
অক্টোবর মাসে বিপর্যয়ের পর থেকে বন্ধই ছিল উত্তর সিকিম। এবার পর্যটকদের জন্য সুখবর। প্রায় দেড়মাস পর ফের খুলে যাচ্ছে উত্তর সিকিমের একাংশ। বুধবার সিকিম পর্যটন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে লাচুং-এ যেতে পারবেন পর্যটকরা। তবে, লাচেন ও গুরুদংমার এখনও বেশ কয়েকদিন বন্ধ রাখা হবে। বহু রাস্তা এখনও সারানো হয়নি বলে খবর।
তবে, উত্তর সিকিমে ভ্রমণে থাকছে বেশ কিছু কড়াকড়ি। যেমন, উত্তর সিকিমে যেতে হলে সংকলন-টং-চুংথাং সড়ক ধরেই যেতে হবে পর্যটকদের। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে বিকেল ৪টের পর থেকে। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ রাস্তা এখনও সারানো হয়নি। দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন সেনারা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা।
তবে, পর্যটন দফতরের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে যে, পর্যটকরা যেন একটু হাতে সময় নিয়ে উত্তর সিকিমে আসেন। এখনও হড়পা বানের ক্ষত থেকে সেরে উঠতে পারেনি উত্তর সিকিম।
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। আজ অর্থাৎ আবগারি মামলায় মণীশকে জামিন দিল না দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, টাকা লেনদেন প্রায় প্রমাণিত। অর্থাৎ আপ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপাতত প্রমাণ করা গিয়েছে। ফলে মণীশের জামিনে 'না' সুপ্রিম কোর্টের। আরও জানানো হয়েছে, সময়ে তদন্ত শেষ না হলে আবার জামিনের আবেদন করতে পারবেন আপ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আবগারি কেলেঙ্কারি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। এর পর আজ অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালত জানায়, দিল্লিতে ৩৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার যোগ আংশিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর এই কারণ দেখিয়েই খারিজ করা হয়েছে আপ নেতার জামিনের আবেদন। তবে দিল্লির আবগারি মামলার তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিসোদিয়া আবার জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিএসএফ এর গুলিতে মৃত্যু হল এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। বুধবার নদিয়ার ভীমপুর থানার অন্তর্গত রাঙিয়া পোতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও মৃতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বিএসএফ মৃতদেহটি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূত্রের খবর, বুধবার মাঝরাতে একদল বাংলাদেশি ভারতের ভীমপুর থানার রানিয়াপোতা বি ও পি অধীনস্থ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তখন ওই এলাকায় কর্মরত এক বিএসএফ কর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালাতে যায়। এরপর ওই বিএসএফ কর্মী গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সময় পালাতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে জখম হয় একজন।
এরপর আরও বিএসএফ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই এলাকার তল্লাশি চালায়। তখন সেই সময় একটি ঝোপের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে বিএসএফ কর্মীরা এবং তল্লাশি চালাতের উদ্ধার হয় এক বস্তা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। তারপর মৃতদেহ পুলিসমর্গে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে ভীমপুর থানায় সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারী হিসেবে একটি মামলা রজু করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় কী এবং নিষিদ্ধ সিরাপ পাচারচক্রে আর কারা কারা ছিল সমস্তটা জানার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা পুলিস।
বাংলাদেশী তথা টলিউড অভিনয় জগতে জনপ্রিয় মুখ জয়া এহসান (Jaya Ahsan)। চারিদিকে তাঁর প্রবল জনপ্রিয়তা। উইকিপিডিয়া বলছে, জয়ার বয়স ৪০। কিন্তু ভক্তরা তা মানতে নারাজ। কিভাবেই বা মানবেন! সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিগুলি আপলোড করে থাকেন জয়া, তা দেখে অভিনেত্রীকে বড় জোর ৩০ বলা যায়। তবে আবার কিছু ছবি আপলোড করে ভক্তদের মনে আরও সংশয় বাড়ালেন।
শুক্রবার, সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন জয়া। কোনও এক পুরোনো বাড়ির, পলেস্তারা খসে যাওয়া দেওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে পোজ দিয়েছেন তিনি। পরণে সাদা টপ এবং সবুজ স্কার্ট। বেশ কিছু পোজে ছবি দিয়েছেন। সেসব ছবি দেখে তাঁকে ১৬-এর বেশি মনেই হচ্ছে না। কমেন্ট সেকশনে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তাঁর ভক্তরা।
বাংলাদেশেই জন্ম জয়া এহসানের। সেখানেই অভিনয় জগতে তাঁর হাতেখড়ি। এরপর পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলির হাত ধরে টলিউড সিনেমাজগতে ডেবিউ করেছিলেন। প্রথম সিনেমাতেই জয়াকে কাছের করে নিয়েছিলেন কলকাতার ভক্তরা। এতটাই কাছের, যে ইদানিং জয়াকে কলকাতাতেই বেশি দেখা যায়। চলতি বছর মুক্তি পেতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায়, জয়া এহসান অভিনীত ছবি, 'দশম অবতার'।
সৌমেন সুর: আমাদের জীবনে এমন কতকগুলো দিন আসে যেগুলো নতুন ভাবে আমাদের উজ্জীবিত করে। অনুপ্রাণিত করে। সেদিন মনে হয় আমাদের অন্তরের শুদ্ধিকরণ হল। জাগরণ হল শ্রদ্ধাবোধের। মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রতি সেদিন আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন। ৫ই সেপ্টেম্বর এমনই একটা মহান দিন। মহান সাধক ও মহান শিক্ষক সর্বোপরি ড. রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিবস উপলক্ষে ৫ই সেপ্টেম্বর 'শিক্ষক দিবস' রূপে দেশ ও জাতির কাছে চিহ্নিত হয়। শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড। তারা সমাজের প্রণম্য। একমাত্র তারাই শিক্ষার্থীর মনের অন্ধকার দূর করে জ্বালিয়ে দেন জ্ঞানের প্রদীপ। শিক্ষকরাই দেশ ও জাতির অগ্রগতির উৎস। সমস্ত বিভাগীয় শিক্ষকদের কাছে ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখটি উজ্জ্বলতার অনন্য নির্যাস।
১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন অনন্য প্রতি ভাই প্রদীপ্ত সাধক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। ১৯০৫ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে এম. এ। এরপর মাদ্রাজের প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা শুরু। তারপর মহীশূর কলেজে অধ্যাপনা। এই মহিশুর এই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯১৮ সালে। সাক্ষাতের আগেই তার লেখা 'দ্য ফিলোজফি অব রবীন্দ্রনাথ টেগোর' গ্রন্থের প্রকাশ। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। টানা কুড়ি বছর এই বিভাগে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হন।
কথা হলো শিক্ষক হলেন দেশের অন্যতম প্রধান কর্ণধার। রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন একজন আদর্শনিষ্ঠ শিক্ষক, বিদ্যান, বাগ্মীও জ্ঞান তপস্বী। তার ওপর রাষ্ট্রপ্রধান। তাই ৫ই সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন উপলক্ষে 'শিক্ষক দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। এই পবিত্র দিনের শিক্ষকরাই যে জাতির মেরুদন্ড তা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। শিক্ষক শুধু শিক্ষাই দেন না। তিনি শিক্ষার্থীর কোমল মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করেন। চিত্তের প্রসার ঘটান। সাধারণ মানুষ শিক্ষক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাবান হোক। এটাই শিক্ষক দিবসের প্রাণের কথা। আবার এই দিনের শিক্ষক সমাজ তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করুক, এটাই শিক্ষক দিবসের মহৎ বার্তা।
প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত একসময় যে বাড়িতে মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন, এখন সেই বাড়িই অন্য এক বলিউড অভিনেত্রীর দখলে। 'দ্যা কেরালা স্টোরি' খ্যাত অভিনেত্রী আদাহ শর্মা (Adah Sharma) নাকি 'মন্ট ব্ল্যাঙ্ক'-এ সুশান্ত (Sushant Singh Rajput) ঠিক যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেই ফ্ল্যাটটিই কিনে নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই অভিনেত্রীকে দেখা যায়, সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে সরেজমিনে সবকিছু দেখে আসতে। এবার খবর, আইনি ভাবেই সেই ফ্ল্যাটের মালিকানা পেয়েছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি আদাহ।
প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সুশান্ত এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। দ্বিতল এই ফ্ল্যাটের জন্য প্রতি মাসে ৪.৫ লক্ষ টাকা করে ভাড়া দিতেন অভিনেতা। এই ফ্ল্যাটেই প্রেমিকা রিয়ার সঙ্গে একত্রযাপন করতেন। নিজের মতো সাজিয়ে নিয়েছিলেন বাড়িটি। অভিনেতার পছন্দের বই থেকে শুরু করে দূরের তারা দেখার টেলিস্কোপ, সব ছিল এই ফ্ল্যাটেই। অভিনেতা মারা যাওয়ার পর থেকে সেই ফ্ল্যাট ফাঁকা। যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা সুশান্তের স্মৃতিজড়িত এই বাড়ি এবার হয়তো নতুনভাবে সাজিয়ে তুলবেন আদাহ।
২০২০ সালের ১৪ জুন এই দ্বিতল ফ্ল্যাটেই উদ্ধার করা হয়েছিল অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে বেশ কিছু মাস জেলে থাকতে হয়েছিল পুলিশি জেরার জন্য। অন্যদিকে মাদক প্রসঙ্গ উঠে এলে, বলিউডের তাবড় অভিনেত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়. তবে এতগুলো বছর পরেও সুশান্তের মৃত্যুর কারণ উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।
অভিযুক্ত সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার দাবি করেছিলেন নুসরত জাহান। এবার, সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিং। রাকেশ জানিয়েছেন, নুসরত তাঁদের সংস্থা থেকে কোনও লোন নেয়নি। অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে নুসরত ফ্ল্যাট কিনেছেন। অভিনেত্রীর দাবি শুনে তিনি রীতিমত স্তম্ভিত।
রাকেশের আরও দাবি, নুসরত তাঁদের সংস্থায় যুক্ত হওয়ার আগেই পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়ে একটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে তাঁদের সংস্থার চুক্তিও হয়। পরে নুসরত তাঁদের সংস্থার ডিরেক্টর হন। এবং পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটি কিনে নেন।
রাকেশের দাবি, পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটির দাম ছিল ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। তাঁদের সংস্থার তরফে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়। নুসরত ওই সংস্থায় যোগ দেওয়ার পর বাকি ৫৮ লক্ষ দিয়ে নিজের নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। তারপর রাকেশের সংস্থাকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা শোধ করার জন্য অন্য একটি সংস্থা থেকে লোন নিয়ে নুসরত বাকি টাকা দিয়ে দেন।
নুসরত সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ‘‘যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাদের থেকেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার ঋণ নিয়েছিলাম। সেই টাকায় বাড়ি কিনেছি। ২০১৭ সালের ৬ মে সুদ-সহ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়েছি কোম্পানিকে। ব্যাঙ্কের নথিও আমার কাছে আছে।" দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত নন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন নুসরত। কিন্তু এই দাবি কার্যত অস্বীকার করায় এবার পাল্টা চাপে পড়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
ইংরেজিতে (English) কথা বলতে না পারায় স্কুলের ছাত্রীকে এমন শাস্তি দিলেন এক স্কুল শিক্ষক, যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। সূত্রের খবর, এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ক্লাসে ইংরেজিতে কথা বলতে না পারায় তাকে জুতোর মালা পরিয়ে 'শাস্তি' দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি মেঘালয়ের (Meghalaya) এক স্কুলের।
সূত্রের খবর, মেঘালয়ের এক স্কুলে ক্লাস চলাকালীন ইংরেজিতে কথা বলতে বলেন শিক্ষক। কিন্তু সেই ছাত্র ইংরেজিতে কথা বলতে পারেনি। আর এরপরেই শাস্তি দেন শিক্ষক। শাস্তি দিতে সেই ছাত্রের গলায় পরিয়ে দেয় জুতোর মালা। শুধু তাই নয়, সেই মালা পরিয়ে প্রথমে প্রধান শিক্ষকের ঘরে নিয়ে যান ও পরে পুরো স্কুল চত্বর ঘোরানো হয় তাকে। আর এমন 'ঘৃণ্য অপরাধ'-এর কথা ছাত্রের পরিবারের কানে যেতেই তাঁরা ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। এমনকি স্কুলের বাকি ছাত্রদের অভিভাবকরাও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ফলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের অভিভাবকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত 'নিন্দনীয়' ঘটনা ও 'বেআইনি'।
মেঘালয়ের শিক্ষামন্ত্রী রাক্কাম এ সাংমা পরে এই বিষয়ে জানতে পারলে তিনি জানান, ডেপুটি কমিশনার ও জেলা শিক্ষা দফতরের কাছে এর রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ সত্য হলে সেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদাহ শর্মা (Adah Sharma) নাম বলতেই মাথায় আসে, 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) সিনেমার কথা। আর এই ছবির টিজার শুরুর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক-সমালোচনা। তবে এই বিতর্ককে সঙ্গী করেই বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল এই ছবি। প্রায় ৩০০ কোটির মতো ব্যবসা করেছে ছবিটি। এই ছবিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আদাহ শর্মা। বহু বছর পর সিনেমার পর্দায় তাঁকে দেখা গেলেও তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। আর এই ছবির পর থেকে তাঁর ভক্তও হয় অগুনতি। কিন্তু এবারে আদাহ শর্মার জন্যই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আদাহ, কী হয়েছে তাঁর, কেমন আছেন তিনি, একাধিক প্রশ্ন তাঁর অনুরাগীদের মনে।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকেই আদাহর শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। গতকাল সকাল থেকেই তাঁর বমি শুরু হয়। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, ডায়রিয়ায় ভুগছেন তিনি, এর পাশাপাশি ফুড অ্যালার্জিও হয়েছে তাঁর। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত তাঁর আসন্ন ছবি 'কমান্ডো'-র প্রোমোশনের জন্য। সেই ছবির প্রোমোশনের মাঝেই হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় বলে খবর। আর এই কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে কীভাবে এই ফুড অ্যালার্জি, তার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বলিউডের (Bollywood) অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারা আলি খান (Sara Ali Khan), যিনি তাঁর অভিনয়ের জন্য প্রত্যেকের মন জিতে তো নিয়েছেনই, এর পাশাপাশি তাঁর স্বভাবের জন্য বেশ জনপ্রিয় তিনি। এই সারাকেই দেখা গিয়েছে, বরাবর শিবের আরাধনা করতে। ফলে এর থেকে মনে করাই যায়, মহাদেবের বড় ভক্ত তিনি। তাই এবারে তাঁকে দেখা গেল অমরনাথ যাত্রায়। কিছুদিন আগেই কেদারনাথ দর্শন করে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবারে অমরনাথে (Amarnath Yatra) গেলেন সারা। বর্ষা আসার পর থেকেই বিপর্যয় নেমে এসেছে অমরনাথের বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এই সব দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন অমরনাথে।
সারা আলি খান ও ভিকি কৌশলের ছবি 'জারা হটকে জারা বাঁচকে'-এর সাফল্যের পরই তাঁরা গিয়েছেিলেন উজ্জ্বয়িনীর মহাকাল মন্দিরে। এরপর সারাকে দেখা গেল অমরনাথে। তিনি কাশ্মীর ভ্রমণ করেই অমরনাথের পথে যাত্রা শুরু করেন। তিনি যাওয়ার ফলে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পোক্ত করা হয়েছে। সেই ভিডিওই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দেখা গিয়েছে, তুঁতে রংয়ের জ্যাকেট-প্যান্ট পরে অমরনাথ দর্শনে গিয়েছেন সারা। নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝেই হাতে লাঠি নিয়ে হেঁটে চলেছেন তিনি। তবে তারকা সুলভ তেমন কোনও জৌলুস দেখা যায়নি তারমধ্যে, যা দেখে বেজায় খুশি অনুরাগীরা।
নদীয়ায় ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে জ্ঞান হারালেন রানাঘাটের বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagananath Sarkar)। ভোট গণনা কেন্দ্রে পুলিসের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎই এমন ঘটনা ঘটে। তারপর তাঁকে তড়িঘড়ি ধরে ফেলেন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা। সাংসদকে কোলে তুলে দৌড়াতে দৌড়াতে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা।
সূত্রের খবর, নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ার বালিকা বিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমে হচ্ছিল ভোট গণনা প্রক্রিয়া। সেই ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে অভিযোগ আসছিল শাসক দল ভোট লুট করবে বলে সেখানকার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তবে তাঁকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারপরেই তিনি এই বিষয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত এবং এসডিপিও কোভিদ মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। কথা শেষে তিনি সাংবাদিকদের সক্ষাত্কার দেওয়ার সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এমনকি সাংবাদিক সাক্ষাৎকারের সময় তিনি বেশ উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিলেন ঠিক সময়ে ভোট গণনা শুরু না হওয়ায় জন্য। তিনি এই বিষয়ে বিডিও ও প্রশাসনকে অপদার্থ বলেও কটাক্ষ করেছেন। এমনকি তিনি চিৎকার করে বলেছেন, এই সমস্ত অপদার্থদের সাসপেণ্ড করা উচিত। তারপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ভারতবাসীদের জন্য সুখবর! ২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি (Indian Economy) হবে ভারত (India)। বর্তমানে ভারত অর্থনীতির দিক দিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আর কিছু বছরের মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। মার্কিন সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস-এর (Goldman Sachs) রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ভারত অর্থনীতির দিক থেকে খুব শীঘ্রই উন্নতি করবে।
মঙ্গলবার সকালের দিকে কুবেরা-র তরফে এক টুইট করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ভারত ২০৭৫ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, জার্মানি, জাপানকেও পিছনে ফেলে দেবে ভারত। এছাড়াও গোল্ডম্যান স্যাকস-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনীতি ৫২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে, অর্থাৎ চিনের পরই দ্বিতীয় স্থানে আসবে ভারত।
ভারত কেন দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে, তা নিয়েও জানিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের বিরাট জনসংখ্যা, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, বিশাল বিনিয়োগ, শ্রমিক পিছু উৎপাদন ক্ষমতার জন্যই ভারত ২০৭৫ সালের মধ্যে বাকি সমস্ত দেশগুলোকে ছাপিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসবে। গোল্ডম্যানের অর্থনীতিবিদ শান্তনু সেনগুপ্ত বলেন, 'বিশাল জনসংখ্যা, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, উৎপাদন ক্ষমতার জন্যই এই অনুকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।'
ভারী বর্ষণের (Heavy Rainfall) ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ (Himachal Pradesh) সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য। বন্যা, হড়পা বানে, ধসের ফলে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে হিমাচলপ্রদেশ। গত ৭২ ঘণ্টায় হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhvinder Singh Sukhu) রাজ্যবাসীদের ২৪ ঘণ্টা বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ভারী বর্ষণের ফলে পুরো উত্তর-পূর্ব ভারতই ভাসছে। তবে তার মধ্যে হিমাচল প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যত বৃষ্টি বাড়ছে, ততই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। একদিকে যেমন বন্যা, হড়পা বানে রাস্তাঘাট জলে ডুবে রয়েছে, ভেসে যাচ্ছে গাড়ি-বাস, অন্যদিকে ধসের ফলে ভেঙে চলেছে একের পর এক বাড়ি, রাস্তা। ফলে এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকার জন্যই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, 'এই ভয়বাহ পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ ঘণ্টা বাড়িতে থাকার অনুরোধ করছি।' তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন টুইটারে। তিনি ভিডিওতে আরও জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছেন। এছাড়াও তিনি তিনটি হেল্পলাইন নম্বরের কথা ঘোষণা করেছেন। রাজ্য সরকারের তরফে ১১০০, ১০৭০, ১০৭৭ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
বড়সড় ধাক্কা খেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। এবারে দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ অন্যদের ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী সীমা সিসোদিয়ার সম্পত্তিও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'মণীশ সিসোদিয়া-সহ দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তদের ৫২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।' গত ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তে নেমেই দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে একই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটিকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার হওয়ার পরে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্ট এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
এদিন ইডির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়া, তাঁর স্ত্রী সীমা সিসোদিয়া, আমনদীপ সিং ঢাল, রাজেশ জোশি, গৌতম মালহোত্রা-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে মণীশ ও তাঁর স্ত্রীর দুটি সম্পত্তি রয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। এই দুটি সম্পত্তি ছাড়াও ব্যাঙ্কে থাকা ১১ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
অবশেষে সমস্ত জল্পনার শেষে এনসিপি (NCP) ছেড়ে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি (ShivSena-BJP) জোট সরকারে যোগ দিলেন অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। আজ, রবিবার তিনি শপথও নিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী (Deputy CM) হিসাবে। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে শিন্ডে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন এনসিপির আরও আটজন বিধায়ক (MLA)।
এদিন সকাল থেকেই মহারাষ্ট্রে এনসিপির মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েই চলছিল। বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন অজিত পাওয়ার। সূত্রের খবর, এই সম্পর্কে শরদ পাওয়ার কোনও কিছু জানতেন না। এরপর এই বৈঠক শেষেই অজিত পাওয়ার তাঁর সমর্থক বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছুক্ষণ পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, ডেপুটি সিএম দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বং অন্যান্য বিজেপি নেতা ও বিধায়করাও রাজভবনে পৌঁছন। আর এরপরেই শুরু হয় শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি। অবশেষে রাজ্যপাল অজিত পাওয়ারকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান। ফলে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের পাশাপাশি দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী পেল মহারাষ্ট্র।
এদিন অজিত পাওয়ারের পাশাপাশি এনসিপির আরও আটজন বিধায়ক তাঁদের দল ছেড়ে শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দিয়েছেন। তাঁরাও শিন্ডে সরকারের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। এদিন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অদিতি ঠাকরে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হসান মুশরিফ, ধর্মরাও বাবা আতরাম, অনিল পাতিল, সঞ্জয় ভোঁসদে।