Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

HighCourt

HC: জ্ঞানেশ্বরী তদন্ত চলছেই! বিচারক নেই, ফলে বিচারপ্রক্রিয়া থমকে

এক দশকের পরেও বাকি জ্ঞানেশ্বরী(Gyansehwari rail accident)) রেল দুর্ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে নিম্ন আদালতে(lower court) নেই বিচারক। বাকি রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণও। বন্ধ শুনানি পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। কি অবস্থায় তদন্ত? কি অবস্থায় রয়েছে মামলা? এর প্রেক্ষিতে সিবিআইকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata Highcourt)। 

সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয় ১৭০ জন আহত হয়। রেল কর্তৃপক্ষ ২৫ কোটি টাকার সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জ্ঞানেশ্বরী মামলায় জামিনের আবেদনে দ্বারস্থ হয় মোট ৫ জন। এরা হলেন মন্টু মাহাত, লক্ষ্মণ মাহাত, সঞ্জয় মাহাত,তপন মাহাত এবং বাবলু রানা। সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। উল্লেখ্য এই মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের (আরডি কোর্ট অর্থাৎ রি-ডেজিগনেটেড কোর্ট) আদালতে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। ১৭০ জন যাত্রী আহত হন। উল্টো দিকের মালগাড়ির চালকও নিহত হন। অভিযোগ, মাওবাদী-মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির লোকজন আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস।

2 years ago
Howrah: 'কোর্ট অর্ডার থাকলেও সিবিআইয়ের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি', এবার ক্ষুব্ধ প্রতিমা দত্ত

দিন দুয়েক আগে রাজ্যের একাধিক ইস্যুতে সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation) নিয়ে ঘুরিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবার সিবিআই প্রসঙ্গে সেই সুরই শোনা গেল নিহত তৃণমূল নেতা তপন দত্তর (TMC Leader Killed) স্ত্রীয়ের কণ্ঠে। বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু চার মাস পেরোলেই কেন্দ্রীয় সংস্থার কেউ প্রতিমা দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করেন নিহত তপন দত্তর স্ত্রী।

ক্যালকাটা নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'ছয় মাসের মধ্যে আমার স্বামীর খুনের ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশের পর চার মাস কাটলেও সিবিআইয়ের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কিন্তু এই কোর্ট অর্ডার বার করতে আমার ১২ বছর সময় লেগেছে।'

তিনি জানান, দিলীপ দা হয়তো ঠিক বলেছেন। মানুষের মনেও একটু চিন্তা আছে। অনুব্রত মণ্ডলের মতো হাওড়ার নেতারাও বিত্তশালী। মূলত আমার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা হয়তো সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং করে নিয়েছে। একবারও কেউ ভাবছে না যে ১২ বছর লড়াই করে একজন কোর্ট অর্ডার বের করেছে। অন্তত তাঁর সঙ্গে এসে কথা বলি। কিন্তু কেউ প্রয়োজন মনে করেনি।

প্রতিমা দত্ত বলেন, '১২ বছর ধরে আমি মামলাটাকে জীবিত করে রেখেছিলাম। আমার ধারণা ছিল সিবিআই হয়তো বিষয়টি গুরুত্ব দেবে। কিন্তু ১২ বছর আগের এক খুনের কোনও প্রত্যক্ষ তথ্য প্রমাণ নেই। আছে শুধু পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ এবং নথি। আরও দেরি করলে সেই তথ্য প্রমাণও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই সিবিআই ঠিক কে চাইছে বুঝতে পারছি না।'

2 years ago
Court: ১৭ বিরোধী নেতানেত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে মামলা, সোমবার পর্যন্ত পিছলো শুনানি

১৭ বিরোধী নেতার (Opposition Leader) সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে করা মামলার (PIL) শুনানি পিছলো। আগামি ২৯ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার শুনানিতে মহম্মদ সেলিম এবং তন্ময় ভট্টাচার্য জানান। আগেও তাঁরা সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও জানাবেন। তবে বিজেপির তরফে আদালতে (Calcutta High Court) সময় চাওয়া হয়েছে। সবপক্ষকে মামলার নথি দেওয়ার নির্দেশ আবেদনকারী সুজিত গুপ্তকে দিয়েছে আদালত।

ইতিমধ্যে তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে চলছে। সেই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে পাল্টা হলফনামা দিয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। এই আবহে বিরোধী ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।

এই তালিকায় নাম আছে সিপিএম-র মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ তাঁর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর নামও আছে তালিকায়।  

2 years ago


Kalyani: এইমস-এর নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে বিপাকে সিআইডি

কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা। মামলায় বিপাকে সিআইডি (CID)। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানো সিআইডিকে এই মর্মে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।

উল্লেখ্য, গত শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। কেন্দ্রের আইনজীবীর যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে সোমবার সিআইডিকে সতর্ক করল আদালত। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এদিকে সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।


2 years ago
Asset: বিরোধী দলের নেতাদের নামে কোর্টে মামলা, তরজায় জড়ালেন সুকান্ত, অধীর, কুণাল

তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset Case) নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারাধীন জনস্বার্থ মামলা (PIL)। পাশাপাশি বিরোধী দলের ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও বৃহস্পতিবার পাল্টা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টেই। এবার শাসক-বিরোধী দলের নেতাদের নামে চলা এই জোড়া মামলা ঘিরে তুঙ্গে চাপানউতোর। বিরোধী দলের যে ১৭ নেতানেত্রীর নামে মামলা দায়ের হয়েছে, সেই তালিকায় নাম আছে বিজেপির দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, সৌমিত্র খাঁ প্রমুখদের। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমরা ইডি, সিবিআই যে কোনও ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তৃণমূল নেতারা ইডির বিরোধিতা করে কোর্টে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের কেউ বিরোধিতা করতে কোর্টে যাবে না।'

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা কষ্ট করে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। এদিকে তৃণমূল নেতারা যা সম্পত্তি বানিয়েছে, তাঁদের কাছে আমরা অনেকটাই ক্ষুদ্র। পাল্টা দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় নাম আছে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের। সেই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'আমরা চাই সবার তদন্ত হোক। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তিরও তদন্ত হোক। আমি শুধু জানতে চাই বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেতন না নিয়ে দিদির চলে কীভাবে?'

তৃণমূলের তরফে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল নেতাদের নামে মামলা হলে সব ঠিক আছে। আর বিজেপি কারও নামে মামলা হলে সেটা প্রতিহিংসা। ২০১৬ সালে তো বিজেপিই পার্টি অফিসে টিভি চালিয়ে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ছবি দেখিয়েছিল। এবং স্লোগান তুলেছিল সিবিআই চাই। শুভেন্দু তো এখন তাঁদের সঙ্গেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।'

ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদারম, অধীর চৌধুরী এবং কুণাল ঘোষ?

2 years ago


Kerala: স্ত্রীর সঙ্গে অন্য মহিলার তুলনা মানসিক নির্যাতনঃ কোর্ট

নিজের স্বামীর (Husband) মুখে অন্য কোনও মেয়ে বা মহিলার নাম শুনলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন কম-বেশি সব মহিলারাই। সেখানে নিজের স্ত্রীয়ের (Wife) সঙ্গে অন্য মহিলার তুলনা (Comparing) করার অর্থ নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারা। এমনকি এবিষয়টি আইনের চোখেও অপরাধ। এবং স্বামীর তরফে এহেন মন্তব্য মানসিক নির্যাতনের (Mental torture) সমান। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)।

কোনও স্বামী যদি তাঁর স্ত্রীকে অন্য নারীদের সঙ্গে বারবার তুলনা করেন কিংবা বিভিন্ন বিষয়ে কটুক্তি করতে থাকেন, তাহলে আইনের চোখে সে স্বামী অপরাধী বলেই গণ্য হবেন। ৪ই অগাস্ট একটি মামলার রায়ে এমনটাই জানিয়েছেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল কে নরেন্দ্রনাথ এবং বিচারপতি সিএস সুধারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা রায়ে এও বলেছেন, স্বামীদের এই ধরনের ব্যবহার বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হতে পারে।

উল্লেখ্য, পরিবার আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় ঘোষণা করেছিল ওই দম্পতিকে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট বলে, পরিবার আদালতে বিচ্ছেদের রায় ঘোষণার সময়ে জানানো হয়েছিল, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে পরিপূর্ণতা না-থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১৮৬৯ সালের বিচ্ছেদ আইনের উল্লেখ করে বিচারপতি জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে বিষয়টি মানসিক নির্যাতনের মধ্যে পরে।

ওই মামলায় দেখা গিয়েছে, বিয়ের পরে খুব কম সময়েই একসঙ্গে ছিলেন ওই দম্পতি। দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন থাকার পরে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিয়েছিল পরিবার আদালত। হাই কোর্ট আরও জানিয়েছে, স্বামী মনে করতেন তাঁর প্রত্যাশা মত স্ত্রী একেবারেই দেখতে সুন্দর নন। এই ধরনের ক্রমাগত কটুক্তি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া এই ধরনের বিষয় অবশ্যই সামাজিক স্বার্থে বিবেচনা করা উচিত। কারণ এর সঙ্গে একজন মহিলার মানসিক স্বাস্থ্য জড়িয়ে রয়েছে।

2 years ago
HC: তৃণমূলের ১৯, পাল্টা শুভেন্দু,দিলীপ,সেলিম-সহ ১৭ বিরোধী নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে মামলা

তৃণমূল নেতামন্ত্রীদের অস্বাভাবিক সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার ইতিমধ্যে হাইকোর্টে শুনানি চলছে। সেই মামলায় ইডিকে পার্টি হতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও এই নির্দেশের বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। এই টানাপোড়েনে এবার বিরোধী দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। সেখানেও শুভেন্দু অধিকারী-সহ মহম্মদ সেলিম, আব্দুল মান্নানের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

শাসক পক্ষের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে যখন জলঘোলা, তখন বিরোধী পক্ষের ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এই মামলায় বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের একাধিক নেতার নামোল্লেখ রয়েছে। শুভেন্দু-সহ শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান-সহ প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নাম রয়েছে।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়েছে। আগামি সপ্তাহেই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।

এদিকে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যের অন্তত ১৯ জন জনপ্রতিনিধির সম্পত্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় ১৯ জনের তালিকা জমা পড়ে। তাতে নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমনকী অমিত মিত্রর মতো মন্ত্রীদের। সম্পত্তি অর্থাৎ আর্থিক বিষয়ে মামলা বলে গত ৮ আগস্ট ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।

নেতাদের সম্পত্তি কীভাবে ক্রমশ ফুলেফেঁপে উঠছে, সেই প্রশ্ন তুলে সেই মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আবেদন রাজ্যের তিন মন্ত্রীর। মন্ত্রীরা হলেন, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আবেদনকারী মন্ত্রীদের দাবি, এই মামলার বিচার লোক আয়োগে হওয়া উচিত।

2 years ago
Sukanya: টেট-দুর্নীতিতে সুকন্যা সহ ৬ জনের হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করল হাইকোর্ট

কলকাতা হাইকোর্টে আপাত স্বস্তি পেলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এদিন সুকন্যা সহ ৬ জনের হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।

গতকালের অতিরিক্ত হলফনামা গ্রহণ করছেন না বিচারপতি। কারণ মূল মামলার সঙ্গে এটা যুক্ত নয়। তাই কালকের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। টেট পাশ করা সহ অন্য নথিও জমা নিলেন না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


মামলকারীর অভিযোগে আলাদা করে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন অনুব্রত-কন্যা ও ভাইপো। আজ অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সহ অন্যদের জমা দিতে বলা হয়েছিল নিয়োগপত্র, টেট পাশ সার্টিফিকেট, অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার নথি ইত্যাদি।

এদিন নথি জমা দিয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু মামলার কোনও শুনানি হল না। আজ নয়, মালার শুনানি পয়লা সেপ্টেম্বর।


2 years ago


Tmc Asset: সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় ইডি কেন? হাইকোর্টে আর্জি ফিরহাদ, অরূপ, জ্যোতিপ্রিয়র

খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যের অন্তত ১৯ জন জনপ্রতিনিধির সম্পত্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় ১৯ জনের তালিকা জমা পড়ে। তাতে নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমনকী অমিত মিত্রর মতো মন্ত্রীদের। সম্পত্তি অর্থাৎ আর্থিক বিষয়ে মামলা বলে গত ৮ আগস্ট ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।

নেতাদের সম্পত্তি কীভাবে ক্রমশ ফুলেফেঁপে উঠছে, সেই প্রশ্ন তুলে সেই মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আবেদন রাজ্যের তিন মন্ত্রীর। মন্ত্রীরা হলেন, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আবেদনকারী মন্ত্রীদের দাবি, এই মামলার বিচার লোক আয়োগে হওয়া উচিত। তাঁদের দাবি, জনপ্রতিনিধিদের মামলা শোনার জন্য রয়েছে লোকায়ুক্ত। তাই হাইকোর্ট এই মামলায় ইডি-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিতে পারে না বলেই দাবি তিন মন্ত্রীর। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি এদিন সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি করেছেন তিন মন্ত্রী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন করেন তাঁরা। 

তবে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। আগামী সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা। 

2 years ago
Anubrata-Sukanya: বাড়ি থেকে বেরোলেন অনুব্রত-কন্যা, তবে কি আদালতে হাজিরা দেবেন সুকন্যা?

বাড়ি থেকে বেরোলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal)। বিচারপতির নির্দেশ মেনে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা সুকন্যার। টেট পাস না করেও প্রভাব খাটিয়ে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির অভিযোগ ওঠে সুকন্যা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। তারপরেই অনুব্রত কন্যা (Daughter) সহ ৬ জনকে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টের মধ্যে সশরীরে হাইকোর্টে (Highcourt) হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর,  সকলেই অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ। এই ছয় জন হলেন, অনুব্রত-কন্যা, সাত্যকি মণ্ডল, কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদি, অর্ক দত্ত, সুমিত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। বুধবার বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফিক্সড ডিপোজিটের কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তবে ক্যাশ নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই এফডি-গুলির হদিশ পেয়ে তদন্তে নামে।

সিবিআই সূত্রে খবর, যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে গরু পাচারের টাকা নিজের মেয়ে ও পরিবারের সদ্যদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে দেওয়া হত একটা পার্সেন্টেজ টাকা। পার্সেন্টেজ নির্ভর করত কত টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করা হচ্ছে তার ওপর এবার সেই সকল অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররাও সিবিআই স্ক্যানারে।

উল্লেখ্য, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তাঁর কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এরপরই বোলপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কথা বলেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে। তারপরই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির হদিশ পান সিবিআই আধিকারিকরা।

2 years ago


Bail: ঝাড়খণ্ডের সেই তিন বিধায়ককে অন্তর্বর্তী জামিন দিল হাইকোর্ট

কোটি কোটি টাকা সহ ধরা পড়া ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সেই তিন বিধায়কের (MLA) তিনমাসের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী মুকুল রয়াগ্নি বলেন, টাকা উদ্ধার কখনও কগনিজেবল অপরাধ নয়। তার জন্য হেফাজতের প্রয়োজন নেই। অভিযুক্তদের একজনের ৩টি পেট্রোল পাম্প আছে, একজন ব্যবসায়ী। তাঁদের কাছে এই টাকা থাকতেই পারে।

অভিযোগকারীর আইনজীবী বলেন, অর্থের বিনিময়ে দল পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই কারণে তিনি জামিনের বিরোধিতা করছেন। শ্বাশতগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এঁদের জামিন দিলে তদন্ত ব্যাহত হবে। কারণ, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায় আছে। অভিযুক্তরা শাড়ি কেনার কথা বললেও তাঁদের কাছ থেকে কোনও শাড়ি উদ্ধার হয়নি। কিছু জাল বিল উদ্ধার হয়েছে। এঁরা প্রভাবশালী। ২০২১ এ এই ধরনের অভিযোগ আছে।

সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালতের মন্তব্য, তিন অভিযুক্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যারা তাদের একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে ভোট দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে দল পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, অভিযোগকারীর সাথে কথোপকথনের কোনও ট্র্যাকিং লিস্ট এখনও তদন্তে উল্লেখ নেই। কলকাতা স্টেশনের কথা উল্লেখ থাকলেও সেই সময় যে তারা গ্রেফতার, তার উল্লেখ নেই। ১৫ দিনের তদন্তে অভিযোগকারীর কোনও স্টেটমেন্ট, অভিযোগকারীর অভিযোগমতো কোনও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা কোনও ইলেকট্রনিক তথ্য বা নথির উল্লেখ নেই কেস ডায়েরিতে।

বিচারপতির মতে, এটা ঠিক, অভিযুক্তদের কাছ থেকে হিসাব বহির্ভূত টাকা উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তরা ইতিমধ্যে তদন্তে যোগ দিয়েছে। এই তদন্তে অন্যান্য রাজ্যের সহযোগিতার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের কোনও হাত নেই।

এরপরই বিচারপতি শর্তসাপেক্ষে ৩ মাসের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করেন। শর্তগুলি হল

১) ১ লাখ টাকা বন্ড

২) কলকাতা ছেড়ে যেতে পারবেন না অভিযুক্তরা।

৩) তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।

৪) সপ্তাহে ১ দিন তদন্তকারী অফিসারের সাথে দেখা করতে হবে।

৫) মামলার বিচার হবে এমএলএ-এমপি কোর্টে।

পরবর্তী শুনানি ১০ নভেম্বর।

2 years ago
Court: 'টেট ফেল করে স্কুলশিক্ষিকা অনুব্রত-কন্যা', বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা

টেট (Primary TET) ফেল করেও প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি। এবার অবৈধ নিয়োগে নাম জড়াল অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Daughter) সুকন্যা অধিকারীর। পরেশ অধিকারীর মেয়ের পর এবার কাঠগড়ায় সুকন্যা মণ্ডল। সৌমেন নন্দী নামে এক ব্যক্তি বুধবার এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, 'সুকন্যা মণ্ডল-সহ অনুব্রতর (Anubrata Mondal) পরিচিত ৬ জন টেট পাশ না করেই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন।'

এই আবেদনের উপর শুনানির পরেই বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে অনুব্রতর মেয়ে-সহ ৬ জনকে টেটের নথি-সহ কোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশ অমান্য হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। এমনকি, কোর্ট অর্ডার বীরভূমের পুলিস সুপারের কাছে পৌঁছে দিতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিস সুপারই ওই ৬ জনকে আদালত অবধি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এদিন সন্ধ্যার পর বোলপুরের বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে সুকন্যা মণ্ডলকে। সম্ভবত কলকাতার উদ্দেশেই রওয়ানা দিয়েছেন তিনি।


এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মামলাকারী আদালতে দাবি করেছেন, 'কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হলেও, সুকন্যা মণ্ডল স্কুলে যান না। উলটে স্কুলের হাজিরার রেজিস্টার অনুব্রত-কন্যার বাড়িতে পাঠানো হতো। এদিকে, সুকন্যা মণ্ডল ছাড়াও বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর পিএ অর্ক দত্ত-সহ'আরও কয়েকজন আত্মীয়। সকলেই চাকরি পেয়েছেন বোলপুর সার্কেলে। এই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে অনুব্রতর মেয়ের স্কুলের রেজিস্টার এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে আদালতে তলব।  

অপরদিকে, সিবিআইয়ের ওপর রুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১৯শে জুলাই  তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে যে নথিপত্র উদ্ধার করেছিল, সিবিআই সেগুলো সিএসএফএল দিল্লিতে(ফরেনসিক ল্যাবরেটরি) পাঠাবে। সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর না করায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন এখন পর্যন্ত ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে নথি পাঠানো হলো না, এদিন জানতে চান তিনি। আগামি ১০ দিনের মধ্যে সেই নথি পাঠানো হবে। এমনটাই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষীর হাত ধরে যাঁদের যাঁদের চাকুরী হয়েছে তাঁদের সকলকেই সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

2 years ago
Kerala: মহিলা উত্তেজক পোশাক পরেছিলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলল হাইকোর্ট

একজন সমাজকর্মী এবং লেখক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে যৌন হয়রানির (Sexual harassment) অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগকারিণী মামলাও করেন তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবার কেরলের আদালত (Kerala court) চন্দ্রনকে (Chandran) জামিন দেয়। এবং বিচারক জামিনের রায়দানের সময় বলেন, অভিযোগকারিণী একটি যৌন উত্তেজক পোশাক (sexually provocative dress) পরেছিলেন। তাই একে যৌন হয়রানি বলা যায় না।

অভিযোগকারিণী ২০২০ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি নন্দী বিচের একটি ক্যাম্পে থাকাকালীন ওই  লেখক তাঁকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলেন, ৭৪ বছর বয়সী লেখক তাঁকে ক্যাম্পে ডাকেন। এরপর জোর করে তাঁর কোলে বসান। এবং গোপন অংশ ছোঁয়ার চেষ্টা করেন।

লেখক তাঁর জামিনের আবেদন করার সময় আদালতে অভিযোগকারিণীর ছবিও দিয়েছিলেন। তারপরই বিচারক বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ ধারার অধীনে অপরাধটি কার্যকর নয়। কারণ মেয়েটি "যৌন উত্তেজক পোশাক" পরেছিলেন।

কেরল হাইকোর্ট আরও বলে, ওই লেখক শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম। অন্য ব্যক্তির উপর জোর করতে পারেন না। সেখানে দাঁড়িয়ে এ অভিযোগ খানিকটা ভিত্তিহীন।

কোয়েলন্দি পুলিস ২৯ জুলাই আইপিসির ধারা ৩৫৪এ (২), ৩৪১ এবং ৩৫৪ এর অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল।

2 years ago


Food: ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি, দুমাসের মধ্যে বিচার করতে হবে স্যাটকে

ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) নিয়োগে বেনিয়মের মামলা এক যুগ পরে ফের বিচারের জন্য ফিরল স্যাটে (SAT)। ওই নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে কি না, আগামী দু মাসের মধ্যে তা খতিয়ে দেখে রায় দিতে হবে স্যাটকে।

এর আগে ২০১০ সালে ৬৫০ জন ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে স্যাট মামলায় কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দেয়। হাইকোর্টে মামলা এলে ডিভিশন বেঞ্চ স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় স্যাটকে। সেই মামলায় গত বছর স্যাট আগের নিয়োগ তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়। ফের মামলা আসে হাইকোর্টে। আজ বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির বিচার করতে হবে স্যাটকে।

উল্লেখ্য, এর আগে ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম অস্বচ্ছতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাট অফ মার্কস না প্রকাশ করা, রিজার্ভেশন নীতি প্রয়োগ না করা ইত্যাদি কারণের জন্য এই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে ট্রাইবুনাল।

৯৫৭ টি শূন্য পদে ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। ওই নির্দেশের ফলে ৯৫৭ জনের চাকরি নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।

2 years ago
ED MLA: 'নেতাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় ইডিকে পার্টি নয়', হাইকোর্টে আবেদন তিন মন্ত্রীর

বিধায়কদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Property Case) মামলায় ইডিকে পার্টি না করার আবেদন হাইকোর্টের কাছে রাখলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী (Three Bengal Minister)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির কাছে শুক্রবার এই আবেদন করেছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামি ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। ২০১৭-র জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। শাসক দলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি কীভাবে? এই প্রশ্ন তুলে দায়ের হয়েছিল মামলা। সম্প্রতি সেই মামলায় ইডিকে (ED) পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর এক বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।

সেই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন এদিন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় গত ৮ অগস্ট তৃণমূলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় ইডিকে যুক্ত করে আদালত। ৫ বছর আগে দায়ের জোড়া এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী। সেই সময় তাঁরা তৃণমূলের ১৯ জনের নামে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬— এই ৫ বছরে কীভাবে এই ১৯ জনের সম্পত্তি এত বৃদ্ধি পেয়েছে?

সম্পত্তির খতিয়ান এর প্রমাণ  হিসাবে দেখানো হয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ওই নেতাদের হলফনামা। ওই একই সময় আরও একটি মামলা করেন অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও ৩০ জনের নাম আদালতে জমা দেন। সেই পিটিশনে উল্লেখ ছিল সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য, আবু হেনার মতো হেভিওয়েটদের নামও।

যদিও বিরোধী শিবিরের উল্লিখিত ব্যক্তিরা তৃণমূলের তোলা অভিযোগ সম্প্রতি খারিজ করেছেন। সিপিএম-র তরফে কটাক্ষ, 'রায় আর পিটিশনের মধ্যে বেসিক পার্থক্য বোঝে না শাসক দল।' সেই রাজনৈতিক তরজার দিন দুয়েকের মধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইডিকে পার্টি না করার আবেদন করলেন তিন মন্ত্রী।

2 years ago