় বাদামি। এতে ফাইবারের পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি। আর সাদা পাউরুটির তুলনায় ব্রাউন ব্রেড কিছুটা শক্ত হয়। এটাই হল, এই দুই ধরনের পাউরুটির মধ্যে মূল পার্থক্য। গমের প্রায় সমস্ত অংশ ব্রাউন ব্রেডে থাকায় তাই এই পাউরুটি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রাউন ব্রেড সুগার ও কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও প্রতিদিন ব্রাউন ব্রেড খেলে প্রায় ৪০ শতাংশ ওজন হ্রাস পায়। ব্রাউন ব্রেড রক্তচাপ কমায়। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে। কিন্তু বর্তমানে বাজারে সাদা পাউরুটিতে রং দিয়ে ব্রাউন ব্রেড হিসাবে বিক্রি করার একটা অসাধু চক্র রয়েছে। ফলে সে সব বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা এমনই এক সমস্যা, যা এখন কারও কাছেই বিশেষ অপরিচিত নয়। আর এই সমস্যা প্রত্যেক ঘরে ঘরেই কম বেশি দেখা যায়। প্রতি বাড়িতেই কোনও না কোনও মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু এই রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে পরে দেখা দিতে পারে গুরুতর সব অসুখ। এমনকি এই সমস্যা ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে জেনে রাখা দরকার থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে খাদ্যতালিকায় ভুলেও রাখা উচিত নয় এই খাবারগুলো।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগলে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ছোলা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এ ছাড়াও সর্ষে, মুলো, রাঙা আলু, চিনে বাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। থাইরয়েড বেড়ে গেলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ ডায়েট থেকে বাদ দিন। এছাড়া চিনি, রান্না করা গাজর, পাকা কলা, ময়দার রুটি, আলু, পাস্তা, মিষ্টি শরীরে কার্বহাইড্রেটের মাত্রা বাড়ায়। থায়রয়েড থাকলে এগুলোও কম খান। চা, কফি, চকোলেট, সফট ড্রিঙ্ক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
যাঁরা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কপার এবং আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। টাটকা মাংস, কাজু, গমের আটায় প্রচুর পরিমাণে কপার রয়েছে। সবুজ শাকসবজি, বিন, আঁশওয়ালা মাছ, সামুদ্রিক মাছ, পোলট্রির ডিমে রয়েছে আয়রন। সেই সঙ্গেই ভিটামিন সি খাবার যেমন- লেবু, টমেটো, ক্যাপসিকাম খাওয়া উচিত। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, থাইরয়েডের জন্য আদর্শ হল নারকেল বা নারকেলের দুধ।
রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং খাবার ও পানীয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত। তবে আপনি যদি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তবে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও বেছে নিতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পেঁপে পাতার রস বেশ কার্যকরী। পেঁপে পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা রক্তের প্লেটলেট দ্রুত বাড়াতে পারে। এছাড়াও ম্যালেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে এই পাতায়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এই পাতা। তবে এই ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফুসফুস (Lung), শরীরের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রথম থেকেই ফুসফুসের জন্য আলাদা করে যত্ন না দিলে পরে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে ভয়ানক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তার মধ্যে বর্তমানে আরও বেশি করে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ বর্তমান যুগে বায়ুতে দূষণের (Air Pollution) মাত্রা চরমে উঠেছে। আর এর জন্যই বেশিরভাগ মানুষ এখন ব্রঙ্কাইটিস, আস্থামা, সিওপিডি-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন। তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে যত্ন নিলে আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়বেই।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছে, দিনের শুরু সাইকেল চালিয়ে করুন। এছাড়াও যখন সময় পাবেন তখনই সাইকেল চালানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এতে শ্বাসযন্ত্র ভালো থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শীতকালে কোন জ্বলন্ত কাঠের কাছে গিয়ে তাপ নেওয়ার থেকে ইলেকট্রিক হিটার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁদের বাড়ির বাইরে গেলেই মাস্ক পরার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বেশি দূষিত জায়গা এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে।
আবার ফুসফুসের কোনও সমস্যা হলেই কেউ কেউ ইনহেলার না নিয়ে প্রথমেই ওষুধ খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শ্বাসযন্ত্রের কোনও সমস্যা হলেই ইনহেলার নেওয়া উচিত। ইনহেলার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং ওষুধের থেকে ইনহেলার বেশি কার্যকরী।
কলা (Banana) স্বাস্থ্যের (HealthTips) পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। আবার অনেকের এই ফল খুব পছন্দেরও। অনেকেই ব্রেকফাস্টের সময় বা মধ্যাহ্ন ভোজের পর কলা খেতে পছন্দ করেন। শুধু তাই নয়, খিদে পেলেই কলা খেয়ে থাকেন অনেকে। এর জন্য ডজন ডজন পাকা কলা বাড়িতেও রাখেন আপনারা। কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পরই সেই কলাগুলি পচতে শুরু করে ও কালো হয়ে যায়।। তবে আর নয়, এবারে কিছু পদ্ধতি মেনে চলুন, যার ফলে কলা অনেকদিন ধরে ভালো থাকবে। এমনকি কালোও হবে না।
কলা ঝুলিয়ে রাখুন: কলা ঝুলিয়ে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যায় না। আসলে কলার কান্ডে ইথিলিন গ্যাস থাকে। যার ফলে কলা পচতে শুরু করে। কিন্তু সমতল জায়গায় কলা রাখলে তা তাড়াতাড়ি পেকে যায় ও পচে যায়। তাই কলা কিনে আনার পরও ঝুলিয়ে রাখা উচিত। এতে ইথিলিন গ্যাস নির্গত হওয়ার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয় ও পাকেও ধীরে।
ফ্রিজে রাখুন কলা: অনেকেই ভেবে থাকেন যে, কলা ফ্রিজে রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তা পুরোপুরি সত্যি নয়। আসলে কলা ফ্রিজে রাখলে খোসা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই খোসা ছাড়িয়ে এয়ার টাইট কন্টেইনারে কলা কেটে রেখে দিলে তা অনেকদিনের জন্য ভালো থাকে।
কলার বৃন্ত ঢেকে রাখুন: কলার বৃন্ত ছিঁড়ে রাখা উচিত নয়। সবসময় চেষ্টা করবেন কলার বৃন্ত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে রাখার। এতে কলায় পচন ধীরগতিতে হবে।
ছবি তুলতে গিয়ে ভয়ানক বিপদে পড়ল এক দল পর্যটক (Tourists)। আর সেই ভয়ানক ঘটনাটিকে ক্যামেরাবন্দি করলো আর এক পর্যটক। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের (UK) অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল ডরসেট ওয়েস্ট বে-তে। এটি একটি ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। এমনই একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একদল পর্যটক নিশ্চিন্তে সমুদ্র ও পাহাড়ের মধ্যে থাকা একটি খোলা স্থানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ছবি তোলার পর তাঁরা খেয়াল করেন পাহাড়ের গা বেয়ে ছোট ছোট পাথর গড়িয়ে নীচে নেমে আসছে। এই ঘটনার পরই আচমকা পাহাড়ের বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে। কোনও রকমে রক্ষা পান ওই পর্যটকরা।
Rockfalls and Landslips can happen at anytime. These people had a lucky escape. The South West Coast Path above the cliff at West Bay is currently closed. Thanks to Daniel Knagg for the footage.#Westbay #JurassicCoast pic.twitter.com/38XJjSoBYT
— Dorset Council UK (@DorsetCouncilUK) August 10, 2023
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ১৫০ ফুট উঁচু থেকে পাহাড়ের একাংশ ভেঙে পড়েছে। ডরসেট কাউন্সিল থেকে এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার কারণে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি, সূত্রের খবর। আপাতত ওই পর্যটনস্থল বন্ধ রাখা হয়েছে।
মণি ভট্টাচার্য: মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা প্রদত্ত পুলিস মেডেল পাচ্ছেন রাজ্যের ৬ আইপিএস অফিসার। রাজ্য পুলিস প্রশাসন মারফত, ২৪ জুলাই একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হয়। সূত্রের খবর, অসাধারণ এবং প্রশংসনীয় পরিষেবার জন্য, রাজ্যের এক এডিজি পদমর্যাদার অফিসার এবং ৫ পুলিস সুপার পদমর্যাদার অফিসারকে এই পদক দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১৫ অগাস্ট সংশ্লিষ্ট অফিসারদের এই পদকে সম্মানিত করা হবে। ওই তালিকায় রয়েছেন, এডিজি ও আইজি ওয়েস্টার্ন জোন, ত্রিপুরারি অথর্ব এবং পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়, আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী, হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া, হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার আমানদীপ, এবং পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রেই খবর, ১৯৯৮ সালের ব্যাচের ১ আইপিএস অফিসার, ২০১৩ সালের ব্যাচের ৩ আইপিএস অফিসার, ২০১৪ সালের ব্যাচের ২ আইপিএস অফিসারকে নির্বাচিত করা হয়েছে। উক্ত অফিসাররা দীর্ঘদিন ধরেই অসামান্য পরিষেবা দিয়ে আসছেন এবং তাঁরা বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অবস্থায় বহু অপরাধ দমনে বিশেষ ভাবে সক্ষম। এছাড়া তাঁরা রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সঠিক ভূমিকা পালন করেছেন। ওই অফিসারদের পুরস্কৃত করার খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষও। ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের কে বার্তা পাঠাতে শুরু করেছেন বহু মানুষ।
পুলিস মেডেলে পুরস্কৃত হয়ে আগামীতে আরও ভালো কাজ করতে চান সমস্ত অফিসারই। এ বিষয়ে অপরাধ দমনে বিশেষজ্ঞ পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার আইপিএস অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় সিএন ডিজিটালকে বলেন, 'এই পুরস্কার আমাদের আগামীর অন্য অনুপ্রেরণা দেবে, আমরা আরও ভালো ভাবে কাজ করার চেষ্টা করব।' এছাড়া হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার আইপিএস আমানদীপ, সিএন ডিজিটালকে বলেন, 'আগামীতে আরও ভালো ভাবে কাজ করতে চাই।' পাশাপাশি পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী আলিপুরদুয়ারের মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'আমাকে সমর্থন করার জন্য আমি আলিপুরদুয়ারের জনগণ এবং আলিপুরদুয়ারের সমস্ত পুলিস সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞ।'
টানা গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের পর এসেছে স্বস্তির বৃষ্টি (rain)। সারা বাংলায় চলছে টানা বৃষ্টি। এই বৃষ্টি একদিকে যেমন স্বস্তি এনেছে। ঠিক তেমনই বয়ে নিয়ে এসেছে একাধিক উদ্বেগের কারণ। বর্ষায় (Monsoon) জামাকাপড় স্বাভাবিকভাবেই শুকোয় না। আর এই ভেজা জামাকাপড় ঘরে মেলতে হয়, আর সেখান থেকেই বাড়ে বিপত্তি। কারণ স্যাঁতস্যাঁতে ঘর বা জামাকাপড় রোগের আতুঁরঘর। এমন স্যাঁতস্যাঁতে জামাকাপড়েই ছত্রাক বা জীবাণু বাসা বাঁধে। আর এসব পরলেই স্কিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যার ফল হতে পারে মারাত্মক। এছাড়াও ভিজে কাপড়ের আর্দ্রতা থেতে বাচ্চাদের হতে পারে সর্দি-কাশি-জ্বর। ফলে বর্ষাকালে জামাকাপড় সঠিকভাবে শুকনোর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
ভিজে জামাকাপড়ে যাতে ছত্রাক বা জীবাণু বাসা বাঁধতে না পারে, তার জন্য মেনে চলুন এই নিয়মগুলো-
জামাকাপড় কাচার আগে কাপড়ের কোনও অংশে কাদা লেগে থাকলে সেই অংশটি ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর সেই কাপড় পুরোটা ভালো করে ধুয়ে নিন।
ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাচার পর, শেষ বার কাপড় ধোয়ার সময় জলে কোনও জীবাণুনাশক লিকুইড মেশান। এছাড়াও কাপড় কাচার সময় ডিটারজেন্টের সঙ্গে একটু ভিনিগার বা বেকিং সোডাও মিশিয়ে নিতে পারেন।
আলমারি, ওয়ার্ড্রোব, আলনা অর্থাৎ যেখানে জামাকাপড় রাখেন, সেখানে ন্যাপথলিন অবশ্যই রাখুন। জামা কাপড় শুকিয়ে গেলে ইস্ত্রি করে নিন। এতে জীবাণু মরবে।