বাড়ি থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউন হাতিয়ারায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তি, নাকি আর্থিক অনটনের জেরে এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে ইকোপার্ক থানার পুলিস।
পরিবারের দাবি, লেকটাউন ট্রাফিকে কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার কৌশিক দেবনাথ গত এক বছর আগে নিউটাউন হাতিয়ারা হেলাবটতলা এলাকায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের দাবি করতে থাকে তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, কৌশিক দেবনাথকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দেওয়া হচ্ছিল, যাতে তাঁর বাবা-মাকে ছেড়ে স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোথাও গিয়ে থাকেন। এই দাবি মানতে পারেননি কৌশিক। এরপরই কৌশিক-এর স্ত্রী নিজের বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান। নিয়মিত ফোন করে কৌশিককে মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছিল। পাশাপাশি কৌশিকের মা-বাবাকেও ফোন করে অকথ্য ভাষায় কথা বলতেন বলে অভিযোগ। আর এই মানসিক অবসাদে বুধবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে হাতিয়ারায় নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যদিও মৃত্যুর পিছনে কি কারণ রয়েছে তা জানতে তদন্তে নেমেছে ইকোপার্ক থানার পুলিস।
ঘর থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের রেলকলোনী এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জীবন হালদার (৩৬)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফরাক্কা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান জীবন হালদার নামের ওই ব্যক্তি। তারপর এদিন সকালে অনেকবার ডাকাডাকি করা হলেও কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি তাঁর। এরপর সন্দেহ হওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দেখতে পায় তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর খবর দেওয়া হয় ফরাক্কা থানার পুলিসকে।
আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাক্কা থানার পুলিস। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
গায়ে নেই কোনও জামাকাপড়। শরীরে রক্তের দাগ। গলায় বৈদ্যুতিক কেবলের ফাঁস লাগানো অবস্থায় একটি বাড়ির গ্রিলের সঙ্গে যুবকের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল সোমবার সাত সকালে। খবর পেতেই শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। অজ্ঞাতপরিচিত যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাবগ্রাম এলাকার। এদিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা ওই অজ্ঞাত পরিচিত যুবকের রক্তাক্ত ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। মূহুর্তেই সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবককে অন্য কোথাও খুন করে তাঁর রক্তাক্ত দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনা কোনও একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। একাধিক কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাঁদের আরও দাবি, বেশ কিছুদিন যাবৎ এলাকায় বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। থানায় তা নিয়ে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। এর ফলেই এই ঘটনা বলে দাবি করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।
গোটা ঘটনায় দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পুলিস যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
যাদবপুরকাণ্ডে এখনও উত্তপ্ত রয়েছে গোটা রাজ্য। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গত মাসে ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক স্কুল পড়ুয়ার (Student) ঝুলন্ত (Hanging Body) দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের (Kakdwip) হারুডপয়েন্ট কোস্টাল থানার স্টিমারঘাট এলাকায়। ঘটনায় প্রতিবেশী দুই সিনিয়র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে হেনস্থা, হুমকির অভিযোগ তুলেছিল মৃতের পরিবার। এমনকি এই ঘটনায় থানায় ওই দুই সিনিয়র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। তবে এতদিন কেটে গেলেও পুলিস প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে দাবি করে মৃতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রের নাম তৃণাঙ্কুর ধর (১৫)। কাকদ্বীপ সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। অন্তত্য মেধাবী ছিল ওই ছাত্র। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, তৃণাঙ্কুরকে প্রায়শই উত্যক্ত করত ওই দুই প্রতিবেশী সিনিয়র পড়ুয়া। জুলাই মাসের শুরুতেই মৃত ছাত্রের ওপর জুলুম চরমে ওঠে। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে সে। যার জেরে দুই সিনিয়রের রোষানলেও পড়তে হয়। এমনকি দুই সিনিয়র পড়ুয়ার পা ধরে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হয় তৃণাঙ্কুরকে। পাশাপাশি সেই মুহূর্তের ভিডিও তুলে তা সমাজমাধ্য়মে ছড়িয়েও দেওয়া হয়। যার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল তৃণাঙ্কুর। তাই মানসিক অবসাদের জেরে ১৬ জুলাই নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করে সে।
মৃতের পরিবারের দাবি, এই ঘটনার পরেই ২৭ জুলাই ওই দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে পুলিস প্রশাসনের তরফ থেকে একনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
জঙ্গল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকালে দুবরাজপুর (Birbhum) নিরাময় জঙ্গল এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সেখ সাফিরুল।স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে পুলিস (Police)। মৃতদেহটিকে ইতিমধ্যেই সিঊরি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাফিরুলের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ করা হলেও, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান মানসিক অবসাদের কারণেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে। প্রসঙ্গত সাফিরুলের পরিবারের তরফে এখনও কোনও খুনের অভিযোগ দায়ের না হলেও, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুবরাজপুর ১২ নন্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাফিরুল, পেশায় দিনমজুর সাফিরুলের কাজ অনিয়মিত থাকায় কিছুটা আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল সে, এদিন সকালে জঙ্গলে সাফিরুলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দেয় স্থানীয়রাই। এরপর দুবরাজপুর থানার পুলিস এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয় বরং সাফিরুলকে কে বা কারা খুন করেছে। পাশাপাশি সাফিরুলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অভিযোগ, সাফিরুলের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। কিন্তু পুলিসের প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছে সাফিরুল। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা অবধি সাফিরুলের পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
ঘর থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত (Hanging Body) দেহ উদ্ধার (Recovery)। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) চাঁচল থানার অন্তর্গত হবিনাগর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরীর নাম বিউটি খাতুন (১৭)। বাড়ি হবিনাগর এলাকায়।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির পাশের এক প্রতিবেশীর ছেলে শেখ বিশাল সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। শেখ বিশাল বিউটিকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজে চলে যায়। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি বিশাল। মেয়ের সঙ্গে প্রতিদিন ফোনে কথোপকথন হতো। কিন্তু এই প্রেমের সম্পর্ক কোনওভাবে মেনে নিতে পারছিল না ছেলের পরিবার। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার ছেলের মা সুমি বিবি বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় কথা বলে মানসিকভাবে অত্যাচার করেন, অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের। মৃতার পরিবারের দাবি, সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কিশোরী বিউটি খাতুন।
গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার (Recovery) ঘিরে চাঞ্চল্য। গৃহবধূকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট (Howrah) থানার অন্তর্গত ওলাবিবিতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম সঞ্চিতা দে (২৪)। গত বছর এপ্রিলে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বেশ হাসিখুশিতেই থাকতো সঞ্চিতা। পরিবারের অভিযোগ, সঞ্চিতাকে খুন করা হয়েছে। মৃতার মায়ের অনুমান, 'বেশ কয়েক মাস ধরেই শারিরীক অত্যাচার শুরু হয়েছিল। যার ফলে দিনের পর দিন রোগা হয়ে পড়ছিল তাঁর মেয়ে। তবে মেয়ে একটু চাপা স্বভাবের হওয়ায় কোনও কথা জানায়নি।' মৃতার মায়ের দাবি, বুধবার রাতেই মেয়ের মঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। তখনও পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল সব। তারপরেই সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান।
এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার গিরে চাঞ্চল্য। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কল্যানী (Nadia) থানার অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চর যাত্রাশিদ্ধি এলাকায়। পুলিস (Police) এসে তড়িঘড়ি দেহটি উদ্ধার করে কল্যানীর জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপরে ওই দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম মিঠুন মাহাতো (২৬)।
তবে এই ঘটনায় মৃতের দিদির অভিযোগ, মিঠুনের স্ত্রী চুমকি মাহাতোই গলাটিপে মেরে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এমনকি মিঠুনেন স্ত্রীর একটি বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। যার ফলে প্রায় দিনই অশান্তি লেগে থাকতো বাড়িতে, এমনটাই অভিযোগ। তিনি আরও জানান, ১ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ভাই মিঠুন মাহাতোর সঙ্গে চুমকি মাহাতোর। চুমকি মাহাতোর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। এমনকি আগের পক্ষের একটি কন্যা সন্তানও আছে। সেই মেয়েকে মেনে নিয়েই বিয়ে করেছিল মিঠুন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই চুমকি অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। যার জেরেই মিঠুনকে গলা টিপে খুন করেছে চুমকি, এমনটাই দাবি করছেন মৃতের দিদি।
স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে পলাতক ছিল স্বামী। তবে শুক্রবার সকালে সেই অভিযুক্তরই ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়া (North Dinajpur) থানার ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনসিমগছ এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় চোপড়া (Chopra) থানার দাসপাডা় ফাঁড়ির পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সপিতউদ্দীন। তিনি চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর ঘুমন্ত স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। তারপরেই শুক্রবার সকালে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে মাঠের একটি গাছে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। তারপরেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিস।
পাঁচ বছরের প্রেমের পরিণতি মৃত্যু! বাড়ি থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার (Recovery) ঘিরে চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিণঘাটা (Nadia) থানার অন্তর্গত মোল্লা বেলিয়া গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে হরিণঘাটা থানার পুলিস (Haringhata Police) ঘটনাস্থলে পৌছঁয়। দেহটি উদ্ধার করে পুলিস হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে পাঠানো হল কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম রূপালি দাস (২৩)।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই রূপালির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবকের নাম বাপি দাস, হরিণঘাটা এলাকারই বাসিন্দা। সম্প্রতি ওই যুবকের অন্য এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। আর সেই খবর রূপালি জানতে পেরেই বাপিকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠান। ওই যুবক দেখা করতেও আসেন। কিন্তু দু'জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। এমনকি রূপালির থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেন ওই যুবক বলে অভিযোগ।
মৃতের পরিবারের দাবি, ওই মোবাইলে ফোনেই বাপি ও রূপালির সম্পর্কের অনেক প্রমাণ ছিল। আর সেই প্রমাণ লোপাট করার উদ্দেশ্যেই বাপি রূপালির ফোনটি কেড়ে নেন। আর এই কারণেই রূপালি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে রূপালির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে রূপালির মা ও বাবা জরুরী কাজে হরিণঘাটা মোল্লাবালিয়া পঞ্চায়েতে যান। সেই ফাঁকেই রূপালি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। কাজ সেরে এদিন সন্ধ্যের সময় রূপালির বাবা-মা বাড়ি ফিরে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তারপরেই খবর দেওয়া হয় হরিণঘাটা থানায়। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত ওই যুবকেক কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হোক প্রশাসনের তরফে।
দশম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল ঘর থেকে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের করঞ্ছতলা গ্রামে। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে আসে হাড়োয়া থানার পুলিস (Haroa Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই চিকিৎসকেরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রীর নাম অরুনিমা বেরা (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে ১৬ বছরের অরুনিমা বেরা। বাবা মায়ের সঙ্গে কোনওদিন কোনও অশান্তি ছিল না। এমনকি কোনও প্রেমঘটিত ব্যাপারও ছিল না অরুনিমার, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তবে হঠাত্ এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার স্থানীয়রাও।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আত্মঘাতী (Suicide) একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের সদস্যরা ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে কুলতুলি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে কুলতুলি ব্লকের (South 24 Parganas) সানকিজাহানে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা চলাকালীনই আত্মঘাতী হয় ওই ছাত্রী। মৃতের নাম সাবিরা মোল্লা (১৬)। মাস ছয়েক আগে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয় গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মামুদুল মোল্লার সঙ্গে। মামুদুল মোল্লা পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক। কাজের সূত্রে তিনি কেরলে থাকেন। সাবিরা একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাও দিচ্ছিল তার শ্বশুর বাড়ি থেকে। আর তার মধ্যেই এমন ঘটনা।
ছাত্রীর বাবা জানান, একাদশ শ্রেণীতে পড়তে পড়তেই সাবিরার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তারপর শ্বশুর বাড়ি থেকে ক্লাসের দুটো পরীক্ষাও দিয়েছে সে। হঠাৎ করে কেন এমন ঘটনা ঘটাল বুঝতে পারছেননা।
প্রতিবেশী মহম্মদ রফিকুল হাসান মণ্ডল বলেন, রোজা রাখেছিল সাবিরা৷ রোজা ভাঙার পর পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমোতে যায়৷ প্রতিদিনের মত নিজের ঘরে একাই ঘুমাতে যায় সাবিরা৷ সকালবেলা ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোক ডাকাডাকি শুরু করে৷ ঘরেরে ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা। ঘরে ঢুকেই তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান৷
রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক থিম শিল্পীর। বাগুইআটিতে (Baguihati) দাদার বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইহাটি থানার জগৎপুর আদর্শপল্লিতে। পুলিস (Police) জানিয়েছে, মৃত ওই শিল্পীর নাম বন্দন রাহা। বাগুইআটি থানার পুলিস জানিয়েছে, শিল্পীকে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধারের পর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
পুলিস সূত্রে খবর, বাগুইআটি আদর্শপল্লিতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন থিম শিল্পী বন্দন রাহার দাদা। কিছুদিন আগে অসুস্থ অবস্থায় বন্দনবাবু দাদার বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ সেই বাড়িতে একাই ছিলেন শিল্পী বন্দন রাহা। দাদা সপরিবার বাইরে ছিলেন সেই সময়। পরে দাদা ফিরে এসে দেখেন ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। ভাইকে ডাকলেও ঘরের ভিতর থেকে কোনও উত্তর দিচ্ছিলেন না বন্দন বাবু। সেই সময় স্থানীয়দের ডেকে, ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফ্যান থেকে ঝুলছেন শিল্পীর দেহ। ঘটনাস্থলে পুলিস এসে দেহটিকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিসের তরফে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত বন্দন বাবুর কয়েকবছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান বিবাহ বিচ্ছেদের অবসাদ এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই ঘটনা ঘটাতে পারেন এই ব্যক্তি। তবে আদতে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, সেই বিষয় তদন্ত করে দেখছে বাগুইআটি থানার পুলিস।
এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Hanging Body) ঘিরে চাঞ্চল্য। হাওড়ার (Howrah) চ্যাটার্জীহাট থানা এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে চ্যাটার্জি থানার পুলিস (Chatterjeehat Police) এসে দেহটি উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, ৬০ বছর বয়সি ওই মৃত বৃদ্ধের নাম নির্মল দত্ত। হাওড়া চ্যাটার্জী থানার অন্তর্গত চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালবেলা প্রতিবেশীরা ওই বৃদ্ধকে বাড়ির বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। গত তিন মাস আগে বৃদ্ধের স্ত্রী মারা যান। বৃদ্ধের কোনও সন্তানও ছিল না। তাই স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এই বৃদ্ধ। বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। তবে মাঝেমধ্যে তাঁর এক আত্মীয় এসে খোঁজ খবর নিতেন। প্রতিবেশীরা আরও জানান, পাড়ায় সু-সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন নির্মলবাবু। কোনও দিন কারোর সঙ্গে বিবাদও ছিল না তাঁর।
তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চ্যাটার্জীহাট থানার পুলিস। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজ বাজার থানার (English Bazar Police) পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) জেলার ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত ৩২০ কোঠাবাড়ি এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম ঝুমা হালদার (৩৬)। কোঠাবাড়ি এলাকারই বাসিন্দা তিনি। একটি চায়ের দোকান চালাতেন ঝুমা। পরিবারে স্বামী বিপুল হালদার, এক ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে থাকতেন ঝুমা। পরিবার সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার রাতে খাওয়া-দাওয়া করে ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সারারাত পরিবারের সদস্যরা চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেন ঝুমাকে। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ঝুমার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রাই ঝুমার পরিবার এবং পুলিসকে খবর দেন। স্থানীয়দের দাবি, আর্থিক অনটন ছিল পরিবারে। কিন্তু সেরকম কোনও পারিবারিক অশান্তি হত না।
তবে কী কারণে এই ঘটনা, তার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজি বাজার থানার পুলিস।