Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

HighCourt

Jharkhand: বন্ধুত্বের প্রস্তাব নাকচ করায় তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যা, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ রাঁচি হাইকোর্টের

বন্ধুত্বের প্রস্তাব (friendship proposal) প্রত্যাখ্যান করায় পেট্রোল ঢেলে এক তরুণীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের (Jharkhand High Court)। বিষয়টিকে (murder case) গুরুত্ব দিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রবি রঞ্জন মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিসের ডিজিকে তলব করেছেন। তাঁর নির্দেশে বলা, পুরো ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা উদ্বেগের। এদিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে অভিযুক্ত শাহরুখ নামে এক যুবককে। সোমবার তাঁর এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করে পুলিস।

দুমকার ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার কিছুদিন আগেই শাহরুখের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ তুলে থানার দারস্থ হয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু পুলিস তাঁদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি। উলটে দুমকার ডিএসপি নূর মুস্তাফা এফআইআর দায়ের না করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সোমবারই হেমন্ত সোরেন সরকার মুস্তাফাকে সাসপেন্ড করেছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। তার ঠিক দিন দশেক আগে অচেনা একটি নম্বর থেকে মৃতার কাছে ফোন আসে। এবং তাঁকে বন্ধুত্বের জন্য জোর করতে থাকেন অভিযুক্ত যুবক। তিনি বন্ধুত্ব করতে রাজি না হলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত সোমবার আবার ফোন আসে। ভয় পেয়ে বাবাকে সব কথা খুলে বলেন তরুণী। বাবা তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন এবিষয়ে সকাল হলেই কোনও ব্যবস্থা নেবেন। এরপর সকলে ঘুমিয়ে পড়েন।

ওই তরুণী মৃত্যুশয্যায় বলেন, 'মঙ্গলবার ভোরে শরীরে হঠাৎ জ্বালা শুরু হলে ঘুম ভেঙে যায়। তখন তিনি দেখতে পান ওই যুবক বাড়ির জানলা দিয়ে তাঁর ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। আর তিনি চিৎকার শুরু করতেই অভিযুক্ত পালায়।' অপরদিকে ততক্ষণে তাঁর সারা গায়ে আগুন ধরে যায়। তাঁর বাবা-মা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে তারাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, ওই তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে দুমকার মেডিক্যাল কলেজে প্রথমে ভর্তি করানো হয়। পরে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। রবিবার রাতে মৃত্যু হয় তরুণীর। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে পুলিস। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।

2 years ago
ED Court: ইডি তলব অভিষেকের শ্যালিকাকেও, হাইকোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন মেনকা গম্ভীর

শুধু তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Abhishek Banerjee) নয়, ইডি (ED) তলব করেছে তাঁর শ্যালিকা মানেকা গম্ভীরকেও (Menoka Gambhir)। কয়লা পাচার (Coal Smuggling)-কাণ্ডে ৫ সেপ্টেম্বর ইডির কলকাতা দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হবে মেনকাকে। ইডি নোটিস পাওয়ার পরেই রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের শ্যালিকা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করেছে, দিল্লি নয় কলকাতাতে মেনকা গম্ভীরকে  জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। 

পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের এই আত্মীয়কে রক্ষাকবচ দিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেনকার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এদিন মানেকার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, 'আমার মক্কেলের বিরুদ্ধ একটি মামলার ভিত্তিতে এর আগেও সমন পাঠিয়েছিল। আমরা তার উত্তর দিয়েছি। কিন্তু তবুও আমার মক্কেলকে বারবার অকারণ নোটিস দিয়ে ডাকছে। মেনেকা গম্ভীরের দিদি রুজিরা নরুলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জামাইবাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাযর মক্কেলকে ডাকার কারণ দেখিয়েছে অনুপ মাজি সংক্রান্ত মামলা। মেনকা গম্ভীর এর আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার ডাকে  সাড়া দিয়েছে অনলাইন ও অফলাইনে। মেনকার দিদিও কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবে সাড়া দিয়েছেন। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিএ সুমিত রায়কে এভাবে ডেকে গ্রেফতার করেছে। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছে। আমার মক্কেলকে কলকাতায় ডাকুক, মানেকা গম্ভীর এই মুহূর্তে দিল্লি যেতে পারে না। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন।'

এই সওয়ালের পাল্টা ইডির আইনজীবী জানান, এই মামলা দিল্লির। তাই দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। এর আগেও মেনকা গম্ভীরের সমস্যা ছিল। তারপর বাড়িতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কয়লা পাচার-কাণ্ডে জড়িত মেনকা গম্ভীর। এই মামলার তদন্ত চলছে। তাই ডেকে পাঠানো হয়েছে। বহু টাকার লেনদেন হয়েছে, আর্থিক তছরূপ হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযোগে এর আগেও কিছু নোটিসে তিনি সাড়া দেননি। 

এই সওয়াল জবাবের পরেই বিচারপতির প্রশ্ন, তদন্তকারীরা কি মেনকা গম্ভীরকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন? কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি, 'এই মামলা কলকাতার নয়। শুধু উনি নয় অন্য আরও অনেকে আছেন। সব সেট-আপ শুধু ওর জন্য কলকাতায় আনতে হবে। দিল্লিতে নথি আছে, ইডি চায় দিল্লিতেই জিজ্ঞাসা করতে। কলকাতায় এলে তদন্তের নথি সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।' এই যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি শুনেই বিচারপতি মেনকাকে রক্ষাকবচ দিয়ে ইডিকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

2 years ago
Court: 'বিচারপতি-আইনজীবী সম্পর্ক ছিন্ন', মন্তব্য অরুণাভর, জাস্টিস গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

ফের আক্রমণের মুখে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি এজলাসে দেরিতে বসেন। এই অভিযোগ পত্র বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতির (chief justices ) কাছে। এই চিঠি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে জানান যারা এই চিঠি লিখেছেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার (contempt of court)মামলা করা হবে। তার আগে তাদের হলফনামা (affidavit) দিয়ে আদালত জানতে চাইবে এই চিঠি তে সই করার কারণ।

বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বার্তা পেয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ (Arunavo Ghosh)। অরুণাভ ঘোষের দাবি, যত দিন যাচ্ছে বিচারপতি-আইনজীবীদের সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। এর প্রত্যুত্তরে প্রধান আইনজীবী জানান আদালতের গরিমা রক্ষার দায়িত্ব বিচারপতি এবং আইনজীবী উভয়েরই। পাশাপাশি আইনজীবীদের দাবি, কোর্টে সংবাদমাধ্যমের (media) অবাধ বিচরণ বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ণ করছে। কোর্টরুমের প্রসিডিং ভিডিওগ্রাফি করছে সংবাদ মাধ্যম। সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার আবেদনও জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁদের এই আবেদন ও ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।

সম্প্রতি ভরা এজলাসে একেরপর এক উত্তপ্ত কথোপকথনে জড়িয়ে পড়েন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। সুকন্যা মণ্ডল শুনানিতেও উত্তেজক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। এই বাগযু্দ্ধের জেরে আইনজীবীর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত চত্ত্বরে ব্যানারও পড়েছিল। এবার অভিযোগ স্বয়ং বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় দ্বিধাবিভক্ত বিচার ব্যবস্থা।

2 years ago


CM Asset: 'টালির চালায় থেকে এত সম্পত্তি কীভাবে', প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে একাধিক মামলা বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা। ২০১১-র পর থেকে বিপুল সম্পত্তিবৃদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সাধারণ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন বারবার। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি মাধ্যম (পাবলিক ডমেন) যে নথি রয়েছে, সেই নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে 

২০১১-র পর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার বিপুল সম্পত্তি বেড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিবৃদ্ধির উৎস কী? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আদালতে দরবার করলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উত্থান অনেকের অনুপ্রেরণা। কিন্তু বিশেষ করে ২০১৩-র পর থেকে তাঁর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধির রকেট গতি দেখা গিয়েছে। আর সেই বছরেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, চিটফান্ডের সব টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুকোনো রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় জানা গিয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ নিজেকে সমাজসেবী বলে দাবি করেন।

আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, 'আমার মামলায় দুটি আবেদন করা হয়েছে। প্রথমে যারা সমাজকর্মী বলে দাবি করেন তাঁদের এহেন সম্পত্তিবৃদ্ধি কারণ কী? আয়কর দফতর বিষয়টার তদন্ত করুক, আর দুই ইডি-কে দিয়ে এই বিপুল তহবিলের উৎস সন্ধান করা হোক।' টালির চালায় যারা থাকে, তাঁদের কাছে এত সম্পত্তি আসল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েই মামলা। আগামি ৬ তারিখ পরবর্তী শুনানি। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান তরুণজ্যোতিবাবু।  

ঠিক কী বলেছেন এই আইনজীবী? 

যদিও এই মামলা প্রসঙ্গে এদিন মেয়ো রোডের সভায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। তিনি বলেন, 'আমার সম্পত্তি নিয়ে মামলা এখানে কেন আন্তর্জাতিক কোর্টে হওয়া উচিৎ। এখানে তো বিজেপি যা শিখিয়ে দেবে তাই বলবে।'

শুনুন সেই বক্তব্য: 

2 years ago
Arunava: 'উনি কেন এমন করছেন জানি না', অরুণাভ ঘোষ প্রসঙ্গে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার বচসায় জড়িয়েছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ (Arunava Ghosh) এবং হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সেই বাগযুদ্ধ সর্বজনবিদিত। এবার অরুণাভ ঘোষ সম্পর্কে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, 'উনি কেন এমন করছেন জানি না। দেখি কী করা যায়!'কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের আদালতে (High Court) হাজিরা নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্য রাজ্যনীতি। সেই সময়েও বেশকিছু বিষয়ে এজলাসেই তরজায় জড়িয়েছিলেন বিচারপতি এবং আইনজীবী ঘোষ। সেই তরজার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।

সেই প্রসঙ্গে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'অনেকেই বলেন, আমি আইনের এ,বি,সি জানি না। আমি কেন সেকশন ১৬৫-এর কথা বলি? এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সব থেকে মজার বিষয়, আমি পোর্টব্লেয়ারের এক কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মীকে চাকরি ফেরত পাইয়ে দেওয়ার জন্য একটা অর্ডার দিয়েছিলাম। সেই অর্ডার উনি (পড়ুন অরুনাভ ঘোষ) একটি মামলার জন্য রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন।  আমার এজলাসেই সেই রেফারেন্স টেনেছিলেন। সেই সময় যখন আমি লেবার কোর্টের মামলা নিতাম।' 

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, অরুনাভ দার সঙ্গে আমার কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তাও কেন উনি আমার সাথে এমন করছেন আমি জানি না। লোকজনও নিয়ে আসছেন।

দেখি কী করা যায় ভাবছি!

শুক্রবারও একটি মামলার শুনানিতে সেকশন ১৬৫ এর বিষয়টি উঠে আসে। তারপরেই আদালতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য সেকশন ১৬৫-তে উল্লেখ আদালত প্রয়োজনে সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারে।

2 years ago


Mamata: আমিও আইনজীবী, যেকোনও মামলার জন্য আদালতে যেতে পারি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা

আদালত গণতন্ত্রের পিলার, সাধারণ মানুষের পিলার। আম জনতা বিচার পেতে আদালতে আসেন। ন্যায়বিচার কখনও একপক্ষ হয় না, ন্যায়বিচার নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যখন সব জায়গা থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তখন আদালতে বিচার চাইতে আসে। আদালত, সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের স্তম্ভ। কখনই যাতে এদের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ভবন সম্প্রসারণের একটি অনুষ্ঠান এদিন আয়োজিত হয়েছে নব মহাকরণে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ অন্য বিচারপতিরা। ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।

সেই অনুষ্ঠানেই এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আমি নিজে আইনজীবী। যে কোনও মামলায় আদালতে চলে যেতে পারি। মানবাধিকার সংক্রান্ত একাধিক মামলায় আমি সওয়াল-জবাবও করেছি। বার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র মেম্বারশিপ কার্ডও আছে আমার কাছে।

প্রধান বিচারপতির প্রতি তাঁর অনুরোধ, 'প্রায় তিন-চার বছর প্রচুর মামলা ঝুলে রয়েছে। সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পদক্ষেপ নিক হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাড়ানো হোক মহিলা বিচারপতির সংখ্যা।' এমনকি, মামলার শুনানিতে মিডিয়া ট্রায়ালে যাতে কান না দেন মহামান্য বিচারপতিরা। এই অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকেও মিডিয়া ট্রায়াল না করার আবেদন করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনের স্থান সংকুলানের জন্য নব মহাকরণের প্রথম থেকে নবমতল ভবন সম্প্রসারণের স্বার্থে হাইকোর্টকে তুলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আইন দফতর, পূর্ত দফতর এবং হাইকোর্ট সচিবালয়ের সমন্বয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সবপক্ষকেই ধন্যবাদ জানান তিনি।

2 years ago
Asset: এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে মামলা হাইকোর্টে, তালিকাভুক্ত সুজন-রূপাও

বাংলার শাসক-বিরোধী নেতাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset Case) নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের (Union Minister) এবং রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতার সম্পত্তি খতিয়ান চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা (PIL)। আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার প্রধান বিচারপতির কাছে এই মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলে, কোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।

নতুন এই মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, রাজনাথ সিংয়ের নাম রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে বিরোধী দলের দুই পরিচিত মুখ সুজন চক্রবর্তী এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও যুক্ত হয়েছে মামলায়। আদালতের কাছে আইনজীবীর আবেদন, 'ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে এই নেতারা তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান দিক। সেই খতিয়ান তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। গরমিল পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক।'

সম্প্রতি তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশের বিরোধিতায় আবার পাল্টা আবেদন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। সেই আবেদনের শুনানি চলছে হাইকোর্টে। পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর ১৭ জনের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে দায়ের হয়েছে মামলা। এই মামলায় তালিকাভুক্ত হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, তন্ময় ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিমের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নামে মামলার দিকে তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।

2 years ago
SSC Court: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের 'দখল' হয়ে থাকা ইউনিয়ন রুমের তালা ভাঙতে পুলিসকে নির্দেশ হাইকোর্টের

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Madhyamik Board) দখল হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন রুম (Union Room) ফিরিয়ে দিতে পুলিসকে নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার বিধাননগর কমিশনারেটকে এই নির্দেশ দিয়েছে। প্রাক্তন তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের ইউনিয়ন রুম দখল করছে নব্য তৃণমূল ইউনিয়নের সদস্যরা। সেই রুমে তালা ঝুলিয়ে দখল করা হয়েছে। এবার ইউনিয়ন রুম ফেরত চেয়ে হাইকোর্টের দরবার প্রাক্তন তৃণমূল ইউনিয়নের। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পুলিসকে তালা ভেঙে ইউনিয়ন রুম ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।

জানা গিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঁচতলার ইউনিয়ন অফিস আগে তৃণমূল সমর্থক কর্মচারী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পড়ে সেই সংগঠন অরাজনৈতিক হয় এবং পর্ষদ পরিচালনার বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। এখন তৃণমূলের আরও একটি সংগঠন 'ওয়েস্টবেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন'-এর ব্যানারে সেই ইউনিয়ন রুম দখল করতে চায়। 

এই নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসাও বাঁধে। কোনওভাবেই সেই রুমের দখল নিতে না পারায় পাঁচতলার ৪০৯ রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার সূত্রেই এদিন ইউনিয়ন রুম ফিরিয়ে দিতে পুলিসকে তালা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্মচারী সমিতির অফিসে কয়েকজন কর্মচারী শাসক দলের কিছু নেতা, বিশেষ করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলে দাবি করে নির্বাচিত সদস্যদের বাইরে বের করে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতির মদতে সেই ঘরে তালা লাগিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে চাবি রাখে। তাঁরা নাকি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রীর আশীর্বাদধন্য। এমন দাবি করা হয়ে থাকে। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে নির্বাচিত সংগঠনের সভাপতি হাইকোর্টে মামলা করলে মহামান্য আদালত বিধাননগর পূর্ব থানাকে তালা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন।'

2 years ago


Purulia: সূচ কাণ্ডে হাইকোর্টে রদ ফাঁসি, যাবজ্জীবন মঙ্গলা-সনাতনের

পুরুলিয়া সূচ কাণ্ডে(Purulia needle case) যাবজ্জীবন মঙ্গলা-সনাতনের। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দের ডিভিশন বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেয়। একই সঙ্গে উচ্চ আদালত জানায়, আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত জামিনের(bail) আবেদন করতে পারবেন না সনাতন। ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ঘটনার প্রায় চারবছর পর ফাঁসির সাজা (death sentence) শুনিয়েছিল আদালত। পুরুলিয়া আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছে। 

ঠিক কী হয়েছিল ?

২০১৭ সালে ১১ জুলাই পুরুলিয়ার সুচ কাণ্ডের (Purulia Needle Case) ঘটনা সারা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। পুরুলিয়া মফস্বল থানার নদিয়াড়া গ্রামের তিন বছরের শিশু কন্যাকে (3Years old Baby Girl) শরীরে একাধিক সুচ (Needle) ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হয়েছিল। পুরুলিয়ায় দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই শিশুকন্যাকে। তাকে পরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন তার সারা শরীরে ছিল ক্ষত। এমনকী যৌনাঙ্গেও গভীর ক্ষত দেখতে পেয়েছিলেন তাঁরা। এরপর পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় হাসপাতালের তরফে। এরপর শিশুর এক্স রে করলে দেখা যায়, তার শরীরের ভিতর বড় আকারের সাতটি সূচ রয়েছে। এরপরই তদন্ত শুরু হয়। 

এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হন শিশুর মা মঙ্গলা গোস্বামী এবং প্রেমিক সনাতন গোস্বামী ওরফে ঠাকুর। সেই ঘটনাকে বিরলতম বলে উল্লেখ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে দুজনকেই ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল পুরুলিয়ার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। সেই মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের তরফে এই মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন। শুনানির পর মঙ্গলা ও তাঁর প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পুলিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলা তাঁর স্বামীকে ছেড়ে কন্যা সন্তানকে নিয়ে সনাতনের বাড়িতেই থাকতেন। সন্তানকে নাকি পছন্দও করতেন না তিনি। ওই শিশুকে যৌন খেলনা হিসেবে ব্যবহার করা হত বলেও জানতে পারে পুলিস। আর ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা করতেন দুজনে। গ্রেফতার হওয়ার পর জেরায় এই সব কথা স্বীকার করেছিলেন সনাতন ও মঙ্গলা। 

2 years ago
Scam: সমবায় ব্যাঙ্ক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কাঠগড়ায় অরূপ রায়, 'ভিত্তিহীন', বলছেন মন্ত্রী

এবার সমবায় ব্যাঙ্কের (Co Operative Bank) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কাঠগড়ায় রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী অরূপ রায় (Arup Ray)। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা পড়া অতিরিক্ত হলফনামায় নিয়ম ভেঙে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার  পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), পরেশ অধিকারী, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে একইসারিতে পড়লেন মন্ত্রী অরূপ রায়ও।

হাইকোর্টে দাখিল হলফনামায় অভিযোগ, সমবায়মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সত্য সামন্তের বোন সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছেন। ৫২টি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হয়েছে ১৩৪ জনের। একাধিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের চাকরি হয়েছে তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে। এই ব্যাঙ্কে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে আদালতে।

অতিরিক্ত হলফনামায় বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রয়াত দেবব্রত দাসের ভাইপোও অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পেয়েছেন সেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতির ভাইপো। এখানেই শেষ নয় অতিরিক্ত হলফনামায় দাবি, কেন্দ্রীয় এই সমবায় ব্যাঙ্কের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সিইও প্রণয় কুমার চক্রবর্তীর ভাইপো চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও ব্যাঙ্ক সচিব কৌশিক কুলভির ভাইপো, ব্যাঙ্ক কর্তা নিমাই অধিকারীর মেয়ে এবং ব্যাঙ্কের কর্তা তপন কুমার কুলিয়ার ছেলেও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

হলফনামায় অভিযোগ, ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত ১৩৪ জন নিযুক্ত হয়েছেন। যদিও এই অভিযোগকে অসত্য ভিত্তিহীন বলেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি জানান, প্রকৃত তদন্ত হোক। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁরা শাস্তি পাবে।

2 years ago


HC puja: পুজোয় অনুদান ও বিদ্যুতের বিল ছাড় দেওয়া নিয়ে তৃতীয় জনস্বার্থ মামলা দায়ের

দুর্গা পুজোয়(Durgapuja) অনুদান এবং বিদ্যুতের বিল ছাড় দেওয়া নিয়ে আরও এক জনস্বার্থ মামলা(PIL) কলকাতা হাইকোর্টে(Highcourt) । এই নিয়ে তৃতীয় জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই তিনটি মামলারই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সৌরভ দত্ত নামে দুর্গাপুরের এক বাসিন্দা এই মামলাটি করেন। সৌরভের আইনজীবী শামিম আহমেদের দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া রয়েছে। এমনকী রাজ্যের অনেক বাড়িতে এখনও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ নেই। এই অবস্থায় রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলেও তিনি দাবি করেন। সেই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী । 

প্রসঙ্গত, বুধবার এই বিষয়ে জোড়া মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলার আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণও করে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে  বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবী পারমিতা দে-কে এই মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়। বুধবার জনৈক সুবীরকুমার ঘোষ সরকারের এই অনুদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আদালতে।মামলাকারীর আবেদন , বৃহত্তর জনস্বার্থে এই অনুদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক রাজ্য সরকার।

সূত্রের খবর, শুক্রবার প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই তিনটি মামলারই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

2 years ago
Karnataka: নাবালিকা প্রেমিকা সাবালিকা হতেই বিয়ে যুবকের, পকসো আইনে দায়ের মামলা থেকেও মুক্তি

২০১৯-এ পালিয়ে গিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন নাবালিকা এবং তাঁর প্রেমিক। কর্নাটকের (Karnataka) বাসিন্দা ওই ১৭ বছরের নাবালিকার বাবা তখন থানায় নিখোঁজ ডায়রি (Missing Diary) করেন। পুলিস তদন্তে নেমে ২৩ বছরের ওই যুবক এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। যদিও তখন তাঁরা দাবি করেছিলেন, একে অপরকে ভালোবাসেন। তাই স্বেচ্ছায় একসঙ্গে থাকছেন। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ ছিল নাবালিকার বাবা।

এরপর মেয়েটির বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের (Sexual Abuse) মামলা রুজু করেন। দায়রা আদালতে ওই মামলা চলে প্রায় ১৮ মাস। আর এই মামলা চলাকালীন জেলেই ছিলেন অভিযুক্ত সেই যুবক। বুধবার কর্নাটক হাইকোর্ট নাটকীয় ভাবে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থাকা পকসো আইনে দায়ের মামলা খারিজ করল।

কারণ, ২০২০-র নভেম্বরে জামিন পান সেই যুবক। ততদিনে মেয়েটি নাবালিকা থেকে সাবালিকা হয়েছেন।  জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ওই যুবক এবং মেয়েটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এখন তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। পকসো আইনে মামলা চলাকালীন বিয়ে করায় ছেলেটির বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রমাণ এবং গ্রহণযোগ্য নয় বলে রায়ে জানায় কর্নাটকের উচ্চ আদালত।

উল্লেখ্য, কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন বলেন, 'যে তথ্য সামনে এসেছে, তার থেকে এটা প্রমাণিত, ওই যুগল বিবাহিত। তাঁরা সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করছেন।  ফলে ওই যুগলের মুখের উপর আদালত দরজা বন্ধ করে এই শুনানি চালালে আইনের অপপ্রয়োগ করা হবে।'

2 years ago
Goutam Pal: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে স্বচ্ছ রাখার বার্তা নতুন চেয়ারম্যানের

মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) জায়গায় এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি হচ্ছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল (Gautam Pal)। একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে ১১ জনের নতুন একটি অ্যাড হক কমিটিও গড়েছে রাজ্য। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের (highcourt) নির্দেশ মেনে শেষমেশ মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌতম পাল জানান, " আমি সব কিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে করব। এই বোর্ডের অধীনে অনেক শিক্ষক যুক্ত, অনেক স্কুল যুক্ত। যদি কোনও অস্পষ্ট, অস্বচ্ছ বাতাবরণ তৈরি হয়ে থাকে, আমি আজ থেকে দায়িত্ব নিচ্ছি, কথা দিচ্ছি স্বচ্ছতা থাকবে। সেই অস্পষ্টতা দূর করার দায়িত্ব আমি নিলাম। আগামী দিনে সব স্বচ্ছ করে করব। যারা টেট পরীক্ষা দেবে, প্যানেল বেরোবে, তাঁদের বলি কোনও কিছু লুকাবো না। বোর্ড মেম্বারদের মতামত নেব, কোনও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে, একা নেব না। সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারকে জানাবো। আগামীদিনে চেষ্টা করব চাকরি প্রার্থীদের কোনও প্রশ্ন থাকলে সেটার উত্তর দেওয়ার। প্রতি বছর টেট হবে। নির্দিষ্ট সময়ে মেধা তালিকা বের হবে। 

তিনি আরও কী কী বলেছেন শুনুন---

2 years ago


HC bus: বাস ভাড়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের, ১০ হাজার টাকা জরিমানা রাজ্যের

বাস ভাড়া (bus fare) বৃদ্ধি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা(fine) করল কলকাতা হাইকোর্ট(HighCourt)। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে জরিমানা করল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।  বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের কাছে ৬ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও হলফনামা পেশ করেনি রাজ্য।

মিনিবাস ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরও কেন সময় মতো দিতে পারেনি পরিবহণ দফতর? তাদের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য নেই? প্রশ্ন তুলল আদালত। উল্লেখ্য, বাস ভাড়া নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার(state government)। নির্দিষ্ট গাইডলাইন(guideline) করে দিক আদালত, সেই আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে । 

মূলত তিনটি বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। প্রথমত, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া বেসরকারি বাসগুলো নিচ্ছে কীনা । পাশাপাশি, নিশ্চিত করতে হবে কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এবং তৃতীয়ত, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেহিকেল আইনের (১৯৮৯) ১৭৫ রুল অনুযায়ী, যাত্রীদের অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও, বেশির ভাগ বাসে কমপ্লেইন্ট বুক নেই বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, সরকারি বেঁধে দেওয়া ভাড়া নেওয়ার বালাই নেই কলকাতা-সহ সংলগ্ন অঞ্চলে। যে এমন ইচ্ছে ভাড়া নিচ্ছে। এখনও নিয়মানুযায়ী এমনি বাসে ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা। কিন্তু সেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এখন অলিখিতভাবেই ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা হয়ে গিয়েছে। অথচ সরকার ভাড়া বাড়ায়নি। এই নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। 

2 years ago
Puja: ক্লাবগুলোকে পুজো অনুদানের বিরোধিতায় হাইকোর্টে মামলা, রাজ্যকে বিঁধলেন দিলীপও

দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) ক্লাবপ্রতি ৬০ হাজার টাকা (Puja Donation) সরকারি অনুদান ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিল। এই সংগঠনের আইনজীবী পারমিতা দে'র দায়ের করা আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। বুধবার এই আবেদনের উপর দ্রুত শুনানি চেয়ে আদালতে দরবার করে ওই সংগঠন। জানা গিয়েছে আগামি শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার সমালোচনায় সরব বিরোধী দলগুলো। বুধবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এই যে নেতারা ধরা পড়ছে, এত বড় দুর্নীতি ধরা পড়ছে, এটা চাপা দেওয়ার জন্য এই নাটক। টাকা ঘুষ বাড়িয়ে দিয়েছেন ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার। পুজো করো নাচো, গান গাও ফুর্তি করো আমরা আছি। কোটি কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে মানুষ ভিখারি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ যেন দুর্নীতির দিকে না তাকায়। এসব নিয়ে যেন ব্যস্ত থাকে তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'

2 years ago