প্রসূন গুপ্ত: কত ঘটনাই ঘটে দুনিয়াতে। কিন্তু আমরা জানি কতটুকু? আমরা পড়ে থাকি রাজনীতির কচকচানিতে, ক্রিকেট বা ফুটবলে। নিদেন খবরে জানতে চাই কোনও সেলিব্রেটির কিস্যা। কিন্তু রবি ঠাকুর থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রেমের গল্প আজকাল কি আদৌ উৎসাহিত করে মানুষকে? বোধহয় না। সময় কম কাজেই যা কিছু জানার দেখে নেওয়া যাবে সামাজিক মাধ্যমে (social media)। প্রেম (love), প্রতিক্রিয়া, বিকৃত প্রেম কাহিনীর স্বর্গ আজকের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এমন প্রেম অতঃপর বিবাহের (marriage), যার মধ্যে রসদ আছে এমনই ঘটনা সুপ্তি ও কৌশিকের। তাঁদের জন্মদিন থেকে জন্মবর্ষ একই দিনে। এবারে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন "কেমনে মিলিলো দোঁহে?"
দক্ষিণ দমদমের (South Dumdum) বাসিন্দা সুপ্তি দত্ত ও কৌশিক ভট্টাচার্য। কিন্তু প্রথম যৌবনে কেউ কারুর খবরও রাখতেন না। সুপ্তির বাবা ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য এবং লক্ষী সেনের ঘনিষ্ঠ। সরকারি চাকরি করতেন আবার ভারতের খ্যাতনামা ব্রিজ খেলোয়াড়ও ছিলেন। ৩৫ বছর চাকরি করেও নিজের বাড়ি বানানোর টাকা ছিল না। এমনকি তাঁর মৃত্যুর সময় দাহকার্যের টাকাও ছিল না। অন্যদিকে কৌশিক উচ্চমাধ্যমিকে দুর্দান্ত ফল করা ছাত্র। পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা। তাঁর বাবাও ছিলেন সরকারি কর্মচারী এবং অসম্ভব গোড়াপন্থী।
নব্বইয়ের গোড়ায় এক সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেখা হয় দুজনের। অতঃপর প্রেম। একটা সময়ে দুজনেই জানতে পারলেন তাঁদের জন্ম তারিখ ১২ নভেম্বর ১৯৭৪। এবারে সময়? দুজনেই জন্মেছেন দ্বিপ্রহরে। কিন্তু কে আগে কে পরে নিয়ে আর বেশি ঘাটাঘাটি করেননি তাঁরা। করেই বা কি লাভ, বিয়ে যখন করতেই হবে। ইতিমধ্যে দুই বাড়ির মধ্যে একটাই সমস্যা, তা হল দুজনের একই বয়স, পরে আবার সমস্যা হবে না তো? আমাদের পূর্বতন বাঙালিরা মনে করতেন বাড়ির বৌ যেন কোনওভাবেই স্বামীর উপর দিয়ে না যায়। এরপর বিয়ে হলো। আপাতত দুই পুত্র সন্তানের পিতামাতা তাঁরা। দুটি ছেলেই কলকাতার নামি স্কুলে পড়াশুনা করে। কৌশিক বর্তমানে শিক্ষকতা করেন। রোজগার ভালোই কিন্তু এখনও তাঁরা ভাড়া বাড়িতেই থাকেন। দিব্বি আছেন, একই সময়ে একই দিনে জন্মানো কর্তা গিন্নি। আজ তাঁদের ৪৮ বছর পূর্ণ হল।
স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর (husband) বাড়ির সামনে ধর্নায় এক গৃহবধূ। রবিবার সকালে এমনই এক দৃশ্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খয়রামারি অঞ্চলের বাগিচা পাড়া গ্রামে। আর সাত সকালেই এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ধর্নায় বসে থাকেন ওই গৃহবধূ।
তিনি জানান, গত এক মাস আগে ভালোবেসে করে বিয়ে (marriage) করেন ওই গৃহবধূ ও হাসানুর মোল্লা। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, ছেলের পরিবার সেই বিয়ে অস্বীকার করলে বাড়ির ছেলেকে অন্যথায় লুকিয়ে রাখা হয়। আর এই কারণেই রবিবার ধর্নায় বসেন গৃহবধূ। গৃহবধূর দাবি, তাঁর স্বামীকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন অন্যথায় লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁদের বিয়ে মেনে না নেওয়ার জন্য।
যদিও ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ছেলের বাবা হানিপ মোল্লা। তাঁর কথায়, কোনও বিয়ে হয়নি তাঁর ছেলের। মিথ্যা কথা বলে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন ওই গৃহবধূ।
এদিকে, সাত সকালেই এই ঘটনার পর প্রতিবেশীরা জানান, তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছেন না তাঁরা।
মর্মান্তিক ঘটনা! 'স্ত্রী অদলবদল' গেমে (wife swap game) অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় মহিলার কপালে জুটল স্বামীর অত্যাচার (assault)। শুধু তা নয়, জোর করে তাঁর সঙ্গে স্বামী ‘অস্বাভাবিক’ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) বিকানিরের এক হোটেল রুমে। তবে মামলা দায়ের ভোপালে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযোগকারীর স্বামী বিকানিরের এক পাঁচতারা হোটেলে ম্যানেজার। সেখানেই একটি রুমে আটকে রাখেন ওই মহিলাকে। এমনকি ফোনও ছিনিয়ে নেন তাঁর স্বামী। এরপর দু'দিন পর মদ্যপ অবস্থায় ওই হোটেল রুমে এসে মহিলার সঙ্গে জোর জবরদস্তি করেন অভিযুক্ত। স্ত্রী অদলবদল গেমে অংশগ্রহণ করতে জোর করতে থাকে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁর সঙ্গে বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করেন। ওই অভিযোগকারী আরও বলেন, তাঁর স্বামী বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে তো বটেই, ছেলেদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁর স্বামী উভকামী। তিনি স্বামীর আচরণে আঘাত পেলেও স্ত্রী অদলবদল খেলার অংশ হতে রাজি হননি।
পুলিসের কাছে অভিযোগ, মহিলার শাশুড়ি, স্বামী এবং ভগ্নিপতি ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন। তিনি স্বামীর কীর্তির কথা শ্বশুরবাড়িতে জানান। কিন্তু তাঁরা সেভাবে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতেন না। উল্টে তাঁকেই 'আধুনিক' হতে বলতেন। অভিযোগকারী বলেন, আহত হওয়ার পরে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। এবং কয়েক মাস ধরে শারীরিক আক্রমণ অব্যাহত ছিল। পরে তাঁর আত্মীয়রা জানতে পেরে তাঁকে বাপেরবাড়ি নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামী, শাশুড়ি এবং তাঁর ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনের ৩৭৭ , ৪৯৮-এ (বধূ নির্যাতন), ৩২৩, ৫০৬, ৩৪, ৩/৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামীকে এলোপাথাড়ি কোপ প্রথম স্বামীর। অভিযুক্তকে গণধোলাই স্থানীয়দের। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা (Gaighata) থানার কাড়লা শালবাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুকান্ত ভদ্র। তিনি হাবরা (Habra) থানার গোয়ালবাটি এলাকার বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই দু'জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় (Kolkata) রেফার করা হয়েছে।
অভিযোগ, সুকান্তের স্ত্রীকে বিয়ে করার আক্রোশে শনিবার রাতে বিশ্বজিৎ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আচমকাই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় সুকান্ত। তাঁর মাথা, ঘাড়, হাত সহ একাধিক জায়গায় কোপ বসায় সুকান্ত। এরপর বিশ্বজিতের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) নিয়ে আসে। অভিযুক্ত সুকান্তকে বেধকড় মারধর করে উত্তেজিত জনতা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিস গিয়ে সুকান্তকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস (police)।
স্বামীর আচরণে (Domestic Problem) যদি এক ছাদের তলায় থাকা অসম্ভব হয়, তাহলে খোরপোশ (Alimony) দাবি করতেই পারে স্ত্রী। তবে তথ্য প্রমাণের সাপেক্ষে স্ত্রীয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। আর সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে খোরপোশ দিতে অস্বীকার করতে পারবেন না স্বামী। এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
জানা গিয়েছে, নিম্ন আদালতের এক রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যান এক মহিলা। সেই মামলার শুনানিতে সম্প্রতি এই মন্তব্য হাইকোর্টের। নিম্ন আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, দায়রা আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে তিনি খোরপোশ দাবি করার অধিকারী নয়। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ ভুল বলে জানিয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টের মন্তব্য, প্রত্যেকের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যাঁদের ভরণপোষণ প্রয়োজন, তাঁদের ক্ষেত্রেও বিচারকদের এ কথা মাথায় রাখতে হবে। খোরপোশ সংক্রান্ত প্রতিটি মামলা ভিন্ন। বিচারপতি শর্মা জানান, যদি আদালতগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণে দেখা যায় যে স্বামীর আচরণের কারণেই স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকতে পারছেন না। তা হলে স্ত্রী ও নাবালক সন্তানদের খোরপোশ দিতে স্বামী কখনই অস্বীকার করতে পারেন না।
পরকীয়া (Aduletery Relation) করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়তেই স্বামী নিলেন এমন এক সিদ্ধান্ত, যা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হলদিয়ার (Haldia) নন্দকুমারের পুলিস আধিকারিকদের। কোমরে দড়ি বেঁধে স্ত্রীকে থানায় নিয়ে হাজির স্বামী। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অর্পিতা সামন্ত এবং শেখ মনিরুল। ৭ বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের। অর্পিতা সামন্তর পূর্বেও একটি বিবাহ হয়েছিল। বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) পরে বাপের বাড়ি সুতাহাটাতে থাকতে শুরু করেন অর্পিতা। সেখানেই শেখ মনিরুলের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তা ভালোবাসার সম্পর্কে গড়ায়।
তাঁরা বিয়েও করেন। ৭ বছরের বিবাহিত সম্পর্কের পরে শেখ মনিরুলের অভিযোগ, অর্পিতা একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। শেখ মনিরুলের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল ছেলেটির। সেই কথা অর্পিতা অস্বীকার করলে শেখ মনিরুল স্ত্রীর ওপর নজর রাখতে শুরু করেন। গত শনিবার অর্পিতা বাপের বাড়ি চলে যান, তাঁর স্বামী বারবার আসার জন্য অনুরোধ করলেও অর্পিতা জানান মঙ্গলবার বাড়ি ফিরবেন। সন্দেহ হয় শেখ মনিরুলের, নজর রাখতে শুরু করে স্ত্রীর উপর এবং সোমবার হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ধরার পড়তেই কোমরে দড়ি বেঁধে স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসেন তিনি।
শেখ মনিরুলের দাবি, ওই যুবকের সঙ্গেই স্ত্রীর বিয়ে দেবেন। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ওই যুবকের বাড়ি নন্দকুমারে।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে এই সন্দেহের বশে নিজের স্ত্রীকে খুন (murder)। খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন স্বামী। ঘটনার পরই পুলিস গ্রেফতার (arrest) করে অভিযুক্তকে। দুর্গাপুরে (Durgapur) এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিএমইআরআই বাসস্ট্যান্ড বস্তির।
জানা যায়, সোমবার সকালে স্ত্রী নুরি পারভিনকে দুই মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতে মানা করে মহম্মদ আকিল। কারণ, তার স্ত্রী মেয়েদের স্কুল ছেড়ে অন্য ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান বলে অভিযোগ স্বামীর। এই নিয়ে অনেকদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিনও সকালে নুরি পারভিন যখন স্কুলে মেয়েদের নিয়ে যেতে মানা করে তার স্বামী, তখন তা না শোনায় দু'জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে মহম্মদ আকিল রাগের মাথায় তার স্ত্রী নুরি পারভিনকে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলে।
তাঁদের দুই মেয়ে বাবা-মায়ের বচসা থামানোর চেষ্টা করেও পারেনি বলে জানা গিয়েছে। সে চায়, বাবার চরম শাস্তি হোক। মাকে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনায় হতবাক তারাও। পরে এলাকাবাসীরাই পুলিসকে খবর দেন। পুলিস এসে নুরি পারভিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিস অভিযুক্ত স্বামী মহম্মদ আকিলকে গ্রেফতার করে।
চলন্ত ট্রেনের সামনে ধাক্কা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার (Murder) অভিযোগ উঠল খোদ স্বামীর বিরুদ্ধেই। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে থানে পুলিস (Thane police)। ঘটনাটি মুম্বইয়ের শহরতলি (Maharashtra)পালঘর (Palghar) জেলার ভাসাই রোড রেলওয়ে স্টেশনের।
সোমবার ভোর ৪টের দিকে ঘটা এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের কিনারায় টেনে নিয়ে যায়। এবং তাঁকে রেললাইনের ট্র্যাকের ওপর ঠেলে দেয়। সেসময় ঢোকে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এবং বিকৃত ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর দুই সন্তান ও একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ নিয়ে ঘটনার পর প্ল্যাটফর্ম থেকে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে মুম্বইয়ের দাদর এবং সেখান থেকে থানের কল্যাণের ট্রেনে উঠতে দেখা যায়।
সোমবার গভীর রাতে থানের ভিওয়ান্দি শহর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এক পুলিস কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর সঙ্গে দুই দিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। যাতে তিনি রেগে যান। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট, লোকটি তাঁর স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন। যার জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি অভিযুক্তের।
নারীসুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের হাতে, সেই পুলিস-প্রশাসনেরই এক কর্মী যখন অত্যাচারী হয়ে ওঠে এবং তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর প্রতিবাদ যখন থানা এবং সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত পৌঁছয়, তখন প্রাণহানির আশঙ্কা তো থেকেই যায়!
এরকমই এক অমানবিক ঘটনা ঘটল নদিয়ার শান্তিপুর বাইগাছি পাড়ার ওস্তাগারপাড়া লেনে। সেখানকার বাসিন্দা অভীক মিত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের কলকাতায় কর্মরত। তাঁর স্ত্রী মৌমিতা চক্রবর্তী মিত্র গত জন্মাষ্টমীর পরের দিন শান্তিপুর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি ডায়েরি করেন। মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য প্রার্থনা করেন।
বিবরণে জানা যায়, জন্মাষ্টমীর দিন পাশের দুটি বাড়ি পরে দুই ছেলেকে নিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান তিনি। সে সময় বৃষ্টি আসে। ঘরে তালা মারা থাকার কারণে পুলিস স্বামী অভীক মিত্র কিছুক্ষণের জন্য বৃষ্টিতে ভেজেন। আর তাতেই রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরে প্রথমে কিলচড় মারার পর, পায়ের জুতো খুলে বেধড়ক মারতে থাকেন বাঁ গালে। বড় ছেলে মাকে বাঁচাতে এলে তাকেও গলা টিপে ধরা হয়। প্রতিবেশী এক যুবকের হস্তক্ষেপে কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন সে সময়। এরপর আবারও ঘরে ঢুকে মারধর করে বলে অভিযোগ স্ত্রী মৌমিতা চক্রবর্তী মিত্রর। এরপর প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হন তিনি। কিছুটা সুস্থ হলে পরের দিন শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
বর্ধমান জেলার মৌমিতাদেবীর বিয়ে হয়েছিল পনেরো বছর আগে নিজেদের যোগাযোগই, তবে অনুষ্ঠান করে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৌমিতাদেবীর একমাত্র অভিভাবিকা বিধবা মা তপতি চক্রবর্তী গতকাল এসে পৌঁছন মেয়ের বাড়িতে। তিনি বলেন, রীতিমতো পণের দাবি মিটিয়ে সে সময় বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিবাহ বহির্ভূত একাধিক মহিলার সাথে সম্পর্ক জানা যায় বছর তিনেক বাদ থেকে। আর সেই থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। এখনও পাড়ার এক মহিলার সাথে রীতিমতো সম্পর্ক রয়েছে। তবে পুলিস-প্রশাসন থেকে সুশীল সমাজের কাছে তপতী চক্রবর্তীর একটাই দাবি, মেয়ের জীবনের।
মৌমিতাদেবী অবশ্য বলেন, ছেলেদের খরচ এবং তাঁর খাওয়া খরচ স্বামীই বহন করেন। বাকি যাবতীয় সেলাই করে এবং তাঁর মার পেনশনের টাকা দিয়েই চলে। এই মুহূর্তে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি আরও বলেন, একই ছাদের তলায় থাকলেও বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নেই। তবে সরকারি চাকরি বাঁচানোর জন্য এবং ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনও বধূ নির্যাতন এবং হত্যার চেষ্টা সংক্রান্ত কোনও মামলা করিনি। কিন্তু আমাকে মেরে ফেলা হবে, এমনটাই আশঙ্কা করছি। তাই জীবনহানির আশঙ্কা করছি দুই ছেলে সহ নিজের।
তবে এ ব্যাপারে অভীকবাবুর বর্তমান মোবাইল নাম্বার দিতে পারেনি পরিবার এবং প্রতিবেশী কেউই। তিনি শান্তিপুরে থাকলেও আমরা একাধিকবার বাড়িতে গিয়েও যোগাযোগ করতে পারিনি তার সাথে।
এ যেন এক আজব কাণ্ড! বাস্তব অনেক সময় সিনেমাকে (cinema) হার মানায়, আর আজ সেই কথা যেন প্রমাণ করে দিলেন এক যুবক। নিয়ে ফেললেন এমন এক সিদ্ধান্ত যা অবিশ্বাস্য। কিন্তু করলেন কী ওই যুবক? নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই দিলেন বিয়ে (marriage)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এই ঘটনা বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া থানার শালগাড়ার। যার জেরে পুরো এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যপক চাঞ্চল্য।
জানা যায়, বড়জোড়ার শালগাড়ায় নিজের স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী এবং জল দিয়ে সিঁদুর মুছে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্ত্রীকে। গ্রামেরই এক মন্দিরে এই বিয়ের সাক্ষী থাকলো গোটা গ্রাম। সত্যি এ এক নজিরবিহীন ঘটনা!
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শালগাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাখি বাগদির বিয়ে হয় আউসগ্রামের অভিরামপুরের প্রদীপ বাগদির সঙ্গে। ২০১৭ সালে তাঁদের বিয়ে হওয়ার পর বর্তমানে একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। এদিকে রাখি শালগাড়া গ্রামেরই সুরেশ বাউরি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন পর রাখির স্বামী তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তাঁর স্বামী। বৃহস্পতিবার প্রদীপবাবু স্ত্রীর সেই প্রেমিকের সঙ্গে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। স্ত্রীর বিবাহ দিয়ে নিজের বাড়ি আউসগ্রামে ফিরে যান তিনি।
প্রথম অভিযোগ, বিযের (Marriage) সময় স্ত্রী (Wife) বয়স (Age) অনেক কমিয়ে বলেছিল। এক-দু বছর নয়। অভিযোগ, একেবারে দশ বছর। ফলে আখেরে দেখা গেল, তাঁর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি। সেই রাগ পুষে রেখেছিলেন মনের মধ্যে। ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে হতে একদিন বিস্ফোরণ হল, যখন তাঁর স্ত্রী যৌন মিলনে (Physical Relation) অস্বীকার করেন। আর এর পরিণতি হল ভয়ানক। স্ত্রীকে খুনই (Murder) করে বসলেন। শুধু খুন করাই নয়, দেহ পুঁতে দিলেন স্থানীয় একটি ঘাটে। তারপর সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেন, তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পরে অবশ্য তাঁর এই নাটক ধোপে টেকেনি। পুলিসের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে। এখন তাঁর ঠাঁই গরাদের পিছনে।
আদপে বিহারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বসবাস করতেন বেঙ্গালুরুতে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রুথবিরাজ সিং। মাত্র ন মাস আগে তিনি বিয়ে করেন জ্যোতি কুমারীকে। পুলিসকে তিনি এইটুকুই জানিয়েছেন, বিয়ের সময় তাঁর স্ত্রী তাঁকে বয়স অনেক কমিয়ে বলেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে অসামাজিক বলে থাকে এবং তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও অস্বীকার করে।
পুলিসের কাছে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, বিয়ের সময় তাঁকে বলা হয়েছিল, বয়স ২৮ বছর। কিন্তু বিয়ের পরে জানা গেল, আসল বয়স ৩৮ বছর। অর্থাত্, তাঁর চেয়ে ১০ বছরের বড়। একইসঙ্গে শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও অসামাজিক বলে কার্যত গালিগালাজ করত স্ত্রী।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জ্যোতিকে সে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার বন্ধুকে বিহার থেকে ডাকে। তারপরই দুজন মিলে তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করেন। পরদিনই তিনি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
সম্পর্কে 'সন্দেহ' কতটা ভয়ানক হতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনা। স্বামী, স্ত্রীকে (Husband-Wife) সন্দেহ করতেন। তার জেরে স্ত্রীকে মারধরও করতেন। দিনের পর দিন স্বামীর অকথ্য অত্যাচার (Torture) সহ্য করতে করতে বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল রঞ্জনাবেনের। এরপরই নিয়েছেন দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত। ঘুমের মধ্যেই রবিবার স্বামীকে হত্যা (Murder) করলেন তিনি। খুনের অভিযোগে রঞ্জনাবেনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই কাজ করেছেন তিনি। পুলিসকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি কেবল সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রবিবার রাতে আসে সেই সুবর্ণ সুযোগ। ছেলেমেয়েকে নিয়ে যে ঘরে ঘুমোন, তার পাশের ঘরে অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী নবীন। ছেলেমেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে স্বামীর ঘরে গিয়ে গলা টিপে ধরেন রঞ্জনবেন। তারপর স্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ইলেক্ট্রিক শক দেন তিনি।
ছেলেমেয়েকে সকালে স্কুলে পাঠানোর পর রঞ্জনাবেন চিৎকার শুরু করেন। তা শুনে তাঁর শ্বশুর এলে, দেখতে পান, ছেলে নবীন বিছানায় পড়ে রয়েছে। গলায় ও পায়ের নিচে আঘাতের দাগ রয়েছে। যদিও রঞ্জনাবেন তখন বলেন বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। তবুও সন্দেহ হয় অভিযুক্তর শ্বশুরের।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় খবর দেন। পুলিস এসে তদন্ত শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। রঞ্জনাবেন নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন সত্যিটা। অবশেষে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।