এশিয়ান গেমস শুটিংয়ে ভারতের সোনার দৌড় অব্যাহত। শুক্রবার প্রথম সোনা এল ছেলেদের ৫০ মিটার রাইফেলের ট্রিপিল পজিশনের দলগত ইভেন্টে। এদিন দেশের হয়ে সোনা জিতলেন স্বপনীল খুসলে, ঐশ্বর্য প্রতাপ সিং তোমার এবং অখিল শেওরান। ১৭৬৯ পয়েন্ট পেয়ে সোনা জয় ভারতীয় দলের।
দিনের প্রথম মেডেল। আবারও শুটিংয়ে। এশিয়ান গেমসের মঞ্চে আবারও মেয়েদের জয়জয়কার। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত ইভেন্টে রুপো জিতলেন ভারতীয় মেয়েরা। ভারতকে গর্বিত করেছেন এষা সিং, পলক ও দিব্যা থাড়িগোল। এষা ও পলক দু'জনেই ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনালের জন্য খেলবেন।
এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে বাড়ি ফিরলেন রিচা ঘোষ। শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা। এদিন, বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন। মেয়েকে নিতে সকাল সকাল এয়ারপোর্টে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ । ঘরের মেয়েকে বরণ করে নিচে ভিড় করেছিলেন শিলিগুড়িবাসীও। এদিকে, বাড়িতেও হয়েছিল বিশেষ আয়োজন। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ঘরের মেয়েকে স্বাগত জানাল, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন।
এদিন সকাল থেকেই সাজো সাজো রব শিলিগুড়ির সুভাষপল্লীর বাড়িতে। সোনা জিতে মেয়ে ফিরছে। বাড়ির সামনে দেখা গেল বিশাল পোস্টার। রিচার ছবি দেওয়া, লেখা ওয়েলকাম হোম। এদিন, বাড়িতে পৌঁছতেই ফুলের স্তবক দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান অনেকে । সেইসঙ্গে চলে পুষ্পবৃষ্টি, মিষ্টিমুখ। এরপর মেয়েকে বরণ করে নেন মা। নিজের হাতে খাওয়ালেন পায়েসও।
রিচা জানাচ্ছেন, বহুদিন পর বাড়ি ফিরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ভাল লাগা তো আছে। প্রথমবার এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছেন,তাই আরও ভাল লাগছে। যদিও, রিচার কথায়, সোনা তো স্পেশ্যাল বটেই, তবে যে কোনও পদকই তাঁদের জন্য স্পেশ্যাল। তবে, এটা সবে শুরু, বলছেন রিচা। আগামীদিনে এভাবেই এগিয়ে যেতে চান ও আরও সোনা জিততে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। সব আগামীদিনে লক্ষ্য সম্পর্কে রিচা জানান, ওয়ার্ল্ড কাপের দিকেই এখন নজর তাঁদের। সেটা মাথায় রেখে নিজেকে তৈরি করছেন তিনি।
এশিয়ান গেমসে (Asian Games) ফের লক্ষ্যভেদ ভারতীয় শুটারদের। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলসের পুরুষদের দলগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন ভারতের সরবজ্যোত সিং, শিবা নারওয়াল ও অর্জুন সিং চিমা। তাঁরা মোট ১৭৩৪ পয়েন্ট স্কোর করেছেন। সেই সঙ্গে ভারতকে আরও একটি সোনার পদক এনে দিয়েছেন। এদিন ভারতের ঝুলিতে রুপোর পদকও আসে উশু থেকে।
এশিয়ান গেমসের শুরুটা এই তিন শুটারের ভালো না হলেও শেষটা তাঁদের সোনা জয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। ভারতীয় শুটারদের প্রথম রাউন্ডে স্কোর ছিল ২৮৪। কিন্তু দ্বিতীয় ভাগে ক্রমশ নিজেদের মেলে ধরেন তিন শুটার। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত তাঁদের স্কোর যথাক্রমে ২৮৭, ২৯১, ২৯৪, ২৯০ ও ২৮৮। সব মিলিয়ে ১৭৩৪ পয়েন্ট স্কোর করেন তাঁরা। আর ১৭৩৩ পয়েন্ট স্কোর করেন চিনের তিন প্রতিযোগী। ফলে রুপো যায় চিনের ঘরে।
মণিপুরের রোশিবিনা দেবী মহিলাদের ৬০ কেজি বিভাগে রূপো জেতেন। রোশিবিনার ম্য়াচের শুরুতে এগিয়ে যায় তাঁর চিনা প্রতিপক্ষ ইউ শিয়াওয়ে। প্রথম থেকে দাপট দেখায় চিনা প্রতিপক্ষ। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে পাল্টা লড়াইয়ে ফেলেন রোশিবিনা। তবে সেটাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাল্টা লড়াইয়ে ইউ শিয়াওয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ম্যাচ জিতে নেন। সঙ্গে তিনি সোনা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, এই সোনা জয়ের ফলে এশিয়ান গেমসে ভারতের পদকের সংখ্যা হল ২৪। তার মধ্যে ৬টি সোনা, ৮টি রুপো ও ১০টি ব্রোঞ্জ রয়েছে।
এশিয়াডে চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই ভারতীয় মহিলা শুটারদের জয়জয়কার। টিম ইভেন্টের পর ব্যক্তিগত ইভেন্টেও সোনা এল ভারতের ঝুলিতে। ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশন ইভেন্টে সেরার শিরোপা পেলেন শিফট কউর সামরা। আর সেই সঙ্গেই ভারতের পঞ্চম স্বর্ণপদক জয়। একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন আশি চোক্সী।
বুধবার সকালেই মহিলাদের দলগত ২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে মনু ভাকর, এষা সিং এবং রিদম সাংওয়ান সোনার পদক জিতলেন। আর মহিলাদের দলগত ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশনসে ভারতকে রুপোর পদক এনে দিলেন আশি চোক্সী, মানিনী কৌশিক ও শিফট কৌর সামরা।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারত মোট ১৮ টি মেডেল জিতেছে। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সোনা, পাঁচটি রুপো ও আটটি ব্রোঞ্জ। বুধবার এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে ভারতীয়দের।
এশিয়াডে চতুর্থ দিনের শুরুতেই শুটিংয়ে জোড়া সাফল্য ভারতের। বুধবার শুটিংয়ের দুই বিভাগে সোনা ও রুপো জিতলেন ভারতীয মহিলা শুটাররা। মহিলাদের দলগত ৫০ মিটার রাইফেলে প্রথমে রুপো জেতে ভারত। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ২৫ মিটার পিস্তল টিম ইভেন্টে সোনার পদক জিতলেন।
মনু ভাকর, এষা সিং এবং রিদম সাংওয়ানের ত্রয়ী যোগ্যতার শীর্ষে শেষ করে মহিলাদের ২৫ মিটার পিস্তল দলগত ইভেন্টে সোনার পদক জিতলেন। এটা এশিয়ান গেমসে ভারতের চতুর্থ স্বর্ণপদক জয়। সেইসঙ্গে দেশের নামও আরও একবার উজ্জ্বল করলেন তাঁরা।
২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে সোনা জিতল ভারত। ফাইনালে দলগতভাবে ভারত স্কোর করে ১৭৫৯, রুপো জয়ী চিনের স্কোর ছিল ১৭৫৬। অন্যদিকে ১৭৪২ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ জয় করে দক্ষিণ কোরিয়া। ফাইনালে ভারতের হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেন মনু ভাকর। তিনি একাই স্কোর করেন ৫৯০। এষা এবং রিদম স্কোর করেন ৫৮৬, ৫৮৩। রুপো আসে শুটিংয়ে। মহিলাদের দলগত ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশনসে ভারতকে পদক এনে দিলেন আশি চোক্সী, মানিনী কৌশিক ও শিফট কউর সামরা। ১৭৫৪ পয়েন্ট পদক জিতেছেন তাঁরা। এই প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছে চিন। তাদের পয়েন্ট ১৭৭৩। ভারতীয় দলকে সমাজ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারত মোট ১৬টি মেডেল জিতেছে। যার মধ্যে রয়েছে চারটি সোনা, পাঁচটি রুপো ও সাতটি ব্রোঞ্জ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল, পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এবং ইকুয়েস্ট্রিয়ান টিমের হাত ধরে এসেছে তিনটি সোনা। ৪১ বছর পর এই বিভাগে পদক জিতে ইতিহাস গড়েছে ইকুয়েস্ট্রিয়ান টিম।
চিনের মাটিতে ইতিহাস ভারতের। ৪১ বছর পর ঘোড়সওয়ারি ইভেন্টে এশিয়াডে সোনার পদক জয় করল ভারত। এই দলে আছেন সুদীপ্তি হ্যাজেলা, দিব্যাকৃতি সিং, হৃদয় বিপুল চেড়া এবং অনুশ আগরওয়ালা। এই ইভেন্টে চিন ও জাপানকে পিছনে ফেলে সোনা ভারতের। ভারতীয় ঘোড় সওয়াররা সময় করেছেন ২০৯.২০৫।
প্রসঙ্গত, ৪১ বছর পর ঘোড়সওয়ারি ইভেন্টে এশিয়াডে সোনার পদক জয় করল ভারত। চিনের হাংঝুতে আয়োজিত ২০২৩ এশিয়ান গেমসের তৃতীয় দিনটা ভারতের জন্য বেশ ভালোই কাটছে। প্রথমে তো সেইলর নেহা ঠাকুর রুপোর পদক জয় করলেন। আর এবার সেইলিংয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় করলেন ভারতে ইবাদ আলি এবং বিষ্ণু সর্বানন। আর সেইসঙ্গে ভারতের ঝুলিতে মোট ১৪টি পদক এসে গেল। এরমধ্যে তিনটে সোনার পদক, চারটে রুপোর পদক এবং সাতটি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। পাশাপাশি তৃতীয় দিন হকিতেও ভালো পারফরম্যান্স করেছে টিম ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরকে তারা ১৬-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে। ইতিপূর্বে তারা উজবেকিস্তানকে ১৬ গোলে পরাস্ত করেছিল।
স্মৃতির ব্যাট আর তিতাসের বল। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ক্রিকেটের সোনার স্বপ্ন পূরণ। এই প্রথমবার এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট খেলতে এসে সোনা জিতলেন ভারতীয় মেয়েরা। সোমবার মেয়েদের ক্রিকেটের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সোনা জিতলেন হরমনপ্রীত কৌররা। প্রথম ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেট ১১৬ রান করে ভারত। ৪৫ বলে ৪৬ রান করে স্মৃতি মান্ধানা
রানা তাড়া করতে নেমে বাংলার পেসার তিতাস সাধুর পেসের কাছে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। ম্যাচে ৬ রান দিতে তিন উইকেট নেন তিতাস। গত কয়েক দিন আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ সিরাজ। সেই আবহে এদিন চিনের মাটিতে সোনার ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কা। দু ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে ফাইনাল খেলতে নামেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে চিনের মাটিতে সোনা জয়ের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। টুইট করে, বিশেষ ভাবে প্রশংসা করেছেন বাংলার ১৮ বছরের বোলার তিতাস সাধুর।
এশিয়ান গেমসে সোনাজয় মেয়েদের ক্রিকেট দলের। আর এই জয়ের নেপথ্যে বাঙালি কন্যা তিতাস সাধুর কীর্তি। ৪ ওভার মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নিলেন গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেট। তার মধ্যে ১ ওভার মেডেন। এশিয়ান গেমসের ফাইনালে ২০ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
প্রথমে ব্যাট করে ১১৬ রান তোলে ভারত। ৪৬ রান করেন স্মৃতি মান্ধানা। জেমিমা রড্রিগেজ করেন ৪২ রান। এই টার্গেট নিয়ে ভাল বোলিংয়ের দরকার ছিল ভারতের। সেই কাজটাই করলেন বাংলার মেয়ে তিতাস। এশিয়ান গেমস ফাইনালে শুরুতেই শ্রীলঙ্কার তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ব্যাটিং ভিত নাড়িয়ে দেন তিনি।
তিতাস ছাড়াও ২টি উইকেট পেয়েছেন রাজেশ্বরী গাইকোয়াড়। একটি করে উইকেট পান দীপ্তি, পূজা ও দেবিকা।
সোনার সোমবার। চিনের এশিয়ান গেমস থেকে ভারতকে প্রথম সোনা এনে দিলেন পুরুষ শুটাররা। এদিন ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের দলগত ইভেন্টে সোনা জিতল ভারত। সোনা জিতলেন দিব্যাংশ পানওয়ার, ঐশ্বর্য তোমর, রুদ্রাংশ পাটিল।
পুরুষদের এই ইভেন্টে ভারতের পয়েন্ট ১৮৯৩.৭। মূলত দিব্যাংশ এবং ঐশ্বর্যর বন্দুকের লক্ষ্যে বাকি পিছনে পড়ে যান। এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের পাশাপাশি ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে এটা বিশ্ব রেকর্ড।
সোনা জয়ের পাশাপাশি রোয়িং থেকে আরও এক ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারত। মেন্স ফোর বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতছেন ভারতের যশবিন্দর, ভীম, পুনিত এবং আশিস। আপাতত মোট সাতটি পদক পেল ভারত। যার মধ্যে একটি সোনা।
সেনকো গোল্ড সোনার দোকানের দুঃসাহসিক ডাকাতি ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুরুলিয়া জেলা পুলিস। ঘটনায় উদ্ধার প্রচুর সোনা ও টাকা। গ্রেফতার আরও তিন জন। সোমবার দুপরে পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিস লাইনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিস জানিয়েছে ডাকাতি হওয়া সোনা সহ ৩৬লক্ষ টাকার ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার জিনিস পত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি এ ঘটনায় আগেই ২ জন গ্রেফতার হয়েছিল। এবার আরও ৩জন গ্রেফতার হওয়ায় মোট আসামি সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ জন।
এদিন পুলিস সুপার জানিয়েছেন, আগে বিকাশ গুপ্তা ও করণজিৎ সিধু গ্রেফতার হয়েছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ইনফরমেশন ভিত্তিতে পুরুলিয়া ঝাড়খন্ড বর্ডারের ঘাগড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়, এদের মধ্যে ওম প্রকাশ প্রসাদ উড়ফে গুড্ডু ও আরেকজন ডাবলু সিং ও অজয় যাদব। এদের বাড়ি ঝাড়খন্ড ও বিহারে।
ঘটনা পর থেকে পুরুলিয়া একটি লজে তাঁরা ডাকাতি সোনা রেখে যায়। তাঁর মধ্যে কিছু সোনা বিক্রি করে। পুলিস সেই লজ থেকে সোনার গহনা ছাড়া বিক্রি করা সোনার যে টাকা ছিলো সেই ৩৬ লক্ষ টাকাও উদ্ধার করেছে। আরও সোনা কোথায় রয়েছে একই সঙ্গে বাকি দুষ্কৃতী দের খোঁজ চলছে বলে জানানো হয়। তবে ঘটনার মাস্টার মাইন্ড জেলে।
শহর পুরুলিয়ার (Purulia) সোনার দোকানের (Gold Shop) ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় ১০ দিনের মধ্যে কিনারা করল পুলিস। গত ২৯ অগাস্ট ডাকাতির ঘটনার দিনই বেশ কিছু সূত্র পেয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিস। সেই সূত্র থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল এই ঘটনায় বিহার-ঝাড়খণ্ড যোগ। ঘটনার দিন থেকেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নাকা তল্লাশি-সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিসের টিম। একের পর এক ইনপুট সংগ্রহ করে চলছিল তদন্ত। শুক্রবার মধ্যরাতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের সুদামডি থেকে এই ঘটনার অন্যতম কিংপিন করণজিৎ সিং সিধুকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার চাষনালার কাছে পাথরডি থানা এলাকায়। শনিবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়।
এই ঘটনায় সহযোগী হিসাবে কাজ করা বিকাশ কুমারকে গত ৫ অগাস্ট দিল্লির নয়ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার বাড়ি দিল্লিতেই। সে এখন পুলিস হেফাজতে রয়েছে। ধৃত করণজিৎ ও বিকাশ কুমারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধৃত করণজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে ওই ডাকাতির ঘটনায় মোট সাতজন ছিল। তার মধ্যে সে একজন। বাকি নামগুলো আমরা পেয়ে গিয়েছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জেলা পুলিসের টিম বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে।” রানাঘাটের ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি এই ঘটনার যোগ না থাকলেও দু’টি ঘটনার মাস্টারমাইন্ড একজনই। সংশোধনাগারে বসেই এই অপরাধের ছক কষা হয়েছিল।
গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়ার নামোপাড়ার একটি নামকরা সোনার বিপণিতে ৮ কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। মোটরবাইকে আসা সাত দুষ্কৃতী প্রায় আধঘণ্টার মধ্যে অপারেশন সেরে পুরুলিয়ার সীমানা পার হয়ে ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়েছিল। বিহার-ঝাড়খণ্ডের এই দুষ্কৃতীদের নিখুঁত অপারেশনে ওই বিপণির সিসিটিভির ডিভিআর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ফলে এই ঘটনার কিনারা করা খুব একটা সহজ ছিল না। যদিও শহর পুরুলিয়ার বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিস। ঘটনার পরের দিনই ৩০ অগাস্টের তদন্তে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করে। এই ঘটনার তদন্তে এসেছিলেন রাজ্য পুলিসের আইজি (বাঁকুড়া রেঞ্জ) ভরতলাল মিনাও।
ফরেনসিক টিম ওই বিপণিতে এসে নমুনা সংগ্রহ করে। ওই একই দিনে রানাঘাটেও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ফলে সেদিনই পুরুলিয়া জেলা পুলিসের একটি দল রানাঘাটে টিম পাঠায়। ওই ঘটনার সঙ্গে পুরুলিয়ার ডাকাতির সরাসরি কোনও যোগ না থাকায় সেই দল আবার ফিরে আসে। একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন টিমের ইনপুট থেকে পরে পুরুলিয়া জেলা পুলিস জানতে পারে রানাঘাট ও পুরুলিয়া দুটি ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড একজনই। তার নামও পেয়ে গিয়েছে পুলিস। তদন্তের স্বার্থে গোপনীয়তা অবলম্বন করে এই ঘটনার একেবারে উৎসস্থলে পৌঁছতে চাইছে পুরুলিয়া জেলা পুলিস।
যে দুষ্কৃতী দলটি পুরুলিয়াতে অপারেশন চালায় তারা অতীতে আসানসোলে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে ফেরার সময় ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারিতে একজনকে গুলি করে খুন করে। এছাড়া ধানবাদেও এই দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে একটি গুলির লড়াই হয়। এই দলের সদস্যরা ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত গত চার-পাঁচ মাস আগে দমদমেও সোনার দোকানে ডাকাতি করে বলে অভিযোগ। এই দুষ্কৃতী দলটি একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনা করে সবসময় অপারেশন সারে। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা এক একটি অপারেশনের বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকে। কেউ অপারেশন করার জন্য যানবাহন বা মোটরবাইকের খোঁজ করে। কেউ দেখে আইটি সেক্টর। এরা এমনভাবে অপরাধ সম্পন্ন করে যেকোনও প্রমাণই তারা ফেলে যায় না। পুরুলিয়ার এই সোনার দোকানে অপারেশন করার জন্য তারা শহর থেকে ৫০ কিমি দূরে ঝাড়খণ্ডের একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেই আশ্রয়স্থল থেকেই ২০-২৯ আগস্ট পর্যন্ত তারা রেইকি করে। তারপরই হয় অপারেশন।
রাজ্যের দুই প্রান্তে সেনকো সংস্থার গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আংশিক সাফল্য পেল পুলিশ। নদিয়ার রাণাঘাটের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু পুরুলিয়ার ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। তবে, পুলিশ নিশ্চিত দুটি ক্ষেত্রেই ডাকাতি করতে আসা দুষ্কৃতীরা বিহারের বাসিন্দা। কেন রানাঘাট এবং পুরুলিয়ার দোকানকেই টার্গেট করা হল, সেই রহস্য ভেদ করতে মরিয়া পুলিশস।
রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতিদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং নগদ তিন লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, বিহার থেকে একটি গ্যাং পুরো অপারেশনটি চালিয়েছে। লুটপাঠ চালানোর সময়ই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এবং তাদের ঘিরে ফেলে। সেসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাতরা। পালটা জবাব দেয় পুলিশ আধিকারিকরা
সোনার ছেলের গলায় আরও এক সোনার মেডেল, হাতে তেরঙ্গা। এই ছবি দেখবে বলেই রবিবার মাঝরাতে জেগে ছিল গোটা দেশ, স্বপ্ন সত্যি হল। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসাবে জ্যাভলিনে সোনা জিতলেন নীরজ চোপড়া। ৮৮.১৭ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে স্বর্ণপদক ছিনিয়ে নেন নীরজ।
নিজের দ্বিতীয় থ্রোতেই সর্বোচ্চ দূরত্ব জ্যাভলিনটি ছোড়েন নীরজ, প্রথম থ্রোটি ফাউল হয়। রুপো জিতলেন পাকিস্তানের নাদিম। পড়শি দেশের দুই বন্ধুর একই সঙ্গে সোনা-রুপো জয়ে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের মঞ্চে তৈরি হল এক অন্য ছবি। ২০২১ সালের ৭ অগাস্ট অলিম্পিক্সে প্রথমবার দেশকে জ্যাভলিনে সোনা এনে দিয়েছিলেন নীরজ। এবার এনে দিলেন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স-এর মঞ্চে।
তাঁর বর্শায় বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের মঞ্চে মঙ্গলকাব্য তৈরি করেছে ভারত। সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া জানিয়েছেন, তিনি অভিভূত। টোকিও তাঁকে প্রথম সোনা দিয়েছিল। পুশকাসের দেশ হাঙ্গেরি তাঁকে খালি হাতে ফেরালো না। তবুও নিজের থ্রো নিয়ে খুশি নন নীরজ।
তিনি জানিয়েছেন, এই জয় ভারতের জয়। তিনি দেশের জন্য গর্বিত। খুব খারাপ ছুঁড়েও সোনা পেয়েছেন। সোনা সবসময় সোনা বলেই মনে করেন ভারতের সেরা জ্যাভলার। নীরজ জানিয়েছেন, আবার নিজের সেরা নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরবেন। টার্গেট থাকবে ৯০ মিটার।
বুদাপেস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ভারতীয় হিসাবে সোনা জিতেছেন নীরজ চোপড়া। রবিবার মধ্যরাতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৮৮.১৭ মিটার ছুঁড়ে সোনা পেয়েছেন নীরজ। এরআগে জিতেছিলেন ডায়মন্ড লিগ।
সোনা পাচার (Gold Sumggler) করতে গিয়ে বিএসএফের (BSF) হাতে আটক এক বাংলাদেশী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত বাংলাদেশের বনগাঁ (Bangaon) পেট্রাপোল সীমান্তে। উদ্ধার হওয়া সোনাগুলি পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। আটক ওই বাংলাদেশীকে কাস্টমস অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, আটক ওই বাংলাদেশীর নাম রত্নদীপ রায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৩০.৭০ গ্রাম ওজনের সোনার চেইন ও একটি ব্রেসলেট। যার মূল্য ১৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫১৬ টাকা।
বিএসএফ সূত্রে খবর, আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যাত্রীদের ভারত-বাংলাদেশ চলাচলের রুটিন চেকিংয়ের সময়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশী যাত্রীকে আটক করা হয়। ওই যাত্রীর গলায় একটি ভারী চেইন দেখতে পান বিএসএফের জওয়ানরা। যা ৯৯.৯৯ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি। এরপরে, জওয়ানরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করলে তার টি-শার্ট থেকে একটি সোনার মোটা ব্রেসলেট উদ্ধার হয়। বিএসএফের দাবি, এই সোনার বিষয়ে ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। তাই অবিলম্বে তাকে আটক করা হয়।
বিএসএফের আরও দাবি, বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই যাত্রী বলেন, সে একজন স্বর্ণকার এবং বাংলাদেশে তার নিজস্ব সোনার দোকান আছে। সে তার দোকানে এই চেইন ও ব্রেসলেট তৈরি করে। সে আরও জানায়, কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চোখ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে ভারতে আসছিল। তবে টাকার অভাব থাকায় সে এই সোনা সঙ্গে নিয়েছিল এবং ভারতে এসে বিক্রি করতে চেয়েছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন জনসংযোগ আধিকারিক, ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য। তিনি বলেন, বিএসএফ চোরাকারবারিদের প্রতিটি ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফাঁদ শক্ত করেছে। চোরাচালানকারীরা বারবার সোনা পাচারের চেষ্টা করে কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।
১৫ টি সোনার (Gold) বাট সহ এক পাচারকারীকে (Smuggling) গ্রেফতার (Arrest) করলো বিএসএফ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। রবিবার বিএসএফ (BSF) আধিকারিকেরা সোনারবাট সহ ধৃত ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর কাস্টমসের হাতে তুলে দেন।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই পাচারকারীর নাম জোহিরুল শেখ। শনিবার রাতে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত বিএসএফ-র নজর এড়াতে মোটর বাইকে করে সোনার বাটগুলি পাচার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফ-র। তারপরেই তাঁরা ওই মোটর বাইকটিকে আটকে তল্লাশি চালায়। উদ্ধার করা হয় ১৫ টি সোনার বাট। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১৫ টি সোনার বাটের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। যা ওই ব্যক্তি রঘুনাথগঞ্জের সাইদাপুর এলাকায় হাতবদলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে।