দিন যতই এগোচ্ছে, ততই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কড়া তদন্তে শাহজাহানের সম্পত্তির বহর একটু একটু করে ধসে পড়ছে। বৃহস্পতিবার জানা যায়, ইডির নজর এবার শেখ শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর। কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে শেখ সাবিনার ফিশারির নাম উঠে এসেছে, যার মালিকও শাহজাহানই। শেখ সাবিনা নামাঙ্কিত শাহজাহানের সেই ফিশারির অ্যাকাউন্ট এবং শাহজাহানের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবার ফ্রিজ করল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ওই দুই অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় ১০ বছরে ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
শুধু তাই না, জানা যাচ্ছে, ইডির নজরে এখনও ১৬-১৭ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কারণ, বেতাজ বাদশা এতদিন শুধু নিজের বা নিজের কোম্পানির অ্যাকাউন্ট নয়, নিয়ন্ত্রণ করতেন তাঁর অনুগামীদের অ্যাকাউন্টও। সেখান থেকেও শেখ শাহজাহানের কোম্পানিতে টাকা লেনদেন হত বলে জানতে পেরেছে ইডি। সেই ক্ষেত্রে, সেসব অ্যাকাউন্ট-র লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে চিঠিও পৌঁছেছে ইডির তরফে। বেআইনিভাবে সাধারণের জমি কেড়ে, মুখের অন্ন কেড়ে যেভাবে তিলে তিলে কালো টাকায় শাহজাহান রাজত্ব তৈরি করেছিলেন, এভাবে তার অবসান হওয়ারই ছিল, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
ইডি হেফাজতে পাওয়ার পরে, একদিকে ইডির ওপর হামলার মামলায় সিবিআই, অপরদিকে জমি দখল মামলায় ইডির সাঁড়াশি চাপ পড়েছে শাহজাহানের ওপর। ইতিমধ্যেই ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ছাপিয়ে গিয়েছে শাহজাহানের। বুধবার সকালবেলা স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য শাহজাহানকে আনা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, সবটাই নাকি রাজনৈতিক চক্রান্ত।
আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শাহজাহানের ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্স। সেখানেই জমি দখল মামলার তদন্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই মামলায় প্রায় ৩১ কোটি ২০ লক্ষ দুর্নীতির টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু জমি দখল মামলাতেই এখনও অবধি প্রায় ১৩৭ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে ইডির কাছে। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, কম করে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করেছে শেখ শাহজাহান।
ইডির কাছে শাহজাহানকে নিয়ে, শাহজাহানের জমি দখল মামলা নিয়ে যখন এমন তথ্য প্রমাণ আসছে, তখন সবটাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাগিয়ে দেওয়ার চাল যে নিজেকে বাঁচানোর জন্যই, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু তা বললে আর শুনছেই বা কে!
ইতিমধ্যেই শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করেছে ইডি। অন্যদিকে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় হাত গুটিয়ে বসে নেই সিবিআই। একদিকে যখন আর্থিক দুর্নীতি, মাদক যোগ, জমি কেলেঙ্কারি, কিংবা মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাহজাহানের ঠিক তখনই ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় সিবিআইয়ের সক্রিয়তা ঘুম, উড়েছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার। সিবিআই সূত্রের খবর, ইডির ওপরে হামলার ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সিবিআই এর পক্ষ থেকে ফের সমন করা হলো একাধিক ব্যক্তিকে। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক নতুন নাম খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। এবার সেই সমস্ত ব্যক্তিকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সাবাই আধিকারিকেরা। ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সমন করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্র মারফত খবর।
ওদিকে গ্রেফতারির পর ইডির কাছে নত স্বীকার করল শেখ শাহজাহান। সূত্রের খবর, গত পাঁচই জানুয়ারিতে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। ইডিকে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ করেই ইডির তল্লাশিতে ভয় পেয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারের ভয় পেয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। সেক্ষেত্রে তিনি তার অনুগামীদের ফোন করে তাদের সাহায্য নেন।
ইতিমধ্যে জমি দখল মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত তার ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্স। ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন কম করে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করেছে শেখ শাহজাহান। শুধুমাত্র জমি দখল নয় একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শাহজাহান। মাত্র কয়েক বছরে বিপুল পরিমান সম্পত্তির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। সূত্রের খবর, ইডির জেরায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিষয় স্বীকারোক্তি করলেও সম্পত্তির উৎস কোথায় জানতে চাইলে মুখে কুলুপ শেখ শাহজাহানের।
সন্দেশখালির কুখ্যাত বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগসূত্র ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইডি হামলার পর থেকে শাহজাহানের নামে উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ। আর্থিক তছরুপ থেকে দাদাগিরি। গান পয়েন্টে রেখে গ্রামের মহিলাদের সম্মানহানি থেকে মাছের ভেড়িও দখল গান পয়েন্টে রেখে। এবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসা, যা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী অবশ্য এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকেই একহাত নিলেন। জানালেন পশ্চিমবঙ্গ অবৈধ কারবারের জায়গা। শুনে কী হবে আমাদের? কুছ করকে দিখাও ইডি ভাই!
ইডি সূত্রে খবর আফগানিস্তান থেকে, পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচি হয়ে তারপর মধ্য প্রাচ্য দুবাই হয়ে মাদক এসে পৌঁছত ভারতের পশ্চিম প্রান্ত গুজরাটে। সেখান থেকে সেই মাদক এসে পৌঁছত কলকাতা বন্দরে। এখানেই শেষ নয়, ২০২২ সালে আটক হয় প্রায় ৪০কেজি হেরোইন। নাম জড়ায় শাহজাহানের ডান হাত যিনি তাঁর মাদক ডিভিশনের দায়িত্বে ছিলেন সেই শরিফুল মোল্লার। শাহজাহান ও শিবু হাজরার ভেড়ির যৌথ দায়িত্বও পালন করতেন এই শরিফুল মোল্লাই। ঘটনায় গ্রেফতার হয় শরিফুলের ভাইও। এই অভিযোগকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, মাদক ধরা পড়ার পর থেকে শরিফুলের আজও কোনও হদিশ নেই।
বিরোধীদের অভিযোগ, মাদক ধরা পড়ার পর, শেখ শাহজাহানকে দেখা যায় রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর বাড়িতে। এক নয়, একাধিকবার আর তাই এবার শাহজাহান, শরিফুল ছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্তাহ ইডির নজরে ওই প্রভাবশালী মন্ত্রীও। আর সন্দেশখালির বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা শাহজাহানের এই মাদক ব্যবসা থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর নাম জড়ানো, সব মিলিয়ে সরগরম বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।
সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শাহাজাহানের সাম্রাজ্যের পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য। ইডির তদন্তে ক্রমশ খুলছে সেই দুর্নীতি রহস্যের জট। তদন্তে উঠে এসেছে মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশারির মালিক ধৃত শাহজাহান। যে ফিশারির অ্যাকাউন্টে ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এই ১০ বছরে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার কারবার বহাল তবিয়তে করেছে শাহজাহান। আর কালো টাকা সাদা হত ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির মাধ্যমে। আপাতত ওই এক্সপোর্ট কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অরূপ কুমার সোম ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির মালিক। আর পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত ও অরুণ সেনগুপ্ত কোম্পানির পার্টনার। যাদের বয়ানের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল।তদন্তের স্বার্থে তাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ডিজিটাল ডিভাইস সিজও করেছে ইডি।
চাপে পড়তেই ফিশারির ম্যানেজার মইদুলের দাবি, এলাকায় শাহজাহানের দাদাগিরিতেই চলত ব্যবসা।স্থানীয় ব্যবসায়ীদের রীতিমতো শাসাতো শাহজাহান। তাদের কোম্পানিতে মাছ বিক্রি করতে হবে অন্যথায় ব্যবসায়ীদের মাছ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিত সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহান। ইডি সূত্রে খবর ৫০% মাছই মাছ ব্যবসায়ীদের থেকে আসত। আর ৩০% থেকে ৪০% মাছ বেআইনি ভাবে গ্রামবাসীদের থেকে ছিনিয়ে নিত শাহজাহানের বাহিনী। গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিশেষ দলও গঠন করেছিল শাহজাহান।
শুধু তাই নয়, তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে শাহজাহানের এই কীর্তিকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে একাধিক ব্যক্তির নামও। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে ফিশারির টাকা লেনদেন হত বলে দাবি ইডির। আদালতে ইডির গোয়েন্দাদের জমা দেওয়া তথ্য বলছে, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ১০ জনের মাধ্যমে ফিশারি কোম্পানিতে টাকা লেনদেন হত। টাকা লেনদেনে কাজে লাগানো হত হাজরা এন্টারপ্রাইস, বসুন্ধরা ট্রেড, রিন্টু এন্টারপ্রাইজসহ একাধিক কোম্পানিকেও।এমনকি শাহজাহানঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতেন শাহাজাহান নিজেই। ফিশারির টাকা তার অঙ্গুলিহেলনেই ব্যবহৃত বিভিন্ন খাতে।তার নির্দেশেই সেই টাকায় কেনা হত জমি, সম্পত্তি।
একাধিক অসাধু কারবারের আখড়া শাহজাহানের সাম্রাজ্য তা বলাই বাহুল্য। ইডির তৎপরতায় এখন সেই তথ্যই ক্রমশ আসছে প্রকাশ্যে। ইডির হেফাজতে এদিকে চলছে শাহজাহানের জিজ্ঞাসাবাদপর্বও। আগামীদিনে শাহজাহানের বয়ানে আদৌ নতুন কোনও তথ্য উঠে আসবে নাকি সুকৌশলে প্রশ্ন এড়িয়ে জারিজুরি লোকাবে সে? লোকসভা নির্বাচনের গুরুগম্ভীর আবহে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নটাই।
বসিরহাট মহকুমা আদালতের নির্দেশে শেষ কয়েকদিন জেল হেফাজতে ছিলেন শাহজাহান। যদিও শনিবার শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করে ইডি। সেই সংক্রান্ত মামলা ইডি বিশেষ আদালতে হয় সোমবারে। শুনানির শেষে জেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সোমবার বিকেল ৪টেয় শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।
বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, গত ৩০ মার্চ বসিরহাটে শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করছিল ইডি। সেদিন জেরা করার সময় বারবার তদন্তকারীদের তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলেও বিচারকের কাছে জানান ইডির আইনজীবী। জানান, তদন্তে এখন আরও কিছু নাম উঠে এসেছে। এখন শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা না করা হলে, সন্দেহভাজনরা নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন বা পালিয়ে যেতে পারেন। তাই আর দেরি নয়, সোমবারেই শাহজাহানকে হেফাজতে চায় ইডি। যদিও, সোমবার তড়িঘড়ি কীভাবে তা সম্ভব জানতে চেয়ে বিচারক প্রশ্ন করলে, ইডির আইনজীবী জানান, রাস্তা মাত্র ২ ঘণ্টার। এরপরেই বন্দি শাহজাহানকে বসিরহাট থেকে আদালতে হাজির করানোর জন্য রওনা দেন ইডির আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রে খবর ছিলই, জমি দখল, ভেরি দখল এবং মাছের আমদানি-রপ্তানিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বেতাজ বাদশার 'অত্যাচার রহস্য' কতটা উদ্ঘাটিত হয়, সেটাই দেখার।
ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে বসিরহাট জেলে শেখ শাহজাহানকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ বসিরহাট মহকুমা আদালতে পৌঁছন ৫ সদস্যের ইডির একটি প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিলেন ইডি ও সিবিআই-এর একজন করে আইনজীবি। ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় ধৃত শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জমির হদিশ মেলে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩১ কোটি টাকা। এই ৩১ কোটি টাকার মধ্যে ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইডির তরফে। এ বিষয়ে বসিরহাট জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানকে, খবর ইডি সূত্রে। শনিবার আদালতের নির্দেশ মিলতেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, ল্যাপটপ এবং প্রিন্টার সহ জেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রবেশ করেন ইডির ৩ আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ন্যাজাট থানার ৮ নম্বর মামলায় শেখ শাহজাহান, মেহেবুব মোল্লা এবং সুকমল সর্দারকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অপরদিকে, ন্যাজাট থানার ৯ নম্বর মামলায় আইজুল শেখ, এনামুল শেখ, হাজিনুর শেখ, সঞ্জয় মণ্ডল, আলি হোসেন ঘরামি, ফারুক আকুঞ্জি এবং সিরাজুল মোল্লাকে ২ এপ্রিল অর্থাৎ ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালত।
বসিরহাট জেলে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার আরও ৩। গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ছাড়াও মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা। ইডির উপরে হামলার ঘটনায় এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেইমত নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হয় শেখ আলমগীর। গত বৃহস্পতিবার তাকে তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যায় আলমগীর।
তারপর ফের শনিবার তাকে তলব করে সিবিআই। আর তার সঙ্গেই তলব করা হয় সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাফুজার মোল্লা ও অপর তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে। টানা ৯ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। আর তারপরই গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর। ইডির ওপর হামলার ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শেখ আলমগীর। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শেখ আলমগীরকে গ্রেফতার করে সিবিআই।পাশাপাশি গ্রেফতার অপর ২ তৃণমূল নেতা মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা।
আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার সন্দেশখালি গিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে তলবের নোটিস দিয়ে এসেছেন। শাহজাহানের ভাই আলমগীরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তের জন্য শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু শাহজাহানের অনুগামীদের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। মারধর করার অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে শাহজাহান নিখোঁজ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুলিস গ্রেফতার করে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১৪ মার্চ শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবার সিবিআইয়ের জালে তার ভাই আলমগীরও।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
সন্দেশখালিতে রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে শাহজাহান অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। গত ৫ জানুয়ারির ওই ঘটনার মূল চক্রী শেখ শাহজাহান ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। হামলার ওই ঘটনায় কারা কারা যুক্ত ছিল, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সম্প্রতি ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই আবহে শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর সহ ১০ জনকে তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বৃহস্পতিবারই নিজাম প্যালেসে তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে হাজির হন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ২ ব্যক্তি।
সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার রহস্যভেদে ততপর সিবিআই। আগামী দিনে তদন্তে কোনও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
ফের শাহজাহান মামলায় তৎপর ইডি। এক্সপোর্ট কোম্পানির মাধ্যমে যেভাবে মাছের ব্য়বসায় আমদানি রপ্তানি করা হত, এবার সেই মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি আধিকারিকরা। ইডির সঙ্গে রয়েছে সিআরপিএফ এবং বিএসএফ জওয়ান। বৃহস্পতিবার ইডি হানার আগেই সিআরপিএফ এবং বিএসএফ জওয়ান দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে সন্দেশখালি। এরপর মাছ ব্য়বসায়ী শেখ নজরুল মোল্লা এবং আইনুর মোল্লার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছয় ইডি।
এদিন মাছ ব্যবসায়ী ছাড়াও ইটভাটার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বিল্ডার্সের ব্য়বসাও রয়েছে আইনুর মোল্লার। তারপর নজরুল মোল্লার বাড়িতে পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি ইডির দল পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। সেখানে তাঁর পুত্র হারুন আল রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এরা সকলেই শেখ শাহজাহানের আত্মীয়দের বাড়িতেও গিয়ে পৌঁছয় ইডি।
সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইডি যাতে তাঁকে গ্রেফতার করতে না পারে, সেজন্য আগাম জামিনের আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন। সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷
রাজ্য পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ মতো এখন শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে। ইডিও মামলা করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইডি যেন তাঁকে গ্রেফতার না করে। সেই কারণেই আগাম জামিনের আবেদন জানান শেখ শাহজাহান।
ইডি কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেছে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায়। হেফাজতে থাকা এক অভিযুক্তের সূত্রে তারা শেখ শাহজাহানের নাম জানতে পেরেছে। তার নিজের হাতে লেখা চিঠি থেকে শেখ শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। সওয়ালে দাবি করেছে ইডি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাদের মারধর করা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। পরে আবার তল্লাশি চালাবার আগেই সব সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এমনই আদালতে দাবি করেছে ইডি।
এখন চার দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। চলতি সপ্তাহতেই ফের তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হবে। এদিকে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকেও সিবিআই গ্রেফতার করেছে। গতকাল, সোমবার সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল। তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির উপর হামলার ঘটনায় এবার তিনজনকে তলব করল সিবিআই। তারমধ্য়ে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সরবেড়িয়া আগারহাটি অঞ্চলের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে তলব করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্য়ে নিজাম প্য়ালাসে যান জিয়াউদ্দিন।
সূত্রের খবর, আর বাকি দুই জন হলেন, দুরন্ত মোল্লা এবং শফিকুল রহমান। এর আগে এই দুই শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও সিবিআই হানা দিয়েছিল। তারপরে সোমবার তাঁদের তলব করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে। ঘটনার তদন্তে নেমে শাহজাহান শেখের কললিস্টে জিয়াউদ্দিন মোল্লার নাম দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে তলব সিবিআই এর। জানা গিয়েছে, শাহজাহানের ডান হাত হিসেবে এলাকায় পরিচিত এই জিয়াউদ্দিন মোল্লা।
শেখ শাহজাহানকে রবিবার বসিরহাট আদালতে পেশ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সকাল ৮.৩০ টায় নিজাম প্যালেস থেকে বের করে বসিরহাট আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।
২৮ ফেব্রুয়ারি বসিরহাট জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করার পর ২৯ তারিখ তাকে পেশ করা হয় আদালতে। আদালতের পক্ষ থেকে দশ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। হাইকোর্টের নির্দেশেই শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। শাহজাহানের ঠিকানা হয় নিজাম প্যালেস। সিবিআই হেফাজতে এই ৫ দিন শাহজাহানকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বসিরহাট মহকুমা আদালতে শাহজাহানকে পেশের পর বাকি চার দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই।
আদালতে সিবিআই জানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে এখনও অনেক তথ্য নতুন করে পাওয়ার আছে তাই আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে আরও জানান তদন্তে অসহযোগিতা করছেন শেখ শাহজাহান। তাই তদন্তকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।
শেখ শাহজাহান সিবিআইয়ের হেফাজতে এলেও এখনও উধাও মোবাইল ফোন।তাই শেখ শাহজাহানের ফোনের খোঁজে সিবিআই। পুলিস জানিয়েছে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারের সময় তার ফোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।কিন্তু সিবিআই দাবি করেছে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন। এমনকি সিবিআই যখন পরবর্তীতে শাহজাহানের আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় তখনও তারা শাহজাহানের দুটি ফোনের কোনও হদিশ পায়নি বলেই দাবি করেছে সিবিআই। বসিরহাট আদালতে প্রবেশের সময় সাংবাদিকরা একাধিকবার শাহজাহানকে প্রশ্ন করেন আপনার মোবাইল ফোন দুটি কোথায়? নিরুত্তর থাকেন শাহজাহান।
অন্যদিকে এদিন শেখ শাহজাহানের তরফে জামিনের আবেদন করা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। ইডির উপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন শাহজাহান বলে আদালতকে জানান শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। মূলত ইডির ওপর হামলার ঘটনায় যে মামলা সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলাতেই এদিন বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয় শাহজাহানকে।
ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যাজাট থানায় ২ টি এফআইআর করা হয়। একটি এফআইআর নম্বর ৯ ইডির ওপর হামলার ঘটনায়, অপরটি ৮ যা রাজ্য পুলিস সুয়ো মোটো করেছে।এদিন শুনানি শেষে ৪দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। আগামী ১৪ তারিখ ফের শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
শেখ শাহজাহান মামলায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। গত পাঁচ তারিখ ইডির ওপর হামলার ঘটনার সময় শাহজাহানের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল যাঁর, তিনি হলেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। সিএন এর ক্যামেরার সামনে তিনি শাহজাহানের সঙ্গে কোথপোথনের কথা স্বীকার করে নেন।
এরপর সুকুমার মাহাতো বলেন, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে অশান্তির খবর সংবাদমাধ্যমে দেখার পরেই, 'আমি নিজে শাহজাহানকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। শাহজাহান তখন জানান, তিনি তখন বাড়িতে ছিলেন না। কারা এই হামলা করছে জানেন না। খুব বেশি হলে কুড়ি থেকে ত্রিশ সেকেন্ড কথা হয়েছিল। তারপর আবারও আমি ফোন করি শাজাহানকে। কিন্তু দ্বিতীয়বার তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। ফোন সুইচ অফ বলছিল। এই ফোন কল ধরে যদি সিবিআই আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, অবশ্যই আমি সহযোগিতা করব।'