পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর হাতে খুন হল স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। শুক্রবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের হরিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নলিকাটার মোড় এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর মৃত মহিলার নাম অপর্ণা বৈদ্য (৩২) এবং অভিযুক্তের নাম পরিমল বৈদ্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জয়নগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাট এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা বৈদ্য। তাঁর সঙ্গে ১৭ বছর আগে বিয়ে হয় পরিমল বৈদ্যর। পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন পরিমল বৈদ্য। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল বানাতেন অপর্ণা। তাই তাঁর বেশকিছু বন্ধুবান্ধবও ছিল। তার জেরেই প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এমনকি কিছুদিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। ছেলেটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে ও মেয়েটি নার্সারিতে পড়ে।
ছেলে অয়ন বৈদ্য জানায়, প্রায়ই বাবা ও মায়ের মধ্যে ঝামেলা হত। এমনকি বাবা মাকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিত৷ তারপর এদিন সকালে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরে দেখে তার মা রক্তাক্ত অবস্থায় রান্না ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। এরপর স্থানীয়রা খবর দেন পুলিসকে। তবে শুধুই কি পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত স্ত্রী পাপিয়া ব্যাপারী এবং পলাতক প্রেমিক জয়ন্ত বাইন। অভিযোগ, হাতুড়ি দিয়ে মাথায় মেরে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিপুল ব্যাপারী (৩৯)। ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, বিপুল ব্যাপারী কাজের সুবাদে দিন এবং রাতের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। সেই সুযোগে মোবাইল ফোনে মত্ত থাকতেন অভিযুক্ত স্ত্রী পাপিয়া ব্যাপারী। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। এমনকি প্রেমিকের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছবিও পোস্ট করতেন। মৃতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত পাপিয়া ব্যাপারী অনেক দিন ধরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। সেখান থেকেই শুরু হয় বিবাদ। আর সেই কারণে এই খুন বলে অভিযোগ জানিয়েছে মৃতের পরিবার।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপুল ব্যাপারী বাড়ি ফিরে তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীয়ের প্রেমিক জয়ন্তকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পান। তারপরই অভিযুক্ত জয়ন্ত বিপুলের মাথায় একাধিকবার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যান জয়ন্ত। অনেকক্ষণ পর বিপুলের স্ত্রী পাপিয়া চিৎকার করে লোকজন ডাকেন। তখন নিহতের বৃদ্ধ বাবা হীরালাল ব্যাপারী এসে দেখেন তাঁর ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন।
এরপর তড়িঘড়ি বিপুলকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার নীলরতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার একদিন পর কলকাতার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার করানো হয়। এবং শনিবার তাঁকে পুনরায় শান্তিপুর জেলা হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর রবিবার তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে পুলিস সূত্রে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে মৃতের পরিবার অভিযুক্ত পাপিয়া ব্যাপারী ও জয়ন্ত বাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
সম্পত্তির লোভে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার ধৃত স্ত্রী ফতেমা বিবি ও প্রতিবেশী যুবক রিন্টু মোল্লা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে। অভিযোগ, বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। সম্পত্তির কারণেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রহমান গায়েন। ভাঙড় থানা এলাকার মাধবপুরের বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে খবর, ২২শে অক্টোবর অষ্টমীর দিন সোনারপুরের খেয়াদহ ২ পঞ্চায়েতের হরপুরে একটি জলাশয় থেকে বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জলাশয় পরিষ্কার করতে গিয়ে বস্তাবন্দি মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, রহমান গায়েনের নামে কিছু জমি জায়গা ছিল। তিনি তা তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে না দিয়ে বিক্রি করছিলেন। সেই নিয়েই শুরু হয় পারিবারিক বিবাদ। তার জেরেই স্ত্রী ও সন্তান মিলে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ছেলের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিস জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা।
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার শীতলা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম মালা বোস এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম সমীর মণ্ডল। পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। অভিযোগ, প্রায়শই মদ্যপান করে মালা বোসের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত তাঁর স্বামী সমীর মণ্ডল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মালা বোস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার কারণে মালা তাঁর বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ মালা বোসের বাপের বাড়ি গিয়ে তাঁকে বাইরে বেরতে বলেন তাঁর স্বামী। তারপর স্ত্রী বাড়ির বাইরে বেরোতেই শুরু হয়ে যায় কথা কাটাকাটি। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ছুরি নিয়ে স্বামী সমীর মণ্ডল তাঁর স্ত্রী মালা বোসের উপর হামলা চালান। চিৎকার শুনে বাইরে আসতেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত স্বামী। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালা বোসের। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে এবং থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্ত্রীকে খুন করে পালালেও মঙ্গলবার সকালেই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিস। ধৃতকে এদিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে মৃত্যু হল জামাইয়ের। ঘটনায় আটক করা হয়েছে স্ত্রী ও শাশুড়িকে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার সাদিখান দেয়ার অঞ্চলের ইন্নাত পুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জলঙ্গি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম আনোয়ার মালিথ্যা (২৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে সাদিখান দেয়ার অঞ্চলের জতছিদাম গ্রামের আনোয়ার মালিথ্যার সঙ্গে ইন্নাত পুরের রেহেনা বিবির বিবাহ হয়। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। কয়েকদিন আগেই আনোয়ার তাঁর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। এরপর এদিন সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তারপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। অভিযোগ, আনোয়ারের বাড়ির লোকের সঙ্গে নাকি তাঁর স্ত্রী দেখা করতে দিতেন না। যদিও আনোয়ারের স্ত্রী তা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী নেশা করতেন। যার জন্য সে জেলেও গিয়েছে।
সত্যি আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য তা খতিয়ে দেখছে জলঙ্গি থানার পুলিস।
স্ত্রীকে খুন করে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে খাস কলকাতার বউবাজার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। অভিযোগ, স্ত্রীয়ের মাথায় আঘাত করে খুন করেছিলেন তিনি। এরপর ফ্ল্যাটের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেন।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ১৭ তারিখ বউবাজারে নিজের বাড়ি থেকে এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। নাম দীপ্তি শুক্লা। তাঁর দেহে আগুনে পোড়ার ক্ষত ছিল। দীপ্তির স্বামী সূর্যকান্ত দে জানিয়েছিলেন, ঘরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তাঁর স্ত্রী। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে ধরা পড়ে মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এরপরই পুলিস তদন্তে নেমে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারে। গত চার মাস আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। দীপ্তি শুক্লার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে। তবে কী কারণে স্ত্রীকে খুন করে আগুন ধরিয়ে দেন, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিস ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে।
নিজের বাড়িতেই এক তরুণীকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এরপর ওই যুবকও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের সোদপুর রামকৃষ্ণপল্লিতে। অভিযুক্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে মৃত তরুণীর নাম কৃষ্ণা দে। এক বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় শুভেন্দু দাস নামে এক যুবকের। পেশায় তিনি অটোচালক। বিয়ের পর থেকেই একাধিক বিষয়ে দুজনের মধ্যে সমস্যা হচ্ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সেকারণেই কৃষ্ণাকে খুন করেছে শুভেন্দু। তাঁকে বেশ কয়েকবার কোপানো হয়েছে। গলাতেও আঘাত করা হয়।
দুজনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হলেও কৃষ্ণার বাড়ির তরফে এই বিয়ে মেনে নেয়নি। বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করে, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী স্বামী। রবিবার সকালে খড়দহ এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ও মহিলার নাম পূজা ও তাঁর স্বামীর নাম পাপ্পু। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিস। পুলিস এসে মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, রবিবার সকালে পরিচারিকা এসে বারংবার ডেকেও সাড়া না পাওয়ায় ঘরে ঢোকেন, এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় পূজার দেহ পরে থাকতে দেখেন তিনি। পাশে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পূজার স্বামী পাপ্পুর। পরিচারিকার চিৎকারেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
স্থানীয়দের দাবি, মাঝেমধ্যেই সাংসারিক বিষয় নিয়ে প্রথম স্ত্রী পূজার সঙ্গে বিবাদ লেগে থাকত পাপ্পুর। অশান্তি চরমে যেতেই কি এই ঘটনা ঘটল! তা খতিয়ে দেখছে খড়দহ থানার পুলিস।
অশান্তি থেকে মুক্তির আশায় নিজের ভিটেবাড়ি ছেড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবুও দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতে মেহেরাজ আর মুসকানের। গত বুধবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছায়। মেহেরাজকে ছেড়ে মুসকান চলে যান বাপের বাড়ি। স্ত্রী-কে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে শ্বশুর বাড়িতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই বাড়ি ফিরে এসে ভিডিও কলে আত্মঘাতী হলেন স্বামী।
জানা গিয়েছে, মহেশতলা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আকরা জগন্নাথ নগর উত্তর খান পাড়ার বাসিন্দা মেহেরাজ খান ও তাঁর স্ত্রী মুসকান বিবি। তাঁদের একটি ছোট্ট পুত্র সন্তানও রয়েছে। মেহেরাজের পরিবারের অভিযোগ, গত বুধবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ভাড়া বাড়িতে এসে মেহেরাজকে মারধর করেন। পাশাপাশি মুসকানকে নিয়ে চলে যান তাঁর বাবা। মঙ্গলবার বিকালে মেহেরাজ তাঁর শ্বশুর বাড়িতে যান ছোট্ট ছেলেকে আনতে। তখনই শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। আর মুসকান বলেন, 'তোর সঙ্গে সংসার করবো না। তুই গলায় দড়ি দিয়ে মরগে যা।' এরপর আকরার ভাড়া বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে শ্বশুর বাড়িতে ভিডিও কল করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে যান মেহেরাজ।
প্রতিবেশী এক মহিলাকে মেহেরাজের শাশুড়ি ফোন করে বলেন, তাঁদের জামাই ভিডিও কল করে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। এই খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা মহেশতলা থানায় খবর দেন। পুলিস এসে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মেহেরাজকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
প্রায় দেড় বছর ধরে নিখোঁজ এক ৩৪ বছরের যুবক। তাঁর স্ত্রী পুলিসের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনিই নাকি তাঁর স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রেখেছেন। তাঁর দেখানো জায়গায় সেই যুবকের দেহ খোঁজা হলেও তাঁকে পাওয়া যায় না। এরপর স্ত্রীকে গ্রেফতার করার পর জামিনও পেয়ে যান তিনি। তবে এসবই পুরনো কথা, সম্প্রতি খবরে এসেছে, কিছুদিন আগেই নাকি তাঁর স্বামীকে এক গ্রামে দেখা গিয়েছে। এরপর তাঁর পালিয়ে যাওয়ার কারণ শুনেই অবাক পুলিস আধিকারিকরা। তিনি বলেন, 'স্ত্রীকে ভয় পেয়ে এতদিন লুকিয়েছিলাম।' ঘটনাটি কেরলের (Kerala) পাথানামথিট্টার।
সূত্রের খবর, কেরলের ৩৪ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম নওশাদ। তিনি পাথানামথিট্টার বাসিন্দা। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি হঠাৎ বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। এভাবে আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার পিছনে স্ত্রী আফসানার হাত রয়েছে, এমনটাই দাবি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আফসানাও দাবি করেছিলেন যে, তিনি তাঁর স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কোথাও তাঁর দেহ খুঁজে না পেয়ে আফসানাকে জামিন দেওয়া হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার ইদ্দুকি জেলার এক গ্রামে নওশাদকে দেখা যায় বলে খবর পাওয়া যায়। এরপর পুলিসকে খবর দিতেই সেখান থেকে নওশাদকে খুঁজে বের করা হয়। এই দেড় বছর কেন লুকিয়ে ছিলেন, এমনটা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, স্ত্রীর ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। লোক জোগাড় করে তাঁকে মারধর করত বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নওশাদের স্ত্রী আফসানাকে পুলিস ডেকে পাঠান ও এই মামলায় পুলিসকে বিভ্রান্ত করার ফলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
স্ত্রীকে গুলি (Shot) করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) স্বামী। বুধবার, ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের দক্ষিণ ডেভিসাবাদ গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, নিহতের নাম ছেলিমা সর্দার (৩১) ও অভিযুক্তের নাম বাবুরালি সর্দার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিল ছেলিমা ও বাবুরালি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের টাকা-পয়সা নিয়ে ছেলিমাকে মারধর করত বাবুরালি। নগদ টাকা, মোটর ভ্যান সহ বহু দাবি পূরণ করলেও কোনভাবেই অত্যাচার কমেনি ছেলিমার উপর। অবশেষে সাংসারিক বিবাদের জেরেই স্ত্রীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। মাথার পিছনে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি পুলিসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলিমার।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান সাংসারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ক্য়ানিং থানার পুলিস প্রশাসন।
ফের টোম্যাটো (Tomato) নিয়ে মজাদার খবর প্রকাশ্যে। এবারে টোম্যাটো নিয়েই ঝগড়া স্বামীও স্ত্রীর। আর এই ঘটনার জল গড়াল পুলিস স্টেশন পর্যন্ত। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) শাহদোলের (Shahdol)। আকাশছোঁয়া হয়েছে টোম্যাটোর দাম। ফলে কোথাও শোনা যাচ্ছে, সোনা-গয়না-টাকার বদলে চুরি করা হচ্ছে টোম্যাটো, আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে, টোম্যাটোর জন্য সবজির দোকানে রাখা হচ্ছে বাউন্সার। আর এবারে এই টোম্যাটো নিয়েই হয়ে গেল বর-বউয়ের ঝগড়া। আর এর ফলে বাড়ি ছেড়েও চলে গেলেন স্ত্রী, এমনটাই দাবি স্বামীর।
জানা গিয়েছে, সেই ব্যক্তির নাম সঞ্জীব বর্মন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর টিভিন সার্ভিস রয়েছে। ফলে তিনি সেই সব টিফিন বানানোর জন্য খাবারে দুটো টোম্যাটো ব্যবহার করেছিলেন, তবে তা স্ত্রীর থেকে অনুমতি না নিয়ে। আর এতেই নাকি চটে যান তাঁর স্ত্রী। আর এই ঝগড়া এমন অবস্থায় যায় যে তিনি তাঁর সন্তানকে নিয়ে বাড়িই ছেড়ে চলে যান। এরপর তাঁকে খোঁজার অনেক চেষ্টা করার পর তাঁকে না পেলে স্থানীয় পুলিস স্টেশনের দ্বারস্থ হন তিনি।
এরপর শাহদোলের স্টেশন হাউস অফিসার সঞ্জয় জয়সওয়াল জানান যে, সঞ্জীব পুলিসের কাছে এই ব্যাপারে জানালে তাঁরাও খুঁজতে করেন। অবশেষে তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তিনি ঝগড়ার পর কষ্ট পেয়ে বাড়ি ছেড়ে উমারিয়ায় তাঁর বোনের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তবে তিনি ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। স্ত্রীর (Wife) সঙ্গে এক ব্যক্তির পরকীয়া, এমন সন্দেহেই সেই ব্যক্তির গলা কেটে রক্ত খাওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর (Husband) বিরুদ্ধে। সেই দৃশ্য আবার ক্যামেরাবন্দিও করা হয়েছে বলে খবর। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি কর্নাটকের (Karnataka)। ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, কর্নাটকের চিক্কাবল্লাপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত স্বামীর নাম বিজয়। তার স্ত্রীর সঙ্গে মারেশ নামে এক ব্যক্তির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল বিজয়ের। ফলে সেই রাগ থেকেই সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১৯ জুন বিজয় মারেশকে এক জঙ্গলে নিয়ে যায় ও সেখানেই তার গলার একাংশ কেটে দেয়। এরপরই সেখান থেকেই ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। আর সেখানেই ঝাপিয়ে পড়ে বিজয়। নির্মমভাবে সেখান থেকে রক্ত খেতে শুরু করে বিজয়। সেখানে তার বন্ধু জনও ছিল। সে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে। এরপর সেটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই হইহই পড়ে যায় সারা দেশজুড়ে।
আরও জানা গিয়েছে, রমেশের গলার কিছুটা অংশ কাটার ফলেই তিনি কোনওমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়িতেও ফিরেছেন তিনি। এরপর মারেশ পুলিস থানায় গিয়ে বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত বিজয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে ও এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বিয়ের (Wedding) অনুষ্ঠানে ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে স্ত্রীকে নাচ করতে দেখে তেড়ে গেলেন এক 'মদ্যপ' স্বামী (Husband)। এরপর সেই ব্যক্তিকে তার ভাইরা বাধা দিলে উল্টে তাঁদেরই কুপিয়ে খুন করল সে। এমনটাই অভিযোগ উঠছে সেই 'মদ্যপ' ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh)।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম টিনহা বেগা। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ে কবীরধাম জেলায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে স্ত্রীকে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নাচতে দেখায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যায় স্বামী। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাদ শুরু হলে, অন্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। যাঁরা মদ্যপ ভাইকে থামাতে আসেন, তাঁদের দেখেও তেড়ে যায় ওই ব্যক্তি। এরপর তাকে থামানোর চেষ্টা করায় পরপর দুই ভাইকে খুন করে সে। এরপর তার শ্যালকও তাকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও আঘাত করে সেই ব্যক্তি। এরপর কোনওমতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পরিবারের লোকজন থামিয়ে, তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, নিহতদের মৃৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর গুরুতর আহত শ্যালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত মৃতদেহ (Dead)। ঘটনায় মৃতার স্বামীকে (Husband) আটক করেছে এনজেপি থানার পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে শহর শিলিগুড়ির (Siliguri) সুকান্তপল্লী এলাকায়। ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম প্রিয়াঙ্কা দাস। মৃতার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর আগে ওই অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা। পরিবারের তরফে সম্মতি ছিল না এই বিয়েতে। সেকারণে ওই যুবক জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে অশান্তি লেগে ছিল। নানাভাবে অত্যাচার করা হত। শারীরিক ও মানসিকভাবেও চলত অত্যাচার বলে অভিযোগ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রিয়াঙ্কাকে কোথাও যেতে দিত না। এমনকি অফিসে গেলে সেখানেও বারবার ফোন করে বিরক্ত করত। বাপের বাড়িতে গেলে ১০ মিনিটের বেশি হলেই ফোন করতে শুরু করে দিত। বৃহস্পতিবার রাতেও ওই গৃহধূর সঙ্গে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের অশান্তি শুরু হয়। এরপরই শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রিয়াঙ্কাকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের লোকের।
ঘটনার খবর পেতেই এনজেপি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত। অন্যদিকে, ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে মৃতার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস।